আদাব সমরেশ বসু সহায়িকা প্রশ্ন উত্তর | Adab Golper Question Answer Class 8 [WBBSE]

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

 

                আদাব

                     —সমরেশ বসু
• লেখক পরিচিতিঃ
      সমরেশ বসু (১৯২৪ ১৯৮৮) : আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ছোটোগল্পকার ও ঔপন্যাসিক। জীবনযাপনের বিভিন্ন পর্বে তিনি বিচিত্র পেশা অবলম্বন করে নানান অভিজ্ঞতা সঞ্জয় করেছিলেন। ফেরিওয়ালা থেকে চটকলের শ্রমিক, বস্তির এঁদো ঘর থেকে সুরম্য দালান সর্বত্রই ছিল তাঁর অনায়াস বিচরণ। তাঁর উপন্যাসগুলির মধ্যে বি টি রোডের ধারে, গঙ্গা, শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে, জগদ্দল, মহাকালের রথের ঘোড়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কালকূট ছদ্মনামে তিনি অনেক ভ্রমণ কাহিনিও লিখেছেন।
• সারসংক্ষেপঃ 
       প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক তথা ছোটোগল্পকার সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে বন্ধুত্ব ও মানবিকতা প্রাধান্য পেয়েছে। গল্পে দেখি দুই প্রধান চরিত্র নিম্নবিত্ত এক সুতাকলের মজুর এবং নৌকোর এক মাঝি, যারা ধর্মপরিচয়ে আলাদা হলেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে একইরকমভাবে অসহায়। দাঙ্গার সময় শহরের দুটো গলি যেখানে মিশেছে সেই রাস্তায় ডাস্টবিনের আড়ালে দুজনেই ভয়ে লুকিয়েছিল। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। দুজনের মনেই তখন মৃত্যুভয়। সেই চাপা ভয় আর উত্তেজনায় সময় এগিয়ে চলে। তারা কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। অবশেষে বিড়ি ধরাতে গিয়ে তারা একে অপরের আসল পরিচয় জেনে যায়, তবু তারা কেউ কাউকে আক্রমণ করে না। বরং বিপনদের সময় তারা ক্রমশ নিজেদের আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠে। সাম্প্রদায়িক ভেদরেখা মুছে যায়। দুজনে একে অপরের পরিবার পরিজনদের অসহায়তা আর দুশ্চিন্তা বুঝতে পারে। পরের দিন ইদ। সেই উপলক্ষ্যে মাঝি তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যার জন্য নতুন পোশাক কিনেছে। সে তাদের কাছে পৌঁছোনোর জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। সুতা-মজুরের তীব্র আপত্তি আর বারণ সত্ত্বেও সে সেই ভয়ংকর রাতে বাড়ির উদ্দেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রওনা হয়। ভগবানের কাছে সুতা-মজুর কাতর প্রার্থনা জানায়—“মাজি য্যান্ বিপদে না পড়ে।” তার সেই প্রার্থনা পূরণ হয় না। রুদ্ধশ্বাসে কয়েকটি মুহূর্ত কাটার পর হঠাৎ “হল্ট”, “ডাকু ভাগতা হ্যায়” ইত্যাদি শব্দ কানে যেতে গলা বাড়িয়ে সুতা-মজুর দেখে এক পুলিশ অফিসার রিভলবার হাতে রাস্তার উপর লাফিয়ে পড়ল। দু-বার গর্জে উঠল তার বন্দুক। সুতা-মজুরের জলভরা চোখের সামনে ভেসে ওঠে মাঝির বুকের রক্তে লাল হয়ে যাওয়া তার ছেলেমেয়ে আর স্ত্রীর জন্য কেনা জামাকাপড়গুলির ছবি।
• নামকরণঃ 
     ‘ আদাব ‘ — দেশ বিভাগের পটভূমিতে হিন্দু – মুসলমান – এর দাঙ্গার সময়ের ঘটনা অবলম্বনে রচিত । সাহিত্যের নামকরণ নানা ভাবে করা হয়ে থাকে । গল্পের বিষয়বস্তু অনুসারে , কখন গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম অনুসারে । লেখক নিজেই এই গল্পের নামকরণ করেছেন “ আদাব ” –এখন আলোচনা করে দেখা যেতে পারে এই নামকরণ কতটা সার্থক হয়েছে । আদাব এখানে বিদায় সম্ভাবণ হিসাবে ব্যবহার হয়েছে । গল্পটি একটি রাজনৈতিক , সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত । দেশ বিভাগের বিষবাষ্প চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে — বাড়ছে মুখোমুখি লড়াই । বন্যজন্তুর মতো কেবল ধর্মের জিগির তুলে একে অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে । হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এই কাহিনিটি লেখক সুনিপুণ কৌশলে পাঠক সমাজে হাজির করেছেন । গল্পের মাঝে উঠে এসেছে দাঙ্গার ভয়াবহতা । গল্পের শেষে দেখা যায় যে দাঙ্গার আতঙ্ক , সন্দেহ সরিয়ে রেখে দুটো মানুষ মানসিকভাবে যখন মিলিত হয়েছে , ঠিক যখনই আদাব ধ্বনির মধ্যে দিয়ে তারা বিদায় নিচ্ছে । লেখক তখনই তাদের একজনের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ঘটিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন । ‘ আদাব ‘ সেই দুটি মানুষেরই ভালোবাসা বিনিময়ের এক সূত্র । কেউ তাদের মূল্য দেয়নি । তারা নিজেরা তাদের মানবিকতাকে সম্মান জানিয়েছে । লেখক সাধারণ বিষয়কে এক মানবিক পর্যায়ে উন্নীত করে পরিবেশন করায় ‘ আদাব ‘ নামকরণটি সার্থক হয়েছে বলা যায় ।
       (হাতে কলমে’র প্রশ্ন ও উত্তর) 
১.১ সমরেশ বসুর ছদ্মনাম কী ? 
উত্তরঃ সমরেশ বসুর ছদ্মনাম ‘কালকূট’। 
১.২ তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো । 
উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম ‘বি টি রোডের ধারে, ও ‘জগদ্দল’। 
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : 
২.১ কোন্ সময়পর্বের কথা গল্পে রয়েছে ? 
উত্তরঃ গল্পের বর্ণিত সময়কালটি হলো স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৪৬-৪৭ খ্রিস্টাব্দের সময় । 
২.২ ‘ ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী ’ — প্রাণীদুটির পরিচয় দাও । 
উত্তরঃ ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি মানুষের একজন সুতাকলের মজুর সে জাতিতে হিন্দু , আর একজন নৌকার মাঝি জাতিতে মুসলমান । দুজনেই ছিল দাঙ্গাপীড়িত । 
২.৩ ‘ ওইটার মধ্যে কী আছে ? ‘ — বক্তা কীসের প্রতি ইঙ্গিত করে ? 
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটিতে সুতা-মজুর মাঝির হাতে বগলে থাকা জামা-কাপড়ে ভরা পুঁটলির প্রতি ইঙ্গিত করেছে । 
২.৪ গল্পে কোন্ নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে ?
উত্তরঃ ‘আদাব’ গল্পে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রসঙ্গ রয়েছে । 
২.৫ সুতা – মজুরের ঠোটের কোণে একটু হাসি ফুটে উঠল …’— তার এই হাসির কারণ কী ? 
উত্তরঃ সুতা – মজুর মাঝির ঘরে ফেরার দৃশ্যের কথা ভেবে হেসেছিল । সে ভেবেছিল মাঝি ঘরে ফিরলে তার বিবি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলবে মরণের মুখ থেকে তুমি ফিরে এসেছ । তার ছেলেমেয়েরা নতুন আশা নিয়ে নতুন জামা পরবে । 
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় দাও : 
৩.১ শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারী হয়েছে ।’— লেখকের অনুসরণে গল্পঘটনার রাতের দৃশ্য বর্ণনা করো । 
উত্তরঃ ‘আদাব’ গল্পের শুরুতে লেখক সমরেশ বসু হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে ভয়ংকর এক রাত্রির ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। একে অন্যের প্রতি তারা হিংসায় মেতে উঠেছে। তারা দা, সড়কি, ছুরি, লাঠি নিয়ে অন্য সম্প্রদায়কে আক্রমণের করে। এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গুপ্তঘাতকের দল সক্রিয় হয়ে ওঠে। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অবাধে তারা লুটপাট চালায়। বস্তিতে বস্তিতে জ্বলছে আগুন । মৃত্যুকাতর নারী ও শিশুর চিৎকার আবহাওয়াকে বীভৎস করে তুলেছে । তার উপর ঝাপিয়ে পড়ছে সৈন্যবাহী গাড়ি । তারা আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিক্‌বিদিক্ জ্ঞানশূন্য হয়ে গুলি ছুঁড়ছে । 
৩.২ “ হঠাৎ ডাস্টবিনটা একটু নড়ে উঠল । ” — ‘ডাস্টবিন নড়ে ওঠা’র অব্যবহিত পরে কী দেখা গেল ? 
উত্তরঃ ডাস্টবিনটি নড়ে ওঠার অব্যবহিত পরে দেখা গেল, ডাস্টবিনের দু-পাশে দুটি মানুষ, অসহায়, প্রাণভয়ে ভীত, পরস্পরের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
 চারটি চোখে ফুটে উঠেছে ভয়-সন্দেহ আর উত্তেজনা। তার একজন হিন্দু – অন্যজন মুসলমান । উৎকণ্ঠায় তাদের চোখে ভয় , সন্দেহ মিলেমিশে আছে ।
৩.৩ হিন্দু – মুসলমান সম্প্রীতির আবহ গল্পে কীভাবে রচিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো ।
উত্তরঃ সমরেশ বসু রচিত ‘ আদাব ’ গল্পটি স্বাধীনতার পূর্বের দাঙ্গাবিধ্বস্ত কলকাতা শহরের এক চিত্র । ভয়ংকর দাঙ্গা , খুন – আতঙ্ক – আর্ত চিৎকার— এইরকম পরিবেশে দুটি আতঙ্কিত প্রাণ একজন সুতা – মজুর ও অন্যজন নৌকার মাঝি একটি ভেঙে পড়া ডাস্টবিনের পাশে আশ্রয় নিয়েছে । প্রাথমিকভাবে পরস্পরের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে তারা চিন্তিত হলেও সেই মৃত্যু ভয়ই তাদের অনেক কাছাকাছি এনে দিয়েছিল। তাই মাঝি সেই জায়গা ছেড়ে উঠে যেতে চাইলে সুতা মজুর তার প্রাণের আশঙ্কা জানিয়ে তাকে বাধা দিয়েছিল।
    » তারা কেউ দাঙ্গা চায়না । মাঝি ইদের পরবে বাড়ি যেতে উদ্গ্রীব , ছেলে মেয়েরা বাবার ফেরার পথ চেয়ে বসে আছে । আটদিন ঘরের কোনো খবর নেই । দুজনে কোনক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে ইসলামপুর ফাঁড়ির কাছে আসে । মাঝি সুতা – মজুরকে বলে , তুমি ফেরির ঘাটের দিকে যেওনা ওদিকটা মুসলমান এরিয়া , এদিকে হিন্দুর বাস বেশি । রাতটা কোনক্রমে কাটিয়ে সকালে বাড়ি চলে যেও । মাঝি বিদায় নিলে সুতা – মজুর ভগবানের কাছে করুণাভিক্ষা করে — ভগবান তুমি মাঝিকে বাঁচিয়ে দাও । সে যেন বিবি – সন্তানের কাছে পৌঁছাতে পারে । গুলির আওয়াজ ও আর্ত চিৎকারে তার মনে ভেসে আসে রক্তে মাঝির পোলা মাইয়া ও বিবির জমা – শাড়ি রাঙা হয়ে উঠেছে , আর মাঝি বলছে দুশমনেরা আমাদের যাইতে দিল না — তাঁর মন ভারি হয়ে আসে । গল্পের শেষে পুলিশের গুলিতে মাঝির মৃত্যু হলেও একে অপরের প্রতি বিশ্বাস , মানবিকতা গল্পের মধ্যে ঘটা ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্খার মাঝেও এক সম্প্রীতির পরিবেশ রচিত করে । 
৩.৪ ‘ মুহূর্তগুলিও কাটে যেন মৃত্যুর প্রতীক্ষার মতো ।’— সেই রুশ উত্তেজনাকর মুহূর্তগুলির ছবি গল্পে কীভাবে ধরা পড়েছে তা দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো । 
উত্তরঃ দাঙ্গায় বিধ্বস্ত শহর কলকাতার এক বীভৎস চিত্র লেখক সমরেশ বসু তাঁর আদাব গল্পে সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । সময় ও পরিবেশ যে ভয়াবহতা নিয়ে এসেছে তার সঙ্গে মৃত্যুর তুলনা চলে । সেখানে ডাস্টবিনের দুপাশে প্রাণভয়ে ভীত দুটি মানুষ । বিপদের মধ্যে থেকেও সুতা মজুর ও নৌকার মাঝির মধ্যে নির্ভরতা গড়ে ওঠে । কেউ কাউকে ছাড়তে চায় না । হঠাৎ করে শোরগোলটা মিলিয়ে যায় দূরে — মৃত্যুর মতো নিস্তব্ধ হয়ে আসে সব । মুহূর্তগুলিও কাটে যেন প্রতীক্ষার মতো । নিস্তব্ধতার মাঝে দেশলাই জ্বলে ওঠার পর ‘ সোহান আল্লা ‘ শব্দটি এক উত্তেজক মুহূর্ত তৈরি করে । সুতা মজুর ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে । আবার মাঝি মুসলমান জেনে সুতা মজুর যখন মাঝির পুঁটলিটিতে কী আছে প্রশ্ন করে তখন উত্তেজনা দানা বেঁধে ওঠে । অন্ধকার গলির মধ্যে ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী ভাবে নিজেদের বিপদের কথা, ঘরের কথা, মা-বউ-ছেলেমেয়েদের কথা, তাদের কাছে কি আর তারা প্রাণ নিয়ে ফিরে যেতে পারবে ? কীভাবে হঠাৎ এমন দাঙ্গা বাধলো, মানুষ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে— হতাশ হয়ে তারা এই কথাই ভাবছিল। পরে দুজনের মধ্যে কিছুটা বিশ্বাস জন্মালে তারা উৎকণ্ঠার সঙ্গে এসবই আলোচনা করছিল। আসলে ওই রাত্রে দুজন অসহায় মানুষের রুদ্ধ উত্তেজনাকর মুহূর্ত গুলির মধ্যে দিয়ে হিন্দু মুসলমান ভেদ না করে সমস্ত সাধারণ মানুষেরই সংশয় ও বিপন্নতাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন লেখক
৩.৫ এমনভাবে মানুষ নির্মম নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে কী করে ? ‘ — উদ্ধৃতিটির আলোকে সেই সময়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটি আলোচনা করো । 
উত্তরঃ কথাসাহিত্যিক সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পে ভয়ংকর এক রাতে পথের মধ্যে পড়ে থাকা একটি ডাস্টবিনের আড়ালে বসে থাকা মাঝি আর সুতাকলের মজুরের মনে এই অসহায় প্রশ্নটি জেগেছিল।
     ইংরেজরা এ দেশের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ে যে বিভেদ তৈরি করেছিল। তারই পরিণতি হিসেবে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সমগ্র দেশ হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে। খুন-জখম, রাহাজানি, লুঠতরাজ, ১৪৪ ধারা, সেনাবাহিনীর অত্যাচার দেশবাসীকে আতঙ্কিত এবং সন্দেহপ্রবণ করে তোলে। হিন্দু-মুসলিম একে অপরের বিনাশে মেতে ওঠে। ‘আদাব’ গল্পে লেখক সমরেশ বসু এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেই মানবিকতা এবং মনুষ্যত্বের কথা শোনাতে চেয়েছেন। দাঙ্গায় বিধবস্ত শহরের রাস্তায় লুকিয়ে থেকে কোনোক্রমে প্রাপণ-বাঁচানো দুজন মানুষের মনে জেগে-ওঠা প্রশ্নের মধ্য দিয়ে সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরই হাহাকার তুলে ধরেছেন লেখক।
৪. নিম্নলিখিত বাক্যগুলির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো : 
৪.১ ‘রাত্রির নিস্তবন্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি টহলদার গাড়িটা একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে পাক খেয়ে গেল । ‘
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি বিখ্যাত ছোট গল্পকার সমরেশ বসু রচিত আদব ছোটগল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
   ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার ভয়াবহতার দিনের শহরে ১৪৪ ধারা এবং কারফিউ জারি হয়। প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাকে দেশ জুড়ে শুরু হয় লড়াই। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে হবে দেশকে – দা , সড়কি, লাঠি, ছুরি, গুলি-বন্দুক নিয়ে লড়াইতে নেমে পড়ে মানুষ , মুখে তাদের “আল্লাহু আকবর” আর ‘বন্দে মাতরম্’ ধ্বনি । নির্বিচারে নারী-শিশু , বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, তরুণ যুবক সবাই এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শিকার । তাই আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে , রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি গাড়ি টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে — যেটি ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ নিয়ে একটা পাক খেয়ে চলে যায় । 
৪.২ ‘ডাস্টবিনের দুই পাশে দুটি প্রাণী, নিস্পন্দ, নিশ্চল।’ 
উত্তরঃ উপরের উদ্ধৃতিটি সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ শীর্ষক ছোটগল্পের অংশ । 
   শহরের দুটি গলির মুখে উলটে থাকা ডাস্টবিনের দুপাশে নিরাপদ আড়াল খুঁজতে চাইছিল একজন নৌকার মাঝি আর একজন সুতাকলের মজুর। মৃত্যুভয়ে ভীত এই দুটি মানুষ নিস্পন্দ ও নিশ্চল হয়ে যেন ভয়ংকর কিছু একটা ঘটনার আশঙ্কা করছিল। তাদের হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। চোখের দৃষ্টি স্থির করে তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে আছে। সংশয়, সন্দেহ, উত্তেজনা, আর ভয়ে পূর্ণ সেই চোখের দৃষ্টি। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। উভয়েই উভয়কে খুনি মনে করে আক্রমণের প্রতীক্ষা করতে থাকে। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় মৃত্যুর আশঙ্কাতেই তারা নিস্পন্দ, নিশ্চল।
৪.৩ “স্থান-কাল ভূলে রাগে-দুঃখে মাঝি প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে।” 
উত্তরঃ সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ ছোটগল্প থেকে উপরের অংশটি নেওয়া হয়েছে ।        
      ভয়ংকর দাঙ্গার মুখোমুখি হয়ে মানুষ মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে ডাস্টবিনের ধারে আশ্রয় নিয়েছে এক হিন্দু মজুর আর একজন মুসলমান মাঝি। প্রত্যেকেই নিজেদের পরিচয় দিতে শঙ্কিত।  
এর মধ্যে মাঝি স্থান পরিবর্তন করতে চাইলে প্রাথমিকভাবে সুতা-মজুর বাধা দেয়। তাতে মাঝির মনে আবার সন্দেহ জেগে ওঠে। তার মনে হয়, কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে সে তাকে আটকে রাখতে চায় না তো? বিপদের আঁচ করেই যে সুতা-মুজর তাকে বাধা দেয়, তা মাঝি বুঝতে চায় না। সে অধৈর্য হয়ে ওঠে, অন্ধকার গলিতে আর পড়ে থাকতে চায় না। সুতো-মজুর তার নিরাপত্তার কথা ভেবে এতক্ষণ তাকে আটকে রাখতে চাইছিল। এবার তার জেদ দেখে তারও মনে সন্দেহ জেগে ওঠে। সে বলে, “তোমার মতলবড়া তো ভালো মনে হইতেছে না। কোন জাতির লোক তুমি কইলা না, শেষে তোমাগো দলবল যদি ডাইকা লইয়া আছ আমারে মারণের লেইগা?” সুতা-মজুরের মুখে এই সন্দেহের কথা শুনেই মাঝি স্থান-কাল ভুলে রাগে-দুঃখে প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে। তার এই চিৎকার করে ওঠার মধ্য দিয়ে তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা ভালো মানুষটির দেখা মেলে। 
৪.৪ ‘ অন্ধকারের মধ্যে দুজোড়া চোখ অবিশ্বাসে উত্তেজনায় আবার বড়ো বড়ো হয়ে উঠল । 
উত্তরঃ সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে । 
   দাঙ্গার পরিবেশে শহরের গলিপথে এক আতঙ্কিত আবহাওয়ার মাঝে ডাস্টবিনের পাশে আশ্রয় নেওয়া মাঝি ও সুতা মজুর দুজনের মধ্যেই প্রবল অবিশ্বাস সৃষ্টি হয় । তারা দুজনেই একে অপরকে খুনি ভাবে । অথচ স্পষ্ট করে কেউ কারোর পরিচয় চায় না । এই পরিস্থিতিতে সুতা-মজুর মাঝিকে একটা বিড়ি দেয় । কিন্তু ভিজে দেশলাই জ্বালাবার সময় মাঝির মুখ দিয়ে ‘সোহান আল্লা’ কথাটি বেরিয়ে আসতেই সুতা মজুর বুঝতে পারে মাঝি মুসলমান । সে ভূত দেখার মতো চমকে ওঠে । তার ঠোঁটের ফাঁক থেকে খসে পড়ে বিড়িটা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিবেশে অন্ধকারের মধ্যে তার দুজোড়া চোখ অবিশ্বাসে, উত্তেজনায় আবার বড়ো বড়ো হয়ে ওঠে।
 ৪.৫ ‘সুতো-মজুরের বুকের মধ্যে টনটন করে ওঠে।’ 
উত্তরঃ সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পের অংশ এটি । দাঙ্গা হাঙ্গামাজনিত পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি হয়েছে । চারিদিকের পরিস্থিতি অশান্ত । এই অবস্থায় ডাস্টবিনের দুই ধারে আশ্রয় নিয়েছে ভিন্নধর্মী দুটি মানুষ । অনেক অবিশ্বাস ও সন্দেহের পথ পেরিয়ে তারা চলে আসে পাশাপাশি, কাছাকাছি । প্রথমে তাদের মনে অবিশ্বাস ও ভয় ছায়া ফেললেও পরে বুঝেছে তারা কেউ কারোর শত্রু নয় । দুজনেরই পরিবার আছে । সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তাদের রুজি রোজগার কেড়ে নিয়েছে । ধীরে ধীরে তারা একে অপরের সহমর্মী হয়ে ওঠে । তাই মাঝি যখন তার বউ ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য উতলা হয়ে উঠল তখন সুতা-মজুর তাকে যেতে দিতে না চাইলে সে বলে ঘরে তার ছেলেমেয়েরা আশা করে আছে । কাল ঈদের দিনে তারা বাপজানের কোলে চড়বে । তাঁর দুঃখে সুতা-মজুরের বুকও টন টন করে উঠল। এই চরম দুর্দিনেও একজন মানুষ ভিন্ন ধর্মের একজনের জন্য দুঃখে কাতর হয়ে ওঠে। লেখক এভাবেই গল্পে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও খেটে খাওয়া মানুষের ঐক্যবোধের এক অসামান্য উদাহরণ তুলে ধরেছেন।
৪.৬ ‘ভুলুম না ভাই এই রাত্রের কথা।’ 
উত্তরঃ এই অংশটি সমরেশ বসু রচিত ‘আদাব’ গল্পের অংশ। 
   ডাস্টবিনের দুই পাশে আশ্রয় নিয়েছে মাঝি এবং সুতা – মজুর । অনেক সন্দেহ ও অবিশ্বাসের পথ পেরিয়ে তারা কাছাকাছি আসে । কেউ কাউকে ছাড়তে চায় না। কিন্তু বাড়ি ফেরার জন্য মাঝি বড়োই উতলা। ঈদের পরবে স্ত্রী – পুত্রের কাছে পৌঁছানো বড়ো জরুরি। ছেলেমেয়েরা, তার স্ত্রী সেখানে তারই জন্য অপেক্ষা করছে। সুতা মজুরের সঙ্গে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। মনের সংশয় দূর করে উভয়েই উভয়ের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসার জন্ম হয় । তাই চলে যাওয়ার সময় বিদায় জানানোর আগে মাঝি সুতা-মজুরকে বলেছে যে সেই রাতের কথা কখনোই ভুলে যাবে না।
৫. নীচের বাক্যগুলি থেকে অব্যয় পদ খুঁজে নিয়ে কোটি কোন্ শ্রেণির অব্যয় তা নির্দেশ করাে :
৫.১ শহরে ১৪৪ ধারা আর কারফিউ অর্ডার জারি হয়েছে। 
উত্তরঃ আর = সংযােজক অব্যয়।
৫.২ তারা গুলি ছুঁড়ছে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।
উত্তরঃ ও = সংযােজক অব্যয়।
৫.৩ তে উভয়েই একটা আক্রমণের প্রতীক্ষা করতে থাকে, কিন্তু খানিকক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনাে পক্ষ থেকেই আক্রমণ এল না।
উত্তরঃ কিন্তু = সংকোচক অব্যয়।
৫.৪ তােমার মতলবটা তাে ভালাে মনে হইতেছে না। 
উত্তরঃ তো = আলংকারিক অব্যয়।
৫.৫ মাঝি এমনভাবে কথা বলে যেন সে তার কোনাে আত্মীয়বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে। 
উত্তরঃ যেন = সংশয়াত্মক বা সমুচ্চয়ী অব্যয়।
৬. নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে নিয়ে তাদের সন্ধি বিচ্ছেদ করাে :
৬.১ তা ছাড়া চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে গুপ্তঘাতকের দল।
উত্তরঃ চতুর্দিকে = চতুঃ + দিকে ।
৬.২ মৃত্যু-বিভীষিকাময় এই অন্ধকার রাত্রি তাদের উল্লাসকে তীব্রতর করে তুলেছে।
উত্তরঃ উল্লাস = উৎ + লাস। 
৬.৩ নির্জীবের মতাে পড়ে রইল খানিকক্ষণ। 
উত্তরঃ নির্জীব = নিঃ + জীব।
৬.৪ দাঁতে দাঁত চেপে হাত-পাগুলােকে কঠিন করে লােকটা প্রতীক্ষা করে রইল একটা ভীষণ কিছুর জন্য। 
উত্তরঃ প্রতীক্ষা = প্রতি + ঈক্ষা।
৬.৫ সমস্ত অঞলটার নৈশ নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দুবার গড়ে উঠল অফিসারের আগ্নেয়াস্ত্র।
উত্তরঃ নিস্তব্ধতা = নিঃ + স্তব্ধতা ; আগ্নেয়াস্ত্র = আগ্নেয় + অস্ত্র।
৭. ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে : চোরাগােপ্তা, পথনির্দেশ, নির্জীব, দীর্ঘনিশ্বাস, পােলামাইয়া।
» চোরাগােপ্তা = যা চোরা তাই গােপ্তা ।(কর্মধারয় সমাস)
» পথনির্দেশ = পথের নির্দেশ। (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)
» নির্জীব = নয় জীব। (ন-তৎপুরুষ সমাস)
» দীর্ঘনিশ্বাস = দীর্ঘ যে নিশ্বাস। (সাধারণ কর্মধারয় সমাস) 
» পােলামাইয়া = পােলা ও মাইয়া। (দ্বন্দ্ব সমাস)
৮. নিম্নরেখাঙ্কিত অংশের কারক-বিভক্তি নিশে করাে :
৮.১ দু-দিক থেকে দুটো গলি এসে মিশেছে এ জায়গায়।
উত্তরঃ জায়গায় = অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
৮.২ সন্দেহের দোলায় তাদের মন দুলছে।
উত্তরঃ সন্দেহের = সম্বন্ধপদে ‘এর’ বিভক্তি
৮.৩ নিষ্ফল ক্রোধে মাঝি দু-হাত দিয়ে হাঁটু দুটোকে জড়িয়ে ধরে।
উত্তরঃ ক্রোধে = করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৮.৪ আমাগাে কথা ভাবে কেডা ?
উত্তরঃ আমাগাে = সম্বন্ধপদে ‘গাে’ বিভক্তি; কেডা = কর্তৃ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
৮.৫ মুহূর্তগুলি কাটে রুদ্ধ নিশ্বাসে।
উত্তরঃ রুদ্ধ নিশ্বাসে = করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি। 
৯. নীচের শব্দগুলিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন্ কোন্ নিয়ম কাজ করেছে লেখাে : হেইপারে, নারাইনগঞ্জ, ডাইকা, আঙুল, চান্দ।
» হেইপারে < সেইপারে (বর্ণবিপর্যাস)
» নারাইনগঞ্জ < নারায়ণগঞ্জ (মধ্যস্বরলােপ, বর্ণবিকার) 
» ডাইকা < ডাকিয়া (অপিনিহিতি) 
» আঙুল < আঙ্গল < অঙ্গলি (বর্ণলােপ, বর্ণাগম) 
» চান্দ < চন্দ্র (ধ্বনিলােপ, ধ্বন্যাগম)
১০. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করাে :
১০.১ রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে মিলিটারি টহলদার গাড়িটা একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে একটা পাক খেয়ে গেল। (জটি বাক্যে)
উত্তরঃ রাত্রির নিস্তব্ধতাকে কাঁপিয়ে দিয়ে যে গাড়িটা একবার ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ দিয়ে একটা পাক খেয়ে গেল, সে গাড়িটা মিলিটারি টহলদার গাড়ি। 
১০.২, খানিকক্ষণ চুপচাপ। (না-সূচক বাক্যে)
উত্তরঃ খানিকক্ষণ কোনাে শব্দ নেই। 
১০.৩ পরিচয়কে স্বীকার করতে উভয়েই নারাজ।(প্রশ্নবােধক বাক্যে) 
উত্তরঃ পরিচয়কে স্বীকার করতে উভয়ের কেউ কি রাজি আছে ? 
১০.৪ শােরগােলটা মিলিয়ে গেল দূরে। (যৌগিক বাক্যে) 
উত্তরঃ শােরগােলটা হল কিন্তু দূরে মিলিয়ে গেল।
১০.৫ মাঝি বলল, চল যেদিক হউক। (পরােক্ষ উক্তিতে)
উত্তরঃ মাঝি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে যেদিকে খুশি যাওয়ার জন্য বলল।
১১. ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করাে :
১১.১ কান পেতে রইল দূরের অপরিস্ফুট কলরবের দিকে।
উত্তরঃ সাধারণ অতীত কাল। 
১১.২ সন্দেহের দোলায় তাদের মন দুলছে।
উত্তরঃ ঘটমান বর্তমান কাল। 
১১.৩ ধারে-কাছেই য্যান লাগছে ।
উত্তরঃ পুরাঘটিত বর্তমান কাল। 
১১.৪ অশান্ত চঞ্চল ঘােড়া কেবলি পা ঠুকছে মাটিতে।
উত্তরঃ ঘটমান বর্তমান কাল।
১১.৫ বাদামতলির ঘাটে কোন অতলে ডুবাইয়া দিছে তারে-
উত্তরঃ পুরাঘটিত বর্তমান কাল।
১২ নীচের শব্দগুলির শ্রেণিবিভাগ করাে : মজুর, লীগওয়ালাে, পুলিশ, নসিব, রাত্রি।
» মজুর = বিশেষ্য (ফারসি শব্দ)। 
» লীগওয়ালাে = বিশেষ্য (প্রত্যয়ঘটিত মিশ্র শব্দ)
» পুলিশ = বিশেষ্য (ইংরেজি শব্দ)
» নসিব = বিশেষ্য (আরবি শব্দ)
» রাত্রি = বিশেষ্য (তৎসম শব্দ)

Leave a Reply