মাধ্যমিক সমাস সাজেশান-২০২২
১.নিত্যসমাস কাকে বলে ? (২০১৭)
উঃ যে সমাসে ব্যাসবাকা হয় না , অথবা যে সমাসের ব্যাসবাক্য করতে হলে অন্য পদের প্রয়োজন হয়, তাকে নিত্যসমাস বলে। যেমন, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর। এখানে ‘অন্য গ্রাম’ আর ‘গ্রামান্তর’, এই বাক্যাংশ ও শব্দটির মধ্যে তেমন বিশেষকোন পার্থক্য নেই। কেবল ‘অন্য’ পদের বদলে ‘অন্তর’ পদটি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এটি নিত্য সমাস।
২.’চরণ কমলের ন্যায়’- ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো । (২০১৭) (Board Test Paper-2022)
উঃ চরণকমলের ন্যায় = চরণকমল – উপমিত কর্মধারয় । এখানে ‘চরণ’ উপমেয়, ‘কমলের’ উপমান, এবং ‘ন্যায়’ তুলনাবাচক শব্দ । তাই এটি উপমিত কর্মধারয় সমাস।
৩. গৌর অঙ্গ যাহার — ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো। (২০১৮)
উত্তরঃ গৌর অঙ্গ যাহার = গৌরাঙ্গ — সাধারণ বহুব্রীহি সমাস ।
৪. ব্যাসবাক্যসহ একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও । (২০১৯)
উঃ দ্বন্দ্ব সমাসের একটি উদাহরণ হল — বাবা-মা । এর ব্যাসবাক্যটি হল — বাবা ও মা ।
৫. ‘ মেঘে ঢাকা ’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম উল্লেখ করো । (২০১৯)
উত্তরঃ মেঘে ঢাকা = মেঘে ঢাকা –
করণ তৎপুরুষ সমাস। অথবা,অলোপ করণ তৎপুরুষ সমাস ।
৬. অলোপ সমাস কী ? (২০১৯) (Board Test Paper-2022)
উত্তরঃ যে সমাসের সমস্তপদে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না , তাকে বলে অলোপ সমাস বা অলুক সমাস । যেমন — রাজার হাট – রাজারহাট ।
৭. ‘বহুরূপী’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম করো । (২০২০)
উঃ বহুরূপী-বহু রূপ যার- বহুব্রীহি সমাস।
৮. অব্যয়ীভাব সমাসের একটি উদাহরণ দাও। (২০২০)
উঃ ভাতের অভাব= হায়াত, মাসে মাসে= প্রতি মাস।
৯. সন্ধি ও সমাসের একটি মিল উল্লেখ করাে।
উত্তর:
১. সন্ধি ও সমাস, উভয়ই নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। উভয় প্রক্রিয়াতেই নতুন শব্দ গঠিত হয়।
২. সন্ধি ও সমাস, উভয় প্রক্রিয়াতেই পদসংখ্যা হ্রাস পায়।
৩. সন্ধি ও সমাস, উভয় প্রক্রিয়াই নির্দিষ্ট নিয়ম বা সূত্র মেনে চলে।
১০. সমাস প্রক্রিয়ায় আমরা যে পদ লাভ করি, তাকে কী বলে ?
উঃ সমাসের প্রক্রিয়ায় যে সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদ লাভ করি, তাকে বলে সমস্ত পদ।
১১. একটি মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ- পল মিশ্রিত অন্ন= পলান্ন।
১২.কলমকে বলা হয় তলােয়ারের চেয়েও শক্তিধর। নিম্নরেখ পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখাে।
উঃ শক্তিধর- শক্তি ধারণ করে যে, উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
১৩.এসব ঠাট্টাতামাশার মধ্যেই তপন দু’তিনটি গল্প লিখে ফেলেছে। নিম্নরেখ পদটির ব্যাসবাকাসহ সমাসের নাম লেখাে।
উঃ ঠাট্টাতামাশার- ঠাট্টা ও তামাশা, দ্বন্দ্ব সমাস।
১৪.“তােরা সব জয়ধ্বনি কর।” ‘জয়ধ্বনি’ পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখাে।
উঃ জয়ধ্বনি- জয় সূচক ধ্বনি, মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
১৫.’নির্বোধ’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখাে।
উঃ নির্বোধ- নাই বোধ যার, না বহুব্রীহি সমাস।
১৬.কোন সমাসে উভয়পদের অর্থই প্রাধান্য পায় ?
উঃ দ্বন্দ্ব সমাসে উভয় পদের অর্থ প্রাধান্য পায়।
১৭.দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ কী?
উঃ দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ ঝগড়া, বিবাদ, সঙ্ঘাত, সঙ্ঘর্ষ। তবে সমাসের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ মিলন।
১৮.সন্ধি ও সমাসের একটি পার্থক্য লেখাে।
উঃ সন্ধিতে বর্ণের সঙ্গে বর্ণের মিলন হয়। আর সমাসে শব্দের সঙ্গে শব্দের মিলন হয়।
১৯.মেঘাচ্ছন্ন ব্যাসবাক্য সহ সমাসের নাম লেখ।
উঃ মেঘাচ্ছন্ন-মেঘ দ্বারা আচ্ছন্ন, করণ তৎপুরুষ সমাস।
২০.বসে আঁকো প্রতিযোগিতা কোন সমাসের উদাহরণ ?
উঃ বাক্যাশ্রয়ী সমাসের উদাহরণ।
২১.উপমিত ও উপমান কর্মধারয় সমাসের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখ।
উঃ উপমিত কর্মধারয় সমাসে সাধারণ ধর্ম অনুপস্থিত থাকে। যেমন- পুরুষ সিংহের ন্যায়। এখানে ‘ক্ষমতা বা শক্তি’ এই সাধারণ ধর্মের উল্লেখ নেই। অন্যদিকে উপমান কর্মধারয় সমাসে সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে। যেমন, মেঘকালো= মেঘের সাধারণ ধর্ম কালো রং।
২২. দুটি সহচর শব্দের দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ থানা ও পুলিশ= থানা-পুলিশ।
২৩. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো: সৃজন বেদন।
উঃ সৃজন বেদন- সজনের নিমিত্ত বেদন। নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস।
২৪. অলোপ সমাস কী ? উদাহরণ দাও।
উঃ মে সমাসে সমস্ত পদে পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে আরোপ সমাস বলে। যেমন- পথেঘাটে- পথে ও ঘাটে।
শীঘ্রই আরো সংযোজন করা হবে….
Very good suggestion