হ য ব র ল প্রশ্ন উত্তর | ষষ্ঠ শ্রেণি- দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন | অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

              হ য ব র ল – সুকুমার রায় 

       দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য –

                       (১৫ – ২৭ পৃষ্ঠা)
                  (১ নম্বরের প্রশ্নোত্তর)
২০. কাক্কেশ্বর কুচকুচের নিবাস
কোথায়?
উত্তরঃ ৪১ নং গেছো বাজার, কাগেয়াপটি।

২১. গাছের ফোকর থেকে যে বুড়োটা নেমেছিল তার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ বুড়োটি দেড় হাত লম্বা, তার পা পর্যন্ত সবুজ রঙের দাড়ি, হাতে একটা হুঁকো, তাতে কলকে-টলকে কিছু নেই, আর মাথা ভরা টাক।

২২. গাছের ফোকর থেকে নেমে আসা বুড়োটি কথকের ওজন ও বয়স কত বলেছিল ?
উত্তরঃ কথকের ওজন আড়াই সের ও বয়স সাঁইত্রিশ।

২৩. কথকের অনুসারে তার নিজের বয়স কত ?
উত্তরঃ আট বছর তিন মাস।

২৪. বুড়োর কথা অনুসারে তাদের বয়স কত হলে ঘুরিয়ে দেয় ?
উত্তরঃ বুড়োর কথা অনুসারে তাদের বয়স ৪০ হলেই ঘুরিয়ে দেয় অর্থাৎ বয়স আর বাড়ে না কমতে থাকে।

২৫. রাক্ষসটা ঘুমের ঘোরে কী বলে খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ হাঁউ-মাঁউ-কাঁউ, মানুষের গন্ধ পাঁউ বলে হুড় মুড় করে খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল।

২৬. কাক তার হিসেব লেখা স্লেট টা বুড়োর টেকো মাথায় ফেললে বুড়ো কীভাবে কাঁদতে লাগলো ?
উত্তরঃ “ও মা— ও পিসি— ও শিবুদা” বলে হাত পা ছুঁড়ে কাঁদতে লাগলো।

২৭. বিজ্ঞাপনে কয় প্রকার কাকের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ বিজ্ঞাপনে তিন প্রকার কাকের কথা বলা হয়েছে। তারা হলো— দাঁড় কাক, পাতিকাক ও রাম কাক।

২৮. এল. সি. এম (LCM) ও জি. সি. এম (GCM) কথার অর্থ কী ?
উত্তরঃ এল. সি. এম কথার অর্থ ল. সা. গু (LCM= Least common multiple) ও জি. সি. এম কথার অর্থ গ. সা. গু (GCM= Greatest Common Measure)

২৯. কাকে দেখে বােঝা যাচ্ছিল না সে ‘মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচা না ভূত’?
উত্তরঃ হিজি বিজ বিজ’কে দেখে বোঝা যাচ্ছিল না সে মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচা না ভূত।

৩০. কার নাম বিস্কুট ?
উত্তরঃ হিজি বিজ্ বিজ্ অরফে তকাই এর শশুরের নাম বিস্কুট।

৩১. ঝোপের আড়াল থেকে যে মস্ত দাড়িওয়ালা একটা ছাগল বেরিয়ে এসেছিল তার নাম কী ?
উত্তরঃ শ্রী ব্যাকরণ সিং।

৩২. ছাগলটির নাম ব্যাকরণ হওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ ছাগলটি খুব চমৎকার ‘ব্যা’ করতে পারে তাই তার নাম ব্যাকরণ।

৩৩. ‘টাক ডুমাডুম টাক ডুমাডুম’ বলে শ্লেট বাজিয়ে নাচতে লাগল – উর্দিষ্ট ব্যক্তির এভাবে নেচে ওঠার কারণ কী?

উত্তরঃ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি হলো কাক। গাছের ফোকর থেকে বেরিয়ে আসা বুড়োর কাছ থেকে পয়সা পেয়ে সে শ্লেট বাজিয়ে নাচতে লাগলো।


             (৩ নম্বরের প্রশ্নোত্তর)

১. হিজিবিজবিজ কে? তার একটি গল্প নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ হিজি বিজ বিজ হলো অদ্ভুত এক জন্তু।
 তার একটি গল্প হলো-পৃথিবীটা যদি চ্যাপটা হতো, আর সব জল গড়িয়ে ডাঙায় এসে পড়ত, আর ডাঙার মাটি সব ঘুলিয়ে প্যাচ প্যাচে কাদা হয়ে যেত আর লোকগুলো সব আছাড় খেয়ে পড়ত।

২. কাক্কেশ্বর কুচকুচে কোথায় থাকে? তার পরিচয় কী?
উত্তরঃ শ্রী কাক্কেশ্বর কুচকুচে থাকে ৪১ নং গেছোবাজার, কাগেয়াপটিতে।
শ্রী কাক্কেশ্বর কুচকুচে একজন জ্যোতিষী। তিনি হিসাবি, বেহিসাবি, খুচরা ও পাইকারি সকল প্রকার গণনার কার্য বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে থাকেন জুতোর মাপ গায়ের রং কান কটকট করে কিনা জীবিত কে মৃত ইত্যাদি বিবরণ পাঠালে তিনি ফিরতি ডাকে ক্যাটালগ পাঠিয়ে থাকেন।

৩. উধাে আর বুধাের কীর্তিকলাপের কথা কয়েকটি বাক্যে লেখাে।
উত্তরঃ কাক হুঁকোওয়ালা বুড়োকে টাক বলায় বুড়ো রেগে গিয়ে বুধোকে ডাক দেয়। গাছের ফোকর থেকে বুধো মস্ত একটা পোঁটলা সমেত হুড়মুড় করে মাটিতে গড়িয়ে পড়ল এবং বোঁচকার নীচে চাপা পড়ে হাত পা ছুঁড়ছিল। তাকে টেনে না তুলে বুধো তার উপর চেপে বসে। আসলে উধো আর বুধোর মধ্যে রোজ মারামারি চলে। মুহূর্তের মধ্যে উধো চিৎপাত হলো এবং শুয়ে হাঁপাতে লাগল। বুধো তখন টাকে হাত বোলাতে বোলাতে ছটফট করতে লাগল। তারপর দুজনে উঠে খানিক গলা জড়িয়ে কাঁদল এবং কোলাকুলি করে খোসমেজাজে গাছের ফোকরের মধ্যে ঢুকে পড়ল।

৪. “বিজ্ঞাপন পেয়েছ ? হ্যান্ডবিল ?”— বিজ্ঞাপনটি কার? বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু কী ছিল ?
উত্তরঃ বিজ্ঞাপনটি ছিল কাক্কেশ্বর কুচকুচের। তার অফিস ছিল ৪১নং গেছোবাজার, কাগেয়াপটি।
   বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু ছিল জ্যোতিষবিচার সংক্রান্ত। সব ধরনের গণনাকার্য করা হতো । এমনকি ডাকযোগে সমস্ত বিবরণ জানালে বিচার করে ক্যাটালগ পাঠানোর ব্যবস্থা আছে। বাজারে অনেক কাকেরা ব্যবসা চালালেও তারাই রায়বংশীয় কুলীন দাঁড়কাক। সুতরাং নকল কাকেদের বিচারপদ্ধতি থেকে প্রতারিত না হবার অনুরোধও বিজ্ঞাপনে আছে।

৫.“একটা কথাও বিশ্বাস করি না” – বক্তা কে? সে কোন কথা বিশ্বাস করে না ?
উত্তরঃ ‘হযবরল’ গল্পের কথক আলোচ্য উদ্ধৃত অংশের বক্তা।
    হিজিবিজবিজ্‌ জানাল যে তার মতো তার ভাই, বাবা ও পিসের নামও হিজিবিজবিজ্। লেখক প্রতিবাদ করায় সে আবার বলতে লাগল তার নাম তকাই। তার মেসো, শ্বশুরের নামও তকাই। ধমক খেয়ে সে বয়ান পালটে বলল যে তার শ্বশুরের নাম বিস্কুট। বক্তা রেগে গিয়ে জানালেন যে তিনি তার কোনো কথা বিশ্বাস করেন না ৷

৬. ‘বছর হলেই আমরা বয়স ঘুরিয়ে দিই’— বক্তা কে ? তাদের বয়স ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি লেখো।
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটির বক্তা একটি কাক।
কাকদের জগতে বয়স বাড়ে চল্লিশ বছর পর্যন্ত। তারপরই শুরু হয় বয়স্ক মার পালা। কাকদের বয়স ৪০ হলেই তারা তাদের বয়স ঘুরিয়ে দেয়। অর্থাৎ তাদের বয়স একচল্লিশ বিয়াল্লিশ হয় না, ঊনচল্লিশ, আটত্রিশ, সাঁইত্রিশ করে করে বয়েস কমতে থাকে। এমনি করে যখন ১০ পর্যন্ত নামে তখন আবার বয়স বাড়তে দেওয়া হয়।

৭. শ্ৰী ব্যাকরণ সিং, বি.এ. খাদ্যবিশারদ। – হ য ব র ল -তে এভাবে কার পরিচয় দেওয়া হয়েছে ? এই নামকরণের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তরঃ কথক ও হিজি বিজ বিজ এর মধ্যে যখন জোর তর্কাতর্কি চলছে, সেই সময় ঝোপের আড়াল থেকে একটা মস্ত দাড়িওয়ালা ছাগল হঠাৎ উঁকি মেরে জিজ্ঞেস করে— তাকে নিয়েই কিছু কথা হচ্ছে কিনা। উদ্ধৃত অংশে তারই পরিচয় দেওয়া হয়েছে এইভাবে। সে চমৎকার ‘ব্যা’ করতে পারে বলে তার নাম ব্যাকরণ, তার মাথায় দুটো শিং আছে বলে পদবী শিং। ইংরেজিতে লেখা হয় B.A অর্থাৎ ‘ব্যা’। কোন কোন জিনিস খাওয়া যায় আর কোন জিনিস খাওয়া যায় না তা নিয়ে নিজে পরীক্ষা করে বলে তার উপাধি হচ্ছে খাদ্য বিশারদ।

Leave a Reply