ভাষাচর্চা বই প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় অষ্টম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ | Bhasachorcha 2nd Chapter Question Answer Class 8 Bengali Grammar wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

বাংলা ভাষাচর্চা
দ্বিতীয় অধ্যায় – ধ্বনি পরিবর্তন
অষ্টম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ

ভাষাচর্চা বই প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় অষ্টম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ | Bhasachorcha 2nd Chapter Question Answer Class 8 Bengali Grammar wbbse

1. অষ্টম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. অষ্টম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর : ভাষা চর্চা বই প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় অষ্টম শ্রেণি বাংলা ব্যাকরণ | Bhasachorcha 2nd Chapter Question Answer Class 8 Bengali Grammar wbbse

১. ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :

১.১ যুক্তি > যুকতি, হলো—
(ক) স্বরভক্তির উদাহরণ
(খ) মধ্য স্বরাগমের উদাহরণ
(গ) স্বরসংগতির উদাহরণ
(ঘ) অপিনিহিতির উদাহরণ

উত্তরঃ (খ) মধ্য স্বরাগমের উদাহরণ।

১.২ ইঞ্চ > ইঞ্চি— এক্ষেত্রে ঘটেছে—
(ক) মধ্যস্বরলোপ
(খ) স্বরসংগতি
(গ) অন্ত্যস্বরলোপ
(ঘ) অন্তস্বরাগম।

উত্তরঃ (ঘ) অন্ত্যস্বরাগম।

১.৩ জানালা থেকে জানলা হয়েছে—
(ক) অভিশ্রুতির কারণে
(খ) প্রগত সমীভবনের কারণে
(গ) অন্যোন্য সমীভবনের কারণে
(ঘ) মধ্যস্বরলোপের কারণে

উত্তরঃ (ঘ) মধ্যস্বরলোপের কারণে।

১.৪ পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বর পরিবর্তিত হলে তাকে বলা হয়—
(ক) মধ্যগত স্বরসংগতি
(খ) অভিশ্রুতি
(গ) প্রগত স্বরসংগতি
(ঘ) সমীকরণ।

উত্তরঃ (ক) মধ্যগত স্বরসংগতি।

১.৫ ধোঁকা > ধুঁকো হলো। এক্ষেত্রে ঘটেছে–
(ক) অন্যোন্য সমীভবন
(খ) অন্যোন্য স্বরসংগতি
(গ) অপিনিহিতি
(ঘ) মধ্যস্বরাগম।

উত্তরঃ (খ) অন্যোন্য স্বরসংগতি।

১.৬ শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত ‘ই’ কার বা ‘উ’ কারকে সেই ব্যঞ্জনধ্বনির আগেই উচ্চারণ করার রীতিটি হলো—
(ক) অভিশ্রুতি
(খ) ব্যঞ্জন সংগতি
(গ) অপিনিহিতি
(ঘ) বিপৰ্যাস।

উত্তরঃ (গ) অপিনিহিতি

১.৭ রাখিয়া > রাইখ্যা > রেখে। এক্ষেত্রে ঘটেছে—
(ক) ধ্বনি বিপর্যয়
(খ) মধ্যস্বরলোপ
(গ) অন্ত্যস্বরলোপ
(ঘ) অভিশ্রুতি।

উত্তরঃ (ঘ) অভিশ্রুতি।

১.৮ সমাক্ষরলোপের একটি দৃষ্টান্ত হলো—
(ক) ফলাহার > ফলার
(খ) বড়দিদি > বড়দি
(গ) পোষ্য > পুষ্যি
(ঘ) দেশি > দিশি।

উত্তরঃ (খ) বড়দিদি > বড়দি।

১.৯ গাত্র > গা। এটি—
(ক) অন্ত্যব্যঞ্জনলোপের উদাহর
(খ) মধ্যগত স্বরসংগতির উদাহরণ
(গ) অন্যোন্য স্বরসংগতির উদাহরণ
(ঘ) সমাক্ষরলোপের উদাহরণ।

উত্তরঃ (ক) অন্ত্যব্যঞ্জনলোপের উদাহরণ।

১.১০ একাধিক ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়ার যোগফল হলো—
(ক) য়-শ্রুতি
(খ) অপিনিহিতি
(গ) অভিশ্রুতি
(ঘ) ব-শ্রুতি।

উত্তরঃ (গ) অভিশ্রুতি।

২. নির্দেশ অনুযায়ী নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

২.১ ধ্বনি পরিবর্তনের মূল কারণগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ধ্বনি পরিবর্তনের মূল কারণ হলো- উচ্চারণের সরলীকরণের প্রতি বাগযন্ত্রের সহজাত প্রবণতা। উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী কাছাকাছি ধ্বনিগুলির সন্নিবেশ করে শক্ত উচ্চারণকে শব্দের অন্তর্গত বিভিন্ন ধ্বনিকে পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজ করে নেওয়া হয়।

২.২ ‘স্বরাগম’ বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ শব্দের আদি, মধ্যে বা অন্তে সংযুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে তার আগে, পরে বা মধ্যে একটি স্বরধ্বনির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে উচ্চারণ ক্লেশ হ্রাস করার প্রক্রিয়াকেই স্বরাগম বলা হয়।

২.৩ মধ্যস্বরাগমের একটি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করো।

উত্তরঃ শব্দের মধ্যে যুক্ত ব্যঞ্জন থাকলে উচ্চারণ প্রয়াস কমানোর খাতিরে, সরলীকরণের প্রয়াসে অথবা ছন্দের কারণে যুক্ত ব্যঞ্জন দুটির মধ্যে একটি স্বরধ্বনির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে শব্দের সহজ করে নেওয়ার রীতিকে বলা হয় মধ্য-স্বরাগম।

যেমন– কর্ম > করম, মুক্তা > মুকুতা।

২.৪ শব্দের শুরুতে ব্যঞ্জনাগম ঘটেছে এমন একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ সাধারণত বাংলা ভাষায় শব্দের শুরুতে ব্যঞ্জনাগম কদাচিৎ দেখা যায়, বাংলা ভাষার বিশেষ আঞ্চলিক বৈচিত্র্যেই এমন দেখা যায়।

এমন একটি উদাহরণ হলো : আম > রাম।

২.৫ ব-শ্রুতি ঘটার কারণ কী ?

উত্তরঃ দুটি স্বরধ্বনি পরস্পর সন্নিহিত থাকলে উচ্চারণের সুবিধার্থে অনেক সময় একটি অন্তঃস্থ-ব ধ্বনির আগম ঘটে থাকে। একে বলা হয় ব-শ্ৰুতি। যেমন– খাআ > খাবার, ধোআ > ধোবা (ধোওয়া)।

২.৬ ভক্ত >ভত্ত– এক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মটি লক্ষ করা যায় ?

উত্তরঃ এক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের প্রগত ব্যঞ্জন-সংগতি বা সমীভবন নিয়মটি লক্ষ করা যায়।

২.৭ অভিশ্রুতিকে অপিনিহিতির পরবর্তী স্তর বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ অভিশ্রুতিকে অপিনিহিতির পরের স্তর বলা হয় কারণ অপিনিহিতির কারণে পূর্বে উচ্চারিত ‘ই’ বা ‘উ’ সন্নিহিত স্বরধ্বনিগুলিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেরাও প্রভাবিত হয়ে চলিত বাংলায় ধ্বনির পরিবর্তন ঘটায়।

২.৮ সমীভবনকে ব্যঞ্জন সংগতি বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ ভিন্ন ভিন্ন বাঞ্জনধ্বনি পদের মধ্যে সন্নিবিষ্ট হলে উচ্চারণের সুবিধার জন্য একে অপরকে, অথবা উভয়েই পরস্পরকে প্রভাবিত ও রূপান্তরিত করে। তাই সমীভবনকে ব্যঞ্জন সংগতি বলা হয়।

২.৯ ‘ক্ষ’ ও ‘জ্ঞ’ এই দুই ক্ষেত্রে কীভাবে অপিনিহিতি লক্ষ করা যায় ?

উত্তরঃ বাংলা ভাষায় ‘ক্ষ’-র উচ্চারণ ‘খিয়’ এবং ‘জ্ঞ’-র উচ্চারণ অনেকটা ‘গ্যঁ’-এর মতো। এই দুই ক্ষেত্রে অপিনিহিতি যেভাবে দেখা যায় তা হলো– লক্ষ > লইকখ। যজ্ঞ > যইগগোঁ।

২.১০ ধ্বনিবিপর্যয় বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ উচ্চারণকালে বিপর্যয়জনিত কারণে শব্দের মধ্যবর্তী ধ্বনিগুলির স্থান পরিবর্তিত হলে তাকে ধ্বনি-বিপর্যয় বলা হয়। অর্থাৎ এক কথায় বলা যায় যে, উচ্চারণের ভুলে ধ্বনির স্থান অদল-বদল হয়ে যাওয়াকেই ধ্বনি বিপর্যয় বলে।
যেমন– রিকশা > রিশকা। মুকুট > মুটুক।

Leave a Reply