সপ্তম শ্রেণির ভূগোল (দশম অধ্যায়) আফ্রিকা মহাদেশ প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Ch-10 Africa Mahadesh Question Answer wbbse
সপ্তম শ্রেণির ভূগোল আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) MCQ, সত্য / মিথ্যা, শূন্যস্থান, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Geography Ch-10 MCQ, True / False, Fill in the blanks, very short, Short, Descriptive type Question and Answer
1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
5. সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর – West Bengal Class 7th Geography Ch-10 Question and Answer
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : প্রশ্নের
মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. আফ্রিকার ক্রান্তীয় তৃণভূমিটির নাম হল—
(A) পম্পাস
(B) সাভানা
(C) সাহারা
(D) ল্যানোস্
Ans. (B) সাভানা
২. আফ্রিকার _______দিকে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।
(A) পূর্ব
(B) পশ্চিম
(C) উত্তর
(D) দক্ষিণ
Ans. (C) উত্তর
৩. উটকে ___________বলে।
(A) মরু পুত্র
(B) মরু মাদার
(C) মরু চাকা
(D) মরু জাহাজ
Ans. (D) মরু জাহাজ
৪. সাহারা মরুভূমির একটি মরুদ্যান হল—
(A) হামাদা
(B) হারমাট্টান
(C) টিমিমন
(D) সাইমুম
Ans. (C) টিমিমন
৫. নীলনদের বদ্বীপ অংশে __________ জলবায়ু দেখা যায়।
(A) নিরক্ষীয়
(B) মৌসুমি
(C) মরু
(D) ভূমধ্যসাগরীয়
Ans. (D) ভূমধ্যসাগরীয়
৬. সাহারা মরুভূমির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমায় রয়েছে—
(A) নীল নদী
(B) ওয়াদি নদী
(C) নাইজার নদী
(D) ব্লু নীল নদী
Ans. (C) নাইজার নদী
৭. তুমি যে অঞ্চলে বসবাস করছ তার অনুরূপ জলবায়ু আফ্রিকার যে অঞ্চলে দেখা যায় তা হল—
(A) কঙ্গো নদী অববাহিকায়
(B) মাদাগাস্কার দ্বীপে
(C) আটলাস পর্বতশ্রেণির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে
(D) গিনি দেশে
Ans. (B) মাদাগাস্কার দ্বীপে
৮. নীলনদ অববাহিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হল—
(A) কায়রো
(B) নিউ ইয়র্ক
(C) ব্রাসিলিয়া
(D) নাগ হামাদি
Ans. (A) কায়রো
৯. হোয়াইট নীল নদের উৎস বুরুন্ডি মালভূমি অঞ্চলে যে জলবায়ু বিরাজ করে—
(A) ভূমধ্যসাগরীয়
(B) সাভানা
(C) মৌসুমি
(D) নিরক্ষীয়
Ans. (D) নিরক্ষীয়
১০. সাহারা মরুভূমির যে সব স্থান শিলাময় তাকে বলে—
(A) সেরির
(B) হামাদা
(C) আর্গ
(D) রেগ
Ans. (B) হামাদা
১১. নীলনদের ওপর তৈরি হয়েছে—
(A) সেনার বাঁধ
(B) আটাবারা বাঁধ
(C) আসোয়ান বাঁধ
(D) জেবেল আউলিয়া বাঁধা
Ans. (C) আসোয়ান বাঁধ
১২. আফ্রিকার যে অংশে চিনদেশীয় জলবায়ু দেখা যায় তা হল—
(A) উত্তর পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে
(B) উত্তর-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে
(C) দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে
(D) দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে
Ans. (D) দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে
১৩. আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে যে মরুভূমি অবস্থিত—
(A) নামিব
(B) সাহারা
(C) নুবিয়ান
(D) সোনেরান
Ans. (A) নামিব
১৪. নিরক্ষীয় চিরসবুজ অরণ্যের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ হল—
(A) শাল
(B) সেগুন
(C) মেহগনি
(D) জাম
Ans. (C) মেহগনি
১৫. সাহারা মরুভূমির আয়তন ভারতের আয়তনের প্রায়—
(A) 2 গুণ
(B) 2.5 গুণ
(C) 3 গুণ
(D) 3.5 গুণ
Ans. (B) 2.5 গুণ
১৬. সাহারা মরুভূমির যে অঞ্চলে চাষ লক্ষ করা যায়—
(A) বালুকাময়
(B) বারখান
(C) মরূদ্যান
(D) ওয়াদি
Ans. (C) মরূদ্যান
১৭. নীলনদের বদ্বীপ অংশে যে জলবায়ু দেখা যায়—
(A) নিরক্ষীয়
(B) মৌসুমি
(C) মরু
(D) ভূমধ্যসাগরীয়
Ans. (D) ভূমধ্যসাগরীয়
১৮. নাইজার নদী যে সাগরে পতিত হয়েছে—
(A) আটলান্টিক মহাসাগরে
(B) গিনি উপসাগরে
(C) ভারত মহাসাগরে
(D) ভূমধ্যসাগরে
Ans. (B) গিনি উপসাগরে
১৯. সুদানে নীলনদের অববাহিকায় কী ধরনের জলবায়ু পরিলক্ষিত হয় ?
(A) ভূমধ্যসাগরীয়
(B) মৌসুমি
(C) সাভানা
(D) নিরক্ষীয়
Ans. (C) সাভানা
২০. আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে দেখা যায়—
(A) নিরক্ষীয় জলবায়ু
(B) মৌসুমি জলবায়ু
(C) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু
(D) নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু
Ans. (C) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু।
২১. আফ্রিকা বিশ্বের ____________ মহাদেশ।
(A) বৃহত্তম
(B) দ্বিতীয় বৃহত্তম
(C) তৃতীয় বৃহত্তম
(D) চতুর্থ বৃহত্তম
Ans. (B) দ্বিতীয় বৃহত্তম
২২. আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষেত্রফল প্রায়—
(A) 1 কোটি 4 লক্ষ বর্গকিমি
(B) 2 কোটি 4 লক্ষ বর্গকিমি
(C) 3 কোটি 2 লক্ষ বর্গকিমি
(D) 4 কোটি 25 লক্ষ বর্গকিমি
Ans. (C) 3 কোটি 2 লক্ষ বর্গকিমি
২৩. পৃথিবী বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতটি সৃষ্টি হয়েছে—
(A) নীলনদ গতিপথে
(B) নাইজার গতিপথে
(C) লিম্পোপো গতিপথে
(D) জাম্বেসি নদীর গতিপথে
Ans. (D) জাম্বেসি নদীর গতিপথে
২৪. আফ্রিকার নদীগুলি—
(A) স্রোতহীন
(B) মৃদুস্রোতা
(C) খরস্রোতা
(D) তীব্র খরস্রোতা
Ans. (C) খরস্রোতা
২৫. সাহারা মরুভূমির অভ্যন্তরের একটি শহর হল—
(A) কুফরা
(B) সিউয়া
(C) ত্রিপোলি
(D) বাহারিয়া
Ans. (C) ত্রিপোলি
২৬. সুদানের খাটুম থেকে মিশরের আসোয়ান পর্যন্ত নীলনদের গতিপথে জলপ্রপাত দেখা যায়—
(A) 5টি
(B) 6টি
(C) 7টি
(D) 8টি
Ans. (B) 6টি
২৭. দক্ষিণ আফ্রিকার নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমির নাম হল—
(A) প্রেইরি
(B) ডাউন
(C) ভেল্ড
(D) পম্পাস
Ans. (C) ভেল্ড
২৮. সাহারার গ্রীষ্মকালীন দিনেরবেলায় প্রবল ‘বালিঝড়’ যে নামে পরিচিত—
(A) হারমাট্টান
(B) সাইমুম
(C) বোরা
(D) আর্গ
Ans. (B) সাইমুম
২৯. নীলনদের তীরে গড়ে উঠেছে—
(A) ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
(B) মিশরীয় সভ্যতা
(C) নীল সভ্যতা
(D) সিন্ধু সভ্যতা
Ans. (B) মিশরীয় সভ্যতা
৩০. সাহারার শুকনো নদীর খাতগুলোকে বলা হয়– (রেগ / ওয়াদি / হামাদা)।
উত্তরঃ ওয়াদি
শূন্যস্থান পূরন করো : প্রশ্নের মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি হল আফ্রিকার _________ মরুভূমি।
Ans. সাহারা
২. আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম হ্রদটির নাম _________।
Ans. টাঙ্গানিকা।
৩. আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্বপ্রান্তে _________ নামে পর্বতশ্রেণি আছে।
Ans. ড্রাকেন্সবার্গ
৪. সাহারার প্রধান ফসল হল _________।
Ans. খেজুর
৫. নদীতে _________ দিয়ে অতিরিক্ত জল আটকে রাখা যায়।
Ans. বাঁধ
৬. আফ্রিকার নাইজার নদী বদ্বীপের জলাভূমিতে প্রতিবছর_________ পাখিরা উড়ে আসে।
Ans. পরিযায়ী
৭. আফ্রিকার উত্তরদিকে রয়েছে _________ প্রণালী।
Ans. জিব্রাল্টার
৮. সাহারা মরুভূমির খনিজ তৈলখনি _________দেশে অবস্থিত।
Ans. লিবিয়া
৯. হোয়াইট নীল ও ব্লু নীল পরস্পর মিলিত হয়েছে _________ শহরের নিকট।
Ans. খার্তুম
১০. পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি হল আফ্রিকার _________ মরুভূমি।
Ans. সাহারা
১১. সাহারা মরুভূমির মাঝখানে আহায়ার ও _________মালভূমি রয়েছে।
Ans. টিবেস্টি
১২. সাহারা শব্দের অর্থ _________।
Ans. মরুভূমি
১৩. আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ _________ অঞ্চলের অন্তর্গত।
Ans. মালভূমি।
১৪. জাম্বিয়ার পূর্ব প্রান্তে জাম্বেসি নদী এবং উত্তর প্রান্তে _________নদীর সৃষ্টি হয়েছে।
Ans. কঙ্গো
১৫. নীলনদের নিম্ন প্রবাহে _________ দেখা যায়।
Ans. বন্যা
১৬. সাহারা মরুভূমিতে গ্রীষ্মকালে দিনেরবেলায় তাপমাত্রা মাঝে মাঝে _________ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়।
Ans. 58
১৭. খার্তুম থেকে আসোয়ান পর্যন্ত নীলনদের গতিপথে ছয়টি _________ আছে।
Ans. জলপ্রপাত
১৮. জাম্বিয়া, আঙ্গোলা আর কঙ্গো এই তিনটি দেশের সীমান্ত অঞ্চল থেকেই _________নদীর উৎপত্তি।
Ans. জাম্বেসি
সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : প্রশ্নের মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাংশে আটলাস পর্বতশ্রেণি অবস্থিত।
Ans. মিথ্যা।
২. সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর একটি অন্যতম জনবিরল এলাকা।
Ans. সত্য
৩. আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ হল আলজিরিয়া।
Ans. সত্য
৪. মিশর ও সুদান নীলনদ অববাহিকার শতকরা প্রায় 75 ভাগ অংশ অধিকার করে রেখেছে।
Ans. সত্য
৫. ইউরোপ ও আফ্রিকার মাঝে রয়েছে লোহিত সাগর।
Ans. মিথ্যা
৬. উট সাহারার অধিবাসীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।
Ans. সত্য
৭. আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ সীমায় আছে ভূমধ্যসাগর।
Ans. মিথ্যা
৮. পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি হল থর।
Ans. মিথ্যা
৯. আফ্রিকার মধ্যভাগ উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় এবং উত্তর ও দক্ষিণভাগ নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের অন্তর্গত।
Ans. মিথ্যা
১০. ব্লু নীলের উৎপত্তি হয়েছে টানা হ্রদ থেকে।
Ans. সত্য
১১. পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি হল থর।
Ans. মিথ্যা
১২. হোয়াইট নীলের উৎপত্তি হয়েছে ইথিওপিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত টানা হ্রদ থেকে।
Ans. মিথ্যা
১৩. ইউরোপ ও আফ্রিকার মাঝে রয়েছে লোহিত সাগর।
Ans. মিথ্যা
১৪. মিশর ও সুদান নীলনদ অববাহিকার শতকরা প্রায় 75 ভাগ অংশ অধিকার করে রেখেছে।
Ans. সত্য
১৫. উট সাহারার অধিবাসীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।
Ans. সত্য
১৬. আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ সীমায় আছে ভূমধ্যসাগর।
Ans. মিথ্যা
এক কথায় উত্তর দাও : প্রশ্নের মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশের নাম কী ?
উত্তরঃ আফ্রিকা।
২. ভেল্ড তৃণাঞ্চলের মধ্য দিয়ে কোন্ নদী প্রবাহিত ?
উত্তরঃ অরেঞ্জ নদী।
৩. নীলনদ অববাহিকার প্রধান বন্দরটির নাম কী ?
উত্তরঃ আলেকজান্দ্রিয়া।
৪. নীলনদের প্রধান উপনদীগুলির নাম কী ?
উত্তরঃ হোয়াইট নীল ও ব্লু নীল।
৫. আফ্রিকার কোন্ নদী দুবার নিরক্ষরেখাকে অতিক্রম করেছে ?
উত্তরঃ কঙ্গো নদী।
৬. সাহারায় দিনেরবেলায় সৃষ্ট বালির ঝড়কে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ সাইমুম।
৭. মিশরের রাজধানীর নাম কী ?
উত্তরঃ কায়রো।
৮. আফ্রিকা মহাদেশ পূর্বে কী নামে পরিচিত ছিল ?
উত্তরঃ অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ।
৯. নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধের পিছনে অবস্থিত বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধারের নাম কী ?
উত্তরঃ নাসের জলাধার।
১০. ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের মাঝে কী প্রণালী অবস্থিত ?
উত্তরঃ জিব্রাল্টার প্রণালী।
১১. নীলনদ অববাহিকার বৃহত্তম শহরটির নাম কী ?
উত্তরঃ কায়রো।
১২. আফ্রিকার কোন্ নদী সবচেয়ে বেশি জল বহন করে ?
উত্তরঃ কঙ্গো নদী।
১৩. নীলনদ অববাহিকায় বন্যার অতিরিক্ত জলকে আটকাবার জন্য কী উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে ?
উত্তরঃ নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা।
১৪. আফ্রিকার দীর্ঘতম নদীর দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ প্রায় 6650 কিমি (নীলনদ)।
১৫. আফ্রিকার কোন্ নদী দুবার নিরক্ষরেখাকে অতিক্রম করেছে ?
উত্তরঃ কঙ্গো নদী।
১৬. অ্যাকাসিয়া ও বাওবাব জাতীয় গাছ আফ্রিকার কোন্ অঞ্চলে দেখা যায় ?
উত্তরঃ সাভানা তৃণভূমিতে।
১৭. পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশের নাম কী ?
উত্তরঃ আফ্রিকা।
১৮. ভেল্ড তৃণাঞ্চলের মধ্য দিয়ে কোন্ নদী প্রবাহিত ?
উত্তরঃ অরেঞ্জ নদী।
১৯. নীলনদ অববাহিকার প্রধান বন্দরটির নাম কী ?
উত্তরঃ আলেকজান্দ্রিয়া।
২০. নীলনদের প্রধান উপনদীগুলির নাম কী ?
উত্তরঃ হোয়াইট নীল ও ব্লু নীল।
২১. মহাদেশ আয়তনের বিচারে পৃথিবীর কততম মহাদেশ ?
উত্তরঃ দ্বিতীয় বৃহত্তম
২২. পৃথিবীর একমাত্র কোন মহাদেশের উপর দিয়ে নিরক্ষরেখা, কর্কটক্রান্তি রেখা, মকরক্রান্টি রেখা ও মূল মধ্যরেখা বিস্তৃত হয়েছে ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের উপর দিয়ে
২৩. প্রথম মানুষের আবির্ভাব হয়েছিল কোন মহাদেশে ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব অংশে
২৪. ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ কে পৃথক করেছে কোন প্রণালী ?
উত্তরঃ জিব্রাল্টার প্রণালী
২৫. কি আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ কে পৃথক করেছে ?
উত্তরঃ লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল
২৬. কোন মহাদেশে দেশের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশে, 56 টি
২৭. আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম দিকে কী রয়েছে ?
উত্তরঃ আটলান্টিক মহাসাগর
২৮. আফ্রিকা মহাদেশের কোন দিকে অ্যাটলাস পর্বতমালা অবস্থিত?
উত্তরঃ উত্তর-পশ্চিম দিকে
২৯. আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বত শৃঙ্গের নাম কী ?
উত্তরঃ মাউন্ট তৌবকল
৩০. পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমির নাম কি ও এটি কোন মহাদেশে অবস্থিত ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি।
৩১. আফ্রিকা তথা পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কী ?
উত্তরঃ নীলনদ
৩২. আফ্রিকা মহাদেশের কোন অংশে ঘন চিরহরিৎ অরণ্য দেখা যায় ?
উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বরাবর অবস্থিত আফ্রিকার কঙ্গো নদী অববাহিকায় চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৩. আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ এর নাম কী ?
উত্তরঃ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো
৩৪. আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত মরুভূমি গুলির নাম উল্লেখ করো ?
উত্তরঃ সাহারা মরুভূমি, কালাহারী মরুভূমি, নামিব মরুভূমি।
৩৫. আফ্রিকা মহাদেশে নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ ভেল্ড
৩৬. কোন কোন নদীর মিলনে নীলনদের উৎপত্তি হয়েছে ?
উত্তরঃ হোয়াইট ও ব্লু নীল নদীর মিলিত রূপ নীলনদ নামে প্রবাহিত হয়েছে।
৩৭. হোয়াইট ও ব্লু নীল কোথায় এসে মিলিত হয়েছে ?
উত্তরঃ উত্তর সুদানের রাজধানী খার্তুম শহরের নিকট এই দুটি নদী মিলিত হয়েছে।
৩৮. আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদীর নাম কী ?
উত্তরঃ কঙ্গো নদী।
৩৯. কঙ্গো নদী কোথায় গিয়ে মিশেছে ?
উত্তরঃ আটলান্টিক মহাসাগরে
৪০. নীল নদের মোহনা কোথায় ?
উত্তরঃ নীল নদের মোহনা ভূমধ্যসাগর।
৪১. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত কোন নদীর গতিপথে অবস্থিত ?
উত্তরঃ জাম্বেসি নদীর
৪২. নীল নদের তীরে প্রাচীনকালে কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ মিশরীয় সভ্যতা
৪৩. নীল নদের দান কাকে বলা হয় ?
উত্তরঃ মিশরকে
৪৪. পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধের নাম কী এবং এটি কোন নদীর উপর অবস্থিত ?
উত্তরঃ মিশরের নীল নদের উপর অবস্থিত উচ্চ আসোয়ান বাঁধ পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ।
৪৫. আর্গ কী ?
উত্তরঃ সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে বালি জমা হয়ে যে ছোট ছোট পাহাড়ের আকার ধারণ করে তাদের আর্গ বলে।
৪৬. হামাদা কী ?
উত্তরঃ মরুভূমি অঞ্চলে বালিহীন নুড়ি পাথরে ভর্তি অঞ্চল গুলিকে হামাদা বলা হয়।
৪৭. শুষ্ক নদীখাত গুলি মিশরে কি নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ ওয়াদি
৪৮. সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে প্রবাহিত গরম ও শুকনো স্থানীয় বায়ু কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ খামসিন
৪৯. গিনি উপকূলে খামসিন বায়ু কি নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ হারমাট্টান
অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. কোথায় পৃথিবীর প্রথম মানুষের উদ্ভব হয়েছিল ?
উত্তরঃ পূর্ব আফ্রিকাতেই পৃথিবীর প্রথম মানুষের উদ্ভব হয়েছিল।
২. আটলাস পর্বতমালার সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গের নাম কী ? এর দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ আটলাস পর্বতমালার সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট তৌবকল। এর দৈর্ঘ্য 4165 মিটার।
৩. সাহারা মরুভূমি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ আটলাস পর্বতমালার দক্ষিণ দিকে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম সাহারা মরুভূমি অঞ্চল।
৪. নীলনদের প্রধান দুটি ধারা কী ?
উত্তরঃ নীলনদের প্রধান দুটি ধারা হল হোয়াইট নীল ও ব্লু নীল।
৫. টকজাতীয় ফলের গাছ দেখা যায় কোন্ জলবায়ুতে ?
উত্তরঃ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে টকজাতীয় ফলের গাছ দেখা যায়।
৬. আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশকে বিচ্ছিন্ন করেছে কোন্ প্রণালী ?
উত্তরঃ আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশকে বিচ্ছিন্ন করেছে জিব্রাল্টার প্রণালী।
৭. আফ্রিকার সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকা কোথায় সৃষ্টি হয়েছে ?
উত্তরঃ আফ্রিকার সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকা সৃষ্টি হয়েছে কঙ্গো অববাহিকায়।
৮. সাহারা মরুভূমির মধ্যভাগে কোন্ কোন্ মালভূমি অবস্থিত ?
উত্তরঃ সাহারা মরুভূমির মধ্যভাগে আহান্নার ও টিরেস্টি মালভূমি অবস্থিত।
৯. ভূমধ্যসাগর আফ্রিকার কোন্ দিকে অবস্থিত ?
উত্তরঃ ভূমধ্যসাগর আফ্রিকার উত্তর দিকে অবস্থিত।
১০. কোন্ নদীপথে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ জাম্বেসি নদীপথে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে।
১১. আফ্রিকা মহাদেশে ক-টি গ্রস্ত উপত্যকা আছে ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশে দুটি গ্রস্ত উপত্যকা আছে।
১২. আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি ? এর দৈর্ঘ্য কত ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব্বেচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো। এর দৈর্ঘ্য 5895 মিটার।
১৩. আফ্রিকা মহাদেশের গ্রস্ত উপত্যকা অঞ্চলে কোন্ কোন্ হ্রদ দেখা যায় ?
উত্তরঃ টাঙ্গানিকা, মালাউই, রুডলফ্, অ্যালবার্ট প্রভৃতি হ্রদ দেখা যায়।
১৪. সাভানা তৃণভূমি অঞ্চলে কী জাতীয় গাছ দেখা যায়?
উত্তরঃ অ্যাকাসিয়া ও বাওয়াব জাতীয় গাছ দেখা যায়।
১৫. কতদিন পর্যন্ত আফ্রিকার বহু দেশ কাদের উপনিবেশ ছিল ?
উত্তরঃ ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত আফ্রিকার বহু দেশ ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কিছু দেশের উপনিবেশ ছিল।
১৬. প্রণালী কাকে বলে ?
উত্তরঃ দুটি বড়ো জলভাগ যে সংকীর্ণ জলভাগ দ্বারা যুক্ত হয় তাকে প্রণালী বলা হয়।
১৭. ভেল্ড কী ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশে উঁচু মালভূমিতে যে তৃণাঞ্চল দেখা যায় তাকে ভেল্ড বলা হয়।
১৮. নীলনদের তীরে গড়ে ওঠা বিখ্যাত শহরগুলি কী কী ?
উত্তরঃ খাটুম, আসোয়ান, লাস্কার ও কায়রো।
১৯. কঙ্গো নদীর তীরে গড়ে ওঠা বড়ো শহরগুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ কিসাঙ্গানি, বানডাকা, কিনশাসা ও ব্রাজাভিল।
২০. পশ্চিম আফ্রিকার প্রধান নদীর নাম ও উৎসস্থল লেখো।
উত্তরঃ পশ্চিম আফ্রিকার প্রধান নদী নাইজার। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে 200 কিমি দূরে গিনি উচ্চভূমি এর উৎসস্থল।
২১. অরো নদীতে কী উদ্দেশ্যে কটি জলাধার তৈরি করা হয়েছে ?
উত্তরঃ জলসেচের উদ্দেশ্যে অরেঞ্জ নদীতে প্রায় 29টি জলাধার তৈরি করা হয়েছে।
২২. হোয়াইট নীল নদের উৎস কোনটি?
উত্তরঃ আফ্রিকার বিখ্যাত বুরুন্ডি মালভূমি হোয়াইট নীল নদের উৎস।
২৩. কঙ্গো নদীর উৎসস্থল কোনটি?
উত্তরঃ জাম্বিয়ার উত্তর প্রান্ত হল কঙ্গো নদীর উৎসস্থল।
২৪. দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত দুটি মরুভূমির নাম লেখো।
উত্তরঃ কালাহারি ও নামিব।
২৫. আফ্রিকার কোথায় গরমকালে বৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ আফ্রিকার একেবারে পূর্বদিকে ও মাদাগাস্কার দ্বীপে গরমকালে বৃষ্টি হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান-২/৩ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. আফ্রিকা মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলা হত কেন ?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক দুর্গমতা, অস্বস্তিকর উন্ন ও আর্দ্র জলবায়ু, গভীর জঙ্গল ও হিংস্র জন্তুর ভয় প্রভৃতি কারণের জন্য বহুদিন পর্যন্ত এই মহাদেশে আধুনিক সভ্যতার আলো এসে পৌঁছোতে পারেনি। এই কারণে আফ্রিকা মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলা হত।
২. আফ্রিকা মহাদেশের অবস্থান, আয়তন ও সীমা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশ এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত। এই মহাদেশের আয়তন 3 কোটি 2 লক্ষ 21 হাজার 532 বর্গকিলোমিটার। আয়তনে এই মহাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ। আফ্রিকা মহাদেশটির প্রায় চারিদিকেই জলভাগ দ্বারা বেষ্টিত। এই মহাদেশের পূর্বে লোহিত সাগর ও ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও দক্ষিণে ভারত মহাসাগর।
৩. আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত আটলাস পর্বতমালা সম্বন্ধে যা জানো লেখো।
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে আটলাস পর্বতমালা অবস্থিত। এটি একটি ভঙ্গিল পর্বতবেশ কয়েকটি সমান্তরাল পর্বত নিয়ে অ্যাটলাস পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। এই পর্বতমালা হিমালয়ের মতো উঁচু বা বিশাল নয়। এই পর্বতমালার সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ হল মাউন্ট তৌবকল। এর উচ্চতা হল 4165 মিটার।
৪. ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি সম্বন্ধে যা জানো লেখো।
উত্তরঃ ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত। এখান থেকে একটি পর্বতশ্রেণি লোহিত সাগরের সমান্তরাল ভাবে মিশর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। এই উচ্চভূমির দক্ষিণে মাউন্ট কেনিয়া, মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো এবং রুয়োরি পর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত। মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, এর উচ্চতা 5895 মিটার। নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত হলেও এর উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ার কারণে সারাবছর এর চূড়ায় বরফ জমে থাকে।
৫. আফ্রিকায় কী ধরনের জলবায়ু ও বনভূমি দেখা যায় ?
উত্তরঃ আফ্রিকা মহাদেশটির মধ্যভাগ উয়মণ্ডলের অন্তর্গত এবং উত্তর ও দক্ষিণ অংশ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু প্রকৃতির মাটি, জলবায়ু প্রভৃতির বৈচিত্র্যে এখানে চিরহরিৎ বৃষ্টি অরণ্য, উয় মরু বনভূমি, ক্রান্তীয় মৌসুমি বৃক্ষের বনভূমি, উয় নাতিশীতোয় ভূমি, মৌসুমি পর্ণমোচী অরণ্য, ভূমধ্যসাগরীয় অরণ্য গড়ে উঠেছে।
৬. পূর্ব আফ্রিকার গ্রস্ত উপত্যকা ও হ্রদগুলির বিবরণ দাও।
উত্তরঃ পূর্ব আফ্রিকার ভূ-প্রকৃতি একটু অন্যরকম। ভূ-আলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠে ফাটল তৈরি হয়ে দুটো ফাটলের মাঝের অংশ নীচের দিকে বসে গিয়ে গ্রস্ত উপত্যকা তৈরি হয়েছে। এই গ্রস্ত উপত্যকা অঞ্চলে বহু হ্রদ দেখা যায়। এই হ্রদগুলির দৈর্ঘ্য ও গভীরতা অনেক বেশি। টাঙ্গানিকা, নিয়াশা, মালাউই, রুডল্ফ, অ্যালবার্ট প্রভৃতি এই রকম হ্রদ। এছাড়াও ভিক্টোরিয়া, মারু প্রভৃতি হ্রদ রয়েছে। এর মধ্যে ভিক্টোরিয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাদু জলের হ্রদ। এর দৈর্ঘ্য 680 কিমি টাঙ্গানিকা আফ্রিকার দীর্ঘতম হ্রদ। নিয়াশ আফ্রিকার দ্বিতীয় দীর্ঘতম হ্রদ, এটি 550 কিমি দীর্ঘ।
৭. সাহারা মরুভূমির বিবরণ দাও।
উত্তরঃ আটলাস পর্বতমালার দক্ষিণে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম মরুভূমি সাহারা। এর মধ্যভাগে আহাপ্পার ও টিবেস্টি মালভূমি দেখা যায়। এই অঞ্চল অত্যন্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ায় এখানে জনবসতি প্রায় দেখাই যায় না। সাহারা মরুভূমির পূর্বপ্রান্তে রয়েছে নীলনদ অববাহিকা।
৮. কঙ্গো নদী অববাহিকার বিবরণ দাও।
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার আশেপাশে দেখা যায় কঙ্গো নদী অববাহিকা। এখানে পৃথিবীর বৃহত্তম নিরক্ষীয় চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। আফ্রিকার সবচেয়ে বৃষ্টিবহুল এলাকা থেকে কঙ্গো নদীর সৃষ্টি। সারাবছর তীব্র উন্নতা ও বৃষ্টি বেশি হওয়ায় এই জঙ্গল সারা বছর সবুজ থাকে। এ ছাড়া কঙ্গো অববাহিকায় জলভাগের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 250 সেমি। কঙ্গো নদীর তীরে গড়ে ওঠা বড়ো শহরগুলি হল কিসাঙ্গানি, বানডাকা, কিনশাসা ও ব্রাজাভিল।
৯. সাহারা অধিবাসীদের মধ্যে অনেকেই যাযাবর কেন ?
উত্তরঃ সাহারায় যেমন উত্তাপ কম তেমনি বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম। সাহারার অধিবাসীদের মধ্যে অনেকেরই স্থায়ী ঘরবাড়ি নেই। এরা বেশির ভাগই তাঁবুতে বাস করে। খুবই গরিব হওয়ার জন্য এরা স্থায়ীভাবে কোথাও বাস করে না।
১০. সাহারা মরু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় না কেন ?
উত্তরঃ ইউরেশিয়ার স্থলভাগ থেকে যে শুষ্ক জলীয় বাষ্পহীন উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু আসে তার প্রভাবে সাহারা মরুভূমিতে প্রায় বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। এ ছাড়া ভারত মহাসাগর থেকে আর্দ্র দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু মহাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণের পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর যে বায়ু সাহারায় এসে পৌঁছায় তা জলীয় বাষ্পহীন। তাই এই বায়ুতে আর বৃষ্টি হয় না। এর ফলে সাহারা সারাবছরই বৃষ্টিহীন থাকে।
রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান-৫/৭ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-10 Question Answer wbbse
১. আফ্রিকা মহাদেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তরঃ আয়তনে এবং জনসংখ্যায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশ আফ্রিকা। এই মহাদেশ একই সঙ্গে পৃথিবীর উত্তর- দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত। পূর্ব আফ্রিকাতেই পৃথিবীর প্রথম মানুষের উদ্ভব হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীতে লিভিংস্টোন, স্ট্যানলি প্রমুখ আবিষ্কারকগণ আফ্রিকার অজ্ঞাত অংশ আবিষ্কার করেন। ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত আফ্রিকার বহু দেশ ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার কিছু দেশের উপনিবেশ ছিল। আফ্রিকার উত্তরে দুর্গম সাহারা মরুভূমি। আফ্রিকার মধ্যভাগে রয়েছে হিংস্র জীবজন্তুতে পূর্ণ নিবিড় ও দুর্ভেদ্য অরণ্য। এই মহাদেশের উপকূল অভগ্ন, উয় ও আর্দ্র জলবায়ুও অস্বস্তিকর। এই মহাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে জলপ্রপাত, খরস্রোতা নদী, এখানে প্রায় সর্বত্রই বন্ধুর মালভূমি। হিংস্র ও নরখাদক আদিম অধিবাসীদের বসবাস থাকার কারণে আফ্রিকা মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ বলা হত।
২. আফ্রিকার দক্ষিণ ও পূর্বের উচ্চভূমির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তরঃ আফ্রিকার দক্ষিণ ও পূর্বের অঞ্চলটি অত্যন্ত উঁচুনীচু পর্বতশ্রেণি, মালভূমি, গ্রস্ত উপত্যকা ও হ্রদবিশিষ্ট। উত্তরে অবস্থিত ইথিওপিয়ার মালভূমি এখানকার সর্বোচ্চ অংশ। মালভূমির পূর্বদিকের অংশে গ্রস্ত উপত্যকা অবস্থিত। এটি উত্তরে লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে আবিসিনিয়ার ওপর দিয়ে রুডল্ফ হ্রদের পাশ দিয়ে দক্ষিণে নিয়াসা হ্রদ পর্যন্ত বিস্তৃত। নিয়াসা হ্রদের উত্তর প্রান্ত থেকে আর-একটি গ্রস্ত উপত্যকা টাঙ্গানিকা ও এডওয়ার্ড হ্রদের মধ্যে দিয়ে আলবার্ট হ্রদ পর্যন্ত বিস্তৃত। একে পশ্চিমের গ্রস্ত উপত্যকা বলে। ইথিওপিয়ার মালভূমি আফ্রিকার পর্বতসমূহের কেন্দ্র। এখান থেকে একটি শাখা উত্তরে আর একটি শাখা দক্ষিণে বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণের পর্বতশ্রেণিই এই মালভূমির উচ্চতম অংশ। এখানে মাউন্ট কেনিয়া (5,190 মিটার), মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো (5,925 মিটার), রুয়েঞ্জারি (4,938 মিটার) প্রভৃতি উচ্চ পর্বতশৃঙ্গগুলি অবস্থিত। এই শৃঙ্গগুলি আসলে বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির চূড়া। কিলিমাঞ্জারোর চূড়া চিরতুষারে আবৃত। মালভূমির দক্ষিণাংশের ড্রাকেন্সবার্গ পর্বত উঁচু প্রাচীরের মতো সমুদ্র উপকূল থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর দক্ষিণ অংশ নিউভেল্ড নামে পরিচিত। এই অঞ্চলের বৃহত্তম হ্রদ ভিক্টোরিয়া, মালভূমির নীচু অংশে জল জমে সৃষ্টি হয়েছে।
৩. আফ্রিকা মহাদেশের ভূপ্রকৃতির পরিচয় দাও।
উত্তরঃ ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে আফ্রিকা মহাদেশের ভূপ্রকৃতিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হল—
(i) উত্তর- পশ্চিমের পার্বত্যভূমি। (ii) মধ্যের মরুময় মালভূমি। (iii) দক্ষিণ-পূর্বের উচ্চ মালভূমি। (iv) উপকূলীয় নিম্নভূমি ও (v) দ্বীপ অঞ্চল।
(i) উত্তর-পশ্চিমের পার্বত্যভূমিঃ আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আটলাস পর্বতশ্রেণি। আটলাস পর্বত ভঙ্গিল পর্বতের অন্তর্গত। আটলাস পর্বতকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা—টেল আটলাস, গ্রেট আটলাস ও সাহারীয় বা অ্যান্টি আটলাস। উত্তরে টেল আটলাস, দক্ষিণে সাহারীয় আটলাস এবং মধ্যভাগে গ্রেট আটলাস। এদের সর্বোচ্চ উচ্চতা প্রায় 4,500 মিটার।
(ii) মধ্যের মরুময় মালভূমিঃ লিবিয়া, চাদ, সাহারা ও কঙ্গো অববাহিকা নিয়ে গঠিত মধ্যের মরুময় মালভূমি। এদের গড় উচ্চতা প্রায় 760 মিটার। এই মরুভূমিতে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি পর্বতমালা লক্ষ করা যায়। তাদের মধ্যে টিবেস্টি, আহামার ও টানো উল্লেখযোগ্য। এই মালভূমি দক্ষিণদিক থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ক্রমশ ঢালু।
(iii) দক্ষিণ-পূর্বের উচ্চ মালভূমিঃ এই মালভূমি উত্তরদিক থেকে দক্ষিণদিকে ক্রমশ উঁচু হয়ে গেছে এবং দক্ষিণ- পূর্ব উপকূলের ড্রান্সেবার্গ পর্বত মালভূমির প্রান্তভাগ। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ভাগ দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে নেমে গেছে। এই ধাপগুলিকে ‘কারু” বলা হয়। আফ্রিকার উত্তর-পূর্বে ইথিওপিয়ার পার্বত্যভূমিতে আগ্নেয়গিরির লাভা দিয়ে গঠিত মালভূমি রয়েছে। এখানকার আগ্নেয়গিরির মধ্যে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো (5.925 মিটার) আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, যার মাথায় তুষার জমে থাকে। টাঙ্গানিকা, নিয়াশা ও রুডলফ্ প্রভৃতি হ্রদ আফ্রিকার মধ্যে বিখ্যাত। এই হ্রদগুলি গ্রস্ত উপত্যকার অন্তর্গত। লোহিত সাগরের আংশিক, সুয়েজ খাল ও আকাবা উপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত। আফ্রিকার দক্ষিণে রয়েছে কালাহারি মরুভূমি।
(iv) উপকূলীয় নিম্নভূমিঃ আফ্রিকায় নদী অববাহিকা এবং উপকূল অঞ্চলের সংকীর্ণ সমভূমি দেখা যায়। যেসব স্থানে নদী মোহনা বিস্তৃত হয়েছে সেখানে উপকূলের বিস্তার বেশি। আফ্রিকার নীলনদ, কঙ্গো, নাইজার, জাম্বেসি, অরেঞ্জ এবং সেনেগাল ইত্যাদি নদী অববাহিকা অঞ্চল সমভূমির অন্তর্গত।
(v) দ্বীপ অঞ্চলঃ আফ্রিকার সংলগ্ন সমুদ্রে কিছু কিছু দ্বীপ রয়েছে, যেমন আফ্রিকার দক্ষিণ পূর্বে মাদাগাস্কার ও জাঞ্জিবার, উত্তর পশ্চিমে ক্যানারি ও মাদিরা এবং পশ্চিম সেন্ট হেলেনা প্রভৃতি দ্বীপ রয়েছে।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: মান – 2 | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়) প্রশ্ন | West Bengal Class 7 Geography
১. নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের দুটি মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?
২. সাহারার জলবায়ুর বর্ণনা দাও।
৩. গ্রেট আফ্রিকান রিফট ভ্যালি সম্পর্কে লেখো।
৪. সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের পরিবহণ ব্যবস্থা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
৫. আফ্রিকার নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমি (ভেল্ড) সম্পর্কে লেখো।
৬. সাহারা মরুভূমি কী সর্বদাই উষ্ণ মরু জলবায়ুর অন্তর্গত ছিল ?
৭. সাহারা মরুভূমির স্বাভাবিক উদ্ভিদগুলি কী কী ?
৮. ভেল্ড অঞ্চলের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
৯. মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো পর্বত নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও তার চুড়ায় সারাবছর বরফ জমে থাকে কেন?
১০. সাহারা মরুভূমির নদনদীর পরিচয় দাও।
১১. নীলনদের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য লেখো।
১২. পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য সারা পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। সাহারা মরুভূমিতে বিশ্ব উন্নয়নের ফলাফল কী হতে পারে ?
১৩. নীলনদ অববাহিকার স্থায়ী জলসেচ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করো।
১৪. নীলনদের ওপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের দুটি মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?