2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 5 (V) WBBSE
BENGALI QUESTION PAPER
SET-3
Class 5 Bengali Second Unit Test Model Question Paper with Answer Set-3 | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৩
📌 পঞ্চম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Class 5 All Subject Question Paper
সিলেবাস—
পাতাবাহার : মাঠ মানে ছুট, লিমেরিক, ঝড়, মধু আনতে বাঘের মুখে, মায়াতরু, ফণিমনসা ও বনের পরি, পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বোকা কুমিরের কথা, চল চল চল।
ভাষা পাঠ : লিঙ্গ, বচন, চিঠিপত্র।
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
বিষয়ঃ বাংলা
পঞ্চম শ্রেণি
পূর্ণমানঃ ২০ সময়ঃ ৪০ মিনিট
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : ১×৪=৪
১.১ বৃষ্টি আসে কেমন করে, তা নিয়ে প্রচলিত গল্প আছে (রাভা / মেচ / লেপচা / টোটো) কথার ভাঁড়াবে।
উত্তরঃ লেপচা।
১.২ কবি খুশির অগাধ লুটোপুটি খুঁজে পান- (ক) পথে, (খ) মাঠে, (গ) ঘাটে।
উত্তরঃ (খ) মাঠে
১.৩ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয়- (গ্রীষ্ম / বর্ষা / শরৎ / শীত)।
উত্তরঃ গ্রীষ্ম।
১.৪ ‘সন্তান’ শব্দটি কোন্ লিঙ্গ ? (ক) স্ত্রী, (খ) পুরুষ, (গ) উভয়, (ঘ) ক্লীব।
উত্তরঃ উভয়
১.৫ গভীর বনের ভিতর ছিল (ফনিমনসা / বাবলা / বট / অশ্বত্থ) গাছটি।
উত্তরঃ ফনিমনসা
২। পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও : ১×৭=৭
২.১ ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে মৌমাছিরা কাদের মুখে হুল ফোটাতে লাগল ?
উত্তরঃ রক্ষীদের মুখে হুল ফোটাতে লাগল।
২.২ ‘লিমেরিক’ নামটি কোন্ শহরের নাম অনুসারে হয়েছে ?
উত্তরঃ আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক শহরের নাম অনুসারে হয়েছে।
২.৩ ধনাই কিসের মন্ত্র জানে ?
উত্তরঃ ধোনায় মৌচাক ভাঙ্গার মন্ত্র জানে।
২.৪ মায়াতরু কবিতাটি কে লিখেছেন ?
উত্তরঃ মায়াতর কবিতাটি লিখেছেন অশোক বিজয় রাহা।
২.৫ ‘বইখানি’ শব্দটি কী বচন ?
উত্তরঃ একবচন।
২.৬ পুংলিঙ্গ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যেসব শব্দের দ্বারা পুরুষজাতীয় প্রাণীকে বোঝানো হয়, তাদের বলে পুংলিঙ্গ।
যেমন- ছেলে, শিক্ষক, পিতা, বুদ্ধিমান, রাজা ইত্যাদি।
২.৭ ‘বৃদ্ধ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ কী হবে ?
উত্তরঃ বৃদ্ধা।
৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও : (যে-কোনো দুটি) ২x২=৪
৩.১ ‘মায়াতরু’ কবিতায় গাছকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ কবি একটি নির্দিষ্ট গাছকে দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে দেখেন। গাছটিকে কখনও ভূত, কখনও রাগে ঘাড়ফোলা ভালুক, কখনও হীরের মাছের তৈরি মুকুট আবার কখনো রূপালি ঝালর বলে কবির মনে হয়, তাই কবিতায় গাছটিকে ‘মায়াতরু’ বলা হয়েছে।
৩.২ ধান চাষ করতে গিয়ে কুমির কীভাবে ঠকেছিল ?
উত্তরঃ ধান চাষ করার সময় কুমির আগে থাকতেই শেয়ালকে বলেছিল সে আগার দিক নেবে না। তাকে গাছের গোড়ার দিক দিতে হবে। ধানের ফলন হলে শিয়াল ধানসুদ্ধ গাছের আগা কেটে নিয়ে বাড়ি চলে গেলে, কুমির মাটি খুঁড়ে দেখে সেখানে ধানের কোন চিহ্ন নেই। নিজের নির্বুদ্ধিতার জন্য কুমির ধানের বদলে কেবল খড় পেয়েছিল।
৩.৩ মেঘের খেলা কবির মনে কোন্ স্মৃতি বয়ে আনে ?
উত্তরঃ মেঘের খেলা কবির মনে তাঁর ছেলেবেলার নানা স্মৃতি বয়ে আনে। মেঘের খেলা দেখে তাঁর মনে পড়ে ঘরের কোণে লুকোচুরি খেলার কথা, ছেলেবেলার বৃষ্টির গানের কথা, মায়ের ঘর আলো করা হাসিমুখের কথা এবং মেঘের ডাকে ভয় পাওয়ার কথা। কবির মনে পড়ে ঘরে মিটিমিটি আলো জ্বলছে, দেয়ালে কালো ছায়া পড়েছে এবং বাইরে বৃষ্টি পড়ার শব্দ হচ্ছে আর দুরন্ত ছেলেটি কাছে বসে গল্প শুনছে।
৪। নতুন বিদ্যালয় কেমন লাগছে তা তোমার দাদার উদ্দেশে একটি চিঠি জানিয়ে লেখো। ৫
কাঁকুড়গাছি,
কলকাতা – ৭০০০৫৪
১/১১/২০২৩
প্রিয় দাদাভাই,
আশা করি, তুমি ভালো আছ। তুমি আগের চিঠিতে আমার নতুন বিদ্যালয় কেমন লাগছে তা জানতে চেয়েছ। সেই কথা জানিয়ে এই চিঠি লিখছি।
আমার নতুন বিদ্যালয়ের নাম বিবেকানন্দ বিদ্যাভবন, এটি আমাদের জেলার কয়েকজন শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবী মানুষের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের বিদ্যালয়ে ৪৫ জন শিক্ষিকা শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। সমস্ত শিক্ষিকারাই ছাত্রীদের স্নেহ করেন। বিদ্যালয়ে মোট ৪০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে কম্পিউটার কক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগার ও একটি সুবৃহৎ অনুষ্ঠান কক্ষ। সামনের দিকে সুদৃশ্য গাছ- গাছালি, পিছনে বড়ো একটি খেলার মাঠ, যেখানে প্রতিদিন টিফিনের সময় আমরা বন্ধুরা মিলে খেলাধুলা করি। প্রার্থনা শেষ করে প্রতিদিন আমাদের ক্লাস শুরু হয় সকাল দশটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে। টিফিনের আগে চারটি ও পরে আরো তিনটি ক্লাস হয়। শিক্ষিকারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে আমাদের পড়ান। বিদ্যালয়ে প্রতি মাসেই কোনো না কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংঘটিত হয়। নাচ, গান, আবৃত্তিচর্চায় ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে শিক্ষিকারা আমাদের সকলকে খুবই উৎসাহ দেন।
আমি আমার এই নতুন বিদ্যালয়কে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। আমি বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভালো ফল করে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। আজ এখানেই শেষ করছি। তুমি ভালো থেকো, আমার ভালোবাসা নিও।
ইতি
তোমার বোন দিয়া
প্রাপক
সঞ্জীব মুখার্জী,
প্রযত্নে, সঞ্জয় মুখার্জী।
কেতুগ্রাম, বর্ধমান।