CLASS 7 GEOGRAPHY SECOND SUMMATIVE EVALUATION WBBSE
Class 7 Geography 2nd Unit Test Question Paper with Answer Set-3 | সপ্তম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৩
📌 সপ্তম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Class 7 All Subject Question Paper
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
সপ্তম শ্রেণি বিষয়ঃ ভূগোল
পূর্ণমানঃ ২৫ সময়ঃ ৫০ মিনিট
সিলেবাস— ১. ভূমিরূপ (৪র্থ অধ্যায়) ২. নদী (৫ম অধ্যায়) ৩. শিলা ও মাটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) ৪. আফ্রিকা মহাদেশ (দশম অধ্যায়)
SET – 3
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ১ x ৫ = ৫
(i) অনেকগুলো পর্বতশ্রেণি বিভিন্ন দিক থেকে এক জায়গায় এসে মিশলে, তাকে বলে–
(ক) পর্বতগ্রন্থি
(খ) পর্বতশ্রেণি
(গ) পর্বতশৃঙ্গ
(ঘ) মাউন্ট
উত্তরঃ (ক) পর্বতগ্রন্থি
(ii) নিম্নপ্রবাহে নদীর গতিবেগ বেশি থাকলে সৃষ্টি হয়—
(ক) বদ্বীপ
(খ) দোয়াব
(গ) খাঁড়ি
(ঘ) নদী-দ্বীপ
উত্তরঃ (গ) খাঁড়ি
(iii) হালকা ও সহজে ভেঙে যায় যে শিলার বৈশিষ্ট্য—
(ক) পাললিক শিলা
(খ) আগ্নেয় শিলা
(গ) রুপান্তরিত শিলা
(ঘ) বদল শিলা
উত্তরঃ (ক) পাললিক শিলা
(iv) আফ্রিকার _________ দিকে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত।
উত্তরঃ উত্তর
(v) সাহারা মরুভূমির যে অঞ্চলে চাষ লক্ষ করা যায়—
(ক) বালুকাময়
(খ) বারখান
(গ) মরূদ্যান
(ঘ) ওয়াদি
উত্তরঃ (গ) মরূদ্যান
২. এক কথায় উত্তর দাও : ১ x ৩ = ৩
(i) প্রতিমা গড়তে কোন্ মাটি লাগে ?
উত্তরঃ প্রতিমা গড়তে এঁটেল মাটি লাগে।
(ii) নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্র তরঙ্গের শক্তি –এগুলি কী ধরনের শক্তি ?
উত্তরঃ বহির্জাত শক্তি।
(iii) যে নদীর গতিপথে তিনটি প্রবাহ স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, তাকে কী নদী বলে ?
উত্তরঃ আদর্শ নদী।
৩. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও : ১×২=২
(i) পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি হল আফ্রিকার _________ মরুভূমি। (শূন্যস্থান পূরণ করো)
উত্তরঃ সাহারা
(ii) জাপানের ফুজিয়ামা হল একটি ভঙ্গিল পর্বত। (সত্য মিথ্যা নির্ণয় করো)
উত্তরঃ মিথ্যা। (আগ্নেয় পর্বত)
৪. অনধিক ৩০টি শব্দে মধ্যে উত্তর দাও : ২×২=৪
(i) ‘জলবায়ু মৃত্তিকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক’ বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো ।
উত্তরঃ জলবায়ু মাটি তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল জলবায়ুতে তাড়াতাড়ি মাটি তৈরী হয়। আবার শীতল ও শুষ্ক অঞ্চলে মাটি তৈরী হতে সময় লাগে। তাই উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে মাটির গভীরতা বেশি হয়। এই কারণে জলবায়ু মৃত্তিকা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক বলা হয়।
(ii) নদীর সৃষ্টি হয় কীভাবে ?
উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত ছোটো ছোটো জলাধারগুলো যখন পরস্পর মিলিত হয়ে ভূমির ভাল অনুসারে উঁচু থেকে নীচু স্থানের দিকে বয়ে চলে তখনই নদীর সৃষ্টি হয়।
৫. অনধিক ৫০ শব্দে মধ্যে উত্তর দাও : ৩x২=৬
(i) সব নদী মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি করতে পারেনা কেন ?
উত্তরঃ নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয়কাজ বেশি হয়। নদীর দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত পলি, কাদা, নুড়ি, বালি ইত্যাদি বয়ে এসে মোহানায় সজ্জিত হয়ে ব-দ্বীপ গঠন করে। অনেক নদীতে নিম্নগতি দেখা যায় না বা নদী দ্বারা বাহিত শিলাখণ্ডের পরিমাণও খুব বেশি হয় না। নদীতে জলের স্রোত খুব বেশি থাকলেও নদীর মোহানায় ব-দ্বীপ গঠিত হয় না। এই কারণেই পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাজনের কোনো ব-দ্বীপ নেই।
(ii) ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয় ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে প্রাচীন মালভূমি ও উচ্চভূমির কোমল শিলাস্তর ক্ষয় পায় এবং অপসারিত হয়, ফলে মালভূমির মাঝের কঠিন শিলাস্তর পাহাড় রূপে অবস্থান করে। এই মালভূমির মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে পাহাড়গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এইভাবে বিভিন্ন নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন মালভূমিকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। যেমন– ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমি ।
৬. অনধিক ৮০ শব্দে মধ্যে উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
(i) পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় কেন ?
উত্তরঃ পাললিক শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় কারণ— সমুদ্র বা হ্রদের তলায় যখন স্তরে স্তরে পলি জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়, তখন তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মৃত প্রাণীর দেহও চাপা পড়ে এবং পলি জমাট বাঁধার সময় এগুলি ধীরে ধীরে প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। পাথরে পরিণত হলেও শিলাস্তরের মধ্যে ওসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাকৃতির ছাপ পড়ে যায়। এজন্য পাললিক শিলার মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের ছাপযুক্ত জীবাশ্ম দেখা যায়। যেহেতু পাললিক শিলার গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল ধরে চলে তাই সুদূর অতীতে বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত বহু প্রাণীদেহের ছাপ এই পাললিক শিলাস্তরের জীবাশ্মের মাধ্যমে পাওয়া যায়, যা প্রাচীনকালের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ তথা জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের জানতে সাহায্য করে।
(ii) সময়ের সাথে সাথে সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে কী কী পরিবর্তন এসেছে তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি হল আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি। পাথুরে পাহাড়, ধূ-ধূ বালির প্রান্তর, মরুদ্যান, মাঝে মাঝে কাঁটাগাছ আর উটের পাল নিয়ে হেঁটে চলা যাযাবরের দল। এই হল সাহারা মরুভূমির জীবনকথা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সাহারা পাল্টাচ্ছে। জায়গায় জায়গায় ঘাস লাগানো হয়েছে। বর্তমানে পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। পুরনো উট চলা রাস্তার উপর দিয়ে চলে গেছে চওড়া পাকা রাস্তা, তৈরি হয়েছে উঁচু বাড়ি, মসজিদ। উটের বদলে ট্রাকের দ্বারা ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। খনি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তৈরি হয়েছে বিমানবন্দর। সাহারার তুয়ারেগ জাতিরা এখন বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন পশুপালক যাযাবরেরা এখন স্থায়ীভাবে শহরে বাস করে। কেউ কেউ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রগুলিতে কাজ করে। একসময় জলবায়ুগত পরিবর্তনের ফলে সাহারা শুষ্ক, বৃষ্টিহীন অঞ্চলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সাহারায় বৃষ্টি বাড়ছে, সবুজও বাড়ছে, কৃষিজমি দেখা যাচ্ছে। জলবায়ুর এই পরিবর্তন হয়তো ভবিষ্যতে সাহারাকে আবার শস্যশ্যামল করে তুলবে।
📌আরও পড়ুনঃ
📌সপ্তম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-১ Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-২ Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৩ Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪ Click Here
📌আরও পড়ুনঃ
সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here