Class 8 Bengali Second Unit Test Model Question Paper with Answer Set-3 | অষ্টম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন প্রশ্নপত্র সেট-৩
📌 অষ্টম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Class 8 All Subject Question Paper
সিলেবাস/Syllabus —
সাহিত্যমেলা : কবিতা– দাঁড়াও, ছন্নছাড়া, হাওয়ার গান, পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি, গড়াই নদীর তীরে।
গল্প/গদ্য– পল্লীসমাজ, গাছের কথা, কী করে বুঝব, নাটোরের কথা।
ছোটোদের পথের পাঁচালী : নবম থেকে অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ।
ভাষাচর্চা : বাক্যের ভাব ও রূপান্তর, বাক্যের বিভিন্ন পদ।
নির্মিতি : এক শব্দের একাধিক অর্থের প্রয়োগ, পত্ররচনা।
Set-3
BAHARU HIGH SCHOOL (H.S)
2nd Summative Evaluation
Class viii Sub – Bengali
Full Marks – 25 Time: 50 Minutes
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (পাঁচটি) : ১x৫=৫
১.১ বনভোজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল ?
উত্তরঃ বনভােজনের জায়গা ঠিক হয়েছিল বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পরে ক্যাবলার মামার বাড়ির কাছে এক বাগানবাড়িতে।
১.২ গ্রামের একমাত্র ভরসা কী ছিল ?
উত্তরঃ গ্রামের একমাত্র ভরসা ছিল একশো বিঘার মাঠটা।
১.৩ মাস্তুলে দীপ জ্বলে কেন ?
উত্তরঃ জাহাজ যেহেতু অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে, তাই অন্যদের কাছে তার উপস্থিতির কথা জানাতে মাস্তুলে দীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়।
১.৪ ‘দাঁড়াও’ কবিতাটি কার লেখা ?
উত্তরঃ ‘দাঁড়াও’ কবিতাটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা।
১.৫ ‘বোধ করি এই কথাই হইতে ছিল’ কোন কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ?
উত্তরঃ
১.৬ ‘হাওয়ার গান’ কবিতাটি কার লেখা ?
উত্তরঃ ‘হাওয়ার গান’ কবিতাটি কবি বুদ্ধদেব বসুর লেখা।
১.৭ পাঠশালায় গুরুমশাই কোথায় বসতেন ?
উত্তরঃ
২. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও (পাঁচটি) : ২x৫=১০
২.১ পৃথিবীর কোন কোন অংশে হাওয়া ঘুরে বেড়ায় লেখো।
উত্তরঃ পৃথিবীর সমস্ত জলাশয়, সমুদ্র তীর, পাহাড়, গম্ভীর বন্দর, শহরের জনবহুল অঞলবনজঙ্গল, খােলা মাঠ বা তেপান্তর সর্বত্রই হাওয়ারা ঘুড়ে বেড়ায়।
২.২ ‘মানুষ ফাঁদ পাতছে।’– কবি একথা কেন বলেছেন ?
উত্তরঃ এই সমাজের জটিল আবর্তে পড়ে মানুষের মধ্যে থেকে মনুষ্যত্ববােধ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। একে অপরকে আক্রমণ করার জন্য, ঠকাবার জন্য মানুষ যেন জাল পেতে আছে। তাই কবি এখানে বলেছেন– “মানুষই ফাঁদ পাতছে”।
২.৩ বনভোজনের জায়গায় কীভাবে যাওয়া যাবে ?
উত্তরঃ শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের রিলে চেপে বাগুইহাটি ছাড়িয়ে আরো চারটে স্টেশন পর নামতে হবে। তারপর পায়ে হেঁটে প্রায় মাইল খানিক গেলে পৌঁছানো যাবে ক্যাবলার মামার বাগান বাড়িতে অর্থাৎ বনভোজনের জায়গায়।
২.৪ ‘রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল ?’– রমেশের বিস্ময়ের কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘রমেশ চাষিদের একশো বিঘা মাঠের ধান বাঁচাতে বাঁধ কেটে জল বের করে দেবার জন্য রমার অনুমতি নিতে এসেছিল। রমা উত্তরে তাকে জানায় দু-তিনশো টাকার লোকসান সে করতে পারবে না। রমার মুখে এই কথা শুনে রমেশ বিস্ময়ে হতবাক্ হয়ে গিয়েছিল।
২.৫ ‘পারবি নে কেন ?’– উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কোন কাজটি করতে পারবে
না ?
উত্তরঃ উদ্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থাৎ, আকবর সদরে গিয়ে নিজের শরীরের চোট দেখাতে পারবে না। সে কিছুতেই রমেশের লাঠির আঘাতে আহত হওয়ার কথা ও তার জন্য রমেশের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করতে পারবে না।
২.৬ পাঠশালার চারপাশের যে দৃশ্য অপুর চোখে পড়ত তা বর্ণনা করো।
উত্তরঃ
৩ . নীচের বাক্যগুলিতে নির্দেশ অনুযায়ী পরিবর্তন করো (দুটি) : ১×২=২
৩.১ কথাটা রমেশ বুঝিতে পারিল না। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তরঃ কথাটা রমেশ শুনিল কিন্তু বুঝিতে পারিল
৩.২ চোখের পলকে বানরগুলো গাছের মাথায়। (জটিলবাক্যে)
উত্তরঃ যেই-না চোখের পলক ফেলা, অমনি বানরগুলাে গাছের মাথায়।
৩.৩ তুমি নীচ, অতি ছোটো। (যৌগিক বাক্যে)
উত্তরঃ তুমি নীচ এবং অতি ছােটো।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (দুটি) : ২×২=৪
৪.১ বিশেষ্যপদ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষ্য পদ বলতে এমন পদকে বুঝায়, যা কোনো বস্তু, প্রাণী, শ্রেণি, সমষ্টি, ভাব, কাজ, প্রভৃতির নামকে বুঝায়। যেমন– রাম, রহিম, কলকাতা প্রভৃতি।
৪.২ অব্যয়পদ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বাক্যের মধ্যে ব্যবহারের সময় যে পদের কোনো পরিবর্তন ঘটে না তাকে অব্যয় পদ বলে। যেমন– এবং, কিন্তু প্রভৃতি।
৪.৩ সর্বনাম পদ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন– সে, উনি, তিনি প্রভৃতি।
৫. দশটি বাক্যে রচনা লেখো (একটি) : ৪
৫.১ খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা
ভূমিকাঃ কথায় আছে “স্বাস্থ্যই সম্পদ”। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যরক্ষাই নয়, চারিত্রিক উন্নতিতেও খেলাধুলার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
খেলাধুলার গুরুত্বঃ সুস্থ জীবনলাভের জন্য চাই খেলাধুলা। শরীর ঠিক রাখার জন্য চাই শরীরচর্চা। খেলাধুলা না করলে শিশুদের মধ্যে অসুস্থ হওয়ার প্রবনতা বাড়ে। এই কারনে ডাক্তার, শিক্ষাবিদ সকলেই পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। হয়। ব্যক্তিজীবনে খেলাধুলা মানুষকে সৎ, সাহসী, আত্মপ্রত্যয়ী, পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী করে তোলে।
বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলাঃ শিশুবয়স থেকে চরিত্রগঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব বুঝতে পেরে বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদরা খেলাধুলাকে বিদ্যালয়ের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষপাতী। আমাদের দেশেও বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় খেলাধুলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে ।
আধুনিক জীবনে খেলাধুলাঃ আধুনিক যুগ যান্ত্রিকতার যুগ, কৃত্রিমতার যুগ। প্রাচীনকালে মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে হত। কিন্তু এখন জীবনের সর্বক্ষেত্রে যন্ত্রই কাজ করে, মানুষ দাঁড়িয়ে বা বসে তা চালনা করে ৷ফলে কায়িক পরিশ্রম হয় নিতান্ত অল্প। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে মানসিক পরিশ্রম বেশি হয়। মানসিক পরিশ্রমের সঙ্গে সমতা রেখে শরীর চলনা না হলে বিভিন্ন ধরনের অসুখের কবলে পড়তে হয়। অনিদ্রা, ক্ষুধামান্দ্য প্রভৃতি লক্ষন শারীরিক পরিশ্রমের অভাবজনিত । তাই বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত হতে গেলে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা একান্ত জরুরি। খেলাধুলা দেহ-মনে নতুন অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষপাতী।
উপসংহারঃ লেখাপড়ার অবসরে আমাদের ছাত্রছাত্রীগণকে খেলাধুলায় অংশগ্রহন করে ভবিষ্যৎ জীবনে লড়াই করে বেঁচে থাকার উপযুক্ত করে শরীরকে মজবুত করতে হবে এবং একই সঙ্গে মানসিক বৃত্তিগুলিকে সজাগ ও সতেজ করে গড়ে তুলতে হলে পড়তে হবে পাঠক্রম বহির্ভূত নানা ধরনের গল্পের বই। নতুবা শুধুই কাজের পড়াশুনা আমাদের জীবনকে একচক্ষু হরিণের মতো অসম্পূর্ণ করে জীবনযুদ্ধে হারিয়ে দেবে।
৫.২ দেশাত্মবোধ ও জাতীয় সংহতি
📌আরও পড়ুনঃ
অষ্টম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here
📌 অষ্টম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here