কর্ভাস গল্পের প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | Korvas (Korvus) Golper Question Answer Class 9 Bengali wbbse
প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি
নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ
নবম শ্রেণি বাংলা কর্ভাস গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Class 9 Bengali Korvas Golper Question Answer wbbse
নবম শ্রেণির বাংলা সহায়ক পাঠ বহু বিকল্পীয়, অতি সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | West Bengal Class 9 Bengali Korvas Golper Question Answer wbbse
1. নবম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. নবম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
নবম শ্রেণির বাংলা সহায়ক পাঠ বহু বিকল্পীয়, অতি সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | West Bengal Class 9 Bengali Korvas Golper Question Answer wbbse
বহুবিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর কর্ভাস গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | MCQ Question Answer Korvas Class 9 Bengali wbbse
• ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১. আর্গাস ছিলেন—
(ক) সাংবাদিক
(খ) বিখ্যাত পক্ষীবিজ্ঞানী
(গ) চিলিয়ান জাদুকর
(ঘ) পুলিশ অফিসার
উত্তরঃ (গ) চিলিয়ান জাদুকর।
২. আর্গাস কোথাকার জাদুকর ছিলেন ?
(ক) আর্জেন্টিনার
(খ) জাপানের
(গ) চিলির
(ঘ) ফ্রান্সের।
উত্তরঃ (গ) চিলির
৩. শঙ্কু ‘অরনিথন’ যন্ত্র তৈরি শেষ করেছিলেন—
(ক) ২৭ সেপ্টেম্বর
(খ) ১৬ নভেম্বর
(গ) ২০ সেপ্টেম্বর
(ঘ) ১৪ নভেম্বর
উত্তরঃ (ক) ২৭ সেপ্টেম্বর
৪. শঙ্কুর পোষা বিড়ালটির নাম–
(ক) নিউটন
(খ) প্রহ্লাদ
(গ) বিধুশেখর
(ঘ) আইনস্টাইন।
উত্তরঃ (ক) নিউটন
৫. কত বছর বয়স থেকে আর্গাস ম্যাজিক দেখাতে শুরু করেন ?
(ক) চোদ্দো বছর
(খ) ষোলো বছর
(গ) আঠারো বছর
(ঘ) উনিশ বছর
উত্তরঃ (ঘ) উনিশ বছর
৬. কর্ভাস হল কাক জাতীয় পাখির—
(ক) গ্রিক নাম
(খ) আরবি নাম
(ঘ) জাপানি নাম
(গ) ল্যাটিন নাম
উত্তরঃ (গ) ল্যাটিন নাম
৭. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর বাড়িতে কোন পোষা পাখি ছিল ?
(ক) কাক
(খ) টিয়া
(গ) ময়না
(ঘ) শালিক
উত্তরঃ (গ) ময়না
৮. সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের কনফারেন্স হয়েছিল–
(ক) চিলির একসেলসিয়রে
(খ) চিলির রাজধানী সানতিয়াগোতে
(গ) হান্ডুরাসে
(ঘ) ব্রাজিলের সাওপাওলোতে
উত্তরঃ (খ) চিলির রাজধানী সানতিয়াগোতে
৯. ম্যালিফাউল পাখি সাধারণত দেখা যায়–
(ক) আমেরিকাতে
(খ) অস্ট্রেলিয়াতে
(গ) জাপানে
(ঘ) ভারতে
উত্তরঃ (খ) অস্ট্রেলিয়াতে।
১০. পক্ষীবিজ্ঞানীদের সম্মেলনের চেয়ারম্যান ছিলেন–
(ক) গ্রেনফেল
(খ) কোভারুবিয়াস
(গ) কারেরাস
(ঘ) তোমাসাকা মোরিমোতো
উত্তরঃ (খ) কোভারুবিয়াস।
১১. প্রোফেসর শঙ্কু আবিষ্কৃত পাখি পড়ানো যন্ত্রটির নাম—
(ক) অরনিথন
(খ) লিঙ্গুয়াগ্রাফ
(গ) মিরাকিউরল
(ঘ) অ্যানাইহিলিন।
উত্তরঃ (ক) অরনিথন।
১২. প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে প্রথম কোন বিষয় শেখাতে শুরু করেন ?
(ক) সহজ বাংলা
(খ) সহজ রসায়ন
(গ) সহজ অঙ্ক
(ঘ) সহজ ইংরেজি
উত্তরঃ (ক) সহজ বাংলা
১৩. প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর ছাত্র কাকটিকে যে নামে ডাকতেন–
(ক) নিউটন
(খ) প্রহ্লাদ
(গ) কর্ভাস
(ঘ) অরনিথন
উত্তরঃ (গ) কর্ভাস।
১৪. আর্গাসের চশমার পাওয়ার ছিল–
(ক) মাইনাস কুড়ি
(খ) মাইনাস পনেরো
(গ) মাইনাস বারো
(ঘ) মাইনাস দশ
উত্তরঃ (ক) মাইনাস কুড়ি।
১৫. আর্গাস কত টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিল ?
(ক) সাত হাজার এসকুডো
(খ) আট হাজার এসকুডো
(গ) নয় হাজার এসকুডো
(ঘ) দশ হাজার এসকুডো
উত্তরঃ (ঘ) দশ হাজার এসকুডো
১৬. দশ হাজার এসকুডো মানে প্রায়—
(ক) তেরো হাজার টাকা
(খ) চোদ্দ হাজার টাকা
(গ) পনেরো হাজার টাকা
(ঘ) ষোলো হাজার টাকা
উত্তরঃ (গ) পনেরো হাজার টাকা
১৭. ‘ম্যানিফিকো’ শব্দের অর্থ
(ক) চমকপ্রদ, অসামান্য
(খ) মারাত্মক সুন্দর
(গ) অসাধারণ চালাক
(ঘ) অত্যন্ত শয়তান
উত্তরঃ (ক) চমকপ্রদ, অসামান্য।
১৮. ‘কর্ভাস’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ–
(ক) কোকিল
(খ) কাক
(গ) ময়না
(ঘ) টিয়া।
উত্তরঃ কাক।
১৯. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর বাড়িতে কোন্ পোষা পাখি ছিল ?
(ক) কাক
(খ) টিয়া
(গ) তোতা
(ঘ) ময়না
উত্তরঃ (ঘ) ময়না
২০. প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা ময়না একদিন চেঁচিয়ে উঠেছিল–
(ক) আগুন, আগুন
(খ) জল, জল
(গ) ভূমিকম্প, ভূমিকম্প
(ঘ) চোর, চোর
উত্তরঃ (গ) ভূমিকম্প, ভূমিকম্প।
২১. ‘কর্ভাস’ গল্প অনুসারে কোন্ পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে ?
(ক) বাবুই
(খ) ম্যালি-ফাউল
(গ) গ্রিব
(ঘ) হামিং বার্ড
উত্তরঃ (খ) ম্যালি-ফাউল
২২. ম্যালি-ফাউল ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোনোর জন্য তাদের বাসার ভিতরের তাপমাত্রা কত রাখে ?
(ক) সত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট
(খ) বাহাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট
(গ) পঁচাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট
(ঘ) আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট
উত্তরঃ (ঘ) আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট।
২৩. কোন্ পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদেরও খাওয়ায় ?
(ক) গ্রিব
(খ) ম্যালি-ফাউল
(গ) বাবুই
(ঘ) হামিং বার্ড
উত্তরঃ (ক) গ্রিব
২৪. ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি যন্ত্রটির কাজ হল—
(ক) পাখিকে পড়ানো
(খ) পাখিকে খাওয়ানো
(গ) পাখিকে গান শেখানো
(ঘ) পাখিকে ম্যাজিক শেখানো
উত্তরঃ (ক) পাখিকে পড়ানো
২৫. সব পাখির মধ্যে কোন্ বিশেষ পাখি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ?
(ক) চড়ুই
(খ) ম্যালি-ফাউল
(গ) গ্রিব
(ঘ) কাক
উত্তরঃ (ঘ) কাক
২৬. প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে প্রথম কী শেখাতে শুরু করেন ?
(ক) সহজ বাংলা
(খ) সহজ ইংরেজি
(গ) সহজ অঙ্ক
(ঘ) সহজ রসায়ন
উত্তরঃ (ক) সহজ বাংলা
২৭. আর্গাস হোটেলের ঘরে ঢোকার পর প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর পকেটে দেখতে পান—
(ক) একটি রুমাল
(খ) পিস্তল
(গ) কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো’র সান্ধ্য সংস্করণ
(ঘ) দামি কলম
উত্তরঃ (গ) কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো’র সান্ধ্য সংস্করণ
২৮. ‘কর্ভাস’ গল্পে গ্রিক উপকথায় যে কীর্তিমান পুরুষের উল্লেখ পাওয়া যায়, তাঁর নাম–
(ক) কর্ভাস
(খ) কারেরাস
(গ) আর্গাস
(ঘ) কোভারুবিয়াস
উত্তরঃ (গ) আর্গাস
২৯. কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাসের মুখ থেকে কোন্ শব্দ উচ্চারিত হয় ?
(ক) ম্যানিফিকো
(খ) গ্রেট
(গ) চালাক
(ঘ) কাক
উত্তরঃ (ক) ম্যানিফিকো
৩০. হোটেলের ঘর থেকে কবে কর্ভাস উধাও হয়ে যায় ?
(ক) ১৪ নভেম্বর
(খ) ১২ নভেম্বর
(গ) ১৬ নভেম্বর
(ঘ) ১৮ নভেম্বর
উত্তরঃ (গ) ১৬ নভেম্বর
৩১. হোটেলের কত নম্বর ঘরে প্রোফেসর শঙ্কু কর্ভাসকে রেখেছিলেন ?
(ক) সত্তর নম্বর
(খ) একাত্তর নম্বর
(গ) বাহাত্তর নম্বর
(ঘ) তিয়াত্তর নম্বর
উত্তরঃ (খ) একাত্তর নম্বর
৩২.আর্গাস কোন্ গাড়ি করে কর্ভাসকে নিয়ে গিয়েছিলেন ?
(ক) কালো মারসেডিস
(খ) সিলভার মারসেডিস
(গ) সিলভার ক্যাডিলাক
(ঘ) কালো ক্যাডিলাক
উত্তরঃ (গ) সিলভার ক্যাডিলাক
৩৩. আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমাটা ছিল—
(ক) রুপোর
(খ) সোনার
(গ) ব্রোঞ্জের
(ঘ) ফাইবারের
উত্তরঃ (খ) সোনার
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর কর্ভাস গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | SAQ Question Answer Korvas Class 9 Bengali wbbse
• কম-বেশী ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কী ধারণা ছিল ?
উত্তরঃ ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে এই ধারণা ছিল যে পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না।
২. ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু কাকে একশোর ওপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বাড়ির পোষা ময়নাকে একশোটির ওপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন।
৩. প্রফেসারের পোষা বিড়াল নিউটন কী পছন্দ করে না ?
উত্তরঃ নিউটন একেবারেই পাখি পছন্দ করে না।
৪. অস্ট্রেলিয়ার কোন্ পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে ?
উত্তরঃ অস্ট্রেলিয়ায় ম্যালিফাউল নামে একরকম পাখি আছে যারা মাটিতে বালি, মাটি আর উদ্ভিজ্জ দিয়ে বাসা বাঁধে।
৫. ম্যালিফাউল পাখি ডিমে তা না দেওয়া সত্ত্বেও কী উপায়ে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয় ?
উত্তরঃ ম্যালিফাউল আশ্চর্য উপায়ে তার বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখায় ডিমে তা না দিয়েও ডিম ফোটাতে পারে।
৬. কোন্ পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায় ?
উত্তরঃ গ্রিব নামের এক ধরনের পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায়।
৭. গ্রিব পাখি কী উপায়ে জলে ভেসে থাকে ?
উত্তরঃ গ্রিব পাখি নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো এক অজ্ঞাত উপায়ে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবে ভাসতে থাকে।
৮. সব পাখির মধ্যে কোন্ পাখি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল ?
উত্তরঃ সব পাখির মধ্যে একটি কাক বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।
৯. প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন ?
উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু পাখি পড়ানোর যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন।
১০. অরনিথন যন্ত্রটির কাজ কী ?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পাখির মস্তিষ্কে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালনা করাই হল অরনিথন যন্ত্রের কাজ।
১১. প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে আলাদাভাবে কী করে চিনতেন ?
উত্তরঃ কাকটির ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি থাকায় এবং তার হাবভাব অন্য রকম হওয়ায় শঙ্কু তাকে চিনতে পারতেন।
১২. কর্ভাস্ কোন্ জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম ?
উত্তরঃ কর্ভাস্ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম।
১৩. কবে, কোথায় সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল ?
উত্তরঃ নভেম্বর মাসে চিলির রাজধানী সানতিয়াগো শহরে সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল।
১৪. প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম কী ?
উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম হল রিউফাস গ্রেনফেল।
১৫. প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু কোথায় থাকেন ?
উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু মিনেসোটাতে থাকেন।
১৬. ‘আমার ছাত্রটিকে আমি ওই নামেই ডাকছি।’– ছাত্রটি কে ?
উত্তরঃ ছাত্রটি হল শঙ্কুর পোষা একটি বুদ্ধিমান কাক।
১৭. প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর কাককে কী নামে ডাকতেন ?
উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর কাককে কর্ভাস নামে ডাকতেন।
১৮. কর্ভাস কাগজে কীভাবে নিজের নাম ইংরেজিতে লেখে ?
উত্তরঃ কাগজটাকে টেবিলের উপরে ফেলে দিতে হয়। কর্ভাস তার উপরে দাঁড়িয়ে নিজের নাম লেখে।
১৯. কভার্স শঙ্কুর অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে কী কী শিখেছিল ?
উত্তরঃ কভার্স অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা– সহ অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি শিখেছিল।
২০. কর্ভাসের মধ্যে যে মানবসুলভ বুদ্ধি জেগে উঠেছিল, তার উদাহরণ পাওয়া যায় কোন্ ঘটনায় ?
উত্তরঃ সানতিয়াগো যাবার জন্য শঙ্কুর সুটকেস গোছানোর শেষে ঠোঁটে করে চাবি এগিয়ে দেওয়াই কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির প্রকাশ।
২১. কর্ভাস কীভাবে প্রোফেসর শঙ্কুকে তাঁর পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল ?
উত্তরঃ প্রথমে খাঁচায় ছটফট করে এবং পরে ঠোঁট দিয়ে দেরাজে টোকা মেরে কর্ভাস শঙ্কুকে পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।
২২. প্লেনে কর্ভাসের আচরণ কেমন ছিল ?
উত্তরঃ কর্ভাস প্লেনে সাধারণ কাকের মতোই আচরণ করেছিল।
২৩. প্রোফেসর শঙ্কু ১৪ নভেম্বর কোথায় ছিলেন ?
উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু ১৪ নভেম্বর চিলির সানতিয়াগো শহরে ছিলেন। সেখানে হোটেল একসেলসিয়রে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল।
২৪. সানতিয়াগোর কোন্ কাগজে কর্ভাসের খবর ও কী ছবি বেরিয়েছিল ?
উত্তরঃ কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগোর সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের খবর ও পেনসিল– মুখে একটা ছবি বেরিয়েছিল।
২৫. মিটিংয়ের পর প্রোফেসর শঙ্কু কাদের সাথে সানতিয়াগো শহরটা দেখতে বেরিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ মিটিংয়ের পর প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বন্ধু গ্রেনফেল ও সম্মেলনের চেয়ারম্যান সিনিয়র কোভারুবিয়াসের সঙ্গে শহর দেখতে বেরিয়েছিলেন।
২৬. কোন্ পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে ?
উত্তরঃ পূর্ব দিকে আন্ডিজ (আন্দিজ) পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
২৭. প্রোফেসর শঙ্কু চিলিতে গিয়ে কার ম্যাজিক দেখেছিলেন ?
উত্তরঃ চিলিতে গিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের ম্যাজিক দেখেছিলেন।
২৮. চিলিয়ান জাদুকরের ম্যাজিকের বিশেষত্ব কী ছিল ?
উত্তরঃ চিলিয়ান জাদুকরের ম্যাজিকের বিশেষত্ব ছিল তিনি ম্যাজিকে নানা ধরনের পাখি ব্যবহার করতেন।
২৯. আর্গাস নামটি কোথায় পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ আর্গাস নামটি রয়েছে গ্রিক উপকথায়। গ্রিক দেবী হেরা আর্গাসের চোখগুলি তুলে ময়ূরের পুচ্ছে বসিয়ে দিয়েছিলেন।
৩০. “নামটা শুনে বাধ্য হয়েই ভদ্রলোককে উপরে আসতে বলতে হলো।”– কার নাম ?
উত্তরঃ নামটি হল আর্গাস। ইনি বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর। ইনি রাতে হোটেলে প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
৩১. সেই কীর্তিমান পুরুষটির সঙ্গে পাখির একটা সম্পর্ক রয়েছে।– কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ এখানে গ্রিক উপকথায় উল্লিখিত সর্বাঙ্গে সহস্র চোখবিশিষ্ট আর্গাস নামের কীর্তিমান পুরুষের কথা বলা হয়েছে।
৩২. কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস কোন্ স্প্যানিশ শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন ?
উত্তরঃ কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস স্প্যানিশ ম্যানিফিকো শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন।
৩৩. স্প্যানিশ শব্দ ম্যানিফিকো’র অর্থ কী ?
উত্তরঃ স্প্যানিশ শব্দ ম্যানিফিকো’র অর্থ চমকপ্রদ, অসামান্য।
৩৪. “সেই থেকেই ময়ূরের লেজে চাকা চাকা দাগ।”— কখন থেকে ?
উত্তরঃ গ্রিক উপকথা অনুসারে দেবী হেরা আর্গাসের সহস্র চোখ ময়ূরের লেজে বসানোর সময় থেকেই তাতে চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।
৩৫. “ওই পাখি আমার চাই আমার চাই আমার চাই”– কে, কার কাছে কোন্ পাখি চেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর কাছ থেকে তাঁর পোষা বুদ্ধিমান কাক কর্ভাসকে চেয়েছিলেন।
৩৬. আর্গাস তাঁর ক্রোড়পতি হওয়ার প্রমাণ হিসেবে কী কী উদাহরণ দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ আর্গাস বলেছিলেন যে তাঁর পঞ্চাশ কামরাবিশিষ্ট প্রাসাদ রয়েছে। বাড়িতে ছাব্বিশ জন চাকর আর চারটে ক্যাডিলাক গাড়ি রয়েছে।
৩৭. কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুকে কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন ?
অথবা,
আর্গাস কত টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুকে দশ হাজার এস্কুডো অর্থাৎ পনেরো হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন।
৩৮. কোন্ জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানীর ভাষণের সময় কর্ভাস চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করেছিল ?
উত্তরঃ জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানী তোমাসাকা মোরিমোতোর ক্লান্তিকর ভাষণের সময় কর্ভাস চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করেছিল।
৩৯. “মুহূর্তের মধ্যে একটা চরম বিপদের আশঙ্কা আমার রক্ত জল করে দিল।”— কোন্ বিপদের আশঙ্কা ?
উত্তরঃ হোটেলের ঘরের দরজা খোলা দেখে শঙ্কুর মনে এই আশঙ্কা হয় যে নিশ্চয়ই কর্ভাস চুরি হয়ে গেছে।
৪০. আর্গাসের আসল নাম কী ?
উত্তরঃ চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের আসল নাম হল দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েন্তো।
৪১. কারেরাস কে ছিলেন ?
উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে আর্গাসের সন্ধানে যাওয়া দুই পুলিশকর্মীর অন্যতম ছিলেন তরুণ কারেরাস।
৪২. আর্গাস কত বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেন ?
উত্তরঃ আর্গাস উনিশ বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেন।
৪৩. আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি কোন্ পথে গিয়েছিল বলে জানা যায় ?
উত্তরঃ আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি হাইওয়ে থেকে পশ্চিমে ভালপারাইজোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিল বলে জানা যায়।
৪৪. সানতিয়াগোতে আর্গাস ছাড়া আর কার সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল ?
উত্তরঃ সানতিয়াগোতে আর্গাসের ছাড়া ব্যাংকার সিনিয়র গাল্দামেসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল।
৪৫. কর্ভাসকে শেষপর্যন্ত কোথায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ?
উত্তরঃ ভালপারাইজো যাওয়ার পথে যেখানে আর্গাসের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল সেখানেই একটা ন্যাড়া অ্যাকেসিয়া গাছের উপরে কর্ভাসকে পাওয়া গিয়েছিল।
৪৬. আর্গাসের চেহারার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ জাদুকর আর্গাসের নাক ছিল পাখির মতো, মাঝখানে সিঁথি করা চুল পিছনে আঁচড়ানো, চোখে মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা দিয়ে মনিগুলোকে দেখাতো বিন্দুর মতো এবং উচ্চতা ছিল প্রায় সাড়ে ছয় ফুট।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর কর্ভাস গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | SAQ Question Answer Korvas Class 9 Bengali wbbse
• কম-বেশী ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
১. “আমার সে ধারণা প্রায় পালটে গেল।”- কার, কোন ধারণার কথা বলা হয়েছে ? তা কীভাবে পালটে গেল ?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘কর্ভাস’ কাহিনি থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে প্রোফেসর শঙ্কুর ধারণার কথা বলা হয়েছে।
ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর ধারণা ছিল যে পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না।
ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর বাড়িতে একটি পোষা ময়না ছিল। প্রোফেসর শঙ্কু তাকে একশোর উপর বাংলা শব্দ স্পষ্টভাবে বলতে শিখিয়েছিলেন। কিন্তু এই সময় তাঁর ধারণা ছিল, পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বুঝতে পারে না। একদিন দুপুরবেলা তিনি স্কুল থেকে ফেরার পর তাঁর মা যখন তাঁকে মোহনভোগ খেতে দিয়েছেন তখন হঠাৎই ময়নাটা ‘ভূমিকম্প, ভূমিকম্প’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে। সেই সময় কেউ কোনো কম্পন অনুভব করতে পারেনি। কিন্তু পরের দিন কাগজে বেরোয় যে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে সত্যিই নাকি একটা মৃদু কম্পন ধরা পড়েছে।
এই ঘটনার পর থেকেই প্রোফেসর শঙ্কুর এই ধারণা পালটে যায় যে পাখি কথা বললেও কথার মানে বোঝে না। তিনি বুঝতে পারেন, পাখিরা যেমন কথা বলতে পারে, তেমন সেই কথার মানেও বুঝতে পারে।
২. “কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়”– কী করে বোঝা যায় কর্ভাস সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায় ?
উত্তরঃ সেদিন ছিল ২২শে অক্টোবর। দুপুরে হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। বেলা তিনটে নাগাদ একটা কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ শুনে জানালার কাছে গিয়ে প্রফেসর শঙ্কু দেখলেন যে, তার বাগানের শিমুল গাছের মাথা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থামার পর, সেই তল্লাটে যত কাক ছিল সব ওই মরা শিমুল গাছটার জড়ো হয়ে কোলাহল করছিল। তখন তিনি চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠান। সে ফিরে এসে জানালো একটা কাক মরে পড়ে আছে গাছটার নিচে। তাই সমস্ত কাক সেখানে হল্লা লাগিয়েছে। কিন্তু কর্ভাস ঘর থেকে বের হবার কোনো আগ্রহ দেখালো না। সে একমনে পেন্সিল মুখে দিয়ে প্রাইম নাম্বার লিখে যাচ্ছিল। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে,কর্ভাস এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়।
৩. ম্যালি ফাউল ও গ্রিব নামের পাখি সম্পর্কে আমরা কর্ভাস গল্পে কী কী তথ্য পাই ?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস গল্পে আমরা ম্যালি ফাউল এবং গ্রিব নামক পাখির বৈশিষ্ট্যের কথা জানতে পারি।
ম্যালি ফাউলঃ অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসকারী ম্যালি-ফাউল বলে এক বিশেষ প্রজাতির পাখির উল্লেখ আছে, যারা মাটিতে বাসা তৈরি করে। বালি, মাটি আর নানারকম উদ্ভিজ্জ দিয়ে তারা একটি ঢিপি তৈরি করে, আর তার ভিতরে ঢোকার জন্য একটি গর্ত থাকে। তারা বাসার ভিতরে ডিম পাড়ে, কিন্তু ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার জন্য ডিমে তা দেয় না। ম্যালি-ফাউলরা কোনো-এক আশ্চর্য ও অজ্ঞাত কৌশলে বাসার ভিতরের তাপমাত্রা ঠিক আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখে, এক ডিগ্রিও এদিক-ওদিক হতে দেয় না। বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা বা গরম যাই থাকুক না কেন, তাদের বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইটেই স্থির থাকে। এই উষ্ণতাই ডিম ফুটে শাবক বেরোনোর জন্য আদর্শ।
গ্রিব পাখিঃ গ্রিব নামক একধরনের পাখি আছে যারা নিজেরাই নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় আর শাবকদেরও খাওয়ায়। তাদের এই আচরণের কারণ কেউ জানে না। এরা আবার জলে ভাসমান অবস্থায় কোনো শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে, নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো-এক অজ্ঞাত উপায়ে বায়ু বার করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বা আপেক্ষিক গুরুত্ব বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবে থাকতে পারে।
৪. পাখি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর কৌতুহলের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ প্রত্যেক প্রাণীরই কিছু নির্দিষ্ট সহজাত ক্ষমতা থাকে। প্রফেসর শঙ্কুর ধারণায়, অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরো বেশি বিস্ময়কর। একটা বাবুই পাখির বাসা হাতে নিয়ে দেখলে অবাক হতে হয়। একজন মানুষকে যদি ঐরকম একটা বাসা তৈরি করতে বলা হয় সেই কাজটা আদৌ করতে পারা যাবে না আর করা গেলেও অনেক পরিশ্রম লেগে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যালি-ফাউল পাখি মাটিতে বাস করে। তারা ডিম পাড়ে বাসার ভেতরে কিন্তু ডিমে তা দেয় না। তারা এক আশ্চর্য অজ্ঞাত কৌশলে বাসার ভেতরে তাপমাত্রা 78 ডিগ্রী ফারেনহাইটের 1 ডিগ্রীও এদিক ওদিক হতে দেয় না। তারা নিজেদের পালক নিজেরাই ছিঁড়ে খায় এবং শাবকদের খাওয়ায়। এরা জলে ভাসমান অবস্থায় কোন শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে নিজের দেহে ও পালক থেকে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরে স্পেসিফিক গ্রাভিটি বাড়িয়ে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে। এছাড়াও যাযাবর পাখির দিক নির্ণয় ক্ষমতা, ঈগল,বাজের শিকার ক্ষমতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি প্রভৃতি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর এরকম ধারনা ছিল।
৫. “ওই পাখি আমার চাই প্রফেসর”– বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি ? শেষ পর্যন্ত তিনি কী করেছিলেন?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি’ গল্পের অন্তর্গত ‘কর্ভাস’ অংশের আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।
আর্গাস পাখি নিয়ে ম্যাজিক দেখাতেন। তিনি খবরের কাগজে কর্ভাসের সংবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই তিনি হোটেলে প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ভদ্রতাবশত শঙ্কু তাকে ঘরে ডেকে পাঠান। কর্ভাস বিরক্ত হয়ে খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঠোঁট দিয়ে আলো নিভিয়ে আবার খাঁচায় ঢুকে ঠোট দিয়ে খাঁচার দরজা বন্ধ করে দেয়। আর্গাস সামান্য পাখির এই কান্ড দেখে অবাক হয়ে যায়। তাই তিনি যে কোন প্রকারে কর্ভাসকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।
আর্গাস কিছুক্ষণের মধ্যে বুঝতে পারেন যে শঙ্কু এবং কর্ভাস কেউই তার প্রস্তাবে রাজি নন। তখন তিনি শঙ্কুকে লোভ দেখিয়ে কর্ভাসকে নিতে চান। কিন্তু তাতে কোনরকম ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। তাই তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তিনি পরেরদিন দুপুরে অনুপস্থিতির সুযোগে রুমবয়দের সুযোগ নিয়ে কর্ভাসকে চুরি করেছিলেন।
৬. চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের চরিত্র সম্পর্কে যা জান লেখো।
উত্তরঃ বিখ্যাত সাহিত্যিক ও চিত্রকর সত্যজিৎ রায়ের রচিত ‘প্রফেসর শঙ্কুর ডাইরি’ কাহিনী অংশে আমরা, আর্গাস নামক এক চিলিয়ান যাদুকরের পরিচয় পেয়ে থাকি।
চেহারার স্বতন্ত্রতা : আর্গাস ছিলেন ছ-ফুটেরও বেশি লম্বা। তাঁর টিয়াপাখির মতো নাক, গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো চকচকে চুল, সামনে সিঁথি করে পিছনে টান করে আঁচড়ানো। চোখে মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা। এই চেহারা এবং শীর্ণ ও ফ্যাকাসে হাতের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির দ্বারা তিনি দর্শকদের সম্মোহিত করতেন।
অতিরিক্ত কৌতূহল : আর্গাসের ম্যাজিকের একটি বিশেষত্ব ছিল যে তিনি তাঁর ম্যাজিকের খেলায় বিভিন্ন পাখিকে ব্যবহার করতেন। কর্ভাসের খবর পেয়ে তিনি সেই রাত্রেই হোটেলে কর্ভাসকে দেখতে চলে আসেন তাঁর কৌতূহল মেটাতে কর্ভাসের বুদ্ধির নমুনা তিনি তক্ষুনিই দেখতে চান।
লোভ ও অহংকার : কর্ভাসের বুদ্ধির পরিচয় পাওয়ার পর আর্গাস আর নিজের লোভ সংবরণ করতে না পেরে, টাকার বিনিময়ে তিনি প্রোফেসরের কাছ থেকে কর্ভাসকে কিনে নিতে চান। তিনি অহংকারের সঙ্গে এও বুঝিয়েও দেন যে তিনি কোটিপতি, তাই তিনি চাইলে কর্ভাসকে যে-কোনো মূল্যে কিনে নিতে পারেন। কিন্তু প্রোফেসর শঙ্কু সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে তিনি ছলনার আশ্রয় নিয়ে কর্ভাসকে চুরি করে নিয়ে যান।
৭. ‘বেশ বুঝতে পারছি সে অবাক, হতভম্ব।’- সে কে ? সে কোন্ ঘটনায় ‘অবাক, হতভম্ব হয়েছিল ?
উত্তরঃ সত্যজিত রায়ের ‘কভার্স’ গল্প থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে ‘সে’ হল বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।
অবাক হওয়ার কারণ : সানতিয়াগো’র সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের ছবিসহ সংবাদ পড়ে জাদুকর আর্গাস সেদিন রাতেই একসেলসিয়র হোটেলের ঘরে প্রোফেসর শঙ্কুর সাথে দেখা করতে আসেন। প্রোফেসরের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আর্গাস খাঁচার মধ্যে কর্ভাসকে দেখতে পান। আর্গাসের অট্টহাসির আওয়াজে কর্ভাস জেগে ওঠে। কর্ভাসকে দেখেই আর্গাস কালবিলম্ব না করে প্রোফেসর শঙ্কুকে অনুরোধ করেন যে তিনি তখনই একবার কর্ভাসের বুদ্ধির নমুনা দেখতে চান। প্রোফেসর জানান যে কর্ভাস এখন ক্লান্ত, তাই ওকে দিয়ে জোর করে কিছু করানো সম্ভব নয়। কর্ভাসের মর্জি না হলে সে কিছুই করবে না। এরপর প্রোফেসর খাঁচার দরজা খুলে দিলে কর্ভাস বেরিয়ে এসে ডানা ঝাপটিয়ে খাটের পাশে টেবিলে গিয়ে ঠোটের এক ঠোকরে ল্যাম্পটা নিবিয়ে দেয়।। কর্ভাস ডানা ঝাপটিয়ে আবার খাঁচায় ঢুকে ঠোঁট দিয়ে দরজা টেনে বন্ধ করে দেয়। কর্ভাস এভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে সে বিশ্রাম চাইছে। সেই সময় প্রোফেসর শঙ্কু আর্গাসের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারেন যে কর্ভাসের এই আচরণে তিনি অবাক ও হতভম্ব হয়ে গেছেন।
৮. “পরে সম্পর্কটা বন্ধুত্বে পরিণত হলেও আশ্চর্য হব না।”- এখানে কোন্ সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে ? কোন্ ঘটনা ঘটেছিল ?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘কর্ভাস’ গল্প থেকে গৃহীত এই উদ্ধৃতিটিতে প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা বিড়াল নিউটনের সঙ্গে কর্ভাস নামের তাঁরই পোষা কাকের সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
নিউটন প্রথমদিকে কোনো পাখিকে পছন্দ না করলেও পরবর্তীকালে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার এই স্বভাব বদলাতে থাকে। তাই কভার্সকে সে মেনে নিয়েছিল। তবে একদিনের একটি ঘটনায় প্রোফেসর শঙ্কুর মনে হয় নিউটন ও কর্ভাসের সম্পর্কটা হয়তো ভবিষ্যতে বন্ধুত্বে পরিণত হতে পারে। একদিন দুপুরে নিউটন প্রোফেসরের আরাম কেদারার পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়েছিল, কর্ভাস সেই সময় ঘরে ছিল না। হঠাৎ নোট লিখতে লিখতে প্রোফেসর ডানার ঝটপটানির শব্দ শুনে জানালার দিকে চেয়ে দেখেন কর্ভাস ঘরে ঢুকেছে, আর তার ঠোঁটে ঝুলছে সদ্য-কাটা একটি মাছের টুকরো। প্রোফেসরকে প্রায় অবাক করে দিয়ে কর্ভাস নিউটনের সামনে সেই মাছের টুকরোটি ফেলে দিয়ে জানালায় ফিরে গিয়ে বসে ঘাড় বেঁকিয়ে এদিক-ওদিক দেখতে থাকে। নিউটনের জন্য কর্ভাসের এই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে প্রোফেসরের মনে হয়েছিল এদের দুজনের সম্পর্কটা হয়তো ভবিষ্যতে বন্ধুত্বে পরিণত হতে পারে।
৯. কর্ভাস কী করে চুরি হল ? কর্ভাসকে কীভাবে পাওয়া গিয়েছিল তা কাহিনী অনুসারে লেখো।
উত্তরঃ বিখ্যাত চিত্র পরিচালক ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের এক কল্প বিজ্ঞানমূলক কাহিনী হল। ‘প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি’।
চিলির রাজধানী শান্তিয়াগোতে পক্ষীবিজ্ঞানী সম্মেলনে প্রফেসর শঙ্কু তার মানবসুলভ বুদ্ধিসম্পন্ন কাক অর্থাৎ কর্ভাসকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানকার এক বিখ্যাত জাদুঘর যার নাম আর্গাস তিনি কর্ভাসের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে প্রফেসর শঙ্কুর কাছ থেকে কর্ভাসকে কিনে নিতে চেয়েছিলেন। টাকার লোভ দেখিও যখন প্রফেসর শঙ্কুর কাছ থেকে পাখিটি কিনতে ব্যর্থ হন, তখন প্রফেসর শঙ্কুর অনুপস্থিতিতে আর্গাস পাখিটিকে চুরি করে নিয়ে চলে যায়।
হোটেলে ফিরে প্রফেসর শঙ্কু কর্ভাসকে না দেখতে পেয়ে বুঝে নেয় আর্গাস তার কর্ভাসকে চুরি করে নিয়েছে। এরপর কভারুবিয়াসের শরণাপন্ন হলে তিনি কয়েকজন লোক এবং একটি গাড়ি দিয়ে আর্গাসকে খুঁজে পেতে প্রফেসর শঙ্কুকে সাহায্য করেন। খানিক রাস্তা যাওয়ার পর হাই রোডের কাছে আর্গাসের গাড়িটি অ্যাক্সিডেন্ট অবস্থায় দেখতে পায়। গাড়ি আছে কিন্তু জাদুকর বা কর্ভাস কোথাও নেই দেখে প্রফেসর শঙ্কু খানিক বাদে আর্গাসের চিৎকার শুনতে পান। আসলে কর্ভাস বুদ্ধি করে খাঁচা থেকে বেরিয়ে আর্গাসের চশমাটি খুলে নিয়েছিল। কিছু না দেখতে পেয়েছি এক্সিডেন্ট করে বসে। এরপর আর্গাসকে গ্রেফতার করা হয়, শেষে প্রফেসর শঙ্কু তার করভাসকে একাশিয়া গাছের উপর খুঁজে পায়। আলোচ্য গল্পে এই ভাবেই প্রফেসর শঙ্কু তার হৃদয় প্রিয় কর্ভাসকে খুঁজে পেয়েছিল।