স্বর্ণপর্ণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | Sornoporni (Swarnoporni) Golper Question Answer Class 9 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

স্বর্ণপর্ণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | Sornoporni (Swarnoporni) Golper Question Answer Class 9 Bengali wbbse

প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি
নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ

নবম শ্রেণি বাংলা স্বর্ণপর্ণী গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Class 9 Bengali Sornoporni Golper Question Answer wbbse

নবম শ্রেণির বাংলা সহায়ক পাঠ বহু বিকল্পীয়, অতি সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | West Bengal Class 9 Bengali Sornoporni Golper Question Answer wbbse

1. নবম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. নবম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

নবম শ্রেণির বাংলা সহায়ক পাঠ বহু বিকল্পীয়, অতি সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | West Bengal Class 9 Bengali Sornoporni Golper Question Answer wbbse

বহুবিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর স্বর্ণপর্ণী গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | MCQ Question Answer Sornoporni Class 9 Bengali wbbse

• ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

১। প্রফেসর শঙ্কুর জন্মদিনটি হল—
(ক) ১৬ মার্চ
(খ) ২২ এপ্রিল
(গ) ১৬ জুন
(ঘ) ২৪ মার্চ

উত্তরঃ (গ) ১৬ জুন

২। প্রফেসর শঙ্কুর পোষ্য নিউটন হল—
(ক) কুকুর
(খ) বিড়াল
(গ) ছাগল
(ঘ) ঘোড়া

উত্তরঃ (খ) বিড়াল।

৩। গল্পে বর্ণিত নিউটনের বয়স এখন—
(ক) চব্বিশ
(খ) কুড়ি
(গ) পনেরো
(ঘ) দশ

উত্তরঃ (ক) চব্বিশ।

৪। গল্পে বর্ণিত প্রোফেসর শঙ্কু মিবাকিউব্ল বানিয়েছিলেন—
(ক) পঁচিশ বছর বয়সে
(খ) পঞ্চাশ বছর বয়সে
(গ) পঁচাত্তর বছর বয়সে
(ঘ) চল্লিশ বছর বয়সে

উত্তরঃ (ক) পঁচিশ বছর বয়সে

৫। প্রোফেসর শঙ্কুর খ্যাতি সাধারণত—
(ক) প্রচারক হিসেবে
(খ) বিশ্লেষক হিসেবে
(গ) আবিষ্কারক হিসেবে
(ঘ) প্রেরক হিসেবে

উত্তরঃ (গ) আবিষ্কারক হিসেবে।

৬। অ্যানাইহিলিন একটি—
(ক) ওষুধ
(খ) মলম
(গ) তেল
(ঘ) পিস্তল

উত্তরঃ (ঘ) পিস্তল।

৭। শঙ্কু আবিষ্কৃত অচেনা ভাষা ইংরেজিতে অনুবাদ করার যন্ত্রের নাম—
(ক) লুমিনিম্যাক্স
(খ) লিঙ্গুয়াগ্রাফ
(গ) সমনোলিক
(ঘ) রিমেমব্রেন

উত্তরঃ (খ) লিঙ্গুয়াগ্রাফ।

৮। প্রফেসর শঙ্কুর বাবার নাম—
(ক) ত্রিপুরারি শঙ্কু
(খ) ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু
(গ) ত্রিপুরাশংকর শঙ্কু
(ঘ) ত্রিপ্রহরী শঙ্কু

উত্তরঃ (খ) ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু।

৯। প্রফেসর শঙ্কুর বাবার পেশা ছিল—
(ক) বিজ্ঞানচর্চা
(খ) অধ্যাপনা
(গ) ওকালতি
(ঘ) চিকিৎসা

উত্তরঃ (ঘ) চিকিৎসা।

১০। মেধাবী প্রোফেসর শঙ্কু বি এস সি পাশ করেন—
(ক) কুড়ি বছর বয়সে
(খ) আঠারো বছর বয়সে
(গ) ষোলো বছর বয়সে
(ঘ) উনিশ বছর বয়সে

উত্তরঃ (গ) ষোলো বছর বয়সে।

১১। প্রোফেসর শঙ্কুরা বাস করতেন—
(ক) গিরিডিতে
(খ) মধুসুরে
(গ) হলদিয়াতে
(ঘ) জমিডিতে

উত্তরঃ (ক) গিরিডিতে।

১২। বাবার কথামতো প্রোফেসর শঙ্কু চাকরি না করে পড়াশুনা ও গবেষণা করেছিলেন—
(ক) পাঁচবছর
(খ) চারবছর
(গ) তিনবছর
(ঘ) ছয় বছর

উত্তরঃ (ঘ) ছয় বছর।

১৩। শঙ্কু অধ্যাপনা করতেন কলকাতার—
(ক) স্কটিশচার্চ কলেজে
(খ) প্রেসিডেন্সি কলেজে
(গ) যোগমায়া কলেজে
(ঘ) বঙ্গবাসী কলেজে

উত্তরঃ (ক) স্কটিশচার্চ কলেজে।

১৪। প্রোফেসর শঙ্কু অধ্যাপনা শুরু করেন—
(ক) বাইশ বছর বয়সে
(খ) কুড়ি বছর বয়সে
(গ) পঁচিশ বছর বয়সে
(ঘ) ত্রিশ বছর বয়সে

উত্তরঃ (খ) কুড়ি বছর বয়সে।

১৫। শঙ্কুর বাবা আক্রান্ত হয়েছিলেন—
(ক) টাইফয়েড রোগে
(খ) মৃগী রোগে
(গ) হার্টব্লক হয়ে
(ঘ) হাঁপানি রোগে

উত্তরঃ (গ) হার্টব্লক হয়ে।

১৬। শঙ্কুর বাবার চিকিৎসার জন্য ডাকা হয়েছিল—
(ক) ড. খাস্তগীরকে
(খ) ড. খাসনবীশকে
(গ) ড. পট্টনায়েককে
(ঘ) ড. সর্বাধিকারীকে

উত্তরঃ (ঘ) ড. সর্বাধিকারীকে।

১৭। হার্টব্লকের চিকিৎসার জন্য এখন যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেটির নাম—
(ক) প্রেসটেকার
(খ) পেসমেকার
(গ) পেসচেকার
(ঘ) পেশব্লকার

উত্তরঃ (খ) পেসমেকার

১৮। টিকড়ীবাবা যে নদীর ওপরে একে গ্রামে ধ্যান করলে, তার নাম—
(ক) কন্স
(খ) উশ্রী
(গ) নর্মদা
(ঘ) শোন

উত্তরঃ (খ) উশ্রী

১৯। টিকড়ীবাবা হিন্দিতে যে গাছটির কথা বলেছিলেন তা হল—
(ক) ধনেপত্তী
(খ) সোনেপত্তী
(গ) শালপত্তী
(ঘ) সেওপত্তী

উত্তরঃ (খ) সোনেপত্তী

২০। টিকড়ী বাবার যুবা বয়েসে যে রোগ হয়েছিল সেটির নাম—
(ক) পান্ডুরোগ
(খ) মৃগীরোগ
(গ) কাশরোগ
(ঘ) কলেরারোগ

উত্তরঃ (ক) পান্ডুরোগ।

২১। প্রফেসর শঙ্কু গিয়েছিলেন স্বর্ণপর্ণী গাছড়ার সন্ধানে—
(ক) সিমলা
(খ) কসৌলি
(গ) মাসুবী
(ঘ) দেরাদুন

উত্তরঃ (খ) কসৌলি।

২২। কসৌলির এক হোটেল ম্যানেজারের নাম—
(ক) নন্দকিশোর
(খ) ব্রজদুলাল
(গ) গৌরকিশোর
(ঘ) ব্রজদুলাল

উত্তরঃ

২৩। ‘একেলা মৎ যাইয়ে বাবুজী’ বলেছিল—
(ক) বাবুলাল
(খ) ছোটেলাল
(গ) হরলাল
(ঘ) বিশ্বনাথ

উত্তরঃ (খ) ছোটেলাল।

২৪। গিরিডিবাসী উকিল জয়গোপাল মিত্রের যে রোগ ছিল—
(ক) হাঁপানি রোগ
(খ) পান্ডুরোগ
(গ) গোদ রোগ
(ঘ) উদারি রোগ

উত্তরঃ (ঘ) উদারি রোগ।

২৫। ‘তিলু বাবা তিলু। এসে দেখে যাও’ বলেছিলেন—
(ক) জয়ন্তী কাকিমা
(খ) জয়ন্তী মাসিমা
(গ) জয়ন্তী বৌদি
(ঘ) জয়ন্তী দি

উত্তরঃ (খ) জয়ন্তী মাসিমা

২৬। গিরিডির বাগানে স্বর্ণপর্ণীর মোট চারা হয়েছিল—
(ক) বারোটি
(খ) দশটি
(গ) এগারোটি
(ঘ) তেরোটি

উত্তরঃ (গ) এগারোটি

২৭। জীবতত্ত্ব সম্বন্ধে একটি চমৎকার প্রবন্ধ বেরিয়েছিল লন্ডনের—
(ক) ‘ইলাসট্রেটেও উইকলি’ পত্রিকায়
(খ) ‘নেচার’ পত্রিকায়
(গ) ‘সায়েন্স’ পত্রিকায়
(ঘ) ‘দি অবজারভার’

উত্তরঃ (খ) ‘নেচার’ পত্রিকায়।

২৮। প্রফেসর শঙ্কুর বিলাতের বিশিষ্ট বন্ধুর নাম—
(ক) জেরেমি সন্ডার্স
(খ) অলিভার নোবেল
(গ) জ্যাক নেলসন
(ঘ) জন উইলিয়াম

উত্তরঃ (ক) জেরেমি সন্ডার্স

২৯। প্রফেসর শঙ্কু দশটি মিরাকিউরল বড়ি সন্ডার্সকে পাঠিয়েছিলেন—
(ক) দূত মারফত
(খ) সাধারণ ভাবে
(গ) কুরিয়ার সার্ভিসে
(ঘ) এয়ার মেলে

উত্তরঃ (ঘ) এয়ার মেলে।

৩০। ‘বৈভবের প্রতি আমার কোনো আকর্ষণ নেই’ বলেছিলেন—
(ক) সন্ডার্স
(খ) নরবার্ট
(গ) প্রফেসর শঙ্কু
(ঘ) গোয়রিং

উত্তরঃ (গ) প্রফেসর শঙ্কু।

৩১। প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডন পাড়ি দেন—
(ক) ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭
(খ) ২০ নভেম্বর ১৯৩৭
(গ) ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬
(ঘ) ৩১ অক্টোবর ১৯৩৫

উত্তরঃ (ক) ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭

৩২। ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ন্যাশনাল গ্যালারি, তুস্যোর মিউজিয়াম রয়েছে—
(ক) প্যারিসে
(খ) বার্লিনে
(গ) লন্ডনে
(ঘ) ভিয়েনায়

উত্তরঃ (গ) লন্ডনে।

৩৩। ইংল্যান্ডে উইক এন্ড হল—
(ক) সোম-মঙ্গল
(খ) রবি-সোম
(গ) শনি-রবি
(ঘ) শুক্র-শনি

উত্তরঃ (গ) শনি-রবি

৩৪। নরবার্ট স্টাইনার এসেছিল—
(ক) রোম থেকে
(খ) বার্লিন থেকে
(গ) ভিয়েনা থেকে
(ঘ) লন্ডন থেকে

উত্তরঃ (খ) বার্লিন থেকে।

৩৫। বেদ, উপনিষদ নতুন করে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন—
(ক) সেক্সপিয়র
(খ) হাইনরিখ স্টাইনার
(গ) এডগার্ড নিয়র
(ঘ) স্যামুয়েল

উত্তরঃ (খ) হাইনরিখ স্টাইনার

৩৬। জার্মানির নাৎসি বাহিনী অত্যাচার চালাত—
(ক) খ্রিস্টানদের ওপর
(খ) প্রোটেস্টান্টদের ওপর
(গ) ক্যাথেলিকদের ওপর
(ঘ) ইহুদিদের ওপর

উত্তরঃ (ঘ) ইহুদিদের ওপর।

৩৭। প্রোফেসর শঙ্কু লণ্ডনে মিরাকিউরলের বড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন মোট—
(ক) কুড়িটা
(খ) পঁচিশটা
(গ) ত্রিশটা
(ঘ) চব্বিশটা

উত্তরঃ (ঘ) চব্বিশটা।

৩৮। সন্ডার্স প্রফেসর শঙ্কুকে যে লুগার অটোমেটিক রিভলভারটা দিয়েছিল সেটি তৈরি—
(ক) ইংল্যান্ডে
(খ) জার্মানিতে
(গ) ফ্রান্সে
(ঘ) সুইটজারল্যান্ডে

উত্তরঃ (খ) জার্মানিতে।

৩৯। বার্লিন পৃথিবীর—
(ক) দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর
(খ) তৃতীয় বৃহত্তম শহর
(গ) চতুর্থ বৃহত্তম শহর
(ঘ) বৃহত্তম শহর

উত্তরঃ (ক) দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।

৪০। নরবার্টের বোনের নাম—
(ক) লুসি
(খ) লোনা
(গ) লেনি
(ঘ) লুনি

উত্তরঃ (গ) লেনি।

৪১। নরবার্টের মায়ের নাম—
(ক) আনা
(খ) হানা
(গ) মেরি
(ঘ) সোকিয়া

উত্তরঃ (খ) হানা।

৪২। প্রফেসর শঙ্কুর বার্লিন যাত্রাকালে জার্মানির শাসন ক্ষমতায় ছিলেন—
(ক) হিটলার
(খ) লেনিন
(গ) বুলগানিন
(ঘ) রুজভেল্ট

উত্তরঃ (ক) হিটলার।

৪৩। হিটলারের কুখ্যাত বাহিনী নাম—
(ক) রেডফৌজ
(খ) আর্মাডা
(গ) নাৎসি
(ঘ) ব্যারন

উত্তরঃ (ক) রেডফৌজ

৪৪। বার্লিনের একটা বিখ্যাত রাস্তার নাম—
(ক) কুরফ্যুরস্টেনডাম
(খ) হ্যাম্পস্টেড হিথ
(গ) পিকাডলি সার্কাস
(ঘ) রেড রোড

উত্তরঃ (ক) কুরফ্যুরস্টেনডাম।

৪৫। নাৎসি বাহিনীর প্রতীক হল—
(ক) খড়া
(খ) তারা
(গ) স্বস্তিক
(ঘ) চাঁদ

উত্তরঃ (গ) স্বস্তিক

৪৬। বার্লিনে প্রফেসর শঙ্কু যে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর খপ্পরে পড়েছিলেন তার নাম—
(ক) গেস্টাপো
(খ) ব্ল‍্যাকশার্ট
(গ) নাৎসি
(ঘ) ঝটিকা বাহিনী

উত্তরঃ (খ) ব্ল‍্যাকশার্ট।

৪৭। প্রফেসর শঙ্কুকে হের গোেয়রিং ধরে নিয়ে এসেছিল—
(ক) হোয়াইট হাউসের বাসভবনে
(খ) বান্ডিলের বাসভবনে
(গ) কারনহিলের বাসভবনে
(ঘ) সেন্ট মেরিনের বাসভবনে

উত্তরঃ (গ) কারনহিলের বাসভবনে।

৪৮। প্রফেসর শঙ্কু গোয়রিং এর সামনে যে ইহুদি বৈজ্ঞানিকের নাম বলেছিলেন তিনি হলেন—
(ক) আইজাক নিউটন
(খ) টমাস এডিসন
(গ) আলবার্ট আইষ্টাইন
(ঘ) রামানুজম

উত্তরঃ (গ) আলবার্ট আইষ্টাইন।

৪৯। গোয়রিং-এর অসুখটা ছিল—
(ক) নার্ভের
(খ) গ্ল্যান্ডের
(গ) রক্তের
(ঘ) মাথার যন্ত্রণার

উত্তরঃ (খ) গ্ল্যান্ডের।

৫০। ব্ল্যাকশার্ট বাহিনীর এরিখের ছিল—
(ক) মৃগী
(খ) খিঁচনি
(গ) হাঁপানি
(ঘ) বুক ধড়ফড়

উত্তরঃ (ক) মৃগী।

৫১। নাৎসিদের নেতা দুজনকে মিরাকিউরলের বদলে শঙ্কু ভুল করে দিয়েছিলেন—
(ক) হজমের বড়ি
(খ) বমির বড়ি
(গ) যন্ত্রণা উপশমের বড়ি
(ঘ) ঘুমের বড়ি

উত্তরঃ (ঘ) ঘুমের বড়ি।

৫২। প্রফেসর শঙ্কু কোন্ বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন ?
(ক) বাংলা
(খ) ইতিহাস
(গ) জীবন বিজ্ঞান
(ঘ) পদার্থবিজ্ঞান

উত্তরঃ (ঘ) পদার্থবিজ্ঞান।

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর স্বর্ণপর্ণী গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | SAQ Question Answer Sornoporni Class 9 Bengali wbbse

• কম-বেশী ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১

১. প্রোফেসর শঙ্কুর জন্মদিন কবে ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর জন্মদিন হল ১৬ জুন।

২. বিড়ালরা সাধারণত কত বছর বাঁচে ?

উত্তরঃ বিড়ালরা সাধারণত চোদ্দো-পনেরো বছর বাঁচে।

৩. প্রফেসারের পোষা বিড়াল নিউটনের বয়স কত?

উত্তরঃ প্রফেসারের পোষা বিড়াল নিউটনের বয়স হল চব্বিশ বছর।

৪. নিউটনের এত বছর বেঁচে থাকার কারণ কী?

উত্তরঃ নিউটনের এত বছর বেঁচে থাকার কারণ হল প্রফেসারের নিজের তৈরি ওষুধ মার্জারিন।

৫. প্রোফেসর শঙ্কু কত বছর আগে মার্জারিন ওষুধটা তৈরি করেছিলেন?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু দশ বছর আগে মার্জারিন ওষুধটা তৈরি করেছিলেন।

৬. আবিষ্কারক হিসেবে প্রোফেসর শঙ্কুর স্থান কার পরে ?

উত্তরঃ আবিষ্কারক হিসেবে প্রোফেসর শঙ্কুর স্থান বিজ্ঞানী টমাস অ্যালভা এডিসনের পরেই।

৭. প্রোফেসর শঙ্কুর প্রথম আবিষ্কার কী?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর প্রথম আবিষ্কার হল সর্বরোগনাশক বড়ি মিরাকিউরল।

৮. প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কৃত পিস্তলটির বিশেষত্ব কী ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কৃত অ্যানাইহিলিন পিস্তলের বিশেষত্ব হল এটি শত্রুকে নিহত না করে নিশ্চিহ্ন করে।

৯. প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কৃত এয়ারকন্ডিশনিং পিলের বিশেষত্ব কী ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কৃত এয়ারকন্ডিশনিং পিল জিভের তলায় রাখলে শীতকালে শরীর গরম আর গরমকালে শরীর ঠান্ডা থাকে।

১০. লুমিনিম্যাক্স কী ?

উত্তরঃ লুমিনিম্যাক্স হল প্রোফেসর শঙ্কুর একটি আবিষ্কার, এটি খুব সস্তায় উজ্জ্বল আলো দেয়।

১১. লিঙ্গুয়াগ্রাফ কী ?

উত্তরঃ লিঙ্গুয়াগ্রাফ হল প্রোফেসর শঙ্কুর একটি আবিষ্কার, এর দ্বারা যে কোনো অচেনা ভাষা ইংরেজিতে অনুবাদ করা যায়।

১২. প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু, গিরিডির অপ্রতিদ্বন্দ্বী চিকিৎসক ছিলেন তিনি। তিনি আয়ুর্বেদিক মতে চিকিৎসা করতেন।

১৩. কীসে বোঝা যায় যে প্রোফেসর শঙ্কু ছাত্র হিসেবে ব্রিলিয়ান্ট ছিলেন ?

উত্তরঃ বারো বছরে ম্যাট্রিক, চোদ্দোয় আইএসসি, ষোলোয় ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি পাসই বোঝায় শঙ্কু ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র ছিলেন।

১৪. কত বছর বয়সে, কোথায় প্রোফেসর শঙ্কু পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপকের কাজ পান ?

উত্তরঃ মাত্র কুড়ি বছর বয়সে প্রোফেসর শঙ্কু স্কটিশচার্চ কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপকের কাজ পান।

১৫. প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা কত বছর বয়সে, কোন্ রোগে মারা যান?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে হার্টব্লক হয়ে মারা যান।

১৬. টিক্‌ড়ীবাবা কে ?

উত্তরঃ টিক্‌ড়ীবাবা একজন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সাধু। তিনি উশ্রী নদীর ওপারে একটা গ্রামে গাছতলায় বসে ধ্যান করতেন।

১৭. ‘সোনেপত্তীর নাম শুনেছিস ?’ – সোনেপত্তী কী ?

উত্তরঃ স্বর্ণপর্ণী নামের সর্বরোগনাশক ভেষজের হিন্দি নাম সোনেপত্তী। চরকসংহিতায় উল্লেখ থাকলেও এটি আধুনিক মানুষের অজানা।

১৮. স্বর্ণপর্ণী গল্প অনুসারে স্বর্ণপর্ণী কোথায় পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে ভাঙা চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনের জঙ্গলে থাকা ঝরনার পাশে স্বর্ণপর্ণী গাছড়াটি জন্মায়।

১৯. কসৌলি কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ কালকা থেকে ছেচল্লিশ কিলোমিটার দূরে সাড়ে ছ-হাজার ফুট উঁচুতে কসৌলি অবস্থিত।

২০. কোন্ প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে স্বর্ণপর্ণী গাছের উল্লেখ পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ চরকসংহিতায় স্বর্ণপর্ণী গাছের উল্লেখ আছে।

২১. স্বর্ণপর্ণী প্রথমে কীভাবে ব্যবহৃত হত?

উত্তরঃ প্রথমে স্বর্ণপর্ণীর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া হত।

২২. স্বর্ণপর্ণী পাতাকে ওষুধ হিসেবে খাইয়ে প্রোফেসর শঙ্কু প্রথম কাকে সুস্থ করেছিলেন ?

উত্তরঃ গিরিডিবাসী উকিল জয়গোপাল মিত্রের অ্যাসাইটিস হয়েছিল। প্রোফেসর শঙ্কু প্রথম তাঁকেই স্বর্ণপর্ণী পাতা খাইয়ে সুস্থ করে তুলেছিলেন।

২৩. প্রোফেসর শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর বড়ির কী নাম দিয়েছিলেন ?

অথবা, শঙ্কুর মিরাকিউরল – এর পুরো নাম কী ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর বড়ির নাম দিয়েছিলেন মিরাকিউরল অর্থাৎ মিরাকল কিওর ফর অল কমপ্লেন্টস্ বা সর্বরোগনাশক বড়ি।

২৪. নেচার পত্রিকায় প্রোফেসর শঙ্কু কার লেখা পড়ে তাঁকে চিঠি লিখেছিলেন?

উত্তরঃ নেচার পত্রিকায় জীবতত্ত্ব বিষয়ের লেখক জেরেমি সন্ডার্সের লেখা পড়ে শঙ্কু তাঁকে চিঠি লিখেছিলেন।

২৫. জেরেমি সন্ডার্স কত বছর ভারতবর্ষে ছিলেন ?

উত্তরঃ জেরেমি সন্ডার্স তাঁর জন্মের পর থেকে সাত বছর বয়স পর্যন্ত ভারতবর্ষে ছিলেন।

২৬. জেরেমি সন্ডার্সের জন্ম কোথায় ?

উত্তরঃ জেরেমি সন্ডার্সের জন্ম ভারতবর্ষের পুণা শহরে।

২৭. ‘এই ভণিতার পরেই বজ্রাঘাত।’— বজ্রাঘাত কীসের ?

উত্তরঃ বন্ধু সন্ডার্সের স্ত্রী ডরথির চিঠিতে পাওয়া যকৃতের ক্যানসারে সন্ডার্সের মৃত্যু আসন্ন—এই খবরটি ছিল প্রোফেসর শঙ্কুর কাছে বজ্রপাতেরই সমান।

২৮. জেরেমি সন্ডার্সের ক্যানসার কীভাবে সেরে যায় ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর পাঠানো মিরাকিউরল বড়ি খেয়েই জেরেমি সন্ডার্সের ক্যানসার সেরে যায়।

২৯. ‘এটা কি কোনো ভারতীয় ভেলকি ?’ — কাকে ভারতীয় ভেলকি বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ মিরাকিউরল বড়ির সাহায্যে সন্ডার্সের ক্যানসার সেরে যাওয়ার ঘটনা ‘ভারতীয় ভেলকি’ কিনা জানতে চেয়েছিল সন্ডার্স।

৩০. প্রোফেসর শঙ্কু কবে, কোন্ জাহাজে বিলেতে রওনা দিলেন ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু ২৫ অক্টোবর ১৯৩৭ সালে বোম্বাই থেকে পি অ্যান্ড ও কোম্পানির জাহাজ ‘এস্ এস্ এথিনা’-তে বিলাতে রওনা দিলেন।

৩১. হ্যাম্পস্টেড হিথ কী ?

উত্তরঃ হ্যাম্পস্টেড হিথ লন্ডনের একটা বিস্তীর্ণ ঘাসে ঢাকা অসমতল ময়দান। যেখান থেকে দশ মিনিটের হাঁটা পথে কবি কিটসের বাড়ি।

৩২. মিরাকিউরলের কেমিক্যাল অ্যানালিসিসে গুরুত্বপূর্ণ কী তথ্য জানা যায় ?

উত্তরঃ মিরাকিউরলের কেমিক্যাল অ্যানালিসিসে জানা গেছে যে এতে এমন একটি উপাদান রয়েছে যার রসায়নশাস্ত্রে কোনো পরিচিতি নেই।

৩৩. প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডনে কোন্ থিয়েটারে, কোন্ নাটক দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডনে মারমেড থিয়েটারে বার্নার্ড শর পিগম্যালিয়ন নাটক দেখেছিলেন।

৩৪. এতে অবাক হবার কিছু নেই শঙ্কু — শঙ্কু কীসে অবাক হয়েছিলেন?

উত্তরঃ মিরাকিউরল নিয়ে বক্তৃতার খবর লন্ডনের সব কাগজ-সহ অন্য ভাষার কাগজেও ছবি-সহ বেরোনোয় শঙ্কু অবাক হয়েছিলেন।

৩৫. পাওয়ার ম্যাড বলে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ?

উত্তরঃ পাওয়ার ম্যাড বলে হিটলারকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

৩৬. প্রোফেসর শঙ্কু বন্ধু সন্ডার্সের সঙ্গে কোথায় গিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু বন্ধু সন্ডার্সের সঙ্গে লন্ডনে গিয়েছিলেন।

৩৭. এস এস এথিনা নামক জাহাজটিতে চড়ে প্রোফেসর শঙ্কু কোথায় পাড়ি দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ এস এস এথিনা নামক জাহাজটিতে চড়ে প্রোফেসর শঙ্কু ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন।

৩৮. প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে বার্লিন থেকে কে এসেছিলেন?

উত্তরঃ বার্লিন থেকে নরবার্ট স্টাইনার লন্ডনে প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

৩৯. হাইনরিখ স্টাইনারের পরিচয় কী ?

উত্তরঃ হাইনরিখ স্টাইনার হলেন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতের অধ্যাপক ও ভারততাত্ত্বিক। তিনি নতুনভাবে বেদ, উপনিষদ জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।

৪০. গেস্টাপো কে বা কী ?

উত্তরঃ গেস্টাপো হল হিটলারের আমলে জার্মানির গুপ্ত পুলিশ। এই পুলিশবাহিনীর প্রতিটি লোক ছিল মূর্তিমান শয়তান ৷

৪১. হাইল হিটলার কথার অর্থ কী ?

উত্তরঃ হাইল হিটলার কথার অর্থ হল হিটলার জিন্দাবাদ’।

৪২. হিটলারের নাৎসিবাহিনী জার্মানিতে কাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছিল ?

উত্তরঃ হিটলারের নাৎসিবাহিনী জার্মানিতে ইহুদিদের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছিল।

৪৩. নরবার্ট স্টাইনার কেন শঙ্কুকে বার্লিনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ নাৎসিদের অত্যাচারে মৃতপ্রায় ইহুদি অধ্যাপক ও গবেষক হাইনরিখ স্টাইনারকে বাঁচাতে তাঁর ছেলে নরবার্ট স্টাইনার শঙ্কুকে বার্লিনে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

৪৪. নরবার্ট স্টাইনারের সোনালি চুলের রহস্য কী ছিল ?

উত্তরঃ নরবার্ট স্টাইনারের সোনালি চুল আসলে ছিল পরচুলা, যাতে তাকে ইহুদি বলে নাৎসিরা না চিনতে পারে।

৪৫. প্রোফেসর শঙ্কু সঙ্গে করে মিরাকিউরলের কটা বড়ি লন্ডনে নিয়ে গিয়েছিলেন?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু সঙ্গে করে মিরাকিউরলের চব্বিশটা বড়ি লন্ডনে নিয়ে গিয়েছিলেন।

৪৬. ‘এটা জার্মানিতে তৈরি’— কোন্‌টা ?

উত্তরঃ এটা হল জার্মানিতে তৈরি পিস্তল লুগার অটোম্যাটিক। বার্লিনে যাওয়ার আগে জেরেমি সন্ডার্স প্রোফেসর শঙ্কুকে আত্মরক্ষার জন্য এটি দিয়েছিলেন।

৪৭. নরবার্টের বোনের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ নরবার্টের বোনের নাম ছিল লেনি।

৪৮. কুরফ্যুরস্টেনডাম কী ?

উত্তরঃ কুরফ্যুরস্টেনডাম হল বার্লিনের একটা বিখ্যাত রাস্তার নাম।

৪৯. ‘বাইরে থেকে রাজধানীর চেহারা দেখে কিছুই বোঝার উপায় নেই।’— কী বোঝার উপায় নেই ?

উত্তরঃ বাইরে থেকে রাজধানী বার্লিনের চেহারা দেখে জার্মানি যে পুলিশশাসিত দেশ, এদেশের কর্ণধার যে দুর্নীতির পরাকাষ্ঠা তা বোঝার উপায় ছিল না।

৫০. ‘বেদাহমেতং পুরুষংমহান্তমাদিত্যবর্ণং তমসঃ পরস্তাৎ’– এই শ্লোক কোথা থেকে উদ্ধৃত ? এর অর্থ কী ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত শ্লোকটি উপনিষদ থেকে উদ্ধৃত।
প্রশ্নোদ্ধৃত শ্লোকটির অর্থ হল আমি এই তিমিরাতীত জ্যোতির্ময় মহাপুরুষকে চিনিয়াছি।

৫১. ‘জার্মান শব্দ স্ভাসটিকা’– এর বাংলা অর্থ কী ?

উত্তরঃ স্ভাসটিকার বাংলা অর্থ হল স্বস্তিক। সু (ভালো) আর অস্তি (আছে) থেকে স্বস্তি, তার থেকেই স্বস্তিক।

৫২. অধ্যাপক স্টাইনারের ভারততত্ত্ববিদ বন্ধুর নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ অধ্যাপক স্টাইনারের ভারততত্ত্ববিদ বন্ধুর নাম ছিল আঁদ্রে ভের্সোয়া।

৫৩. স্বস্তিক শব্দটির জার্মান ভাষায় প্রতিশব্দ কী?

উত্তরঃ স্বস্তিক শব্দটির জার্মান প্রতিশব্দ হল স্ভাসটিকা।

৫৪. ‘তুমি তার ব্যবস্থা করো।’— কীসের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ নরবার্টের বাবা অধ্যাপক হাইনরিখ স্টাইনার প্যারিস যেতে চান, নরবার্টকে তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন শঙ্কু।

৫৫. ‘জার্মানির সামরিক শক্তির প্রধান কারণ আমি।’– কে নিজের সম্পর্কে এরূপ উক্তি করেছিলেন ?

উত্তরঃ নাৎসি দলশাসিত জার্মানিতে হিটলারের পরেই যাঁর স্থান অর্থাৎ হের্ গোয়রিং নিজের সম্পর্কে আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।

৫৬. হের্ গোয়রিং প্রোফেসর শঙ্কুর সামনে ইহুদিদের সম্পর্কে কী কী বিশেষণ ব্যবহার করেছিলেন ?

উত্তরঃ হের্ গোয়রিং প্রোফেসর শঙ্কুর সামনে ইহুদিদের সম্পর্কে পাঁচটি বিশেষণ ব্যবহার করেছিলেন — গ্রাউসাম, নীডের, গাইৎসিগ, লিস্টিগ, বেডনকেনলস।

৫৭. হের্ গোয়রিং এর কী অসুখ ছিল?

উত্তরঃ গ্ল্যান্ডের অসুখের জন্য হের্ গোয়রিং এর ওজন ছিল একশো সত্তর কিলো আর তিনি প্রচণ্ড ঘামতেন।

৫৮. প্রোফেসর শঙ্কু কী শর্তে হের্ গোয়রিংকে মিরাকিউরলের বড়ি দিতে রাজি হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ অধ্যাপক স্টাইনারের পরিবারকে নির্বিঘ্নে প্যারিসে যেতে দিতে হবে— এই শর্তে প্রোফেসর শঙ্কু হের্ গোয়রিং-কে মিরাকিউরলের বড়ি দিতে রাজি হয়েছিলেন।

৫৯. হিটলারের পরেই কার স্থানের কথা আলোচ্য পাঠ্যাংশটিতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ হিটলারের পরেই হের্ গোয়রিং স্থানের কথা আলোচ্য পাঠ্যাংশটিতে বলা হয়েছে।

৬০. হের্ গোয়রিং ও এরিখ ফ্রোম লোভবশত চারটে করে বড়ি খাওয়ার ফল কী হয়েছিল?

উত্তরঃ হের্ গোয়রিং ও এরিখ ফ্রোম লোভবশত চারটে বড়ি খাওয়ায় তাঁরা দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

৬১. সন্ডার্স প্রোফেসর শঙ্কুর মিরাকিউরলের বড়ির শিশি থেকে মিরাকিউরল বড়ি বের করে কী রেখে দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ সন্ডার্স মিরাকিউরলের শিশির বড়ির বদলে সেখানে ঘুমের ওষুধ সেকোন্যালের বড়ি রেখে দিয়েছিলেন।

৬২. ‘তার জন্য সাহস সঞ্চয় করছে।’— কীসের জন্য এই সাহস সঞ্চয় করা ?

উত্তরঃ রক্ষী এরিখ শঙ্কুকে কিছু বলার জন্য সাহস সঞ্চয় করছিল।

৬৩. ‘কিন্তু সারতে নাকি সময় লাগবে।’— কী সারার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ এরিখের মৃগীরোগ সারার কথা বলা হয়েছে।

৬৪. ‘ড্রাইভারের মুখ মুহূর্তে ফ্যাকাশে হয়ে গেল।’— এর কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কু পকেট থেকে সন্ডার্সের দেওয়া লুগার অটোম্যাটিক রিভলভার ড্রাইভারের দিকে উঁচিয়ে ধরায় তার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল।

৬৫. ‘এক দিক দিয়ে অভাবনীয়ভাবে সফল।’— এই সাফল্যের কারণ কী ছিল?

উত্তরঃ মিরাকিউরল প্রয়োগ করে অধ্যাপক স্টাইনারকে সুস্থ করে তোলাটাই ছিল শঙ্কুর কাছে সাফল্য।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর স্বর্ণপর্ণী গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | Essay Type Question Answer Sornoporni Class 9 Bengali wbbse

• কম-বেশী ১৫০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫

১. স্বর্ণপর্ণী গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর আবিষ্কারের কী কী তালিকা দিয়েছিলেন ?

অথবা, প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কারগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট চরিত্র প্রোফেসর শঙ্কু একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও আবিষ্কারক হিসেবে দেশেবিদেশে প্রচুর খ্যাতি ও সম্মান পেয়েছিলেন। আলোচ্য ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে তাঁর আবিষ্কারের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। প্রোফেসর শঙ্কুর আবিষ্কারের সেই তালিকাগুলি হলো—

মিরাকিউরল : শঙ্কুর প্রথম আবিষ্কার হল ‘মিরাকিউরল’ বা সর্বরোগনাশক বড়ি। অবশ্য তিনি এটাকে তাঁর একার কৃতিত্ব বলতে চান না। কারণ এতে টিক্‌ড়ীবাবা নামে এক সাধুর বিশেষ অবদান ছিল।

অ্যানাইহিলিন পিস্তল : ‘মিরাকিউরল’-এর পরে শঙ্কুর আবিষ্কার হল ‘অ্যানাইহিলিন পিস্তল’। এই পিস্তলের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি শত্রুকে না মেরে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। প্রোফেসর শঙ্কু মোটেই রক্তপাত সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু তাঁর অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ জীবনে তাঁকে অনেক সময় মহাবিপদে পড়তে হয় এবং আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্রেরও প্রয়োজন হয়। তাই এই পিস্তল আবিষ্কার করেন তিনি।

এয়ারকন্ডিশনিং পিল : এরপরেই এল ‘এয়ারকন্ডিশনিং পিল’। এটি জিভের তলায় রাখলে শীতকালে শরীর গরম আর গরমকালে শরীর ঠান্ডা থাকে।

রিমেমব্রেন : তারপর তিনি আবিষ্কার করেন ‘রিমেমব্রেন’, এর সাহায্যে হারানো স্মৃতিকে ফিরিয়ে আনা যায়। এরপর শঙ্কু একে-একে ঘুমের অব্যর্থ বড়ি ‘সমনোলিন’, সস্তায় উজ্জ্বল আলো দেওয়ার জন্য ‘লুমিনিম্যাক্স’, অচেনা ভাষা ইংরেজিতে অনুবাদের জন্য ‘লিঙ্গুয়াগ্রাফ’, পাখিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ‘অরনিথন’ প্রভৃতি আবিষ্কার করেন।

২. ‘বাবার এই কথাগুলো আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল।’— বক্তার বাবা কে ? এখানে কোন্ কথাগুলো-র কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। এই উদ্ধৃতিটিতে উল্লিখিত ‘বাবা’ হলেন প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু। তিনি গিরিডির অপ্রতিদ্বন্দ্বী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছিলেন।

স্বর্ণপর্ণী গল্পে উল্লিখিত কথাগুলি হল—

বিনা পয়সায় দরিদ্রের চিকিৎসা : প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা সারাজীবন বিনা পয়সায় বহু দরিদ্রের চিকিৎসা করেছিলেন। আর সে কারণেই তিনি প্রচুর রোজগার করলেও তা কখনও মাত্রাছাড়া হয়নি।

মানসিক শান্তি : শঙ্কুর বাবা তাঁকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। সেগুলি হল– ক্ষমতা থাকলেই অঢেল রোজগার করার দরকার নেই। সচ্ছল জীবনযাপন করতে গেলে অর্থের অবশ্যই প্রয়োজন আর তাতে মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়।

দুস্থদের সাহায্য : কিন্তু যাদের সেই সংস্থান টুকুও নেই, যারা সুখ কাকে বলে জানে না, যাদের সারাজীবন দু-বেলা দু-মুঠো ভাতের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় কিংবা যারা কোনো কারণে রোজগারে অক্ষম— তাদের দুঃখ যদি কিছুটা কমানো যায় তবে তার চেয়ে বড়ো সার্থকতা, বড়ো আনন্দ আর কিছুতেই নেই।

শেষ কথা : বাবার এই কথাগুলো প্রোফেসর শঙ্কুর মনে গভীরভাবে দাগ কেটেছিল এবং এই কথাগুলি তিনি শেষ বয়স পর্যন্ত মনে রেখেছিলেন।

৩. ‘এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে মুহূর্তের জন্য আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল।’— কোন্ দৃশ্য ? এরপরে কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু গিরিডিতে বাড়ি ফিরেই বাবার ঘরে ঢুকে দেখেন যে তাঁর বাবা কাজের টেবিলের পাশে মেঝেতে চিত হয়ে পড়ে আছেন। ব্যস্ত চিকিৎসক বাবাকে শঙ্কু আগে কখনও এমন অবস্থায় দেখেননি। তাই সেই দৃশ্য তাঁর কাছে অদ্ভুত মনে হয়েছিল। এখানে সেই অদ্ভুত দৃশ্যের কথাই বলা হয়েছে।

এর পরবর্তী ঘটনা হলো- প্রোফেসর শঙ্কু আর দেরি না করে এক লাফে বাবার কাছে গিয়ে নাড়ি টিপে দেখে বুঝলেন যে, তাঁর বাবা অজ্ঞান হয়ে গেছেন। তিনি তক্ষুনি ডাক্তারকে খবর পাঠালেন। তবে ডাক্তার আসার আগেই তাঁর বাবার জ্ঞান ফিরে আসে। বাবা তাঁকে জানালেন যে, এর আগে আরও দু-বার এরকম হয়েছিল। কিন্তু তিনি শঙ্কুকে সে-কথা জানাননি। তাঁর বাবা আরও বললেন যে, এই রোগে হঠাৎ করে হৃৎ যন্ত্রের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, এর কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগকে বলা হয় হার্টব্লক। প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা এর ঠিক দেড় বছর পরে হার্টব্লক রোগেই মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে মারা যান।

৪. ‘সেদিনই রাত্রে বাবা আমাকে একটা আশ্চর্য ঘটনা বলেন।’— এখানে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ? আশ্চর্য ঘটনা টা কী ?

উত্তরঃ প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু মারা যাওয়ার ঠিক তিন দিন আগে শঙ্কু যেদিন বাড়িতে আসেন এখানে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে।

প্রোফেসর শঙ্কু সেদিন তাঁর বাবার কাছ থেকে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারেন। উশ্রী নদীর ওপারে এক গ্রামে টিক্‌ড়ীবাবা নামে এক সাধু গাছতলায় বসে ধ্যান করতেন। সেই সাধু শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন, তাঁর চিকিৎসার জন্য শিষ্যরা তাঁকে শঙ্কুর বাবার কাছে নিয়ে আসেন। এমন সময় টিক্‌ড়ীবাবা প্রোফেসর শঙ্কুর বাবার কাছে জানতে চান যে তিনি তো টিক্‌ড়ীবাবার চিকিৎসা করছেন কিন্তু তাঁর নিজের চিকিৎসার কী হবে।

বাবাজির অলৌকিক ক্ষমতায় কিছুটা অবাক হয়েই ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু তাঁকে জানান যে, তাঁর রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এর উত্তরে বাবাজি জানান যে, সোনেপত্তী অর্থাৎ স্বর্ণপর্ণীর দ্বারা এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব। চরকসংহিতায়’ এই স্বর্ণপর্ণীর উল্লেখ থাকলেও আধুনিক যুগে এর হদিস কেউ পায়নি। টিক্‌ড়ীবাবা জানালেন, কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে ভাঙা চামুণ্ডা মন্দিরের পিছনের জঙ্গলে ঝরনার পাশে এই সোনেপত্তী বা স্বর্ণপর্ণীর গাছ জন্মায়। টিক্‌ড়ীবাবার এই আশ্চর্য ক্ষমতা ও স্বর্ণপর্ণীর সন্ধান দেওয়া প্রোফেসর শঙ্কুর কাছে আশ্চর্য ঘটনা মনে হয়েছিল।

৫. ‘এটাই যে স্বর্ণপর্ণী তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’— কে কীভাবে স্বর্ণপর্ণী পেয়েছিলেন বিবৃত করো।

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে স্বর্ণপর্ণী আবিষ্কার করেছিলেন প্রোফেসর শঙ্কু।

প্রোফেসর শঙ্কু বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কাছ থেকে শুনেছিলেন স্বর্ণপর্ণী নামের এক আশ্চর্য গাছড়া-র কথা। তাঁকে এর কথা জানিয়েছিলেন টিক্‌ড়ীবাবা। বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ ত্রিলোকেশ্বর গাছের সন্ধানে যেতে না পারলেও প্রোফেসর শঙ্কু মনস্থির করে ফেলেন স্বর্ণপর্ণীর সন্ধানে যেতে। বাবা মারা যাওয়ার পরে তাঁর শ্রাদ্ধ সেরে শঙ্কু টিক্‌ড়ীবাবার নির্দেশনা মতো কসৌলির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। আড়াই দিনে গিরিডি থেকে কালকা, সেখান থেকে ছেচল্লিশ কিলোমিটার দূরে কসৌলি। হোটেলের ম্যানেজারের কাছ থেকে জেনে নিলেন টিক্‌ড়ীবাবা কথিত চামুণ্ডার মন্দিরের অবস্থান।

ম্যানেজারের সাহায্যে ঘোড়া জোগাড় করে শঙ্কু চললেন, একমাত্র সঙ্গী ঘোড়ার মালিক ছোটেলাল। তাকে নিয়েই মন্দিরে পৌঁছে তার পিছনের জঙ্গলে ঢুকলেন। মিনিট পনেরো পরে শুনতে পেলেন ঝরনার শব্দ। চারদিকে ঘন গাছের পাতায় অন্ধকার। তার মধ্যে দিয়েই সূর্যের আলো এসে পড়ায় ঝলমল করছে হলদে পাতায় ভরা একটা গাছড়া। শঙ্কু বুঝতে পারলেন, এ-ই তাঁর সন্ধানের ‘সোনেপত্তী’ বা ‘স্বর্ণপর্ণী’।

৬. ‘এইসময় একটা ঘটনা ঘটল, যেটা বলা যেতে পারে আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল।’– এখানে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?

অথবা, প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি করা মিরাকিউরলের বড়ি কীভাবে জেরেমি সন্ডার্সকে নতুন জীবন দান করেছিল লেখো।

উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

কলকাতায় থাকাকালীন নেচার পত্রিকায় জীবতত্ত্ব সম্বন্ধে একটা লেখা পড়ে প্রোফেসর শঙ্কু সেই প্রবন্ধের লেখক জেরেমি সন্ডার্সকে একটি চিঠি লেখেন।

প্রফেসারের চিঠির উত্তরে সন্ডার্স একটি চিঠি পাঠান এবং জানান যে তাঁর ঠাকুরদা বত্রিশ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে থাকায় তাঁর জন্ম ভারতবর্ষের পুনা শহরে হয়েছিল। সাত বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবা-মার সঙ্গে ভারতবর্ষ ছেড়ে চলে যান, কিন্তু ভারতবর্ষের ওপর তাঁর এখনও টান আছে। এরপর তাঁরা দুজনে একে অপরের বন্ধু হয়ে ওঠেন।

আট মাস পর সন্ডার্সের স্ত্রীর কাছ থেকে চিঠি আসে যে সন্ডার্সের যকৃতে ক্যানসার হয়েছে এবং ডাক্তারের মতে তাঁর জীবনের মেয়াদ আর বেশিদিন নেই। এই খবর শোনার পর প্রোফেসর সন্ডার্সকে মিরাকিউরলের দশটা বড়ি পাঠিয়ে দেন। জানান যে, পার্সেল পাওয়া মাত্র যেন সন্ডার্সকে দুটো বড়ি খাইয়ে দেওয়া হয়। দু-দিনে কাজ না হলে আরও দুটো। এভাবে দশটা বড়িই খাওয়ানো যেতে পারে। আর তারপরেই এক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে।

প্রায় মাস দেড়েক পর সন্ডার্স সুস্থ হয়ে নিজেই প্রফেসারের বাড়িতে চলে আসেন। তিনি শঙ্কুর মিরাকিউরল বড়ির রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্যও শঙ্কুকে বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে তুলে ধরার জন্য তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যেতে চান। এই ঘটনাই প্রোফেসর শঙ্কুর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

৭. ‘এমন সময় বিদ্যুৎ ঝলকের মতো এই ওষুধের একটা নাম আমার মাথায় এসে গেল…’– কোন্ ওষুধের কথা বলা হয়েছে ? কীভাবে বক্তা তা আবিষ্কার করেছিলেন ?

অথবা, প্রোফেসর শঙ্কুর মিরাকিউরল আবিষ্কারের কাহিনি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ স্বর্ণপর্ণী গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু যে অত্যাশ্চর্য ওষুধ মিরাকিউরল আবিষ্কার করেছিলেন, এখানে তার কথা বলা হয়েছে।

প্রোফেসর শঙ্কুর বাবার কাছে টিক্‌ড়ীবাবার বলা সোনেপত্তী গাছের কথা শুনে এবং এর অত্যাশ্চর্য ক্ষমতার কথা জেনে কসৌলিতে পৌঁছোন। সেখান থেকে সন্ধান করে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে স্বর্ণপর্ণী গাছ আবিষ্কারও করেন। গিরিডিতে ফিরে গাছটিকে শুধু পোঁতাই নয়, তার ডাল থেকে আরও গাছ তৈরির চেষ্টাও শুরু হয়। এরপরে উদরি রোগে আক্রান্ত জয়গোপাল মিত্রের ওপরে স্বর্ণপর্ণীর পাতার প্রয়োগ করে এর উপযোগিতার দ্রুত প্রমাণ পাওয়া যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরও কিছু কঠিন অসুখে আক্রান্তকে তাঁকে চিকিৎসা করতে হয়। প্রতিটা ক্ষেত্রেই ওষুধ কাজ করে।

তিনি ঠিক করেন যে, স্বর্ণপর্ণীর বড়ি তৈরি করবেন। কিন্তু শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে খাওয়ানোর প্রাচীন পন্থাটা তাঁর পছন্দ হয়নি। এক মাসের মধ্যেই তাঁর সেই পরিকল্পনাকে রূপ দেওয়া হয়৷ কলের হাতল ঘুরিয়ে নীচের নল দিয়ে বাটিতে পড়তে থাকে একটার পরে একটা বড়ি। ওষুধের নাম দেওয়া হয় মিরাকিউরল। যার পুরো কথা হল মিরাকল কিওর ফর অল কমপ্লেন্টস্ অর্থাৎ সর্বরোগনাশক বড়ি।

৮. ‘আমার বক্তৃতার এত লোক হবে সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি।’– কোন্ বক্তৃতার কথা বলা হয়েছে ? বক্তৃতার বর্ণনা দাও। তারপর তাঁর কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ স্বর্ণপর্ণী গল্পে ক্যাক্সটন হলে ‘মিরাকিউরল’ বিষয়ে প্রোফেসার শঙ্কু যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন সেই বক্তৃতার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

জেরিমি সন্ডার্সের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত শঙ্কুর বক্তৃতা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। অধ্যাপনা দীর্ঘকালের পেশা হওয়ায় বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রোফেসর শঙ্কু অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ ছিলেন। বক্তৃতায় তিনি স্বচ্ছন্দভাবে ভারতে আয়ুর্বেদচর্চার কথা, চরক-সুশ্রুতের সংহিতার কথা, তাঁর বাবার কথা এবং টিক্‌ড়ীবাবার কাছে শুনে কসৌলির জঙ্গল থেকে স্বর্ণপর্ণী সংগ্রহ করে আনার কথা বলেন। সভায় উপস্থিত সকলে নিঃশব্দে তাঁর বক্তৃতা শোনে। বক্তৃতার মধ্যেই প্রোফেসর শঙ্কু দুটি অনিবার্য প্রশ্নেরও উত্তর দিয়ে দেন– তা হলো মিরাকিউরলকে তিনি বাজারজাত করবেন কি না এবং লণ্ডনে থেকে কিছুদিন তিনি তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন কি না।

বক্তৃতার শেষে হাততালির বহর বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, শঙ্কুর বক্তৃতা সকলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়ে যাওয়ার জন্যই প্রশ্নোত্তরপর্ব দীর্ঘক্ষণ ধরে চলেনি। বহু লোকের সঙ্গে হ্যান্ডসেক করে ও অনেকের অভিনন্দন নিয়ে তিনি মুক্ত হন। পরদিন লন্ডনের বহু কাগজেই ছবি-সহ শঙ্কুর বক্তৃতার খবর বেরোয়। এই বিপুল প্রতিক্রিয়ায় প্রোফেসর শঙ্কু নিজেও হকচকিয়ে যান।

৯. ‘তোমার আসার কারণটা জানতে পারি কী ?’—‌ কে, কাকে এই প্রশ্ন করেছিলেন ? তাঁর আসার কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ আলোচ্য উদ্ধৃতিটি সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। জেরেমি সন্ডার্স তাঁর বাড়িতে আসা নরবার্ট স্টাইনারকে এই প্রশ্ন করেছিলেন।

বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক হাইনরিখ স্টাইনারের পুত্র হলেন নরবার্ট স্টাইনার। ইনি জাতিতে ইহুদি। সেই সময় জার্মানিতে হিটলারের রাজত্ব চলছিল। সেখানে তখন ইহুদিদের ওপর হিটলারের নাৎসিবাহিনী অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছিল। তাদের মতে ইহুদিরা নাকি মানুষই নয়। নরবার্টের বাবা হাইনরিখ স্টাইনার এই নাৎসিবাহিনীর শিকার হয়েছিলেন। একদিন দুপুরে নাৎসিবাহিনীর গুপ্ত পুলিশ গেস্টাপোর সশস্ত্র দল তাঁদের বাড়িতে এসে নরবার্টের বাবার দিকে পিস্তল উঁচিয়ে বলতে বলে, ‘হাইল হিটলার’ অর্থাৎ ‘হিটলার জিন্দাবাদ’। হাইনরিখ তা না বলায় পুলিশরা তাঁকে প্ৰচণ্ড মারধোর করে। বার্লিনের যে-কোনো হাসপাতালে ইহুদিদের প্রবেশ তখন নিষিদ্ধ ছিল। প্রোফেসর হাইনরিখের শারীরিক অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। নরবার্ট স্টাইনার কাগজে প্রোফেসর শঙ্কু ও তাঁর মিরাকিউরল বড়ির খবর পেয়ে সন্ডার্সের বাড়িতে এসেছিলেন তাঁকে বার্লিন নিয়ে যেতে। তিনি চেয়েছিলেন, শঙ্কু তাঁর ওই মিরাকিউরল বড়ি দিয়ে নরবার্টের বাবা হাইনরিখ স্টাইনারকে সুস্থ করে তুলুন।

১০. ‘একজন মনীষীর ত্রাণকর্তা হতে পারলে তোর জীবন ধন্য হবে।’— কোন্ প্রসঙ্গে বক্তার এই কথা স্মরণে আসে ? মনীষীর ত্রাণকর্তা বলতে বক্তা কী বুঝিয়েছেন ?

উত্তরঃ স্বর্ণপর্ণী গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু যখন হ্যাম্পস্টেডে সন্ডার্সের বাড়িতে, সেই সময় বার্লিন থেকে নরবার্ট স্টাইনার বলে এক ব্যক্তি সেখানে আসেন। তাঁর বাবা ‘হাইল হিটলার’ বলতে রাজি না হওয়ায় নাৎসি পুলিশ তাঁকে আক্রমণ করে। তাদের অত্যাচারে ভদ্রলোক আধমরা হয়ে পড়েন। কিন্তু বার্লিনের কোনো হাসপাতালে ইহুদিদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এমনকি বাড়ির ডাক্তারও ইহুদি হওয়ার জন্য নিজের বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না। এই অবস্থায় কাগজে মিরাকিউরলের কথা শুনে নরবার্ট আসেন শঙ্কুর কাছে সাহায্যের আশায়। আর তার প্রতিক্রিয়াতেই শঙ্কুর মনে হয় যে, তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে বলতেন যে, একজন মনীষীর ত্রাণকর্তা হতে পারলে তাঁর জীবন ধন্য হবে।

নরবার্টের বাবা হাইনরিখ স্টাইনার ছিলেন একজন ভারততত্ত্ববিদ। তিনি ছিলেন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত শিক্ষক। বেদ, উপনিষদ ইত্যাদিকে তিনি জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন। ভারতপ্রেমিক এই মানুষটি সাতবার ভারতবর্ষে গেছেন। তিনি বলেন— সংস্কৃত ভাষার যে ঐশ্বর্য আছে তেমন আর কোনো ভাষার নেই। এরকম একজন মানুষের জন্য নরবার্ট যখন কাতর হয়ে শঙ্কুকে বার্লিনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তখন তাঁর বন্ধু সন্ডার্স শঙ্কুর নিরাপত্তার কথা তোলেন। কিন্তু শঙ্কুর মনে হয় তাঁর বাবার অনুপ্রেরণার কথা। বাবার আত্মার শান্তি পাবে যদি তিনি একজন ভারতপ্রেমিককে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। মিরাকিউরল নিয়ে বার্লিনে গিয়ে তিনি একারণেই ‘মনীষীর ত্রাণকর্তা’ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন।

১১. ‘আমি তো মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলাম, কারণ বেঁচে থেকে তো আমার কোনো লাভ নেই!’— বক্তা কে ? তাঁর এই মন্তব্যের কারণ কী ? শঙ্কু এক্ষেত্রে তাঁকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে উল্লিখিত মন্তব্যটির বক্তা অধ্যাপক হাইনরিখ স্টাইনার।

অধ্যাপক স্টাইনার নাৎসি গেস্টাপোবাহিনীর অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন। ‘হাইল হিটলার’ বলতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ তার ওপর বেপরোয়া অত্যাচার চালায়। তাঁর মাথা ফেটে যায়। সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। আধমরা অবস্থাতেও অধ্যাপক স্টাইনারকে ইহুদি হওয়ার কারণে বার্লিনের কোনো হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনি ভুল বকতে থাকেন। তাছাড়া নিজের জন্মস্থানে পরবাসী হয়ে থাকার মানসিক যন্ত্রণা। যে কারণে বেঁচে থাকা নিয়েও তিনি হতাশ হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।

মৃত্যুপথযাত্রী স্টাইনারকে মিরাকিউরল খাইয়ে প্রোফেসর শঙ্কু পুনর্জীবন দান করেছিলেন। একবার মিরাকিউরল প্রয়োগেই পরদিন সকালে উদাত্ত গলায় শঙ্কুকে উপনিষদ পাঠ করতে শোনা গেছে। দ্বিতীয়ত, স্টাইনারকে শঙ্কু মানসিকভাবেও উজ্জীবিত করেছেন। জার্মানি থেকে চলে গিয়ে অন্য কোথাও তাঁর কাজ আবার শুরু করার কথা স্টাইনারকে বলেছেন। এমনকি জার্মানি থেকে পালিয়ে যেতে যদি ছলের আশ্রয় নিতে হয় তাতেও ক্ষতি নেই,—এ কথা বলে তিনি স্টাইনারকে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেয়েছেন ।

১২. এটা যে একটা প্রাসাদ তাতে সন্দেহ নেই, তবে প্রাচীন নয়।— কোন্ প্রাসাদের কথা বলা হয়েছে ? প্রাসাদটির বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে জার্মানির নাৎসিবাহিনীর সামরিক শক্তির প্রধান ও হিটলারের পরেই যাঁর স্থান, সেই হের্ গোয়রিং-এর প্রাসাদের কথা বলা হয়েছে। এই প্রাসাদটির নাম কারিনহল, গোয়রিং-এর প্রথম স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি নির্মিত।

স্বর্ণপর্ণী গল্পে প্রাসাদটির যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা হল—

কারিনহল একটা বিশাল প্রাসাদ। এর সামনে রয়েছে একটা বিস্তীর্ণ বাগান, তাতে ফুলের কেয়ারি, লিলিপুল, শ্বেতপাথরের মূর্তি সবই আছে। এই বাগানের তিনদিক ঘিরে এই প্রাসাদ।

আয়তন ও গঠন : প্রাসাদের ভিতরে ঢুকতে প্রথমেই যে ঘর, তা প্রায় লম্বায় পঞ্চাশ গজ হবে। মাথার ওপর বিশাল বিশাল ঝাড় লণ্ঠন, দেয়ালে গিল্টি করা ফ্রেমে বাঁধানো জগদ্বিখ্যাত শিল্পীদের তেলরঙে আঁকা ছবি, ঘরের একপ্রান্তে দোতলায় যাওয়ার জন্য ঘোরানো সিঁড়ি। সেই ঘর পেরিয়ে গেলে রয়েছে রিসেপশন রুম বা অভ্যর্থনা কক্ষ। সেখানে বসার জন্য বড়ো বড়ো সোফা, কাউচ, বাহারি চেয়ার, প্রকাণ্ড টেবিল, টেলিফোন ইত্যাদি রয়েছে।

নিদর্শন : সব মিলিয়ে কারিনহল প্রাসাদ সম্পর্কে বলা চলে যে এটি হল রাজকীয় ঐশ্বর্য ও দম্ভের চূড়ান্ত নিদর্শন।

১৩. ‘লোকটার প্রতি আমার অশ্রদ্ধা ক্রমেই বাড়ছিল।’— লোকটা কে ? তাঁর চরিত্র সম্পর্কে কী জানা যায় ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটিতে আলোচ্য লোকটি হলেন জার্মানির নাৎসিবাহিনীর সামরিক প্রধান হের্ গোয়রিং।

হের্ গোয়রিং-এর চরিত্রের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য হল—

অহংকার : প্রচণ্ড অহংকারী এই মানুষটি নিজেই শঙ্কুকে জানান যে তিনিই জার্মানির সামরিক শক্তির প্রধান এবং জার্মানিতে হিটলারের পরেই তাঁর স্থান। নিজের প্রাসাদ তথা প্রথম স্ত্রীর স্মৃতিসৌধ কারিনহল নিয়েও তাঁর গর্বের শেষ নেই।

নীচ ও স্বার্থপর মানসিকতা : হিটলারের মতোই গোয়রিংও ছিলেন ইহুদি-বিদ্বেষী। তাদের নির্বংশ করা নাৎসিদের অন্যতম কর্মসূচি ছিল। তাই তিনি মহান মানুষ হাইরিখ স্টাইনার ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে অকথ্য গালিগালাজ করেন। এ ছাড়া কৃত্রিমভাবে মিরাকিউরল তৈরি করে শুধু নাৎসি দলের জন্য ব্যবহার করতেও চেয়েছেন তিনি। এই ধরনের চিন্তার মধ্য দিয়ে তাঁর নীচতা প্রকাশ পেয়েছে।

লোভ : জার্মানির অন্যতম রাষ্ট্রনেতা হের্ গোয়রিং অসুস্থ ছিলেন। তা সত্ত্বেও খাবারের প্রতি ছিল তাঁর প্রচণ্ড লোভ। সে-কারণে তিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্যান্ডউইচ, বিয়ার আনিয়ে খেতেন।

নির্বুদ্ধিতা : গোয়রিং গ্ল্যান্ডের অসুখ সারাতে এতই মরিয়া ছিলেন যে, শঙ্কুর কথার চালাকিতে ভুলে স্টাইনারদের পালাতে দেন। কোনো পরীক্ষানিরীক্ষা ছাড়াই তিনি শঙ্কুর দেওয়া চারটি বড়ি গিলে নেন এবং ওগুলি আসলে ঘুমের বড়ি হওয়ায় ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে শঙ্কু পালাতে সক্ষম হন।

তাই বলা চলে, হের্ গোয়রিং একজন অহংকারী, নীচ, লোভী, স্বার্থপর এবং ওপরচালাক কিন্তু আসলে বুদ্ধিহীন মানুষ।

১৪. আমি মনে মনে স্থির করে নিয়েছিলাম, এ অবস্থায় যা বললে কাজ হবে, সেটাই বলব।— কোন্ অবস্থার কথা বলা হয়েছে ? বক্তা কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ জার্মানির নাৎসিবাহিনীর একজন নেতা হের্ গোয়রিং ইহুদি প্রোফেসর হাইনরিখ স্টাইনারের বাড়ি থেকে প্রোফেসর শঙ্কুকে তাঁর প্রাসাদ কারিনহলে ধরে নিয়ে আসেন। হের্ গোয়রিং-এর নিষ্ঠুরতা ও শয়তানির পাশাপাশি একটা অসহায়তাও ছিল। তাঁর ওজন ছিল একশো সত্তর কেজি আর তিনি প্রচণ্ড ঘামতেন কারণ তাঁর গ্ল্যান্ডের অসুখ ছিল। তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন এই উদ্দেশ্যে যে, তাঁর বিখ্যাত মিরাকিউরল বড়ি খেয়ে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। শঙ্কু এ কথা শোনার পর গোয়রিংকে শর্ত দেন, স্টাইনারের পরিবারকে নির্বিঘ্নে প্যারিসে চলে যেতে দিলে তিনি তাঁকে ওষুধ দেবেন। শঙ্কুর এই শর্তে রেগে গিয়ে তিনি শঙ্কুকে পিস্তল দেখিয়ে সেই ওষুধ ছিনিয়ে নিতে যান। সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে এই অবস্থার কথাই বলা হয়েছে।

শঙ্কু ঠিক করে নিয়েছিলেন যে, যা বললে কাজ হবে সেটাই বলবেন তিনি। তিনি গোয়রিংকে বলেন যে, এ ওষুধ স্বপ্নে পাওয়া। কারোর অনিচ্ছা সত্ত্বে এই ওষুধ প্রয়োগ করলে অসুখ দ্বিগুণ বেড়ে যেতে পারে। তাই রিভলভার দেখিয়ে কোনো লাভ নেই, গোয়রিং স্টাইনারদের জার্মানি ছাড়তে বাধা না দিলে শঙ্কু স্বেচ্ছায় তাঁকে ওষুধ দেবেন। শঙ্কুর এই কথায় সত্যিই কাজ হয়েছিল।

১৫. কী অদ্ভুত অভিজ্ঞতা!— এখানে কার অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে ? তাঁর সেই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা-র বিবরণ দাও।

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে প্রোফেসর শঙ্কুর ‘অদ্ভুত অভিজ্ঞতা’-র কথা বলা হয়েছে।

নরবার্ট স্টাইনারের সঙ্গে লন্ডন থেকে বার্লিনে আসার পর চব্বিশ ঘণ্টায় শঙ্কুর বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বার্লিনে আসার পর শঙ্কু নরবার্টের পিতা সংস্কৃতের অধ্যাপক হাইনরিখ স্টাইনারের ওপর মিরাকিউরল ওষুধ প্রয়োগ করে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন।

শঙ্কুর ওষুধের কথা জানতে পেরে পরের দিন সকালে নাৎসিবাহিনীর এক নেতা হের্ গোয়রিং-এর আদেশে তাঁর লোকেরা শঙ্কুকে তাঁর প্রাসাদে ধরে নিয়ে যান। গোয়রিং ইহুদিদের প্রতি খারাপ মন্তব্য করার পর শঙ্কুর কাছে মিরাকিউরলের বড়ি চান নিজের অসুখ সারানোর জন্য। শঙ্কু শর্ত দেন যে আগে স্টাইনারের পরিবারকে নির্বিঘ্নে প্যারিসে চলে যেতে দিতে হবে। এতে গোয়রিং ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে পিস্তল দেখিয়ে ওষুধ ছিনিয়ে নিতে চাইলে শঙ্কু কথার চালাকিতে তাঁকে বোকা বানান। তিনি বলেন, এ ওষুধ অনিচ্ছায় প্রয়োগ করলে বিপরীত ফল হতে পারে। তখন হের্ গোয়রিং শঙ্কুর শর্তে রাজি হন ও চারটে বড়ি চেয়ে খান। তারপর গোয়রিং ওপর তলায় গেলে পুলিশকর্মী এরিখ ফ্রোমও তাঁর এপিলেপ্সি রোগ সারানোর জন্য চারটে বড়ি চেয়ে খান। এরপর শঙ্কু বিগত চব্বিশ ঘণ্টার অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা ভাবতে থাকেন ।

১৬. তোমার মহৌষধ বিশ্বের হীনতম প্রাণীর উপকারে আসবে এটা আমি চাইনি, চাইনি, চাইনি! – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এখানে কোন্ মহৌষধের কথা বলা হয়েছে লেখো। তিনি কী করেছিলেন ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু লন্ডনের জীবতত্ত্ববিদ জেরেমি সন্ডার্স এই কথা বলেছেন। এখানে ‘মহৌষধ’ বলতে স্বর্ণপর্ণী গাছের পাতা থেকে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি ‘মিরাকিউরল বড়ি’র কথা বলে হয়েছে।

প্রোফেসর শঙ্কু লন্ডন থেকে নরবার্ট স্টাইনারের পিতা হাইনরিখ স্টাইনারকে সুস্থ করার জন্য বার্লিনে যাওয়ার আগে সন্ডার্স গোপনে তাঁর মিরাকিউরলের বড়ির শিশি থেকে বড়িগুলি বের করে সেখানে ঘুমের বড়ি রেখে দেন। সন্ডার্সের আশঙ্কা ছিল জার্মানিতে গিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু নাৎসিবাহিনীর খপ্পরে পড়তে পারেন। তাঁর আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে নাৎসিদের একজন নেতা হের্ গোয়রিং জোর করে মিরাকিউরল বড়ি আদায় করার চেষ্টা করেন। পরে বাধ্য হয়ে শঙ্কুর শর্তে রাজি হওয়ায় শঙ্কু হের্ গোয়রিং ও তাঁর অনুচর এরিখ ফ্রোমকে চারটে করে বড়ি দেন।

তাঁরা সেই বড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে প্রোফেসর সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। লন্ডনে ফেরার পর তিনি সন্ডার্সের কাছে জানতে পারেন যে ওই শিশিতে মিরাকিউরলের বড়ি ছিল না, ছিল ঘুমের ওষুধ। সন্ডার্সের এই বুদ্ধিদীপ্ত কাজে প্রোফেসর শঙ্কু শুধু যে নাৎসিদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে পেরেছিলেন, তাই-ই নয়, মিরাকিউরলের মতো মহৌষধকে কতকগুলো হীন মানুষের উপকারে লেগে কলঙ্কিত হতেও হয়নি।

১৭. ‘আমার মন থেকে সমস্ত অন্ধকার দূর হয়ে গেল।’— এখানে কোন্ অন্ধকারের কথা বলা হয়েছে ? তা কীভাবে দূর হয়ে গেল ?

উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু বার্লিন থেকে ফিরে এসে বন্ধু সন্ডার্সকে সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। বার্লিনে প্রথম ধাপে শঙ্কু সফল হন। অর্থাৎ নরবার্ট স্টাইনারের পিতা সংস্কৃতের অধ্যাপক হাইনরিখ স্টাইনারকে তিনি সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হন। কিন্তু তার পরেই তাঁকে পড়তে হয় এক বিপদের মধ্যে। নাৎসিবাহিনীর এক প্রধান হের্ গোয়রিং-এর লোকেরা শঙ্কুকে ধরে নিয়ে যান।

সেখানে হের্ গোয়রিং তাঁর অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শঙ্কুর কাছে মিরাকিউরল বড়ি চান। শঙ্কু বুদ্ধি করে এর পরিবর্তে স্টাইনার পরিবারের প্যারিসে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন। হের্ গোয়রিং প্রোফেসর শঙ্কুর এই কথায় রাজি না হয়ে জোর করে ওষুধটা কেড়ে নিতে চান। কিন্তু শঙ্কুর বুদ্ধির কাছে তিনি হার মানেন এবং তাঁর শর্তে রাজি হন। হের্ গোয়রিং মিরাকিউরলের চারটে বড়ি খেয়ে ওপর তলায় চলে গেলে তাঁর অনুচর এরিখ ফ্রোমও রোগমুক্তির জন্য চারটে বড়ি চেয়ে খান। এইভাবে পরিস্থিতির চাপে পড়ে মিরাকিউরলের বড়ির সাহায্যে দুই পাষণ্ডের অসুখ সারানোটা প্রোফেসর শঙ্কু মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না। এটাই ছিল তাঁর মনের অন্ধকার বা দুঃখের কারণ।

সন্ডার্স সমস্ত ঘটনা শোনার পর হাসিমুখে শঙ্কুর হাতে একটি শিশি তুলে দিয়ে বলেন এটিই আসল মিরাকিউরল। শঙ্কু জার্মানি যাওয়ার আগে সন্ডার্স আসল ওষুধগুলি সরিয়ে দিয়ে শিশিতে ঘুমের ওষুধ রেখে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ গোয়রিং ও এরিখকে মিরাকিউরলের বদলে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। এই খবরে শঙ্কুর মনের অন্ধকার দূর হয়ে গিয়েছিল।

Leave a Reply