Bengali Meaning of ‘Strong Roots’ Written by APJ Abdul Kalam | Strong Roots গল্পের বাংলা অর্থ দ্বাদশ শ্রেণি [WBCHSE]

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

Prose Lesson 2

Strong Roots by APJ Abdul Kalam

About the Writer and Story:

Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam (1931-2015) was one of the pioneers of aerospace engineering in India. For a major part of his life he worked as a scientist in Indian space programmes. Some of his famous works are India 2020, Ignited Minds, Wings of Fire. He was the President of India from 2002 to 2007.

Strong Roots is an extract from Dr. Kalam’s autobiography Wings of Fire. In this extract, he talks about his childhood in his hometown. The piece presents a delightful sketch of the author’s early life and the development of his spiritual growth.

আবুল পাকির জয়নুল আবেদীন আবদুল কালাম (১৯৩১-২০১৫) ছিলেন ভারতের মহাকাশ যন্ত্রবিজ্ঞানের অন্যতম অগ্রদূত। জীবনের একটি বড় অংশ তিনি ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচিতে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করেছেন। তার কিছু বিখ্যাত কাজ হল ইন্ডিয়া ২০২০, ইগনাইটেড মাইন্ডস, উইংস অফ ফায়ার। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

স্ট্রং রুটস হল ডাঃ কালামের আত্মজীবনী উইংস অফ ফায়ার থেকে তুলে নেওয়া একটি অংশ। তিনি তার নিজের শহরে তার শৈশব সম্পর্কে কথা বলেছেন। উদ্ধৃত অংশটি লেখকের প্রাথমিক জীবন এবং তার আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির বিকাশের একটি আনন্দদায়ক স্কেচ উপস্থাপন করে।

Strong Roots বাংলায় অনুবাদ।

I was born into a middle-class Tamil family in the island town of Rameswaram in the erstwhile Madras state.

আমি পূর্ববর্তী মাদ্রাজ রাজ্যের দ্বীপ শহর রামেশ্বরমে একটি মধ্যবিত্ত তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলাম।

My father, Jainulabdeen, had neither much formal education nor much wealth; despite these disadvantages, he possessed great innate wisdom and a true generosity of spirit.

আমার পিতা, জৈনুল আবদীন, না ছিল অনেক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না অনেক সম্পদ; এই অসুবিধাগুলি থাকা সত্ত্বেও, তিনি মহান সহজাত জ্ঞান এবং আত্মার একটি সত্য উদারতার অধিকারী ছিলেন।

He had an ideal helpmate in my mother, Ashiamma.

তিনি আমার মা, আশিয়াম্মারর মধ্যে একজন আদর্শ জীবনসঙ্গিনীকে পেয়েছিলেন।

I do not recall the exact number of people she fed every day, but I am quite certain that far more outsiders ate with us than all the members of our own family put together.

তিনি প্রতিদিন কতজনকে খাওয়াতেন তার সঠিক সংখ্যাটি আমার মনে নেই, তবে আমি নিশ্চিত যে আমাদের নিজের পরিবারের সমস্ত সদস্যের চেয়ে অনেক বেশি বহিরাগতরা আমাদের সাথে খেতেন।

My parents were widely regarded as an ideal couple.

আমার বাবা-মা ব্যাপকভাবে একটি আদর্শ দম্পতি হিসেবে গণ্য ছিলেন।

My mother’s lineage was the more distinguished, one of her forebears having been bestowed the title of ‘Bahadur’ by the British.

আমার মায়ের বংশ ছিল বেশি প্রসিদ্ধ, তার পূর্বপুরুষদের একজনকে ব্রিটিশরা ‘বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

I was one of many children-a short boy with rather undistinguished looks, born to tall and handsome parents.

আমি অনেক সন্তানের মধ্যে একজন ছিলাম-একটি ছোট্ট ছেলে, বরং স্বতন্ত্র চেহারার, লম্বা এবং সুদর্শন পিতামাতার সন্তান।

We lived in our ancestral house, which was built in the middle of the 19th century.

আমরা আমাদের পৈতৃক বাড়িতে থাকতাম, যা ১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত হয়েছিল।

It was a fairly large pucca house, made of limestone and brick, on the Mosque Street in Rameswaram.

এটি ছিল একটি মোটামুটি বড় পাকা বাড়ি, চুনাপাথর এবং ইটের তৈরি, রামেশ্বরমের মস্ক স্ট্রীটে (মসজিদ রাস্তায়)।

My austere father used to avoid all inessential comforts and luxuries.

আমার কঠোর নীতিনিষ্ঠ বাবা সবরকম অপ্রয়োজনীয় আরাম এবং বিলাসিতা এড়িয়ে চলতেন।

However, all necessities were provided for, in terms of food, medicine or clothing.

যাইহোক, খাদ্য, ঔষধ বা পোশাকের ক্ষেত্রে সমস্ত প্রয়োজনীয়তা মেটানো হত।

In fact, I would say mine was a very secure childhood, materially and emotionally.

প্রকৃতপক্ষে, আমি বলব আমার শৈশব বস্তুগত এবং আবেগগতভাবে খুব নিরাপদ ছিল।

I normally ate with my mother, sitting on the floor of the kitchen.

আমি সাধারণত আমার মায়ের সাথে রান্নাঘরের মেঝেতে বসে খেতাম

She would place a banana leaf before me, on which she then ladled rice and aromatic sambar, a variety of sharp, home-made pickle and a dollop of fresh coconut chutney.

তিনি আমার সামনে একটি কলা পাতা বিছিয়ে দিতেন, যার উপর তিনি রাখতেন ভাত ও সুগন্ধি সম্বার, বিভিন্ন ধরনের ঝাঁঝালো, বাড়িতে তৈরি আচার এবং তাজা নারকেলের চাটনি একদলা

The Shiva temple, which made Rameswaram so famous to pilgrims, was about a ten-minute walk from our house.

শিব মন্দির, যা রামেশ্বরমকে তীর্থযাত্রীদের কাছে খুবই বিখ্যাত করে তুলেছিল, আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দশ মিনিটের হাঁটা পথ।

Our locality was predominantly Muslim, but there were quite a lot of Hindu families too, living amicably with their Muslim neighbours.

আমাদের এলাকা প্রধানত মুসলিম আধ্যুষিত ছিল, কিন্তু সেখানেও অনেক হিন্দু পরিবার ছিল, যারা তাদের মুসলিম প্রতিবেশীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বসবাস করত।

There was a very old mosque in our locality where my father would take me for evening prayers.

আমাদের এলাকায় একটি খুব পুরনো মসজিদ ছিল যেখানে আমার বাবা আমাকে সন্ধ্যার নামাজের জন্য নিয়ে যেতেন।

I had not the faintest idea of the meaning of the Arabic prayers chanted, but I was totally convinced that they reached God.

আরবি প্রার্থনার অর্থ সম্পর্কে আমার ক্ষীণতম ধারণাও ছিল না, কিন্তু আমি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত ছিলাম যে সেগুলি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাত।

When my father came out of the mosque after the prayers, people of different religions would be sitting outside, waiting for him.

প্রার্থনার শেষে আমার বাবা যখন মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসতেন, তখন বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা বাইরে বসে থাকতেন, তার জন্য অপেক্ষা করে।

Many of them offered bowls of water to my father, who would dip his fingertips in them and say a prayer.

তাদের মধ্যে অনেকেই আমার বাবাকে জল ভরা পাত্র প্রদর্শন করতেন, যিনি সেগুলির মধ্যে তার আঙ্গুলের ডগা ডুবিয়ে একটি প্রার্থনা উচ্চারণ করতেন।

This water was then carried home for invalids.

এই জল তখন পঙ্গু বা দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত।

I also remember people visiting our home to offer thanks after being cured.

আমার এও মনে আছে যে লোকেরা সুস্থ হওয়ার পরে ধন্যবাদ জানাতে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।

Father always smiled and asked them to thank Allah, the merciful.

বাবা সবসময় হাসতেন এবং আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাতে বলতেন, যিনি দয়াময়।

The high priest of Rameswaram temple, Pakshi Lakshmana Sastry, was a very lose friend of my father’s.

রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, পক্ষী লক্ষ্মণ শাস্ত্রী, আমার বাবার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।

One of the most vivid memories of my early childhood is of the two men, each in traditional attire, discussing spiritual matters.

আমার শৈশবের সবচেয়ে উজ্জ্বল স্মৃতিগুলির মধ্যে একটি হল দুজন পুরুষ মানুষ, প্রত্যেকে নিজের নিজের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে, আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।

When I was old enough to ask questions, I asked my father about the relevance of prayer.

যখন আমি প্রশ্ন করার জন্য যথেষ্ট বয়স্ক হয়েছিলাম, তখন আমি আমার বাবাকে প্রার্থনার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম।

My father told me there was nothing mysterious about prayer.

আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন যে প্রার্থনা সম্পর্কে রহস্যজনক কিছু নেই।

Rather, prayer made possible a communion of the spirit between people.

বরং, প্রার্থনা মানুষের মধ্যে আত্মার মিলন সম্ভব করে।

“When you pray,” he said, “you transcend your, body and become a part of the cosmos, which knows no division of wealth, age, caste, or creed.”

“তুমি যখন প্রার্থনা কর,” তিনি বলেছিলেন, “তুমি তোমার শরীরকে অতিক্রম করে মহাবিশ্বের একটি অংশ হয়ে ওঠ, যা সম্পদ, বয়স, বর্ণ বা ধর্মের কোন বিভাজন জানে না।”

My father could convey complex spiritual concepts in very simple, down-to-earth Tamil.

আমার বাবা জটিল আধ্যাত্মিক ধারণাগুলি খুব সহজভাবে, সরল ভাবে তামিল ভাষায় প্রকাশ করতে পারতেন।

He once told me, “In his own time, in his own place, in what he really is, and in the stage he has reached – good or bad-every human being is a specific element within the whole of the manifest divine Being.

তিনি একবার আমাকে বলেছিলেন, “প্রত্যেক মানুষ তার নিজের সময়ে, তার নিজের জায়গায়, সে আসলে যা- তাই নিয়ে, এবং যে পর্যায়ে সে পৌঁছেছে-ভাল বা খারাপ-এই সব কিছু সমেত সে প্রকাশিত ঐশ্বরিক সত্তার সমগ্রতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উপাদান।

So why be afraid of difficulties, sufferings and problems?

তাই বাধাবিঘ্ন, দুঃখ কষ্ট এবং সমস্যা নিয়ে ভয় পাওয়া কেন?

When troubles come, try to understand the relevance of your sufferings.

যখন সমস্যা আসে, তোমার দুঃখ কষ্টের প্রাসঙ্গিকতাকে বোঝার চেষ্টা কর।

Adversity always presents opportunities for introspection.”

প্রতিকূলতা সর্বদাই আত্মদর্শন বা আত্মবিশ্লেষণ করার সুযোগ প্রদান করে।

“Why don’t you say this to the people who come to you for help and advice?” I asked my father.

“যারা সাহায্য এবং পরামর্শ নেওয়ার জন্য তোমার কাছে আসে তাদের কাছে তুমি এটা বল না কেন?” বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম।

He put his hands on my shoulders and looked straight into my eyes.

তিনি আমার কাঁধে হাত রাখলেন এবং সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকালেন।

For quite some time he said nothing, as if he was judging my capacity to comprehend his words.

বেশ কিছুক্ষণ তিনি কিছুই বললেন না, যেন তিনি আমার তাঁর কথাগুলো বোঝার ক্ষমতা বিচার করছিলেন।

Then he answered in a low, deep voice.

তারপর তিনি নিচু, গভীর কণ্ঠে উত্তর দিলেন।

His answer filled me with a strange energy and enthusiasm: “Whenever human beings find themselves alone, as a natural reaction, they start looking for company.

তার উত্তর আমাকে একটি অদ্ভুত শক্তি এবং উদ্দীপনায় পূর্ণ করল: “যখনই মানুষ নিজেকে একা খুঁজে পায়, প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে, তারা সঙ্গ খুঁজতে শুরু করে।

Whenever they are in trouble, they look for someone to help them.

যখনই তারা সমস্যায় পড়ে, তারা তাদের সাহায্য করার জন্য অন্য কাউকে খোঁজে।

Whenever they reach an impasse, they look to someone to show them the way out.

যখনই তারা কোনো অচলাবস্থায় বা কানাগলিতে পৌঁছায়, তখন তারা অন্য কাউকে খুঁজে বের করে তাদের পথ দেখানোর জন্য।

Every recurrent anguish, longing, and desire finds its own special helper.

প্রতিটি পুনরাবৃত্তি যন্ত্রণা, আকাঙ্ক্ষা, এবং ইচ্ছা তার নিজস্ব বিশেষ সাহায্যকারী খুঁজে পায়।

For the people who come to me in distress, I am but a go-between in their effort to propitiate demonic forces with prayers and offerings.

আমার কাছে যারা কষ্টে আসে তাদের জন্য, তাদের প্রার্থনা এবং নিবেদনের মাধ্যমে অসুভ পৈশাচিক শক্তিদের প্রসন্ন করার প্রচেষ্টার আমি তাদের জন্য শুধুই মধ্যস্থতাকারি।

This is not a correct approach at all and should never be followed.

এটি মোটেও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী নয় এবং এটি কখনই অনুসরণ করা উচিত নয়।

One must understand the difference between a fear-ridden vision of destiny and the vision that enables us to seek the enemy of fulfilment within ourselves.”

একজনকে অবশ্যই ভাগ্যের ভয়ভীতিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে যা আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিপূর্ণতার শত্রু খুঁজতে সক্ষম করে।”

I remember my father starting his day at 4 am by reading the namaz before dawn.

আমার মনে আছে আমার বাবা ভোরের আগে নামাজ পরার মাধ্যমে ভোর চারটার টার সময় তাঁর দিন শুরু করতেন।

After the namaz, he used to walk down to a small coconut grove we owned, about four miles from our home.

নামাজের পর, তিনি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় চার মাইল দূরে আমাদের মালিকানাধীন একটি ছোট নারিকেল বাগানে হাঁটতেন।

He would return with about a dozen coconuts tied together thrown over his shoulder, and only then would he have his breakfast.

তিনি কাঁধে একসঙ্গে বাঁধা প্রায় এক ডজন নারকেল নিয়ে ফিরে আসতেন এবং কেবল তখনই তিনি তার প্রাত:রাশ করতেন।

This remained his routine even when he was in his late sixties.

এটাই তার রুটিন ছিল, এমনকি সত্তরের কাছাকাছি বয়সেও ।

I have, throughout my life, tried to emulate my father in my own world of science and technology.

আমি আমার সারা জীবন আমার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে আমার বাবাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করেছি।

I have endeavoured to understand the fundamental truths revealed to me by my father, and feel convinced that there exists a divine power that can lift one up from confusion, misery, melancholy and failure, and guide one to one’s true place.

আমি আমার বাবার দ্বারা আমার কাছে প্রকাশিত মৌলিক সত্যগুলি বোঝার চেষ্টা করেছি, এবং আমি বিশ্বাস করি যে এমন একটি ঐশ্বরিক শক্তি রয়েছে যা একজনকে বিভ্রান্তি, দুর্দশা, বিষণ্ণতা এবং ব্যর্থতা থেকে উত্তোলন করতে পারে এবং একজনকে তার আসল স্থানে পরিচালিত করতে পারে।

And once an individual severs his emotional and physical bond, he is on the road to freedom, happiness and peace of mind.

এবং একবার একজন ব্যক্তি তার মানসিক এবং শারীরিক বন্ধন ছিন্ন করতে পারে, সে মুক্তি, সুখ, এবং মনের শান্তির পথে উপনীত হয়।

This Post Has One Comment

Leave a Reply