WBBSE Class 7 History First Unit Test Set-3 | সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 7 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER

1. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-১ Click Here

2. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-২ Click Here

3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-৩ Click Here

4. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র সেট-৪ Click Here

Set-3

পাঠ্যসূচী/Syllabus :
1. ইতিহাসের ধারণা
2. ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েকটি ধারা
3. ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
সপ্তম শ্রেণী       বিষয়: ইতিহাস
পূর্ণমান: ১৫        সময়: ৩০ মিনিট

1. যেকোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 1×5=5

(i) কয়েকটি গ্রামকে নিয়ে গঠিত হতো -(ওর / নগরম / নাড়ু)

উত্তরঃ নাড়ু।

(ii) সকল উত্তর পথনাথ উপাধি ছিল— (হর্ষবর্ধনের / শশাঙ্কের / ধর্মপালের)।

উত্তরঃ হর্ষবর্ধনের।

(iii) চোল রাজ্যে কোন ধাতুর হস্তশিল্প বিখ্যাত ছিল— (ব্রোঞ্জ / সোনা / লোহা)।

উত্তরঃ ব্রোঞ্জ।

(iv) গৌড়বহ কাব্য টির ভাষা ছিল— (সংস্কৃত / পালি / প্রাকৃত)।

উত্তরঃ প্রাকৃত।

(v) হযরত মোহম্মদ জন্মগ্রহণ করেন— (570 খ্রীষ্টাব্দে / 712 খ্রিস্টাব্দে / 600 খ্রিস্টাব্দে)।

উত্তরঃ 570 খ্রীষ্টাব্দে।

(vi) কৌটিল্যের লেখা গ্রন্থের নাম— (ইন্ডিকা / অর্থশাস্ত্র / চর্যাপদ)।

উত্তরঃ অর্থশাস্ত্র।

2. টীকা লেখ (যেকোনো দুটি) : 2×2 = 4
(i) মাৎস্যন্যায়,
(ii) পঞ্চরত্ন,
(iii) কৈবর্ত বিদ্রোহ

উত্তরঃ
(i) মাৎস্যন্যায়ঃ ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে গৌড়রাজ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে এক ঘোরতর অরাজকতার সৃষ্টি হয় এবং তা স্থায়ী হয় প্রায় দেড়শ’ বৎসর। এর ফলে সাধারণ লোকের দুঃখ-দুর্দশার সীমা ছিল না। পুকুরে যেমন বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে ফেলে, বাংলার মানুষেরও ছিল ঠিক ঐ একই অবস্থা। সেজন্য বাংলার এই অবস্থাকে বলা হচ্ছে ‘মাৎস্যন্যায়’।

(ii) পঞ্চরত্নঃ লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ৫ জন সভাকবি বা গুণি পন্ডিত ছিলেন।
(১) উমাপতিধর (২) শরণ (৩) ধোয়ী (৪) গোবর্ধন (৫) জয়দেব এই ৫ জন সভাকবি সর্বদা লক্ষ্মনসেনের রাজসভা অলংকৃত করে রাখতেন। এদেরকেই লক্ষ্মনসেনের রাজসভায় “পঞ্চরত্ন” বলা হয়ে থাকে।

(iii) কৈবর্ত বিদ্রোহঃ পালরাজ দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্বকালে ( ১০৭০-৭৫ খ্রীঃ ) দিব্য বা দিবোক নামে কোনো এক ব্যক্তির নেতৃত্বে বরেন্দ্র অঞ্চলে এক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। এই বিদ্রোহ “কৈবর্ত বিদ্রোহ” নামে খ্যাত। এই বিদ্রোহের বিস্তারিত বিবরণ আছে সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত ‘রামচরিত’ গ্রন্থে। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, কৈবর্তরা ছিল বরেন্দ্র এর শক্তিশালী জাতি । দ্বিতীয় মহীপালের অত্যাচারে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা দিব্যর নেতৃত্বে বিদ্রোহ করেছিল ।

3. যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: 3×2= 6

(i) কনৌজকে কেন্দ্র করে ত্রিশক্তি সংগ্রাম কাদের মধ্যে হয়েছিল ? কেন হয়েছিল ?

উত্তরঃ হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর 647 খ্রীষ্টাব্দে উত্তর ভারতের সার্বভৌম শক্তির অভাব দেখা দেয়। এর পর খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের পূর্ব ভারতে পাল বংশ, পশ্চিম ভারতের প্রতিহার বংশ ও দক্ষিণ ভারতের রাষ্ট্রকূট বংশ একই সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই তিন শক্তি প্রত্যেকেই কৌনজ এর উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে এই দীর্ঘকালব্যাপী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, তা ইতিহাসে ত্রিশক্তি সংগ্রাম হিসেবে পরিচিত।

ত্রিশক্তি সংগ্রাম এর কারণ—

1. অষ্টম ও নবম শতকে কৌনজ ছিল ভারতীয় রাজাদের কাছে ক্ষমতার প্রতীক। কৌনজ দখল রাখতে পারলে তা রাজার মর্যাদার বৃদ্ধি পেত।

2. এছাড়া গাঙ্গেয় উপত্যকায় অবস্থিত এই অঞ্চলটি ছিল উর্বর, তাই অর্থনৈতিক দিক থেকেও এর খুব গুরুত্ব ছিল।

ত্রিশক্তি সংগ্রাম এর বিবরণ ও ফলাফল—

783 খ্রিস্টাব্দে প্রতিহার রাজ বৎস কৌনজ দখল করে, তখন পাল রাজা ধর্মপাল প্রতিহার রাজ বৎসের বিরুদ্ধে অভিযান করে পরাজিত হন। তখন বৎসের এই ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রকূট রাজা ধ্রুব আতঙ্কিত হয়ে বৎসের বিরুদ্ধে অভিযান করেন। যুদ্ধে বৎস পরাজিত হন, কিন্তু ধ্রুব এরপর দক্ষিণ ভারতে ফিরে যান। এর ফলে ধর্মপাল কৌনজ সহ এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল অধিকার করেন। কিন্তু ধর্মপালের কৌনজ দখল বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ প্রতিহার রাজ দ্বিতীয় নাগভট্ট ধর্মপালকে পরাজিত করে কৌনজ দখল করে নেয়। তখন ধর্মপালের সমর্থনে এগিয়ে আসেন তার শশুর দক্ষিণের রাষ্ট্রকূট রাজ তৃতীয় গোবিন্দ এবং শুরু হয় কৌনজকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় পর্বের ত্রিশক্তি সংগ্রাম।

(ii) নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা জানো লিখো।

উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে নালন্দাই ছিল সৰ্বাধিক খ্যাতিসম্পন্ন। শুধু ভারত নয়, এশিয়া মহাদেশের মধ্যেও এটি ছিল শ্রেষ্ঠ উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র। সঠিক অর্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল একটি বৃহৎ আকৃতির বৌদ্ধ মঠ।

[1] অবস্থান : বিহার রাজ্যের পাটনা শহরের রাজগীরের নিকটবর্তী বড়গাঁও নামক একটি স্থানে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল।

[2] প্রতিষ্ঠাকাল: ঐতিহাসিকদের মতে আনুমানিক 300 খ্রিস্টাব্দে নাগার্জুন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন।

[3] ছাত্র-ভরতি : নালন্দা মহাবিহারে কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব ধরনের শিক্ষার্থীকেই ভরতি নেওয়া হত। এখানে মূলত স্নাতকোত্তর বিশেষ স্তরের শিক্ষা দেওয়া হত।

[4] পাঠক্রম : নালন্দা মহাবিহারের পাঠক্রমে ব্রাহ্মণ্য-বৌদ্ধ, ধৰ্মীয়- লৌকিক, দার্শনিক-ব্যাবহারিক, কলা- বিজ্ঞান প্রভৃতি সব ধরনের বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়া পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল চতুর্বেদ, বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান, আইন প্রভৃতি বিষয়। এগুলি ছাড়া শব্দবিদ্যা, পাণিনি, সাংখ্যতত্ত্ব, সংস্কৃত, ভাষাতত্ত্ব, জাদুবিদ্যা এবং 18টি কলাবিদ্যা পঠনপাঠনের ব্যবস্থা ছিল।

[5] খ্যাতির বিস্ততি : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। চিন, তিব্বত, কোরিয়া, জাভা, সুমাত্রা, সিংহল, যবদ্বীপ প্রভৃতি দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষালাভের জন্য নালন্দা এসে জড়ো হত।

[6] ধ্বংসকাল : দ্বাদশ শতাব্দীতে
(1193 খ্রিস্টাব্দে) মুসলিম সেনাপতি বখতিয়ার খলজির আক্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংস হয় ।

(iii) প্রাচীন বঙ্গ বলতে কী বোঝো ? প্রাচীন বঙ্গের দুটি অঞ্চলের নাম লেখো।

This Post Has One Comment

Leave a Reply