CLASS 6 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER
Set-1
পাঠ্যসূচী / Syllabus :
2. ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ 3.ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
ষষ্ঠ শ্রেণি বিষয় : ইতিহাস
পূর্ণমান- ১৫ সময়- ৩০ মিনিট।
১. যে-কোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১x৫=৫
১.১ কোন যুগে মাটির পাত্র বানানো শুরু হয় ?
(ক) পুরাতন পাথরের যুগে, (খ) নতুন পাথরের যুগে, (গ) মধ্য পাথরের যুগে (ঘ) কোনোটিই নয়।
উত্তরঃ (খ) নতুন পাথরের যুগে।
১.২ লোথালে কোন আকৃতির সিলমোহর পাওয়া গেছে ?
(ক) বোতামের মতো (খ) ত্রিভুজের মতো (গ) গোলাকার (ঘ) চৌকো
উত্তরঃ (ক) বোতামের মতো
১.৩ ‘লোথাল’ কথার অর্থ কি ?
উত্তরঃ ‘লোথাল ‘ কথার অর্থ মৃত্যুর স্তূপ।
১.৪ হরপ্পা সভ্যতায় পাওয়া গেছে ________ (সোনা / ব্রোঞ্জ / লোহা)।
উত্তরঃ ব্রোঞ্জ।
১.৫ হরপ্পা সভ্যতায় __________ (মাতৃপূজা / গাছ পূজা / পাথর পূজা)।
উত্তরঃ মাতৃপূজা
১.৬ এখনো পর্যন্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে পুরনো কার্পাস চাষের নমুনা পাওয়া গেছে মেহেরগড়ে। (সত্য / মিথ্যা)
উত্তরঃ সত্য।
২. টীকা লেখ (যে-কোনো দুটি) : ২×২=৪
(ক) মহেঞ্জোদারোর স্নানাগার,
(খ) ভীমবেটকা,
(গ) ট্যুরো-ট্যরো
উত্তরঃ
(ক) মহেঞ্জোদারোর স্নানাগারঃ মহেঞ্জোদাড়োয় প্রাপ্ত সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে অন্যতম। মহেঞ্জোদাড়োর সুরক্ষিত উত্তরাংশের পশ্চিমভাগের স্তুপের মধ্যে এটি পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই স্তুপটি “মৃতের স্তুপ” বা “দুর্গ” নামেও পরিচিত। ১৯২৫-২৬ সালে এই স্নানাগারটি আবিষ্কৃত হয়।
স্নানাগারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১১.৮৮ মিটার ও ৭.০১ মিটার। এর সর্বোচ্চ গভীরতা ২.৪৩ মিটার। উত্তরে ও দক্ষিণে দুটি চওড়া সিঁড়ির মাধ্যমে স্নানাগারে প্রবেশ করা যেত। স্নানাগার নির্মিত হয়েছিল উন্নতমানের পোড়া ইঁট দিয়ে। এই স্নানাগার নির্মাণের প্রকৃত উদ্দেশ্য আজও অজ্ঞাত।
(খ) ভীমবেটকাঃ ভীমবেটকা হল মধ্যপ্রদেশের একটি প্রস্তরক্ষেত্র। এখানে ১৯৫৭ সালে বেশ কয়েকটি গুহার সন্ধান পাওয়া যায়। গুহায় আদিম মানুষের আঁকা নানা জীবজন্তু ও শিকারের ছবি পাওয়া গেছে। জীবজন্তুর ছবির মধ্যে পাখি, মাছ, কাঠবেড়ালি প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া কতকগুলো ছবিতে মানুষের সঙ্গে কুকুরকেও দেখা যায়। ছবিগুলিতে সবুজ ও হলুদ রং ব্যবহার করা হলেও, সাদা ও লাল রং বেশি দেখা যায়।
(গ) ট্যরো-ট্যরোঃ ইউরোপের স্পেন দেশে পাহাড়ি এলাকা আলতামিরায় কয়েকটি প্রাচীন গুহার খোঁজ মেলে। এক প্রত্নতাত্ত্বিক তাঁর ছোটো মেয়েকে নিয়ে গুহাগুলি দেখতে যান। গুহার এক দেয়ালে তারা আলো ফেললে এক ষাঁড়ের ছবি দেখতে পান। গুহার ছাদে বিশাল বড়ো এই ষাঁড়ের ছবিটি দেখে মেয়েটি চিৎকার করে ট্যুরো- ট্যুরো অর্থাৎ ষাঁড় ষাঁড় বলে ওঠে। এই ছবিটি প্রায় ৫০ থেকে ৩০ হাজার বছর আগের গুহাবাসী মানুষের আঁকা।
৩. যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩x২ =৬
(ক) আগুনের ব্যবহারের ফলে আদিম মানুষের জীবনে কী কী পরিবর্তন ঘটেছিল ?
উত্তরঃ আগুনের ব্যবহার শেখার পর আদিম মানুষের পরিবর্তন—
[1] দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তনঃ আগুনের ব্যবহার শেখার পর আদিম মানুষের। জীবনযাপনের ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন এসেছিল, তা হল— (i) শীতের হাত থেকে রক্ষাঃ আদিম মানুষকে প্রথমদিকে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কষ্ট পেতে হত। পরে আগুনের ব্যবহার শুরু হলে মানুষ আগুন জ্বেলে প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে শিখেছিল। (ii) আত্মরক্ষাঃ আদিম মানুষ বন্যজন্তুর হঠাৎ আক্রমণে মারা যেত। তারা দেখেছিল আগুনকে বন্যজন্তুরা ভয় পায়। তাই রাত্রে গুহার মুখে তারা আগুন জ্বালিয়ে রাখত। এভাবে বন্যজন্তুর হঠাৎ আক্রমণ থেকে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে শিখেছিল। (iii) খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনঃ আগুনের ব্যবহার শুরু হলে আদিম মানুষের খাবার অভ্যাসও বদলে যায়। কাচা খাওয়ার বদলে তারা খাবার আগুনে ঝলসে খেতে শুরু করে।
[2] দৈহিক পরিবর্তনঃ ঝলসানো নরম মাংস খেতে আদিম মানুষের চোয়াল ও দাতের জোর কম লাগত। তাই তাদের চোয়াল সরু হয়ে এল ও সামনের ধারালো, উঁচু দাঁত ছোটো হয়ে গেল।
(খ) পুরনো পাথরের যুগ ও নতুন পাথরের যুগের মধ্যে পার্থক্য লিখো।
পুরনো পাথরের যুগঃ
(১) পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার।
(২)হাতিয়ারগুলি হত অমসৃণ ও বৃত্তাকার।
(৩) তীরধনুক আবিষ্কার।
(৪) পশু শিকার, ফলমূল সংগ্রহ এবং মাছ ধরে।
নতুন পাথরের যুগঃ
(১) কাস্তে, কুলো, হাতুড়ি, বাটালি,জাতা, শিলনোড়া।
(২) তীক্ষ্ণ, মসৃণ, ও আরও উন্নত হয়।
(৩) কৃষিকাজের উন্নত কৌশল আবিষ্কার।
পশুপালন, খাদ্য উৎপাদন।
(গ) হরপ্পা সভ্যতা ধ্বংসের কারণগুলি লেখো।
উত্তরঃ হরপ্পা সভ্যতার পতনের পিছনে সঠিক কারণ কি ছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তবে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য বিশ্লেষণ করে অনুমান করা হয় যে কোন একটি কারণে এই সভ্যতার পতন হয়নি। হরপ্পা সভ্যতার পতনের সম্ভাব্য কারণগুলি হলো—
(১)ভূমিকম্পঃ অনেক ঐতিহাসিকের মতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বিশেষত ভূমিকম্পের কারণে হরপ্পা সভ্যতার পতন ঘটেছে।
(২)জলবায়ু পরিবর্তনঃ অনেক ঐতিহাসিক হরপ্পা সভ্যতার পতনের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।
(৩)নদীর গতিপথ পরিবর্তনঃ হরপ্পা সভ্যতার পতনের একটি সম্ভাব্য কারণ হল সিন্ধু নদের গতিপথ পরিবর্তন।
এছাড়া বন্যা,খরা, গৃহযদ্ধ বৈদেশিক আক্রমণ প্রভৃতিকে মনে করা হয়।
Pingback: WBBSE Class 6 Unit Test | All Subject Question Papers- Prosnodekho -