FIRST SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 6 GEOGRAPHY (WBBSE)
MODEL QUESTION PAPER
Set-4
পাঠ্যসূচী/সিলেবাস—
১. আকাশ ভরা সূর্য তারা (১)
২. পৃথিবী কি গোল (১৫)
৩. তুমি কোথায় আছো (১৯)
৪. পৃথিবীর আবর্তন (২৪)
১০.ভারতের সাধারণ পরিচয় (৬৫)
১০. ভারতের ভূপ্রকৃতি ও নদনদী (৬৯)
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৩
শ্রেণী ষষ্ঠ বিষয়- ভূগোল
পূর্ণমান- ১৫ সময় – ৩০ মিনিট
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর (যে কোনো তিনটি) ১×৩=৩
১.১ ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাম— ( NASA / ISRO / INSAT / আর্যভট্ট)।
উত্তরঃ ISRO
১.২ সৌরজগতের শীতলতম গ্রহ— (বৃহস্পতি / শনি / নেপচুন / শুক্র)।
উত্তরঃ নেপচুন
১.৩ পৃথিবীর গড় ব্যাসার্ধ— (৫,৪০০ কি.মি / ৭,৬০০ কি.মি / ৬,৪০০ কি.মি / ৪,৬০০ কি.মি)।
উত্তরঃ ৬,৪০০ কি.মি.
১.৪ অক্ষরেখা অপর নাম— ( মূল মধ্যরেখা / সমাক্ষরেখা / দেশান্তর রেখা / বিষুবরেখা)।
উত্তরঃ সমাক্ষরেখা।
১.৫ পৃথিবী যে পথে সূর্যের চারদিকে ঘোবে তাকে বলে পৃথিবীর— ( অক্ষ / কক্ষপথ / কক্ষতল / নিরক্ষীয় তল)।
উত্তরঃ কক্ষপথ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো : (যে-কোনো-দুটি) ১×২ = ২
২.১ একটা পূর্ণিমা থেকে আরেকটা পূর্ণিমা পর্যন্ত সময় খেয়ে কী বলে ?
উত্তরঃ চান্দ্রমাস।
২.২ সুপ্রাচীন কালে কিসের সাহায্যে দিক নির্ণয় করা হত ?
উত্তরঃ ধ্রুবতারা।
২.৩ কোন্ প্রণালী দ্বারা ভারত ও শ্রীলঙ্কা বিচ্ছিন্ন ?
উত্তরঃ পক্ প্রণালী।
২.৪ দ্রাঘিমারেখার অপর নাম কী ?
উত্তরঃ দেশান্তররেখা।
৩. অনধিক ৩০টি শব্দে উত্তর দাও ( যে কোনো একটি) ২×১=২
৩.১ আলোকবর্ষ কাকে বলে ?
উত্তরঃ মহাকাশের সুবিশাল দূরত্ব মাপার একককে আলোকবর্ষ (Light Year) বলা হয়। শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ সেকেন্ডে প্রায় 1 লক্ষ 86 হাজার মাইল বা 3,00,000 কি.মি.। এই গতিবেগে আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে এক আলোকবর্ষ বলে। যেমন– পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেন্টাউরির দূরত্ব প্রায় 4.2 আলোকবর্ষ।
৩.২ আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ মূলমধ্যরেখা (0°)-এর বিপরীত দিকে অবস্থিত 180° দ্রাঘিমাকে অনুসরণ করে জলভাগ (প্রশান্ত মহাসাগর)-এর ওপর দিয়ে উত্তরমেরু থেকে দক্ষিণমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এই রেখাকে অনুসরণ করে পৃথিবীর তারিখ নির্ধারিত হয় বলে, একে আন্তর্জাতিক । তারিখরেখা বলে।
৩.৩ পৃথিবীর কক্ষপথ ও কক্ষতল কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৃথিবী যে নির্দিষ্ট পথ ধরে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করে, তাকে পৃথিবীর কক্ষপথ (Orbit) বলে। পৃথিবীর এই কক্ষপথ যে তলে অবস্থান করছে, তাকে পৃথিবীর কক্ষতল (Orbit Plane) বলে। উল্লেখ্য, পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য প্রায় 96 কোটি কিমি।
৪. কম-বেশি ৫০টি শব্দে উত্তর দাও (যে কোনো একটি) ৩×১=৩
৪.১ নিরক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ নিরক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(i) নিরক্ষরেখা হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কাল্পনিক বৃত্ত ও এর পরিধি সর্বাধিক।
(ii) এর মান 0°
(ii) নিরক্ষীয় তল পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ভাগে ভাগ করেছে।
(iv) নিরক্ষরেখায় সারাবছর 12 ঘন্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি হয়।
(v) নিরক্ষরেখার অপর নাম দুটি হল– মহাবৃত্ত ও বিষুবরেখা।
৪.২ চাঁদে প্রাণ নেই কেন ?
উত্তরঃ চাঁদে প্রাণ নেই। তার কারণগুলি— (i) চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই সেজন্য অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায় না।
(ii) চাঁদে পর্যাপ্ত জল নেই, জল ছাড়া জীবজগতের সৃষ্টি সম্ভব নয়।
(iii) চাঁদের পৃষ্ঠদেশ অত্যন্ত রুক্ষ, নুড়ি-কাঁকর পাথরের পাহাড়ে পরিপূর্ণ।
(iv) চাঁদের আবর্তন অতি ধীর গতি সম্পন্ন। সেজন্য চাঁদের একদিন ও একরাত দু’সপ্তাহ (15 দিন) ধরে চলে। ফলে দিনের বেলায় উষ্ণতা প্রায় 117° সে. গ্রে এবং রাত্রিবেলায় গড় উষ্ণতা প্রায় 117° সে. গ্রে. পৌঁছায়।
এইরূপ অতি তীব্র ও অতিশীতল উষ্ণতায় প্রাণের বিকাশ সম্ভব নয়।
(v) বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস চন্দ্রপৃষ্ঠে অবস্থান করছে।
(vi) চাঁদের অভিকর্ষজ টান অত্যন্ত কম। পৃথিবীর অভিকর্ষজ টানের মাত্র 1/6 ভাগ। ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।
৪.৩ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখায় ?
উত্তরঃ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে গোল থালার মতো দেখায়। পৃথিবীর যে অংশ যখন সূর্যের দিকে থাকে সেই অংশে বিভিন্ন রং দেখতে পাওয়া যায়। যেমন– বরফে ঢাকা পর্বত ও মেরু অঞ্চলগুলি সাদা; স্বাভাবিক উদ্ভিদ ও বনভূমির রং হালকা সবুজ থেকে গাঢ় সবুজ, জলভাগ সহ সমুদ্রের রং নীলাভ, কৃষিক্ষেত্র ও তৃণভূমির রং হালকা হলুদ, মরুভূমির রং বাদামি এবং বিপরীত অংশ যেখানে সূর্যের আলো পড়ে না তার রং কালো দেখায়। পৃথিবীর প্রায় 71% জলভাগ এবং 29% স্থলভাগ।
জলভাগের প্রাবল্যের জন্যই মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে মূলত একটি নীলাভ সবুজ ও ধূসর বর্ণের গোলকরূপে দেখা যায়।
৫. কম-বেশি ৮০টি শব্দে উত্তর দাও : ৫×১=৫
৫.১ ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অনুসারে ভারতকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ? যে-কোনো একটি ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগ সম্বন্ধে আলোচনা করো।
উত্তরঃ ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অনুসারে ভারতকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়— (i) উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, (ii) উত্তরের নদীগঠিত সমভূমি, (iii) উপদ্বীপীয় মা ম, (iv) পশ্চিমের মরু অঞ্চল, (v) উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল ও দ্বীপপুঞ্জ।
(ii) উত্তরের নদীগঠিত সমভূমি অঞ্চলঃ
উত্তরে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ও দক্ষিণে উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চলের মাঝখানে এই সমভূমি অঞ্চল অবস্থিত (গড় উচ্চতা ৩০০ মি)। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম-এই রাজ্যগুলোর মধ্যে এই সমভূমি অবস্থিত। সিন্ধু, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র এই সমভূমি অঞ্চলের প্রধান নদী। এই নদীগুলো হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চল থেকে নুড়ি, কাঁকড়, পলি বয়ে এনে এই সমভূমির সৃষ্টি করেছে। এই নদীগঠিত সমভূমি অঞ্চলের মাটি খুবই উর্বর, তাই চাষবাস খুব ভালো হয়। সমতলভূমি হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। সেই কারণে এই অঞ্চলে প্রচুর মানুষ বসবাস করে।
Pingback: WBBSE Class 6 Unit Test | All Subject Question Papers- Prosnodekho -