ভারতবর্ষ –সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
• সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ
১.১ বাজারে জমাটি ভাব থাকে—
(ক) রাত ৮টা অবধি (খ) রাত ৯টা অবধি
(গ) সন্ধে ৭টা অবধি (ঘ) রাত ১০টা অবধি
উত্তরঃ (খ) রাত ৯টা অবধি।
১.২ “বুড়িমা ! তুমি মরনি ! ” বক্তা হলাে—
(ক) চৌকিদার
(খ) গাঁয়ের দারােগা
(গ) নিবারণ বাগদি
(ঘ) গাঁয়ের পুলিশ ।
উত্তরঃ (ক) চৌকিদার ।
১.৩ “ জোর কথা কাটাকাটি হয় এবং বিক্রিবাটা বাড়ে—
(ক) কাপড় দোকানির (খ) আড়তদারের
(গ) খাবারের দোকানির (ঘ) চা-দোকানির
উত্তরঃ (ঘ) চা-দোকানির।
১.৪ “ মাথার ওপর আর কোনাে শালা নেই রে— কেউ নেই ” — কথাটি বলেছিল—
(ক) গ্রামের কোনাে যুবক চাষি
(খ) গ্রামের মােড়লেরা
(গ) গ্রামের এক গণমান্য চাষি ।
(ঘ) এক ভবঘুরে
উত্তরঃ (ক) গ্রামের কোনাে যুবক চাষি ।
১.৫ বাঁকের মুখে আদ্যিকালের বটগাছে ডাকে—
(ক) প্যাঁচা (খ) ঘুঘু (গ) শালিক পাখি
(ঘ) কোকিল
উত্তরঃ (ক) প্যাঁচা।
👉উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সমস্ত পাঠের প্রশ্নোত্তর।
১.৬ থুত্থুরে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানো—
(ক) তুলোর কম্বল (খ) ছেঁড়া কাপড়
(গ) নোংরা চাদর (ঘ) দামি শাল
উত্তরঃ (ক) তুলোর কম্বল।
১.৭ “জোর কথা কাটাকাটি চলে” – চায়ের দোকানে এর ফলে কী হয় ?
(ক) চা বিক্রি বাড়ে (খ) ঝগড়া হয়
(গ) সময় কাটে (ঘ) বিরক্তি লাগে
উত্তরঃ (ক) চা বিক্রি বাড়ে।
১.৮ ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী সোমবারের পউষে বাদলা কতদিন চলে ?
(ক) সাত দিন (খ) পাঁচ দিন
(গ) তিন দিন (ঘ) এক দিন
উত্তরঃ (ঘ) এক দিন।
১.৯ ভারত বর্ষ গল্পে ঘটনার সময়টা ছিল—
(ক) গরমের (খ) বর্ষার (গ) শীতের (ঘ) বসন্তের
উত্তরঃ (গ) শীতের।
১.১০ বুড়িকে নদীতে ফেলে দিতে কে বলেছিল ?
(ক) চৌকিদার (খ) জগা (গ) ভটচাযমশাই
(ঘ) মোল্লা
উত্তরঃ (ক) চৌকিদার।
১.১১ “চোখের মাথা খেয়েছিস মিনষেরা”- কার উক্তি ?
(ক) মোল্লার (খ) ভট্টাচার্যমশায়ের
(গ) বুড়ির (ঘ) নাপিতের
উত্তরঃ (গ) বুড়ির।
১.১২ বাজারের উত্তর দিকে আছে—
(ক) বিশাল মাঠ (খ) বিশাল পুকুর
(গ) বিশাল নদী (ঘ) বিশাল গাছ
উত্তরঃ (ক) বিশাল মাঠ।
১.১৩ সেখানকার শীত খুব জাঁকালাে বলে লেখক জানিয়েছেন তা হল—
(ক) বাংলাদেশের (খ) দার্জিলিঙের
(গ) আমেদাবাদের (ঘ) রাঢ় বাংলার
উত্তরঃ (ঘ) রাঢ় বাংলার।
১.১৪ নদীর চর থেকে বুড়িকে তুলে এনেছিল—
(ক) একদল ছােকরা
(খ) মুসলমান পাড়ার লােকেরা
(গ) চৌকিদারের লােকেরা
(ঘ) বুড়ির আত্মীয়রা
উত্তরঃ (খ) মুসলমান পাড়ার লােকেরা।
১.১৫ “আমি স্বকর্ণে শুনেছি, বুড়ি লা ইলাহা বলেছে।”— কথাটি বলেছিল–
(ক) করিম ফরাজি (খ) মোল্লা সাহেব
(গ) ফজলু শেখ (ঘ) মৌলবি সাহেব
উত্তরঃ (গ) ফজলু শেখ।
১.১৬ রাত ৯টার পরে বাজারের রাস্তার পিচের ওপর ঘােরাফেরা করে কিছু
(ক) দুষ্কৃতির ছায়া (খ) শিয়ালের ছায়া
(গ) নেড়িকুত্তার ছায়া (ঘ) আড্ডাবাজদের ছায়া
উত্তরঃ (গ) নেড়িকুত্তার ছায়া।
১.১৭ এ বারের বাদলা কী বারে লেগেছিল ?
(ক) সোমবারে (খ) মঙ্গলবারে
(গ) বুধবারে (ঘ) শনিবারে
উত্তরঃ (খ) মঙ্গলবারে।
১.১৮ রাঢ় বাংলার ভদ্রলােকেরা শীতকালীন বৃষ্টিকে বলেন—
(ক) শীতবৃষ্টি (খ) পৌষে বাদলা (গ) ডাওর
(ঘ) ফাঁপি
উত্তরঃ (খ) পৌষে বাদলা।
১.১৯ “তোর শতগুষ্টি মরুক”— উক্তিটি কার ?
(ক) জগার (খ) মোল্লার
(গ) নকড়ির (ঘ) বুড়ির
উত্তরঃ (ঘ) বুড়ির।
১.২০ লােকের মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কারণ—
(ক) বৃষ্টির সঙ্গে জোর বাতাস বইছে বলে
(খ) পৌষ মাসে বৃষ্টি হচ্ছে বলে
(গ) অকাল-দুর্যোগে ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে বলে
(ঘ) কনকনে বাতাস বইছিল বলে
উত্তরঃ (গ) অকাল-দুর্যোগে ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে বলে।
১.২১ “এক সময় দাগি ডাকাত ছিল”– কে দাগি ডাকাত ছিল ?
(ক) ফজলু শেখ (খ) নিবারণ বাগদি
(গ) করিম ফরাজি (ঘ) নকড়ি নাপিত
উত্তরঃ (খ) নিবারণ বাগদি।
১.২২ বুড়িকে ‘হরিবোল বলতে স্পষ্ট শুনেছে—
(ক) নিবারণ বাগদি (খ) নকড়ি নাপিত
(গ) ভটচামশাই (ঘ) ফজলু শেখ
উত্তরঃ (খ) নকড়ি নাপিত।
১.২৩ রাঢ় বাংলার ছােটোলােকেরা শীতকালে বৃষ্টি হলে তাকে বলে—
(ক) ডাওর (খ) ফাঁপি (গ) পৌষে বাদলা
(ঘ) শীত বাদলা
উত্তরঃ (ক) ডাওর।
১.২৪ গ্রামে বসবাসকারী যুবক-যুবতিদের পোশাক তৈরি হয়—
(ক) আমেদাবাদের কারখানায়
(খ) ইংল্যান্ডের কারখানায়
(গ) নিজেদের বাজারে
(ঘ) নিজেদেরই হস্তচালিত মেশিনে
উত্তরঃ (ক) আমেদাবাদের কারখানায়।
১.২৫ বুড়িকে ঝােলানাে হয়েছিল—
(ক) কাঠের চ্যাংদোলায়
(খ) বস্তার ভেতরে পুরে
(গ) বাঁশের চ্যাংদোলায়
(ঘ) দোলনায়
উত্তরঃ (গ) বাঁশের চ্যাংদোলায়।
১.২৬ বাজারের পিছনে গ্রামটিতে যেটি নেই বলে লেখক জানিয়েছেন সেটি হল—
(ক) সভ্যতার ছোঁয়া। (খ) বাঁশবন
(গ) বিদ্যুৎ। (ঘ) কারখানা
উত্তরঃ (গ) বিদ্যুৎ।
১.২৭ পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে, সেখানেই গড়ে উঠেছে একটি
(ক) বড়াে কারখানা। (খ) বড়াে বাজার
(গ) ছােট্ট বাড়ি (ঘ) ছােট্ট বাজার
উত্তরঃ (ঘ) ছােট্ট বাজার।
১.২৮ বাজারের পিছনে আছে একটি
(ক) বড়াে বাড়ি (খ) বড়াে কারখানা।
(গ) ইঁট ভাটা (ঘ) চায়ের দোকান
উত্তরঃ (গ) ইঁট ভাটা।
১.২৯ চায়ের দোকানে জোর কথা কাটাকাটি চলাকালীন চায়ের দোকানে এসেছিল—
(ক) বােম্বাইয়ের এক অভিনেতা
(খ) এক গায়ক (গ) এক এমএলএ
(ঘ) এক থুথুরে কুঁজো বুড়ি
উত্তরঃ (ঘ) এক থুথুরে কুঁজো বুড়ি।
১.৩০ চাষাভুষাে মানুষেরা চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে অপেক্ষা করছিল—
(ক) রােদে ঝলমল একটা দিনের
(খ) অতিবর্ষণের (গ) প্রবল ঝড়ের
(ঘ) একটি বুড়ির হেঁটে আসার
উত্তরঃ (ক) রােদে ঝলমল একটা দিনের।
১.৩১ চায়ের দোকানে বসে চাষাভুষােরা কাদের মুণ্ডুপাত করতে থাকল ?
(ক) জমিদারদের (খ) প্রকৃতির
(গ) ঝড়-বৃষ্টির। (ঘ) আল্লা-ভগবানের
উত্তরঃ (ঘ) আল্লা-ভগবানের।
১.৩২ ক্ষিপ্ত মেজাজে কথায় কথায় শুরু হয়—
(ক) মারামারি। (খ) তর্ক
(গ) হাসি-তামাশা (ঘ) নীতিকথা
উত্তরঃ (খ) তর্ক।
১.৩৩ সবাই সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে আসে কারণ—
(ক) উনান নিভিয়ে দিতে
(খ) উনানে আগুনের তেজ দেখতে
(গ) হাত-পা সেঁকে নিতে
(ঘ) উনানে রান্না করবে বলে
উত্তরঃ (গ) হাত-পা সেঁকে নিতে।
১.৩৪ আজ না-হােক, কাল পয়সা পাবেই চায়ের দোকানদার। যার ফলে বেড়ে চলে—
(ক) চা খাওয়া (খ) বিক্রিবাট্টা
(গ) ধারের অঙ্ক (ঘ) আয়-উপার্জন
উত্তরঃ (গ) ধারের অঙ্ক।
১.৩৫ থুথুরে বুড়িটি কোথায় থাকে ?—এই প্রশ্নের উত্তরে সে জানিয়েছিল—
(ক) তােমাদের মাথায় (খ) বটতলায়
(গ) তােমাদের ঘাড়ে। (ঘ) স্বর্গে
উত্তরঃ (ক) তােমাদের মাথায়।
১.৩৬ যে মরশুম হওয়ায় আজ না-হােক, কাল পয়সা পাবে বলে চা-দোকানির ধারণা-
(ক) বৃষ্টির মরশুম (খ) ধানের মরশুম মি
(গ) ইলিশের মরশুম (ঘ) সবজির মরশুম
উত্তরঃ (খ) ধানের মরশুম।
১.৩৭ “হঠাৎ এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল”—
(ক) সকালে (খ) বিকালে
(গ) দুপুরে (ঘ) সন্ধ্যায়।
উত্তরঃ (খ) বিকালে।
১.৩৮ পৌষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের কাদের পুরােনাে বচন আছে—
(ক) শিক্ষিত ব্যক্তিদের (খ) মহিলামহলের (গ) বৃদ্ধদের। (ঘ) ডাকপুরুষের
উত্তরঃ (ঘ) ডাকপুরুষের।
১.৩৯ বুড়িকে চ্যাংদোলা করে রেখে আসা হল—
(ক) মাঠের মাঝখানে (খ) নদীর চরে
(গ) খালের পাড়ে (ঘ) ভাগাড়ে
উত্তরঃ (খ) নদীর চরে।
৪০ শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন-বাকি সব—
(ক) চারদিন। (খ) দিন দিন
(গ) আটদিন। (ঘ) দশদিন
উত্তরঃ (খ) দিন দিন।
৪১. “নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা”।- কথাটি বলেছিল—
(ক) চাওলা জগা। (খ) সরা বাউরি
(গ) চৌকিদার। (ঘ) গাঁয়ের মােল্লাসাহেব
উত্তরঃ (ক) চাওলা জগা।
৪২. মাঠ পেরিয়ে আসছিল একটি—
(ক) চ্যাংদোলা (খ) পালকি (গ) গাড়ি। (ঘ) মিছিল
উত্তরঃ (ক) চ্যাংদোলা।
৪৩. বুড়ির কপাল ছুঁয়ে বােঝা গেল—
(ক) প্রচণ্ড গরম। (খ) প্রচণ্ড ঠান্ডা
(গ) হালকা গরম। (ঘ) হালকা ঠান্ডা
উত্তরঃ (খ) প্রচণ্ড ঠান্ডা।
৪৪. বুড়ির মরার খবর প্রথম কাকে দেওয়া হল—
(ক) চৌকিদারকে (খ) সরা বাউরিকে
(গ) বুড়ির বাড়ির লােককে
(ঘ) গাঁয়ের মােল্লা সাহেবকে
উত্তরঃ (ক) চৌকিদারকে।
৪৫. বাজারে চ্যাংদোলাটিকে রেখে মুসলমান পাড়ার লােকেরা—
(ক) ঝগড়া করছিল (খ) কান্নাকাটি করছিল
(গ) আরবি মন্ত্র পড়ছিল (ঘ) হাসাহাসি করছিল।
উত্তরঃ (গ) আরবি মন্ত্র পড়ছিল।
৪৬. বাজারে চায়ের দোকান ছিল ?
(ক) একটা (খ) দুটো (গ) তিনটে (ঘ) চারটে
উত্তরঃ (গ) তিনটে।
৪৭. বুড়ির গায়ে জড়ানো ছিল ?
(ক) কাথা (খ) কম্বল (গ) লেপ (ঘ) চাদর
উত্তরঃ (খ) কম্বল।
৪৮. চায়ের দোকানের আড্ডা বাজরা বুড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিল ?
(ক) ঘোড়ার (খ) হরিণের (গ) খরগোশের
(ঘ) টাট্টুর
উত্তরঃ (ঘ) টাট্টুর।
৪৯. বাজার থেকে থানার দুরত্ব ছিল ?
(ক) তিন ক্রোশ (খ) চার ক্রোশ
(গ) পাঁচ ক্রোশ (ঘ) ছয় ক্রোশ
উত্তরঃ (গ) পাঁচ ক্রোশ।
৫০. বাজার থেকে নদীর দুরত্ব ছিল ?
(ক) এক মাইল (খ) দুই মাইল (গ) তিন মাইল
(ঘ) চার মাইল
উত্তরঃ (খ) দুই মাইল।
৫১. “ফজর” কথাটির অর্থ কি ?
(ক) ভোর (খ) দুপুর (গ) বিকেল (ঘ) সন্ধ্যা
উত্তরঃ (ক) ভোর।
৫২. এক কালে পেশাদার লাঠিয়াল ছিল ?
(ক) ফজলু সেখ (খ) নিবারণ বাগদী
(গ) করিম ফরাজি (ঘ) নকড়ি নাপিত
উত্তরঃ (গ) করিম ফরাজি।
৫৩. চৌকিদার যে রঙের উর্দি পড়েছিল , তা হলো ?
(ক) লাল (খ) নীল (গ) কালো (ঘ) হলুদ
উত্তরঃ (খ) নীল।
৫৪. “_______ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হলো ?
(ক) পন্ডিত (খ) বিচক্ষণ (গ) অভিজ্ঞ (ঘ) বিজ্ঞ
উত্তরঃ বিজ্ঞ।
৫৫. ” কতক্ষণ সে এই _______ জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে কে জানে …। ?
(ক) মারমুখী (খ) আক্রমানকত (গ) ক্ষিপ্ত
(ঘ) মারকুটে
উত্তরঃ (ক) মারমুখী।
৫৬. আমেদাবাদ শহরটি যে রাজ্যে অবস্থিত ?
(ক) পশ্চিমবঙ্গ(খ) গুজরাট (গ) রাজস্থান
(ঘ) মহারাষ্ট্র
উত্তরঃ (খ) গুজরাট।
৫৭. ” ভারতবর্ষ ” গল্পের লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ যুক্ত ছিলেন ?
(ক) তরজার সঙ্গে
(খ) আলকাপের সঙ্গে
(গ) রামযাত্রার সঙ্গে
(ঘ) থিয়েটারের সঙ্গে
উত্তরঃ (খ) আলকাপের সঙ্গে।
৫৮. হাস্কিং মেশিন থেকে ________ হয় ?
(ক) তেল (খ) রস (গ) চাল (ঘ) গম
উত্তরঃ (গ) চাল।
• অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর—
১.’ভারতবর্ষ’ গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইঁটভাটা।
২.বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত ?
উত্তরঃ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু-একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত।
৩.বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শােনা যেত ?
উত্তরঃ নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শোনা যেত।
৪.বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তরঃ বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযােগ ছিল না।
৫.বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তরঃ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল, সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল।
৬.বাজারে কোন্ কোন দোকান ছিল ?
উত্তরঃ বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটে পােশাকের দোকান, একটা মনােহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল।
৭.’ভারতবর্ষ’ গল্পে কোন্ বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে।
৮.রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালাে প্রকৃতির, বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালাে।
৯.“তাই লােকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”—লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তরঃ পৌষের শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।
১০.”চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে” -কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উত্তরঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রােদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
১১.”চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে” -কার মুণ্ডপাত করছিল ?
উত্তরঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের মুণ্ডুপাত করছিল।
১২.শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয় ?
উত্তরঃ শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয়।
১৩.পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলােকের কাছে ‘পউষে বাদলা’ এবং ছােটোলােকের কাছে ‘ডাওর’ নামে পরিচিত।
১৪.’ফাঁপি’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য, তথাকথিত ‘ছােটোলােকের’ ভাষায় সেই আবহাওয়াকে ‘ফাঁপি’ বলে।
১৫.চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘বােমবাইয়ের’ অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক, ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লােকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল।
১৬.”এইটুকুই যা সুখ তখন।” -কোন সুখের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের ‘সুখ’।
১৭.’ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার, কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি। তার ক্ষয়ে-যাওয়া, ছােট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল।
১৮.বৃদ্ধার পরনে কী ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধা নােংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানাে ছিল তুলাের চিটচিটে একটা কম্বল।
১৯.বৃদ্ধার হাতে কী ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি।
২০.বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছােটো, ক্ষয়াটে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত।
২১.“সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”— সবাই অবাক হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ থুথুড়ে কুঁজো বৃদ্ধা পৌষমাসের তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বেঁচেবর্তে থেকে চায়ের দোকানে হেঁটে হেঁটে আসতে পারল—সেই ভাবনাই সবাইকে অবাক করেছিল।
২২.”তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল”— কী জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের একজন সেইসময় বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কোথা থেকে এসেছে।
২৩.চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধ কী করেছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধা কোনো কথা না বলে দোকানে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।
২৪.“তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল…”—কখন ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে চা খেয়ে বৃদ্ধটি কোনাে কথা না বলে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল।
২৫.”ওরা হেসে উঠল…।”—ওদের হেসে ওঠার কারণ কী ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে আসা বৃদ্ধাকে সে কোথা থেকে এসেছে জানতে চাওয়ায় তার মেজাজি পালটা প্রশ্ন ছিল যে, তাতে তাদের কাজ কী ? বুড়ির এই অস্বাভাবিক আচরণে সবাই হেসে উঠেছিল।
২৬.”বুড়ি খেপে গেল।”—কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে এক ব্যক্তি বুড়িকে বলেছিল “ভারি তেজি দেখছি! এইবাদলায় তেজি টাট্টূর মতন বেরিয়ে পড়েছে।” এই কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল।
২৭.“একজন ঠান্ডা মাথায় বলল…”—কী বলেছিল ?
উত্তরঃ একজন ঠান্ডা মাথায় বুড়িকে বলেছিল যে, বুড়ি কোথায় থাকে, তারা জিজ্ঞাসা করছে।
২৮.বুড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে কীভাবে চায়ের দাম দিয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি চা খেয়ে তার কম্বলের ভেতর থেকে একটা ন্যাকড়া বের করে তার মধ্যে বাঁধা পয়সা বের করে চায়ের দাম দিয়েছিল।
২৯.“লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল..”—চেঁচিয়ে উঠল কী বলে ?
উত্তরঃ “মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ?”— এ কথা বলেই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।
৩০.“লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল…” -কখন লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে, তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল—তখনই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।
৩১.“বুড়ি ঘুরে বলল…” -কী বলেছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়িটা ঘুরে দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা লােকদের বলেছিল, “তােরা মর্, তােদের শতপুষ্টি মরুক”।
৩২.’ভারতবর্ষ’ গল্পে বুড়ি যে বটতলায় গিয়েছিল, সেই বটতলাটা সে সময়ে কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে উল্লিখিত বটতলাটা সেইসময় জনহীন ছিল এবং সেখানকার মাটি ভিজে কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল।
৩৩.“বােঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।” — বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় বটের গুঁড়ির কাছে থাকা একটি শিকড়ের ওপর বসে পেছনের গুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে।
৩৪.”কেউ কেউ বলল”—কেউ কেউ কী বলল ?
উত্তরঃ কেউ কেউ বলেছিল যে, বটগাছতলায় না গিয়ে গ্রামের বারােয়ারিতলায় গেলেই বুড়ি ভালাে করত। দুর্যোগে বটগাছতলায় সে নির্ঘাত মারা পড়বে।
৩৫.বুড়িকে যখন ভালােভাবে তার নিবাস কোথায় তা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন চা-দোকানের লােকদের বুড়ি কী উত্তর দিয়েছিল ?
উত্তরঃ চা-দোকানের লােকদের প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি তাদের বলেছিল যে, তার নিবাস তাদের মাথায়।
৩৬.বুড়ি কোথায় পয়সা রেখেছিল ?
উত্তরঃ কম্বলের ভেতরে একটি ন্যাকড়ার মধ্যে বুড়ি পয়সা বেঁধে রেখেছিল।
৩৭.’ভারতবর্ষ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে কোন কোন বিশেষণ প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে ব্যবহার করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে ‘বড়াে মেজাজি এবং ভারি তেজি’—এই দুটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।
৩৮.ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি সপ্তাহের কোন কোন্ বারে শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ?
উত্তরঃ ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি রবিবার, সােমবার, বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায়।
৩৯.ডাকপুরুষের পুরােনাে ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে কী বলা আছে ?
উত্তরঃ ‘ডাকপুরুষের’ পুরােনাে ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে, শনিবার শুরু হলে সাত দিন, মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে। অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে।
৪০.“অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার।” -অন্যদিন বলতে কোন কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ অন্যদিন বলতে রবি, সােম, বৃহস্পতি ও শুক্র—এই চার দিনের কথা বলা হয়েছে।
৪১.“.. কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন…” -কী ছাড়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সেই বৃষ্টি ছাড়ার অর্থাৎ থেমে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।
৪২.”…কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন …” -কী দেখা গেল ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি যেদিন ছাড়ল সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল।
৪৩.”..সবাই আবিষ্কার করল..”—কখন সবাই আবিষ্কার করল ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি থেমে গেলে যেদিন পরিষ্কার আকাশে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল, সেদিনই সবাই আবিষ্কার করল।
৪৪.“… সবাই আবিষ্কার করল ..” -কী আবিষ্কার করল ?
উত্তরঃ সবাই আবিষ্কার করল যে, বটগাছের গুড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিৎ হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে রয়েছে।
৪৫.’ভারতবর্ষ’ গল্পের বিশাল মাঠটি কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বিশাল মাঠটি ছিল বাজারের উত্তরদিকে।
৪৬.’ডাওর’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হলে সেই শীত আরও বেড়ে যায়। গ্রাম বাংলার তথাকথিত ছােটোলােকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে ‘ডাওর’।
৪৭.“রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালাে।” -‘রাঢ়বাংলা’ বলতে কোন স্থানকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে এককথায় গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী স্থানকে বােঝায়।
৪৮.কোথায় ‘গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার’ ?
উত্তরঃ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই ‘ছােট্ট বাজার’টি গড়ে উঠেছে।
৪৯.“ধানের মরশুম—আজ না-হােক, কাল পয়সা পাবেই..” —‘ধানের মরশুম’ বলতে কোন সময়কালকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ ধানের মরশুম বলতে এই গল্পে ধান কাটার সময়কে অর্থাৎ শীতকালকে বােঝানাে হয়েছে।
৫০.”…মাঝে-মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে…”—কখন ?
উত্তরঃ যখন গ্রামের কাঁচা রাস্তায় সবুজ ঝােপের ফাক দিয়ে বাজারের দিকে এগিয়ে আসে গ্রাম্য কোনাে যুবক বা যুবতী, তখনই বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে।
৫১.”..এগিয়ে আসে কোনাে যুবক বা যুবতী;”—এই যুবক বা যুবতী কোন পােশাকে সজ্জিত থাকে ?
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত যুবক বা যুবতী আমেদাবাদের মিলে তৈরি সস্তা পােশাকে সজ্জিত থাকে।
৫২.”কিন্তু বাজারে বিদ্যুৎ আছে।” -লেখক ‘কিন্তু’ অব্যয়টি ব্যবহার করেছেন কেন ?
উত্তরঃ বাজারের চারপাশের গ্রামগুলিতে যেহেতু বিদ্যুৎ-সংযোগ ছিল না, সে কারণেই লেখক কিন্তু অব্যয় ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে, বাজারে বিদ্যুৎ আছে।
৫৩.“…বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হয়।”— বটগাছটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে আমরা দেখি যে, পিচের সড়ক যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেই বাঁকের মুখেই বাজার-পার্শ্ববর্তী বটগাছটি অবস্থিত ছিল।
৫৪.“..বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্পতার অন্তর্গত মনে হয়।”— কখন ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বটগাছ-পার্শ্বস্থ বাজারটি রাত ন-টার পর যখন অত্যন্ত নিস্তব্ধ হয়ে যেত, তখন বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হত।
৫৫.“বৃষ্টিতে তা হল ধারালাে।” -কী ধারালাে হল বৃষ্টিতে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার প্রবল জাঁকালাে শীত বৃষ্টিতে ধারালাে হয়েছিল।
৫৬.’পউষে বাদলা’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৌষমাসের বৃষ্টিকেই গ্রামবাংলার ভদ্রলােকে ‘পউষে বাদলা’ বলে।
৫৭. “সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে”-কেন?
উত্তরঃ প্রচণ্ড শীতের প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামবাসীদের ঘরে বসে দিন কাটতে চায় না বলেই তারা বাজার-ূপ উনােনের কাছে চলে আসে।
৫৮.”সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে।”— কাকে সভ্যতার ছােট্ট উনােন’ বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে উল্লিখিত গ্রামীণ বাজারটিকেই ‘সভ্যতার ছােট্ট উনােন’ বলা হয়েছে।
৫৯.”..আজ না-হােক, কাল পয়সা পাবেই”—এমন নিশ্চয়তার কারণ কী ?
উত্তরঃ সেইসময় ধান কাটার মরশুম চলছিল বলে গ্রামের মানুষদের হাতে যেহেতু টাকার জোগান ছিল, তাই চাওয়ালা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল।
৬০.”সেই সময় এল এক বুড়ি।”—কোথায়, কীভাবে এসেছিল সেই বুড়ি ?
উত্তরঃ পিচের রাস্তা দিয়ে ভিজতে ভিজতে একই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানে এসে ঢুকেছিল বুড়ি।
৬১.”তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল।”— কাকে দেখে ?
উত্তরঃ এক থুথুড়ে, কুঁজো বুড়িকে চায়ের দোকানে ঢুকতে দেখে আড্ডা দেওয়া চাষাভুসাে মানুষরা তাদের তর্ক থামিয়েছিল।
৬২.”মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!”— এমন আশঙ্কার কারণ কী ?
উত্তরঃ প্রবল শীতের অকালবর্ষণে স্বল্প পােশাকে অশীতিপর বৃদ্ধটি বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল বলেই এমন আশঙ্কা করা হয়েছে।
৬৩.“অর্থাৎ সে বৃক্ষবাসিনী।”—কেন তাকে বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শীতের অকালবৃষ্টিতে ভেজা বুড়িটা বটগাছের নীচে গিয়ে গুঁড়ির পাশের একটা শিকড়ের ওপর বসে গুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়েছিল। বুড়ি সেখানে থাকতে অভ্যস্ত ছিল বলেই তাকে ‘বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে।
৬৪.”…গ্রামের ডাকপুরুষের পুরােনাে বচন’ আছে।”— কী সম্বন্ধে ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরােনাে ‘বচন’ আছে।
৬৫.”…গ্রামের ডাকপুরুষের পুরােনাে বচন আছে।”— “ডাকপুরুষ’ কে ?
উত্তরঃ গ্রামবাংলায় ‘ডাক’ নামক যে প্রখ্যাত গােপালক জ্ঞানীপুরুষ ছিলেন, তিনিই ‘ডাকপুরুষ’ নামে অভিহিত হন।
৬৬.পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরােনাে বচনে কী বলা আছে ?
উত্তরঃ পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরােনাে বচনে বলা আছে- “শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন বাকি সব দিন-দিন।”
৬৭.”…চাওলা জগা বলল-নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা।”— কখন বলেছিল?
উত্তরঃ বটতলায় বটের গুঁড়ির কোটরে পিঠ রেখে নিঃসাড় হয়ে পড়ে থাকা বুড়িকে যখন অনেক বেলা হয়ে যাওয়ার পরও নড়তে দেখা গেল না, তখন জগা কথাগুলাে বলেছিল।
৬৮.জগার মুখে বুড়িটা মরে গেছে শুনে একজন সর্বনাশ কথাটা উচ্চারণ করার পর আর কী বলেছিল ?
উত্তরঃ জগার মুখে বুড়ির মারা যাওয়ার কথা শুনে একজন ‘সর্বনাশ’ কথাটা উচ্চারণ করে বলেছিল যে, তাহলে শেয়াল কুকুরে মৃতদেহ ছিড়ে খাবে এবং সেই দুর্গন্ধে টেকা দায় হবে।
৬৯.“… চাওলা জগা বলল…”—জগা কী বলেছিল ?
উত্তরঃ চাওয়ালা জগা বলেছিল যে, বুড়িটা নির্ঘাত মরে গেছে।
৭০.”একজন দুজন করে ভিড় বাড়তে থাকল।”—কোথায় ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় যেখানে বটের গুড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিত হয়ে নিস্পন্দভাবে পড়েছিল, সেখানেই একজন-দুজন করে ভিড় বাড়তে থাকল।
৭১.”একজন দুজন করে ভিড় বাড়তে থাকল।”— কখন ?
উত্তরঃ বুড়ি বটগাছতলায় মরে পড়ে রয়েছে—এ কথাটা চাওয়ালা জগার মাধ্যমে চাউর হয়ে গেলে সেখানে একজন দুজন করে ভিড় বাড়তে লাগল।
৭২.”অতএব মড়াই বটে।” -কখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় নিঃসাড় ভাবে শুয়ে থাকা বুড়ির কপাল প্রচণ্ড ঠান্ডা দেখে এবং নাড়ির কোনাে স্পন্দন না পেয়ে বুড়িকে মড়া বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
৭৩.চৌকিদার বুড়ির মৃত্যুসংবাদ থানায় দেওয়ার প্রয়ােজন নেই বলেছিল কেন ?
উত্তরঃ অসময়ের জলবৃষ্টিতে এক ভিখিরি বুড়ির মৃত্যু নেহাতই গুরুত্বহীন ঘটনা হওয়ায় চৌকিদার সে খবর থানায় দেওয়ার প্রয়ােজন নেই বলে মনে করেছিল।
৭৪.চৌকিদার কোন্ অসুবিধার জন্য থানায় বুড়ির মৃত্যুসংবাদ দিতে বারণ করেছিল ?
উত্তরঃ বটতলা থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরবর্তী থানায় খবর দিয়ে এবং তা পেয়ে পুলিশ আসতে আসতে মড়ার দুর্গন্ধ ছড়াবে বলে চৌকিদার থানায় মৃত্যুসংবাদ দিতে বারণ করেছিল।
৭৫.চৌকিদার বুড়ির মৃতদেহের সৎকারের কী ব্যবস্থা করেছিল ?
উত্তরঃ চৌকিদার বুড়ির মৃতদেহ নদীতে ফেলে দিয়ে তার গতি করার ব্যবস্থা করেছিল।
৭৬.”বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল।”—পরামর্শটি কী ছিল ?
উত্তরঃ বিজ্ঞ চৌকিদার নদীতে বুড়ির মৃতদেহ ফেলে দিয়ে তার গতি করার পরামর্শ দিয়েছিল।
৭৭.’ভারতবর্ষ’ গল্পের নদীটা কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের নদীটা বাজার-পাশ্ববর্তী মাঠ পেরিয়ে দুই মাইল দূরে অবস্থিত ছিল।
৭৮.নদীর চড়ায় বুড়ির দেহটা কীভাবে পড়েছিল ?
উত্তরঃ নদীর চড়ায় তপ্ত বালিতে উজ্জ্বল সূর্যালােকে বুড়ির দেহটা চিত হয়ে পড়েছিল।
৭৯.বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে রেখে এসে শববহনকারীরা কী করছিল ?
উত্তরঃ বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে রেখে এসে শববহনকারীরা দিগন্তের আকাশের দিকে তাকিয়ে ঝক ঝক শকুনের নেমে আসার অপেক্ষা করছিল।
৮০.বুড়ি মরে গেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ সবাই কী করেছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি মরে গেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তৎক্ষণাৎ সবাই গ্রামের চৌকিদারকে খবর দিয়েছিল।
৮১.বুড়ির দেহকে কীভাবে নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ির দেহকে বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝুলিয়ে নদীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
৮২.”হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল।”-কোন দৃশ্য দেখা গেল ?
উত্তরঃ হঠাৎ বিকেলে দেখা গেল যে, উত্তরের মাঠ অতিক্রম করে বাজারের দিকে একটা চ্যাংদোলা আসছে।
৮৩.বুড়ি যে মুসলমান—তার প্রমাণস্বরূপ শববাহকরা কী বলেছিল হিন্দুদের ?
উত্তরঃ বুড়ি যে মুসলমান—তার প্রমাণস্বরূপ মুসলমান শববাহকরা জানিয়েছিল। যে, তাদের অনেকেই বুড়িকে বিড়বিড় করে ‘আল্লা’ বা ‘বিসমিল্লা’ বলতে শুনেছিল।
৮৪.“…তখন জানা গেল ব্যাপারটা।”— ব্যাপারটা কী ছিল ?
উত্তরঃ ব্যাপারটা ছিল যে মুসলমান পাড়ার লােকেরা নদীর চড়া থেকে বুড়ির ফেলে দেওয়া মৃতদেহ চ্যাংদোলায় করে তুলে নিয়ে এসেছে।
৮৫.মােল্লাসাহেব শহরের দিকে যাওয়ার সময় বটতলায় কী শুনেছিলেন ?
উত্তরঃ মােল্লাসাহেব শহরের দিকে যাওয়ার সময় বটতলায় আশ্রয় নেওয়া বুড়িকে কলমা পড়তে স্পষ্ট শুনেছিলেন।
৮৬.মােল্লাসাহেব কখন বুড়িকে মারা যেতে দেখেন ?
উত্তরঃ মােল্লাসাহেব ভােরের নামাজ সেরে যখন শহরে যাওয়ার বাস ধরার উদ্দেশ্যে আসছিলেন, তখন তিনি বটতলায় মুমূর্ষ বুড়িকে দেখেছিলেন।
৮৭.”তাই দেখা হল না ব্যাপারটা।”— বক্তার কী দেখা হল না ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় পড়ে থেকে কলমা পড়তে থাকা বুড়ি শেষপর্যন্ত মরল কি না-তা দেখা হয়নি মােল্লাসাহেবের।
৮৮.”তাই দেখা হল না ব্যাপারটা।”— কেন দেখা হল না ব্যাপারটা ?
উত্তরঃ মােল্লাসাহেব মামলা লড়তে শহরে যাচ্ছিলেন বলে বটগাছতলায় আশ্রয় নেওয়া বুড়ি মরল কি না – তা তার দেখা হয়নি।
৮৯.“তা কি হয় আমরা বেঁচে থাকতে ?”— কী হয় না ?
উত্তরঃ মুসলমান বুড়ির মৃতদেহ কবরস্থ না করে নদীতে ফেলে দেওয়া—এখানে। মােল্লাসাহেব তা না হওয়ার কথা বলেছেন।
৯০.ভটচাজমশাই বুড়িকে কী বলতে শুনেছিলেন ?
উত্তরঃ ভটচাজমশাই বুড়িকে ‘শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি’ বলতে শুনেছিলেন।
৯১.বুড়িকে নদীতে ফেলে আসার দিন সকালে বটগাছতলা থেকে একই বাসে কে কে শহরে গিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ বুড়িকে নদীতে ফেলে আসার দিন সকালে বটগাছতলা থেকে মােল্লাসাহেব এবং ভটচাজমশাই একই বাসে করে শহরে গিয়েছিলেন।
৯২.বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কী কী উচ্চারণ করেছিল বলে হিন্দুরা জানিয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি মারা যাওয়ার সময় ‘শ্রীহরি’ এবং ‘হরিবােল’ উচ্চারণ করেছিল বলে হিন্দুরা জানিয়েছিল।
৯৩.বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কী কী উচ্চারণ করেছিল বলে মুসলমানরা জানিয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কলমা পড়েছিল এবং ‘আল্লা’, ‘বিসমিল্লা’, ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ উচ্চারণ করেছিল বলে মুসলমানরা জানিয়েছিল।
৯৪.“চেঁচিয়ে উঠল–মিথ্যে।”— বক্তা কোন বিষয়কে ‘মিথ্যে’ বলেছিল ?
উত্তরঃ ফজলু সেখ যখন জানায় যে, সে নিজের কানে মুমূর্ষু বুড়িকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে শুনেছে, তখন নিবারণ বাগদি সে কথাকে ‘মিথ্যে’ বলে চেঁচিয়ে উঠেছিল।
৯৫.”দেখলাম বসা যাবে না।”—কেন বসা যাবে না ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় দাড়ি কামানাের উদ্দেশ্যে এসে বৃষ্টিতে সেখানকার কাদা হয়ে যাওয়া মাটির অবস্থা দেখে নকড়ি নাপিত বুঝতে পেরেছিল সেখানে বসা যাবে না।
৯৬.’লাইলাহা ইল্লাল্ল’ কথাটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘লাইলাহা ইল্লাল্ল’ কথাটির অর্থ হল ‘আল্লা ছাড়া অন্য উপাস্য নেই’।
৯৭.’নারায়ে তকবির’ কথাটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘নারায়ে তকবির’ কথাটির অর্থ হল– উচ্চকণ্ঠে আল্লার প্রশংসা বা গুণকীর্তন।
৯৮.’আল্লাহু আকবর’ কথাটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘আল্লাহু আকবর’ কথাটির অর্থ হল আল্লাই সর্বশ্রেষ্ঠ।
৯৯.’কলমা’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ ইসলামধর্মের আত্মশুদ্ধি-সাধক মূল ইষ্টমন্ত্রই হল ‘কলমা’।
১০০.’ভারতবর্ষ’ গল্পে ‘খবরদার’ কথাটা কে কে উচ্চারণ করেছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে ‘খবরদার’ কথাটা উচ্চারণ করেছিল একসময়ের পেশাদার লাঠিয়াল করিম ফরাজি এবং এলাকার চৌকিদার।
১০১.”ফজলু সেখ বলল।”— ফজলু সেখ কী বলেছিল ?
উত্তরঃ ফজলু সেখ বলেছিল যে সে নিজের কানে বুড়িকে ‘লাইলাহা ইল্লাল্ল’ বলতে শুনেছে।
১০২.’ভারতবর্ষ’ গল্পে নিবারণ বাগদির স্বভাবচরিত্রের কোন পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের নিবারণ বাগদি ছিল রাগি লােক। সে একসময় দাগি ডাকাত ছিল।
১০৩.’ভারতবর্ষ’ গল্পে করিম ফরাজির স্বভাবচরিত্রের কোন্ পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের করিম ফরাজি বর্তমানে নিয়ম মতাে নামাজ পড়া বান্দা মানুষ হলেও এককালে সে ছিল পেশাদার লাঠিয়াল।
১০৪.”দেখতে-দেখতে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে।”— উত্তেজনা ছড়ানাের প্রতিক্রিয়া কী হল ?
উত্তরঃ উত্তেজনা ছড়ানাের প্রতিক্রিয়ায় বাজারের দোকানগুলাের ঝাপ বন্ধ হতে থাকল এবং গ্রাম থেকে বহু লােক অস্ত্রশস্ত্র সহ দৌড়ে বাজারে আসতে লাগল।
১০৫.মােল্লাসাহেব কী কী বলে নিজ সম্প্রদায়ের লােকদের উত্তেজিত করেছিলেন ?
উত্তরঃ মােল্লাসাহেব ‘জেহাদ’ কথাটি উচ্চারণ করে এবং ‘নারায়ে তকবির-আল্লাহু আকবর!’ বলে নিজ সম্প্রদায়ের লােকদের উত্তেজিত করেছিলেন।
১০৬.ভারতবর্ষ গল্পের শেষে দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর বুড়ি উৎসাহী জনতার উদ্দেশ্যে কোন তিনটি গালাগাল বর্ষণ করেছিল ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের শেষে দীর্ঘ ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর বুড়ি উৎসাহী জনতার উদ্দেশ্যে ‘মুখপােড়া’, ‘নরকখেকো’ এবং ‘শকুনচোখাে’ -এই গালাগাল বর্ষণ করেছিল।
১০৭.“…ভটচাজমশাই গর্জে বলছেন…”— কী বলেছিলেন ?
উত্তরঃ ভটচাজমশাই জয় মা ‘কালী’ ধ্বনি তুলে তাঁকে যবন নিধনে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
১০৮.’ধুন্ধুমার গর্জন প্রতিগর্জন’ চলার সময় চৌকিদার প্রাথমিকভাবে কী করছিল ?
উত্তরঃ ‘ধুন্ধুমার গর্জন প্রতিগর্জন’ চলাকালীন চৌকিদার দু-পক্ষের মাঝখানে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে দু-পক্ষকে নিরস্ত করার চেষ্টা করছিল।
১০৯.“যখনই মুসলিমপক্ষ এক-পা এগিয়ে আসে”—তখন চৌকিদার কী করছিল ?
উত্তরঃ যখন মুসলিমপক্ষ এক-পা এগিয়ে আসে তখন চৌকিদার হাতের লাঠিটা পিচরাস্তায় ঠুকে ‘সাবধান’ বলে গর্জে উঠছিল।
১১০.হিন্দুপক্ষ যখন এক-পা এগিয়ে আসছিল, তখন চৌকিদার কী করছিল ?
উত্তরঃ হিন্দুপক্ষ যখন এক-পা এগিয়ে আসছিল, তখন চৌকিদার হাতের লাঠিটা পিচরাস্তায় ঠুকে ‘খবরদার’ বলে গর্জে উঠছিল।
১১১.”দুদিকের সশস্ত্র জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে”— কী দেখছিল ?
উত্তরঃ দু-দিকের সশস্ত্র জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছিল যে, বুড়ির দেহটা নড়ছে এবং নড়তে নড়তে বুড়ি উঠে বসার চেষ্টা করছে।
১১২.দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠে দু-পাশের ভিড় দেখে বুড়ির কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠে দু-পাশের ভিড় দেখে প্রাথমিকভাবে বুড়ির মুখটা বিকৃত হয়ে গেলেও এরপর ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে উঠেছিল সে।
১১৩.চৌকিদারের কথার উত্তরে বুড়ি কী বলেছিল ?
উত্তরঃ চৌকিদারের কথার উত্তরে বুড়ি শতগুষ্টিসহ চৌকিদারের মৃত্যুকামনা করে বলেছিল— “মর, তুই মর। তাের শতগুষ্টি মরুক।”
১১৪.বুড়িটা নড়ে ওঠার ঠিক আগে চৌকিদার কী করছিল ?
উত্তরঃ বুড়িটা নড়ে ওঠার ঠিক আগে চৌকিদার পালা করে হিন্দু ও মুসলিমপক্ষ– এই দু-পক্ষের দিকে একবার করে পিচে লাঠি ঠুকছিল এবং সাবধান ও খবরদার বলে চিৎকার করছিল।
১১৫.“বুড়ি খেপে গিয়ে বলল-চোখের মাথা খেয়েছিস মিনসেরা ?”— বুড়ি কখন একথা বলেছিল ?
উত্তরঃ দুপক্ষের বিবদমান জনতা যখন বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল বুড়ি হিন্দু না মুসলমান, তখনই বুড়ি খেপে গিয়ে কথাগুলাে বলেছিল।
১১৬.”আমি যাচ্ছি শহরে—মামলার দিন।”— বক্তা কে ?
উত্তরঃ সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ভারতবর্ষ গল্পে উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন মােল্লাসাহেব।
১১৭.”…তারপর ওনার আসতে আসতে রাতদুপুর।”— কে, কখন এ কথা বলে ?
উত্তরঃ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বৃদ্ধটির মৃত্যু হয়েছে ভেবে গ্রামবাসীরা চৌকিদারকে খবর দিলে সে এসে মৃতদেহ পরীক্ষা করে থানায় খবর না দেওয়ার যুক্তিতে কথাটি বলে।
১১৮.”…তারপর ওনার আসতে আসতে রাতদুপুর।”— কেন আসতে রাত দুপুর হবে ?
উত্তরঃ থানাটি বটতলা থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরে অবস্থিত বলে সেখানে খবর দিলে থানা থেকে পুলিশের আসতে রাত-দুপুর হবে।
১১৯.”…তারপর ওনার আসতে আসতে রাত-দুপুর।”— রাত-দুপুরে ওনার আগমন ঘটলে ততক্ষণে কী ঘটে যাবে বলে মনে করেন বক্তা ?
উত্তরঃ বক্তা চৌকিদারের মতে, কবে না-কবে মরা বুড়ির লাশ যেহেতু ফুলে ঢােল হয়েছে, তাই সেদিন রাত-দুপুরের মধ্যেই সেই মড়ার দুর্গন্ধ ছড়াবে বলে মনে করে সে।
১২০.”ঠিক গতি হয়ে যাবে…”— কী করলে গতি হবে ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার মৃতদেহ নদীতে ফেলে দিয়ে আসলেই তার আত্মার গতি হবে বলে জানিয়েছে চৌকিদার।
১২১.”বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝােলানাে হয়েছিল।”— কেন ঝােলানাে হয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ির মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নদীর চড়ায় নিয়ে যেতে তাকে বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝােলানাে হয়েছিল।
১২২.”ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল …”— কোথা থেকে ফিরল ?
উত্তরঃ বুড়িকে মৃত ভেবে চ্যাংদোলায় ঝুলিয়ে শুকনাে নদীর চড়ায় ফেলে ফিরেছিল কয়েকজন হিন্দু গ্রামবাসী।
১২৩.”ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল …”— কেন ?
উত্তরঃ বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে বাজারে ফিরে ঝক ঝক শকুনের নেমে আসা দেখার অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা দিগন্তে চোখ রেখেছিল।
১২৪.“তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য”— দৃশ্যটি কী ?
উত্তরঃ অদ্ভুত দৃশ্যটি হল বুড়ির তথাকথিত মৃতদেহটি নড়ে উঠেছিল।
১২৫.“উকি মেরে সব দেখে শুনে বললেন…”— কখন ?
উত্তরঃ বাজারে বুড়ির মৃতদেহের অধিকার নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীর মধ্যে যখন বচসা চলছিল, তখনই বাস থেকে নেমে ভটচাজমশাই অকুস্থলে প্রবেশ করেন।
১২৬.“উকি মেরে সব দেখে শুনে বললেন…” — কী বললেন ?
উত্তরঃ ভটচাজমশাই ‘অসম্ভব’ কথাটা বলে জানান যে, তিনি সকালে মােল্লাসাহেবের সঙ্গে একই বাসে শহরে যাবার আগে মুমূর্য বুড়িকে ‘শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি’ বলতে স্পষ্ট শুনেছিলেন।
১২৭.“তার সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।”— কার সপক্ষে ?
উত্তরঃ বুড়িকে যে ভটচাজমশাই মুমূর্ষু অবস্থায় ‘শ্রীহরি’ বলতে শােনেন, অর্থাৎ বুড়ি যে হিন্দু, তার সপক্ষে প্রমাণ জুটেছিল।
১২৮.”তার সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।”— প্রমাণটা কী জুটেছিল ?
উত্তরঃ ভটচাজমশাইয়ের সপক্ষে নকড়ি নাপিত প্রমাণ জুগিয়েছিল যে, ক্ষৌরকর্ম করতে বটতলায় গিয়ে সে বুড়িকে ‘হরিবােল’ বলতে স্পষ্ট শুনেছে।
১২৯.“মাঝে-মাঝে মােল্লাসায়েব চেঁচিয়ে উঠছেন…”— কী বলে চেঁচিয়ে উঠছেন ?
উত্তরঃ মােল্লাসায়েব চেঁচিয়ে বলছিলেন– “মােছলেম ভাইসকল। জেহাদ, জেহাদ। নারায়েতকবির—আল্লাহু আকবর!
১৩০.বুড়িকে হরিবােল বলতে স্পষ্ট শুনেছে কে ?
উত্তরঃ বুড়িকে হরিবােল বলতে স্পষ্ট শুনেছে নকড়ি নাপিত।
১৩১.বুড়িটি ‘বিকৃত মুখে ফ্যাক ফ্যাক করে হেঁসে’ উঠেছিল কেন ?
উত্তরঃ শুয়ে থাকা মৃতদেহ মনে করে হিন্দু-মুসলমান দু-পক্ষের মানুষ তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখেই বুড়িটি ‘বিকৃত মুখে ফ্যাক ফ্যাক করে হেঁসে উঠেছিল’।
১৩২.”বচসা বেড়ে গেল।”— বচসার কারণ কী ?
উত্তরঃ বুড়ি হিন্দু না মুসলমান—এই বিতর্কের মাধ্যমেই দু-পক্ষের মধ্যে বচসা বেড়ে গেল।
Pingback: উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর | WBBSE H.S Bengali Question Answer - Prosnodekho -