WBCHSE CLASS 11 SANSKRIT QUESTION PAPER WITH ANSWER 2018 (একাদশ শ্রেণির শিক্ষা বিজ্ঞান প্রশ্নপত্র ২০১৮)
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার সংস্কৃত বিষয়ের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র যত্নসহকারে সঠিক এবং নির্ভুল উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বহু বিকল্পধর্মী প্রশ্ন (MCQ) এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হলো। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জানানো যাচ্ছে তোমরা অবশ্যই তোমাদের সাবজেক্ট শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলিয়ে নেবে।
SANSKRIT(XI)
(New Syllabus)
2018
Time: 3 Hours 15 Minutes
Full Marks: 80
পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে। বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কেটে দেওয়া হবে। উপান্তে প্রশ্নের পূর্ণমান সূচিত আছে।
Special credit will be given for answers which are brief and to the point. Marks will be deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting. Figures in the margin indicate full marks for the questions.
1.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করোঃ 1×15=15
গদ্যাংশ
(a) মালবরাজের নাম কী ছিল ?
(i) রাজহংস (ii) মানসার (iii) সংগ্রামবর্মা
(iv) প্রহারবর্মা
উত্তরঃ (ii) মানসার।
(b) মগধ দেশের রাজধানীর নাম কী ?
(i) পুষ্পপুরী (ii) মিথিলা (iii) পাটলিপুত্র
(iv) কনৌজ
উত্তরঃ (i) পুষ্পপুরী।
(c) ‘উন্নতনাসাবংশঃ’ কার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ?
(i) ব্রহ্মরাক্ষস (ii) ব্রাহ্মণ (iii) রাজহংস
(iv) নৃসিংহ
উত্তরঃ (i) ব্রহ্মরাক্ষস।
(d) যজমান ব্রাহ্মণকে কী দান করেছিলেন ?
(i) দুটি ছাগল (ii) দুটি গাভী (iii) দুটি বলদ
(iv) দুটি বাছুর
উত্তরঃ (iv) দুটি বাছুর।
পদ্যাংশ
(e) যক্ষের বার্তাবাহক কে ?
(i) মেঘ (ii) পায়রা (iii) বলাকা (iv) পর্বত ।
উত্তরঃ (i) মেঘ।
(f) যক্ষ কোন্ ফুল দিয়ে মেঘকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ?
(i) দ্রোণকুসুম (ii) কূটজকুসুম (iii) কুন্দকুসুম (iv) নবমল্লিকা ।
উত্তরঃ (ii) কূটজকুসুম।
(g) বিষ্ণুর প্রথম অবতার কে ?
(i) কূর্ম (ii) কৃষ্ণ (iii) মৎস্য (iv) বামন।
উত্তরঃ (iii) মৎস্য।
(h) “বসতি দশনশিখরে ধরণী” কার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ?
(i) বামন (ii) নৃসিংহ (iii) বরাহ (iv) কোনোটিই নয় ।
উত্তরঃ (iii) বরাহ।
নাট্যাংশ
(i) শূন্যস্থান পূরণ করোঃ गुरुदेवस्वय __________ महिमा।
(i) अनिर्वचना (ii) अनिर्वचनीया
(iii) अनिर्वचनीयम् (iv) अनिर्वचनीयो ।
উত্তরঃ (ii) अनिर्वचनीया।
(j) শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রনাথের কাছে কোন্ গান শুনতে চেয়েছিলেন ?
(i) ব্রাহ্মসংগীত (ii) শ্যামাসংগীত
(iii) রবীন্দ্রসংগীত (iv) পদাবলী ।
উত্তরঃ (ii) শ্যামাসংগীত।
(k) ‘ভারতবিবেকম্’ নাটকের রচয়িতা কে ?
(i) যতীন্দ্রবিমল বসু (ii) যতীন্দ্রবিমল রায় (iii) যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী (iv) অনিলা দেবী ।
উত্তরঃ (iii) যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী।
(l) শ্রীরামকৃষ্ণের আরাধ্যা দেবী কে ?
(i)ভৈরবী (ii) ভবতারিণী (iii)ভুবনেশ্বরী (iv) সরস্বতী ।
উত্তরঃ (ii) ভবতারিণী।
সাহিত্যের ইতিহাস
(m) বেদ -এর অপর নাম কী ?
(i) ধর্মগ্রন্থ (ii) উপনিষদ্ (iii) স্মৃতি (iv) শ্রুতি ।
উত্তরঃ (iv) শ্রুতি।
(n) মহাভাষ্যকার কে ?
(i) পাণিনি (ii) পতঞ্জলি (iii) কাত্যায়ন (iv) যাস্ক
উত্তরঃ (ii) পতঞ্জলি।
(o) মহাভারতের মোট কটি পর্ব ?
(i) সাত (ii) চার (iii) আঠারো (iv) তেরো
উত্তরঃ (iii) আঠারো।
2.পূর্ণবাক্যে উত্তর দাওঃ 1×11=11
গদ্যাংশ (যে কোনো তিনটি)
(a) ব্রাহ্মণ কেন ঘুম থেকে জেগে উঠল ?
উত্তরঃ চোর ও রাক্ষস উভয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে, তাদের বিবাদের শব্দে ব্রাহ্মণ জেগে উঠেছিল।
(b) ‘तव्याम् एवायं राक्षसोभक्षयितुमृ ईच्छति ?’
– কে, কাকে বলেছিল ?
উত্তরঃ চোর ক্রুরকর্মা ব্রাহ্মণ দ্রোণকে এ কথা বলেছিল।
(c) রাজহংসের তিনজন অমাত্যের নাম কী ?
উত্তরঃ ধর্মপাল, রত্নোদ্ভব, সিতবর্মা।
(d) রত্নোদ্ভব কেন সমুদ্রযাত্রা করেছিলেন ?
উত্তরঃ ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য।
(e) বিটনটবারনারীপরায়ণঃ কে ছিলেন ?
উত্তরঃ কামপাল।
পদ্যাংশ (যে কোনো তিনটি)
(f) বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার কে ?
উত্তরঃ বরাহ।
(g) ‘प्रलयपयोधिजले धृतवान् असि बेदम्।’— কোন্ অবতারের সম্বন্ধে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ মৎস্য।
(h) ভগবান বামন রূপে কাকে ছলনা করেছিলেন ?
উত্তরঃ বলিরাজকে।
(i) যক্ষ কোথায় নির্বাসিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ রামগিরি।
(j) মেঘদূত কে রচনা করেছিলেন ?
উত্তরঃ কালিদাস।
নাট্যাংশ (যে কোনো তিনটি)
(k) নরেন্দ্রনাথ কোথায় প্রথম শ্রীরামকৃষ্ণের দর্শন পেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ সুরেন্দ্রনাথের গৃহে।
(l) নরেন্দ্রনাথের বংশ পরিচয় কী ?
উত্তরঃ তিনি দত্ত বংশের জন্মেছিলেন।
(m) ‘अपुर्व तव कण्ठस्वर:’— কার উদ্দেশ্যে, কে বলেছিলেন ?
উত্তরঃ শ্রী রামকৃষ্ণ নরেন্দ্রনাথকে।
(n) মঞ্চে কে কে উপস্থিত আছেন ?
উত্তরঃ সুরেন্দ্রনাথ, শ্রীরামকৃষ্ণ, ভক্তবৃন্দ, নরেন্দ্রনাথ।
সাহিত্যের ইতিহাস (যে কোনো দুটি)
(o) শুক্লযজুর্বেদের অপর নাম কী ?
উত্তরঃ শুক্লযজুর্বেদের অপর নাম বাজসনেয়ী সংহিতা।
(p) শতপথ ব্রাহ্মণ কোন্ বেদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ?
উত্তরঃ শুক্র যজুর্বেদ।
(q) রামায়ণের কাণ্ডের সংখ্যা কত ?
উত্তরঃ ৭ কাণ্ড।
3.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5
(a) “একার্যাবেবাবাম্” – ব্যাখ্যা করো।
(b) মগধরাজের চরিত্রর বর্ণনা করো।
উত্তরঃ কবি দন্তী রচিত গদ্যকাব্য দশকুমারচরিতম্ এর পূর্ব পীঠিকার প্রথমোচ্ছ্বাসের অংশ বিশেষ হলো আলোচ্য পাঠাংশ দশকুমারচরিতম্। আর এই পাঠ্যাংশের প্রধান চরিত্র হলো মগধ রাজ্যের রাজা রাজহংশ। কয়েকটি বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে কবি তাকে পাঠকবর্গের সম্মুখে উপস্থাপিত করেছেন। যেগুলি হল –
প্রথমতঃ মগধাপতি রাজহংস ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা তিনি যুদ্ধবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। তার চতুরঙ্গ সেনা ছিল অদম্য। তার মন্দরপর্বতের নাম প্রশারিত বাহুদন্ড শত্রু সমাবেশ রুপ প্রকাণ্ড সমুদ্রকে মন্থন করেছিল। ইন্দ্রপুরীর বনে অর্থাৎ নন্দন কাননে তরুণী অপ্সরাগণ অবিরাম তার কীর্তিগাথা গাইতো। আর রাজার এই কীর্তীর সঙ্গে শরতের চাঁদ, কুন্দ ফুল, কর্পূরদল, তুষার, মুক্ত মালা, মৃণাল, মরাল, ঐরাবত, জল, দুগ্ধ, মহাদেবের অট্টহাসি, কৈলাস প্রভৃতির নির্মলতার তুলনা করেছেন কবি দন্তী।
শুধু তাই নয় রাজার কীর্তি ছড়িয়ে পড়েছিল দিক-দিগন্তে। তার বীরত্বের তেজ শত্রুদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক ছিল, তাই রাজাকে সর্বদা মধ্য গগনের সূর্যের সঙ্গে তুলনা করা হতো। তিনি বড় বড় অস্ত্র চালনায় পারদর্শী ছিলেন। ফলে অসংখ্য যুদ্ধক্ষেত্রে বহু ক্ষত্রিয় তার দ্বারা নিহত হয়েছিলেন। যার উদাহরণ হল যার উদাহরণ হল, মালবরাজ মানসারের সঙ্গে রাজা অদম্য যুদ্ধ। আত্মাভিমানী গর্বোদ্ধত অত্যাচারীর মালব রাজের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে রাজহংস যুদ্ধযাত্রা করেছিলেন এবং অতীব পরাক্রমী ও পারদর্শী চতুরঙ্গ সেনারা মগধরাজ মালব রাজকে পরাজিত করেছিলেন।
দ্বিতীয়তঃ মগধাপতি কেবল পরাক্রমী যোদ্ধাই নন তিনি ছিলেন একজন দয়ালু ব্যক্তিত্বের অধিকারীও। প্রচন্ড যুদ্ধে মালব রাজের সমস্ত সেনা কে ধ্বংস করে তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু মালব রাজ্যকে নিজের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেননি বরং মালব রাজ মানসারকে তার রাজ্য পুনরায় হস্তান্তরিত করেন।
তৃতীয়তঃ রাজহংস কেবল বীরত্বের সহিত রাজ্য চালনা এবং শত্রু দমনই করেননি। একই সাথে বিদ্যাচর্চার প্রসার এবং ব্রাহ্মণ কুলের রক্ষা করেছেন। তিনি সদাসর্বদা সমূহ যোগ্য করতেন। কেবল তাই নয়, যজ্ঞান্তে বিপুল দক্ষিণা দ্বারা সজ্জন ব্রাহ্মণ কে প্রতিপালন ও করেছেন। আর ব্রাহ্মণগণ তার আশ্রয়ে ও দানে সুরক্ষিত থেকে গূঢ় বিদ্যা চর্চায় মনোনিবেশ করতেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, রাজহংস ছিলেন একজন সুশাসক। আর তার সুশাসন নেই মগধ রাজধানী পুষ্প পুরি হয়ে উঠেছিল সম্পদে, অভিজাত্যে, ইন্দ্রলোকের বৈভব শালী। অর্থাৎ রাজহংসের চরিত্রটিকে সর্বগুণে গুণান্বিত রূপে কবি দন্তি উপস্থাপিত করেছেন।
4.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5
(a) মৎস্য, কূর্ম ও বরাহ অবতার -এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
(b) তোমার পাঠ্যাংশ অবলম্বনে মেঘদূতের বিষয়বস্তু বর্ণনা করো।
ভূমিকাঃ কালিদাসের বিশ্ববন্দিত গীতিকাব্য মেঘদুত। উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস এই মেঘদুত পাঠ্যাংশ হতে দশটি শ্লোক গৃহীত হয়েছে। এই দশটি শ্লোকের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে নিম্নে বর্ণিত হলো–
শ্লোক নং ১
কোন এক যক্ষ কর্তব্যে অবহেলা করার কারণে প্রভুর অভিশাপে এক বছরের জন্য প্রিয়া হীন অবস্থায় রামগিরি পর্বতের আশ্রমে বসবাস করছিল।
শ্লোক নং ২
কয়েক মাস অতিবাহিত করার পর যক্ষের শরীর শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল ফলে তার হাত থেকে সোনার বালা খসে পড়ছিল। আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে দুটি পর্বতের মধ্যদেশে আকাশে মেঘের সঞ্চার ঘটেছিল।
শ্লোক নং ৩
সেই যক্ষ নিজের অশ্রু সংবরণ করে মেঘের সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে চিন্তা করেছিল মেঘ দেখলে সুখিগনের চিত্ত ব্যাকুল হয়। তার মত প্রিয়াহীন ব্যক্তির কথা বলার নয়।
শ্লোক নং ৪
প্রিয়ার পাণ রক্ষার বাসনায় নিজের সংবাদ প্রেরণের জন্য জন্য কূর্চি ফুলের অর্ঘ্য সাজিয়ে যখন মেঘ কে স্বাগত জানিয়েছিল।
শ্লোক নং ৫
মেঘ চেতন-অচেতনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঔৎসুক্যবশত মেঘের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছিল।
শ্লোক নং ৬
মেঘ যক্ষের কাছে প্রার্থী হয়ে মেঘের বর্ণনা দিয়েছেন।
শ্লোক নং ৭
যক্ষ মেঘের কাছে আবেদন করেছে যে তুমি আমার সংবাদ প্রিয়ার কাছে নিয়ে যাও। মেঘকে যেতে হবে চন্দ্রের কিরণে স্নাত অট্টালিকা যুক্ত সেই অলকাপুরীতে।
শ্লোক নং ৮
মেঘ যখন অলকাপুরীতে গমন করবে তখন প্রোষিতভর্তৃকা নারীরা এলো চুল উপরে তুলে মেঘকে দেখতে থাকবে।
শ্লোক নং ৯
অনুকূল বাতাস যখন মেঘকে বয়ে নিয়ে চলবে তখন মেঘের বামদিকে চাতক পাখি অনুসরণ করবে। অপরদিকে আকাশে মালার মতো সজ্জিত বকগুলি মেঘের সেবা করবে ।
শ্লোক নং ১০
মেঘ বাধাহীন গতিতে এগিয়ে গেলে দিন গণনায় তৎপর ভাতৃজায়াকে অবশ্যই দেখতে পাবে। কেননা ফুলের মত কোমল ও বিরহী নারীরা হৃদয়কে আশার বন্ধনে বেঁধে রাখে।
মূল্যায়নঃ মহাকবি কালিদাস দুঃখকে জীবনে পরিনাম বলে গ্রহণ করেননি তিনি তার দুঃখকে যক্ষের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
5.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5
(a) পাঠ্যাংশ অবলম্বনে শ্রীরামকৃষ্ণের মানসিক ব্যাকুলতা বর্ণনা করো।
উত্তরঃ শ্রী যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী বিরচিত ‘ভারতবিবেকম’ নাট্যাংশে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমসাধক, শ্রীশ্রীভবতারিণীর একনিষ্ঠ পূজারি। তিনি মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ীরূপে প্রত্যক্ষ করেছেন। অতএব, গৃহে মায়েদের কাছে যেমন আবদার, শ্রীশ্রীমায়ের কাছেও শ্রীরামকৃষ্ণের সতত সেই শিশুসুলভ আবদার। কিন্তু আমাদের পাঠ্যাংশে শ্রীশ্রীমায়ের কাছে তাঁর (রামকৃষ্ণদেবের ) সেরূপ শিশুসুলভ আবদার নাই, আছে মনের ব্যাকুলতা।
ব্যাকুলতা— কারণ তিনি এখন একজন সুযােগ্য সর্বশক্তিমান শিবতুল্য উত্তরসাধক পেতে চান। মা ভবতারিণী অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে বহু সাধনমার্গের পথনির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু কোনাে উত্তরসাধকের সন্ধান এখনও দেননি। রামকৃষ্ণদেব মানুষ হয়েও দেবতা, গৃহী হয়েও ত্যাগী। তাঁর কামনা-বাসনা আত্মকেন্দ্রিক নয়, বিশ্বজনীন। জগদ্ধিতায় তাঁর আবির্ভাব। তাঁর ভাবধারা, তাঁর আদর্শকে জগতে ঘােষিত করার জন্য প্রয়ােজন একজন মন্ত্রশিষ্য তথা উত্তরসাধক। সুরেন্দ্রের মুখে নরেন্দ্রের নাম শােনামাত্র তিনি হর্ষোৎফুল্ল হয়ে উঠলেন এবং দেবী ভবতারিণীর কাছে পুনরায় আকুল আবেদন জানালেন ওই নরেন্দ্র যেন তাঁর উত্তরসাধক হন। কারণ তিনি নরেন্দ্র অর্থাৎ নরশ্রেষ্ঠ। এরূপ শ্রেষ্ঠ মানুষকেই তাে তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। অতএব কৃপাময়ী, মায়ের কাছে তাঁর আবেদন— “সত্বরং ব্রুহি,মাতঃ ! এষ নরেন্দ্র এব মম শ্রেষ্ঠ উত্তরসাধকঃ স্যাৎ ।”
শ্রীশ্রীঠাকুর তরুণ শিষ্যই তাে চাইছেন। তরুণদের মন কোমল। যা শেখানাে হবে তাঁদের মনে তাই অঙ্কিত হয়ে, যাবে। তিনি চান জটাজুটধারী, সর্বভারবাহী কল্যাণকারী স্বয়ং শিবকে তাঁর উত্তরসাধকরূপে। মা ভবতারিণী তাঁর কাছে সেরূপ এক উত্তরসাধক প্রেরণ করুন এটিই তাঁর হৃদয়ের একমাত্র ব্যাকুলতা, আর এই ব্যাকুলতা তাঁর অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে স্বতঃপ্রবাহিত। তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস নরেন্দ্রই হবে তাঁর উত্তরসাধক। তাই তাে দৃশ্যের উপসংহারে শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে বলতে শুনি— “ দেবি ভবতারিণি ! ত্বং ভূশং কৃপাপরায়ণা যথৈষ এব বরেণ্যসন্তানাে দেশস্য সর্বকালিমানং দূরীকর্তৃং শকুয়াৎ । ”
(b) শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের প্রথম দর্শন বর্ণনা করো।
উত্তরঃ শ্রী যতীন্দ্র বিমল চৌধুরী রচিত ভারতবিবেকম নাটকের প্রথম দৃশ্যের বিষয়বস্তু হলো ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ দেব এবং তার প্রিয় শিষ্য নরেন্দ্র নাথ দত্তের প্রথম সাক্ষাৎকার। এই অবিস্মরনীয় ঘটনাটি ঘটে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে, কলকাতার শিমুলিয়া অঞ্চলে সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাসভবনে। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অনুরোধে সুরেন্দ্রনাথ এই সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেছিলেন।
নরেন্দ্রনাথকে সঙ্গে করে সুরেন্দ্রনাথ যখন ঘরে প্রবেশ করেন তখন নরেন্দ্র মোদিকে শ্রীরামকৃষ্ণ আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েন। কুঞ্চিত কেশ সজ্জিত মস্তক আকর্ণ বিস্তৃত বিস্ফোরিত চক্ষু, বিস্তৃত বক্ষদেশ বিশিষ্ট নরেন্দ্রনাথ এর মধ্যে তিনি নিজে উত্তর সাধক এর সন্ধান পান। আর এই প্রাপ্তিতে ঠাকুর আনন্দে উন্মাদ হয়ে ওঠেন।
শ্রীরামকৃষ্ণ অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে নরেন্দ্র কে পর্যবেক্ষণ করেন। নরেন্দ্রনাথ এর মাথা নরম কোকড়ানো চুলে সুসজ্জিত। চোখ দুটি তার আকর্ণ বিস্তৃত। প্রশস্ত বক্ষদেশ এবং হাতির শুঁড়ের ন্যায় লম্বা ছিল তার বাহু দুটি। নরেন্দ্র নাথ এর এইরূপ দর্শনের পর ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের মনে বিবিধ ভাবনার উদয় ঘটে, জাতার স্বর্গত ভাষণের মাধ্যমে জানা যায়।
সমুদ্রের মোহনায় জলস্ফীতি ঘটলে গঙ্গার জল ধরা যেমন প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়, তেমনি নরেন্দ্রর রূপ সমুদ্রের জলস্ফীতির প্রভাবে রামকৃষ্ণদেবের হৃদয় নদী সগর্জনে প্রবাহিত হতে শুরু করে। তার চিত্ত নৃত্যরত হয়। নর্ট যেমন নৃত্য চঞ্চল তেমনি তার চিত্তও চঞ্চল হয়ে ওঠে। মৃদুমন্দ বাতাসের স্পর্শে বাঁশবন যেমন কম্পিত হয়, তেমনি নরেন্দ্রর রূপ মলয় যেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মনস্থিত স্মৃতিকে গুল্ম দলের নয় চঞ্চল করে তুলেছে।
রামকৃষ্ণদেবের নয়নে শিবের নাই উত্তর সাধক দর্শনের যে দীর্ঘ তৃষ্ণা ছিল, তা নরেন্দ্রকে দর্শনের পর সম্পূর্ণরূপে নিবারিত হয়। অর্থাৎ অবশেষে বহুকাঙ্খিত বিশ্বের কল্যাণকর শিব কে দেখে তিনি এক পরম তৃপ্তিতে আবিষ্ট হয়েছেন এবং মনে মনে পেয়েছেন চরম শান্তি। নরেন্দ্র কে দেখে এই সকল কথা ভাবতে ভাবতেই শ্রীরামকৃষ্ণের মন অপূর্ব আনন্দের অনুভুতিতে ভরে যায়।
6.যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ 5×1=5
(a) ভারতীয় সাহিত্যে রামায়ণের প্রভাব সংক্ষেপে লেখো।
উত্তরঃ ভারতীয় সমাজ ও সাহিত্যে রামায়ণের প্রভাব সর্বত্র। যুগ যুগ ব্যাপী ভারতের সমস্ত শ্রেণীর মানুষ গভীর শ্রদ্ধা ও আগ্রহের সঙ্গে এই গ্রন্থটি সংস্কৃত বা প্রাদেশিক ভাষায় পাঠ বা শ্রবণ করে আসছে। ভারতীয় নৈতিকতা, জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকে রামায়ণ ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে আসছে।
রামায়ণ মহাকাব্য ভারতীয় সমাজ জীবনের মত সাহিত্যের ক্ষেত্রে ও তার অতুলনীয় প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। রামায়ণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এবং রামায়ণকে উপজীব্য করে বহু কবি বহু কাব্য রচনা করেন। যেমন—
কালিদাসের রচনায় প্রভাবঃ মহাকবি কালিদাস রামায়ণের ভান্ডার থেকে বহু চিত্র, উপমা ও শব্দ গ্রহণ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত রচনা ‘রঘুবংশম্’ রামায়ণ দ্বারা অনুপ্রাণিত।
অন্যান্য রচনাঃ নাট্যকার ভাস-এর ‘প্রতিমা’, ‘অভিষেক’ নাটক, ভবভূতির ‘মহাবীরচরিত’ ও ‘উত্তররামচরিত’ নাটক, ভতৃহরির ‘ভট্টিকাব্য’ বা ‘রাবনবধ’, কুমার দাসের ‘জানকীহরণ’ কাব্য, ভোজের ‘চম্পুরামায়ণ’, রাজশেখরের ‘বাল রামায়ণ’, হ্মেমেন্দ্রের ‘রামায়ণ মঞ্জুরী’ রামায়ণ অবলম্বনে রচিত।
প্রাদেশিক সাহিত্যে প্রভাবঃ প্রাদেশিক সাহিত্যেও রামায়ণের প্রভাব কম নয়। তামিল ভাষায় রচিত ‘কম্বরামায়ণ’, হিন্দি ভাষায় রচিত তুলসী দাসের ‘রামচরিতমানস’, ভানু ভক্তের ‘নেপালি রামায়ণ’ খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাদেশিক ভাষার রচনাতেও রামায়ণের প্রভাব অপরিসীম।
বাংলা সাহিত্যে প্রভাবঃ বাংলা সাহিত্যেও রামায়ণের প্রভাব অপরিসীম। মধুসূদন দত্ত রামায়ণকে কেন্দ্র করে তার শ্রেষ্ঠ রচনা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামায়ণের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ‘বাল্মিকী প্রতিভা’, ‘কালমৃগয়া’, প্রভৃতি রামায়ণ কেন্দ্রিক বিভিন্ন রচনা প্রকাশ করেন। এছাড়া দীনেশ সেনের ‘রামায়ণী কথা’, উপেন্দ্রকিশোরের ‘শিশুপাঠ্য রামায়ণ’, মদনমোহন বসুর ‘রামাভিষেক’, গিরিশচন্দ্রের ‘সীতাহরণ’ ‘রাবণবধ’, ‘লক্ষণবৰ্জন’, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘পাষাণী’, ‘সীতা’ প্রভৃতি নাটকে রামায়ণের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
যুগ যুগ ধরে ভারতবর্ষের কবিবর্গ তাদের চিন্তায়, মননে, নাটকে, কাব্যে, সঙ্গীতে রামায়ণের কথা ও ভাব সংযোজন করেছেন। রামায়ণ তাদের কাছে একটি অনুপ্রেরণা স্বরূপ।
উপসংহারঃ যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রাণ থাকবে ততদিন পর্যন্ত রামায়ণের কাহিনী জগতে প্রচারিত হবে। ভারতীয়দের শ্রদ্ধায় রামায়ণের মহিমা আজও অম্লান রয়েছে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
(b) সংস্কৃত গল্পসাহিত্য সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ লেখো।
ভূমিকাঃ ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে কথাসাহিত্য বা গল্প সাহিত্যের অবদান অপরিসীম। মানুষের গল্প শোনার আগ্রহ চিরকালীন এই আগ্রহ থেকেই প্রাচীনকালে গল্প সাহিত্যের উদ্ভব হয়েছিল। এই গল্প সাহিত্যের জনপ্রিয়তা বর্তমান যুগেও সমানভাবে অক্ষুন্ন আছে।
গল্প সাহিত্যের উদ্ভবঃ ভাষা আবিষ্কারের পর থেকেই বিভিন্ন গল্প মৌখিক আকারে প্রচলিত ছিল। পরবর্তীকালে সেগুলি লোকসাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে। সংস্কৃত গল্প সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন মেলে ঋকবেদের ভেক সূত্রে। পরবর্তীকালে বৈদিক সাহিত্যে, রামায়ণে, মহাভারতে ও পুরাণে এটি অত্যাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
গল্পসাহিত্যের উদ্দেশ্য—
(i) গল্প সাহিত্য রচনার প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষের অবসর যাপন ও আনন্দ লাভ।
(ii) নীতি শিক্ষা দানের জন্য সরাসরি বা রূপক এর সাহায্যে গল্পকথা সৃষ্টি হয়েছে।
(iii) বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের ধর্ম প্রচারের জন্য গল্পকথার আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বৈশিষ্ট্যঃ
(i) গল্প কথার ভাষা অত্যন্ত সহজ-সরল হতো যাতে সকলের বুঝতে কোন অসুবিধা
না হয়।
(ii) নীতিমূলক গল্পের শেষে একটি নীতিবাক্য থাকতো যা গল্প সাহিত্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
(iii) বিখ্যাত কবিদের বা ধর্মীয় আচার্যদের জীবনের মজার ঘটনা এই গল্প সাহিত্যে স্থান পেত।
(iv) এই গল্প সাহিত্যে মানুষ ছাড়াও স্থান পেত পশুপাখি, যক্ষ গন্ধর্ব কিন্নর অপ্সরা প্রভৃতি । তাদের মধ্যে মানব চরিত্রের দোষ গুণ ফুটিয়ে তোলা হতো।
(vi) যেসব গল্প কবি মন থেকে হতো তাদের বলা হতো কথা এবং যে গল্পের পেছনে কোন ঐতিহাসিক ঘটনা বা সত্য ঘটনা থাকতো তাদের বলা হতো আখ্যায়িকা ।
সংস্কৃত গল্পসাহিত্যের দৃষ্টান্তঃ এমন অনেক সংস্কৃত গল্প সাহিত্য আছে যেগুলি বিশ্ব দরবারে তাদের নিজস্ব স্থান করে নিয়েছে এমন কয়েকটি হল- বিষ্ণু শর্মা লেখা পঞ্চতন্ত্র, নারায়ণ শর্মা লেখা হিতোপদেশ, গুণাচ্যের বৃহৎকথা, চিন্তামণি ভট্টের শুকসপ্ততি, বিদ্যাপতির পুরুষপরীক্ষা প্রভৃতি।
মন্তব্যঃ গল্পের মাধ্যমে মানুষ তার অতৃপ্ত বাসনা এবং অসাধ্য কাজ পূর্ণ করতে চাই। গল্পের ভঙ্গি উত্তম হলে তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ে। গল্প সাহিত্যের ভাষার পরিবর্তন হয়েছে রীতির পরিবর্তন হয়েছে তবুও গল্পের প্রতি মানুষের আকর্ষণ একটুকু কমেনি।
7. ভাবসম্প্রসারণ করোঃ (যে কোনো একটি) 4×1=4
(a) কামার্তা হি প্রকৃতিকৃপণাশ্চেতনাচেতনেষু ।
উত্তরঃ আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে দুই ধরনের পদার্থ বিদ্যমান।যথা- চেতন পদার্থ ও অচেতন পদার্থ। যার প্রাণ বা চৈতন্য আছে তা কেবলই চেতন পদার্থ এবং যার প্রাণ বা চৈতন্য নেই তাকে বলে অচেতন বা জড়পদার্থ। প্রাণী জগতে মনুষ্যদের বুদ্ধি চেতন সবচেয়ে বেশি। তাই তারা চেতন -অচেতন ভেদাভেদ করতে সক্ষম। কিন্তু কখনো মনুষ্যদেরও বুদ্ধি নষ্ট হয়। বিপদকালে মানুষের বুদ্ধি নাশ হয়। তেমনি আবার প্রেমিক পুরুষেরা তাদের প্রিয়া বিরহে কখনো অছবিবেচনার কাজ করে থাকে।
মানুষ প্রেমে অন্ধ।তাদের চেতন-অচেতন বোধ লুপ্ত হয়। বিভিন্ন সাহিত্যে এইরকম বিরহের বর্ণনা পাওয়া গেছে। যেমন— রামায়ণে রামচন্দ্রের সীতাবিরহ, ইংরেজি সাহিত্যে রোমিও জুলিয়েট এর জন্য জীবন বিপন্ন। তাই কালিদাস বলেছেন– ওরা কৃপার যোগ্য।
(b) শত্রবোহপি হিতায়ৈব বিবদন্তঃ পরস্পরম্ ।
শ্লোকার্থঃ আলোচ্য শ্লোকটির অর্থ হল পরস্পর বিবাদরত শত্রুরা যখন ঝগড়া করে তখন সাধারণ মানুষের উপকার হয়।
বিশ্লেষণঃ সংসারে কেউ কারও মিত্র বা কেউ কারও শত্রু হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। মানুষের ব্যবহার দ্বারাই কেউ শত্রুতে ও মিত্রতে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মিত্রপক্ষ মানুষের সর্বদা বন্ধুকে আপদে বিপদে সাহায্য করে থাকে। বন্ধুর হিতসাধনে অপর বন্ধু সর্বদাই চেষ্টা করে থাকে। অন্যদিকে সাধারণভাবে শত্রুর স্বভাবই হলো শত্রুর অহিত সাধন করা। শত্রু সব সময় অমঙ্গলের জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। সুযোগ পেলেই সে তার সহজাত প্রবৃত্তিবশে উপকারের বদলে অপকার করে থাকে। উপকার করার ইচ্ছা থাকে না তার মধ্যে। এটাই হলো প্রকৃত পক্ষে শত্রুর স্বভাব। কিন্তু কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। তখন তৃতীয় পক্ষের মঙ্গল সাধন হয়ে যায়। যারা আদর্শহীন ভাবে নিজের স্বার্থে মিলিত হয়েছিল স্বার্থে আঘাত লাগার ফলে তারা নিজেরাই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এবং তাদের বিবাদে তৃতীয় পক্ষ সচেতন ও সাবধান হয়ে যায়।
ব্যাকরণ ও অনুবাদ
8. সন্ধি করোঃ (যে কোনো দুটি) 1×2=2
(a) नदी + अम्बु। উত্তরঃ नद्यम्बु।
(b) उप + एसिड। উত্তরঃ उपेहि।
(c) प्र + एजते। উত্তরঃ प्रेजते।
(d) मनस् + ईषा। উত্তরঃ मनीषा।
9.সন্ধিবিচ্ছেদ করোঃ (যে কোনো দুটি) 1×2=2
(a) संस्कृत:। উত্তরঃ सम् + कृत:।
(b) गवेन्द्र:। উত্তরঃ गो + इन्द्र:।
(c) परीक्षा। উত্তরঃ परि + इच्छा।
(d) स्वागतम्। উত্তরঃ सु + आगतम्।
10.শব্দরূপ লেখোঃ (যে কোনো তিনটি) 1×3=3
(a) युष्मद् শব্দের সপ্তমী বহুবচন।
উত্তরঃ युष्मासु।
(b) लता শব্দের পঞ্চমী একবচন।
উত্তরঃ लतायाम्।
(c) नदी শব্দের প্রথমা একবচন।
উত্তরঃ नदी।
(d) फल শব্দের ষষ্ঠী বহুবচন।
উত্তরঃ फलानाम्।
11.ধাতুরূপ লেখোঃ (যে কোনো তিনটি) 1×3=3
(a) √ गम् + लट् , उत्तमषुरुष: , बहुवचनम्।
উত্তরঃ गच्छाम:।
(b) √ सेव + लोकल , मध्याम , एकवचन।
উত্তরঃ सेवस्य।
(c) √ स्था + वृक्ष , प्रथमपुरुष , बहुवचनम्।
উত্তরঃ स्थास्यन्ति।
(d) √ भू + लं , मध्वाम पुरष द्विवचनम् ।
উত্তরঃ अभवतम्
12.পরিনিষ্ঠিতরূপ লেখোঃ (যে কোনো চারটি) 1×4=4
(a) √ शास + क्वप् । উত্তরঃ शिष्व
(b) √ सह + तुमुन। উত্তরঃ सोढुम्।
(c) √ कृ + तव्य। উত্তরঃ करत्व।
(d) √ गम् + कत्वा। উত্তরঃ गत्वा।
(e) √ बृत् + शानच्। উত্তরঃ बर्तमान।
13.প্রদত্ত পদ দ্বারা বাক্যরচনা করোঃ (যে কোনো দুটি) 1×2=2
(a) बिना। (ছাড়া)
উত্তরঃ जलस्य विना जीवनं नास्ति।
(b) सर्वत्र। (চারিদিক)
উত্তরঃ सर्वत्र वर्षाः पतन्ति।
(c) निकषा। (কাছে)
উত্তরঃ निकषा लंकां समुद्रः अस्ति।
14.রেখাঙ্কিত পদের কারণসহ কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করোঃ (যে কোনো চারটি) 1×4=4
(a) शिशुना चन्द्रः दृश्यते।
উত্তরঃ
(b) भिक्षुकः पादेन खञ्जः।
উত্তরঃ
(c) सर्पात् बिभेति बालकः।
উত্তরঃ
(d) वृक्षात् फलं पतति।
উত্তরঃ
(e) ग्रामाय गच्छति कृषकः।
উত্তরঃ
15.নিম্নলিখিত অনুচ্ছেদটি পড়ে সংস্কৃত ভাষায় নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
अस्ति कस्मिंश्चित् समुद्रोपकण्ठे महान् जम्बुपादपः सदाफलः। तत्र च रक्तमुखो नाम वानरः प्रतिवसति स्म। तत्र च तस्य तरोरधः कदाचित् करालमुखो नाम मकरः समुद्रसलिलान्निष्क्रम्य सुकोमलवालुकासनाचे तीरोपान्ते न्यविशत। ततश्च रक्तमुखेन स प्रोक्तः भोः। भवान् अभ्यागतोऽतिथिः । तद् भक्षयतु मया दत्तानि अमृतकल्पानि जम्बूफलानि। एवमुक्त्वा तस्मै जम्बूफलानि प्रयच्छत्। सोऽपि तानि भक्षयित्वा तेन सह चिरं गोष्ठीसुखमनुभूय भूयोऽपि स्वभवनमगमत्।
(একটি নির্দিষ্ট সমুদ্রের তীরে একটি বিশাল জাম্বু গাছ রয়েছে যা চিরকালের ফল বহন করে। সেখানে রক্তমুখো নামে এক বানর বাস করত। সেখানে একবার গাছের নিচে, করালমুখো নামক একটি হাঙ্গর সমুদ্র থেকে বেরিয়ে এসে তীরের ধারে নরম বালির আসনে বসল। তারপর লাল মুখ করে বললেন, “মি. আপনি একজন দর্শনার্থী অতিথি। আমার দেওয়া অমৃতের মতো আদা ফল খাও। এই বলে সে তাকে কিছু জাম্বু ফল দিল। খাবার খেয়ে এবং দীর্ঘক্ষণ তার সাথে কথাবার্তার আনন্দ উপভোগ করার পর তার প্রাসাদে ফিরে এল।)
(a) जम्बूपादपः कुत्र आसीत् ?
উত্তরঃ समुद्रोपकण्ठे महान् जम्बुपादपः आसीत्।
(b) वानरस्य नाम किमासीत् ?
উত্তরঃ वानरस्य नाम रक्तमुखो किमासीत्।
(c) किं चासीत् मकरस्य नाम ?
উত্তরঃ मकरस्य नाम करालमुखो चासीत्।
(d) मकरः कुत्र अवसत् ?
উত্তরঃ मकरः समुद्रसलिलान्निष्क्रम्य सुकोमलवालुकासनाचे तीरोपान्ते न्यविशत।
(e) वानरः मकरं किम उक्तवान् ?
উত্তরঃ भवान् अभ्यागतोऽतिथिः। तद् भक्षयतु मया दत्तानि अमृतकल्पानि जम्बूफलानि।
16.বাংলা / ইংরেজি / হিন্দীতে অনুবাদ করোঃ (যে কোনো একটি) : 5
(a) एकस्मिन् अरण्ये एकः शृगालः आसीत्। तस्य नाम आसीत् चण्डरवः। क्षुत्कातरः असौ शृगालः एकदा नगर मध्ये प्राविशत्। तदा नगरस्य अन्ये कुकुराः तीक्ष्णैः दन्तेः तं दशन्ति स्म। स च शृगालः प्राणभयात् समीपे विद्यमानस्य रजकस्य गृहं प्राविशत्।
উত্তরঃ বাংলা অর্থ— এক জঙ্গলে একটা শিয়াল ছিল। তার নাম ছিল চন্দ্রাব। ক্ষুধার্ত শিয়াল একবার শহরে প্রবেশ করল। তারপর শহরের অন্য কুকুরগুলো তাকে তাদের ধারালো দাঁত দিয়ে কামড়ায়। প্রাণের ভয়ে শিয়ালটি পাশের এক দর্জির ঘরে ঢুকে পড়ে।
অথবা
(b) शरीरम् आद्यं खलु धर्मसाधनम्। सुस्थशरीरं विना जीवनयात्रा न सम्भवति। शरीरचचां विना शरीरं नीरोगं सुस्थं च न भवतः। एतदर्थ सम्प्रति विद्यालये शरीरचर्चाविषये विशेषाबवधानं दीयते। पाठ्यक्रमे च शरीरचर्चा अन्तर्भुक्ता जाता।
উত্তরঃ বাংলা অর্থ— মানবদেহ হল ধর্ম করার প্রথম মাধ্যম। সুস্থ শরীর ছাড়া জীবনের যাত্রা সম্ভব নয়। শরীর চর্চা ছাড়া শরীর সুস্থ ও ভালো থাকে না। এই কারণে, বর্তমানে স্কুলে শারীরিক আলোচনায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়। শারীরিক আলোচনাও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।