Model Activity Task January 2022
জীববিজ্ঞান (Life Science)
দশম শ্রেণী (Class – X)
পূর্ণমান – ২০
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে : ১ × ৩ = ৩
১.১ বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশােষণ ঘটাতে সাহায্য করে যে হরমােন তা নির্বাচন করাে—
(ক) ACTH
(খ) GH
(গ) TSH
(ঘ) ADH
উঃ (ঘ) ADH
১.২ নীচের যে জোড়টি সঠিক নয় তা শনাক্ত করাে—
(ক) ফোটোন্যাস্টিক চলন – সূর্যমুখী
(খ) থার্মোন্যাস্টিক চলন – টিউলিপ
(গ) সিসমেন্যাস্টিক চলন – পদ্ম
(ঘ) কেমােন্যাস্টিক চলন – সূর্যশিশির
উঃ (গ) সিসমেন্যাস্টিক চলন – পদ্ম l
১.৩ ইস্ট্রোজেন হরমােন ক্ষরণে সাহায্য করে যে হরমােন সেটি বেছে নাও —
(ক) GH
(খ) FSH
(গ) ADH
(ঘ) ACTH
উঃ (খ) FSH
২. নীচের বাক্যগুলাে সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করাে : ১ x ৪ = ৪
২.১ গ্রোথ হরমােনের অতিক্ষরণের ফলে বামনত্ব দেখা যায়।
উত্তর : মিথ্যা l
২.২ ফোটোট্যাকটিক চলনে ক্ল্যামাইডােমােনাসের দেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে।
উত্তর : সত্য l
২.৩ আগাছানাশক হিসেবে কৃত্রিম অক্সিনের ভূমিকা আছে।
উত্তর : সত্য l
২.৪ হরমােন ক্রিয়ার পর ধ্বংস হয় না।
উত্তর : মিথ্যা l
৩. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : ২ x ৪ = ৮
৩.১ ‘উদ্ভিদের কাণ্ডে আলােক অনুকূলবর্তী চলন দেখা যায়’ – একটি পরীক্ষার সাহায্যে বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : টবসহ একটি গাছকে একটা অন্ধকার ঘরে জানলার সামনে রেখে দেওয়া হলো। জানালার একটি পাল্লা খুলে রাখলে কয়েকদিন পর দেখা যাবে গাছের কান্ড জানলার দিকে বেঁকে গেছে। এতে প্রমাণ হয় উদ্ভিদের কান্ড আলােক অনুকূলবর্তী।
৩.২ নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য নিরূপণ করাে :
উদ্দীপকের প্রভাব
অক্সিন হরমােনের প্রভাব
উত্তর : ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলন এর পার্থক্য:
বৈশিষ্ট | ট্রপিক চলন | ন্যাস্টিক চলন |
উদ্দীপকের প্রভাব |
উদ্দীপকের উৎসের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হয় l | উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হয়। |
অক্সিন হরমােনের প্রভাব | অক্সিন হরমােন দ্বারা প্রভাবিত হয় না। | অক্সিন হরমােন দ্বারা প্রভাবিত হয়। |
৩.৩ মানবদেহে টেস্টোস্টেরন হরমােনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
উঃ
মানব দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভূমিকা:
(i) পুরুষের যৌনাঙ্গের পরিবর্তন: টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গের এবং আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে।
(ii) মৌল বিপাকীয় হার: টেস্টোস্টেরন দেহে মৌল বিপাকীয় হার এবং প্রােটিন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে।
৩.৪ জিব্বেরেলিন হরমােনের উৎস উল্লেখ করাে।
উত্তর : জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজে, মুকুল, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র, বর্ধিষ্ণু পাতায় সংশ্লেষিত হয়।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৪.১ উদাহরণের সাহায্যে হরমােনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি আলােচনা করাে। “ইনসুলিন আর গ্রুকাগনের ক্রিয়া পরস্পরের বিপরীতধর্মী” – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করাে। ৩ + ২ = ৫
উত্তর : যে পদ্ধতিতে কোনাে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ পরােক্ষভাবে অন্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয় সেই পদ্ধতিকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ বলে।
ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ দুই প্রকার।
যথা- ধনাত্মক ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ ও
ঋণাত্মক ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ।
যেমন- পিটুইটারি নিঃসৃত TSH থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে থাইরক্সিন ক্ষরণে সাহায্য করে। রক্তে থাইরক্সিনের অধিক মাত্রা পিটুইটারি থেকে TSH ক্ষরণ হ্রাসের মাধ্যমে থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিন ক্ষরণ হ্রাস করে।
ইনসুলিন যকৃত পেশি কোষের গ্লাইকোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে এবং গ্লাইকোজেন থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতি বন্ধ করে। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস পায়।
অপরপক্ষে গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস পেলে গ্লাইকোজেনােলাইসিস প্রক্রিয়ায় যকৃত। সঞ্চিত গ্লাইকোজেন কে গ্লুকোজে বিশ্লিষ্ট করে এবং রক্তে সরবরাহ করে।
অর্থাৎ ইনসুলিন রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে এবং গ্লুকাগন রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই বলা যেতে পারে ইনসুলিন আর গ্লকাগন এর ক্রিয়া পরস্পরের বিপরীত ধর্মী”।