গল্প ─ ‘ভাত’
মহাশ্বেতা দেবী
২. অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর।
১.’এ সংসারে সব কিছুই চলে’– কার নিয়মে সংসারের সব কিছুই চলে ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির সংসারের সব কিছুই বড়ােপিসিমার নিয়মে চলে।
২. “..বড়াে বউয়ের প্রথম থেকেই ভালাে লাগেনি।” -কী ভালো লাগেনি ?
উত্তরঃ কাজে নতুন যােগ দেওয়া উচ্ছবের উগ্র চাহনি বড়ােবউয়ের ভালাে লাগেনি।
৩. “লােকটার চাহনি বড়াে বাড়ির বড়াে বউয়ের প্রথম থেকেই ভালাে লাগেনি।”- কার চাহনির কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ আলােচ্য অংশে মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছােটোগল্পের প্রধান চরিত্র উৎসব নাইয়া ওরফে উচ্ছবের চাহনির কথা বলা হয়েছে।
৪. “সেই ডেকে আনলে।”— কে, কাকে ডেকে এনেছিল ?
উত্তরঃ বাসিনী উৎসব ওরফে উচ্ছবকে ডেকে এনেছিল।
৫. “বড়াে বাড়ির লােকরা বলে…” – কী বলে ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির লােকেরা বলে যে, বড়ােপিসিমার ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, তাই তিনি দেবতার সেবিকা।
৬. “সেই ডেকে আনলে।”— কে, কাকে, কেন ঠেকে আনল ?
উত্তরঃ বক্তা বড়ােপিসিমা জানিয়েছেন উচ্ছবের ঘর-সংসার এবং দেশ ঝড়জলে ভেসে গেছে বলেই বাসিনী তাকে ডেকে এনেছে।
৭.“কোথা থেকে আনলে ?” -কে, কাকে, কার সম্বন্ধে এই প্রশ্ন করেছে ?
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে বড়াে বাড়ির বড়ােবউমা বড়ােপিসিমাকে উচ্ছব সম্বন্ধে এই প্রশ্ন করেছে।
৮. বড়াে বউয়ের উচ্ছবকে ভালাে লাগেনি কেন ?
উত্তরঃ উচ্ছবের বন্য চেহারা, উগ্র চাহনি এবং তার খাটো করে পরা নােংরা লু্ঙ্গি দেখে বড়াে বউয়ের উচ্ছবকে ভালাে লাগেনি।
৯. বামুন ঠাকুর বড়ােবউকে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ বামুন ঠাকুর বড়ােবউকে বলেছিল যে, উচ্ছব ভাত খাওয়ার বিনিময়ে বড়াে বাড়িতে কাজ করবে।
১০.বড়ােপিসিমা বড়াে বাড়ির কে ছিলেন ?
উত্তরঃ বড়ােপিসিমা ছিলেন বাড়ির বুড়ােকর্তার অবিবাহিত বৃদ্ধা বােন এবং বড়ােবউমাসহ বাড়ির অন্য বউমাদের পিসিশাশুড়ি।
১১.বুড়ােকর্তা সংসার নিয়ে ‘নাটা ঝামটা’ হচ্ছিলেন কখন ?
উত্তরঃ অল্পবয়সে স্ত্রী মারা যাওয়ায় বুড়ােকর্তা সংসার নিয়ে ‘নাটা-ঝামটা’ হচ্ছিলেন।
১২.বড়ােপিসিমা সংসারের কোন্ কোন্ দায়িত্ব সামলাতেন ?
উত্তরঃ বড়ােপিসিমা বাড়ির রান্নাঘর, ভাড়াটে বাড়িতে মিস্তিরি লাগানাে, অর্থাৎ বুড়ােকর্তার সেবা করা—এসব দায়িত্ব সামলাতেন।
১৩.বুড়ােকর্তার কী রােগ হয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ােকর্তার লিভার ক্যানসার অর্থাৎ যকৃতে কর্কট রােগ হয়েছিল।
১৪.“সে জন্যেই হােম-যজ্ঞি হচ্ছে।”— হােম-যজ্ঞির কারণ কী ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির বুড়ােকর্তা লিভারে ক্যানসার হয়েছে, মৃত্যু আসন্ন, তাই তাকে বাঁচাতেই হােমযজ্ঞ হচ্ছিল।
১৫.মেজোবউ শাশুড়ির জন্য কী কী মাছ রান্না করছিল ?
উত্তরঃ মেজোবউ শাশুড়ির জন্য ইলিশ, পাকাপােনা, চিতল, ট্যাংরা এবং বড়াে ভেটকি মাছ রান্না করছিল।
১৬.যজ্ঞের জন্য কী কী কাঠ আনা হয় ?
উত্তরঃ যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, তেঁতুল, বট, অশ্বত্থ প্রভৃতি গাছের কাঠ আনা হয়েছিল।
১৭.বড়ােবউ শ্বশুরের ঘরে কিছুক্ষণের জন্য ঢুকেছিল কেন ?
উত্তরঃ শ্বশুরের দেখভালে নিযুক্ত নার্স চা খেতে বাইরে গেলে শ্বশুরকে দেখাশােনার জন্য বড়ােবউ তার ঘরে ঢুকেছিল।
১৮.“সেই জন্যেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।” – কী জন্য কাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির বড়াে, মেজো ও ছােটো ছেলে সকাল এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না বলেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।
১৯.বড়াে বাড়ির ছেলেদের চাকরি করার দরকার ছিল না কেন ?
উত্তরঃ আঠারােটি দেবত্র বাড়ি এবং বাদা অঞ্চলের প্রচুর উর্বর জমির মালিক হওয়ার জন্য বড় বাড়ির ছেলেদের চাকরি করার প্রয়ােজন ছিল না।
২০.বড়াে বউ শ্বশুরের জন্য কী কী করত ?
উত্তরঃ ঘরে পাতা দই ও ইসবগুল দিয়ে শরবত বানিয়ে দেওয়া, শ্বশুরের জন্য রুটি বালুচি তৈরি করা, তার বিছানা পাতা এবং তার পা টেপার কাজ করত।
২১. বড়াে বাড়িতে তান্ত্রিক কে এনেছিলেন ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়িতে ছােটো বউয়ের বাবা তান্ত্রিক ডেকে এনেছিলেন।
২২.যজ্ঞিহােমের জন্য কত পরিমাণ করে কাঠ লেগেছিল ?
উত্তরঃ যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, তেঁতুল, বট, অশ্বখ প্রভৃতি গাছের আধ মন করে কাঠ লেগেছিল।
২৩.ভজন চাকর কোথায় গিয়েছিল ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির ভজন চাকর যজ্ঞের জন্য কালাে বিড়ালের লােম সংগ্রহ করতে গিয়েছিল।
২৪.তান্ত্রিক শ্মশান থেকে কী আনতে বলেছিল ?
উত্তরঃ তান্ত্রিক শ্মশান থেকে বালি আনতে বলেছিল।
২৫.”দেখাে না একতলায় গিয়ে।” – একতলায় গেলে কী দেখা যায় ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির একতলায় গেলে দেখা যায় গােলায় গােলায়, স্তরে স্তরে বহু রকম চাল সাজানাে রয়েছে।
২৬.হােমযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে তান্ত্রিক কী করছিলেন ?
উত্তরঃ হােমযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে তান্ত্রিক বড়াে বাড়ির নীচের হলঘরে বসেছিলেন।
২৭.বড়াে বাড়িতে কনকপানি এবং পদ্মজালি চাল রান্না হয় কী জন্য ?
উত্তরঃ বড়ােবাবু কনকপানি চাল ছাড়া এবং মেজো ও ছােটোবাবু পদ্মজালি চাল ছাড়া ভাত খায় না বলে, তাদের জন্য এই দুরকমের চাল রান্না করা হত।
২৮.’ভাত’ গল্পে মােটা-সাপটা চাল খেত কারা ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির বামুন এবং ঝি-চাকররা মােটা-সাপ্টা চাল খেত।
২৯.“খুবই অদ্ভুত কথা। তাঁর বিয়ে হয়নি।” – কার বিয়ে হয়নি ?
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পে বড়ােপিসিমার বিয়ে হয়নি।
৩০.বুড়ােকর্তার বাড়িগুলির নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বুড়ােকর্তার বাড়িগুলির নাম ছিল শিব, মহেশ্বর, ত্রিলােচন, উমাপতি ইত্যাদি।
৩১.”শ্বশুর তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান।”- শশুর কার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান ছিল ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পের বড়াে বাড়ির বড়াে বউয়ের শ্বশুর তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান ছিল।
৩২.’ভাত’ গল্পের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কী ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ইতিহাসনির্ভর জীবনী ‘ঝাঁসীর রাণী'(১৯৫৬)।
৩৩.“সেগুলাে সব এক মাপে কাটতে হবে।” – কী কাটার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ এখানে হােমযজ্ঞের উদ্দেশ্যে যে বেল, ক্যাওড়া, অশ্বথ, বট ও তেঁতুল গাছের আধমন করে কাঠ কাটার কথা বলা হয়েছে।
৩৪.“বড়ােপিসিমা শেষ খোঁচাটা মারেন।”— খোঁচাটা কী ছিল ?
উত্তরঃ বড়ােপিসিমা বড়ােবউমাকে বলেন যে, তার শ্বশুর মরতে বসেছে বলেই হােম-যজ্ঞ হচ্ছে এবং তার কাজের জন্যই একজন লােক প্রয়ােজন।
৩৫.”মেজো বউ উনােন পাড়ে বসেছে।” – কী করতে মেজোবউ উনুন পাড়ে বসেছিল ?
উত্তরঃ শাশুড়ির বিধবা হওয়ার আশঙ্কায় তার জন্য নানারকম মাছ রান্না করার উদ্দেশ্যে মেজোবউ উনুনপাড়ে বসেছিল।
৩৬.“তার আসার কথা ওঠে না।” – কার, কেন আসার কথা ওঠে না ?
উত্তরঃ বৃদ্ধ বুড়ােকর্তার চরম অসুস্থতার জন্য তার সেজো ছেলের বাড়িতে আসার কথা ওঠে না, কারণ সে বিলেতে থাকে।
৩৭.“বােঝা গেল যখন, তখন আর কিছু করবার নেই।”- কী বােঝা গেল এবং কী করার কিছু ছিল না ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির কর্তামশায়ের লিভার ক্যানসার হওয়ার কথা বােঝা গিয়েছিল এবং দেরিতে ধরা পড়ার জন্য ডাক্তারদের কিছু করার ছিল না।
৩৮.“তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না।”— উক্তিটিতে কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ বড়াে বউমার কাছে তার শ্বশুর ঠাকুর-দেবতার মতাে ছিল, তাই বড়াে বউমা তার শ্বশুরের মৃত্যুর পর চাঁদ-সূর্য উঠবে কি না, সে কথা ভেবেছিল।
৩৯.”ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলেই তা…” – ডাক্তাররা কী বলে দিয়েছে?
উত্তরঃ ক্যানসারে আক্রান্ত বড়াে বাড়ির বৃদ্ধ গৃহকর্তার শেষ সময় উপস্থিত হয়েছে এ কথাই ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল।
৪০.”ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলেই তাে…”— ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলে কী করা হচ্ছিল ?
উত্তরঃ ডাক্তাররা বড়াে বাড়ির গৃহকর্তার শেষ সময় এসে গেছে বলে দিয়েছে। তাই তাকে বাঁচানাের শেষ চেষ্টা হিসেবে সে বাড়িতে হােম-যজ্ঞ হচ্ছিল।
৪১.”বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি।”— বাদায় থাকা লোকদের ভাতের আকাঙ্ক্ষা সাধারণত থাকে না কেন?
উত্তরঃ বাদা অর্থাৎ নিম্নভূমিতে জলের অভাব না থাকায় প্রচুর ধানের ফলন হয়। তাই বাদায় থাকা লােকেদের ভাতের আকাঙ্ক্ষা থাকে না বলে মনে করা হয়েছে।
৪২.“এসব কথা সত্যি না মিথ্যে কে জানে।”— কোন্ কথা ?
উত্তরঃ অবিবাহিতা বড়ােপিসিমা বলেছিলেন যে, শিব তার পতিদেবতা। তাই তাকে যেন মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়া না হয়। এখানে এই তথ্যের সত্যতা সম্বন্ধেই বলা হয়েছে।
৪৩.“..তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান।”— কে, কার কাছে ঠাকুর-দেবতা সমান?
উত্তরঃ বড়াে বউয়ের কাছে তার শ্বশুরমশাই অর্থাৎ বুড়ােকর্তা হলেন ঠাকুর-দেবতা তুল্য।
৪৪.”আজ এই যজ্ঞি-হােম হচ্ছে।”— হােম-যজ্ঞের জন্য কোন কোন্ উপকরণ প্রয়ােজন ?
উত্তরঃ হােমযজ্ঞ অনুষ্ঠানে বেল, ক্যাওড়া, অশ্বথ, বট, তেঁতুল-এই পাঁচপ্রকার গাছের আধ মন করে কাঠ, কালাে বিড়ালের লােম, শ্মশানের বালি ইত্যাদি উপকরণের প্রয়ােজন।
৪৫.শ্বশুর বড়াে বউয়ের কাছে কীসের মতাে ছিল ?
উত্তরঃ বড়ােবউয়ের কাছে তার শ্বশুর ঠাকুরদেবতার মতাে ছিল।
৪৬.উনি হলেন দেবতার সেবিকা।- কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটিতে বড়ােপিসিমার কথা বলা হয়েছে।
৪৭.ঝিঙেশাল চাল এবং রামশাল চাল কী কী দিয়ে খায় ?
উত্তরঃ ঝিঙেশাল চালের ভাত নিরামিষ ডাল-তরকারি দিয়ে এবং রামশাল চালের ভাত মাছ দিয়ে খায়।
৪৮.”ওই পাঁচ ভাগে ভাত হয়?”— পাঁচ ভাগের নাম কী ?
উত্তরঃ ঝিঙেশাল, রামশাল, কনকপানি, পদ্মজালি এবং মােটা-সাপ্টা ধানের চাল—এই পাঁচ ভাগে ভাত রান্না হত বড় বাড়িতে।
৪৯.বড়াে বাড়ির চাল কে কার মাধ্যমে লুকিয়ে বিক্রি করত ?
উত্তরঃ বড়ােপিসিমা বাড়ির পরিচারিকা বাসিনীর মাধ্যমে লুকিয়ে বড়াে বাড়ির চাল বিক্রি করত।
৫০.”পিসিমা দেকতে পেলে সব্বনাশ হবে।” – কী দেখতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ খিদের জ্বালায় কাতর উচ্ছব বাসিনীকে এক মুঠো চাল খেতে দিতে বললে বাসিনী জানায় যে বড়ােপিসিমা দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে।
৫১.“এদেরকে বলিহারি ঝাই।”—কোন্ প্রসঙ্গে কার এই উক্তি ?
উত্তরঃ বাসিনীর মনিবরা উৎসব ক-দিন ধরে খায়নি শুনেও তাকে আগে খেতে না দিয়ে কাজ করাচ্ছিল বলেই বাসিনী এমন উক্তি করেছিল।
৫২.“রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি” – কার কেন খিচুড়ি খাওয়া হয়নি ?
উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যাওয়ার পর উৎসব তাদের খুঁজে বেড়ানাের জন্য পাগলের মতাে কয়েকদিন বাড়িতেই পড়েছিল বলে রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি।
৫৩.“তখন তার বুদ্ধি হরে গিয়েছিল।”— কখন, কার বুদ্ধি হরে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যাওয়ার পর যখন ক-দিন ধরে উৎসব তাদের খুঁজতে বাড়িতেই পড়েছিল, তখন তার বুদ্ধি হারিয়ে গিয়েছিল।
৫৪.উচ্ছবের বউ তুমুল ঝড়বৃষ্টির সময় কী করছিল ?
উত্তরঃ উচ্ছবের বউ তুমুল ঝড়বৃষ্টির সময় ছেলেমেয়েকে জাপটে জড়িয়ে ধরেছিল এবং ঠান্ডায় ও ভয়ে কাঁপছিল।
৫৫.উচ্ছব তুমুল ঝড়বৃষ্টির সময় কী করছিল ?
উত্তরঃ উচ্ছব তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে মাতালের মতাে কাঁপতে থাকা তার ঘরের মাঝখানের খুঁটিটিকে মাটির দিকে চেপে ধরার চেষ্টা করছিল আর ভগবানকে ডাকছিল।
৫৬.লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী ‘ভাত’ গল্পে ভগবানকে কী বলে বিদ্রুপ করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে উচ্ছব ভগবানকে ডাকায় লেখিকা বলেছেন যে, দুর্যোগের মধ্যে ভগবানও বােধ হয় কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমােন।
৫৭.”সাধন দাশের কথা উচ্ছব নেয় না।” – সাধন দাশ কী বলেছিল?
উত্তরঃ সাধন দাশ উচ্ছবকে বলেছিল যে, তার পরিবারের লােকজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বানের জল উচ্ছবকেও টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, গাছে বেঁধে সে রক্ষা পেয়েছে।
৫৮.“টিনের বেশ একটা মুখবন্ধ কৌটো ছিল ঘরে।”—কৌটোটির মধ্যে কী ছিল ?
উত্তরঃ কৌটোটির মধ্যে ভূমিহীন উচ্ছবের সরকারের কাছে জমি চাওয়ার আবেদন পত্রের নকল কাগজ ছিল।
৫৯.“সে কৌটোটা বা কোথায়।”—কৌটোটা কেমন দেখতে ছিল ?
উত্তরঃ কৌটোটা ছিল টিনের তৈরি মুখবন্ধ করা চমৎকার দেখতে এবং বড়ো।
৬০.”রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি।” – কার খাওয়া হয়নি ?
উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যাওয়ার পর কদিন ধরে উচ্ছবের লঙ্গরখানার রান্না খিচুড়ি খাওয়া হয়নি।
৬১.পুরােহিত মহানাম শতপথি উৎসবদের গ্রামে আসতে দেরি করছিল কেন ?
উত্তরঃ পুরােহিত মহানাম শতপথির অন্য দুটো গ্রামে শ্রাদ্ধশান্তির কাজ সমাধা করছিল, তাই তার উচ্ছবদের গ্রামে আসতে দেরি করছিল।
৬২.”সে এট্টা কতা বটে” – কথাটা কী ?
উত্তরঃ এখানে কথাটি হল—‘সরকার ঘর করতে খরচা দেবে’।
৬৩.কারা, কেন উচ্ছবদের গ্রাম থেকে কলকাতায় যাচ্ছিল ?
উত্তরঃ উচ্ছবদের গ্রাম থেকে বাসিনীর বােন এবং ভাজ কিছুকাল ঠিকে কাজ করার উদ্দেশ্যে কলকাতায় যাচ্ছিল।
৬৪.উৎসব প্রথমবার কলকাতায় বাসিনীর মনিবদের বাড়ি গিয়ে কী দেখে ?
উত্তরঃ উৎসব প্রথমবার কলকাতায় গিয়ে বাসিনীর মনিবদের বড়াে বাড়িটা বাইরে থেকে দেখেছিল আর দেখেছিল বার-বাড়ির ঠাকুরদালান এবং শিবমন্দিরের মাথার পিতলের ত্রিশূল।
৬৫.“এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে।”—কোন্ গল্প ?
উত্তরঃ কলকাতায় বাসিনীর মনিবদের বাড়িতে যে হেলা ঢেলা ভাত—সে গল্প গ্রামের সবাই শুনেছে।
৬৬.”তা দেখে উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল।” — কী দেখে উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল ?
উত্তরঃ ধানের গােছ আসার আগেই ধান গাছ থেকে সবুজ রং চলে গিয়ে কার্তিক মাসেই ধান খড়ে পরিণত হয়েছিল। সেটা দেখেই উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল।
৬৭.সতীশ মিস্তিরির কী কী ধানে মড়ক লেগেছিল ?
উত্তরঃ সতীশ মিস্তিরির চাষ করা হরকুল, পাটনাই এবং মােটা – এই তিনপ্রকার ধানেই মড়ক লেগেছিল।
৬৮.উচ্ছবকে কাঁদতে দেখে সাধনবাবু কী বলেছিল ?
উত্তরঃ উচ্ছবকে কাঁদতে দেখে সাধনবাবু জানতে চেয়েছিল, মনিবের ধান নষ্ট হওয়ায় উচ্ছব কেন কাঁদছে।
৬৯.“সেই সন্ধ্যেয় অনেকদিন বাদে সে পেট ভরে খেয়েছিল।”— সে কখন কী খেয়েছিল ?
উত্তরঃ ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় উচ্ছব হিঞ্চে শাক সেদ্ধ এবং গুগলি সেদ্ধ, নুন ও লংকাপােড়া দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছিল।
৭০.“বাদায় এদের চাল হয়।” – বাদা বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তরঃ ‘বাদা’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল নিম্নভূমি বা জঙ্গলাকীর্ণ ভূমি।
৭১.’ভাত’ গল্পে লােকটি কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ভাত’ গল্পে লােকটির নাম উৎসব নাইয়া হলেও সে উচ্ছব নাইয়া নামে পরিচিত ছিল।
৭২.শ্রাদ্ধ করার জন্য কাকে খবর দেওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ শ্রাদ্ধ করার জন্য পুরােহিত মহানাম শতপথিকে খবর দেওয়া হয়েছিল।
৭৩. “পিসিমা দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে।”— কে, কখন এ কথা বলেছে ?
উত্তরঃ কাঠ কাটতে কাটতে দীর্ঘদিনের উপবাসী উচ্ছব বাসিনীর কাছে একমুঠো চাল চিবিয়ে খাওয়ার জন্য চাইলে তাকে নিরস্ত করতে বাসিনী এ কথা বলে।
৭৪. “..ধনুষ্টঙ্কার রােগীর মতাে কেঁপেঝেঁকে উঠছিল।” – কী কেঁপে উঠছিল ?
উত্তরঃ উৎসবের ঘরের মাঝে পোঁতা প্রধান খুঁটিটি তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে কেঁপে উঠছিল।
৭৫.”খেতে খেতে চন্নুনী’র মা বলেছিল…” – চন্নুনীর মা কী বলেছিল ?
উত্তরঃ চন্নুনীর মা খেতে খেতে বলেছিল যে, দেবতার লক্ষণ ভালাে নয় যারা নৌকা নিয়ে বেরিয়েছে তারা নৌকা-সহ না ডুবে মরে।
৭৬.“ওরা কিছুকাল ঠিকে কাজ করবে।” – কারা ?
উত্তরঃ বাসিনীর বােন এবং ভাজ অর্থাৎ ভাইবউ কিছুদিন ঠিকে কাজ করবে।
৭৭. ঝড়বৃষ্টির রাতে উচ্ছব কী কী খেয়েছিল ?
উত্তরঃ ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় উচ্ছব হিঞ্চে শাক সেদ্ধ এবং গুগলি সেদ্ধ, নুন ও লংকাপােড়া দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছিল।
৭৮.”বড়ােপিসিমা বেচেও দিচ্ছে নুক্কে নুক্কে।” – পিসিমা কী বেচে দিচ্ছেন ?
উত্তরঃ বাদায় উৎপন্ন পাহাড়প্রমাণ চালের একটা অংশ বড়ােপিসিমা বাসিনীর মাধ্যমে লুকিয়ে লুকিয়ে বেচে দেন।
৭৯. “ব্যাস, সব খােলামেলা, একাকার তারপর থেকে।”—সব একাকার হয়ে যায় কখন থেকে ?
উত্তরঃ ঝড় বৃষ্টির রাতে হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলকানিতে উচ্ছব যখন মাতাল মাতলার সফেন জলকে ছুটে আসতে দেখে তারপর থেকেই তার সব একাকার হয়ে যায়।
৮০.উৎসবের স্ত্রী-সন্তানরা কীভাবে মারা যায় ?
উত্তরঃ এক রাতে মাতলা নদীর প্রবল বন্যায় উৎসবের স্ত্রী-সন্তানরা জলে ভেসে গিয়ে মারা যায়।
৮১.“তাহলে উচ্ছবের বুকে শত হাতির বল থাকত আজ” – কী হলে এমন হত ?
উত্তরঃ চন্নুনীদের অর্থাৎ উচ্ছবের বউ-ছেলেমেয়েকে যদি ভগবান বাঁচিয়ে রাখতেন, তাহলে উচ্ছবের বুকে শত হাতির বল থাকত।
৮২. বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে মারা না গেলে বিপর্যয়ের পর কী করত উচ্ছব ?
উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে মারা না গেলে উচ্ছবরা সবাই মিলে তাদের টিনের মুখবন্ধ কৌটোটা নিয়ে ভিক্ষেয় বেরােত।
৮৩.মুখবন্ধ টিনের কৌটোটা কোথা থেকে পেয়েছিল উচ্ছব ?
উত্তরঃ সতীশবাবুর নাতির বেবি ফুডের মুখবন্ধ টিনের কৌটোটা উচ্ছবের পছন্দ হয় বলে সতীশবাবুর কাছ থেকে সে কৌটোটা চেয়ে এনেছিল।
৮৪.”তান্ত্রিকের নতুন বিধেন হল…”— তান্ত্রিকের পুরােনো বিধান কী ছিল ?
উত্তরঃ তান্ত্রিকের পুরােনাে বিধান ছিল যে, হােমে বসার আগে যেন তাড়াতাড়ি খাওয়াদাওয়া সেরে ফেলা হয়।
৮৫.“কিন্তু সাগরে শিশির পড়ে।”—উচ্ছব কেন এ কথা বলেছিল ?
উত্তরঃ দীর্ঘদিনের উপোসের পর মাত্র এক ঠোঙা ছাতু খেয়ে খিদে মেটেনি বলেই উচ্ছব বলেছিল যে, সাগরে শিশির পড়ে।
৮৬.“তান্ত্রিকের নতুন বিধেন হল…” — তান্ত্রিকের নতুন বিধান কী ?
উত্তরঃ তান্ত্রিকের নতুন বিধান হল যে, হােমের আগেই সব কিছু রান্না করে রাখতে হবে, কিন্তু খেতে হবে হােমের পরে।
৮৭.বাসিনী উচ্ছবকে লুকিয়ে খাবার দিতে কী অজুহাতে উঠোনে এসেছিল ?
উত্তরঃ বাসিনী ঝুড়িবােঝাই শাক ধুতে আসার অজুহাতে উচ্ছবকে লুকিয়ে খাবার দিতে উঠোনে এসেছিল।
৮৮.উচ্ছবদের বাদায় কী কী পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ উচ্ছবদের বাদায় গেঁড়ি, গুগলি, কচু শাক ও শুশনি শাক পাওয়া যায়।
৮৯.ছাতু খাওয়ার পর উচ্ছব কীসে করে জল খেয়েছিল ?
উত্তরঃ ছাতু খাওয়ার পর উচ্ছব মিষ্টির দোকান থেকে ভাঁড় চেয়ে নিয়ে তাতে করে জল খেয়েছিল।
৯০.“সতীশবাবুর নাতি ফুট খায়।” – সতীশবাবু কে ছিল ?
উত্তরঃ সতীশ মিস্তিরি ছিল ধনী কৃষক, যার জমিতে কাজ করে উচ্ছব দিন গুজরান করত।
৯১.যজ্ঞের জন্য উচ্ছবের কাটা কাঠগুলি কতটা লম্বা ছিল ?
উত্তরঃ যজ্ঞের জন্য উচ্ছবের কাটা কাঠগুলি দেড় হাত লম্বা ছিল।
৯২.”আসার সময়ে গাঁ-জ্ঞেয়াতি বলেছিল..” – গাঁ-জ্ঞেয়াতিরা কী বলেছিল ?
উত্তরঃ আসার সময় উচ্ছবকে গ্রামের জ্ঞাতিরা বলেছিল যে, সে যখন কলকাতা যাচ্ছে, তখন কালীঘাটে গিয়ে যেন তার বউ-ছেলেমেয়ের শ্রাদ্ধ সেরে নেয়।
৯৩.মহানাম শতপথি উচ্ছবদের গ্রামে এলে কী হবে ?
উত্তরঃ মহানাম শতপথি উচ্ছবদের গ্রামে এলে নদীর পাড়ে সারবন্দিভাবে বন্যায় মৃত মানুষদের শ্রাদ্ধ হবে।
৯৪.”গরিবের গতর এরা শস্তা দেকে।”— কারা গরিবের গতর সস্তা দেখে ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বুড়ােকর্তার বাড়ির লােকেরা গরিবের গতর সস্তা দেখে।
৯৫.“কত্তা মােলে পরে ওকে সাত নাতি না মেরেচি তাে আমি বাসিনী নই।” – কাকে ‘সাত নাতি মারার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বুড়ােকর্তার মুটকি খাস ঝি-কে ‘সাত নাতি’ অর্থাৎ সাত লাথি মারার কথা বলা হয়েছে।
৯৬.”ভাত খাবে সে, ভাত।”—কার ভাত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বহুদিন ধরে উপােসী উচ্ছবের ভাত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে।
৯৭.”তুমি হাত চালাও।”—কেন হাত চালাতে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ হােমযজ্ঞ করার জন্য কাঠের দ্রুত প্রয়ােজন ছিল বলে পিসিমা উচ্ছবকে তাড়াতাড়ি হাত চালাতে বলেছিলেন।
৯৮.সতীশবাবু কেন বলেছিলেন, “উচ্ছবের মতিচ্ছন্ন হয়েছে বই তাে নয়।” ?
উত্তরঃ বউ-ছেলেমেয়ে অপঘাতে মারা যাওয়ায় উচ্ছব শােকে পাগল হওয়ার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে ‘ভাত ভাত’ করছিল বলে সতীশবাবু বলেছিলেন যে, উচ্ছবের মতিচ্ছন্ন হয়েছে।
৯৯.”…ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড় উতলা করে।” – কাকে ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির ফুটন্ত ভাতের গন্ধ উচ্ছবকে বড়াে উতলা করে।
১০০.”..উচ্ছব তাড়াতাড়ি হাত চালায়।” – কেন ?
উত্তরঃ কাঠ কাটলে হােম হবে এবং হােম হওয়ার পর বহু আকাঙ্ক্ষিত ভাত খেতে পাবে বলেই উচ্ছব তাড়াতাড়ি চালায়।
১০১.”..দেবতার গতিক ভালাে নয়কো।” – কে, কখন এ কথা বলেছিল ?
উত্তরঃ ঝড়-বৃষ্টির রাতে যেদিন পরিবারের সকলের সাথে উচ্ছব শেষবারের মতাে খেতে বসেছিল, সেদিন চন্নুনীর মা অর্থাৎ উচ্ছবের বউ এ কথা বলেছিল।
১০২.“বড়ােপিসিমা খনখনিয়ে ওঠে।”—কী উদ্দেশ্যে বড়ােপিসিমা খনখনিয়ে ওঠে ?
উত্তরঃ উৎসবকে দিয়ে তাড়াতাড়ি কাঠ কাটানাের উদ্দেশ্যে বড়ােপিসিমা খনখনিয়ে ওঠে।
১০৩.আড়াই মন কাঠ দালানে রেখে আসার পর কী কাজ করে উচ্ছব ?
উত্তরঃ আড়াই মন কাঠ দালানে রেখে এসে উচ্ছব উঠোনে পড়ে থাকা কাঠের ছােটো-বড়াে টুকরােগুলি ঝুড়িতে তুলে রেখে উঠোন ঝাঁট দেয়।
১০৪.”এসব কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়।”—কোন্ কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায় ?
উত্তরঃ বড়ো বাড়ির রাশি রাশি রান্না শেষ হওয়ার কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়।
১০৫.সতীশবাবু উচ্ছবকে ভাত খেতে দেননি কেন ?
উত্তরঃ উচ্ছবকে ভাত খেতে দিলে দলে দলে অভুক্ত মানুষ ভাতের জন্য তাঁর বাড়িতে এসে জড়াে হবে বলে সতীশবাবু উচ্ছবকে ভাত খেতে দেননি।
১০৬.’প্রেত’ হয়ে থাকা উচ্ছব কীভাবে ‘মানুষ’ হবে বলে মনে করেছে ?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন ভাত খেতে না পেয়ে ‘প্রেত’ হয়ে থাকা উচ্ছব ভাত খেলে মানুষ হবে বলে মনে করেছে।
১০৭.“ভাত খেলে সে মানুষ হবে।” – মানুষ হলে সে কী করবে ?
উত্তরঃ উচ্ছব ভাত খেয়ে প্রেত থেকে মানুষে পরিণত হলে মৃত বউ-ছেলেমেয়ের জন্য কাঁদবে।
১০৮.তান্ত্রিক হােম শুরু করার আগে বুড়াে কত্তার রােগকে কী করেন ?
উত্তরঃ তান্ত্রিক হােম শুরু করার আগে হঠাৎ চিৎকার করে একটা মন্ত্র পড়ে বুড়ােকর্তার রােগকে দাঁড় করান এবং তারপর কালাে বিড়ালের লােম দিয়ে তাকে বাঁধেন।
১০৯.তান্ত্রিক বুড়ােকর্তার রােগকে দাঁড় করানাের জন্য কোন্ মন্ত্র আওড়েছিলেন ?
উত্তরঃ তান্ত্রিকের আওড়ানাে মন্ত্রটি হল—“ওঁং হ্রীং ঠং ঠং ভাে ভাে রােগ শৃণু শৃণু।
১১০.তান্ত্রিক হােম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কী ঘটেছিল ?
উত্তরঃ তান্ত্রিক হােম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই দোতলা থেকে নার্স নেমে এসে ডাক্তারকে খবর দিতে বলেছিল।
১১১.“বড়াে, মেজ ও ছােটো ঘুম ভাঙা চোখে বিরস মুখে হােমের ঘর থেকে বেরিয়ে যায়…।” – কখন এই ঘটনা ঘটে ?
উত্তরঃ তান্ত্রিক হােম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই দোতলা থেকে নার্স নেমে এসে ডাক্তারকে কল দিতে বললে বুড়ােকর্তার তিন ছেলে হােমের ঘর থেকে বিরস মুখে বেরিয়ে যায়।
১১২.“এলে পরে নদীর পাড়ে সারবন্দি ছরাদ হবে”—কাদের এভাবে শ্রাদ্ধ হবে?
উত্তরঃ মাতলা নদীর বন্যায় মৃত গ্রামবাসীদের নদীর পাড়ে সারবন্দিভাবে শ্রাদ্ধ হবে।
১১৩.বাসিনী উচ্ছবকে স্নান করতে বললে উচ্ছব রাজি হয় না কেন ?
উত্তরঃ উচ্ছব স্নান করতে রাজি হয় না কারণ মাথায় জল পড়লে তার পেটের খিদে আর তাকে মানতে চাইবে না।
১১৪.নার্স ডাক্তারকে কল দিতে বলার পর উচ্ছব কোথায় যায় ?
উত্তরঃ নার্স ডাক্তারকে কল দিতে বলার পর উচ্ছব বাইরে গিয়ে শিবমন্দিরের চাতালে বসে।
১১৫.“…উচ্ছব সেই বাদাটা খুঁজে বের করবে।”— কোন বাদার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির অধিকৃত যে বাদায় প্রচুর ধানের ফলন হয়, সেই বাদাটার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
১১৬.মন্দিরের চাতালে তাস পেটাতে থাকা তিনটি ছেলে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ মন্দিরের চাতালে তাস পেটাতে থাকা তিনটি ছেলে বলেছিল যে, বড়ো বাড়ির বুড়ােকে বাঁচানাের জন্য হােম হচ্ছে। তারা আরও বলে এসব ফালতু।
১১৭.উচ্ছবের চোখে জল আসে কেন ?
উত্তরঃ দুর্যোগের রাতে মাতলা নদী পাগল হয়ে পাড়ে উঠে না আসলে উচ্ছবের বউ-ছেলেমেয়ে আরও অনেকদিন বাঁচত—এ কথা ভেবেই উচ্ছবের চোখে জল আসে।
১১৮.”তাস পিটানাে ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে।”—তারা কেন অস্বস্তিতে পড়ে ?
উত্তরঃ উচ্ছব যখন তাস পেটানাে ছেলেদের বলে যে, ঝড়জলে তার সব কিছু এমনকি তার ঘরের মানুষরাও চলে গেছে, তখন তারা অস্বস্তিতে পড়ে।
১১৯.উচ্ছবের ঘুম কীভাবে ভেঙে যায় ?
উত্তরঃ একটা লােকের পায়ের ধাক্কা খেয়ে উচ্ছবের ঘুম ভেঙে যায়।
১২০.মন্দিরের চাতালে ঘুমােনাে উচ্ছবকে উঠিয়ে একজন তাকে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ উচ্ছব চুরির মতলবে মন্দিরের চাতালে শুয়ে আছে কি না জিজ্ঞাসা করেছিল।
১২১.ঘুম থেকে উঠে বড়াে বাড়িতে ঢােকার আগে কী লক্ষ করেছিল উচ্ছব ?
উত্তরঃ ঘুম থেকে উঠে বড়াে বাড়িতে ঢােকার আগে উচ্ছব রাস্তায় দাঁড়ানাে বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং ছােটো ছােটো কয়েকটি জটলা লক্ষ করেছিল।
১২২.বুড়ােকর্তা মারা যাওয়ার পর বড়ােপিসিমা সেই মৃত্যুর জন্য কাকে দোষারােপ করেছিলেন ?
উত্তরঃ বুড়ােকর্তার মৃত্যুর জন্য বড়ােপিসিমা তার ছােটো বেয়াইয়ের নিয়ে আসা তান্ত্রিককে দোষারােপ করেছিলেন।
১২৩.”নইলে দোষ লাগবে।”—কী হলে দোষ লাগবে ?
উত্তরঃ বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বের করে রাতারাতিই দাহকর্ম শেষ করতে না পারলে দোষ লাগবে বলা হয়েছিল।
১২৪.তান্ত্রিক বুড়ােকর্তার মৃত্যুতে নিজের দোষ ঢাকতে কী অজুহাত দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ তান্ত্রিক বুড়ােকর্তার মৃত্যুর পর নিজের দোষ ঢাকতে অজুহাত দিয়েছিলেন যে, বুড়ােকর্তার তিন ছেলে হােম ছেড়ে উঠে গিয়েছিল বলেই তিনি বুড়ােকর্তাকে বাঁচাতে পারেননি।
১২৫.মন্দিরের চাতালে কয়টি ছেলে তাস খেলছিল ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উচ্ছব যে শিবমন্দিরের চাতালে বসেছিল সেখানে তিনটি ছেলে তাস খেলছিল।
১২৬.“অন্ন লক্ষ্মী, অন্ন লক্ষ্মী, অন্নই লক্ষ্মী…”-এ কথা কে বলত ?
উত্তরঃ মহাশ্বেতী দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে উচ্ছবের ঠাকুমা এ কথা বলত।
১২৭.”তুমি কী বুঝবে সতীশবাবু।” – কী না বােঝার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ সতীশবাবু নদীর পাড়ে, মাটির ঘরে থাকে না বলে সেখানে বাস করার যে দুঃখকষ্ট তা না বােঝার কথা বলা হয়েছে।
১২৮.বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়ার খাট কোথায় তৈরি হয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বহনের খাট বাগবাজার থেকে তৈরি হয়েছিল।
১২৯.কখন বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বের করা হয়েছিল ?
উত্তরঃ রাত একটার পর বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বের করা হয়েছিল।
১৩০.’ভাত’ গল্পে শববাহকদের পেছন পেছন কারা দৌড়ে চলেছিল ?
উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে শববাহকদের পেছন পেছন কীর্তনের দল দৌড়ে চলেছিল।
১৩১.বামুন কেন বড়াে বাড়ির অশুচি হয়ে যাওয়া খাবারগুলি দূরে ফেলে দিতে বলেছিল ?
উত্তরঃ বড়াে বাড়ির অশুচি হয়ে যাওয়া খাবারগুলি কুকুরে ছেটাবে এবং সকালে কাকে ঠোকরাবে বলে বামুন খাবারগুলি দূরে ফেলে দিতে বলেছিল।
১৩২.”বাসিনী থমকে দাঁড়ায়।” – কী দেখে বাসিনী থমকে দাঁড়ায় ?
উত্তরঃ উচ্ছব বাদার কামটের মতাে হিংস্র চোখে দাঁতগুলাে বের করে হিংস্র মুখভঙ্গিতে বাসিনীর দিকে ফিরে তাকালে বাসিনী থমকে দাঁড়ায়।
১৩৩.উচ্ছবকে যখন পুলিশ ধরে তখন সে কী করছিল ?
উত্তরঃ উচ্ছবকে যখন পুলিশ ধরে তখন সে ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে ভাতের খালি ডেকচিটি জড়িয়ে ধরে তার কিনারায় মাথা ছুঁইয়ে ঘুমিয়েছিল।
১৩৪.পুলিশ কোন অভিযােগে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায় ?
উত্তরঃ পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে উচ্ছবকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
১৩৫.পেট ভরে ভাত খাওয়ার পর উচ্ছব কী পরিকল্পনা করেছিল ?
উত্তরঃ পেট ভরে ভাত খাওয়ার পর উচ্ছব ভােরের ট্রেনে ক্যানিং গিয়ে সেখান থেকে দেশের বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
১৩৬.“…সে স্বর্গ সুখ পায় ভাতের স্পর্শে।”— কেন স্বর্গসুখ পায় ?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন পর অভুক্ত উচ্ছব ভাত খেতে পেয়েছিল বলে ভাতের স্পর্শে সে স্বর্গসুখ পায়।
১৩৭.“চন্নুনী রে! তুইও খা,”—কোন্ গল্পের অংশ ? ‘চন্নুনী’র পরিচয় দাও।
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পের অংশ।
‘চন্নুনী’-হল উচ্ছব নাইয়ার মেয়ে, মাতলা নদীর বন্যায় চন্নুনী ভেসে গিয়েছিল।