ভরদুপুরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর–নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী / bhordupure kobitar prosno uttor class 6 wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

ভরদুপুরে
—নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর

ওই যে অশথ গাছটি, ও তো
পথিকজনের ছাতা,
তলায় ঘাসের গালচেখানি
আদর করে পাতা।
চরছে দূরে গোরুবাছুর,
গাছের তলায় শুয়ে,
দেখছে রাখাল মেঘগুলো যায়
আকাশটাকে ছুঁয়ে।

খোলের মধ্যে বোঝাই করে
শুকনো খড়ের আঁটি
নদীর ধারে বাঁধা কাদের
ওই বড়ো নৌকাটি।
কেউ কোথা নেই, বাতাস ওড়ায়
মিহিন সাদা ধুলো,
ভরদুপুরে যে যার ঘরে
ঘুমোচ্ছে লোকগুলো।
শুধুই কী আর মানুষ ঘুমোয়,
যে জানে, সে-ই জানে
আঁচল পেতে বিশ্বভুবন
ঘুমোচ্ছে এইখানে।

ভরদুপুরে কবিতার কবি পরিচিতি:

বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার চান্দ্রা গ্রামে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ অক্টোবর (২ কার্তিক, ১৩৩১ বঙ্গাব্দ) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছিলেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক। গ্রামের পাঠশালায় পড়াশোনা শেষ করে কবি। চলে আসেন কলকাতায়, ভরতি হন কলকাতার স্কুলে। এরপর তিনি। বঙ্গবাসী ও সেন্ট পলস কলেজে পড়াশোনা করেন। নীরেন্দ্রনাথ ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে যোগ দেন ‘আনন্দবাজার পত্রিকায়। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘আনন্দমেলা’র সম্পাদক হন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তারাশঙ্কর পুরস্কার, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে উল্টোরথ পুরস্কার পান। ‘উলঙ্গ রাজা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল নীল নির্জন’ (১৯৫৪), অন্ধকার বারান্দা’ (১৯৬১), ‘প্রথম নায়ক (১৯৬১), কলকাতার যীশু’ (১৯৬৯), উলঙ্গ রাজা’ (১৯৭১), সত্য সেলুকাস’ (১৯৯৫), সন্ধ্যারাতের কবিতা (১৯৯৭) ইত্যাদি। নীরেন্দ্রনাথ বেশ কিছু গল্প এবং রহস্য উপন্যাসও লিখেছেন। ছোটোদের জন্যও বেশ কিছু ছড়া এবং কবিতা লিখেছেন তিনি। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর আত্মকথার নাম নীরবিন্দু। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভরদুপুরে কবিতার সারসংক্ষেপ:

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার এক অলস দুপুরের চিত্র এঁকেছেন। গ্রীষ্মের দুপুরে একটি অশ্বত্থ গাছ যেন পথিকদের ছাতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের নীচে যেন নরম ঘাসের গালচে অর্থাৎ কার্পেট পাতা রয়েছে। দূরের মাঠে গরু বাছুর চরছে। রাখাল বালক গাছের নীচে শুয়ে আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখছে। শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করে নদীর ধারে কাদের যেন একটা বড়ো নৌকা বাঁধা রয়েছে। এই নির্জন দুপুরে চারদিকে কেউ কোথাও নেই, বাতাসে সাদা মিহি ধুলো উড়ছে। কবি বলেছেন এই নির্জন দুপুরে শুধু মানুষই নয়, বিশ্বভুবন অর্থাৎ বিশ্বপ্রকৃতিও যেন ঘুমিয়ে আছে, যাদের অনুভব করার ক্ষমতা আছে সেই শুধু বিশ্বপ্রকৃতির এই ঘুমের কথা বুঝতে পারবে।

ভরদুপুরে কবিতার নামকরণের সার্থকতা:

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ‘ভরদুপুরে’ কবিতায় গ্রামবাংলার এক নির্জন দুপুরের অলস, শান্ত, ছায়াময় রূপের বর্ণনা দিয়েছেন। গ্রীষ্মের প্রখর রোদের তাপ থেকে বাঁচতে ক্লান্ত পথিকদের একটা আশ্রয় চায়। গ্রামের অশ্বত্থ গাছটি ছাতার মতো তাদের ছায়া দান করে। গাছের নীচের নরম গালিচার মতো ঘাসের ওপর পথিকরা আশ্রয় নেয়। দূরে মাঠের মাঝে গোরু-বাছুরগুলোকে চরতে দিয়ে ক্লান্ত রাখাল একটা গাছের নীচে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। শুয়ে শুয়ে সে নীল আকাশের মাঝে সাদা মেঘের আনাগোনা দেখছে। নদীর ধারে বাঁধা খড় ভরতি একটা ব্যস্ততাহীন নৌকা গ্রাম্য দুপুরের আলস্যকে যেন আরও বাড়িয়ে তুলছে। দুপুরের এলোমেলো হাওয়ায় মিহি সাদা ধুলো উড়ছে। লোকজন আলস্যভরে যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে। কবির অনুভব, শুধু মানুষই নয়, সমগ্র বিশ্বপ্রকৃতিই যেন এই নির্জন, অলস দুপুরে তার আঁচল বিছিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে। কবির মতে খুব কম লোকই বিশ্বপ্রকৃতির এই ঘুমের খবর রাখে।

আলোচ্য কবিতায় কবি গ্রামবাংলার এক নির্জন, উদাস দুপুরের অপূর্ব বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই কবিতাটির বিষয়বস্তু অনুযায়ী ‘ভরদুপুরে’ কবিতার নামকরণ সার্থক হয়েছে।


বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন ও উত্তর


‘হাতে কলমে’ প্রশ্নের উত্তর

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

১.১ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তরঃ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্মস্থান বাংলাদেশের ফরিদপুরের চান্দ্রা গ্রাম।

১.২ তার লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল- ‘নীল নির্জন’ ও ‘কলকাতার যীশু’।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও।

২.১ ‘অশথ গাছ’-কে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে কেন ?

উত্তরঃ অশ্বত্থ গাছটি ছাতার মতো পথিকদের রোদবৃষ্টি থেকে আড়াল করে বলে তাকে পথিকজনের ছাতা বলা হয়েছে।

২.২ রাখালরা গাছের তলায় শুয়ে কী দেখছে ?

উত্তরঃ রাখালরা অশ্বত্থ গাছের তলায় শুয়ে মাথার ওপরে নীল আকাশে মেঘেদের আনাগোনা দেখছে।

২.৩ নদীর ধারের কোন্ দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে ?

উত্তরঃ নদীর ধারে শুকনো খড়ের আঁটি বোঝাই করা একটা বড়ো নৌকা বাঁধা থাকার দৃশ্য কবিতায় ফুটে উঠেছে

৩. একই অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো: তৃণ, তটিনী, গোরক্ষক, পৃথিবী, জলধর।

প্রদত্ত শব্দ কবিতার শব্দ প্রদত্ত শব্দ কবিতার শব্দ
তৃণ ঘাস পৃথিবী বিশ্ব/ভুবন
তটিনী নদী জলধর মেঘ
গোরক্ষক রাখাল

৪. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণ শব্দগুলিকে বিশেষ্যে পরিবর্তিত করো: ঘাস, রাখাল, আকাশ, মাঠ, আদর, গাছ, লোক।

বিশেষ্য বিশেষণ বিশেষ্য বিশেষণ
ঘাস ঘেসো আদর আদুরে
রাখাল রাখালিয়া গাছ গেছো
আকাশ আকাশী লোক লৌকিক
মাঠ মেঠো

৫. পাশে দেওয়া শব্দগুলির সঙ্গে উপসর্গ যোগ করে নতুন শব্দ তৈরি করো: নদী, আদর, বাতাস।

উত্তরঃ

উপসর্গ শব্দ নতুন শব্দ
উপ নদী উপনদী
অনা দর অনাদর
সু বাতাস সুবাতাস

৬. নীচের বাক্য বা বাক্যাংশগুলির থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় চিহ্নিত করে উদ্দেশ্য অংশের সম্প্রসারণ করো।

৬.১ ওই যে অশথ গাছটি, ও তো পথিকজনের ছাতা।

উত্তরঃ উদ্দেশ্য– ওই যে অশথ গাছি তো

বিধেয়– পথিকজনের ছাতা।

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ– নদীর ধারের ওই যে বহুদিনের পুরোনো অশথ গাছটি, ও তো।

৬.২ কেউ কোথা নেই, বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।

উত্তরঃ প্রথম বাক্যাংশ– কেউ কোথা নেই

উদ্দেশ্য– কেউ

বিধেয়– কোথা নেই।

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ– গ্রীষ্মের দুপুরে আমাকে রাস্তাটা চিনিয়ে দেওয়ার মতো কেউ

দ্বিতীয় বাক্যাংশ— বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।

উদ্দেশ্য– বাতাস।

বিধেয়– ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ– ঝোড়ো বাতাস।

৬.৩ আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।

উত্তরঃ উদ্দেশ্য– বিশ্বভুবন।

বিধেয়– আঁচল পেতে এইখানে ঘুমোচ্ছে।

উদ্দেশ্যের সম্প্রসারণ– ভরদুপুরে বিশ্বভুবন।

৭. বিশ্বভুবন’ শব্দে ‘বিশ্ব’ আর ‘ভুবন’ শব্দ দুটির একত্র উপস্থিতি রয়েছে যাদের অর্থ একই। এমন পাঁচটি নতুন শব্দ তুমি তৈরি করো।

নতুন শব্দ প্রথম শব্দ নতুন শব্দ
বলাকওয়া বলা কওয়া
লোকজন লোক জন
দীনদরিদ্র দীন দরিদ্র
কাজকর্ম কাজ কর্ম
হাঁটাচলা হাঁটা চলা

৮. ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করা (কোনটিতে কাজ চলছে। কোনটিতে বোঝাচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে)

৮.১ চরছে দূরে গোরুবাছুর।

উত্তরঃ চরছে– কাজ চলছে (ঘটমান বর্তমান)

৮.২ দেখছে রাখাল মেঘগুলো যায় আকাশটাকে ছুঁয়ে।

উত্তরঃ যায়– কাজ চলছে (ঘটমান বর্তমান)।

৮.৩ নদীর ধারে বাঁধা কাদের ওই বড়ো নৌকাটি।

উত্তরঃ বাঁধা– কাজ শেষ হয়ে গেছে (পুরাঘটিত বর্তমান)।

৮.৪ বাতাস ওড়ায় মিহিন সাদা ধুলো।

উত্তরঃ ওড়ায়– কাজ চলছে (ঘটমান বর্তমান)

৮.৫ আঁচল পেতে বিশ্বভুবন ঘুমোচ্ছে এইখানে।

উত্তরঃ ঘুমোচ্ছে– কাজ চলছে (ঘটমান বর্তমান)

৯। নীচের বাক্যগুলির গঠনগত শ্রেণিবিভাগ করো (সরল/যৌগিক/ জটিল)

৯.১ তলায় ঘাসের গালচেখানি আদর করে পাতা।

উত্তরঃ সরল বাক্য।

৯.২ ওই যে অশথ গাছটি, ও তো পথিকজনের ছাতা।

উত্তরঃ জটিল বাক্য।

৯.৩ ভরদুপুরে যে যার ঘরে ঘুমোচ্ছে লোকগুলো।

উত্তরঃ সরল বাক্য।

৯.৪ যে জানে, সেই জানে।

উত্তরঃ জটিল বাক্য।

১০. ‘ওই যে অশথ গাছটি…’ অংশে ওই একটি দূরত্ববাচক নির্দেশক সর্বনাম। এমন আরও কয়েকটি সর্বনামের উদাহরণ দাও। যেমন– ও, উহা, উনি, ওঁরা ইত্যাদি।

উত্তরঃ উল্লিখিত সর্বনামগুলি ছাড়া আরও কয়েকটি সর্বনাম হল– ওটা, ওগুলো, ওখানে, ওঁকে, ওঁদের ইত্যাদি।

১১. ‘পথিকজনের ছাতা’ সম্বন্ধপদটি চিহ্নিত করো, কবিতায় থাকা সম্বন্ধপদ খুঁজে লেখো আর নতুন সম্বন্ধপদ যুক্ত শব্দ তৈরি করো। যেমন– গোঠের রাখাল, দুপুরের ঘুম।

উত্তরঃ ‘পথিকজনের ছাতা’– এখানে সম্বন্ধপদটি হল ‘পথিকজনের। কবিতায় রয়েছে এমন দুটি সম্বন্ধপদ হল– [১] ঘাসের, [২] গাছের। এ ছাড়াও কয়েকটি নতুন সম্বন্ধপদ যুক্ত শব্দ হল– আকাশের, কাগজের ইত্যাদি।

১২. ‘ওই বড়ো নৌকাটি বলতে বোঝায় একটি নৌকাকে। নৌকার সঙ্গে এখানে ‘টি’ নির্দেশক বসিয়ে একবচন বোঝানো হয়েছে। এরকম একটি মাত্র একবচনের রূপ বোঝাতে কোন্ কোন্ নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে, তা উদাহরণ দিয়ে লেখো।

উত্তরঃ একবচন বোঝাতে ‘টি’ ছাড়া ‘টা’, ‘খানা’, ‘খানি’ ইত্যাদি। নির্দেশক ব্যবহৃত হতে পারে। নীচে কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে তা দেখানো হল—

টা– ছেলেটা, মেয়েটা, বাড়িটা, জামাটা ইত্যাদি

খানা– একখানা, চৌকিখানা, গাড়িখানা ইত্যাদি।

খানি– একখানি, আসনখানি, মুখখানি ইত্যাদি।

১৩. কবিতা থেকে বহুবচনের প্রয়োগ রয়েছে এমন শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো। প্রসঙ্গত, শব্দকে আর কী কী ভাবে আমরা বহুবচনের রূপ দিতে পারি, তা উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ বহুবচনের প্রয়োগ রয়েছে, কবিতা থেকে পাওয়া এমন শব্দগুলি হল— ‘গোরুবাছুর’, ‘মেঘগুলো’, ‘কাদের’, ‘লোকগুলো। এ ছাড়া ‘রা’, ‘সমূহ’, ‘শ্রেণি’, ‘রাশি’, ‘বর্গ’, ‘দল’, শত’, ‘রাজি’, ‘মালা’, ‘পুঞ্জ’, ‘বৃন্দ’, ‘মণ্ডলী’, ‘বহু’, ‘গুলি’ ইত্যাদি নির্দেশক যোগ করে বহুবচনের রূপ দেওয়া সম্ভব। নীচে প্রতিটি নির্দেশক প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দ গঠন করে বহুবচনের রূপটি দেখানো হল—

রা– ছেলেরা। সমূহ– গ্রন্থসমূহ

শ্রেণি– বৃক্ষশ্রেণি। রাশি– জলরাশি।

বর্গ– ব্যক্তিবর্গ। দল– গুল্মদল।

শত– শতবর্ষ। রাজি– পুষ্পরাজি

মালা– মেঘমালা। পুঞ্জ– নক্ষত্রপুঞ্জ

বৃন্দ– অধিবাসীবৃন্দ। মণ্ডলী– অতিথিমগুলী।

বহু– বহুদিন। গুলি– গানগুলি

👉পরবর্তী পাঠঃ শংকর সেনাপতি

👉 ইংরেজি পাঠ্য বই সমাধান

ষষ্ঠ শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | ১ম, ২য়, ৩য় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র | All Unit Test Question Paper

Leave a Reply