FIRST SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 6 BENGALI (WBBSE)
MODEL QUESTION PAPER
Set-3
পাঠ্যসূচী/সিলেবাস—
সাহিত্যমেলাঃ ভরদুপুরে, সেনাপতি শংকর, পাইন দাঁড়িয়ে আকাশে নয়নতুলি, মন ভালো করা, পশু পাখির ভাষা, ঘাসফড়িং, কুমোরে-পোকার বাসাবাড়ি।
হ য ব র ল– ১–১৪ পৃষ্ঠা।
ভাষাচর্চাঃ বিসর্গ সন্ধি, শব্দের গঠন।
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
সপ্তম শ্রেণি বিষয়: বাংলা
পূর্ণমান: ১৫ সময়: ৩০ মিনিট
নাম __________________________________
বিভাগ ____________ রোল নং ___________
ষষ্ঠ শ্রেণী
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
বাংলা
১.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো (যে-কোনো একটি)। ১×১=১
১.১ ‘মন-ভালো-করা’ কবিতাটির কবি হলেন—
(ক) শক্তি চট্টোপাধ্যায়
(খ) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
(গ) হাইনরিখ্ হাইনে
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ (ক) শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১.২ ভরদুপুরে’ কবিতায় কবি প্রথমেই যে-গাছটির কথা বলেছেন সেটি হল–
(ক) বট গাছ (খ) তাল গাছ
(গ) দেবদারু গাছ (ঘ) অশথ গাছ
উত্তরঃ (ঘ) অশথ গাছ
২. নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×১=১
২.১ পাম গাছ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে ?
উত্তরঃ পাম গাছ মরুতটে অর্থাৎ, মরুভূমির পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
২.২ “কেন ওর রং খর ও শান্ত”- পঙ্ক্তিটিতে কার কথা বলা হয়েছে ? ‘খর’ ও ‘শান্ত’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ পঙক্তিটিতে মাছরাঙা পাখির কথা বলা হয়েছে। ‘খর’ শব্দের অর্থ হল তীব্র, আর ‘শান্ত’ শব্দের অর্থ হল ধীর, অচল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো একটি) : ২×১=২
৩.১ পাইন গাছ কী স্বপ্ন দেখে ?
উত্তরঃ পাইন গাছ বরফ-ঢাকা শীতের দেশে জন্মায়। গরমের তীব্র দহন-জ্বালা তার নেই। তাই দূরে দাঁড়িয়ে থেকে সে স্বপ্ন দ্যাখে, মরুভূমির ওপর সকালের সূর্য উঠেছে। মরুর বুকে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। সেই তপ্ত ঢেউয়ের যন্ত্রণা বুকে নিয়েই মরুতটে পাম গাছ দাঁড়িয়ে আছে।
৩.২ গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কবিকে ভীষণভাবে কল্পনাপ্রবণ করে তুলেছে। মাছরাঙা পাখির রং ও তার বৈচিত্র্য কবির বিষণ্ণ মনকে ভালো করে দেয়। তার দেহের নীল রূপের কম বেশি বিস্তার কবির মনকে উদ্দীপ্ত করে। কবির মনে হয়, এই রং তীব্র এবং শান্ত। তিনি মাছরাঙা পাখির রং-এ লাল-হলুদ-সবুজ বনের রূপ খুঁজে পান। আসলে প্রকৃতির রূপ যেভাবে মানুষের মনকে উচ্ছ্বসিত করে, তেমনই মাছরাঙার রং-সৌন্দর্য কবির মনকে ভালো করে দেয়। এভাবে গাছের ডালে বসে থাকা মাছরাঙা থাকা মাছরাঙা কবির কল্পনাকে প্রভাবিত করে তাকে আনন্দ-মুখর করে তুলেছে।
৪. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো (যে কোনো একটি) : ১×১=১
৪.১ পূর্ববঙ্গের মাহুতের ভাষায় ‘ভোরি’ শব্দের অর্থ–
(ক) পিছনে যাও (খ) সাবধান (গ) বসো
(ঘ) কাত হও
উত্তরঃ (ক) পিছনে যাও।
৪.২ পাখিরা কোন্ রং দেখতে পায় না ?
(ক) লাল (খ) হলুদ (গ) বেগুনি (ঘ) নীল
উত্তরঃ (গ) বেগুনি
৫. নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের অতিসংক্ষেপে উত্তর দাও : ১x১=১
৫.১ ‘কুমোরে পোকা’ তার পোকামাকড় ভর্তি কোঠুরিতে কয়টি ডিম পাড়ে ?
উত্তরঃ মাত্র একটি ডিম পাড়ে।
৫.২ “সে ভাষা তো তারা বলতে পারে না।”– কারা, কোন্ ভাষায় কথা বলতে অক্ষম ?
উত্তরঃ পশুপাখিরা মানুষের ভাষা বুঝতে সক্ষম হলেও, তারা মানুষের ভাষায় কথা বলতে অক্ষম।
৬. নীচের যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর নিজের ভাষায় লেখো। ২x১=২
৬.১ মাকড়সা দেখলেই কুমোরে-পোকা কী করে ?
উত্তরঃ কোনোরকমে মাকড়সাকে একবার চোখে দেখলে কুমোরে-পোকা ছুটে গিয়ে তার ঘাড় কামড়ে ধরে। ফুল ফুটিয়ে তার শরীরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাকড়সাকে অসাড় করে দেয়। কোনো কোনো মাকড়সাকে পাঁচ-সাতবার পর্যন্ত শরীরে হুল ফুটিয়ে থাকে।
৬.২ “স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে।”– কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে ? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে?
উত্তরঃ শংকর সেনাপতির স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে।
স্বপ্ন দেখে সে জানতে পেরেছে, স্বপ্নের বাতাসের রং নীলচে। বাড়ি-ঘরদোর খয়েরি রঙের। স্বপ্নে ধাক্কা বা গুঁতো খেলে কোনো ব্যথা লাগে না আর এই ব্যাপারটি যেন ঘোলপুকুরে ডুব দিয়ে মাটি তোলার পর ভেসে ওঠার মতো, আপসে জলে ভর দিয়ে আলতোভাবে ওঠা। জলের নীচে পোঁতা বাঁশে গা ঘষে গেলেও টের পাওয়া যায় না।
৭. নীচের যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×২=২
৭.১ ‘সাত দু-গুণে কত হয় ?’– উদ্ধৃত কথাটি কে বলেছিল ?
উত্তরঃ দাঁড় কাক।
৭.২ গাছ থেকে যে বুড়ো নেমেছিল ছিল তার চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ বুড়ো ছিল লম্বায় দেড় হাত, পা পর্যন্ত সবুজ রঙের দাড়ি, আর মাথা ভরা টাক।
৭.৩ “এতো হামেশাই হচ্ছে।”– হামলাই কী হচ্ছে ?
উত্তরঃ একটা ডিম থেকে দিব্যি একটা প্যাঁকপেঁকে হাঁস হামেশাই হচ্ছে।
৭.৪ রুমালটা কোথায় বেড়ালে পরিণত হয়েছিল ?
উত্তরঃ সুকুমার রায় রচিত হ য ব র ল গল্পে রুমালটি গাছতলায় ঘাসের উপর বেড়াল হয়ে গেছিল।
৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বের করো : ১×২=২
৮.১ বাসা তৈরির জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজতে বের হয়।
উত্তরঃ অনুসর্গ– জন্য।
৮.২ সেই স্থান থেকে নির্বাচিত স্থানে যাতায়াত করে রাস্তা চিনে নেয়।
উত্তরঃ অনুসর্গ– থেকে।
৯. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও। ১×৩=৩
৯.১ বিসর্গ সন্ধি কাকে বলে ?
উত্তরঃ বিসর্গের সঙ্গে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনি যুক্ত হয়ে যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে।
৯.২ সন্ধিবিচ্ছেদ করো।
ততোধিক, যশোভিলাষ
উত্তরঃ ততঃ + অধিক = ততোধিক
যশঃ + অভিলাষ = যশোভিলাষ
৯.৩ ধ্বনি কত প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ ধ্বনি দুই প্রকার। যথাঃ স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।