CLASS 6 HISTORY (WBBSE)
FIRST SUMMATIVE EVALUATION
MODEL QUESTION PAPER
Set-3
পাঠ্যসূচী / Syllabus :
2. ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ 3.ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা
বাহাদুরপুর হাইস্কুল (উঃ মাঃ)
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন – ২০২৩
বিষয় : ইতিহাস শ্ৰেণি : ষষ্ঠ
পূর্ণমান : ১৫ সময় : ৩০ মিনিট।
নাম ………………………………………………..
রোল……………… বিভাগ………………
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ (৩টি) : ১×৩=৩
(ক) আদিম মানুষ প্রথম – ( রান্না করা খাবার / পোড়া মাংস / কাচা মাংস ও ফলমূল খেত)।
উত্তরঃ কাচা মাংস ও ফলমূল খেত।
(খ) হরপ্পা সভ্যতা ছিল ( পাথরের / লোহার / তামা ও ব্রোঞ্জ) যুগের সভ্যতা।
উত্তরঃ তামা ও ব্রোঞ্জ
(গ) আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরী আবিষ্কার ( ধাতু / চাকা / আগুন)।
উত্তরঃ চাকা।
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয় লেখো : ১×৩=৩
‘ক’ স্তম্ভ | ‘খ’ স্তম্ভ |
কৃষিকাজ | মধ্যপ্রদেশ |
পশুপালন | নতুন পাথরের যুগ |
ভীমবেটকা | মাঝের পাথরের যুগ |
উত্তরঃ
কৃষিকাজ — নতুন পাথরের যুগ
পশুপালন — মাঝের পাথরের যুগ
ভীমবেটকা — মধ্যপ্রদেশ
৩. বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো ৩টি : ১×৩=৩
(ক) তামা, কাঁসা, পাথর, লোহা
উত্তরঃ লোহা।
(মেহেরগড় সভ্যতায় মানুষের মধ্যে তামা, কাঁসার তৈরী পাত্র ও পাথরের তৈরী অস্ত্রের ব্যবহার ছিল, সেই সময়ে লোহা ব্যবহারের চল ছিল না। তাই বেমানান শব্দটি হল – লোহা।)
(খ) ঘোড়া, হাতি, গন্ডার, ষাঁড়
উত্তরঃ ঘোড়া।
(হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা পশুপালনে অভ্যস্ত ছিল। তারা ষাঁড়, ভেড়া, ছাগল প্রভৃতি পালন করত। কিন্তু হরপ্পাবাসীরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না।)
(গ) কালিবঙ্গান, মেহেরগড়, বানাওয়ালি, ঢোলাবিরা
উত্তরঃ মেহেরগড়।
(কালিবঙ্গান, বানওয়ালি ও ঢোলবিরা, হরপ্পা সভ্যতার অন্তর্গত। অন্যদিকে, মেহেরগড় একটি সভ্যতা)
(ঘ) কুড়ুল, ছোরা, চাঁছুনি, তরোয়াল।
উত্তরঃ তরোয়াল।
(কুড়ুল, ছোরা, চাঁছুনি হলো পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার, হুন্সগি উপত্যকায় মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে।)
৪. নিজের ভাষায় উত্তর দাও ৩টি : ২×৩=৬
(ক) আদিম মানুষ যাযাবর ছিল কেন ?
উত্তরঃ আদিম মানুষরা চাষবাস জানত না। তারা পশুশিকার করে কাঁচামাংস ও ফলমূল খেয়ে জীবনধারণকরত। ক্রমে তারা পশুপালন শেখে। তাই নিজেদের খাবার ও পালিত পশুর খাদ্যের (মূলত ঘাস) সন্ধানে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে বেড়াত। এজন্যই আদিম মানুষ যাযাবর জীবনযাপন করত।
(খ) আদিম মানুষ জোট বেঁধেছিল কেন ? এর ফলে কী লাভ হয়েছিল ?
উত্তরঃ জোট বাঁধার কারণ: আদিম মানুষ প্রথমে একা থাকায় তার নিরাপত্তা ও খাদ্যের অভাব ছিল। তাই নিজের নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং খাদ্যের অভাব মেটানোর জন্য তারা জোটবদ্ধ হয়েছিল।
জোট বাঁধার ফল: জোটবদ্ধ হওয়ায় আদিম মানুষ সহজেই বন্যজন্তুর আক্রমণ রোধ করতে শিখেছিল। তা ছাড়া দলবদ্ধভাবে শিকার করা সহজ বলে খাদ্যের অভাব কমে এসেছিল। অনেকে মানুষের এই জোট বেঁধে থাকাকে আদিম সমাজ বলে মনে করেছেন।
(গ) সিন্ধুনদীর তীরে হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলি গড়ে উঠছিল কেন ?
উত্তরঃ ব্যবসা বাণিজ্য সুবিধাঃ এই শহরগুলি ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নত ছিল। তারা নদীতে নৌকার সাহায্যে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য করতো।
কৃষি কাজের সুবিধাঃ হরপ্পা সভ্যতার শহরবাসীরা খাদ্য শস্যের জন্য গ্রামের কৃষি কাজের উপর নির্ভর কর। আর নদীর তীরের পলি সমৃদ্ধ জমি ছিল চাষের উপযোগী।
(ঘ) হরপ্পা সভ্যতায় কী ধরনের বাড়িঘর পাওয়া গেছে ?
উত্তরঃ হরপ্পা সভ্যতায় বাড়িঘর গুলি ছিল পোড়ায় ইটের তৈরি। বাড়িগুলি একতলা, দি তলা, এমনকি তিন তলা বাড়ির অস্তিত্বও ছিল। এর পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি ধরনের বাড়ির খোঁজও পাওয়া গিয়েছে।
👉সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র👈