পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) | West Bengal Class 8 Geography wbbse
সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) | True Fales Prithibir Andarmahal Class 8 Geography Chapter 1 wbbse
১. কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব 3.3 গ্রাম/ঘন সেমি।
উত্তরঃ মিথ্যা।
২. সিয়াল স্তরটি মূলত গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দিয়ে গঠিত।
উত্তরঃ সত্য।
৩. কোর (core) বলতে আসলে কেন্দ্রমণ্ডলকেই বোঝায়।
উত্তরঃ সত্য।
৪. পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় 320 কোটি বছর আগে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
৫. পৃথিবীর অভ্যন্তরের গড় তাপমাত্রা প্রায় 115°সে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
৬. ভূ-ত্বকে পদার্থের গড় ঘনত্ব 2.6-3.3 গ্রাম ঘন সেমি।
উত্তরঃ সত্য।
৭. ভূ-ত্বকের গভীরতা মহাদেশগুলিতে বেশি হেগলি কলেজিয়েট স্কুল।
উত্তরঃ সত্য।
৮. গুরুমণ্ডলের আনুমানিক উন্নতা প্রায় 5000°সে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
৯. গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে লেহম্যান বিযুক্তিরেখা।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১০. ভূগর্ভের গলিত উত্তপ্ত পদার্থ ভূগর্ভের ভিতরে থাকলে ম্যাগমা এবং বাইরে বেরিয়ে আসলে লাভা নামে পরিচিত হয়।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১১. সিয়াল স্তরটি সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়াম দিয়ে তৈরি।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১২. আগামী দিনে ভারত প্রায় 10,000 মেগাওয়াট ভূ-তাপীয় শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১৩. S তরঙ্গ তরল ও অর্ধ-তরল মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১৪. শীতপ্রধান দেশে বাড়িঘর উষ্ণ রাখতে বায়ুশক্তি ব্যবহৃত হয়।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১৫. ভূ-ত্বকের নীচের স্তর ব্যাসল্ট ও ওপরের স্তর হালকা গ্রানাইট শিলায় গঠিত।
উত্তরঃ সত্য।
১৬. কেন্দ্রমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা সূর্যের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১৭. কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর গড় ঘনত্ব 3.3 গ্রাম/ঘন সেমি।
উত্তরঃ মিথ্যা।
১৮. সিয়াল স্তরটি মূলত গ্রানাইট জাতীয় আগ্নেয় শিলা দিয়ে গঠিত।
উত্তরঃ সত্য।
১৯. পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় 320 কোটি বছর আগে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
২০. পৃথিবীর অভ্যন্তরের গড় তাপমাত্রা প্রায় 115°সে।
উত্তরঃ মিথ্যা।
শূন্যস্থান পূরণ করো : পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) | Fill in the blanks Prithibir Andarmahal Class 8 Geography Chapter 1 wbbse
১. গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে রয়েছে _________ বিযুক্তিরেখা।
উত্তরঃ গুটেনবার্গ
২. ভূ-তাপ শক্তির সাহায্যে আইসল্যান্ড দেশ তার _________ % বিদ্যুৎ চাহিদা মেটায়।
উত্তরঃ 27
৩. গুরুমণ্ডল স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে _________ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
উত্তরঃ 2900 গ্রাম/ঘন সেমি
৪. ভূত্বকীয় পাতগুলি গড়ে _________ কিমি পুরু।
উত্তরঃ 70-150
৫. সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে ________ রেখা রয়েছে।
উত্তরঃ কনরাড বিযুক্তি।
৬. ভূত্বকের শতকরা _______ শতাংশ অক্সিজেন।
উত্তরঃ ৪৭
৭. ভূত্বকের প্রধান উপাদান হল ________ ।
উত্তরঃ অক্সিজেন।
৮. ভূত্বকের দ্বিতীয় প্রধান উপাদান হলো _________।
উত্তরঃ সিলিকন।
৯. SIAL (সিয়াল) স্তরটি _______ শিলা দ্বারা গঠিত।
উত্তরঃ গ্রানাইট।
১০. SIAL (সিয়াল) স্তরের আরেক নাম ____________।
উত্তরঃ মহাসাগরীয় ভূত্বক।
১১. SIMA (সিমা) ________ শিলা দ্বারা গঠিত।
উত্তরঃ ব্যাসল্ট।
১২. SIMA (সিমা) স্তরের আরেক নাম _____________ ।
উত্তরঃ মহাদেশীয় ভূত্বক।
১৩. মহাসাগরের নিচে ভূত্বকের গভীরতা _______ কিমি।
উত্তরঃ ৫
১৪. মহাদেশের নিচে ভূত্বকের গভীরতা ________ কিমি।
উত্তরঃ ৬০
১৫. ভূত্বকের গড় গভীরতা ______ কিমি।
উত্তরঃ ৩০
১৬. শিলা হলো একটি __________ পদার্থ।
উত্তরঃ যৌগিক।
বহুবিকল্পভিত্তিক MCQ প্রশ্ন উত্তর পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) | MCQ Question Answer Prithibir Andarmahal Class 8 Geography Chapter 1 wbbse
১. ভূত্বকে বেশিভাগ অংশে রয়েছে– (অক্সিজেন / হাইড্রোজেন / কার্বন-ডাই-অক্সাইড / নাইট্রোজেন)।
উত্তরঃ অক্সিজেন।
২. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ – (3640 কিমি / 6370 কিমি / 7630 কিমি / 3170 কিমি)।
উত্তরঃ 6370 কিমি।
৩. লাভার পরিচলন স্রোত দেখা যায় যেখানে- (কেন্দ্রমন্ডল /গুরুমন্ডল /অন্তকেন্দ্র মন্ডল অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার)।
উত্তরঃ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার।
৪. প্রতি 33 মিটার গভীরতা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় – (4 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড /10 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড/ 2 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড /1 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)।
উত্তরঃ 1 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
৫. ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থ সর্বদা যে অবস্থায় থাকে – (কঠিন /তরল /গ্যাসীয়/ সান্দ্র)।
উত্তরঃ সান্দ্র।
৬. ভৌম জলের উৎস- (জলপ্রপাত / হ্রদ / নদী / ভূগর্ভ)।
উত্তরঃ ভূগর্ভ
৭. আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পদার্থকে বলে-
(ভৌম জল / লাভা / ম্যাগমা / গালা)।
উত্তরঃ লাভা।
৮. পৃথিবীর গড় ঘনত্ব – (2.6 গ্রাম / ঘন সেমি, 31.1 গ্রাম/ঘন সেমি, 5.5 গ্ৰাম/ঘন সেমি, 2.9 ঘন সেমি)
উত্তরঃ 5.5 গ্রাম / ।ঘন সেমি
৯. জ্বালামুখ দেখা যায় – (ভঙ্গিল পর্বতে / ক্ষয়জাত পর্বতে / সঞ্চয়জাত পর্বতে / আগ্নেয় পর্বত)।
উত্তরঃ আগ্নেয় পর্বতে।
১০. সিয়াল ও সিমার মধ্যে কোন বিযুক্তি রেখা দেখা যায় ? (কনরাড /লেহ ম্যান / রেপত্তি)।
উত্তরঃ কনরাড বিযুক্তি রেখা।
১১. নিচে যেটি লাভাপ্রবাহের মধ্যে দেখা যায় না – (তরলশিলা / বাষ্প / জল / নিফে)।
উত্তরঃ নিফে।
১২. পৃথিবীর মোট আয়তনের সবচেয়ে বেশি অংশ দখল করে আছে- (কেন্দ্রমন্ডল / গুরুমন্ডল / ভূত্বক / ক্রফেসিমা)।
উত্তরঃ গুরুমন্ডল।
১৩. ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা নেই যে তরঙ্গের- (Lতরঙ্গের / P তরঙ্গের / M তরঙ্গের)।
উত্তরঃ P তরঙ্গের।
১৪. ভূ-অভ্যন্তরের মধ্যে সবচেয়ে ঘন অংশ হলো- (বহিঃকেন্দ্রমন্ডল / অন্তকেন্দ্র মন্ডল / সিয়াল / ভূত্বক)।
উত্তরঃ বহিঃ কেন্দ্রমন্ডল।
১৫. ভূত্বকের গড় গভীরতা- (30 কিমি / 40 থেকে / 50 কিমি / 6 কিমি)।
উত্তরঃ 30 কিমি।
১৬. খনিজ তেল পাওয়া যায় – (আগ্নেয় শিলা / পাললিক শিলা / রূপান্তরিত শিলা)।
উত্তরঃ পাললিক শিলা।
১৭. কেন্দ্রমন্ডলের উষ্ণতা – (4000 ℃ / 5000℃ / 9000 ℃)।
উত্তরঃ 4000 ℃
১৮. ফিলাইট রূপান্তরিত হয়ে পরিণত হয় –
(মার্বেলে/ স্লেটে / নিসে /সিস্টে)।
উত্তরঃ সিস্টে।
১৯. শিলা হলো একটি – (মিশ্র পদার্থ / যৌগিক পদার্থ / মৌলিক পদার্থ)।
উত্তরঃ যৌগিক পদার্থ
২০. চুনাপাথর পরিবর্তিত হয় – (মার্বেলে /
স্লেটে / নিসে / সিস্টে)।
উত্তরঃ মার্বেলে শিলা।
২১. শিলা প্রধানত – (দুই প্রকার / তিন প্রকার / চার প্রকার / পাঁচ প্রকার)।
উত্তরঃ তিন প্রকার।
২২. জীবাশ্ম দেখা যায় – (আগ্নেয় শিলা / পাললিক শিলা / রূপান্তরিত শিলা / পাললিক শিলা)।
উত্তরঃ পাললিক শিলা।
২৩. একটি আগ্নেয় শিলা হল – (বেলেপাথর / কাদা / পাথর /স্লেট / অগাইট)।
উত্তরঃ অগাইট।
২৪. পত্রায়ন দেখা যায় যে শিলায় – (আগ্নেয় শিলা / পাললিক শিলার / রূপান্তরিত শিলা)।
উত্তরঃ পাললিক শিলা।
২৫. আগ্নেয় শিলার অপর নাম – (পরিবর্তিত শিলা / প্রাথমিক শিলা / গ্রানাইট)।
উত্তরঃ প্রাথমিক শিলা।
২৬. একটি রূপান্তরিত শিলা হল – (চুনাপাথর / ব্যাসাল্ট / কয়লা / মার্বেল)।
উত্তরঃ মার্বেল।
২৭. কংগ্লোমারেট হলো একটি- (আগ্নেয় শিলা / প্রাথমিক শিলা / রূপান্তরিত শিলা /পাললিক শিলা)।
উত্তরঃ পাললিক শিলা।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন উত্তর পৃথিবীর অন্দরমহল (প্রথম অধ্যায়) | SAQ Question Answer Prithibir Andarmahal Class 8 Geography Chapter 1 wbbse
১. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত ?
উত্তরঃ 6370 কিমি।
২. পৃথিবীর গভীরতম সোনার খনিটির নাম কী ?
উত্তরঃ দক্ষিণ আফ্রিকার রবিনসন ডীপ।
৩. পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা কত ?
উত্তরঃ 15° সেন্টিগ্রেড।
৪. পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রতি 33 কিমি গভীরতায় কত ডিগ্রী করে তাপমাত্রা বাড়ে ?
উত্তরঃ 1° সেন্টিগ্রেড।
৫. পৃথিবীর গভীরতম গর্তটি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপে (12 কিমি গভীর)।
৬. ম্যাগমা কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূগর্ভের পদার্থসমূহ প্রচণ্ড চাপ ও তাপের প্রভাবে গ্যাস ও বাষ্প মিশ্রিত হয়ে গলিত অবস্থায় থাকলে, তাকে ম্যাগমা বলে।
৭. লাভা কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূ-গর্ভের গলিত উত্তপ্ত অর্ধ তরল ম্যাগমা ফাটল পথে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এলে, তাকে লাভা বলে।
৮. আজ থেকে কত বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তরঃ প্রায় 460 কোটি বছর আগে।
৯. যে সমস্ত প্রস্রবণ থেকে উষ্ণ জল বেরিয়ে আসে তাদের কি বলে ?
উত্তরঃ উষ্ণ প্রস্রবণ।
১০. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় উষ্ণ প্রস্রবণ আছে ?
উত্তরঃ বক্রেশ্বরে।
১১. ভূ-তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোন দেশ পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ?
উত্তরঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।
১২. দুটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম লেখ।
উত্তরঃ কয়লা ও খনিজ তেল।
১৩. ভারতের একটি ভূ-তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম লেখ ?
উত্তরঃ হিমাচল প্রদেশের মণিকরণ।
১৪. পৃথিবীর গড় ঘনত্ব কত ?
উত্তরঃ 5.5 গ্রাম/ঘনসেমি।
১৫. ভূপৃষ্ঠের গড় ঘনত্ব কত ?
উত্তরঃ 2.6-3.3 গ্রাম/ঘনসেমি।
১৬. আধুনিক যুগে কীভাবে পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয় ?
উত্তরঃ ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের দ্বারা।
১৭. পদার্থের ঘনত্ব বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ একক আয়তনের পদার্থের যতটুকু ভর আছে তার পরিমাপকে পদার্থের ঘনত্ব বলে। প্রতি ঘন সেমি জায়গায় পদার্থের ভর কতটা সেটাই হলো পদার্থের ঘনত্ব।
১৮. পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?
উত্তরঃ তিন ভাগে, যথা-ভূত্বক, গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডল।
১৯. ভূত্বকে কোন উপাদানের পরিমাণ সর্বাধিক ?
উত্তরঃ অক্সিজেন।
২০. ভূত্বকের দ্বিতীয় প্রধান উপাদান কী ?
উত্তরঃ সিলিকন।
২১. ভূত্বক কী ?
উত্তরঃ প্রধানত সিলিকন ও কার্বনজাত পদার্থ দ্বারা গঠিত শিলামন্ডলের অন্তর্গত পৃথিবীর শক্ত ও ঢেউখেলানো বহিরাবরণকে ভূত্বক বলে।
২২. ভূ-ত্বককে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?
উত্তরঃ দুইভাগে, যথা-মহাদেশীয় ভূত্বক বা সিয়াল এবং মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমা।
২৩. মহাদেশীয় ভূত্বক বা সিয়াল কী ধরনের শিলা দ্বারা গঠিত ?
উত্তরঃ লঘু গ্রানাইট জাতীয় আম্লিক শিলা দ্বারা।
২৪. মহাদেশীয় ভূ-ত্বকের বা সিয়ালের প্রধান উপাদান কী কী ?
উত্তরঃ সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম।
২৫. মহাদেশীয় ভূত্বকের গড় গভীরতা কত ?
উত্তরঃ প্রায় 60 কিমি।
২৬. মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমা কি ধরনের শিলা দ্বারা গঠিত ?
উত্তরঃ গুরু ব্যাসল্ট জাতীয় ক্ষারকীয় শিলা দ্বারা।
২৭. মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমার প্রধান উপাদান কী কী ?
উত্তরঃ সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম।
২৮. মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমার গড় গভীরতা কত ?
উত্তরঃ প্রায় 5 কিমি।
২৯. মহাদেশীয় ভূত্বক বা সিয়াল এবং মহাসাগরীয় ভূত্বক বা সিমার মধ্যবর্তী বিযুক্তি রেখার নাম কী ?
উত্তরঃ কনরাড বিযুক্তি রেখা।
৩০. ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের মাঝে কোন বিযুক্তি রেখা অবস্থিত ?
উত্তরঃ মোহোরোভিসিক বিযুক্তি রেখা।
৩১. বিযুক্তি রেখা কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ভূ-কেন্দ্র পর্যন্ত যেখানে যেখানে ভূমিকম্প তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তিত হয়, সেই স্থানগুলিকে বিযুক্তি রেখ বলে।
৩২. গুরুমন্ডল বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ ভূ-ত্বক বা শিলামন্ডলের নীচে 2900 কিমি গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত যে অঞ্চলে সিলিকন, লোহা, নিকেল ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি অর্ধতরল ও স্থিতিস্থাপক অবস্থায় রয়েছে, তাকে গুরুমন্ডল বলে।
৩৩. গুরুমন্ডলকে কয় ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?
উত্তরঃ দুই ভাগে, যথা-বহিঃগুরুমন্ডল বা ক্রোফেসিমা ও অন্তঃগুরুমন্ডল বা নিফেসিমা।
৩৪. অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার কী ?
উত্তরঃ শিলামন্ডলের নিচে ভূপৃষ্ঠ থেকে 60- 200 কিমি অভ্যন্তরে গুরুমন্ডলের উপরি অংশে যে থকথকে, সান্দ্র, প্লাস্টিকের মত দুর্বল স্তর রয়েছে, তাকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বলে।
৩৫. অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার একটি গ্রিক শব্দ, যার অর্থ দুর্বল স্তর।
৩৬. ক্রোফেসিমা কী ?
উত্তরঃ ক্রোমিয়াম, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম সমন্বিত বহিঃগুরুমন্ডলকে ক্রোফেসিমা বলে।
৩৭. নিফেসিমা কি ?
উত্তরঃ নিকেল, লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম সমন্বিত অন্তঃগুরুমন্ডলকে নিফেসিমা বলে।
৩৮. বহিঃগুরুমন্ডল বা ক্রোফেসিমা ও অন্তঃগুরুমন্ডল বা নিফেসিমার মাঝে কোন বিযুক্তি রেখা অবস্থিত ?
উত্তরঃ রেপিত্তি বিযুক্তি রেখা।
৩৯. গুরুমন্ডলের গড় উষ্ণতা কত ?
উত্তরঃ 2000 – 3000°C
৪০. ভূ-অভ্যন্তরের কত কিমি গভীরতা পর্যন্ত গুরুমন্ডল বিস্তৃত ?
উত্তরঃ 2900 কিমি।
৪১. শিলামন্ডল কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের উপরি অংশ নিয়ে গঠিত মহাদেশীয় স্থলভাগ ও মহাসাগরীয় স্থলভাগের সমষ্টিকে শিলামন্ডল বলে।
৪২. শিলামন্ডলের গড় গভীরতা কত ?
উত্তরঃ প্রায় 100 কিমি।
৪৩. গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডলের মাঝে কোন বিযুক্তি রেখা অবস্থিত ?
উত্তরঃ উইশার্ট-গুটেনবার্গ বিযুক্তি রেখা।
৪৪. কেন্দ্রমন্ডল বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ পৃথিবীর প্রবল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ভূকেন্দ্রের চারপাশে গুরুমন্ডলের নিচে লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি কেন্দ্রীভূত হয়ে যে স্তর গঠিত হয়েছে, তাকে কেন্দ্রমন্ডল বলে।
৪৫. ভূ-অভ্যন্তরের কত কিমি গভীরতা পর্যন্ত কেন্দ্রমন্ডল বিস্তৃত ?
উত্তরঃ 2900-6370 কিমি গভীরতা পর্যন্ত।
৪৬. কেন্দ্রমন্ডলের প্রধান উপাদান কী কী ?
উত্তরঃ নিকেল ও লোহা।
৪৭. নিফে কী ?
উত্তরঃ কেন্দ্রমন্ডলের প্রধান উপাদান নিকেল ও লোহা বলে একে নিফে বলা হয়।
৪৮. বহিঃকেন্দ্রমন্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমন্ডলের মাঝে কোন বিযুক্তি রেখা অবস্থিত?
উত্তরঃ লেহম্যান বিযুক্তি রেখা।
৪৯. ভূপৃষ্ঠ কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণকে ভূপৃষ্ঠ বলে
৫০. পৃথিবীর গভীরতম কৃত্রিম গর্ত কোনটি ?
উত্তরঃ রাশিয়ার কোলা উপদ্বীপের গর্ত।
৫১. পৃথিবীর চৌম্বকত্ব সৃষ্টিকারী ভূঅভ্যন্তরের স্তর কোনটি ?
উত্তরঃ কেন্দ্রমণ্ডল।