ব্যাখ্যাধর্মী সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর অসুখী একজন কবিতা দশম শ্রেণি বাংলা | Asukhi Ekjon Kobita (SAE) Question Answer (Madhyamik) Class 10 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

ব্যাখ্যাধর্মী সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর অসুখী একজন কবিতা দশম শ্রেণি বাংলা | Asukhi Ekjon Kobita (SAE) Question Answer Class 10 Bengali wbbse

1. দশম শ্রেণির অসুখী একজন কবিতার সমস্ত ধরণের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. দশম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. দশম শ্রেণির বাংলা সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট Click Here

ব্যাখ্যাধর্মী সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : অসুখী একজন কবিতা দশম শ্রেণি বাংলা | Asukhi Ekjon Kobita Short and Explanatory (SAE) Question Answer (Madhyamik) Class 10 Bengali wbbse

• প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

১. “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।”– তারা কারা ? কেন স্বপ্ন দেখতে পারল না ? (১+২) [মাধ্যমিক ২০২২]

উত্তরঃ শান্ত হলুদ দেবতারা, যারা হাজার বছর ধরে ডুবেছিল ধ্যানে এবং মন্দির থেকে উলটে পড়েছিল টুকরো টুকরো হয়ে, এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে।

দেবতারা নিজেদের কর্তৃত্ব তথা প্রভাব বজায় রেখেছিল হাজার হাজার বছর ধরে। হয়তোবা পৃথিবী তথা মানব সমাজকে সুন্দর করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিল। যখন আগ্নেয় পাহাড়ের মত যুদ্ধ এলো তারাও নিরাশ্রয় অস্তিত্বহীন এবং চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়লো। আসলে দেবতাদের কোনো ক্ষমতাই নেই, তারা মানুষের কল্পনা আর বিশ্বাসে গড়া। তাদেরকে কেন্দ্র করে একদল ধর্মব্যবসায়ী যুগ যুগ ধরে নিজেদের আখের গুছিয়েছে আর চিরকাল আধিপত্য কায়েম রাখার স্বপ্ন দেখেছে। যুদ্ধের বীভৎসতা তাদের সমস্ত স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছে।

২. “সে জানত না আমি আর কখনো ফিরে আসব না।” – ‘সে’ কে ? ‘আমি আর কখনো ফিরে আসব না’ বলার কারণ কী ? ১ + ২ [মাধ্যমিক ২০২০]

উত্তরঃ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় আলােচ্য উক্তিটিতে সে বলতে কবির প্রিয়তমা বা প্রিয়জনকে বোঝানো হয়েছে।

আলোচ্য কবিতায় কবি দেশের জন্য বিপ্লবী হয়েছেন এবং বাড়ি ছেড়েছেন। কিন্তু কবি তার প্রিয়তমাকে তার ফিরে না আসার কথা জানাননি। কারণ কবি তার ভবিষ্যৎ পরিণতির ব্যাপারে অবগত ছিলেন। দেশকে পরাধীনতা কবল থেকে মুক্ত করার জন্য নিজের জীবন সমর্পন করেছেন। সেজন্যই কবি পাঠ্য কবিতায় পাঠকদের ফিরে না আসার কথা বলেছেন।

৩.“সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।”– কোন্ কোন্ জিনিসের কথা বলা হয়েছে ? এই পরিণতির কারণ কী ? ১+২ [মাধ্যমিক ২০১৮]

উত্তরঃ প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের মিষ্টি বাড়ি, বারান্দায় থাকা ঝুলন্ত বিছানা, চিমনি, জলতরঙ্গ এবং একটি গােলাপি গাছ আগুনে নষ্ট হয়েছিল।

এই পরিণতির কারণ ছিল একটি যুদ্ধ। কবির মতে, সেই যুদ্ধ ছিল ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতাে’। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যেমন বহু জনপদ ধ্বংস
হয়ে যায় তেমনই সেই ভয়াবহ যুদ্ধের ফলে শহরের করুণ পরিণতি হয়েছিল।

৪. “শিশু আর বাড়িরা খুন হল।”— ‘শিশু’ আর ‘বাড়িরা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? কেন তারা খুন হল ? ২+১

উত্তরঃ সভ্যতার ইতিহাসে সব কিছুই মানুষের চিন্তা-চেতনা কর্মোদ্যমেই সৃজিত। সেখানে নগর সভ্যতা যে অবয়ব তৈরি করে তাতে ‘বাড়ি’ হল প্রিয় বাসস্থান, যার মধ্যে মানুষের গৃহসুখের সদিচ্ছা প্রকাশময় হয়। আর ‘শিশু’ হল ভবিষ্যত স্বপ্নের কোরক।

কবি তাই এই দুই পৃথক আবেগের কেন্দ্রকে, আধারকে যুদ্ধ দ্বারা ধ্বংস হতে দেখিয়েছেন। যুদ্ধ এসে সব কিছু ধ্বংস করে। মানুষের স্বপ্ন-সৃজন-প্রেরণা সব কিছুই যুদ্ধে খুন হয়। যেমন খুন হয় বসবাসের বাড়ি আর আত্মার আত্মীয় শিশুরা। যুদ্ধই তাদের খুন করে।

৫. “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না”— মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।

উত্তরঃ যুদ্ধ হলে সমাজের স্থিরতার অবসান ঘটে। যুদ্ধ হল রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে, যাতে শিশু মৃত্যু ঘটে, মানুষ নিরাশ্রয় হয়। সমতলে যেন আগুন ধরে যায়। এই অবস্থায় যে ঈশ্বরেরা হাজার বছর ধরে মন্দিরে ধ্যানমগ্ন ছিল তারাও ভেঙে পড়ে টুকরাে টুকরাে হয়ে। তাদের স্বপ্ন দেখা, বিশ্ববিধানকে নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদির শেষ হয়। এ আসলে ঈশ্বরের ভেঙে পড়া নয়, ঐশ্বরিকতার বা মানুষের ঈশ্বর বিশ্বাসের ভেঙে পড়া।

৬. ‘আমি তাকে ছেড়ে দিলাম’– কে কাকে ছেড়ে গিয়েছিল ? তাকে সে কেন এভাবে রেখে এসেছিল ? ১+২

উত্তরঃ কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথক তাঁর প্রিয়তমাকে অপেক্ষায় রেখে নিজ বাসভূমি ছেড়ে দূরে চলে গিয়েছিলেন।

স্বদেশ ছেড়ে দূরে কোনো অজ্ঞাত স্থানে চলে যাওয়ার সময় তিনি দরজায় তাঁর অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে যান তাঁর প্রিয়জনকে। যদিও সে জানত না যে, কবি আর কখনও ফিরে আসবে না। এইভাবেই কবি এক চিরকালীন বিদায় মুহূর্তের ছবি এঁকেছেন।

৭. ‘ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ / ঘাস জন্মালো রাস্তায়’— কে, কার পায়ের দাগ ধুয়ে দিল ? পায়ের দাগ ধুয়ে দেওয়ার তাৎপর্য কী ? ১+২

উত্তরঃ পাবলো নেরুদা রচিত অসুখী একজন কবিতায় কথকের পায়ের দাগ বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেল।

কথক তাঁর প্রিয়তমাকে অপেক্ষমান রেখে জীবন ও জীবিকার তাগিদে বহুদুরে পাড়ি দেন। থমকে যায় মেয়েটির জীবন কিন্তু সময় থেমে থাকে না। তাই কথকের চলে যাওয়াতে জীবনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয় না। সপ্তাহ, বছর কেটে যায়। প্রাকৃতিক নিয়মেই কথকের চলার পথের পদচিহ্ন মুছে যায়। তাতে ঘাস জন্মায় কিন্তু কবির চলে যাওয়ার মুহূর্তটি তার প্রিয়তমার হৃদয়ে অন্তহীন অপেক্ষার মুহূর্ত হয়ে রয়ে যায়।

৮. ‘পাথরের মতো পর পর পাথরের মতো, বছরগুলো’– উক্তিটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ বছরগুলো পাথরের মতো : কারণ জীবন ও জীবিকার জন্য বাসভূমি ছেড়ে দূরে চলে যাওয়া তাঁর মানুষটি যে ফিরে আসবেন না এ কথা তার প্রিয়তমার অজানা ছিল। এতে কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি। বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে গেলেও তাতে ঘাস জন্মায়। দীর্ঘ প্রতীক্ষারতা নারীর জীবনে তার প্রিয়তমের অনুপস্থিতির বছরগুলো যেন পাথরের মতো বোঝা হয়ে তার মাথার ওপর নেমে আসে। এখানে ‘পর পর’ বলতে বিচ্ছেদ বেদনার গভীরতা বোঝানো হয়েছে।

৯. যুদ্ধকে ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়’ বলা হয়েছে কেনো ?

উত্তরঃ পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধকে পাহাড়ের মতো বলা হয়েছে। যুদ্ধে রক্তপাত অবধারিত, কারণ যুদ্ধে বিপক্ষকে আঘাত হানতে নানাধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করা হয় এবং তাতে রক্তপাত ও প্রাণহানি ঘটে। যেমন আগ্নেয়গিরি থেকে বিস্ফোরিত জ্বলন্ত পাথর গড়িয়ে পড়ে জঙ্গলে, সমতলে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে। অনুরূপভাবে ভয়াবহ যুদ্ধের আঁচে জনপদ ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধের আগুন গ্রাস করে নিরীহ মানুষের শান্ত-স্বাভাবিক জীবনকে। ভস্মীভূত করে, রক্তাক্ত করে মানুষের আশা-স্বপ্ন-প্রেমকে। তাই যুদ্ধকে ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো’ বলা হয়েছে।

১০. ‘সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না।’– কোন মেয়েটির কথা বলা হয়েছে ? তার কেন মৃত্যু হল না ?

উত্তরঃ পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষারতা যে মেয়েটির উল্লেখ পাওয়া যায়, তার কথা বলা হয়েছে।

সর্বগ্রাসী যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেল কবির প্রিয় স্বদেশ। মৃত্যু হল অসংখ্য শিশুর, ধ্বংস হল অজস্র বাড়িঘর। কিন্তু সেই মেয়েটি, যে কথকের ফেরার প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছিল, তার মৃত্যু হল না। কারণ, সে শুধু দরজায় কথকের প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়ে নয়। সে কবির মাতৃভূমি, সে মানবতার প্রতীক। স্বদেশপ্রেম এবং মানবতার কখনও মৃত্যু হয় না। সে যেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে জেগে থাকা নতুন দিনের স্বপ্ন।

১১. ‘ শান্ত হলুদ দেবতারা’- দেবতাদের ‘শান্ত হলুদ’ বলা হয়েছে কেন ? তাদের কী পরিণতি হয়েছিল ?

উত্তরঃ পাবলো নেরুদা রচিত সুখে একজন কবিতার কথক শান্ত হলুদ বিশেষণের মাধ্যমে দেবতাদের বিদ্রুপ করেছেন।

যুদ্ধের বীভৎসতায় নগরসভ্যতা, কবির স্বপ্নের বাড়ি-ঘর সব চূর্ণ হয়ে গেল, এমনকি ধ্বংস হল দেবতাদের মন্দিরও। হাজার বছর ধরে যে দেবতারা মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে এসেছেন, যুদ্ধ তাদেরও উৎখাত করল। প্রাচীন দেবতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও জীর্ণতাকে বোঝাতে হলুদ ও শান্ত বলা হয়েছে। যুদ্ধের আগুনে নগর পুড়লে দেবালয়ও বাদ যায় না। মানুষের মনে যে দেবতারা বিশ্বাস বোধের জন্ম দিয়েছিল, তা ধ্বংস হল।

১২. ‘প্রাচীন জলতরঙ্গ / সব চূর্ণ হয়ে গেল।’– উদ্ধৃতাংশে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

উত্তরঃ পাবলো নেরুদের ‘অসুখী একজন’ কবিতায় মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয় চূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগ্নেয়পাহাড়ের মতো রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আগুন সমতলকেও গ্রাস করেছিল। কবির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টি বাড়িটিও যুদ্ধের নির্মম আঘাতে ধ্বংস হয়েছিল। তার বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা, গোলাপি গাছ, ছড়ানো করতলের মতো পাতা, চিমনি ও প্রিয় প্রাচীন জলতরঙ্গ এইসব চূর্ণ হল, সম্পূর্ণ ভস্ম হল আগুনে। অর্থাৎ কবির আশ্রয় ও অস্তিত্বের একমাত্র প্রতীকচিহ্নটিও যুদ্ধের নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় নিশ্চিহ্ন হয়েছিল।

১৩. ‘যেখানে ছিল শহর / সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা’— শহরটির বর্তমান রূপের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ আলোচ্য কবিতায় প্রিয়জনকে বাড়িতে রেখে দিয়ে কবিতাটির বক্তা দূরদেশে যাত্রা করেছিল। এরপর আসে যুদ্ধ। ফলে ধরা পড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত এক শোচনীয় নাগরিক জীবনের ছবি। যুদ্ধের করাল গ্রাসে একদা গড়ে ওঠা সুন্দর শহর ভেঙেচুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শহর বলতে বর্তমানে রয়েছে পোড়া কাঠকয়লা, ইতস্তত বিক্ষিপ্ত দোমড়ানো লোহা আর অগণিত স্থাপত্য-ভাস্কর্যের ভগ্নাবশেষ। রক্তস্নাত সেই শহরে মানুষের দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কোনো কিছুই আর পার্থিব অবস্থায় নেই, সবকিছুই ধ্বংসপ্রাপ্ত।

১৪. ‘আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।’– মেয়েটি অপেক্ষায় ছিল কেন ? উদ্ধৃত অংশটির তাৎপর্য লেখ ? ১+২

উত্তরঃ পাবলো নেরুদার অসুখী একজন কবিতায় কথকের ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিল মেয়েটি। সে জানতো না তার প্রয়োজন আর ফিরবে না

উল্লিখিত মেয়েটির অপেক্ষার বোঝা গভীর থেকে গভীরতর হলেও সে ভেঙে পড়েনি। কারণ যুদ্ধ বা ধ্বংসই শেষ কথা নয়, শেষ পর্যন্ত মানবতাই জয়ী হয়। নারীরূপী স্বদেশ প্রেম পূর্ণ মানবতার প্রত্যাশার প্রহর গুনছে। মানুষের শুভবোধ ও সুদিনের অপেক্ষায় সে রয়েছে। তার অপেক্ষার অবশ্যই অবসান ঘটবে, ধ্বংসস্তূপের উপর জাগবে জীবনের জয়গান।

১৫. ‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।’– তারা কারা ? কেন তারা স্বপ্ন দেখতে পারল না ?

উত্তরঃ পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে ‘তারা’ বলতে শান্ত হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে।

দেবতারা নিজেদের কর্তৃত্ব তথা প্রভাব বজায় রেখেছিল হাজার হাজার বছর ধরে। দেবতাদের আশ্রয় করে মানবসমাজ সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিল। আসলে দেবতাদের কোনো ক্ষমতা নেই তারা মানুষের কল্পনা আর বিশ্বাসে গড়া। তাদেরকে কেন্দ্র করে একদল ধর্মব্যবসায়ী যুগ যুগ ধরে নিজেদের আখের গুছিয়েছে আর চিরকাল আধিপত্য কায়েম রাখার স্বপ্ন দেখেছে। যুদ্ধের বীভৎসতা তাদের সমস্ত স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছে।

১৬. “যারা হাজার বছর ধরে ডুবেছিল ধ্যানে।”– কারা ডুবে ছিল ? শান্ত হলুদ দেবতাদের হাজার বছর ধরে ডুবে থাকার অর্থটি বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতানুযায়ী শান্ত হলুদ দেবতারা ধ্যানে ডুবে ছিল।

হাজার হাজার বছর ধরে দেবালয় গড়ে দেবতার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে মানুষ দেবতাদের কাছে শান্তি ও ত্রাণ চেয়ে এসেছে। কিন্তু দেবতারা যেন ধ্যানমগ্ন। যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে, মানবতার চরম লাঞ্ছনায়ও তাদের ধ্যান ভাঙেনি, যুদ্ধের সমূহ বিপদ থেকে তারা মানুষকে বাঁচাতে পারেনি। অন্যদিকে দেবতার পূজারি ধর্মগুরুরাও তাদের অন্ধবিশ্বাস ও ধর্মীয় সংস্কারে আবদ্ধ থেকে সাধারণ মানুষকে কেবল আশ্বাস আর অভয় দিয়ে গেছে, রক্ষা করতে পারেনি। রক্ষণশীল প্রাচীনপন্থীরা ডুবে থেকেছে ধর্মমোহের ধ্যানে।

১৭. “উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে” মন্দির থেকে কী উলটে পড়ল ? কী কারণে উলটে পড়েছিল ?

উত্তরঃ পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতা অনুসারে মন্দির থেকে শান্ত হলুদ দেবতারা উলটে পড়েছিল ।

মানবসভ্যতা ধ্বংসকারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গ্রাম-নগর, জনপদ সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায়। যুগ যুগ ধরে যে দেবতারা মানুষের আস্থা ও ভরসার স্থল ছিল, সেইসব দেবতারাও সুপ্রাচীন মন্দির-গির্জাসহ যুদ্ধের সময় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। যা এতদিন ধরে মানুষের মনে বিশ্বাসবোধের জন্ম দিয়েছিল তা আজ আর নেই। সময় ও ঘটনার ওপর যুদ্ধের আকস্মিকতা সবকিছুকে ওলট-পালট করে দেয়।

📌 আরও দেখুনঃ

1. মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যসূচী ২০২৪-২৫ Click Here

2. মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ Click Here

3. মাধ্যমিক বিগত বছরের সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Madhyamik Previous Years Question Paper Click Here

4. মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি অনলাইন MCQ মক্ টেস্ট | Madhyamik Preparation MCQ Mock Test Click Here

📌 অন্যান্য বিষয় দেখুনঃ

1. দশম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. দশম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. দশম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. দশম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

This Post Has 2 Comments

  1. Prokash

    West Bengal board, class 6,amader prithibi subject er note chai.

    1. proshnodekho

      February মাসেই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Leave a Reply