ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর (অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত) অষ্টম শ্রেণি বাংলা | ChonnoChara Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সাহিত্য মেলা
অষ্টম শ্রেণি বাংলা

ছন্নছাড়া (অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত) কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণি বাংলা | ChonnoChara Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | ChonnoChara Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

ছন্নছাড়া কবিতা, কবি পরিচিতি, নামকরণ, কবিতার ব্যাখ্যা, শব্দার্থ ও টীকা, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | ChonnoChara Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

1. অষ্টম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. অষ্টম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

ছন্নছাড়া কবিতা, কবি পরিচিতি, নামকরণ, কবিতার ব্যাখ্যা, শব্দার্থ ও টীকা, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | ChonnoChara Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse

কবিতা : ছন্নছাড়া
কবি : অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

গলির মোড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে
গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া—
আঁকাবাঁকা শুকনো কতকগুলি কাঠির কঙ্কাল
শূন্যের দিকে এলোমেলো তুলে দেওয়া,
রুক্ষ রুষ্ট রিক্ত জীর্ণ
লতা নেই পাতা নেই ছায়া নেই ছাল-বাকল নেই
নেই কোথাও এক আঁচড় সবুজের প্রতিশ্রুতি
এক বিন্দু সরসের সম্ভাবনা।
ওই পথ দিয়ে
জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।
ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না।
দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা
রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে—
চোঙা প্যান্ট, চোখা জুতো, রোখা মেজাজ, ঠোকা কপাল—
ওখান দিয়ে গেলেই গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে,
বলবে, হাওয়া খাওয়ান।

ওরা কারা ?
চেনেন না ওদের ?
ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের —এক নেই রাজ্যের বাসিন্দে।
ওদের কিছু নেই
ভিটে নেই ভিত নেই রীতি নেই নীতি নেই
আইন নেই কানুন নেই বিনয় নেই ভদ্রতা নেই
শ্লীলতা-শালীনতা নেই।
ঘেঁষবেন না ওদের কাছে।

কেন নেই ?
ওরা যে নেই রাজ্যের বাসিন্দে—
ওদের জন্যে কলেজে সিট নেই
অফিসে চাকরি নেই
কারখানায় কাজ নেই
ট্রামে-বাসে জায়গা নেই

মেলায়-খেলায় টিকিট নেই
হাসপাতালে বেড নেই
বাড়িতে ঘর নেই
খেলবার মাঠ নেই
অনুসরণ করবার নেতা নেই
প্রেরণা-জাগানো প্রেম নেই
ওদের প্রতি সম্ভাষণে কারু দরদ নেই—
ঘরে-বাইরে উদাহরণ যা আছে
তা ক্ষুধাহরণের সুধাক্ষরণের উদাহরণ নয়—
তা সুধাহরণের ক্ষুধাভরণের উদাহরণ—
শুধু নিজের দিকে ঝোল-টানা।
এক ছিল মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে ফালতু এক রক
তাও দিয়েছে লোপট করে।
তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।
কোত্থেকে আসছে সেই অতীতের স্মৃতি নেই
কোথায় দাঁড়িয়ে আছে সেই বর্তমানের গতি নেই
কোথায় চলেছে নেই সেই ভবিষ্যতের ঠিকানা।

সেচ-হীন ক্ষেত
মণি-হীন চোখ
চোখ-হীন মুখ
একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তুপ।

আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব,
ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট।
ওদের কাছাকাছি হতেই মুখ বাড়িয়ে
জিজ্ঞেস করলুম,
তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে ? লিফট চাই ?
আরে এই তো ট্যাক্সি, এই তো ট্যাক্সি, লে হালুয়া
সোল্লাসে চেঁচিয়ে উঠল ওরা
সিটি দিয়ে উঠল
পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি চল পানসি বেলঘরিয়া।
তিন-তিনটে ছোকরা উঠে পড়ল ট্যাক্সিতে,
বললুম কদ্দুর যাবে।
এই কাছেই। ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড় ?
সিনেমা না, জলসা না, নয় কোনো ফিল্মি তারকার অভ্যর্থনা।
একটা নিরীহ লোক গাড়িচাপা পড়েছে,
চাপা দিয়ে গাড়িটা উধাও—
আমাদের দলের কয়েকজন গাড়িটার পিছে ধাওয়া করেছে
আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি।
কে সে লোক ?
একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি।
রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে গেছে।
ওর কেউ নেই কিছু নেই
শোবার জন্যে ফুটপাথ আছে তো মাথার উপরে ছাদ নেই,
ভিক্ষার জন্য পাত্র একটা আছে তো
তার মধ্যে প্রকান্ড একটা ফুটো।
রক্তে মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে
ওরা পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নিল।
চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে — আনন্দে ঝংকৃত হয়ে —
প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে।

রক্তের দাগ থেকে আমার ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে গিয়ে
আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি।
তারপর সহসা শহরের সমস্ত কর্কশে-কঠিনে
সিমেন্টে-কংক্রিটে।
ইটে-কাঠে-পিচে-পাথরে দেয়ালে-দেয়ালে
বেজে উঠল এক দুর্বার উচ্চারণ
এক প্রত্যয়ের তপ্ত শঙ্খধ্বনি—
প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে
সমস্ত বাধানিষেধের বাইরেও
আছে অস্তিত্বের অধিকার ।

ফিরে আসতেই দেখি
গলির মোড়ে গাছের সেই শুকনো বৈরাগ্য বিদীর্ণ করে
বেরিয়ে পড়েছে হাজার-হাজার সোনালি কচি পাতা
মর্মরিত হচ্ছে বাতাসে,
দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠছে ফুল
ঢেলে দিয়েছে বুকের সুগন্ধ,
উড়ে এসেছে রঙ-বেরঙের পাখি
শুরু করেছে কলকন্ঠের কাকলি,
ধীরে ধীরে ঘন পত্রপুঞ্জে ফেলেছে স্নেহার্দ্র দীর্ঘছায়া
যেন কোনো শ্যামল আত্মীয়তা।
অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম
কঠোরের প্রচ্ছন্নে মাধুর্যের বিস্তীর্ণ আয়োজন।
প্রাণ আছে, প্রাণ আছে—শুধু প্রাণই আশ্চর্য সম্পদ
এক ক্ষয়হীন আশা
এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।

কবি পরিচিতিঃ অবিভক্ত বাংলার নোয়াখালিতে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ সেপ্টেম্বর অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের জন্ম হয়। ১৩ বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর তিনি কলকাতায় আসেন। তিনি সাউথ সুবাবন কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স পাস করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম পাস করেন। পরে তিনি আইনের ডিগ্রিও লাভ করেন। মুনসেফ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে শেষপর্যন্ত তিনি জেলা জজ হয়েছিলেন। অবসর গ্রহণ করার আগে পর্যন্ত তিনি সেই পদে ছিলেন। তিনি নীহারিকা দেবী ছদ্মনামে কবিতা লেখা শুরু করেন। বাংলা সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান রয়েছে। তাঁর প্রথম উপন্যাস বেদে অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এ ছাড়া আকস্মিক, কাকজ্যোৎস্না, বিবাহের চেয়ে বড়ো, প্রাচীর ও প্রান্তর, প্রথম কদম ফুল হল তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। তাঁর কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম হল- টুটাফুটা, ইতি, অকালবসন্ত, অধিবাস, কাঠ, খড়, কেরোসিন প্রভৃতি। তিনি কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। অমাবস্যা, আমরা, প্রিয়া ও পৃথিবী, নীল আকাশ আজন্ম সুরভি তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এ ছাড়া কল্লোলযুগ কবি শ্রীরামকৃষ্ণ, পরমপুরুষ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থও রচনা করেছেন কবি। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে এই কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং প্রাবন্ধিক পরলোক গমন করেন।

বিষয়সংক্ষেপঃ কবিতার কথক একটি জরুরি কাজে ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলেন। সামনে গলির মোড়ে একটি কঙ্কালসার গাছকে দেখে তিনি ভেবেছিলেন, এটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। কারণ, তাতে কোনো পাতা বা সবুজের চিহ্নমাত্র ছিল না। আসলে গাছটি ছিল মৃতপ্রায় সমাজের প্রতীক, যে সমাজের মানবিকতা মরে গেছে। রাস্তার মোড়ে কতকগুলি ছন্নছাড়া বেকার যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ড্রাইভার সেদিক দিয়ে যেতে চাইলেন না। কারণ, তারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। তারা নৈরাজ্যের বাসিন্দা। এই অস্থির ও বেকারত্বের যুগে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের কোন উপকরণ নেই। কিন্তু শর্টকাট হবে বলে কথক সেদিক দিয়ে ড্রাইভারকে জোর করে নিয়ে গেলেন এবং সহানুভুতির বশবর্তী হয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের ট্যাক্সি লাগবে কিনা। সঙ্গে সঙ্গে তারা আনন্দে চিৎকার করে উঠল এবং গাড়িতে উঠে সামনের ভিড় দেখিয়ে কথককে বলল, সেই দিকে গাড়ি নিয়ে রওনা হতে। ভিড়টা কোনো জলসা বা চিত্র তারকার অভ্যর্থনার জন্য নয়। একটি সহায়-সম্বলহীন ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়েছে। তারা তাকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তুলতে তুলতে খুশির সঙ্গে চেঁচিয়ে বলল-“প্রাণ আছে, প্রাণ আছে”। এই চিৎকার যেন ঘোষনা ক্ষয়িষ্ণু সমাজের এখনও বেঁচে ওঠার আশা আছে। সব হারানো পরোপকারী ছন্নছাড়া ছেলে গুলিই মানবিকতার গান গেয়ে সমাজকে বাঁচিয়ে তুলছে। কথক সেই ভিখিরির রক্তের দাগ থেকে নিজের শালীনতা ও ভদ্রতাকে রক্ষা করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে গেলেন। ফিরে আসার সময় লক্ষ করলেন, মৃতপ্রায় গাছটিতে আবার হাজার হাজার সোনালি পাতা গজিয়েছে। শীতল ছায়া বিস্তার করছে গাছটি। কবি অবিশ্বাস্য চোখে দেখলেন সেই দৃশ্য।

নামকরণঃ সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমেই পাঠক বিষয়বস্তু সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা লাভ করতে পারে। এই নামকরণ নানাভাবে করা হয়ে থাকে-চরিত্রকেন্দ্রিক, ঘটনাভিত্তিক, বিষয়ভিত্তিক কিংবা ব্যঞ্ছনাধর্মী ইত্যাদি। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘ছন্নছাড়া’ কবিতাটিতে বেকার বাউন্ডুলে যুবকদের প্রতি একদিকে সমাজের অন্যদিকে কবির নিজের মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। এইসব বেকার বাউন্ডুলে যুবকদের সমাজ তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, ঘৃণার চোখে দেখে। কিন্তু শিক্ষিত সমাজ যেখানে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলে, সেখানে এই বেকার বাউন্ডুলে ছন্নছাড়া যুবকরাই রাস্তার ভিখিরির প্রাণ বাঁচানোর জন্য জান লড়িয়ে দেয়। কবিতার শিরোনামে এই যুবকদের সম্বন্ধে সমাজের আপাত ধারণার কথাই বলা হয়েছে। আসলে কবি বলতে চেয়েছেন, যাদের আমরা ছন্নছাড়া বলি তারা কি সত্যিই ছন্নছাড়া! কবি ‘ছন্নছাড়া’ নামকরণের মাধ্যমে বিশেষ এক ব্যঞ্জনা ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই এই প্রতীকী নামকরণটিও সুন্দর হয়েছে বলে আমি মনে করি।

∆∆শব্দার্থ ও টীকা

১. ছন্নছাড়া— লক্ষ্মীছাড়া, উচ্ছন্নে গেছে এমন,বাউন্ডুলে
২. প্রেতচ্ছায়া— প্রেত বা পিশাচ সদৃশ ছায়া, ভৌতিক ছায়ামূর্তি
৩. কঙ্কাল— হাড় পাঁজরা, দেহের খাঁচা
৪. শূন্য— (এখানে) আকাশ
৫. এলোমেলো— অযত্নে বিন্যস্ত, অগোছালো
৬. রুষ্ট— রুদ্ধ
৭. জীর্ণ— ক্ষয়প্রাপ্ত, শীর্ণ, ক্ষীণ
৮. রুক্ষ— অমসৃণ, কর্কশ
৯. রিক্ত— শূন্য, নিঃস্ব
১০. প্রতিশ্রুতি— প্রতিজ্ঞা, অঙ্গীকার
১১. সম্ভাবনা— ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন অবস্থা
১২. চোঙা প্যান্ট— উপর থেকে নীচের দিকে সরু হয়ে আসা গায়ের সঙ্গে সেঁটে
বসে থাকা প্যান্ট
১৩. চোখা জুতো— সামনের দিক সরু হয়ে এসেছে এমন জুতো
১৪. রোখা মেজাজ— রুক্ষ মেজাজ
১৫. নৈরাজ্য— বিশৃঙ্খলা
১৬. বিনয়— নম্রতা
১৭. বাসিন্দে— বাসিন্দা, অধিবাসী
১৮. ঠোকা কপাল— হতভাগ্য
১৯. কানুন— আইন
২০. শ্লীলতা— শালীনতা, ভদ্রতা
২১. প্রেরণা— উৎসাহ
২২. ক্ষুধাহরণ— ক্ষুধা কেড়ে নেওয়া
২৩. সুধাক্ষরণ— সুধা ঝরায় যা
২৪. ঝোল-টানা— পক্ষপাত করা
২৫. সড়ক— বড়ো রাস্তা
২৬. সম্ভাষণ— সম্বোধন
২৭. ফালতু — খারাপ, বাজে
২৮. রক— বাড়ির সামনের বারান্দা
২৯. লোপাট— সম্পূর্ণভাবে লুঠ বা আত্মসাৎ করা হয়েছে এমন
৩০. স্ফুলিঙ্গ— আগুনের ফুলকি
৩১. বারুদ— বিস্ফোরক পদার্থ
৩২. শর্টকাট— সহজে পৌঁছোনোর রাস্তা বা উপায়
৩৩. সোল্লাসে— আনন্দ সহকারে, উল্লাস সহযোগে
৩৪. সিটি— মুখ দিয়ে করা বাঁশির মতো শব্দ
৩৫. অভ্যর্থনা— সংবর্ধনা, আপ্যায়ন, সাদরে গ্রহণ
৩৬. ধাওয়া— তাড়া
৩৭. বেওয়ারিশ— অধিকারহীন, মালিকানাবিহীন
৩৮. পাঁজাকোলা— দু-হাত বাড়িয়ে আঁকড়ে ধরে কোলের কাছে তোলা
৩৯. সমস্বরে— একসঙ্গে গলা মিলিয়ে
৪০. ভব্যতা— ভদ্রতা, শালীনতা
৪১. প্রত্যয়— বিশ্বাস
৪২. বৈরাগ্য— বিরাগের ভাব
৪৩. দুর্বার— যাকে রোধ করা যায় না
৪৪. তপ্ত— উয় বা গরম
৪৫. বিদীর্ণ করে— ছিঁড়ে, ফাটিয়ে
৪৬. কাকলি— পাখির ডাক
৪৭. শ্যামল— সবুজ
৪৮. প্রচ্ছন্ন— গোপন
৪৯. মর্মর— পাতার শব্দ
৫০. স্নেহার্দ্র— ভালোবাসামাখা, স্নেহসিক্ত
৫১. অবিশ্বাস্য— যা বিশ্বাসযোগ্য নয়
৫২. মাধুর্য— মধুরতা, মিষ্টতা, শোভা, সৌন্দর্য,লাবণ্য
৫৩. বিস্তীর্ণ— ব্যাপ্ত, বিপুল, বিশাল
৫৪. আশ্চর্য— অদ্ভুত, বিস্ময়কর, অবাক করা
৫৫. সম্পদ— ঐশ্বর্য, ধনসম্পত্তি
৫৬. মর্যাদা— সম্ভ্রম, মান, গৌরব

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর ছন্নছাড়া কবিতা অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Extra Question Answer ChonnoChara Kobita Class 8 Bengali wbbse

• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১. ছন্নছাড়া কবিতার কবি হলেন—
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
(গ) কাজী নজরুল ইসলাম
(ঘ) প্রেমেন্দ্র মিত্র

উত্তরঃ (খ) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।

২. অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত যে পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন —
(ক) সবুজপত্র (খ) প্রগতি (গ) কল্লোল
(ঘ) কালি কলম

উত্তরঃ (গ) কল্লোল।

৩. অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কি ছদ্মনামে প্রথম কবিতা লেখা শুরু করেন ?
(ক) নীহারিকা দেবী (খ) যাযাবর
(গ) নীললোহিত (ঘ) কালকূট

উত্তরঃ (ক) নীহারিকা দেবী।

৪. অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের একটি উপন্যাস হলো—
(ক) কারাগার (খ) ঘরোয়া (গ) গোরা
(ঘ) বেদে

উত্তরঃ (ঘ) বেদে।

৫. ‘ঘেঁষবেন না ওদের কাছে’— কারণ ওরা—
(ক) বাউন্ডুলে
(খ) নেই রাজ্যের বাসিন্দা
(গ) ওরা সমাজ বিরোধী
(ঘ) (ক) ও (খ) উভয়ই

উত্তরঃ (ঘ) (ক) ও (খ) উভয়ই।

৬. ‘ছোকরা উঠে পড়ল ট্যাক্সিতে’— কজন ছোকরা ট্যাক্সিতে উঠলো ?
(ক) একজন (খ) দুজন (গ) তিনজন
(ঘ) চারজন

উত্তরঃ (গ) তিনজন।

৭. গাছটা দাঁড়িয়ে আছে—
(ক) পুকুরপাড়ে বড় (খ) রাস্তার ধারে
(গ) গলির মোড়ে (ঘ) ঘরের কোণে

উত্তরঃ (গ) গলির মোড়ে।

৮. ‘চাপা দিয়ে গাড়িটা উধাও’— গাড়িটা চাপা দিয়েছিল—
(ক) ভিখিরিকে
(খ) এক মহিলাকে
(গ) এক নিরীহ পথচারীকে
(ঘ) ভদ্রলোককে

উত্তরঃ (ক) ভিখিরিকে।

৯. আমি বললুম না ওখান দিয়েই যাব কারণ ওই রাস্তাটি—
(ক) ভালো (খ) শর্টকাট (গ) নিরিবিলি
(ঘ) সুন্দর

উত্তরঃ (খ) শর্টকাট।

১০. ‘ফিরে আসতেই দেখি’— ফিরে আসতেই কথক কী দেখেন ?
(ক) কচি ডাল (খ) কচি ঘাস
(গ) কচি আম (ঘ) কচি পাতা

উত্তরঃ (ঘ) কচি পাতা।

১১. ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’— কথাটা বলেছিল—
(ক) কবি (খ) ছেলেগুলো (গ) ড্রাইভার
(ঘ) ডাক্তার

উত্তরঃ (খ) ছেলেগুলো।

১২. দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠেছে’— কী ?
(ক) নদীর জল (খ) গাছের মুকুল
(গ) মানুষের কান্না (ঘ) গাছের ফুল।

উত্তরঃ (ঘ) গাছের ফুল।

• সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর।

১. ছন্নছাড়া কবিতার কবি কে ?

উত্তরঃ ছন্নছাড়া কবিতার কবি হলেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।

২. গাছকে কবি কী বলে সন্দেহ করেছেন ?

উত্তরঃ গাছকে কবি প্রেতচ্ছায়া বলে সন্দেহ করেছেন।

৩. ‘পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি চল’— কারা, কি পেয়ে গেছে ?

উত্তরঃ ছেলেগুলো চলন্ত রাস্তায় কবি’র ট্যাক্সি পেয়েছিল।

৪. “ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড় ?”— ভিড়ের কারণ কী ?

উত্তরঃ ভিড়ের কারণ হল একটি ভিখারির গাড়িচাপা পড়া।

৫. “চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে ”— কারা, কী বলে চেঁচিয়ে উঠল ?

উত্তরঃ ছেলে ছোকরার দল “প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে” বলে সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল।

৬. ছন্নছাড়া কবিতায় বেকার ছোকরাদের সাজসজ্জার পরিচয় দাও।

উত্তরঃ ছন্নছাড়া বেকার ছোকরাদের পরনে ছিল চোঙা প্যান্ট ও চোখা জুতো, তাদের এই পোশাকেই যেন তাদের উদ্ধত মেজাজের প্রতিফলন ঘটে।

৭. “কারা ওরা ? চেনেন না ওদের ?”—’ওরা’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ছন্নছাড়া কবিতায় ‘ওরা” বলতে এক দল বেকার যুবকদের কথা বলা হয়েছে।

৮. ‘মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলুম’— কে, কী জিজ্ঞেস করেছিলেন ?

উত্তরঃ ছন্নছাড়া কবিতার কবি একদল ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে ? লিফট চাই ?’

হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর ছন্নছাড়া কবিতা অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Hate Kolome Question Answer ChonnoChara Kobita Class 8 Bengali wbbse

১.১ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখাে।

উত্তরঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল—‘বেদে’ এবং ‘সারেঙ।

১.২ তিনি কোন্ পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ?

উত্তরঃ তিনি কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখাে :

২.১ কবি প্রথমে গাছটিকে কেমন অবস্থায় দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ কবি প্রথমে গাছটিকে শূন্যের দিকে এলােমেলােভাবে কতকগুলি শুকনাে কাঠির কঙ্কাল ওঠানাে গাছের প্রেতচ্ছায়া রূপে দেখেছিলেন।

২.২ ‘ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না।’– ওদিকে না যেতে চাওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ ওদিক দিয়ে গেলেই রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া কতকগুলি বেকার ছােকরা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। তাই ডাইভার ওদিক দিয়ে যেতে চায়নি।

২.৩ ‘তাই এখন পথে এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।’— সড়কের মাঝখানে, পথে এসে দাঁড়ানাের কারণ কী ?

উত্তরঃ বেকার যুবকদের আড্ডা দেওয়ার জন্য থাকা মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে ফালতু রকটি লােপাট হয়ে যাওয়ায় তারা পথে এসে দাঁড়িয়েছে।

২.৪ ‘আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব’,– কবির ওখান দিয়েই যেতে চাওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ কবির ‘খান’ দিয়ে যাওয়ার কারণ হল– ওখান দিয়ে গেলে তাঁর শর্টকাট হয়।

২.৫ ‘ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড় ? ওখানে কীসের ভিড় ?

উত্তরঃ এক বেওয়ারিশ ভিখারি গাড়ি চাপা পড়ায় ওখানে মানুষের ভিড় জমেছে।

২.৬ কে সে লােক ? –‘লােক’-টির পরিচয় দাও।

উত্তরঃ লােকটি সহায়সম্বলহীন এক বেওয়ারিশ ভিখিরি। সে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে।

২.৭ ‘চেঁচিয়ে উঠল সমস্বরে…’—কী বলে তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল ?

উত্তরঃ দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভিখিরিটির দেহে প্রাণ আছে, প্রাণ আছে বলে তারা সমস্বরে চিৎকার করে উঠেছিল।

২.৮ ‘আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি’—কবি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লেন কেন ?

উত্তরঃ কবি ভিখিরির দেহের রক্তের দাগ থেকে ভদ্রতা ও শালীনতাকে বাঁচানাের জন্য তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন।

২.৯ ‘ফিরে আসতেই দেখি…’ ফেরার পথে কবি কী দেখতে পেলেন ?

উত্তরঃ ফেরার পথে কবি দেখলেন, গলির মােড়ে শুকনাে গাছটি সােনালি কচি পাতায়, গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলে, ফুলের সুবাসে-গন্ধে আর রং-বেরঙের পাখিতে ভরে গিয়েছে।

২.১০ ‘অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম’– কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘাের কেন ?

উত্তরঃ আপাত প্রাণহীন, শুষ্ক, নীরস, রুক্ষ গাছের মধ্যে লুকোনাে অন্তহীন সজীব প্রাণের প্রকাশ আর কঠোরতার বিপরীতে মাধুর্যের ব্যাপক আয়ােজন দেখে কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘাের লেগে যায়।

৩. নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

৩.১ ওই পথ দিয়ে/জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।কবির যাত্রাপথের অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ কবি তাঁর এক বিশেষ প্রয়ােজনে ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলেন। সামনে কয়েকজন ছন্নছাড়া বেকার যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, গাড়ির চালক সে দিক দিয়ে যেতে চাইলেন না। কারণ, তাদের সামনে গেলেই তারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইবে। কিন্তু ওদিক দিয়ে গেলে কবির শর্টকাট হয় বলে, তিনি ড্রাইভারকে জোর করে নিয়ে গেলেন। তাদের সামনে হাজির হতেই জিজ্ঞাসা করলেন, তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না। সঙ্গে সঙ্গে তারা আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করে বলে ওঠে “পেয়ে গেছি, পেয়ে গেছি। তাদের গন্তব্যস্থলের কথা জানতে চাইলে, তারা জানায় বেশি দূরে নয়—কাছেই। এরপর তারা সামনে জমে থাকা মানুষের ভিড় দেখিয়ে বলে, তা কোনাে জলসার জন্য বা কোনাে চিত্রতারকার অভ্যর্থনার জন্য নয়। এক অসহায় বেওয়ারিশ ভিখিরিকে চাপা দিয়ে একটি গাড়ি উধাও হয়ে গিয়েছে। এই বলে তারা রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরিটিকে পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সিতে তুলতে তুলতে সমস্বরে চেঁচিয়ে বলে ওঠে “প্রাণ আছে, প্রাণ আছে”। কবি রক্তের দাগ থেকে নিজের ভদ্রতা ও শালীনতাকে রক্ষা করতে গিয়ে কবি গাড়ি থেকে নেমে গেলেন।

৩.২ গলির মােড়ে একটা গাছ দাঁড়িয়ে গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া— —একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে বলেও কেন পরের পঙক্তিতে তাকে ‘গাছের প্রেতচ্ছায়া’ বলা হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ গলির মােড়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটিকে দেখে কবির প্রথমে গাছ বলে মনে হলেও পরবর্তীকালে তাঁর মনে হয়েছে, সেটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। কারণ, গাছের ডালপালাগুলি এদিকে-ওদিকে বাঁকানাে কতকগুলি শুষ্ক কাঠির কঙ্কালের মতাে শূন্যের দিকে তােলা ছিল। সেগুলি এতটাই রুক্ষ-রিক্ত-জীর্ণ যে, তার শরীরের কোথাও কোনাে লতাপাতা, ছাল-বাকলের চিহ্ন নেই। নেই কোথাও এক বিন্দু সবুজের প্রতিশ্রুতি বা আভাস এবং সামান্যতম রসের সম্ভাবনা। তাই গাছটিকে কবি ‘গাছের প্রেতচ্ছায়া’ বলে অভিহিত করেছেন।

৩.৩ ওই পথ দিয়ে / জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।—এভাবে কবিতায় উত্তমপুরুষের রীতি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, অন্তত পাঁচটি পঙক্তি উদ্ধৃত করে বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ আলােচ্য কবিতাটিতে বেশ কয়েকটি চরণে উত্তম পুরুষের রীতি ব্যবহার করা হয়েছে। কবি তার নিজস্ব অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়েই উত্তম পুরুষের রীতি ব্যবহার করেছেন। যেমন- (১) “আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব”, (২) “জিজ্ঞেস করলুম, তােমাদের ট্যাক্সি লাগবে?” (৩) “ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট”, (৪) “ফিরে আসতেই দেখি”, (৫) “অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে দেখলুম”—উল্লিখিত প্রতিটি চরণই উত্তম পুরুষের রীতিতে প্রযুক্ত। কবি তাঁর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাকে নিজের মুখে বলার জন্যই এই রীতি অবলম্বন করেছেন।

৩.৪ ‘কারা ওরা ?’—কবিতা অনুসরণে ওদের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ ওরা হচ্ছে, এক বিরাট নৈরাজ্যের অধিবাসী। ওদের বাস্তুভিটে রীতি-নীতি, আইন-কানুন, বিনয়-ভদ্রতা, শ্লীলতা-শালীনতা কিছুই নেই। ওদের জন্য কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, ট্রামে-বাসে বসার জায়গা নেই, হাসপাতালে শয্যা নেই। এমনকি তাদের জন্য খেলার মাঠ, অনুসরণ করার মতাে যােগ্য নেতা নেই, কর্মে প্রেরণা সৃষ্টিকারী ভালােবাসাও নেই। ওদের প্রতি সম্ভাষণে কারও সহানুভূতি নেই। ওরা একদল ছন্নছাড়া, বেকার যুবক। ওরা পরােপকারী কিন্তু, যাদের কেউ নেই, কিছু নেই—ওরা তাদের কথা ভাবে। তাদের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। আসলে ওরা হল আমাদের দেশের লক্ষ কোটি বেকার যুব-সম্প্রদায়।

৩.৫ ‘ঘেঁষবেন না ওদের কাছে।’- এই সাবধানবাণী কে উচ্চারণ করেছেন ? ‘ওদের’ বলতে কাদের কথা বােঝানাে হয়েছে ? ওদের কাছে না-ঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হল কেন ?

উত্তরঃ প্রশ্নোপ্ত সাবধান বাণীটি উচ্চারণ করেছেন গাড়ির অর্থাৎ, ট্যাক্সির চালক।

» ‘ওদের’ বলতে তথাকথিত ভদ্রসমাজ থেকে বহির্ভূত নৈরাজ্যের বাসিন্দা একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের বােঝানাে হয়েছে।

» ‘ছন্নছাড়া কবিতার উদ্দিষ্ট ‘ওরা সমাজের ভদ্রতাহীন নৈরাজ্যের মানুষ। ড্রাইভারের ভাবনায় ওদের নীতিবােধ নেই, ব্যস্ততা নেই, এমনকি অন্য মানুষের প্রতি তাদের কোনাে দরদ, সহানুভূতিও নেই। ওরা কেবল অকারণ সময় নষ্ট করে অন্যের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তাই ওদিক দিয়ে গেলে গাড়ির যাত্রীদের অহেতুক হেনস্তা করে তারা লিফট চাইতে পারে, আর তাতে সেই চাওয়াকে উপেক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাতে তাদের অকারণ দেরি হবার সম্ভাবনা থাকে। সেকারণেই বক্তা ওদের কাছে না-ঘেঁষার পরামর্শ দিয়েছেন।

৩.৬ ‘তাই এখন এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।’— এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের জীবনের এমন পরিণতির কারণ কবিতায় কীভাবে ধরা পড়েছে তা নির্দেশ করাে।

উত্তরঃ এখানে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া চোঙা প্যান্ট পরিহিত রােখা মেজাজ ও ঠোকা কপালওয়ালা একদল ছন্ন ছাড়া বেকার যুবকদের কথা বলা হয়েছে।

» তাদের জীবনে এমন পরিস্থিতির কারণ হল, ওদের জন্য কিছু না-থাকা। ওদের জন্য কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, ট্রামেবাসে বসার জায়গা নেই। এক কথায় ভদ্রসমাজের কোনাে সুযােগ-সুবিধাই নেই। মেলায় বা খেলায় টিকিট নেই, হাসপাতালে শয্যা নেই, খেলার জন্য মাঠ নেই, অনুসরণ করার মতাে যােগ্য নেতা নেই। সর্বোপরি তাদের জীবনে প্রেরণা জাগানাের মতাে প্রেমও নেই। ওদের প্রতি কারও কোনাে সহানুভূতি নেই। তাই, এক মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে অপ্রয়ােজনীয় রােয়াক ছিল তাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গা। তাও চলে যাওয়ায় তারা অবশেষে সড়কের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে।

৩.৭ ‘জিজ্ঞেস করলুম, তােমাদের ট্যাক্সি লাগবে ? প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার কোন অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে ? তাঁর এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়ার পর কীরূপ পরিস্থিতি তৈরি হল ?

উত্তরঃ আলােচ্য প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার সহানুভূতিশীল দরদি মনােভাবের প্রকাশ ঘটেছে। » প্রশ্নকর্তার প্রশ্নটি ছুড়ে দেওয়ার পরই সেই ছন্নছাড়া বেকার যুবকগুলি একসঙ্গে অতিশয় উৎসাহে চিৎকার করে ওঠে “পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি” বলে। সঙ্গে সঙ্গে তিন তিনটি যুবক উঠে পড়ে ট্যাক্সিতে। সামনের ভিড় দেখিয়ে একজন বলে, ভিড়টি কোনাে জলসা চিত্রতারকার জন্য নয়। একটি গাড়ি এক বেওয়ারিশ ভিখিরিকে চাপা দিয়ে চলে গিয়েছে। তাদের কয়েকজন গাড়িটিকে ধাওয়া করেছে আর তারা ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল। ভিড়ের কাছে যাওয়াতে রাস্তার মাঝখানে রক্তে-মাংসে দলা পাকানাে ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় ট্যাক্সিতে। তারপর প্রশ্নকর্তা অর্থাৎ, কবিতার কথক রক্তের দাগ থেকে নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে রক্ষা করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে যান।

৩.৮ প্রাণ আছে, এখনাে প্রাণ আছে। এই দুর্মর আশাবাদের ‘তপ্ত শঙ্খধ্বনি’ কবিতায় কীভাবে বিঘােষিত হয়েছে তা আলােচনা করাে।

উত্তরঃ একটি বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবক ফাঁকা ট্যাক্সি খুঁজছিল এবং সেটি পেয়ে যাওয়ায় গাড়িটিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি তারা ঘটনাস্থলে যায়। রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে যাওয়া ভিখিরির শরীরটিকে তারা পাঁজাকোলা করে তুলে। নেয় ট্যাক্সিতে। শরীরটি তােলার সময়ই তারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে চেঁচিয়ে ওঠে—শরীরটিতে এখনও প্রাণ আছে বুঝতে পেরে। এইভাবেই শহরের ইট-কাঠ পাথরে পরিবেষ্টিত দয়া-মায়াহীন পরিবেশের মধ্যে থেকে একটি মায়া-মমতাপূর্ণ বিশ্বাসের উয় শঙ্খধ্বনি ধ্বনিত হয়ে উঠে—“প্রাণ আছে, প্রাণ আছে” কথাগুলির মাধ্যমে। কারণ, প্রাণ থাকলেই মর্যাদা থাকে এবং সমস্ত বাধা প্রতিবন্ধকতার বাইরেও থাকে অস্তিত্বের অধিকার—আলােচ্য কবিতায় সেটিই ঘােষিত হয়েছে।

৩.৯ কবিতায় নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির ছন্নছাড়া’-দের প্রতি যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ কবিতায় নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটি হলেন কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তিনি একটি বিশেষ প্রয়ােজনে ট্যাক্সি করে যাচ্ছিলেন। গলির মােড়ে কয়েকজন ছন্নছাড়া বেকার যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গাড়ির ড্রাইভার জানায়— সে সেদিক দিয়ে যাবে না। কারণ, তাদের সামনে গেলেই তারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইতে পারে । তাদের সম্পর্কে ড্রাইভারের কাছ থেকে সবকিছু শুনে কবি ড্রাইভারকে সেদিক দিয়েই যেতে বললেন। তাদের কাছে গিয়ে কবি জিজ্ঞাসা করেন তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না। কবি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন তাদের দুর্দশাকে। যদিও পরবর্তীকালে তাদের পরােপকারী সুলভ মানসিকতা দেখে তিনি তফাতে সরে গিয়েছেন। তবু এই কর্কশ-নীরস ইট-কাঠপাথর পরিবেষ্টিত পরিবেশের মধ্যেও তাদের এই আচরণ, সহমর্মিতা বােধ কবিকে মুগ্ধ করেছে। তাই ‘ছন্নছাড়া’ বলে পরিচিতদের প্রতি কবির আন্তরিক সহানুভূতিপূর্ণ অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে।

৩.১০ কবিতায় ‘গাছটি কীভাবে প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা আলােচনা করাে।

উত্তরঃ আলােচ্য কবিতায় গলির মােড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাছকে দেখে কবির মনে হয়েছিল, সেটি গাছের প্রেতচ্ছায়া। কারণ, আঁকা-বাঁকা শুকনাে কতকগুলি কাঠির কঙ্কালের মতাে গাছটির ডাল-পালাগুলি শূন্যে তােলা ছিল। গাছের সারা শরীর ছিল রুক্ষ, রুষ্ট-রিক্ত ও জীর্ণ, তাতে লতা-পাতার কোনাে চিহ্ন নেই। নেই কোনাে সবুজের একবিন্দু প্রতিশ্রুতি। রাস্তায় চাপা পড়া বেওয়ারিশ ভিখিরিটিও যেভাবে রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে পড়েছিল তাতে তার শরীরে প্রাণের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় ছিল। তা ছাড়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া ছন্নছাড়া যুবকদের দেখেও বােঝার উপায় ছিল না তাদের মধ্যেও দয়া-মায়া এবং পরােপকারী সুলভ মন লুকিয়ে আছে। ঘটনাক্রমে ভিখিরির দলা পাকানাে শরীরে প্রাণের উপস্থিতি এবং রকবাজদের মনে দয়া-মায়ার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করে কবি যখন ফিরছেন, তখন তিনি দেখতে পান—গলির মােড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কঙ্কালসার গাছটির মধ্যেও কচি-কচি পাতার চিহ্ন দেখা দিয়েছে। বাতাসের প্রভাবে তারা মর্মরিত হচ্ছে। এভাবেই গাছটি প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে কবিতায় ।

৩.১১‘এক ক্ষয়হীন আশা। এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।’—প্রাণকে কবির এমন অভিধায় অভিহিত করার সংগত কারণ নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করাে।

উত্তরঃ ‘ছন্নছাড়া কবিতায় কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রাণকে’ দুটি বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন। প্রথমত, এক ক্ষয়হীন আশা’—যে আশা বা আকাঙ্ক্ষার কখনও ক্ষয় হয়। বা সমাপ্তি হয় না। দ্বিতীয়ত, এক মৃত্যুহীন মর্যাদা’ অর্থাৎ, যে মর্যাদার কোনাে বিনাশ নেই। কবিতায় এই দুটি বিষয়কে বােঝাতে গিয়ে, কবি একটি কঙ্কালসার গাছ এবং ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের অবলম্বন করেছেন। কঙ্কালসার গাছটিকে দেখে কবির মনে হয়েছিল, তাতে প্রাণের কোনাে চিহ্ন নেই। কিন্তু তার পরেই তাতে হাজার হাজার সােনালি কচি পাতা দেখা দিয়েছে। ফুলে ফুলে ভরে গিয়েছে গাছ। তেমনই ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের দেখেও বােঝার উপায় ছিল যে, তাদের মধ্যে পরােপকারী মন-মানসিকতা লুকিয়ে আছে। সুতরাং, ‘ক্ষয়হীন আশা’ ও ‘মৃত্যুহীন মর্যাদা’ অভিধা দুটিকে আলােচ্য কবিতায় প্রাণের’ ওপর আরােপ করা যথাযথ হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

8. নীচের প্রতিটি শব্দের দল বিভাজন করে দেখাও : এলােমেলাে, ছন্নছাড়া, নৈরাজ্যে, বাসিন্দে, শালীনতা, আত্মীয়তা, শঙ্খধ্বনি, পত্রপুঞ্জে।

» এলােমেলাে = এ -লাে – মে – লাে (মুক্তদল—এ, লাে, মে, লাে (৪টি), রুদ্ধদল—শূন্য]।

» ছন্নছাড়া = ছন্ – ন – ছা – ড়া (মুক্তদল-ন, ছা, ড়া (৩টি), রুদ্ধদল-ছন্ (১টি)] ।

» নৈরাজ্যে = নৈ – রাজ্ – জে [মুকদল — নৈ, জে (২ টি), রুদ্ধদল -রাজ্ (১টি)]।

» বাসিন্দে = বা – সিন্ – দে [মুক্তদল-বা, দে (২ টি), রুদ্ধদল-সি (১টি)]।

» শালীনতা = শা- লী – ন – তা [মুক্তদল– শা, লী, ন, তা (৪টি), রুদ্ধদল—শূন্য] ।

» আত্মীয়তা = আত্ – তী – য় – তা (মুক্তদল—তী, য়, তা (৩টি), রুদ্ধদল—আত (১টি)] ।

» শঙ্খধ্বনি = শঙ্ – খ- ধ্ব – নি (মুক্তদল—খ, ধ্ব, নি (৩টি), রুদ্ধদল—শঙ্ (১টি)]।

» পত্রপুঞ্জে = পত্ -ত্র -পুন্- জে (মুক্তদল -ত্র , জে (২ টি), রুদ্ধদল – পত, পুন্ (২ টি)]।

৫. নীচের প্রতিটি শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করাে : বর্তমান, ভদ্রতা, সম্ভাষণ, গতি, ভিখিরি, ভব্যতা, রুষ্ট, জিজ্ঞেস, পিছে।

» বর্তমান =বৃৎ + শানচ (মান)।

» ভদ্রতা =ভদ্র + তা।

» সম্ভাষণ = সম্ – ভাস্ + অনট।

» গতি =গম্+ক্তি।

» ভিখিরি = ভিখ + আরি (ইরি)।

» ভব্যতা = ভূ + য (র্তৃ)+ তা।

» রুষ্ট = রুষ্ + ত (র্তৃ )।

» জিজ্ঞেস = জ্ঞা-সন্ + এ + অ ।

» পিছে = পিছ্ + এ ।

৬. নীচের শব্দগুলিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন্ কোন্ নিয়ম কাজ করেছে তা দেখাও : জুতাে, বাসিন্দে, ক্ষেত, চোখ, কদ্দুর , ভিখিরি।

» জুতাে = জুতা > জুতাে (স্বরসংগতি)।

» বাসিন্দে = বাসিন্দা > বাসিন্দে (স্বরসংগতি)।

» ক্ষেত = ক্ষেত্র > ক্ষেত (ধ্বনিলােপ)।

» চোখ = চক্ষু > চোখ (সমীভবন)।

» কদ্দুর =কত দূর >কদ্দুর (পরাগত সমীভবন)।

» ভিখিরি = ভিখারি > ভিখিরি (স্বরসংগতি)।

৭. নিম্নলিখিত পদগুলির ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে : প্রেতচ্ছায়া, ছাল-বাকল, ক্ষুধাহরণ, সােল্লাসে, স্নেহার্ড, শঙ্খধ্বনি।

» প্রেতচ্ছায়া = প্রেতের ছায়া। (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

» ছাল-বাকল = ছাল ও বাকল। (সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস)

» ক্ষুধাহরণ = ক্ষুধাকে হরণ। (কর্ম তৎপুরুষ সমাস)

» সােল্লাসে = উল্লাসের সহিত বর্তমান। (সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস)

» স্নেহার্জ = স্নেহ দ্বারা আর্দ্র। (করণ তৎপুরুষ সমাস)

» শঙ্খধ্বনি = শঙ্খের ধ্বনি। (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)

৮. কোন শব্দে কী উপসর্গ আছে আলাদা করে দেখাও : প্রতিশ্রুতি, বেওয়ারিশ, অনুসরণ, প্রচ্ছন্ন, অভ্যর্থনা, অধিকার।

» প্রতিশ্রুতি = প্রতি উপসর্গ।

» বেওয়ারিশ = বে উপসর্গ (বিদেশি উপসর্গ)।

» অনুসরণ = অনু উপসর্গ।

» প্রচ্ছন্ন = প্র উপসর্গ।

» অভ্যর্থনা = অভি উপসর্গ।

» অধিকার = অধি উপসর্গ।

৯. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করাে :

৯.১ ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে। (জটিল বাক্যে)

» ওই যে পথ সেখান দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।

৯.২ দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছােকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। যৌগিক বাক্যে)

» দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার যুবক রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং আড্ডা দিচ্ছে।

৯.৩ কারা ওরা ? (প্রশ্ন পরিহার করাে)

» ওদের পরিচয় জানতে চাইছি।

৯.৪ ঘেষবেন না ওদের কাছে। (ইতিবাচক বাক্য)

» ওদের কাছে ঘেঁষা থেকে বিরত থাকুন।

৯.৫ একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্থূপ। (না-সূচক বাক্যে)

» একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্কুপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

৯.৬ জিজ্ঞেস করলুম, তােমাদের ট্যাক্সি লাগবে ? (পরােক্ষ উক্তিতে)

» তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না জিজ্ঞাসা করা হল।

৯.৭ আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি।(জটিল বাক্যে)

» আমরা এমন ট্যাক্সি খুঁজছি যা খালি।

৯.৮ দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠেছে ফুল। (ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করাে)

» পুরাঘটিত বর্তমান কাল।

আরও পড়ুনঃ

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা দাঁড়াও কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা পল্লীসমাজ গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা ছন্নছাড়া কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা গাছের কথা প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা হাওয়ার গান কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা কী করে বুঝব গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা নাটোরের কথা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা গড়াই নদীর তীরে কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা ছোটোদের পথের পাঁচালী (নবম থেকে অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ) প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা ভাষাচর্চা ব্যাকরণের প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা নির্মিতি ব্যাকরণের প্রশ্ন ও উত্তর Click Here

Leave a Reply