2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 5 (V) WBBSE
BENGALI QUESTION PAPER
SET-4
Class 5 Bengali Second Unit Test Model Question Paper with Answer Set-4 wbbse | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪
📌 পঞ্চম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Class 5 All Subject Question Paper
সিলেবাস—
পাতাবাহার : মাঠ মানে ছুট, লিমেরিক, ঝড়, মধু আনতে বাঘের মুখে, মায়াতরু, ফণিমনসা ও বনের পরি, পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে, বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বোকা কুমিরের কথা, চল চল চল।
ভাষা পাঠ : লিঙ্গ, বচন, চিঠিপত্র।
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
বিষয়ঃ বাংলা
পঞ্চম শ্রেণি
পূর্ণমানঃ ২০ সময়ঃ ৪০ মিনিট
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: ১×৪=৪
১.১ দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে (সকাল / দুপুর / বিকেল / রাত।
উত্তরঃ বিকেল।
১.২ ডাকাত দলের কানে গোঁজা ছিল (জবা ফুল / গোলাপ ফুল / জুঁই ফুল / আকন্দ ফুল)।
উত্তরঃ জবা ফুল।
১.৩ তৃতীয়বার কুমির ও শিয়াল মিলে (ধান গম / যব / আখ) চাষ করেছিল।
উত্তরঃ আখ।
১.৪ বরুণ এর স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ হবে বড় (বরুণী / বরুনাণী / বারুণী /কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ বরুনাণী
১.৫ আমি শব্দের বহুবচন হল (আমরা / আপনারা / তোমরা / তোমাদের)।
উত্তরঃ আমরা।
২। পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও : ১×৭=৭
২.১ কবি খুশির অবাধ লুটোপুটি কোথায় খুঁজে পান ?
উত্তরঃ কবি খুশির অবাধ লুটোপুটি কোথায় খুঁজে পান মাঠে।
২.২ ‘মায়াতরু’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘মায়াতরু’ শব্দের অর্থ মায়াবী গাছ।
২.৩ বীরু চট্টোপাধ্যায়ের ‘ফনিমনসা ও বনের পরি’ নাটকটি কোন পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উত্তরঃ শিশুসাথী পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে।
২.৪ বোকা কুমিরের কথা গল্পে কুমিরটি কী চেয়েছিল ?
উত্তরঃ বোকা কুমিরের কথা গল্পে কুমিরটি শেয়ালকে ঠকাতে চেয়েছিল।
২.৫ প্রদত্ত শব্দদুটির লিঙ্গ পরিবর্তন করো : পাঠক, গুণবান।
উত্তরঃ পাঠক – পাঠিক, গুণবান – গুণবতী।
২.৬ প্রদত্ত শব্দদুটির কোনটি, কোন্ বচন
লেখো : আমি, শিশুরা।
উত্তরঃ আমি – একবচন, শিশুরা – বহুবচন।
২.৭ বচন কত প্রকার ও কী কী বচন ?
উত্তরঃ বচন দুই প্রকার। একবচন এবং বহুবচন।
৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও : (যে-কোনো দুটি) ২×২=৪
৩.১ বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিকে বাঁচায়?
উত্তরঃ বৃষ্টি হলে প্রকৃতিতে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে। বৃষ্টি হলে নদীনালা, খালবিল, পুকুরগুলি জলে ভরে যায়। ফলে ভালো ফসল জন্মায়, অনেক মাছ পাওয়া যায়। বৃষ্টি হলে গাছপালাগুলি সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে।
৩.২ বৃষ্টিতে নদীর এপার এবং ওপারের যে বর্ণনাকবি দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতায় কবি এক বর্ষার দিনের চিত্র বর্ণনা করেছেন। নদীর ওই পারে গাছপালা ঝাপসা করে দিয়ে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। অথচ এ পারে এখনও বৃষ্টি নামেনি। এ পারে সমস্ত আকাশ জুড়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলো জ্বলে উঠেছে।
৩.৩ বাঘটা শিষের ভিতর পড়ে গেল কীভাবে?
উত্তরঃ ধনাইকে লক্ষ করে বাঘটা ঝাঁপ দিলেও, বাঘটা গিয়ে পড়ে তল্লা গাছের উপর। সেই গাছটা ধরে ধনাই শিষে পার হতে চেয়েছিল। ধনাইকে ডিঙিয়ে বাঘের মাথা ওই গাছটাতে ঠোক্কর খায়। মাথায় আঘাত খেয়ে বাঘটা উলটে গিয়ে পড়ল শিষের ভিতর।
৪. কোনো একটি দিনে তোমার ঝড় দেখার কথা বন্ধুকে একটি চিঠি লিখে জানাও।
উত্তরঃ
চুঁয়াপুর, বহরমপুর
মুর্শিদাবাদ
২০/৫/২০২৪
প্রিয় মানিক,
আশা করি তুই ভালো আছিস। আমি ভালোই আছি। গতকাল আমার ঝড় দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তোকে আমি এই চিঠিটা লিখছি।
গতকাল সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ জুড়ে ঠাঁই নিয়েছিল একরাশ কালো মেঘের দল। চারদিক অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, দিনেরবেলাও রাস্তার আলোগুলো জ্বলে উঠেছিল। তারপর হঠাৎই শো শো শব্দ আর তার সঙ্গে ধুমধাম করে জানালা-দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দ কানে এল। ঘরে বসে সেই ঝড়ের দাপট আমি উপলব্ধি করতে পারছিলাম। বন্ধ জানালা-দরজাগুলোও খটখট করে কাঁপছিল। একটু পড়েই বাজ পড়তে শুরু করল আর তার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হল। ঝড়ের বেগ একটু কমল। আমি একটু স্বস্তি পেলাম। বৃষ্টি থামার পর বাইরে বেরিয়ে দেখলাম আমাদের বাড়ির সামনের বটগাছটা উপড়ে পড়ে আছে আর সব ইলেকট্রিক তারগুলো ছিঁড়ে গেছে। ঝড় থামলেও চারদিকে তার বিধ্বংসী রূপ তখনও প্রকট ছিল।
প্রকৃতির সুন্দররূপের পাশাপাশি এই ভয়ানক রুদ্ররূপের ছবি আমার স্মৃতিতে চিরকাল গাঁথা থাকবে। তুই ভালো থাকিস। বড়োদের আমার প্রণাম ও ছোটোদের ভালোবাসা জানাস। আজ এখানেই শেষ করলাম।
ইতি
নির্মল
নির্মল মাঝি
প্রযত্নে, বিমল মাঝি
৬ সি মহাত্মা গান্ধি রোড
কলকাতা-৭০০০১৬