2nd Summative Evaluation
Class – VI Sub: Geography
Time : 50 Min. F. M. – 25
Set-1
1. সঠিক উত্তরটি বেছে লেখো : 1×5=5
(i) জেট বিমানগুলি নির্বিঘ্নে চলাচল করে—
(a) ট্রপোস্ফিয়ারে,
(b) স্ট্রাটোস্ফিয়ারে,
(c) মেসোস্ফিয়ারে,
(d) থার্মোস্ফিয়ারে।
উত্তরঃ (b) স্ট্রাটোস্ফিয়ারে।
(ii) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ—
(a) মাউন্ট এরেবাস,
(b) ভিনসন ম্যাসিফ,
(c) মাউন্ট এভারেস্ট,
(d) জ্যাকসন শৃঙ্গ।
উত্তরঃ (b) ভিনসন ম্যাসিফ।
(iii) প্রতি এক হাজার মিটার উচ্চতা বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা হ্রাস পায়—
(a) 6.3°C
(b) 6.4°C
(c) 6°C
(d) 4.6°C
উত্তরঃ (b) 6.4°C
(iv) কোনটি গ্রিনহাউস গ্যাস ?
(a) অক্সিজেন,
(b) কার্বন ডাইঅক্সাইড,
(c) নাইট্রোজেন,
(d) হাইড্রোজেন।
উত্তরঃ(b) কার্বন ডাইঅক্সাইড।
(v) উত্তরপ্রদেশে—
(a) লু
(b) কালবৈশাখী
(c) আঁধি
(d) আশ্বিনের ঝড় দেখা যায়
উত্তরঃ (a) লু
2. শূন্যস্থান পূরণ করো : 1×5=5
(i) পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশের নাম হল ____________।
উত্তরঃ ওশিয়ানিয়া।
(ii) আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড বলা হয় __________ মহাদেশকে ।
উত্তরঃ আন্টার্টিকা।
(iii) বায়ুর আর্দ্রতা মাপা হয় ___________
যন্ত্রের সাহায্যে।
উত্তরঃ হাইগ্রোমিটার।
(iv) ফ্রিজ থেকে নির্গত গ্যাস হল ____________।
উত্তরঃ ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (CFC).
(v) আকাশে মেঘের পরিমাণের পরিমাপকে ______________ বলে।
উত্তরঃ অক্টা (Okta).
3. নীচের প্রশ্নগুলির একটি পূর্ণবাক্যে উত্তর দাও : (যে-কোনো পাঁচটি) 1×5=5
(i) অতীতের অখণ্ড স্থলভাগ বা মহাদেশটির নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ প্যানজিয়া।
(ii) অ্যান্টার্কটিকার শীতলতম স্থান কোনটি ?
উত্তরঃ ভস্টক।
(iii) সমুদ্র উপকূলভাগে কী ধরনের জলবায়ু দেখা যায়?
উত্তরঃ সমভাবাপন্ন প্রকৃতির।
(iv) কত সালে জাপানের ফুকুসিমায় পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে?
উত্তরঃ জাপানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ
(v) কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ পরিমাপ করা হয়?
উত্তরঃ বায়ুর গতিবেগ মাপার যন্ত্রের নাম অ্যানিমোমিটার।
(vi) অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে চিংড়ি জাতীয় প্রাণীটির নাম কী?
উত্তরঃ ক্রিল।
4. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) 2×2=4
(i) শিলামণ্ডল কাকে বলে?
উত্তরঃ সমগ্র ভূত্বক ও গুরুমন্ডলের উপরি অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে, শিলামণ্ডল। শিলামণ্ডল বলতে পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন অংশকে বোঝানো হয়।
(ii) দৈনিক উষ্ণতার প্রসর পার্থক্য কাকে বলে ?
উত্তরঃ কোন স্থানের একদিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতার পার্থক্যকে দৈনিক উষ্ণতার পার্থক্য বলে।
(iii) কার্যকরী সৌর বিকিরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত তাপের রে পরিমাণ অংশ ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করতে সাহায্য করে তাকে কার্যকরী সৌর বিকিরণ বলে।
(iv) অভয়ারণ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে-নির্দিষ্ট অরণ্যে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী নির্ভয়ে বিচরণ এবং প্রজনন করতে পারে, তাকে অভয়ারণ্য বলে।
5. নীচের যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
3×2=6
(i) আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ
(১) কোনো নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর উষ্ণতা, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, প্রভৃতি উপাদানের দৈনন্দিন অবস্থাকে আবহাওয়া বলা হয় । (১) কোনো বিস্তৃত অঞ্চলের কমপক্ষে ৩০-৫০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলা হয় । (২) আবহাওয়া হল বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের দৈনন্দিন অবস্থা । (২) জলবায়ু হল বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের দীর্ঘকালীন সামগ্রিক অবস্থা । (৩) আবহাওয়া কোনো স্বল্প পরিসরে সীমাবদ্ধ স্থানের বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা সূচিত করে ।(৩) জলবায়ু একটি বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘকালীন গড় অবস্থা নির্দেশ করে ।
(ii) অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাবগুলি লেখো।
উত্তরঃ অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে নিম্নলিখিত ক্ষতিকারক প্রভাব গুলি লক্ষ্য করা যায়। যথা –
১. মৃত্তিকার উৎপাদন ক্ষমতার হ্রাস – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মৃত্তিকার অম্লত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি, আলু ও মটর শুটি জাতীয় শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়।
২. জলদূষণ বৃদ্ধি – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে ভূ-পৃষ্টীয় জলরাশি জল আম্লিক হয়ে ওঠে। ফলে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
৩. অরণ্যনিধন – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে বীজের অঙ্কুরোদগম বাধা পায়, উদ্ভিদের পাতা বিনষ্ট হয় ও পাতার ওপর ঝোপঝোপ দাগ দেখা যায়।
৪. মানুষের ওপর প্রভাব – অম্ল বৃষ্টির ফলে মানুষের ত্বক, কোষ ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়।
৫. পশুপাখির সংখ্যা হ্রাস – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে কোন অঞ্চলের পশু পাখির সংখ্যা হ্রাস পায়। যেমন – ভারতের ভরতপুরের পাখিরালয়ে হ্রদের জলে সালফার ডাই অক্সাইড ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা হ্রাস পায়।
৬. স্থাপত্য ও স্মৃতি সৌধের ক্ষতি – অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে স্থাপত্য শিল্প, স্মৃতি সৌধ, মনুমেন্ট ও অট্টালিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যেমন – ভারতের আগ্রার তাজমহল।
(iii) ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি হলো—
(১) বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে ভূপৃষ্ঠ থেকে যতই উপরে ওঠা যায় ততই তাপ মাত্রা কমতে থাকে । প্রতি কিলোমিটারে ৬.৪° বা প্রায় প্রতি ১৬৫ মিটার উচ্চতার জন্য ১° সেন্টিগ্রেড করে তাপ হ্রাস পায়, একে উষ্ণতা হ্রাসের স্বাভাবিক হার বা ‘Normal Laps rate’ বলে । ভূ-পৃষ্ঠের ওপরে ১০ — ১৩ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুর তাপ এই হারে কমতে থাকে । মধ্য অক্ষাংশে (Middle Latitude) ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্ব সীমায় বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ -৭৫° সেন্টিগ্রেড থেকে -৬০° সেন্টিগ্রেড হয় ।
(২) বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ট্রপোস্ফিয়ারই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর । বায়ুমণ্ডলের মোট গ্যাসীয় ভরের প্রায় ৮০% ধারণ করে ট্রপোস্ফিয়ার । এজন্য এখানে বায়ুরচাপ সবচেয়ে বেশি ।
(৩) ট্রপোস্ফিয়ারের ওপরের স্তরে জলীয়বাষ্প বা মেঘ থাকে না বললেই চলে ।
(৪) এই অংশে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর চাপ কমতে থাকে । এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ ।
(iv) অরণ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা লেখো।
উত্তরঃ ১. পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণঃ পরিবেশে অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে অরণ্য সংরক্ষণ একান্ত প্রয়োজন৷
২. জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষাঃ পরিবেশে জীবজগতের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অরণ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
৩. মরুভূমির সম্প্রসারণঃ মরুভূমির সম্প্রসারণ রোধ করার জন্য অরণ্য সংরক্ষণ করতে হবে।
৪. ভৌম জলের ভাণ্ডার পূরণ করাঃ ভৌম জলের ভান্ডার যাতে নিয়ন্ত্রিত থাকে তার জন্য অরণ্য সংরক্ষণ করা উচিত।