Class 7 Bengali Second Unit Test Model Question Paper with Answer Set-1 | সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

CLASS 7 SECOND UNIT TEST

Class 7 Bengali Second Unit Test Model Question Paper with Answer | সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন

📌 সপ্তম শ্রেণি সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Class 7 All Subject Question Paper

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
বিষয়ঃ বাংলা
সপ্তম শ্রেণি
পূর্ণমানঃ ২৫         সময়ঃ ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

সিলেবাস—

সাহিত্য মেলা : কার দৌড় কতদূর, নোট বই, মেঘ চোর, দুটি গানের জন্মকথা, কাজী নজরুলের গান, স্মৃতি চিহ্ন, চিরদিনের

মাকু : তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়।

ব্যাকরণ : বাংলা বানান, নানা রকম শব্দ নির্মিতিঃ প্রবন্ধ রচনা / চিঠি।

SET – 1

১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। (যে-কোনো পাঁচটি) : ১×৫ = ৫

১.১ পৃথিবী যে নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে তা প্রথম বলেন— (গ্যালিলিও / কোপারনিকাস / সক্রেটিস)।

উত্তরঃ কোপারনিকাস।

অথবা,

‘মেঘ-চোর’ বলা হয়েছে— (অসীমাকে / ভাইপোকে / পুরন্দরকে)।

উত্তরঃ পুরন্দরকে

১.২ “জবাবটা জেনে নেব……” – জবাবটা জেনে নেওয়া হবে— ( মেজদাকে খুঁচিয়ে / মেজদাকে অর্থ দিয়ে / মেজদাকে ভয় দেখিয়ে)

উত্তরঃ মেজদাকে খুঁচিয়ে

অথবা,

যাঁরা নিজেদের সৌধ গড়ে কীর্তিকে অমর করে রাখতে চান তাঁরা বরেণ্য।

উত্তরঃ মিথ্যা।

১.৩ নিম্নলিখিত শব্দের সঠিক বানান হবে— (কালিদাস / কালীদাস / কালিদাশ)।

উত্তরঃ কালীদাস

১.৪ ‘ছমছম’ শব্দটি হল—(যৌগিক শব্দ / রুঢ় শব্দ / ধ্বন্যাত্মক শব্দ)।

উত্তরঃ ধ্বন্যাত্মক শব্দ

১.৫ ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওষুধ খেতে হয়। – ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায়’ শব্দদ্বৈতটি ব্যবহৃত হয়েছে– (নিয়মিত অর্থে / দ্রুত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / গভীরতা বোঝাতে)।

উত্তরঃ নিয়মিত অর্থে

১.৬ ঠিক বানানটি বেছে নাও : (দূরভিক্ষ / দূর্ভিক্ষ / দুর্ভিক্ষ)।

উত্তরঃ দুর্ভিক্ষ

২. একটি বাক্যে উত্তর দাও (যে-কোনো পাঁচটি) : ১×৫ = ৫

২.১ “শামুক চলে যাবার সময় রেখে যায় জলীয় চিহ্ন” সেটি আসলে কী ?

উত্তরঃ শামুক চলে যাওয়ার পর যে জলীয় চিহ্ন রেখে যায় সেটি হল আসলে তার একখানি মাংশল পুরু পায়ের ছাপ।

২.২ দিক্‌বিজয় কে ছিলেন ?

উত্তরঃ দিকবিজয় ছিলেন পুরন্দর চৌধুরির ছোটো ভাই । তিনি প্রায় পঁচিশ বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন।

২.৩ কে গোয়ালে ইশারা পাঠায় ?

উত্তরঃ মাঠে জন্মানো ঘাস গোয়ালে ইশারা পাঠায়।

২.৪ “মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম!”— কবিতায় কবি কাদের ‘মূঢ়’ ও ‘ব্যর্থ’ মনস্কাম বলেছেন ?

উত্তরঃ কবিতাটিতে যারা নিজেদেরকে অর্থ
ও প্রতিপত্তির দ্বারা পৃথিবীতে অমর করে
রাখতে চায়, কবি তাদের ‘মূঢ় ও ব্যর্থ
মনস্কামনা’ বলেছেন।

২.৫ সং কেন সপ্তায় তিনবার পোস্টাপিসে যায় ?

উত্তরঃ সং লটারির টিকিট কিনেছে, লটারিতে টাকা পেয়ে বড়লোক হয়ে যাবে, সেই খবর আনতে পোস্ট অফিসে যায়।

২.৬ হোটেলওলার জন্মদিনে ভোজের কী কী খাবার ছিল ?

উত্তরঃ হোটেল ওয়ালার জন্মদিনে, ভুনিখিচুড়ি হরিণের মাংসের কোরমা, পায়েস ও সুরুয়া ছিল।

৩. কমবেশি ছ-টি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো তিনটি) : ৩×৩ = ৯

৩.১ “রবীন্দ্রনাথ গানটিকে পরেও নানা উপলক্ষ্যে ব্যবহার করেছেন।”– ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে গানটি ব্যবহার করেন ?

উত্তরঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পর রবীন্দ্রনাথ গানটিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। কখনও ব্রহ্মসংগীত হিসেবে আবার কখনও বা The morning song of India হিসেবে। গানটির সুর ও অর্থগৌরব উপলব্ধি করে থিয়োসফিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ গানটিকে প্রতিদিনের অ্যাসেম্বলি সং বা বৈতালিকরূপে চালু করে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে জেনিভা সফরের পর রাশিয়াতে গিয়েও তিনি সেখানকার অনাথ বালক-বালিকাদের এই গানটি নিজে গেয়ে শুনিয়েছিলেন।

অথবা,

টীকা লেখো : কাজী নজরুল ইসলাম।

কাজী নজরুল ইসলাম : ১৮৯৯ খ্রি. ২৫মে বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। শৈশবেই পিতৃবিয়োগ ঘটায় দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠোর সংগ্রাম করতে হয় তাঁকে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি’। উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল—‘ছায়ানট’, ‘অগ্নিবীণা’, বিষের বাঁশি, ‘ফণিমনসা’, ‘সর্বহারা’ প্রভৃতি। একাধারে তিনি ছিলেন গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। সকলের কাছে তিনি “বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত। তাঁর বিদ্রোহ মানব বিদ্বেষ, অন্যায় ও অসাম্যের বিরুদ্ধে। নজরুল ছিলেন দেশকালাতীত মানবপ্রেমে আবদ্ধ। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা শহরে তাঁর মৃত্যু হয়।

৩.২ কালস্রোতে কাদের নাম ধুয়ে যায় ? সেই স্রোত কাদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না ?

উত্তরঃ মানবসভ্যতার ইতিহাসে সাম্রাজ্যলোভী মানুষের দল যারা ইট-কাঠের সৌধ তৈরি করে নিজেদের নাম বিশাল অক্ষরে চিরদিন ধরে রাখতে চায় তাদের নাম কালস্রোতে ধুয়ে যায়। এরা মানুষের কথা মনে রেখে মানুষের জন্য কোনোরকম হিতকর কাজ তারা করে যাননি।

সময়ের স্রোত বা কালস্রোেত সেইসব মহান মানুষের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না, যাঁরা তাঁদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও মানুষের জন্য ভালো কাজ করে যেতে প্রয়াসী হন। যারা মানুষের হৃদয় অধিকার করে রয়েছে মানুষ তাঁদের চিরকাল মনে রাখে, ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে এবং সেজন্যই কালস্রোত তাঁদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না। মনের মণিকোঠায় চিরদিন তাঁরা থেকে যান।

অথবা,

ব্যাখ্যা করো: “এখানে বৃষ্টিমুখর….. ঘড়ির কাঁটা।

উত্তরঃ সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ কবিতায় বাংলার পল্লি প্রকৃতির নিপুণ চিত্র বর্ণিত হয়েছে। সেখানে শহুরে ব্যস্ততা নেই, বৃষ্টিমুখর লাজুক তার রূপ। পাকা রাস্তা না থাকলেও সবুজ মাঠের বুকে পায়ে পায়ে তৈরি হয় পথ। জোড়া দিঘির পাড়ে তালের সারি, দূরে বাঁশঝাড় পল্লিপ্রকৃতিকে মোহময় করে তোলে। বর্ষার আগমনে পল্লিপ্রকৃতিতে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়, মজা নদী নতুন করে ফুলে ফেঁপে ওঠে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ নতুনের বার্তা বয়ে আনে।

পল্লিপ্রকৃতির আপাত সুন্দর রূপেই কবি সীমাবদ্ধ থাকেননি, তার লড়াইয়ের ছবিও কবি তুলে ধরেছেন। সেখানে শহুরে ব্যস্ততা নেই, বৃষ্টিমুখর লাজুক তার রূপ। কাজের জন্য মানুষকে এখানে যন্ত্রের মতো ছুটতে হয় না। ঋতুচক্রের সাবলীল পরিক্রমণে পল্লিসুন্দর, আর তাই সে উদ্ধত নয় লাজুক, পল্লী প্রকৃতির ছোঁয়ায় তার জীবন স্বাভাবিক।

৩.৩ ‘চোখ খুলেই সোনা দেখে সর্বনাশ হয়ে গেছে।’– কী সর্বনাশ হয়েছিল ? তারপর যে কান্ডটি ঘটেছিল তা লেখো।

উত্তরঃ সকালে সোনা চোখ খুলেই দেখে সেপটিপিন দিয়ে ফ্রকের সঙ্গে আঁটা মাকুর জামাটা পড়ে আছে, কিন্তু মাকু নেই। সোনা সন্দেহ করেছিল মাকু হয়তো পালিয়ে গেছে।

তারপর মাকু, মাকু’ করে কেঁদে ফেলল সোনা। তাই শুনে মাকু, মামণি, বাপি, আর আম্মার জন্যে টিয়াও মহাকান্না জুড়ে দিল। কান্না শুনে গাছ বেয়ে মাকু, হোটেলওলা, সং আর সাতজন দড়াবজির ওস্তাদ ওপরে উঠে এল। আসলে মাগো হাতমুখ ধোয়ার জন্য নিচে নেমে পড়েছিল।

অথবা,

ওর নামই দিয়ে দিল স্বর্গের শুরুয়া।’– স্বর্গের শুরুয়া নামটা কে দিয়েছে ? এই নামের পিছনে যে ঘটনা আছে তা লেখো।

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত মাকু গল্পে এক জাদুকর উল্লিখিত ‘স্বর্গের শুরুয়া’ নামটি দিয়েছিল।

হোটেল ওয়ালার বক্তব্য অনুযায়ী, ‘আগে কেউ সুরুয়া মুখে দিলেই ওয়াক থুঃ বলে ফেলে দিত আর রোজ পয়সা ফেরত চাইত। তারপর একদিন দাড়িগোঁফ আচমকা সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে ওর সঙ্গে রান্না হয়ে গেল। হোটেলওয়ালা ভয়ে মরে, এবার সার্কাসের লোকেরা পিঠে চ্যালাকাঠ না ভেঙে ছাড়বে না। কিন্তু সেদিন সুরুয়া খেয়ে সবার মুখে সুখ্যাতি আর ধরে না, জাদুকর ওর নামই দিয়ে দিল ‘স্বর্গের সুরুয়া’।

৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো : ৬ x ১ = ৬

৪.১ বর্ষাকাল।
৪.২ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪.৩ জাতীয় পশু।

বর্ষাকাল রচনা

সূচনা : বর্ষা বাংলাদেশের দ্বিতীয় ঋতু। আমাদের দেশে আষাঢ়-শ্রাবণ এই দু’মাস বর্ষাকাল । ষড়ঋতুর এই দেশে বর্ষা আসে সজল মেঘের ভেলায় চড়ে সাজসাজ রবে। বিভিন্ন কারণে বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু।

বর্ষার প্রকৃতি : বর্ষার সময় আকাশ প্রায়ই মেঘে ঢাকা থাকে। ঘন ঘন বৃষ্টি হয়। কখনো কখনো বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকসহ ঝড় হয়। এমনও হয় যে, একটানা কয়েকদিন সূর্যের দেখা মেলে না। অতি বৃষ্টির ফলে অনেক সময় বন্যা হয়।

খাল-বিল, নদী-নালার জল উপচে মাঠ- ঘাট, লোকালয় ডুবে যায়। এ সময় গ্রামের মানুষ নৌকায় চলাচল করে । অনেক সময় অতি বৃষ্টিতে শহরেরও সড়ক বা নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। ফলে নাগরিকদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বর্ষার ফুল-ফল : বর্ষায় বিলে-ঝিলে ফোটে পদ্ম, শাপলা, কলমি ইত্যাদি ফুল। ডাঙায় ফোটে কদম, কেয়া, হিজল, বেলি, গন্ধরাজ ইত্যাদি ফুল। বর্ষাকালে পেয়ারা, আতা, বাতাবি লেবু, আমড়া, লটকন ইত্যাদি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল পাওয়া যায়।

বর্ষার সৌন্দর্য : বর্ষায় প্রকৃতি এক ভিন্ন সাজে আবির্ভূত হয়। নদী-নালা সব পানিতে থৈ থৈ করে। গ্রামে গেলে মনে হয় বাড়িঘরগুলো দ্বীপের মতো জলে ভেসে আছে। এ সময় বড়দের সঙ্গে নৌকায় চড়ে বেড়াতে আমার খুব ভালো লাগে।

গ্রামের বাড়িতে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে আমি খুব পছন্দ করি। কদম-হিজল- গন্ধরাজ ফুলের সুবাসে পল্লি প্রকৃতি হয়ে ওঠে মোহনীয়। বর্ষার নতুন পানি চারপাশ পরিচ্ছন্ন করে তোলে। জলাশয়ে এ সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। মাছ ধরা বর্ষাকালের অন্যতম উৎসব। এসব কারণে এ ঋতু আমার প্রিয়।

উপসংহার : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ বলে ঋতুচক্রে বর্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপকারিতার পাশাপাশি সৌন্দর্যের জন্যও বর্ষা আমার বেশি প্রিয়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

ভূমিকাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যিনি “বিশ্বকবি” নামে পরিচিত ছিল। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী যার প্রভাব বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুরণিত। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার এবং প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি 1913 সালে তাঁর কবিতার সংকলন “গীতাঞ্জলি” জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ ১৮৬১ সালের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা শ্রীমতি সারদা দেবী। তিনি ছিলেন তাঁর পিতামাতার চতুর্দশতম সন্তান।

শিক্ষাঃ একটি বিশিষ্ট বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক শিক্ষা সেই সময়ের জন্য অপ্রচলিত ছিল। তিনি মূলত প্রাইভেট টিউটরদের দ্বারা হোমস্কুল করেছিলেন। ১৭ বছর বয়সে, তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে চলে যান। তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং, নিজের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

সাহিত্যঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাগুলি হল কবিতা, সঙ্গীত, সাহিত্য এছারাও তিনি রং তুলি দিয়ে আঁকতে ভালোবাসতেন। তাঁরউল্লেযোগ্য কবিতার সংকলন হল “গীতাঞ্জলি”। তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্য – মানসী, সোনার তরী, চৈতালী, বলাকা, পুনশ্চ প্রভৃতি; উপন্যাস-চোখের বালি, ঘরে-বাইরে, যোগাযোগ, চতুরঙ্গ প্রভৃতি; নাটক– বিসর্জন, রক্তকরবী প্রভৃতি; ছোটগল্পগ্রন্থ- গল্পগুচ্ছ, এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম লিখে গেছেন। তিনি শুধু একজন কবিই ছিলেন না, সঙ্গীতের একজন প্রখ্যাত রচয়িতাও ছিলেন। তিনি “রবীন্দ্র সঙ্গীত” (ঠাকুরের গান) নামে পরিচিত গানের একটি বিশাল সংগ্রহ তৈরি করেছেন, যার সংখ্যা এখন ২০০০ টিরও বেশি। তিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জন গন মন” রচনা করেন।

উপসংহারঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ আগস্ট, ১৯৪১ সালে মারা যান। তিনি ৮০ বছর বয়সে কলকাতায় (বর্তমানে কলকাতা) তার পারিবারিক জমি জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে মারা যান। ঠাকুরের মৃত্যু একটি যুগের সমাপ্তি চিহ্নিত করেছে, কিন্তু একজন কবি, দার্শনিক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং সাংস্কৃতিক আইকন হিসেবে তাঁর উত্তরাধিকার তাঁর চিরস্থায়ী কাজ এবং সাহিত্য ও শিল্পে অবদানের মাধ্যমে বেঁচে আছে।

আরও পড়ুনঃ

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-১

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-২

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৩

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৪

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৫

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৬

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৭

সপ্তম শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন সেট-৮

📌আরও পড়ুনঃ

সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here

Leave a Reply