আমাদের পৃথিবী
সপ্তম শ্রেণি
সপ্তম শ্রেণির ভূগোল (ষষ্ঠ অধ্যায়) শিলা ও মাটি প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Ch-6 Shila O Mati Question Answer wbbse
সপ্তম শ্রেণির ভূগোল শিলা ও মাটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ, সত্য / মিথ্যা, শূন্যস্থান, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Geography MCQ, True / False, Fill in the blanks, very short, Short, Descriptive type Question and Answer
1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
5. সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : প্রশ্নের মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – শিলা ও মাটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-6 Question Answer wbbse
১. একটি পাললিক শিলার উদাহরণ—
(A) বেলেপাথর
(B) মারবেল পাথর
(C) গ্রানাইট
(D) চুনাপাথর
Ans. (A) বেলেপাথর
২. পলি স্তরে স্তরে জমা হয়ে যে শিলার উৎপত্তি হয়—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
Ans. (A) পাললিক শিলা।
৩. চুনাপাথর বদলে গিয়ে মারবেল-এ পরিণত হয়, তাই মারবেল হল—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
Ans. (C) রুপান্তরিত শিলা
৪. উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল জলবায়ু অঞ্চলে মাটির গভীরতা—
(A) খুব কম
(B) কম
(C) মাঝারি
(D) বেশি
Ans. (D) বেশি
৫. এঁটেল মাটির জলধারণক্ষমতা—
(A) খুব বেশি
(B) বেশি
(C) কম
(D) মাঝারি
Ans. (B) বেশি
৬. মাটি সৃষ্টিতে পরোক্ষ প্রভাব ফেলে—
(A) জলবায়ু
(B) শিলা
(C) ভূপ্রকৃতি
(D) খনিজ পদার্থ
Ans. (C) ভূপ্রকৃতি
৭. কৃষিকাজ সবথেকে ভালো হয়—
(A) আগ্নেয় শিলায়
(B) পাললিক শিলায়
(C) রূপান্তরিত শিলায়
(D) কোনোটিই নয়
Ans. (B) পাললিক শিলায়
৮. ঘরবাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়—
(A) মারবেল
(B) কাদাপাথর
(C) গ্রানাইট
(D) ব্যাসল্ট
Ans. (B) কাদাপাথর
৯. প্রাথমিক শিলার উদাহরণ হল—
(A) গ্রানাইট
(B) বেলেপাথর
(C) শেল
(D) মারবেল
Ans. (A) গ্রানাইট
১০. প্রাকৃতিক শক্তির ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে ক্ষয়িত পদার্থ জমা হয়ে সৃষ্টি করে—
(A) মাটি
(B) রেগোলিথ
(C) কয়লা
(D) সোলাম
Ans. (B) রেগোলিথ
১১. চুনাপাথর বদলে গিয়ে মারবেল-এ পরিণত হয়, তাই মারবেল হল—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
Ans. (C) রুপান্তরিত শিলা
১২. তরমুজ চাষ হয়—
(A) বেলেমাটিতে
(B) এঁটেল মাটিতে
(C) দোআঁশ মাটিতে
(D) হিউমাস মাটিতে
Ans. (A) বেলেমাটিতে
১৩. জলধারণক্ষমতা খুব কম দেখা যায়—
(A) পলিমাটিতে
(B) বেলেমাটিতে
(C) এঁটেল মাটিতে
(D) কৃষ্ণ মাটিতে
Ans. (B) বেলেমাটিতে
১৪. রেগোলিথ থেকে অবশেষে নানা প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়—
(A) শিলা
(B) মাটি
(C) হিউমাস
(D) খনিজ
Ans. (B) মাটি
১৫. পাললিক শিলা সৃষ্টি হয়—
(A) বারিমণ্ডলে
(B) শিলামণ্ডলে
(C) বায়ুমণ্ডলে
(D) জীবমণ্ডলে
Ans. (A) বারিমণ্ডলে
১৬. দোআঁশ মাটির জলধারণক্ষমতা—
(A) খুব বেশি
(B) মাঝারি
(C) কম
(D) বেশি
Ans. (B) মাঝারি
১৭. মাটির দানার মধ্যে ফাঁক কম থাকে—
(A) দোআঁশ মাটিতে
(B) বেলেমাটিতে
(C) এঁটেল মাটিতে
(D) জৈব মাটিতে
Ans. (C) এঁটেল মাটিতে
১৮. বেলেমাটির জলধারণক্ষমতা—
(A) খুব বেশি
(B) বেশি
(C) মাঝারি
(D) কম
Ans. (D) কম
১৯. পরিবেশের একটি অজৈব উপাদান হল—
(A) মানুষ
(B) ব্যাকটেরিয়া
(C) মাটি
(D) কেঁচো
Ans. (C) মাটি
২০. কোন্টি খনিজ পদার্থ নয় ?
(A) খাবার নুন
(B) বিটনুন
(C) ফটকিরি
(D) ডিটারজেন্ট
Ans. (D) ডিটারজেন্ট
২১. উষ্ণ ও বৃষ্টিবহুল জলবায়ুতে মাটি সৃষ্টির হার—
(A) দ্রুত
(B) মাঝারি
(C) ধীর
(D) খুব ধীর
Ans. (A) দ্রুত
২২. আগ্নেয় শিলাকে বলা হয়—
(A) স্তরীভূত শিলা
(B) অস্তরীভূত শিলা
(C) রূপান্তরিত শিলা
(D) পাললিক শিলা
Ans. (B) অস্তরীভূত শিলা
২৩. পৃথিবীর জন্মের পরে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তা হল—
(A) পাললিক শিলা
(B) পলি
(C) আগ্নেয় শিলা
(D) রূপান্তরিত শিলা
Ans. (C) আগ্নেয় শিলা
২৪. আগ্নেয় শিলার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল—
(A) বেলেপাথর
(B) ব্যাসল্ট
(C) কোয়ার্টজাইট
(D) চুনাপাথর
Ans. (B) ব্যাসল্ট
২৫. এঁটেল মাটিতে বায়ুচলাচল ক্ষমতা—
(A) খুব বেশি
(B) বেশি
(C) মাঝারি
(D) খুব কম
Ans. (D) খুব কম
২৬. এঁটেল মাটির জলধারণক্ষমতা—
(A) খুব বেশি
(B) বেশি
(C) কম
(D) মাঝারি
Ans. (B) বেশি
২৭. সৌধ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়—
(A) মারবেল
(B) ব্যাসল্ট
(C) কাদাপাথর
(D) বেলেপাথর
Ans. (A) মারবেল
২৮. ভূপৃষ্ঠের শিলার আলগা আস্তরণকে বলে—
(A) হিউমাস
(B) রেগোলিথ
(C) মাটি
(D) শিলা
Ans. (B) রেগোলিথ
২৯. লাভা সঞ্চিত হয়েছে শিলার উৎপত্তি—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
উত্তরঃ (B) আগ্নেয় শিলা
৩০. ভূগর্ভের তাপেও চাপে যে শিলার সৃষ্টি হয়—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
উত্তরঃ (C) রুপান্তরিত শিলা
৩১. খুব কঠিন ও ক্ষয় প্রতিরোধকারীশীলা হল—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
উত্তরঃ (C) রুপান্তরিত শিলা
৩২. হালকা ও সহজে ভেঙে যায় যে শিলার বৈশিষ্ট্য—
(A) পাললিক শিলা
(B) আগ্নেয় শিলা
(C) রুপান্তরিত শিলা
(D) বদল শিলা
উত্তরঃ (A) পাললিক শিলা
‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
১. পাললিক শিলা (ক) মাটি
২. রূপান্তরিত শিলা (খ) ফাঁক কম
৩. রেগোলিথ (গ) সহজে ভাঙে
৪. এঁটেল মাটি (ঘ) তাজমহল
উত্তরঃ
১. পাললিক শিলা (গ) সহজে ভাঙে
২. রূপান্তরিত শিলা (ঘ) তাজমহল
৩. রেগোলিথ (ক) মাটি
৪. এঁটেল মাটি (খ) ফাঁক কম
সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : প্রশ্নের মান-১
১. মাটিস্থিত বিভিন্ন প্রাণী মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
উত্তরঃ সত্য
২. মাটিতে বাতাস থাকে 25 শতাংশ।
উত্তরঃ সত্য
৩. মারবেল হল চুনাপাথরের পরিবর্তিত রূপ।
উত্তরঃ সত্য
৪. মাটির উৎপত্তিতে প্রাকৃতিক শক্তির কোনো ভূমিকা নেই।
উত্তরঃ মিথ্যা
৫. মাটি জৈব পদার্থ বেশি থাকলে তার রং কালো হয়।
উত্তরঃ সত্য
৬. আগ্নেয় শিলার কাঠিন্য বেশি।
উত্তরঃ সত্য
৭. পলি থেকে পাললিক শিলার উৎপত্তি ঘটে।
উত্তরঃ সত্য
৮. ভূপৃষ্ঠের ওপর কঠিন আবরণকে মাটি বলে।
উত্তরঃ মিথ্যা
৯. শিলার মধ্যে খনিজ দ্রব্য নেই।
উত্তরঃ মিথ্যা
১০. দোঁয়াশ মাটিতে বালি আর কাদা সমান সমান থাকে।
উত্তরঃ সত্য।
শূন্যস্থান পূরন করো : প্রশ্নের মান-১
১. মাটি সৃষ্টি হয় শিলার_________ -এর ফলে।
উত্তরঃ ক্ষয়
২. পলির স্তর জমা হয়ে ________ শিলার উৎপত্তি ঘটে।
উত্তরঃ পাললিক
৩. জীবের মৃত্যুর পর জীবদেহ পচে গেলে মাটির সঙ্গে মিশে _________ উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ জৈব
৪. ভূপৃষ্ঠে আগ্নেয় শিলা প্রতিনিয়ত _________ও চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে বালি, কাঁকর ও নুড়িতে পরিণত হচ্ছে।
উত্তরঃ ক্ষয়প্রাপ্ত
৫. আগ্নেয় ও পাললিক শিলা ভূগর্ভের _________ ও ভূপৃষ্ঠের চাপে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
উত্তরঃ তাপে
৬. ভূত্বক যেসব উপাদান দিয়ে গঠিত তাদের সাধারণ নাম_________ ।
উত্তরঃ শিলা
৭. মাটি পৃথিবীতে_________ ধারক।
উত্তরঃ জীবনের
৮. _________ শক্তির দ্বারা শিলা ভেঙে রেগোলিথের সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক
৯. লাভা সঞ্চিত হয়ে _________ শিলার উৎপত্তি ঘটে।
উত্তরঃ আগ্নেয়
১০. শিলামন্ডলের উপরিভাগে যেখানে আমরা বসবাস করি, তাকে_________ বলে।
উত্তরঃ ভূপৃষ্ঠ।
১১. মাটিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ ______ শতাংশ।
উত্তরঃ ৪৫
১২. মাটিতে জলের পরিমাণ ________ শতাংশ।
উত্তরঃ ২৫
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান-১ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – শিলা ও মাটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-6 Question Answer wbbse
১. পৃথিবীর উপরের কঠিন আবরণটি কী দিয়ে গঠিত ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরের কঠিন আবরণটি শিলা দ্বারা গঠিত।
২. শিলা কাকে বলে ?
উত্তরঃ বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগিক পদার্থ হল শিলা।
৩. শিলা কয়প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ শিলা তিন প্রকার। যথা– আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।
৪. শিলা কীভাবে ভেঙে যায় ?
উত্তরঃ নানা প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যের তাপ, বৃষ্টির আঘাত, বাতাসের ধাক্কা বা নদীর স্রোতের দ্বারা শিলা ভাঙে।
৫. মাটি কয়প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ মাটি তিন প্রকার। যথা- বেলেমাটি, এঁটেল মাটি ও দোআঁশ মাটি ।
৬. রেললাইনে পড়ে থাকা পাথর কী ধরনের শিলা ?
উত্তরঃ রেললাইনে পড়ে থাকা পাথর আগ্নেয় শিলা।
৭. খাবার নুন, খাবার সোডা, বিট নুন, পেনসিলের শিস, ফিটকিরি এই জিনিসগুলো আসলে কী ?
উত্তরঃ এগুলি এক একটি খনিজ পদার্থ।
৮. কোন্ শিলা সবচেয়ে বেশি ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারে ?
উত্তরঃ রূপান্তরিত শিলা সবচেয়ে বেশি ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারে।
৯. কোন্ কোন্ শিলা দিয়ে বাড়িঘর তৈরি হয় ?
উত্তরঃ ঘরবাড়ি তৈরি করতে বেলেপাথর ও কাদাপাথর লাগে।
১০. কোন্ মাটি ফসল ফলানোর জন্য বেশ ভালো ?
উত্তরঃ দোআঁশ মাটি ফসল ফলানোর জন্য বেশ ভালো।
১১. শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কীসে পরিণত হয় ?
উত্তরঃ শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পরিণত হয়।
১২. কোন্ মাটিতে জল দাঁড়ায় না ?
উত্তরঃ বেলেমাটিতে জল দাঁড়ায় না।
১৩. প্রতিমা গড়তে কোন্ মাটি লাগে ?
উত্তরঃ প্রতিমা গড়তে এঁটেল মাটি লাগে।
১৪. চুনাপাথর কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ চুনাপাথর সিমেন্ট তৈরি ও ইস্পাত কারখানায় ব্যবহার করা হয়।
১৫. মার্বেল কোন্ জাতীয় শিলা ?
উত্তরঃ মার্বেল রূপান্তরিত শিলা।
১৬. কোন্ শিলা পৃথিবীতে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়েছে ?
উত্তরঃ আগ্নেয় শিলা।
১৭. রেললাইন বা ট্রামলাইনের ধারে দেখা যায় কোন্ আগ্নেয় শিলা ?
উত্তরঃ ব্যাসল্ট
১৮. কোন্ মাটিতে ফসল বেশি ফলানো যায় ?
উত্তরঃ দোআঁশ মাটিতে
১৯. কোন্ শিলায় স্তর দেখা যায় না ?
উত্তরঃ আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা।
২০. একটি পাললিক শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ চুনাপাথর।
২১. মাটিস্থিত বিভিন্ন প্রাণী (পিঁপড়ে, কেঁচো, ছুঁচো, সাপ) মাটির কী উপকার করে ?
উত্তরঃ মাটিকে আলগা করে।
২২. ভূত্বক গঠনকারী কোন উপাদানটি নানা ধরনের খনিজের সমন্বয়ে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ শিলা
২৩. পৃথিবী সৃষ্টির আদিকালে উৎপত্তি লাভ করেছিল কোন্ শিলা ?
উত্তরঃ প্রাথমিক শিলা বা আগ্নেয় শিলা।
২৪. শিলাচূর্ণের সঙ্গে বিভিন্ন জৈব পদার্থ মিশে কোন্ পদার্থের সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ মাটি।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান- ২/৩ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – শিলা ও মাটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-6 Question Answer wbbse
১. আগ্নেয় শিলা কীভাবে তৈরি হয়েছে? কয়েকটি আগ্নেয় শিলার নাম লেখো।
উত্তরঃ জন্মের সময় পৃথিবী ছিল একটি আগুনের গোলা। পরে ধীরে ধীরে ঠান্ডা ও শক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে আগ্নেয় শিলা। গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট হল আগ্নেয় শিলা।
২. আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ আগ্নেয় শিলা খুবই কঠিন এবং সহজে ভাঙে না। আগ্নেয় শিলা ভূ-গর্ভ ও ভূ-পৃষ্ঠের চাপে অনেক সময় বদলে। গিয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
৩. পাললিক শিলা কীভাবে তৈরি হয়েছে ?
উত্তরঃ বহু বছর ধরে আগ্নেয় শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষয় হয়ে ছোটো ছোটো নুড়ি, কাঁকর ও বালিতে পরিণত হয়। পরে এগুলি আবার নদী বায়ুর দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্রের নীচে পলি রূপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। বহু বছর পরে এগুলি শক্ত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়।
৪. কয়েকটি পাললিক শিলার নাম লেখো। এই শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?
উত্তরঃ কয়েকটি পাললিক শিলা হল বেলেপাথর, কাদাপাথর ও চুনাপাথর। পাললিক শিলায় স্তরভাগ বেশি লক্ষ করা যায়। পাললিক শিলা নরম ও হালকা হয়। এই শিলা কোমল ও নরম তাই সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায়। স্তরে স্তরে এই শিলা সঞ্চিত হয়।
৫. রূপান্তরিত শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?
উত্তরঃ আগ্নেয় ও পাললিক শিলা প্রবল তাপ, চাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়া প্রভৃতি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ও ভূগর্ভের তাপে এবং ভূপৃষ্ঠের চাপে অনেক সময় বদলে যায় এবং রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
৬. রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ রূপান্তরিত শিলা খুবই কঠিন হয়। এই শিলা সহজে ভাঙে না। এই শিলার একটি উদাহরণ হল মার্বেল। বিশ্ববিখ্যাত সৌধ তাজমহল রূপান্তরিত শিলা মার্বেল দিয়ে তৈরি হয়েছে।
৭. মাটিতে কী কী উপাদান থাকে ?
উত্তরঃ খনিজ পদার্থ হল মাটির প্রধান উপাদান। মাটিতে শতকরা 25 শতাংশ বাতাস, 25 শতাংশ জল ও খনিজ পদার্থ থাকে 45 শতাংশ। বাকি 5 শতাংশের মধ্যে থাকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর পচে যাওয়া দেহাংশ, অণু জীব এবং উদ্ভিদের পাতা ও শিকড়।
৮. শিলা থেকে মাটি কীভাবে তৈরি হয় ?
উত্তরঃ নানা প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যের তাপ, বৃষ্টি, বাতাসের ধাক্কা বা নদীর স্রোতের দ্বারা শিলা ভাঙে। এই ভাঙা শিলার টুকরোগুলো সেখানে পড়ে থাকে বা দূরে চলে যায়। ক্রমাগত ক্ষয় হয়ে এই পাথরগুলো অবশেষে মাটিতে পরিণত হয়। তবে এগুলি কোনোটই একদিনে হয় না, মাটি তৈরি হতে বহু বছর সময় লেগে যায়।
৯. পলিমাটি কত প্রকার হয় ? এই মাটি কোথায় দেখা যায় ?
উত্তরঃ পলিমাটি তিন ধরনের হয়। বেলে মাটি, এঁটেল মাটি ও দোআঁশ মাটি। পলিমাটি নদীর ধারে দেখা যায়। পলিমাটি হলেই যে উর্বর হবে তা নয়, নানা ধরনের মাটির নানা রকমের গুণ থাকে।
১০. বেলে মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ বেলে মাটির দানা মোটা। এই মাটিতে জল দাঁড়ায় না। জল ঢাললে মাটি তাড়াতাড়ি টেনে নেয়। বেলে মাটিতে পুষ্টি কম থাকায় ফসল খুব ভালো হয় না।
১১. এঁটেল মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ এঁটেল মাটির দানা সূক্ষ্ম। এই মাটিতে বেশি পরিমাণে জল দাঁড়ায়। কারণ এঁটেল মাটির দানার মধ্যে ফাঁক কম থাকে। এই মাটিতে ফসল ভালো ফলে না। ধান, গম হলেও ফলন কম হয়।
১২. দোআঁশ মাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ দোআঁশ মাটির দানা মাঝারি। এই মাটিতে জল ও অন্য উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকে। তাই চাষবাসের জন্য দোআঁশ মাটিই সবচেয়ে ভালো। সবরকমের ফসলই দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়ে থাকে।
১৩. রেগোলিথ কাকে বলে ?
উত্তরঃ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ যখন ভূমির ওপর এক শিথিল স্তরের সৃষ্টি করে তখন তাকে রেগোলিথ বলা হয়।
১৪. জীবাশ্ম কাকে বলে ?
উত্তরঃ জীবদেহ সমুদ্রগর্ভে পলির সাথে সাথে সঞ্চিত হয়ে পলির নীচে চাপা পড়ে যায়, কালক্রমে শিলা গঠনের সময় ওই জীবদেহ জমাট বেঁধে পাথরে পরিণত হয়। তখন শিলাস্তরে ওই জীবদেহের ছাপ থেকে যায়, একে জীবাশ্ম বলে। হিমালয় পর্বতে এরূপ জীবাশ্ম দেখা যায়।
১৫. শিলাচক্র কী ?
উত্তরঃ ভূগর্ভের অভ্যন্তরের ম্যাগমা ও লাভা বাইরে সজ্জিত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। এই শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়। সেখানে পলির রাশি চাপে পড়ে পাললিক শিলায় পরিণত হয়। এই পাললিক শিলা ও আগ্নেয় শিলা পুনরায় শিলার চাপে, তাপে ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়। এইভাবে ক্রমান্বয়ে শিলা একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হয়। একে শিলাচক্র বলে।
রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান- ৫ | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – শিলা ও মাটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Shila O Mati Ch-6 Question Answer wbbse
১. মাটি তৈরিতে যারা প্রধান ভূমিকা নেয় তাদের অবদান আলোচনা করো।
উত্তরঃ শিলা : ভবিষ্যতে মাটি কেমন হবে তা শিলার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।
জলবায়ু : মাটি তৈরিতে এক বিশেষ ভূমিকা নেয় জলবায়ু। উয় ও বৃষ্টিবহুল জলবায়ুতে মাটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়। আবার শীতল ও শুষ্ক অঞ্চলে মাটি তৈরি হতে সময় লাগে। তাই উয় ও আর্দ্র অঞ্চলে মাটির গভীরতা বেশি হয়।
ভূপ্রকৃতি : ভূমির প্রকৃতি মাটি তৈরিকে প্রভাবিত করে। ভূমির খাড়া ঢালে মাটি সেভাবে তৈরি হয় না। আবার ভূমির ঢাল যেখানে কম, সেখানে ধীরে ধীরে মাটির স্তর তৈরি হতে পারে।
জীবজগৎ : জীবিত ও মৃত উদ্ভিদ বা প্রাণীর অংশ মাটিতে খুব কমই থাকে। কিন্তু কেঁচো, পিঁপড়ে, ছুঁচো, সাপ প্রভৃতি প্রাণীরা মাটিকে আলগা করার ফলে জল ও বাতাস মাটিতে প্রবেশ করে। মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী মাটিতে পুষ্টি জোগায়।
সময় : মাটি একদিনে তৈরি হয় না। হাজার হাজার বছর এমনকি লক্ষ লক্ষ বছরও লেগে যায় মাটি তৈরি হতে।
২. পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় কেন ?
উত্তরঃ পাললিক শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় কারণ— সমুদ্র বা হ্রদের তলায় যখন স্তরে স্তরে পলি জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়, তখন তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মৃত প্রাণীর দেহও চাপা পড়ে এবং পলি জমাট বাঁধার সময় এগুলি ধীরে ধীরে প্রস্তরীভূত হয়ে যায়। পাথরে পরিণত হলেও শিলাস্তরের মধ্যে ওসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাকৃতির ছাপ পড়ে যায়। এজন্য পাললিক শিলার মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীদেহের ছাপযুক্ত জীবাশ্ম দেখা যায়। যেহেতু পাললিক শিলার গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘকাল ধরে চলে তাই সুদূর অতীতে বিভিন্ন সময়ে আবির্ভূত বহু প্রাণীদেহের ছাপ এই পাললিক শিলাস্তরের জীবাশ্মের মাধ্যমে পাওয়া যায়, যা প্রাচীনকালের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ তথা জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের জানতে সাহায্য করে।
৩. মৃত্তিকার শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তরঃ মৃত্তিকা বা মাটির দানার মাপ বড়ো না সূক্ষ্ম অর্থাৎ তার আকার ও গঠনের ওপর ভিত্তি করে মাটিকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, এগুলি হল– (i) বেলে মাটি (ii) এঁটেল মাটি ও (iii) দোআঁশ মাটি।
(i) বেলেমাটি : এই মাটিতে বালির ভাগ বেশি থাকে বেলেমাটির দানা মোটা হয়। এই দানাগুলির মধ্যে ফাঁক বেশি থাকায় এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা অত্যন্ত কম হয়। ফলে জল ঢাললে মাটি তাড়াতাড়ি টেনে নেয়। এই মাটির ওপরের স্তর শুষ্ক ও অনুর্বর হওয়ার কৃষিজ ফসল ও উদ্ভিদ তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য এই মাটি থেকে সংগ্রহ করতে পারে না। তাই বেলেমাটিতে কৃষিজ ফসল ভালো হয় না।
(ii) এঁটেল মাটি : এই মাটিতে কাদার ভাগ বেশি। এই মাটির স্তরে কাদামাটির ও পলির দানা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও ঘনসন্নিবিষ্ট থাকে। এঁটেল মাটির দানার মধ্যে ফাঁক এতই কম যে, জল ঢাললে দাঁড়িয়ে থাকে, ফলে এঁটেল মাটি জলপূর্ণ হলে আঠালো ও কর্দমাক্ত হয় আর জলশূন্য অবস্থায় কঠিন হয়, এই মাটিতে চাষ করা কষ্টকর তবে কোনো কোনো ফসল এই মাটিতে ভালো ফলে।
(iii) দোঁয়াশ মাটি : এই মাটিতে বালি ও কাদার ভাগ সমান সমান। ছোটো ও বড়ো কাদায় বালির কণা এই মাটিতে ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে, এর ফলে দোঁয়াশ মাটিতে জল, বাতাস ও অন্য উপাদান সঠিক মাত্রায় থাকে। সুতরাং এই মাটি উর্বর ও ফসল ফলানোর জন্য বেশ ভালো।