সপ্তম শ্রেণির ভূগোল (পঞ্চম অধ্যায়) নদী প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Nodi Question Answer Ch-5 wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

আমাদের পৃথিবী
সপ্তম শ্রেণি ভূগোল

সপ্তম শ্রেণির ভূগোল (পঞ্চম অধ্যায়) নদী প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Nodi Question Answer Ch-5 wbbse

সপ্তম শ্রেণির ভূগোল নদী (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, সত্য / মিথ্যা, শূন্যস্থান, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 Geography MCQ, True / False, Fill in the blanks, very short, Short, Descriptive type Question and Answer

1. সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

বহু বিকল্পভিত্তিক MCQ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – নদী (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-5 wbbse

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো: মান – ১

১. ভারতের প্রধান নদী গঙ্গানদীর উৎপত্তি—
(A) হিমালয় থেকে
(B) তিব্বতের মানুষ সরোবর
(C) গঙ্গোত্রী হিমবাহ
(D) চেমায়ুং দুং হিমবাহ

Ans. (C) গঙ্গোত্রী হিমবাহ

২. নদী যেখানে মেশে তাকে বলা হয়—
(A) নদী উপত্যকা
(B) মোহানা
(C) অববাহিকা
(D) উৎস

Ans. (B) মোহানা

৩. উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়, তাকে বলে—
(A) নদী অববাহিকা
(B) ধারণ অববাহিকা
(C) জলবিভাজিকা
(D) নদী উপত্যকা

Ans. (D) নদী উপত্যকা

৪. হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গা নদীর—
(A) উচ্চপ্রবাহ
(B) মধ্যপ্রবাহ
(C) নিম্নপ্রবাহ
(D) কোনোটিই নয়

Ans. (B) মধ্যপ্রবাহ

৫. নিম্নপ্রবাহে নদীর গতিবেগ বেশি থাকলে সৃষ্টি হয়—
(A) বদ্বীপ
(B) দোয়াব
(C) খাঁড়ি
(D) নদী-দ্বীপ

Ans. (C) খাঁড়ি

৬. নদীর ক্ষয়কার্যের দ্বারা গভীর ও সংকীর্ণ উপত্যকার সৃষ্টি হয়—
(A) বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে
(B) শুষ্ক অঞ্চলে
(C) সমভূমি অঞ্চলে
(D) মালভূমি অঞ্চলে

Ans. (B) শুষ্ক অঞ্চলে

৭. শুষ্ক অঞ্চলে সুগভীর নদী উপত্যকাকে বলে—
(A) গিরিখাত
(B) ক্যানিয়ন
(C) জলপ্রপাত
(D) মিয়েন্ডার

Ans. (B) ক্যানিয়ন

৮. পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে জল থাকে—
(A) শরৎকালে
(B) শীতকালে
(C) গ্রীষ্মকালে
(D) সারাবছর

Ans. (D) সারাবছর

৯. গঙ্গার একটি শাখানদী হল—
(A) নর্মদা তাপ্তী
(B) যমুনা-সোন
(C) ভাগীরথী-হুগলি
(D) কোশী-ঘর্ঘরা

Ans. (C) ভাগীরথী-হুগলি

১০. নদীপথের ঢাল বাড়লে নদীর শক্তি—
(A) বাড়ে
(B) কমে
(C) ক্ষয় হয়
(D) একই থাকে

Ans. (A) বাড়ে

১১. একটি আন্তর্জাতিক নদীর নাম হল—
(A) লুনি
(B) নর্মদা
(C) আমুদরিয়া
(D) সিন্ধু

Ans. (D) সিন্ধু

১২. প্লাবনভূমি লক্ষ করা যায়—
(A) মধ্যপ্রবাহে
(B) নিম্নপ্রবাহে
(C) উচ্চপ্রবাহে
(D) নাতি উচ্চপ্রবাহে

Ans. (B) নিম্নপ্রবাহে

১৩. পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল থাকে—
(A) খুব বেশি
(B) মধ্যম
(C) খুব কম
(D) বেশি

Ans. (A) খুব বেশি

১৪. নদীর বদ্বীপ সৃষ্টি হয়—
(A) নিম্নপ্রবাহে
(B) মধ্যপ্রবাহে
(C) পার্বত্যপ্রবাহে
(D) উৎস অঞ্চলে

Ans. (A) নিম্নপ্রবাহে

১৫. পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রধান কাজ—
(A) বহন করা
(B) ক্ষয় করা
(C) সঞ্চয় করা
(D) নোংরা পরিস্কার করা

Ans. (B) ক্ষয় করা

১৬. ‘V’ আকৃতির উপত্যকা দেখতে পাওয়া যায় নদীর—
(A) উচ্চগতিতে
(B) মধ্যগতিতে
(C) নিম্নগতিতে
(D) উচ্চ ও মধ্যগতিতে

Ans. (A) উচ্চগতিতে

১৭. যার সঙ্গে নিম্নপ্রবাহকে তুলনা করা হয়—
(A) বৃদ্ধ
(B) যুবক
(C) কিশোর
(D) শিশুর

Ans. (A) বৃদ্ধ

১৮. নদীর শক্তি হ্রাস পেলে বাড়ে—
(A) ক্ষয়
(B) বহন
(C) সঞ্চয়
(D) ক্ষয় ও বহন

Ans. (C) সঞ্চয়

১৯. আদর্শ নদীর গতিপথকে ভাগ করা হয়—
(A) 2টি ভাগে
(B) 3টি ভাগে
(C) 4টি ভাগে
(D) 5টি ভাগে

Ans. (B) 3টি ভাগে

২০. উচ্চপ্রবাহকে তুলনা করা হয়—
(A) বৃদ্ধ
(B) যুবক
(C) কিশোর
(D) শিশুর সঙ্গে

Ans. (B) যুবক

২১. নদীর দুকূলে পলি জমে গড়ে ওঠে—
(A) লোয়েস সমভুমি
(B) প্লাবন সমভূমি
(C) বদ্বীপ
(D) নদী-দ্বীপ

Ans. (B) প্লাবন সমভূমি

২২. নদীর মধ্যপ্রবাহে সৃষ্টি হয়—
(A) গিরিখাত
(B) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ
(C) বদ্বীপ
(D) প্লাবনভূমি

Ans. (B) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

২৩. পার্বত্য প্রবাহে নদীর শক্তির পরিমাণ—
(A) বেশি
(B) কম
(C) মাঝারি
(D) খুব কম

Ans. (A) বেশি

২৪. ‘I’ আকৃতির উপত্যকা দেখা যায়—
(A) মালভূমি অঞ্চলে
(B) পার্বত্য অঞ্চলে
(C) সমভূমি অঞ্চলে
(D) বদ্বীপ অঞ্চলে

Ans. (B) পার্বত্য অঞ্চলে

২৫. পার্বত্য অঞ্চলের নদীগুলিতে জল থাকে—
(A) সারাবছর
(B) শীতকালে
(C) গ্রীষ্মকালে
(D) শরৎকালে

Ans. (A) সারাবছর

বহু বিকল্পভিত্তিক MCQ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – নদী (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-5 wbbse

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : প্রশ্নের মান- ১

১. নদী যেখানে সৃষ্টি হয় সেই জায়গাকে নদীর উৎস বলে।

উত্তরঃ সত্য।

২. পার্বত্য অঞ্চলে নদী খুবই আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়।

Ans. মিথ্যা। (সমভূমি অঞ্চলে)

৩. নদীর মধ্য প্রবাহে ক্ষয় কাজ খুব বেশি হয়।

Ans. মিথ্যা। (উচ্চপ্রবাহে)

৪. পার্বত্য অঞ্চলে নদী উপত্যকা ‘U’ আকৃতির হয়।

Ans. মিথ্যা (‘I’ বা ‘V’ অক্ষরের মতো)।

৫. আর্দ্র অঞ্চলের সুগভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলে।

Ans. মিথ্যা (শুষ্ক অঞ্চলের সুগভীর গিরিখাতকে)

৬. একই নদী অববাহিকার পাশাপাশি প্রবাহিত দুটো নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে দোয়াব বলা হয়।

উত্তরঃ সত্য।

৭. ইউরোপের রাইন নদী হল একটি আন্তর্জাতিক নদী।

উত্তরঃ সত্য।

৮. সব নদীতেই উচ্চ, মধ্য এবং নিম্ন প্রবাহ দেখা যায়।

উত্তরঃ মিথ্যা।

৯. নদীর নিম্ন প্রবাহে প্রধানত বহন এবং সঞ্চয় কাজ হয়ে থাকে।

উত্তরঃ মিথ্যা। (মধপ্রবাহে হয়ে থাকে)

১০. নদীর দুধারের বিস্তীর্ণ জমিতে বন্যার সময় পল্লী সঞ্চিত হয়ে উর্বর প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ সত্য।

১১. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাজনের কোন ব দ্বীপ নেই।

উত্তরঃ সত্য।

১২. পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ৭০% স্থানে কমবেশি নদীর কাজ দেখা যায়।

উত্তরঃ মিথ্যা। (৬০%)

বহু বিকল্পভিত্তিক MCQ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – নদী (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-5 wbbse

শূন্যস্থান পূরণ করো : প্রশ্নের মান- ১

১. _________নদীর অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা।

Ans. আমাজন

২. নদীর _________ প্রবাহে ‘V’ আকৃতির সরু ও গভীর উপত্যকা সৃষ্টি হয়।

Ans. পার্বত্য

৩. _________ প্রবাহে নদীতে শাখানদীর সৃষ্টি হয়।

Ans. নিম্ন

৪. ভূমির ঢাল কমে গেলে নদীর গতিবেগ _________।

Ans. কমে

৫. নদীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে _________ বলে।

Ans. মিয়েন্ডার

৬. চওড়া ও অগভীর নদী উপত্যকা দেখা যায়_________।

Ans. নিম্ন প্রবাহে

৭. নদী উপত্যকার পরিণত বা প্রৌঢ় অবস্থা নদীর _________প্রবাহে দেখা যায়।

Ans. সমভূমি

৮. মূলনদী থেকে যে নদী বেরিয়ে যায়, তাকে _________ বলে।

Ans. শাখানদী

৯. নদীর নিম্নপ্রবাহে উল্লেখযোগ্য ভূমিরূপ হল প্লাবনভূমি ও _________ ।

Ans. বদ্বীপ

১০. _______ নদের তীরে মিশরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।

উত্তরঃ নীল।

১১. নদীর জল ওপর থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে ________ সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ জলপ্রপাত।

১২. নদীর দু’ধারে বন্যার সময় পলি সঞ্চিত হয়ে ________ সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ প্লাবনভূমি।

বহু বিকল্পভিত্তিক MCQ প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – নদী (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-5 wbbse

এক কথায় উত্তর দাও : প্রশ্নের মান- ১

১. ভারতের সরাবতী নদীর ‘যোগ’ জলপ্রপাত (উচ্চতা 260 মিটার) কোন্ পর্বতে দেখা যায়‌ ?

উত্তরঃ পশ্চিমঘাট পর্বতে।

২. যে নদী প্রধান নদীতে মিলিত হয়, তাকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ উপনদী।

৩. কোন্ প্রবাহে নদী মূলত সঞ্চয়কার্য করে ?

উত্তরঃ নিম্নপ্রবাহে

৪. যে নদীর গতিপথে তিনটি প্রবাহ স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, তাকে কী বলে ?

উত্তরঃ আদর্শ নদী

৫. শুষ্ক অঞ্চলের সুগভীর গিরিখাত কী নামে পরিচিত ?

উত্তরঃ ক্যানিয়ন।

৬. যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে ওই দেশেরই কোনো জলাশয়ে পড়ে, তাকে কী বলে ?

উত্তরঃ অন্তর্বাহিনী নদী।

৭. কোন্ প্রবাহে নদীর শক্তি খুব বেশি ?

উত্তরঃ উচ্চপ্রবাহে।

৮. নদীর শাখানদী সাধারণত কোন্ প্রবাহে দেখা যায় ?

উত্তরঃ নিম্নপ্রবাহে

৯. যে স্থান থেকে নদী উৎপন্ন হয়, তাকে কী বলে ?

উত্তরঃ উৎস।

১০. কোন্ অঞ্চলে নদীর ধারণ অববাহিকা দেখা যায় ?

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলে।

১১. নদী তার জলশ্রুতের ধাক্কায় মাটি বালি ছোট বড় নারী এমন কি বড় বড় পাথর সবই যত্ন করে এগিয়ে চলে, এটা নদীর কী কাজ ?

উত্তরঃ ক্ষয় কাজ।

১২. নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি সবই নদীর স্রোতের সঙ্গে উঁচু থেকে নিচু অঞ্চলের দিকে বয়ে চলে, এটা নদীর কী কাজ ?

উত্তরঃ বহন কাজ।

১৩. উৎসের কাছাকাছি প্রচন্ড শক্তিতে নদী দুরন্ত গতিতে বয়ে চলে। নদীর এই প্রবাহের নাম কি ?

উত্তরঃ উচ্চপ্রবাহ।

১৪. মানচিত্রে নিত্যবহ নদীকে দেখাতে কোন রং ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ নীল রং

১৫. মানচিত্রে অনিত্যবহ নদীকে দেখাতে কোন রং ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ কালো রং

১৬. মধ্য প্রবাহে নদীর কোন কাজ লক্ষ্য করা যায় ?

উত্তরঃ বহন ও সঞ্চয় কাজ করে থাকে।

১৭. নিম্ন প্রবাহে নদী মূলত কোন কাজ করে ?

উত্তরঃ সঞ্চয় কাজ

১৮. বৃষ্টিহীন শুষ্ক অঞ্চলে গভীর ও খাড়া ঢাল বিশিষ্ট নদী উপত্যকা গুলিকে কি বলা হয় ?

উত্তরঃ ক্যানিয়ন

১৯. নদী যেখানে গিয়ে শেষ হয়, তাকে কী বলে ?

উত্তরঃ নদীর মোহনা

২০. পৃথিবীর বৃহত্তম নদীর নাম কি ?

উত্তরঃ আমাজন নদী

২১. প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা কোন নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ?

উত্তরঃ নীলনদের তীরে

২২. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উত্তরঃ নীলনদ

২৩. দক্ষিণ আমেরিকার দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উত্তরঃ আমাজন

২৪. এশিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম কী ?

উত্তরঃ ইয়াংসি কিয়াং

২৫. উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উত্তরঃ মিসিসিপি

২৬. ইউরোপের দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উত্তরঃ ভলগা নদী

২৭. ওশিয়ানিয়ার দীর্ঘতম নদী কোনটি‌ ?

উত্তরঃ মারেডার্লিং

২৮. নদীর উৎস কাকে বলে ?

উত্তরঃ নদী যেখানে সৃষ্টি হয়, সেই জায়গাকেই নদীর উৎস বলে।

২৯. নদীর জল প্রবাহের পরিমাণের একক কী?

উত্তরঃ নদীর জল প্রবাহের পরিমাণের একক কিউসেক।

৩০. নদীর উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ উৎস’ থেকে ‘মোহানা’ পর্যন্ত যে খাতের মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় তাকে নদীর উপত্যকা বলে।

৩১. পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো বদ্বীপ কী?

উত্তরঃ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বদ্বীপ হল গঙ্গানদীর বদ্বীপ।

৩২. ‘দোয়াব’ কথার অর্থ কী?

উত্তরঃ ‘দো’ মানে দুই ও ‘আব’ মানে জল/নদী। দোয়াব অর্থাৎ দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান।

৩৩. কোথা থেকে গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে ?

উত্তরঃ গঙ্গোত্রী হিমবাহের ‘গোমুখ’ থেকে ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে।

৩৪. গঙ্গা নদীর মোহানা কোথায় ?

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে গঙ্গা নদীর মোহানা।

৩৫. গঙ্গার প্রধান দুটি শাখানদী কী কী ?

উত্তরঃ গঙ্গার প্রধান দুটি শাখানদী হল ভাগীরথী ও পদ্মা।

৩৬. একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীকে কী বলে?

উত্তরঃ একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীকে আন্তর্জাতিক নদী বলে।

৩৭. আবদ্ধ শৈলশিরা কোন্ অংশে গঠিত হয়?

উত্তরঃ আবদ্ধ শৈলশিরা নদীর পার্বত্য প্রবাহে গঠিত হয়।

৩৮. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা কোনটি ?

উত্তরঃ আমাজন নদীর অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম অববাহিকা।

৩৯. গঙ্গা নদীর উচ্চপ্রবাহ কতদূর পর্যন্ত দেখা যায় ?

উত্তরঃ উত্তরাখণ্ডের গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গানদীর উচ্চ প্রবাহ দেখা যায়।

৪০. গঙ্গা নদীর উৎসস্থল কোথায় ?

উত্তরঃ হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের ‘গোমুখ’ গুহা থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি ঘটে।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – নদী (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-5 wbbse

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান- ২/৩

১. আদর্শ নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে নদীতে তিনটি গতি অর্থাৎ উচ্চগতি, মধ্যগতি, নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়, তাকেই আদর্শ নদী বলে।যেমন– গঙ্গানদী।

২. নদীর সৃষ্টি হয় কীভাবে ?

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন দিক থেকে প্রবাহিত ছোটো ছোটো জলাধারগুলো যখন পরস্পর মিলিত হয়ে অনুসারে উঁচু থেকে নীচু স্থানের দিকে বয়ে চলে তখনই নদীর সৃষ্টি হয়।

৩. গঙ্গা নদীর উচ্চ প্রবাহের বিস্তৃতি উল্লেখ করো ?

উত্তরঃ গঙ্গা নদীর উচ্চ প্রবাহ গঙ্গা নদীর উৎস স্থল গোমুখ গুহা থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত।

৪. গঙ্গা নদীর মধ্য প্রবাহের বিস্তৃতি কত দূর অবধি ?

উত্তরঃ হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের মিঠি পুর পর্যন্ত গঙ্গা নদীর মধ্য প্রবাহ বিস্তৃত।

৫. নদী তার সুদীর্ঘ গতিপথে কি কি কাজ করে ?

উত্তরঃ নদী তার সুদীর্ঘ গতিপথে ক্ষয় কাজ, বহন কাজ ও সঞ্চয় কাজ করে থাকে।

৬. বদ্বীপ কাকে বলে ?

উত্তরঃ নদী বাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি, কাদা নদীর মোহনা অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে বাংলা মাত্রাহীন 𝝙 এর মতো যে ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে বদ্বীপ বলে।

৭. নদী অববাহিকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ নদী তার উপনদী, শাখানদী সহ উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই বিস্তীর্ণ ভূমিভাগকে নদী অববাহিকা বলে।

৮. মোহানা কাকে বলে ?

উত্তরঃ নদী যেখানে গিয়ে শেষ হয় অর্থাৎ কোনো সাগর, উপসাগর, হ্রদ, জলাশয় বা অন্য কোনো নদীতে গিয়ে মেশে, সেই জায়গাকেই নদীর মোহানা বলে।

৯. ধারণ অববাহিকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ পর্বতের বরফগলা জল বা বৃষ্টির জল অসংখ্য ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে গিয়ে বড়ো নদী তৈরি হয়। এই জলধারাসহ মূল নদীটি যে বিরাট অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলটিকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলা হয়।

১০. জলবিভাজিকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোনো পাহাড়ের চূড়ার অংশটি বৃষ্টির জলকে বিভিন্ন দিকে ভাগ করে বা বিভাজন করে, তাই তাকে জলবিভাজিকা বলে। জলবিভাজিকার বিভিন্ন দিকে বয়ে যাওয়া জল একাধিক ছোটো ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে গিয়ে, মিলিত হয়ে মূল নদী তৈরি করে।

১১. উপনদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ উঁচু স্থানে উৎপন্ন হয়ে কোনো ছোট নদী যখন কোন একটি বড়ো নদীতে এসে মিলিত হয়, তখন সেই ছোট নদীটিকে বড়ো নদীর উপনদী বলা হয়। যেমন – যমুনা, গণ্ডক, গঙ্গা নদীর উপনদী।

১২. শাখা নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ মূল বা বড়ো নদী থেকে কোন নদী উৎপন্ন হয়ে যখন বাইরের দিকে প্রবাহিত হয়ে অন্য নদীতে বা সাগরে গিয়ে মেশে তাকে মূল নদীর শাখা নদী বলে। যেমন – ভাগীরথী হুগলি হল গঙ্গা নদীর শাখা নদী।

১৩. নদী উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদী যে খাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে নদীর উপত্যকা বলে। নদী উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির হয়ে থাকে।

১৪. অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সব নদী কোন দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যেই কোন বড়ো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। এই সব নদী সমুদ্রে পতিত হয় না। যেমন- ভারতের লুনি নদী একটি অন্তর্বাহিনী নদী।

১৫. আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ?

উত্তরঃ যে সব নদী একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক নদী বলে। যেমন – গঙ্গা নদী, ব্রহ্মপুত্র নদী।

১৬. নিত্যবহ নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ উঁচু পার্বত্য অঞ্চলের বরফ গলা জলে পুষ্ট যে সব নদীতে সারা বছর জল থাকে, তাকে নিত্য বহ নদী বলে। যেমন- ভারতের গঙ্গা, সিন্ধু, তিস্তা প্রভৃতি।

১৭. অনিত্যবহ নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সব নদীতে সারা বছর জল থাকে না, তাদের অনিত্যবহ নদী বলে। সাধারণত মালভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের দরুন যে সব নদীর সৃষ্টি হয় সেগুলি তে বর্ষা কাল ব্যতীত অন্য সময় জল প্রবাহ থাকে না বলে, এই নদী গুলিকে অনিত্য বহ নদী বলা হয়।

১৮. নদীর সমগ্র গতিপথকে কয়টি পর্যায়ে ভাগ করা হয় ও কি কি ?

উত্তরঃ উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত একটি বড়ো নদীর সমগ্র গতিপথ কে নদীর ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কার্যের তারতম্য অনুসারে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। যথা- নদীর উচ্চ প্রবাহ, মধ্য প্রবাহ ও নিম্ন প্রবাহ।

১৯. উচ্চ প্রবাহে নদীর কোন কাজের প্রাধান্য দেখা যায় ?

উত্তরঃ উচ্চ প্রবাহে নদী পার্বত্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে ভূমির ঢাল বেশি, তাই এই অংশে নদীর ক্ষয় কাজের প্রাধান্য দেখা যায়।

২০ গিরিখাত কাকে বলে ?

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদীর নিম্ন ক্ষয় বেশি হয়, তাই নদীর উচ্চ প্রবাহে নদী উপত্যকা গুলি খুব গভীর ও খাড়া ইংরেজি ‘I’ ও ‘V’ আকৃতির মতো দেখতে হয়, এগুলিকে গিরিখাত বলে।

২১. উচ্চগতিতে নদী উপত্যকা ‘V’ আকৃতির হয় কেন ?

উত্তরঃ উচ্চগতিতে নদীর স্রোতের সঙ্গে নানা ছোটো-বড়ো পাথর নদীর তলায় ধাক্কা দিয়ে ক্ষয় করে। এই ক্ষয়ের ফলে নদী উপত্যকা চওড়া না-হয়ে গভীর হয়। এই গভীর নদী উপত্যকা ইংরেজি ‘V’ আকৃতির দেখতে হয়।

২২. সব নদী মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি করতে পারেনা কেন ?

উত্তরঃ নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয়কাজ বেশি হয়। নদীর দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত পলি, কাদা, নুড়ি, বালি ইত্যাদি বয়ে এসে মোহানায় সজ্জিত হয়ে ব-দ্বীপ গঠন করে। অনেক নদীতে নিম্নগতি দেখা যায় না বা নদী দ্বারা বাহিত শিলাখণ্ডের পরিমাণও খুব বেশি হয় না। নদীতে জলের স্রোত খুব বেশি থাকলেও নদীর মোহানায় ব-দ্বীপ গঠিত হয় না। এই কারণেই পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাজনের কোনো ব-দ্বীপ নেই।

২৩. অন্তর্বাহিনী নদী ও আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। ভারতের লুনি, রাশিয়ার আমুদরিয়া অর্ন্তবাহিনী নদী। যেসব নদী একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তাদের আন্তর্জাতিক নদী বলে। যেমন— সিন্ধু, ব্রষ্মপুত্র, ইউরোপের রাইন, দানিয়ুব প্রভৃতি আন্তর্জাতিক নদী ।

২৪. গিরিখাত (Gorge) ও ক্যানিয়ন (Cannyon) কাকে বলে ?

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলে নদীর উপত্যকা খুব সরু ও গভীর হলে ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির মতো দেখতে হলে তাকে গিরিখাত বলে। যেমন পরুর এল ক্যানন দ্য কলরম। বৃষ্টিহীন পার্বত্য অঞ্চলে ও শুষ্ক অঞ্চলে এরকম সুগভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।

২৫. খাঁড়ি কী ?

উত্তরঃ কিছু নদীর মোহানায় জোয়ারের সময় সমুদ্রের নোনা জল মোহানার ভেতর দিয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। আবার ভাটার সময় সমুদ্রে জল নেমে আসে। এভাবে চওড়া মোহানা বা খাঁড়ির সৃষ্টি হয়। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের প্রচুর নদীতে এরকম খাঁড়ি দেখা যায়।

২৬. জলপ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ নদীর গতিপথে কঠিন ও নরম শিলা আনুভূমিকভাবে অবস্থান করলে নদী নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে, তাই শক্ত ও নরম পাথরের মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয়। তখন নদী শক্ত পাথরের উপর থেকে নীচে পাথরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। একে জলপ্রপাত বলে।

২৭. ব-দ্বীপ (Delta) কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ নদীর মোহনার কাছে নদীর বহন করে আনা পলি, বালি, কাঁকর জমা হয়ে চড়া সৃষ্টি হয়। নদীর স্রোত তখন ভাগ হয়ে চড়ার দুদিক দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এর ফলে প্রায় ত্রিভুজের মতো বা বাংলার মাত্রাহীন ‘ব’ অক্ষরের মতো যে বিস্তীর্ণ সমতল ভূভাগ বা দ্বীপ সৃষ্টি হয় তাকেই ব-দ্বীপ বলে। যেমন গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত ব-দ্বীপ সমভূমি।

২৮. অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ নদীর মধ্য ও নিম্ন প্রবাহে ভূমির ঢাল খুব কম থাকায় নদী ধীর গতিতে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ নদীতে বাঁকের সৃষ্টি হয়। এর পর কোন কারণ বশত নদীতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, নদী তার বাঁকা পথ ছেড়ে সোজা পথে চলতে শুরু করে। তখন নদী বাঁকের অবশিষ্ট অংশ ঘোড়ার খুরের মতে বিচ্ছিন্ন হ্রদের আকারে অবস্থান করে, একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।

২৯. মিয়েন্ডার কাকে বলে ?

উত্তরঃ নদীর মধ্যপ্রবাহে বেগ কমে যাওয়ার ফলে নদী ধীর গতিতে চলতে থাকে। এই অবস্থায় সামান্য বাধা এলে নদী আঁকাবাঁকা পথ সৃষ্টি করে চলতে থাকে। একে মিয়েন্ডার বা নদী বাঁক বলে।

৩০. নিত্যবহ নদী কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সব নদী উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয় তার জলের উৎস বেশির ভাগই বরফ গলা জল। এই নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকে বলে এদের নিত্যবহ নদী বলে। যেমন– গঙ্গানদী।

৩১. অনিত্যবহ নদী কাদের বলে ?

উত্তরঃ মালভূমি বা অন্য কোনো কম উঁচু জায়গায় সৃষ্টি হওয়া নদীগুলির জলের উৎস বৃষ্টির জল। এই কারণে বর্ষাকাল ছাড়া এই নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকে না। তাই এই নদীগুলিকে অনিত্যবহ নদী বলে। যেমনঃ ময়ূরাক্ষী নদী।

৩২. কীভাবে নদী জলচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে ?

উত্তরঃ বৃষ্টির জল নদীর মধ্য দিয়ে সাগরে গিয়ে পড়ে। সেই সাগরের জল বাষ্পীভূত হয়ে আবার বৃষ্টিরূপে নদীতে ফিরে আসে। এভাবেই নদী জলচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে।

৩৩. পৃথিবীর সব জায়গায় কি নদীর কাজ ও তিনটি প্রবাহ দেখা যায় ?

উত্তরঃ পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ৬০ শতাংশ স্থানে কম বেশি নদীর কাজ দেখা যায়। সব নদীতেই উচ্চ, মধ্য ও নিম্নপ্রবাহ এই তিনটি প্রবাহ দেখা যায় না।

৩৪. নদী কখন প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে ?

উত্তরঃ নিম্নপ্রবাহে নদীর মধ্যে পলি, বালি, কাকর জমে নদী অগভীর হয়ে যায়, ফলে বর্ষার অতিরিক্ত জল দুকুল ছাপিয়ে। বন্যার সৃষ্টি হয় এবং বন্যার সময় নদী তার দুধারে বিস্তীর্ণ জমিতে পলি সঞ্চিত করে এবং উর্বর প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে। চীনের হোয়াংহো নদীর নিম্নগতিতে এরূপ প্লাবনভূমি দেখা যায়।

রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ভূগোল – নদী (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 Geography Question Answer Ch-5 wbbse

রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর : প্রশ্নের মান- ৫

১. নদীর কাজগুলি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ নদী মূলত বয়ে যাওয়া জলধারা। সে তার চলার পথে ক্ষয়কাজ, বহনকাজ ও সঞ্চয়কাজ— এই তিন রকমের কাজ করে। নদীর এই তিন প্রকার কাজ নির্ভর করে নদীর শক্তির ওপর।

ক্ষয়কাজ— নদী তার জলস্রোতের ধাক্কায় মাটি, বালি, ছোটো বড়ো নুড়ি, এমনকি বড়ো পাথর সবই চূর্ণ করে ভাসিয়ে নিয়ে চলে। এটাই নদীর ক্ষয়কাজ।

বহনকাজ— চূর্ণ করা এইসব নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি সবই নদীর স্রোতের সঙ্গে উঁচু থেকে নীচু অঞ্চলের দিকে বয়ে চলে। এটাই নদীর বহনকাজ।

সঞ্চয়কাজ— নদীর স্রোত কমে গেলে এইসব বহন করা পদার্থগুলি নদীর পাশে বা নদীর মধ্যে জমা হতে থাকে। এটাই নদীর সয়কাজ।

2. নদীর উচ্চপ্রবাহ কাকে বলে ? এই প্রবাহে নদী কী কী কাজ করে ?

উত্তরঃ কোনো নদী যখন তার উৎস থেকে পার্বত্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্রবেগে প্রবাহিত হয় তখন নদীর ওই গতিকে উচ্চপ্রবাহ বলে। উৎস থেকে সমতলভূমিতে নামার আগে পর্যন্ত নদীর উচ্চপ্রবাহ। ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার উচ্চপ্রবাহ গঙ্গোত্রীর গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল ও বন্ধুরভাব বেশি হওয়ার জন্য নদীর শক্তি বেশি থাকে।

নদীর উচ্চপ্রবাহে কাজ— এই প্রবাহে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়। নদীর স্রোতের সঙ্গে ছোটো বড়ো পাথরগুলি নদীর তলায় ধাক্কা দিয়ে ক্ষয় করে। ফলে নদীর উপত্যকা গভীর হয়। এই সরু ও গভীর নদী উপত্যকা দেখতে হয় ইংরেজি ‘I’ ও ‘V’ অক্ষরের মতো। একে গিরিখাত বলে। নদীর গতিপথে নদী নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে। ফলে শক্ত ও নরম পাথরের মধ্যে ধাপের সৃষ্টি হয়, আর নদী উপর থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে জলপ্রপাত সৃষ্টি করে।

3. নদীর মধ্যপ্রবাহ কাকে বলে ? এই প্রবাহে নদীর কাজগুলি লেখো।

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী যখন সমভূমির ওপর দিয়ে বয়ে যায় তখন নদীর গতিকে মধ্যপ্রবাহ বলা হয়। মালভূমি বা সমভূমি অঞ্চলে নদীর মধ্যপ্রবাহ দেখা যায়। হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের মিঠিপুর পর্যন্ত গঙ্গানদীর মধ্যপ্রবাহ। মধ্যপ্রবাহে ভূমির ঢাল কম থাকায় নদীর গতি এবং শক্তি দুই-ই কমে যায়। এসময় নদী প্রধানত বহন ও সময়কাজ করে।

নদীর মধ্যপ্রবাহে কাজ— এসময় নদীর নীচের দিকে ক্ষয় না হওয়ার ফলে নদীর গভীরতা কমে এবং প্রচুর উপনদীর মাধ্যমে জলের পরিমাণ বাড়ে। নদী খুবই আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়ে মিয়েন্ডার সৃষ্টি করে। বয়ে আনা পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর নদীর দুধারে বা মাঝে সজ্জিত হয়। নদীতে চড়া পড়ে কখনও নদী-দ্বীপ তৈরি হয়। নদীতে কাঁকরের পরিমাণ বা জল বাড়লে বাঁকের একটা অংশ মূল নদী থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই আলাদা অংশটি দেখতে ঘোড়ার খুরের মতো হয় একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

4. নদীর নিম্নপ্রবাহ কাকে বলে ? এই প্রবাহে নদীর কাজগুলি লেখো।

উত্তরঃ নদী যখন সাগরের কাছাকাছি সমভূমিতে প্রবাহিত হয়ে মোহনা অঞ্চলে এসে পড়ে তখন তার যে প্রবাহ দেখা যায় তাকে নদীর নিম্নগতি বা নিম্নপ্রবাহ বলে। উচ্চ ও মধ্যপ্রবাহের পর অত্যন্ত মৃদু ভূমিঢালের ওপর দিয়ে নদী মোহানা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এটিই নদীর নিম্ন প্রবাহ। মুরশিদাবাদের মিঠিপুরের পর থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহানা পর্যন্ত গঙ্গানদীর নিম্নপ্রবাহ।

নদীর নিম্নপ্রবাহে কাজ— এই সময় নদীর গতি এবং শক্তি একেবারেই কমে যায়। তখন সামান্য বহন কাজ হলেও নদীর মূল কাজ হয় সঞ্চয়। এই প্রবাহে নদী শাখানদী সৃষ্টি করে। নদীর মধ্যে পলি, বালি, কাঁকর জমে অগভীর নদী বর্ষায় দুকূল ছাপিয়ে যায়। নদীর দু’ধারের বিস্তীর্ণ জমিতে পলি সঞ্চয় করে নদী প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে। মোহানার কাছে নদীর চড়া সৃষ্টি হয়। নদীর স্রোত তখন ভাগ হয়ে চড়ার দু’দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ত্রিভুজের মতো ব-দ্বীপ সৃষ্টি করে।

5. ‘নদীর স্বাভাবিক ছন্দ মানুষই নষ্ট করেছে— আলোচনা করো।

উত্তরঃ মানুষের জীবনের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক নিবিড় হলেও মানুষের কিছু কিছু কাজ নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করে চলেছে। মানুষের কৃষি ব্যবস্থার প্রসার, শিল্পায়ন, নগরায়ন প্রভৃতি নানাভাবে নদীকে প্রভাবিত করেছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর ওপর কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করে মানুষ সাময়িক সুফল পেলেও শেষপর্যন্ত তা আরও ভয়াবহ বন্যার কারণ হয়ে উঠেছে। একদিকে কৃষিজমি থেকে ধুয়ে আসা পলিতে নদী ক্রমশ ভরাট হচ্ছে অন্যদিকে সেচের জলের জোগান দিয়ে নদী ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। শহর ও শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য জল নদীতে মিশে গিয়ে নদীর জল ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে।

6. আমাদের জীবনে নদীর প্রভাব কতখানি তা বুঝিয়ে লেখো ?

উত্তরঃ নদীমাতৃক এই দেশের নদীগুলি আসলে আমাদের জীবনকথা। এই নদীগুলি শুধু ভূগোল বা ইতিহাস নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নানাভাবে এরা জড়িয়ে আছে। জীবন ও জীবিকায় নদীর ভূমিকা অপরিসীম। নদীকে ঘিরেই বিশ্বের প্রতিটি শহর, বন্দর, নগর, বাজার প্রভৃতি গড়ে উঠেছে। নদ-নদীই মানুষের খাদ্য ও রোজগার এর প্রধান উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

মানুষের প্রাচীনতম সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা প্রভৃতি গড়ে উঠেছিল কোনো-না-কোনো নদীর ধারে। বর্তমানে আমাদের দেশের গঙ্গা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের যে বিশাল সমভূমি, চিনের হোয়াংহো ও ইয়াং-সিকিয়াং নদীর উপত্যকা সবই পৃথিবীর জনবহুল অঞ্চল। তাই বলা যায় নদী শুধু সভ্যতার জন্ম দেয় না, তাকে পালনও করে।

Leave a Reply