সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Mughal Empire Questions Answers Chapter – 5 WBBSE

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Mughal Empire Questions Answers Chapter – 5 WBBSE

📌 সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

‘ভেবে দেখো খুঁজে দেখো’ পাঠ্য অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ‍্যায়) | Class 7 History Mughal Empire Questions Answers Chapter-5 WBBSE

১। শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাবরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন _____________। (রানা সঙ্গ/ ইব্রাহিম লোদি/নসরৎ খান)।

উত্তরঃ নসরৎ খান।

(খ) বিলগ্রামের যুদ্ধ হয়েছিল ___________ (১৫৩৯ / ১৫৪০ / ১৫৪১) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে।

(গ) জাহাঙ্গিরের আমলে শিখগুরু __________ কে (জয়সিংহ / অর্জুন / হিমু) প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়।

উত্তরঃ অর্জুন।

(ঘ) রাজপুত নেতাদের মধ্যে মুঘল সম্রাটদের সঙ্গে জোট বাঁধেনি রানা ____________ (প্রতাপ সিংহ / মানসিংহ / যশোবন্ত সিংহ)।

উত্তরঃ প্রতাপ সিংহ।

(ঙ) আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন _________ (টোডরমল / মালিক অম্বর / বৈরাম খান)।

উত্তরঃ মালিক অম্বর।

২। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন্ ব্যাখ্যাটি তোমার সবচেয়ে মানানসই বলে মনে হয় ?

(ক) বিবৃতি : মুঘলরা তৈমুরের বংশধর হিসাবে গর্ব করত।

ব্যাখ্যা-১ : তৈমুর ভারতে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ব্যাখ্যা-২ : তৈমুর একসময় উত্তর ভারত আক্রমণ করে দিল্লি দখল করেছিলেন।

ব্যাখ্যা-৩ : তৈমুর ছিলেন একজন সাফারি শাসক।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা-২ : তৈমুর একসময় উত্তর ভারত আক্রমণ করে দিল্লি দখল করেছিলেন।

(খ) বিবৃতি : হুমায়ুনকে একসময় ভারত ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল।

ব্যাখ্যা-১ : তিনি নিজের ভাইদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা-২ : তিনি শের খানের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা-৩ : তিনি রানা সঙ্গের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা-২ : তিনি শের খানের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

(গ) বিবৃতি : মহেশ দাসের নাম হয়েছিল বীরবল।

ব্যাখ্যা-১ : তাঁর গায়ে খুব জোর ছিল।

ব্যাখ্যা-২ : তিনি খুব বুদ্ধিমান ছিলেন।

ব্যাখ্যা-৩ : তিনি মুঘল দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখিয়েছিলেন।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা-২ : তিনি খুব বুদ্ধিমান ছিলেন।

(ঘ) বিবৃতি : রাজেনের আমলে বাংলায় সামুদ্রিক বাণিজ্যের উন্নতি হয়।

ব্যাখ্যা-১ : তিনি পোর্তুগিজ জলদস্যুদের হারিয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা-২ : তিনি শিবাজিকে পরাজিত করেছিলেন।

ব্যাখ্যা ৩ : তিনি বাংলায় বাণিজ্যের উপর কর ছাড় দিয়েছিলেন।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা ১ : তিনি পোর্তুগিজ জলদস্যুদের হারিয়েছিলেন।

(ঙ) বিবৃতি : আকবরের আমলে জমি জরিপের পদ্ধতিকে বলা হত জাবতি।

ব্যাখ্যা -১ : জানত মানে বাজারে শস্যের দাম ঠিক করা।

ব্যাখ্যা-২ : জাবত মানে একমাত্র বাদশাহ কর আদায় করতে পারেন।

ব্যাখ্যা ৩ : জাবত মানে জমির রাজস্ব নির্ধারণ করা।

উত্তরঃ ব্যাখ্যা-৩ : জাবত মানে জমির রাজস্ব নির্ধারণ করা।

৩। সংক্ষেপে (৩০–৫০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) মুঘলরা কেন নিজেদের বাদশাহ বলত ?

উত্তরঃ বাদশাহ বা পাদশাহ বা পাদিশাহ শব্দগুলি ফারসি। ‘পাদ’ অর্থাৎ প্রভু এবং ‘শাহ’ মানে শাসক বা রাজা। মুঘলরা সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে ‘পাদশাহ’ অথবা ‘বাদশাহ’ শব্দটি ব্যবহার করত। আমরা জেনেছি আগে দিল্লির শাসকেরা নিজেদের ‘সুলতান’ বলতেন। মুঘলরা কিন্তু ‘সুলতান’ শব্দটি যুবরাজদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। ‘বাদশাহ’ উপাধি ব্যবহার করে মুঘলরা বোঝাতে চাইতেন যে তাদের শাসন করার ক্ষমতা অন্য কারোর অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল নয়।

(খ) হুমায়ুন আফগানদের কাছে কেন হেরে গিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ বাবরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র হুমায়ুন দিল্লির বাদশাহ হন। বাবরের সঙ্গে তাঁর সামরিক অভিজাতদের পারিবারিক এবং বংশগত যোগ ছিল। শাসক শ্রেণির সঙ্গে অভিজাতদের এই যোগ মুঘল শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাবরের পুত্র হুমায়ুনের আমলে কিন্তু এই যোগ অনেকটাই আলগা হয়ে পড়ে। তাঁর দুঃসময়ে ভাইরাও তাঁকে সাহায্য করেনি। তৈমুরীয় নীতি মোতাবেক উত্তরসূরিদের মধ্যে যে অঞ্চল ভাগ করার প্রথা ছিল হুমায়ুন কিন্তু তা মানেননি। তিনি সাম্রাজ্যের শাসনভার নিজের হাতেই রেখেছিলেন। ভাইদের কেবল কিছু অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সরাসরি শাসনের দায়িত্ব না পাওয়ায় তারাও সাম্রাজ্য রক্ষা করার তাগিদ অনুভব করেননি। তাই শেষ অবধি একজোট হয়েও আফগানদের বিরুদ্ধে মুঘল বাহিনী জয়ী হতে পারেনি।

(গ) ঔরঙ্গজেবের রাজত্বে কেন মুঘল অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছিল?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘল অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি বাড়তে থাকে। ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে দক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা অনেক চেষ্টায় মুঘলদের দখলে আসে। ফলে মারাঠা ও দক্ষিণী মুসলিম অভিজাতরা মুঘল শাসনে যোগ দেয়। এর ফলে যদিও মনসবদারি ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য বেড়েছিল কিন্তু তার সঙ্গে মনসব পাওয়া নিয়েও অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি তৈরি হয়েছিল। মথুরায় জাঠ কৃষকরা এবং হরিয়ানার সৎনামি কৃষকরা বিদ্রোহ করে। শিখ ও মারাঠারা মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। রাজপুতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ে এবং দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধের ফলে সাম্রাজ্যের আয়তন বাড়ে এবং সমস্যাও বাড়ে। মুঘলদের সঙ্গে বিভিন্ন অভিজাত গোষ্ঠীর যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই নষ্ট হয়। তারা নিজেরা মুঘল সাম্রাজ্যকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করে।

(ঘ) সুলহ-ই-কুল কী ?

উত্তরঃ মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক আদর্শ ছিল মূলত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে একটি যথার্থই ভারতীয় সাম্রাজ্য গড়ে তোলা। তাই আকবরের প্রশাসনিক আদর্শকে তৈমুরীয়, পারসিক এবং ভারতীয় রাজতন্ত্রের সংমিশ্রণ বলা চলে। এই আদর্শে বাদশাহ ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন করবেন এবং প্রজাদের প্রতি তাঁর পিতৃসুলভ
ভালোবাসা থাকবে। অর্থাৎ তাঁর শাসন করার অধিকার অন্য কোনো শাসকের থেকে পাওয়া নয়, এই ক্ষমতা তাঁর নিজের। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি তাঁর পক্ষপাত থাকবে না। সকলের প্রতি সহনশীলতা এবং সকলের জন্য শাস্তির এই পথকেই বলা হয় ‘সুলহ-ই-কুল’।

(ঙ) মুঘল শাসন ব্যবস্থায় সুবা প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল ?

উত্তরঃ মুঘল শাসনের সাথে আফগান শাসক শেরশাহের প্রশাসনিক পরিকাঠামো সুপরিকল্পিত ছিল যা পরবর্তীকালে আকবর অনেকাংশে অনুসরণ করেছিলেন। আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করেছিলেন, এই প্রদেশগুলিকে বলা হত ‘সুবা’। সুবাগুলি আবার ভাগ করা হত কয়েকটি সরকারে এবং সরকারগুলি ভাগ করা হত পরগনাতে। সুবার দায়িত্বে যিনি থাকতেন তাঁকে বলা হত সুবাদার। এ ছাড়াও প্রতিটি সুবাতে নানা ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীরা থাকতেন।

৪। বিশদে (১০০–১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) পানিপতের প্রথম যুদ্ধ, খানুয়ার যুদ্ধ ও ঘর্ঘরার যুদ্ধের মধ্যে তুলনা করো। পানিপতের প্রথম যুদ্ধে যদি মুঘলরা জয়ী না-হত তাহলে উত্তর ভারতে কারা শাসন করত ?

উত্তরঃ পানিপতের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও ইব্রাহিম লোদীর মধ্যে। বাবরের কাছে এই যুদ্ধ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই যুদ্ধ ছিল বাবরের কাছে আত্মপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জিতে বাবর দিল্লির মসনদে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতবর্ষে শুরু হয় প্রায় তিনশো বছর ব্যাপী মুঘল সাম্রাজ্যের শাসন। ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল বাবর এবং রাজপুত শক্তির মধ্যে, যাঁর প্রধান ছিলেন মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ। আফগান শক্তিকে পানিপতের যুদ্ধে পরাজিত করার পর দিল্লির সিংহাসন নিষ্কণ্টক করার জন্যে এই যুদ্ধ বাবরের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ ভারতবর্ষে রাজপুত শক্তি তখন ছিল খুবই শক্তিশালী। তাই এই যুদ্ধে জয়লাভ করাটা ছিল বাবরের কাছে খুবই প্রয়োজনীয় এবং তিনি জয়লাভ ও করেছিলেন। ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল মিলিত আফগান শক্তির সাথে বাবরের এবং এই যুদ্ধে আফগানদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার শাসক নসরৎ শাহ। এই যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পাকাপাকিভাবে বিহারে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, যা ছিল আফগানদের এক শক্ত ঘাঁটি।

পানিপতের প্রথম যুদ্ধে যদি মুঘলরা জয়ী না-হত তাহলে উত্তর ভারতে লোদিরা বা রাজপুত শক্তি শাসন করত, কারণ লোদি বংশের সুলতানি শাসন দিল্লিতে বজায় থাকত অপর দিকে রাজপুতরা দিল্লি দখলে সক্রিয় ছিল। পানিপতের যুদ্ধে মুঘলরা জয়ী না হলে দিল্লি দখল করে রাজপুতরাও সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারত।

(খ) শেরশাহের শাসনব্যবস্থায় কী কী মানবিক চিন্তার পরিচয় তুমি পাও তা লেখো।

উত্তরঃ শেরশাহের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, রাজস্ব ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আলাউদ্দিন খলজি ও সম্রাট আকবরের শাসনব্যবস্থার অনেকটা মিল ছিল। তিনি তার রাজ্যের শাসন পরিচালনার জন্য ও রাজস্ব আদায়ের জন্য কিছু সংস্কার করেছিলেন। এই সংস্কারগুলি হল—

(i) শেরশাহ তার কৃষকদের পাট্টা দিতেন। এই পাট্টায় কৃষকদের নাম, জমিতে কৃষকদের কতটা, কত রাজস্ব তাদের রাজাকে দিতে হবে প্রকৃতি সব লেখা থাকতো। তার বদলে কৃষকরা কবুলিয়াত নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত যাতে রাজস্ব দেওয়ার কথা লেখা থাকতো।

(ii) সেনাবাহিনীর উপর তার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তিনি দাগ ও হুলিয়া নামক দুটি ব্যবস্থা চালু করেন।

(iii) রাজা শেরশাহ বনিক ও পথিকদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক বিশ্রামাগার বা সরাইখানা তৈরি করেছেন। তাছাড়া তিনি ডাক হরকরা হিসেবে ঘোড়াকে ব্যবহার করতেন।

(iv) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার জন্য তিনি সড়ক পথের উন্নতি করেন। তিনি ‘সড়ক-ই-আজম’ নামে একটি রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। সেই রাস্তা সোনারগাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যার বর্তমান নাম জিটি রোড।

(গ) মুঘল শাসকদের রাজপুত নীতিতে কী কী মিল ও অমিল ছিল তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ মুঘল রাজদরবারের আমির মণ্ডলীতে রাজপুতদের সম্মানীয় ও শক্তিশালী অতিথি হিসেবে প্রবেশ মধ্যযুগের ভারতবর্ষের মুঘল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন বুঝেছিলেন যে, হিন্দুস্থানের ক্ষমতা দখল করতে গেলে রাজপুত রাজাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা দরকার। এই ধারণা থেকেই আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার আয়ত্তে নিয়ে আসেন। যে ব্যবস্থা পরবর্তী মুঘল সম্রাটগণের জাহাঙ্গির, শাহ জাহান ও ঔরঙ্গজেবের আমলে অক্ষুন্ন ছিল। মুঘল বাদশাহ ও শাহজাদাদের সঙ্গে কোনো রাজপুত পরিবারের মেয়েদের বিয়ে হওয়ার ফলে মুঘল-রাজপুত মৈত্রীর পথ প্রশস্ত হয়েছিল। মুঘল সম্রাটদের আমলেই রাজ দরবারে, এবং সামরিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাজপুত শাসকরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অধিকারী ছিল। আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত সকল মুঘল বাদশাই একই পথ অবলম্বন করেছিলেন।

আকবরের শাসনকালে মানসিংহ, টোডরমল প্রমুখ, জাহাঙ্গিরের আমলে রানা প্রতাপের ছেলে অমর সিংহ, ঔরঙ্গজেবের আমলে অম্বরের মির্জা, রাজা জয়সিংহ প্রমুখ রাজপুতরা মুঘল সাম্রাজ্যের চরম হিতৈষী জনে পরিণত হয়েছিলেন। তবে রাজপুত নীতির ক্ষেত্রে মুঘল শাসকদের মধ্যে বেশ কিছু অমিলও পরিলক্ষিত হয়। যেমন শাহাজাহান প্রথমদিকে দরবারে দল ও রাজনীতির ফলে রাজপতদের থেকে মৌলবাদী শক্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তেমনই আকবরের আমলে হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু বহুকাল পরে ঔরঙ্গজেবের আমলে ‘জিজিয়া’ কর পুনঃপ্রবর্তন করা হলে রাজপুত মৈত্রীতে প্রচণ্ড আঘাত পড়ে। সম্রাট আকবর থেকে শাহাজাহান পর্যন্ত মুঘল শাসকরা রাজপুতদের সাথে সমস্ত রকম আপোস নীতির মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যকে দৃঢ়তা প্রদানে সম্ভবপর হলেও ঔরঙ্গজেব তাঁর রাজত্বের শেষে রাজপুতদের সাথে নানা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন যা মুঘল সম্রাজ্যের পতনের জন্য অনেকখানি দায়ী ছিল।

(ঘ) দাক্ষিণাত্য অভিযানের ক্ষত মুঘল শাসনের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল ?

উত্তরঃ আপাতদৃষ্টিতে মুঘল ইতিহাসে মুঘল সাম্রাজ্যের মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধ প্রথম দিকে সাফল্য লাভ করলেও শেষের দিকে মুঘল সাম্রাজ্যের এই দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি সুদূর প্রসারী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধে কিছু রাজ্য লাভ করলেও পরবর্তীতে রাজ্যরাজ্যগুলি হারিয়ে যায়।

মারাঠা শক্তির উন্থানঃ মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব গোলকুণ্ডা ও বিজাপুর রাজ্য দুটি লাভ করার ফলে মোগল সাম্রাজ্য এক বিশাল আয়তনে বৃদ্ধি পায়। সুদূর দিল্লি থেকে দক্ষিণের অঞ্চলগুলি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজ্যশাসন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে বিদ্রোহী মারাঠা শক্তি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের রাজ্যগুলি দখল করতে এই সুযোগ ব্যবহার করে। অর্থাৎ এইভাবে মারাঠা শক্তির উন্থান ঘটেছিল।

মুঘল সাম্রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতিঃ মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব দক্ষিণ ভারতের অভিযানে রওনা হওয়ায় বিশাল মোগল সেনা বাহিনীতেও সংখ্যার সংকট দেখা দিয়েছিল তাছাড়া এই দাক্ষিণাত্যের অভিযানে মুঘল সাম্রাজ্যের রাজস্বেও বিশাল সংকট দেখা দিয়েছিল।

মুঘল প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলাঃ মুঘল সম্রাট
ঔরঙ্গজেব দীর্ঘদিন ধরে দাক্ষিণাত্যের অভিযানে থাকার ফলে মুঘল রাজ্য দিল্লিতে প্রজারা প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। ফলে মুঘল বিরোধী মারাঠা ও অন্যান্য শক্তি গুলি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মালব, মথুরা, রাজস্থান, বিহার, গন্ডোয়ানা, বাংলা ইত্যাদি রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখল করেছিল।

পরিশেষে উল্লেখ করা যায় যে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্যের যুদ্ধের ফলে বিভিন্ন অসুবিধা দেখা দিয়েছিল।

(ঙ) মুঘল সম্রাটদের কি কোনো নির্দিষ্ট উত্তরাধিকার নীতি ছিল ? উত্তরাধিকারের বিষয়টি কেমনভাবে তাঁদের শাসনকে প্রভাবিত করেছিল ?

উত্তরঃ মুসলিম আইন অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ পুত্রকে সিংহাসনের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। সেই সূত্রে মুঘল শাসকরা তাদের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যেতেন। তবে সবসময় জ্যেষ্ঠ পুত্রকেই যে তারা মনোনয়ন করতেন এমন নয়। কিন্তু মুঘল সিংহাসনের উত্তরাধিকার সম্বন্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিবদ্ধ নীতি না থাকায় প্রত্যেক সম্রাটের মৃত্যুর পরই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী কে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যেত।

মুঘল শাসকদের এরকম কোনো বিধিবদ্ধ উত্তরাধিকার নীতি না থাকার ফলে সম্রাটের মৃত্যুর পর কে শাসক হবে তা নিয়ে এমন একটা সংঘর্ষ বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েই থাকে। সিংহাসনের উত্তরাধিকার প্রশ্নের সঙ্গে সম্রাটের অসাম্য পুত্রদের জীবন মরণের প্রশ্নও জড়িত ছিল। তাই শাসনকারী সম্রাট অসুস্থ হয়ে পড়লেই তার পুত্ররা সিংহাসনের উত্তরাধিকার পাবার জন্য বিদ্রোহ করত। সম্রাট কোনো পুত্রকে মনোনীত করে গেলে তার মৃত্যুর পর সিংহাসনের অধিকার নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ বেধে যেত। মুঘল ঐতিহ্যে এই কারণেই দেখা যায় যে জাহাঙ্গির আকবরের বিরুদ্ধে ও শাহজাহান জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ছিলেন। সম্রাট শাহাজাহান তার প্রিয় পুত্র সুজাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী করে গেলে তার মৃত্যুর পর অন্যান্য পুত্র দারা, মুরাদ ও ঔরঙ্গজেব সিংহাসনের দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন। উত্তরাধিকার নিয়ে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মুঘল শাসনে কলঙ্কের ছাপ ফেলেছিল।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) MCQ, শূন্য স্থান, সত্য / মিথ্যা, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7th History Question and Answer Ch-5

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-5

১. আকবরের উত্তরসূরি ছিলেন—
(A) বাবর
(B) জাহাঙ্গির
(C) শাহ জাহান
(D) ঔরঙ্গজেব

Ans. (B) জাহাঙ্গির

২. বাবর কোন্ মুঘল নেতার বংশধর ছিলেন ?
(A) চেঙ্গিস খানের
(B) তৈমুর লঙের
(C) গজনির মামুদের
(D) মহম্মদ বিন কাশিমের

Ans. (B) তৈমুর লঙের

৩. মুঘলরা কান্দাহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়—
(A) ঔরঙ্গজেবের সময়
(B) হুমায়ুনের সময়
(C) জাহাঙ্গিরের সময়
(D) শাহ জাহানের সময়

Ans. (D) শাহ জাহানের সময়

৪. জাবতি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন—
(A) টোডরমল
(B) আবুল ফজল
(C) বীরবল
(D) বদাউনি

Ans. (A) টোডরমল

৫. খানুয়ার যুদ্ধকে কে ধর্মযুদ্ধ বলে আখ্যা দেন ?
(A) রানা সংগ্রাম সিংহ
(B) ইব্রাহিম লোদি
(C) বাবর
(D) আকবর

Ans. (C) বাবর

৬. প্রথম পানিপতের যুদ্ধ হয়—
(A) ১৫২৬ খ্রি.
(B) ১৫৫৬ খ্রি.
(C) ১৫৬৫ খ্রি.
(D) ১৫২৭ খ্রি.

Ans. (A) ১৫২৬ খ্রি.

৭. বাবর আফগানদের দের বিরুদ্ধে কোন্ যুদ্ধ করেন ?
(A) হলদিঘাটের যুদ্ধ
(B) ঘর্ঘরার যুদ্ধ
(C) দ্বিতীয় পানিপতের যুদ্ধ
(D) খানুয়ার যুদ্ধ

Ans. (B) ঘর্ঘরার যুদ্ধ

৮. কোন্ মুঘল শাসক দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলিকে কিছুটা হলেও দখল করতে সমর্থ হন ?
(A) আকবর
(B) শাহ জাহান
(C) ঔরঙ্গজেব
(D) জাহাঙ্গির

Ans. (C) ঔরঙ্গজেব

৯. আকবর চিতোর জয় করেন—
(A) ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৫৭৯ খ্রিস্টাব্দে

Ans. (B) ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে

১০. ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যের কোন রাজ্য মুঘলদের দখলে আসে ?
(A) আহমেদনগর
(B) বিজাপুর
(C) গোলকুণ্ড
(D) বাহমনি

Ans. (A) আহমেদনগর

১১. রানা প্রতাপ সিংহের রাজধানী ছিল—
(A) জয়পুর
(B) উদয়পুর
(C) কুম্ভলগড়
(D) চিতোর

Ans. (C) কুম্ভলগড়

১২. হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থ কর ও জিজিয়া কর তুলে নেন মুঘল শাসক—
(A) বাবর
(B) হুমায়ুন
(C) জাহাঙ্গির
(D) আকবর

Ans. (D) আকবর

১৩. বাংলার ‘বারোভুঁইয়া’ বিদ্রোহ হয়েছিল—
(A) বাবরের আমলে
(B) হুমায়ুনের আমলে
(C) জাহাঙ্গিরের আমলে
(D) শাহ জাহানের আমলে

Ans. (C) জাহাঙ্গিরের আমলে

১৪. আকবরের উত্তরসূরি ছিলেন—
(A) বাবর
(B) জাহাঙ্গির
(C) শাহ জাহান
(D) ঔরঙ্গজেব

Ans. (B) জাহাঙ্গির

১৫. খানুয়ার যুদ্ধে বাবরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন—
(A) ইব্রাহিম লোদি
(B) নসরৎ শাহ
(C) রানা সঙ্গ
(D) রানা প্রতাপ সিংহ

Ans. (C) রানা সঙ্গ

১৬. চলদিরানের যুদ্ধ হয়েছিল—
(A) ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দ
(B) ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ
(C) ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দ
(D) ১৫২৪ খ্রিস্টাব্দ

Ans. (A) ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭. আকবর কার প্রশাসনিক পরিকাঠামো অনুসরণ করেন ?
(A) আদিল শাহের
(B) শের শাহের
(C) হুমায়ুনের
(D) বাবরের

Ans. (B) শের শাহের

১৮. বাদশাহ বা পাদশাহ বা পাদিশাহ শব্দগুলি—
(A) আরবি
(B) ফারসি
(C) উর্দু
(D) হিন্দি

Ans. (B) ফারসি

১৯. মনসব বলতে বোঝানো হয়—
(A) জমিদারি
(B) ওয়াতন
(C) গাজি
(D) মুঘল প্রশাসনিক পদ

Ans. (D) মুঘল প্রশাসনিক পদ

২০. ‘মুস্তাখাব-উৎ-তওয়ারিখ’ গ্রন্থের রচয়িতা–
(A) বীরবল
(B) আবুল ফজল
(C) আবদুল কাদির বুদাউনি
(D) কফি খাঁ

Ans. (C) আবদুল কাদির বুদাউনি

২১. বারোভুঁইয়াদের অন্যতম ছিলেন—
(A) মালিক অম্বর
(B) ইশা খান
(C) তাহমম্প
(D) আদিল শাহ

Ans. (B) ইশা খান

২২. মধ্য এশিয়ায় মুঘলদের প্রাচীন বাসভূমির নাম ছিল—
(A) খোরাসান
(B) ইরান
(C) ইরাক
(D) সমরকন্দ

Ans. (D) সমরকন্দ

২৩. ঘোড়ার মাধ্যমে ডাকযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছিলেন—
(A) বাবর
(B) আকবর
(C) শের শাহ
(D) হুমায়ুন

Ans. (C) শের শাহ

২৪. শের শাহের মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে বসেন—
(A) হুমায়ুন
(B) ইসলাম শাহ
(C) আকবর
(D) হিমু

Ans. (B) ইসলাম শাহ

২৫. মহেশ দাস পরিচিত ছিলেন—
(A) টোডরমল নামে
(B) নবরত্ন নামে
(C) বীরবল নামে
(D) মানসিংহ নামে

Ans. (C) বীরবল নামে

২৬. ‘আকবরনামা’ কে রচনা করেন ?
(A) আবুল ফজল আল্লামি
(B) আবদুল কাদির বদাউনি
(C) বৈরাম খান
(D) নসরৎ খান

Ans. (A) আবুল ফজল আল্লামি

২৭. পানিপতের প্রথম যুদ্ধে বাবর পরাজিত করেন—
(A) ইব্রাহিম লোদিকে
(B) হিমুকে
(C) সংগ্রাম সিংহকে
(D) শের খানকে

Ans. (A) ইব্রাহিম লোদিকে

২৮. উত্তরসূরিদের মধ্যে অঞ্চল ভাগ করার তৈমুরীয় নীতি ভেঙেছিলেন—
(A) বাবর
(B) আকবর
(C) শেরশাহ
(D) হুমায়ুন

Ans. (D) হুমায়ুন

২৯. আকবরের সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল—
(A) ইকতা ব্যবস্থা
(B) চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
(C) রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত
(D) মনসবদারি ব্যবস্থা

Ans. (D) মনসবদারি ব্যবস্থা

৩০. কোন্ মুঘল সম্রাটের শাসনকালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রাজপুত মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় আসে ?
(A) জাহাঙ্গিরের
(B) ঔরঙ্গজেবের
(C) শাহ জাহানের
(D) আকবরের

Ans. (B) ঔরঙ্গজেবের

৩১. মুঘল সাম্রাজ্যের আয়তন সবচেয়ে বড়ো হয়েছিল কার সময়ে ?
(A) শের শাহের
(B) আকবরের
(C) শাহ জাহানের
(D) ঔরঙ্গজেবের

Ans. (D) ঔরঙ্গজেবের

শূন্যস্থান পূরন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-5

১. দিল্লি-আগ্রায় শের খান _______ উপাধি নিয়ে সম্রাট হন।

উত্তরঃ ‘শাহ’

২. ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয় _________ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৫২৯

৩. ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাবরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন _________ ।

উত্তরঃ নসরৎ শাহ

৪. আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ______ ।

উত্তরঃ মালিক অম্বর

৫. শাহ জাহানের শাসনের শুরুতেই দাক্ষিণাত্যে ______ বিদ্রোহ করেন।

উত্তরঃ খান জাহান লোদি

৬. মারাঠা নেতা ________ ঔরঙ্গজেব রাজা বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

উত্তরঃ শিবাজিকে।

৭. শাহ জাহানের আমলে মুঘলরা ______-এর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

উত্তরঃ কান্দাহার

৮. চৌসার যুদ্ধ হয়েছিল _______ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৫৩৯

৯. ‘ওয়াতন’ কথাটির অর্থ হল ______ ।

উত্তরঃ স্বদেশ

১০. বাবর ‘পাদশাহ’ উপাধি নিয়েছিলেন ______ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৫০৭

১১. মোগল যুগে ভারত ছিল _________ (কৃষি নির্ভর / শিল্প নির্ভর / বানিজ্য নির্ভর ) দেশ।

উত্তরঃ কৃষি নির্ভর।

১২. উচ্চপদস্থ মনসবদারদের বলা হত __________ ।

উত্তরঃ আমির।

১৩. মনসবদারি ব্যবস্থার প্রবর্তক হলেন _______________।

উত্তরঃ সম্রাট আকবর।

১৪. জাবত শব্দের অর্থ হলো _________।

উত্তরঃ নির্ধারণ।

১৫. দহসালা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন ______________ ।

উত্তরঃ সম্রাট আকবর।

১৬. ‘দহ’ শব্দের অর্থ __________।

উত্তরঃ দশ।

সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-5

১. জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় জাবতি।

উত্তরঃ সত্য

২. মথুরায় জাঠ কৃষকরা এবং হরিয়ানায় সৎনামি কৃষকরা বিদ্রোহ করে।

উত্তরঃ সত্য

৩. শাহ জাহানের আমলে ‘দাক্ষিণাত্য ক্ষত’-এর সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা

৪. খানুয়ার যুদ্ধ একটি ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল।

উত্তরঃ মিথ্যা

৫. মুঘলদের পূর্বে দিল্লির শাসকদের সুলতান বলা হত।

উত্তরঃ সত্য।

৬. মনসবদারি প্রথা বংশানুক্রমিক ছিল।

উত্তরঃ মিথ্যা

৭. শিখদের সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল।

উত্তরঃ মিথ্যা।

৮. ভারতবর্ষের প্রথম মুঘল বাদশাহ ছিলেন জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর।

উত্তরঃ সত্য।

৯. বাদশাহ বা পাদশাহ বা পাদিশাহ শব্দগুলি ফারসি। পাদ কথার অর্থ শাসক।

উত্তরঃ মিথ্যা।

১০. খানুয়ার যুদ্ধ ছিল একটি ধর্মীয় যুদ্ধ।

উত্তরঃ মিথ্যা।

১১. বাবরের প্রিয় পুত্র ছিলেন হুমায়ুন।

উত্তরঃ সত্য।

১২. পাট্টার বদলে কৃষক রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে কবুলিয়ত নামে একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত।

উত্তরঃ সত্য।

১৩. আকবর যখন শাসনভার পেলেন (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ), তখন তাঁর বয়স বারো।

উত্তরঃ মিথ্যা।

১৪. ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে আকবর চিতোর জয় করেন।

উত্তরঃ সত্য।

১৫. মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থা বংশানুক্রমিক ছিল না।

উত্তরঃ সত্য।

• বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডান্স স্তম্ভ মেলাও :

(ক) পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে (১) নবরত্ন
(খ) হলদিঘাটির যুদ্ধ (২) আমির
(গ) আকবর (৩) ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ওয়াজির-ই আজম (৪) আবুল ফজল আল্লামি
(ঙ) ঐতিহাসিক (৫) প্রধানমন্ত্রী
(চ) উচ্চপদস্থ মনসবদার (৬) ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে

উত্তরঃ
(ক) পানিপতের দ্বিতীয় যুদ্ধে (৩) ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে
(খ) হলদিঘাটির যুদ্ধ (৬) ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে
(গ) আকবর (১) নবরত্ন
(ঘ) ওয়াজির-ই আজম (৫) প্রধানমন্ত্রী
(ঙ) ঐতিহাসিক (৪) আবুল ফজল আল্লামি
(চ) উচ্চপদস্থ মনসবদার (২) আমির

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-5

১. মুঘল রাজত্বকাল লেখো।

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক থেকে ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

২. মুঘলরা কার / কাদের বংশধর ছিল ?

উত্তরঃ মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খান এবং তুর্কি নেতা তৈমুর লঙ এর বংশধর।

৩. ভারতে প্রথম মুঘল বাদশাহ কে ছিলেন ?

উত্তরঃ জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর।

৪. ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উত্তরঃ জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবর।

৫. কবে তৈমুর লঙ ভারত আক্রমণ করেন ?

উত্তরঃ ১৩৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

৭. মুঘল সার্বভৌম শাসকেরা কোন পদবি / উপাধি ধারণ করতেন ?

উত্তরঃ পাদশাহ বা পাদিশাহ বা বাদশাহ।

৮. পাদশাহ বা পাদিশাহ বা বাদশাহ শব্দগুলি কোন দেশীয় শব্দ ?

উত্তরঃ ফারসি।

৯. বাবরের পুত্রের নাম কী ?

উত্তরঃ হুমায়ুন।

১০. প্রচলিত গল্পকথা অনুসারে কোন মুঘল সম্রাট নিজের প্রাণের বিনিময়ে নিজের পুত্রের প্রাণভিক্ষা করেছিলেন ঈশ্বরের কাছে ?

উত্তরঃ বাবর।

১১. মুঘলদের প্রধান দুই বিরোধী শক্তি কারা ছিল ?

উত্তরঃ রাজপুত ও আফগান।

১২. হুমায়ুনের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বিহারের আফগান শাসক শের খান।

১৩. পলায়নরত অবস্থায় কে হুমায়ুনকে আশ্রয় প্রদান করেছিলেন ?

উত্তরঃ পারস্যের শাসক শাহ তাহমস্প।

১৪. কবে আকবরের জন্ম হয় ?

উত্তরঃ ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে, হুমায়ুন যখন পলায়নরত অবস্থায় ছিলেন।

১৫. হুমায়ুনের অনুপস্থিতিতে কোন আফগান শাসক দিল্লি ও আগ্রাতে আফগান শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তরঃ শের শাহ।

১৬. পাট্টা ও কবুলিয়ত প্রথা কে চালু করেন ?

উত্তরঃ শের শাহ।

১৭. শের শাহ নির্মিত প্রধান সড়কপথটির নাম কী ?

উত্তরঃ ‘সড়ক-ই-আজম’। বর্তমানে এটি গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড নামে পরিচিত।

১৮. সেনাবাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে শের শাহ কোন ব্যবস্থা বহাল রেখেছিলেন ?

উত্তরঃ দাগ ও হুলিয়া।

১৯. শের শাহের সমাধি কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ বিহারের সাসারামে।

২০. কবে, কত বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার লাভ করেন ?

উত্তরঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে।

২১. আকবর যখন ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন তখন তাঁর অভিভাবক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বৈরাম খান।

২২. কোন দুর্গটি রাজপুতদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ?

উত্তরঃ চিতোর দুর্গ।

২৩. আকবর কবে চিতোর দুর্গ জয় করেন ?

উত্তরঃ ১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দে।

২৪. কবে, কাদের মধ্যে হলদিঘাটের যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?

উত্তরঃ ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে রানা প্রতাপ ও মুঘলদের মধ্যে।

২৫. রানা প্রতাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আকবর কোন মুঘল সম্রাটকে প্রেরণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ রাজা মান সিংহকে।

২৬. আকবরের নবরত্ন সভার অন্যতম প্রধান কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বীরবল।

২৭. বীরবলের প্রকৃত নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ মহেশ দাস।

২৮. আকবরের আমলের দুজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক কারা ছিলেন ?

উত্তরঃ আবুল ফজল আল্লামি ও আবদুল কাদির বদাউনি।

২৯. আবুল ফজলের লেখা ঐতিহাসিক গ্রন্থটির নাম কী ?

উত্তরঃ আকবরনামা।

৩০. বদাউনির লেখা ঐতিহাসিক গ্রন্থটির নাম কী ?

উত্তরঃ মুন্তাখাব-উৎ-তওয়ারিখ।

৩১. কবে আকবরের মৃত্যু হয় ?

উত্তরঃ ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে।

৩২. আকবরের উত্তরসূরি কে ছিলেন ?

উত্তরঃ জাহাঙ্গীর।

৩৩. মনসবদারী ব্যবস্থার প্রবর্তক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ মোগল সম্রাট আকবর।

৩৪. শাহজাদা খুররম পরবর্তীকালে কী নামে পরিচিত হন ?

উত্তরঃ শাহজাহান।

৩৫. মধ্য এশিয়ায় মুঘলদের প্রাচীন বাসভূমি কোনটি ছিল ?

উত্তরঃ সমরকন্দ।

৩৬. শাহজাহানের রাজত্বের শুরুতেই দাক্ষিণাত্যের কে মোগলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন ?

উত্তরঃ খান জাহান লোদী।

৩৭. ‘দাক্ষিণাত্য ক্ষত’ কথাটি কোন মোগল বাদশাহের সাথে সম্পর্কিত ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব।

৩৮. এশিয়ার মুঘলদের আদি বাসভূমি কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ সমরখন্দ বা সমরকন্দ অঞ্চলে।

৩৯. ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে দাক্ষিণাত্যের কোন দুটি অঞ্চল মোগলদের দখলে আসে ?

উত্তরঃ বিজাপুর ও গোলকোন্ডা।

৪০. ‘ওয়াতন’ কথাটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ নিজের ভিটে বা এলাকা বা স্বদেশ।

৪১. মুঘলরা বাংলার কোন বন্দর দখল করে বাংলাকে পোর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে ?

উত্তরঃ চট্টগ্রাম বন্দর।

৪২. কোন মুঘল সম্রাট হিন্দুদের ওপর থেকে ‘জিজিয়া’ কর তুলে নিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মহামতি আকবর।

৪৩. হিন্দুদের প্রতি ” মৈত্রী ও যুদ্ধ নীতি ” প্রথম কোন মুঘল সম্রাট প্রয়োগ করেছিলেন ?

উত্তরঃ আকবর।

৪৪. মেওয়ারের কোন রানা আকবরের বশ্যতা স্বীকার করেন নি ?

উত্তরঃ রানা প্রতাপ সিংহ।

৪৫. রানা প্রতাপ সিংহের পুত্রের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ অমর সিংহ।

৪৬. জাহাঙ্গীরের আমলে কোন রাজপুত উঁচু মনসব লাভ করেছিলেন ?

উত্তরঃ অমর সিংহ।

৪৭. কোন মোগল সম্রাটের আমলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রাজপুতরা মুঘল মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এসেছিল ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব।

৪৮. ঔরঙ্গজেবের আমলে কোন রাজপুত ঔরঙ্গজেবের একজন বিশ্বস্ত অভিজাতদের মধ্যে একজন ছিলেন ?

উত্তরঃ অম্বরের রাজা জয়সিংহ।

৪৯. মোগল সম্রাট আকবর হিন্দুদের ওপর থেকে জিজিয়া কর তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর কে আবার হিন্দুদের ওপর জিজিয়া কর চাপিয়ে দেন ?

উত্তরঃ মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব।

৫০. রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসিরগড় দুর্গটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?

উত্তরঃ খান্দেশ।

৫১. দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি কার নেতৃত্বে মোগলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ?

উত্তরঃ আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী মালিক অম্বরের নেতৃত্বে।

৫২. কবে আহমেদনগর রাজ্যটি মোগলদের দখলে আসে ?

উত্তরঃ ১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দে।

৫৩. কোন মুঘল সম্রাট বিজাপুর ও গোলকোন্ডার সাথে চুক্তি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন ?

উত্তরঃ মোগল সম্রাট শাহ্জাহান।

৫৪. কোন মোগল সম্রাটের আমলে মারাঠাদের শক্তি অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব।

৫৫. মোগলদের বিরুদ্ধে মারাঠাদের নেতা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ শিবাজী।

৫৬. মারাঠাদের সাথে মোগলদের দ্বন্দ্ব / যুদ্ধ কত বছর চলেছিল ?

উত্তরঃ প্রায় ২৫ বছর।

৫৭. কবে, কোথায় ঔরঙ্গজেব মারা যান ?

উত্তরঃ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে, দাক্ষিণাত্যে।

৫৮. আকবরের ধর্মনীতির মূলকথা কী ছিল ?

উত্তরঃ সকলের প্রতি সহনশীলতা বা ‘সুলহ-ই-কুল’।

৫৯. ‘সুলহ-ই-কুল’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ পরধর্ম সহিষ্ণুতা বা সকলের প্রতি সহনশীলতা।

৬০. ‘সুলহ-ই-কুল’ নীতির প্রবর্তক কে ?

উত্তরঃ সম্রাট আকবর।

৬১. আকবর প্রবর্তিত ধর্মনীতি কী নামে পরিচিত ছিল ?

উত্তরঃ দীন-ই-ইলাহি।

৬২. কার আমল থেকে রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার ব্যবস্থা প্রচলিত হয় ?

উত্তরঃ সুলতান আলাউদ্দিন খলজি।

৬৩. কোন্ মুঘল শাসক তৈমুরীয় উত্তরাধিকার নীতি ভেঙেছিলেন ?

উত্তরঃ মুঘল সম্রাট হুমায়ুন তৈমুরীয় উত্তরাধিকার নীতি ভেঙেছিলেন।

৬৪. ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে যেসকল কৃষক বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল তাদের নাম করো।

উত্তরঃ মথুরায় জাঠ বিদ্রোহ ও হরিয়ানায় সৎনামি কৃষক বিদ্রোহ।

৬৫. আসিরগড় দুর্গটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?

উত্তরঃ আসিরগড় দুর্গটি খান্দেশে অবস্থিত।

৬৬. মুঘল নামের উৎপত্তি ঘটেছে কোন্ শব্দ থেকে ?

উত্তরঃ ‘মোঙ্গল’ শব্দ থেকে মুঘল নামের উৎপত্তি ঘটেছে।

সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নোত্তর : মান– ২ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্য (পঞ্চম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-5

১. বাবর কত বছর বয়সে প্রথম কোন প্রদেশের শাসনভার লাভ করেছিলেন ?

উত্তরঃ বাবর ১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১২ বছর বয়সে ফারগানা প্রদেশের শাসনভার লাভ করেছিলেন ।

২. মুঘলদের ‘বাদশাহ’ উপাধির তাৎপর্য কী ছিল ?

উত্তরঃ বাদশাহ উপাধি ব্যবহার করে মুঘলরা বোঝাতে চাইলো যে , তাদের শাসন করার ক্ষমতা অন্য কারো অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল নয়।

৩. পাদশাহ শব্দটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ পাদ শব্দের অর্থ প্রভু ; শাহ শব্দের অর্থ শাসক বা রাজা। একই সঙ্গে একই অর্থযুক্ত দুটি শব্দ ব্যবহার করা হত খুব শক্তিশালী শাসক বোঝাতে।

৪. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ কবে , কাদের মধ্যে সংগঠিত হয় ? এই যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সংগঠিত হয় বাবর ও ইব্রাহিম লোদীর মধ্যে। এই যুদ্ধে বাবরের ক্ষুদ্র গোলন্দাজ বাহিনীর কাছে ইব্রাহিমের বিশাল সেনাবাহিনী পরাজিত হয়।

৫. খানুয়ার যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে সংগঠিত হয় ? এই যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও মেওয়ারের রানা সংগ্রাম সিংহের মধ্যে। এই যুদ্ধে সংগ্রাম সিংহ পরাজিত হন।

৬. ঘর্ঘরার যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয় ? এই যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে, বাবরের সাথে আফগান ও বাংলার শাসক নসরৎ শাহের মিলিত বাহিনীর মধ্যে। এই যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করলেও বিহারে পাকাপাকিভাবে অধিকার কায়েম করতে পারেনি।

৭. হুমায়ুন কোন কোন যুদ্ধে শের খানের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চৌসার যুদ্ধে ও ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের নিকট বিলগ্রামের যুদ্ধে।

৮. কোন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হুমায়ুনকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় ?

উত্তরঃ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের নিকট বিলগ্রামের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে।

৯. কবে, কাদের মধ্যে পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?

উত্তরঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে আকবর ও আফগান নেতা আদিল শাহের হিন্দু সেনাপতি হিমুর মধ্যে।

১০ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের ফলাফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ আকবরের কাছে আদিল শাহের হিন্দু সেনাপতি হিমু পরাজিত হন।

১১. হলদিঘাটের যুদ্ধের ফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ মোগল বাহিনীর কাছে রানা প্রতাপ পরাজিত হয়েছিলেন।

১২. আকবরের রাজসভায় নবরত্ন কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ আকবরের দরবারে বহু বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে ন-জনকে একত্রে বলা হত নবরত্ন। এঁদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজা বীরবল।

১৩. ঔরঙ্গজেব কীভাবে মোগল সম্রাট হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ শাহজাহানের রাজত্বের শেষদিকে তাঁর ছেলেদের মধ্যে সিংহাসন নিয়ে লড়াই বেঁধে গিয়েছিলো। তাঁদের মধ্যে দারাশিকোহ ও অন্য ভাইদের হঠিয়ে ঔরঙ্গজেব বাদশাহ হয়েছিলেন।

১৪. মারওয়াড় কথাটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ রাজস্থানের ভাষায় ‘ওয়াড়’ শব্দের অর্থ একটি বিশেষ অঞ্চল। মারওয়াড় শব্দটি এসেছে ‘মরুওয়াড়’ (বা মরু অঞ্চল) কথাটি থেকে।

১৫. খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে দাক্ষিণাত্যের প্রধান রাজ্যগুলির নাম কর।

উত্তরঃ বিজাপুর, গোলকোন্ডা, আহমেদনগর, বেরার, বিদর ও খান্দেশ।

১৬. কবে, কোন সময়কালে মুঘলরা দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি জয় করে ?

উত্তরঃ ১৫৯৬ থেকে ১৬০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে।

১৭. আকবরের আমলে ‘সুবা’ বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করেছিলেন। এই প্রদেশগুলিকে বলা হত ‘সুবা’।

১৮. মনসবদার কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হত মনসব; আর পদাধিকারীদের বলা হত মনসবদার।

১৯. মনসবদারী ব্যবস্থায় সবচেয়ে উপরের পদগুলো কাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হত ?

উত্তরঃ রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য।

২০. জায়গির কী ?

উত্তরঃ মনসবদারদের দুভাবে বেতন দেওয়া হতো- নগদে বা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হতো জায়গির।

২১. জায়গিরদার কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ মনসবদারদের দুভাবে বেতন দেওয়া হতো- নগদে বা রাজস্ব বরাত দিয়ে। রাজস্বের এই বরাতকে বলা হতো জায়গির। জায়গির যিনি পেতেন তাঁকে বলা হত জায়গিরদার।

২২. জাবতি প্রথা বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ শেরশাহের পর আকবর নতুন করে জমি জরিপের ব্যবস্থা করেন। জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণের এই পদ্ধতিকে বলা হত জাবতি।

২৩. দহসালা ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?

উত্তরঃ আকবরের আমলে প্রবর্তিত আগের দশ বছরের জমি বিষয়ক তথ্যের ভিত্তিতে আদায় করা রাজস্ব ব্যবস্থাকে বলা হয় দহসালা ব্যবস্থা।

২৪. উজবেক কারা ?

উত্তরঃ উজবেক ছিল মধ্য এশিয়ার একটি তুর্কিভাষী জাতি, যারা খ্রিস্টীয় যোড়শ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত মধ্য এশিয়ায় একাধিক রাজ্য গড়ে তুলেছিল।

২৫. বারোভুঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন ?

উত্তরঃ জাহাঙ্গিরের সময়ে বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগান বিদ্রোহীরা একসঙ্গে ‘বারোভূঁইয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন।

২৬. সুলত-ই-কুল কী ?

উত্তরঃ মুঘল সম্রাট আকবর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত না করে সকলের প্রতি সহনশীলতা ও শান্তির পথ গ্রহণ করেন, এই পথকেই বলা হয় সুলত-ই-কুল।

২৭. দীন-ই-ইলাহি কী ?

উত্তরঃ সুলহ-ই-কুল আদর্শের ভিত্তিতে আকবর একটি ব্যক্তিগত মতাদর্শ গড়ে তুলেছিলেন তাকেই বলা হয় দীন-ই-ইলাহি।

২৮. আকবরের সময়কালে ওয়াজির-ই-আজম বা প্রধানমন্ত্রী কে হন ?

উত্তরঃ আকবরের সময়কালে মহেশ দাস বা বীরবল ওয়াজির-ই-আজম বা প্রধানমন্ত্রী হন।

২৯. শের শাহের সংস্কার করা সড়ক-ই-আজম রাস্তাটি কোন্ অঞ্চল থেকে কোন্ অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

উত্তরঃ শের শাহের সংস্কার করা সড়ক-ই-আজম রাস্তাটি বাংলার সোনারগাঁ থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

Leave a Reply