সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় (মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Mughal Samrajjer Sonkot Questions Answers Chapter – 8 WBBSE

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় (মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Mughal Samrajjer Sonkot Questions Answers Chapter – 8 WBBSE

📌 সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

‘ভেবে দেখো খুঁজে দেখো’ পাঠ্য অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর | সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Mughal Samrajjer Sonkot Questions Answers Chapter – 8 WBBSE

১। নীচের নামগুলির মধ্যে কোন্‌টি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না তার তলায় দাগ দাও :

(ক) পুণে, কোঙ্কন, আগ্রা, বিজাপুর।

উত্তরঃ আগ্রা

(খ) বান্দা বাহাদুর, আফজল খান, শায়েস্তা খান, মুয়াজ্জম।

উত্তরঃ বান্দা বাহাদুর।

(গ) অষ্টপ্রধান, বর্গি, মাবলে, খালসা।

উত্তরঃ খালসা।

(ঘ) রামদাস, তেগবাহাদুর, জয়সিংহ, হরগোবিন্দ।

উত্তরঃ জয়সিংহ।

(ঙ) কেশ, কৃপাণ, কলম, কঙ্ঘা।

উত্তরঃ কলম।

২। ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
রায়গড় নারনৌল
হিন্দুপাদপাদশাহি শিবাজি
গোলকোন্ডা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত
সৎনামি প্রথম বাজীরাও
পাঠান উপজাতি দাক্ষিণাত্য

উত্তরঃ

‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
রায়গড় শিবাজি
হিন্দুপাদপাদশাহি প্রথম বাজীরাও
গোলকোন্ডা দাক্ষিণাত্য
সৎনামি নারনৌল
পাঠান উপজাতি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত

৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে কী কী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছিল ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের সময় মনসবদারি ও জায়গিরদারি সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল কৃষি সংকট। উজের বিজাপুর ও গোলকোল্ডা জয়ের পর দাক্ষিণাত্যের বিশাল অঞ্চল মুঘলদের হাতে এসেছিল। কিন্তু ওই অঞ্চলের ভালো জমিগুলি খাস জমি বা খালিসা হিসাবে ঔরঙ্গজেব রেখে দেওয়ায় জায়গির হিসাবে জমির পরিমাণ কমে গেছিল।

মুঘল শাসকরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বাড়াতে না পারায় সমস্যা আরও গভীর হয়েছিল। ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মারাঠা রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছিল। শিখদের সঙ্গেও মুঘলদের রাজনৈতিক সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল।

(খ) কবে, কাদের মধ্যে পুরন্দরের সন্ধি হয়েছিল ? এই সন্ধির ফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে শিবাজি এবং ঔরঙ্গজেবের প্রতিনিধি রাজা জয়সিংহের মধ্যে পুরন্দরের সন্ধি হয়েছিল। এই চুক্তির ফলে শিবাজি মুঘলদের নিজের অধিকৃত ২৩টি দুর্গ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরপর শিবাজি আগ্রার মুঘল দরবারে পৌঁছোলে তাঁকে অপমান করা হয় এবং আগ্রার দুর্গে বন্দি করে রাখা হয়। শিবাজি সুকৌশলে একটি ফলের ঝুড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন এবং দাক্ষিণাত্যে পৌঁছে মুঘলদের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব আবার শুরু হয়। শিবাজির নেতৃত্বে মারাঠাদের উত্থান ঘটে এবং তাদের জাতীয় চেতনা জেগে ওঠে।

(গ) জাঠদের সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত কেন বেঁধেছিল ?

উত্তরঃ দিল্লি-আগ্রা অঞ্চলের জাঠরা ছিল প্রধানত কৃষক গোষ্ঠী। তাদের মধ্যে অনেকে আবার জমিদারও ছিল। রাজস্ব দেওয়া নিয়ে জাহাঙ্গির ও শাহজাহানের আমলে তাদের সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত শুরু হয়। ঔরঙ্গজেবের আমলে তারা স্থানীয় এক জমিদারের নেতৃত্বে জোটকা হয়ে বিদ্রোহ করে। জাঠরা একটি পৃথক রাজ্য গঠন করতে চেয়েছিল। মুঘলদের বিরুদ্ধে জাঠ প্রতিরোধ ছিল একদিকে কৃষক বিদ্রোহ, অন্যদিকে একটি আলাদা গোষ্ঠী পরিচয়ে জাঠরা একজেট হচ্ছিল।

(ঘ) শাহজাহানের সময়ে মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থায় কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল ?

উত্তরঃ শাহাজাহানের সময় মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই মনসবদারদের তাদের পদ অনুযায়ী যা বেতন পাওয়ার কথা, তা দেওয়া যেত না। অনেক সময় আবার কৃষক বিদ্রোহের কারণে রাজস্ব আদায় করা যেত না। এ ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করাও সবসময় সম্ভব হচ্ছিল না। মনসবদাররা বেতন না পেলে তাদের যতজন ঘোড়সওয়ারের দেখাশোনা করার কথা, ততজনের দেখাশোনা করা যেত না, অর্থাৎ খাতায় কলমে হিসাবের সঙ্গে আসলে যা হচ্ছে তার তফাত বেড়েই চলেছিল। মনসবদারদের মধ্যে দুর্নীতির কারণে মনসবদারি ও জায়গিরদার ব্যবস্থা পতনের দিকে এগিয়ে চলেছিল।

(ঙ) বিজাপুর ও গোলকোন্ডা জয়ের ফলে মুঘলদের কী সুবিধা হয়েছিল ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের বিজাপুর ও গোলকোন্ডা জয়ের পর দাক্ষিণাত্যের বিশাল অঞ্চল মুঘলদের হাতে এসেছিল। এই অঞ্চলের সব থেকে ভালো জমিগুলি ঔরঙ্গজেব খাসজমি বা খালিসা হিসাবে রেখেছিলেন। সেগুলি জায়গির হিসাবে দেওয়া হতো না। খাস জমির রাজস্ব সরাসরি কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা হতো।

৪. বিশদে (১০০ – ১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) মুঘলদের বিরুদ্ধে শিখরা কীভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছিল ?

উত্তরঃ নানা কারণ থাকলেও মূলত রাজনৈতিক কারণেই মুঘলদের সঙ্গে শিখদের সংঘাত শুরু হয়। শিখদের সঙ্গে জাহাঙ্গির এবং শাহজাহানের আমলে মুঘলদের সংঘাত দেখা দেয়। এই সংঘাতের চরিত্র ছিল রাজনৈতিক। শিখরা তাদের গুৰুৱ প্রতি অনুগত ছিল। তাই নিয়ে অনেক সময় মুঘল রাষ্ট্রের সঙ্গে শিখদের সংঘাত বেঁধে যেত। শিখদের দশজন গুপ্ত ছিলেন। ষোড়শ শতকের শেষের দিকে চতুর্থ গুরু রামদাসের পুত্র অর্জুনদেব শিখদের গুরু হন। এই সময় থেকেই শিখদের মধ্যে বংশানুক্রমিকভাবে গুরু নির্বাচন করা শুরু হয়। এই শিখদের উত্থান অনেকটাই একটা স্বাধীন শক্তির উত্থানের মতোই হয়ে উঠেছিল যা মুঘলদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। নবম শিখ গুরু তেগবাহাদুর ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির বিরোধিতা করেন। তেগবাহাদুরকে বন্দি করে মুঘলরা হত্যা করে। এই ঘটনার পর শিখরা পাঞ্জাবের পাহাড়ি এলাকায় চলে যান এবং সেখানেই দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের নেতৃত্বে তারা সংঘবদ্ধ হতে থাকেন। ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে গুরু গোবিন্দ সিংহ খালসা নামক একটি সংগঠন তৈরি করেন। খালসার প্রধান কাজ ছিল শিখদের নিরাপদে রাখা। গুরু গোবিন্দ সিংহ।

মুঘলদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারেননি ঠিকই কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই শিথিল হয়ে গিয়েছিল।

(খ) মুঘল যুগের শেষ দিকে কৃষি সংকট কেন বেড়ে গিয়েছিল ? এই কৃষি সংকটের ফল কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ মুঘল যুগের শেষের দিকে ফসলের উৎপাদন বেড়ে গিয়েছিল কিন্তু কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল।

মুঘল যুগে অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল কৃষি, নানা কারণে মুঘল যুগের শেষ দিকে কৃষি সংকট বেড়ে গিয়েছিল। দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধের সময়ে রাজস্ব আদায়ের জন্য মুঘল মনসবদাররা মারাঠা সর্দারদের সাহায্য নিত ওইসব অঞ্চলে মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে গিয়েছিল। এদিকে সপ্তদশ শতকে আবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এর জন্যে অভিজাতরা

চাইলেন জমি থেকে তাদের আয় আরও বাড়াতে। তাঁরা জমিদার এবং কৃষকদের উপর চাপ বাড়াতে থাকেন। ফলে কৃষকরা বিদ্রোহের পথ বেছে নেয়। কোনো কোনো সময়ে কৃষকরা রাজস্ব না-দিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেত। তখন তাদের জমিতে চাষ হতো না। চাষ না-হলে রাজস্বও আদায় হতো না। এইভাবে কৃষিতে সংকট বেড়ে উঠেছিল। এই কৃষি সংকটের ফলে মনসবদারি ব্যবস্থা সংকটপূর্ণ হয়ে পড়ে। দাক্ষিণাত্যের সবথেকে ভালো জমিগুলি ঔরঙ্গজেব খাস জমি করে রেখেছিলেন। এগুলিকে জায়গির দেওয়া হতো না। সুতরাং জমির অভাব না থাকলেও ভালো আবাদি জমির পরিমাণ কমে যায়। মুঘল শাসকরা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বাড়াতে পারেননি। ফলে কৃষি সংকট আরও গভীর হয়।

(গ) মুঘল যুগের শেষ দিকে জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থায় কেন সংকট তৈরি হয়েছিল ? মুঘল সাম্রাজ্যের উপর এই সংকটের কী প্রভাব পড়েছিল ?

উত্তরঃ মুঘল আমলে জায়গিরদারি ব্যবস্থা ছিল শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি। মুঘল আমলে মনসবদাররা নগদ বেতন অথবা জায়গির পেতেন। শাহজাহানের আমল থেকেই জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই মনসবদারদের তাদের পদ অনুযায়ী যা বেতন পাওয়ার কথা তা দেওয়া যেত না। অনেক সময় আবার কৃষক বিদ্রোহের কারণে রাজস্ব আদায় করা যেত না। এ ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করাও সবসময় সম্ভব হচ্ছিল না। মনসবদারেরা বেতন না পেলে তাদের পক্ষেও ভালোভাবে ঘোড়সওয়ারের দেখাশোনা করা সম্ভব ছিল না, অর্থাৎ খাতায় কলমে হিসাবের সঙ্গে আসলে যা হচ্ছে তার তফাত বেড়েই চলেছিল। ঔরঙ্গজেবের সময় এই সমস্যা আরও বেড়েছিল।

ঔরঙ্গজেব মনসবদারেরা ভালোভাবে ঘোড়সওয়ারের ভরণপোষণ করতে না পারার ফলে সৈন্যবাহিনীর ক্ষমতা কমতে থাকে। এ ছাড়া ভালো জমির পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে জায়গির হিসাবে ভালো জমি দেওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সমস্যা আরও গভীর হয়েছিল। আয়ের পথ অনিশ্চিত হওয়ায় বেতনভুক দক্ষ সেনার ভরণপোষণে সম্রাট অপারগ হয়ে ওঠেন। ভালো জায়গির পাওয়ার জন্য জায়গিরদাররা ষড়যন্ত্র ও দলাদলি করতে থাকেন এর ফলস্বরূপ মুঘল সাম্রাজ্যের সংহতি বিনষ্ট হয়। ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।

(ঘ) সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুঘল সাম্রাজ্যের সামগ্রিক অবস্থা বিষয়ে তোমার মতামত কী ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে সাম্রাজ্য অনেক বড়ো হয়ে পড়েছিল এবং মনসব নিয়ে অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া সেই সময়ে মারাঠাদের মতো এক আঞ্চলিক শক্তির উত্থান হয়। এরা মুঘলদের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। শিখদের সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্কও তিক্ত হয়ে উঠেছিল। এতদিন ধরে মুঘলরা নিজেদের যে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই ধারণায় আঘাত করা হয়। মুঘলদের বিরুদ্ধে জাঠ প্রতিরোধ ছিল একদিকে কৃষক বিদ্রোহ, অন্যদিকে একটি আলাদা গোষ্ঠী পরিচয়ে জাঠরা একজোট হচ্ছিল। মথুরার কাছে নারনৌল অঞ্চলে একদল কৃষক মুঘল উপজাতিরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। এ ছাড়া জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থাতেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল। এরা ছিল সত্নামি নামে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষ। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পাঠান। এবং সর্বোপরি ঔরঙ্গজেবের সময় থেকে কৃষি সংকটও বেড়ে গেছিল। তাই সামগ্রিকভাবে বলা যায় ঔরঙ্গজেবের আমল থেকেই শুরু হয়েছিল মুঘল সাম্রাজ্য পতনের সূচনা।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট (অষ্টম অধ্যায়) MCQ, শূন্য স্থান, সত্য / মিথ্যা, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7th History Question and Answer Ch-8

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-8

১. মুঘল যুগে পদাতিক বাহিনীকে বলা হত ( পেশোয়া / বর্গি / মাওয়ালী )

উত্তরঃ মাওয়ালী

২. মারাঠা জাতির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন- (শিবাজি / রঘুজি / বালাজি)।

উত্তরঃ শিবাজি

৩. বিজাপুরের সুলতান শিবাজিকে- (জামাই / মিত্র / দমন) করতে চেয়েছিলেন।

উত্তরঃ দমন।

৪. শিবাজি সুরাট লুণ্ঠন করেন- (একবার / দু’বার / তিনবার)।

উত্তরঃ দু’বার

৫. ঔরঙ্গজেব শিবাজিকে দমন করতে
(সেলিমকে / মুয়াজ্জমকে / আলমকে) পাঠিয়েছিলেন।

উত্তরঃ মুয়াজ্জমকে।

৬. চৌথ এবং সরদেশমুখী কর প্রবর্তন করেছিলেন ছিল (শিবাজির / ঔরঙ্গজেব / কুতুব উদ্দিন)।

উত্তরঃ শিবাজির।

৭. ‘বর্গি’ বলতে বোঝাত মারাঠা- (সর্দার / কর্মচারী / সৈনিক) -দের।

উত্তরঃ সৈনিক।

৮. শিবাজী আফজল খানকে হত্যা করেন দিয়ে (ছুরি / তলোয়ার / বাঘনখ) নামক অস্ত্র দিয়ে।

উত্তরঃ বাঘনখ।

৯. মনসবদারদের বেতন অনুযায়ী রাখতে হত (নৌ বাহিনী / ঘোড়সওয়ার / পদাতিক সেনা)।

উত্তরঃ ঘোড়সওয়ার

১০. গুরু গোবিন্দ সিংহ কালসা গঠন করেন (১৬০০ / ১৬৫০ / ১৬৯৯) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৬৯৯

১১. শিবাজীর মায়ের নাম ছিল (তারাবাঈ / জিজাবাঈ / লক্ষীবাঈ)।

উত্তরঃ জিজাবাঈ

১২. জাটরা বিদ্রোহ করেছিলেন (ঔরঙ্গজেব / শেরশাহ / আকবরের) আমলে।

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব।

১৩. শিবাজীর অভিষেক হয়েছিল (১৬০০ / ১৬৭৪ / ১৭০৭) খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৬৭৪

১৪. শিবাজীর শিক্ষক ছিলেন (গুরু নানক / দাদাজি কোন্ডদেব / গুরু গোবিন্দ সিংহ)।

উত্তরঃ দাদাজি কোন্ডদেব।

১৫. পঞ্চম শিখ গুরু ছিলেন (নানক / গোবিন্দ সিংহ / অর্জুন দেব)।

উত্তরঃ অর্জুন দেব।

১৬. যে শিখ গুরু কে ওরঙ্গজেব প্রাণদণ্ড দিয়েছিলেন তিনি হলেন (গুরু অর্জুন / গুরু হরগোবিন্দ / গুরু তেগ বাহাদুর)।

উত্তরঃ গুরু তেগবাহাদুর।

শূন্যস্থান পূরন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-8

১. মুঘল সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করেছিল এমন এক আঞ্চলিক শক্তির নাম ____________।

উত্তরঃ মারাঠা

২. শিবাজির পিতা শাহজি ভোঁসলে __________ রাজ্যের সুলতানের অধীন জায়গিরদার ছিলেন।

উত্তরঃ বিজপুর।

৩. পুরন্দরের সন্ধি ________ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়।

উত্তরঃ ১৬৬৫

৪. মুঘল সম্রাট শিবাজিকে _________ দুর্গে বন্দি করে রেখেছিলেন।

উত্তরঃ আগ্রা।

৫. ________ শিবাজির অভিষেক হয়।

উত্তরঃ রায় গড়ে।

৬. মারাঠারা নিজেদের রাজাকে _______ বলত।

উত্তরঃ স্বরাজ্য

৭. চতুর্থ শিখগুরুর নাম ___________।

উত্তরঃ গুরু রামদাস

৮. শিখগুরু _______ ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির বিরোধিতা করেছিলেন।

উত্তরঃ তেগবাহাদুর

৯. দশম শিখগুরুর নাম ___________।

উত্তরঃ গুরু গোবিন্দসিংহ

১০. খালসাপন্থী শিখরা ________ পদবি ব্যবহার করেন।

উত্তরঃ সিংহ

১১. সৎনামিরা সম্রাট _________ আমলে বিদ্রোহ করে।

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেবের।

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-8

১. সপ্তদশ শতকে শিবাজী মারাঠাদের জোটবদ্ধ করেছিলেন।

উত্তরঃ সত্য।

২. বিজাপুরের সুলতান শিবাজিকে দমন করার জন্য আফজল খানকে পাঠান।

উত্তরঃ সত্য।

৩. পুরন্দরের সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় শিবাজী ও আফজল খানের মধ্যে।

উত্তরঃ মিথ্যা (সঠিক উত্তর শিবাজী ও জয়সিংহের মধ্যে।)

৪. আগ্রা দুর্গে বন্দি শিবাজি ছদ্মবেশে পালিয়েছিলেন।

উত্তরঃ মিথ্যা (ফলের ঝুড়িতে লুকিয়ে)।

৫. শিবাজির আটজন মন্ত্রী অষ্টপ্রধান নামে পরিচিত।

উত্তরঃ সত্য।

৬. মারাঠা রাজ্যে স্থায়ী সৈনিকদের মাওয়াল বলা হত।

উত্তরঃ মিথ্যা। (সঠিক উত্তর বর্গি)।

৭. গুরু তেগবাহাদুর একসঙ্গে দুটি তলোয়ার রাখতেন।

উত্তরঃ মিথ্যা। (গুরু হরগোবিন্দ)

৮. গুরু তেগবাহাদুর শিখগুরুকে মুঘলরা হত্যা করে।

উত্তরঃ সত্য।

৯. ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে গুরু গোবিন্দ সিংহ খালসা সংগঠন তৈরি করেন।

উত্তরঃ সত্য।

১০. শিখনেতা বান্দা বাহাদুর গোবিন্দ সিংহের শিষ্য ছিলেন‌।

উত্তরঃ সত্য।

এক কথায় উত্তর দাও : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট (অষ্টম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-8

১. শিবাজির পিতার নাম কী ?

উত্তরঃ শাহজি ভোঁসলে।

২. শিবাজি কতবার সূরাট আক্রমণ করে লুঠপাট চালান ?

উত্তরঃ দুবার

৩. পুরন্দরের সন্ধি অনুসারে শিবাজি মুঘলদের কটি দুর্গ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন ?

উত্তরঃ ২৩টি

৪. কত খ্রিস্টাব্দে শিবাজির অভিষেক হয় ?

উত্তরঃ ১৬৭৪ খ্রিস্টাব্দে

৫. শিবাজির ‘অষ্টপ্রধান’-এর মধ্যে প্রধান কে ছিলেন ?

উত্তরঃ পেশওয়া

৬. কোন্ মারাঠা পেশওয়া হিন্দু রাজাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি হিন্দু সাম্রাজ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন ?

উত্তরঃ প্রথম বাজিরাও

৭. পেশওয়া প্রথম বাজীরাও-এর হিন্দু রাজ্য গড়ে তোলার আদর্শকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ হিন্দুপাদপাদশাহি

৮. নবম শিখগুরুর নাম কী ?

উত্তরঃ গুরু তেগবাহাদুর

৯. কোন্ শিখগুরু খালসা সংগঠন তৈরি করেন?

উত্তরঃ গুরু গোবিন্দসিংহ

১০. খালসার কাজ কী ছিল‌ ?

উত্তরঃ শিখদের নিরাপদে রাখা।

১১. জাঠরা কোন্ সম্রাটের আমলে বিদ্রোহ করে ?

উত্তরঃ ঔরঙ্গজেব।

Leave a Reply