সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় (নগর, বণিক ও বাণিজ্য) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Nogor, Bonik O Banijjo Questions Answers Chapter – 6 WBBSE

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় (নগর, বণিক ও বাণিজ্য) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Nogor, Bonik O Banijjo Questions Answers Chapter – 6 WBBSE

📌 সপ্তম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

‘ভেবে দেখো খুঁজে দেখো’ পাঠ্য অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর | সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় (নগর, বণিক ও বাণিজ্য) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Nogor, Bonik O Banijjo Questions Answers Chapter – 6 WBBSE

১। নীচের নামগুলির মধ্যে কোন্‌টি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না তার তলায় দাগ দাও : পূর্ণমান- ১

(ক) শাহাজাহানবাদ, তুঘলকাবাদ, কিলা রাই পিথোরা, দৌলতাবাদ।

উত্তরঃ দৌলতাবাদ (দৌলতাবাদ বর্তমান মহারাষ্ট্রে অবস্থিত একটি শহর বাকি তিনটি দিল্লির শহর)

(খ) তঙ্কা, মোহর, হুন্ডি, জিতল।

উত্তরঃ হুন্ডি (হুন্ডি এক ধরনের কাগজ বাকি তিনটি মুদ্রা)

(গ) নীল, গোলমরিচ, সুতিবস্ত্র, রূপো।

উত্তরঃ রূপো (রুপো ইউরোপ থেকে ভারতে আমদানি করা হতো, বাকি তিনটি রপ্তানি করা হতো)

(ঘ) করওয়ানি, কসবা, বানজারা, মুলতানি।

উত্তরঃ কসবা (কসবা হলো ছোট শহর বাকি তিনটি হল বণিক সম্প্রদায়)

(ঙ) পাণ্ডুয়া, বুরহানপুর, চট্টগ্রাম, গৌড়।

উত্তরঃ বুরহানপুর (বুরহানপুর হল ভারতের দাক্ষিণাত্যে অবস্থিত একটি শহর, বাকি তিনটি প্রাচীন বাংলার শহর)।

২। ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো : পূর্ণমান- ১

‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
সিরি ডেনমার্কের অধিবাসী
দিনেমার শেখ নাসিরউদ্দিন
সরাফ আলাউদ্দিন খলজি
হৌজ মুদ্রা বিনিময়কারী
চিরাগ-ই-দিল্লি জল সংরক্ষণ

উত্তরঃ

‘ক’ স্তম্ভ ‘খ’ স্তম্ভ
সিরি আলাউদ্দিন খলজি
দিনেমার ডেনমার্কের অধিবাসী
সরাফ মুদ্রা বিনিময়কারী
হৌজ জল সংরক্ষণ
চিরাগ-ই-দিল্লি শেখ নাসিরউদ্দিন

৩। সংক্ষেপে (৩০–৩৫টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও : পূর্ণমান- ৩

(ক) কী কী ভাবে মধ্যযুগের ভারতে শহর গড়ে উঠত ?

উত্তরঃ শহর কথাটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। সুলতানি ও মধ্য মুঘল আমলে ভারতে গ্রামের পাশাপাশি অনেক শহর গড়ে উঠেছিল। শহরগুলি প্রধানত ছিল আর্থিক লেনদেন ও ব্যাবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কারণেও শহর গড়ে উঠত। যেখানে দুর্গ নির্মাণ এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখভাল সহজ ছিল। সেখানেই মধ্যযুগের শহর গড়ে তোলা হত ৷ এই কারণগুলির কথা মাথায় রেখেই রাজা-রাজরা ও বণিকবৃন্দ এই অঞ্চলগুলির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সেখানে। শহর গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতেন। আবার অনেক সময় ধর্মীয় স্থান বা মন্দির, মসজিদকে ঘিরে কোনো কোনো শহর গড়ে উঠত। এ ছাড়া নদী-বাণিজ্যের সুবিধার কথা ভেবেও বিভিন্ন নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শহর গড়ে উঠত। যেমন— গিয়াসউদ্দিন বলবনের আমলে যমুনার পারে তৈরি হয়েছিল গিয়াসপুর শহরতলি। কায়কোবাদ ত্রয়োদশ শতকে যমুনার তীরে তৈরি করেন কিলোয়ারি প্রাসাদ।

(খ) কেন সুলতানদের সময়কার পুরানো দিল্লির আস্তে আস্তে ক্ষয় হয়েছিল ?

উত্তরঃ কুতুবউদ্দিন আইবকের আমলে দিল্লি তৈরি হয়েছিল রাজপুত শাসকদের শহর কিলা রাই পিথোরাকে কেন্দ্র করে। এটাই ছিল সুলতানি আমলের প্রথম দিল্লি বা পুরানো দিল্লি। মহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে কুতুব দিল্লির বা পুরানো দিল্লিকে একটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরার চেষ্টা হয়েছিল। চতুর্দশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে দিল্লি শহরের চেহারা বদলে যায়। আগেকার মতো আরাবল্লির পাথুরে এলাকায় শহর তৈরি না করে। ফিরোজ শাহ তুঘলক যে ফিরোজাবাদ শহর গড়ে তোলেন তার মধ্যমণি ছিল ফিরোজশাহ কোটলা । যার অবস্থান ছিল যমুনা নদীর ধার বরাবর। এই পরিকল্পনার ফলে শহরের জলের সমস্যা লাঘব হয়। নদীপথে অল্পখরচে বয়ে আনা জিনিসপত্র শহরের অধিবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়। এর ফলে সুলতানদের পুরানো দিল্লি শহর আস্তে আস্তে ক্ষয় পেতে লাগল। ফিরোজাবাদ শহর পত্তনের ফলে এই ক্ষয় পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।

(গ) কেন, কোথায় শাহজাহানাবাদ শহরটি গড়ে উঠেছিল ?

উত্তরঃ দিল্লিতে সুলতানি আমলে যে শহরগুলো গড়ে উঠেছিল তাদের থেকে খানিকটা দূরে যমুনা নদীর পশ্চিমে একটি উঁচু জায়গায় শাহজাহানাবাদ শহরটি বাদশাহ শাহজাহান তৈরি করেছিলেন। যমুনা নদীর পাড় ভেঙে আগ্রা শহরটি ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত ও ঘিঞ্জি হয়ে পড়ছিল। এছাড়া আগ্রার প্রাসাদ দুর্গ মুঘল বাদশাহের জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বড়ো ছিল না তাই শাহাজাহানাবাদ শহরটি তৈরি করা হল। বাদশাহ শাহজাহান সুলতানদের আমলের দিল্লি শহরের ধ্বংসাবশেষকে রাজধানী হিসাবে বেছে নেননি। তিনি একটি নতুন এলাকায় শহর পত্তন করে সার্বভৌম শাসক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এই শহর বানানোর সময় ইসলামি ও হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ‘শাহজাহানাবাদ’ তৈরি হয়েছিল ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে। ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে শাহজাহান আগ্রা থেকে সেখানে চলে আসেন।

(ঘ) ইউরোপীয় কোম্পানির কুঠিগুলি কেমন ছিল ?

উত্তরঃ ইউরোপীয় বাণিজ্যিক কোম্পানি ইংরেজ, ডাচ, ফরাসি দিনেমার বা বাণিজ্যের সুবিধার্থে ভারতে বেশ কিছু বাণিজ্য কুঠি নির্মাণ করেছিল। এগুলি তাদের বাণিজ্যকেন্দ্র রূপে কাজ করত। যেখান থেকে বাণিজ্যিক লেনদেন পরিচালনা করা হতো। এ ছাড়া কোম্পানির কুঠিতে ইউরোপীয় বণিকরা নিজেদের মতো করে বাড়িঘর করত। কুঠিগুলো তারা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দুর্গের মতো সুরক্ষিত রাখত। এখানে তাদের বাসগৃহ ও মালের গুদাম থাকত। এই গুদামগুলি থেকে তারা জাহাজে করে ইউরোপে মাল পাঠাত।

(ঙ) মুঘল শাসকরা কীভাবে ব্যবসাবাণিজ্যে উৎসাহ দিতেন ?

উত্তরঃ ব্যাবসা বাণিজ্যে মুঘল সম্রাটদের উৎসাহ দান ইউরোপীয় বণিকদের ভারত আগমনে অন্য মাত্রা দিয়েছিল। মুঘল শাসকেরা বাণিজ্য করত বা নিজেদের নানা ভাবে উৎসাহিত করত। আমদানিকৃত মালের শুল্ক ছাড় দিয়ে, বাণিজ্যের অনুমতি দিয়ে তারা বণিকদের সুবিধা করে দিত। এ ছাড়া প্রয়োজনে মুঘল শাসকরা বণিকদের বাণিজ্য ঋণ দেবারও ব্যবস্থা করেছিল। মুঘল অভিজাতদের মধ্যে কেউ সরাসরি কেউ বা নিজে অংশগ্রহণ করেছিল। তবে এই প্রয়াস ছিল খুবই সীমিত। মুঘল সম্রাট, রাজপুত্ররা ও অভিজাতরা নিজেদের প্রয়োজন ও শখ মেটাতে নিজেদের কারখানায় কারিগরদের দিয়ে নানা ধরনের শৌখিন জিনিস, বস্ত্র, বিলাসদ্রব্য তৈরি করত। যা পরোক্ষভাবে বণিকদের উৎসাহ দান করেছিল। তা ছাড়া বিভিন্ন বন্দর শহর ও অভ্যন্তরস্থ বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে ইউরোপীয় বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপন ও ইউরোপের বাজারগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন মুঘল যুগের বাণিজ্যধারাকে বেগবান করেছিল।

৪। (১০০–১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও : পূর্ণমান- ৫

(ক) খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে দিল্লি কেন একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে উঠেছিল ?

উত্তরঃ ত্রয়োদশ শতক থেকে দিল্লি একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল আরাবল্লি শৈলশিরার একটি প্রান্ত ও যুমনা নদীবিধৌত সমতলের সংযোগস্থলে। এখানে আরাবল্লির পাথর দিয়ে জমির ঢাল অনুযায়ী সুরক্ষিত দুর্গনির্মাণ করা সহজ ছিল। ফলে উত্তর পশ্চিম দিকের সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে যে মোঙ্গল আক্রমণ-এর সম্ভাবনা ছিল তা থেকে রাজধানীকে মুক্ত করা সম্ভবপর ছিল। আবার দিল্লি শহরের পাশ দিয়েই প্রবাহিত হয়েছিল যমুনা নদী, যা শহরের পূর্ব দিকে একটি প্রাকৃতিক সীমানা রচনা করেছিল। এ ছাড়া যমুনা নদী ছিল প্রধান জলপথ, তার সাথে সমুদ্রবাণিজ্য বৈদেশিক বাণিজ্য বন্দরগুলি যুক্ত ছিল, যা দিল্লিকে অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করেছিল। এই প্রাকৃতিক সীমানা ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই বহু যুগ ধরেই রাজারা ও বণিকবৃন্দ দিল্লি অঞ্চলের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন।

ত্রয়োদশ শতকে মহম্মদ ঘুরির সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবক দিল্লিতে সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। আজ পর্যন্ত মধ্য যুগের দিল্লির সাতটি নাগরিক বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে। দিল্লির প্রশাসনিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে মধ্যযুগের সুলতানরা দিল্লিকে ঘিরে তাদের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। যেমন— কুতুবউদ্দিন আইবকের আমলে, দিল্লি তৈরি হয়েছিল রাজপুত শাসকদের শহর কিলা রাই পিথোরাকে কেন্দ্র করে। এটাই ছিল সুলতানি আমলের প্রথম দিল্লি বা কুতুব দিল্লি। দিল্লি শহরটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় ও এটি একটি রাজধানী শহর হওয়ায় বিদেশি পর্যটক ও বণিকদের কাছে শহরটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এবং ত্রয়োদশ শতক থেকেই দিল্লিতে বিভিন্ন পর্যটক ও বণিকদের আগমনও উত্তরোত্তর বাড়তে শুরু করে।

(খ) শাহজাহানাবাদের নাগরিক চরিত্র কেমন ছিল ?

উত্তরঃ ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান দিল্লি শহরে শাহজানাবাদ শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। আগ্রা থেকে এখানেই তিনি রাজধানী স্থানান্তর করেন। এখানেই তিনি লাল রঙের বেলেপাথর দিয়ে বিখ্যাত লালকেল্লা নির্মাণ করেন। শাহাজাহানবাদের নাগরিক বসতি ছিল মিশ্র প্রকৃতির। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বসবাস করত এবং এদের বসত বাড়িগুলি ছিল বিভিন্ন প্রকারের। রাজপুত্র ও উচ্চপদস্থ আমিররা সুন্দর বাগান বাড়িতে থাকত। তাদের বাড়িগুলি ছিল সুন্দরভাবে সজ্জিত। ধনী বণিকরা টালি দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো ইট ও পাথরের অট্টালিকাতে থাকত। সাধারণ ব্যবসায়ীরা থাকত নিজেদের দোকানের উপরে বা পেছন দিকের ঘরে। এদের কোনো পৃথক বাসস্থান ছিল না। মুঘল যুগের সবচেয়ে বড়ো ও সুন্দর বাড়িগুলোকে বলা হত ‘হাভেলি’। এ হাভেলিতে সাধারণত রাজপুত্র, উচ্চপদস্থ আমির ও রাজপরিবারের সদস্যরাই থাকত। এর থেকে নিচুস্তরের বাড়িকে ‘মকান’ ও ‘কোঠি’ বলা হত। যেখানে সাধারণ ব্যবসায়ীরা থাকত। সবচেয়ে ছোটো ঘরকে বলা হত ‘কোঠরি’ যা ছিল সাধারণের বাসগৃহ। এ ছাড়া ছিল আলাদা বাংলো বাড়ি। বড়ো বড়ো বাড়ির আশেপাশে মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি বহু ছোটো ছোটো কুঁড়েঘর ছিল। এই সব কুঁড়েতে সাধারণত সৈনিক, দাসদাসী, কারিগর প্রমুখ মানুষজন থাকত। বসতবাড়ির এই বিস্তর পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও বসতি এলাকার মধ্যে কোনো বিভাজন ছিল না। সেযুগে উচ্চপদস্থ আমির ও গরিব কারিগর একই মহল্লায় পাশাপাশি অবস্থান করত। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে মোটামুটিভাবে একটা সম্পর্ক বজায় ছিল। এই মিশ্র প্রকৃতির সুন্দর ভাবে পরিকল্পিত নগর জীবন মধ্যযুগের ইতিহাসে শাহাজানাবাদ শহরটির গুরুত্ব বাড়িয়েছিল।

(গ) দিল্লির সুলতানদের আমলে ব্যবসা- বাণিজ্যের বিস্তার কেন ঘটেছিল ?

উত্তরঃ সমসাময়িক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে দিল্লির সুলতানদের আমলে ব্যাবসা- বাণিজ্য যথেষ্ট প্রসার লাভ করেছিল। সুলতানি আমলে ব্যাবসা বাণিজ্যের বিস্তারের পেছনে অনেকগুলো কারণ ছিল। ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে দিল্লির সুলতানরা কয়েকটি নতুন শহর তৈরি করেন বা পুরোনো শহরগুলিতে নতুন করে ঘরবাড়ি তৈরি করেন। এই সব শহরে সুলতানরা, অভিজাতরা, সৈনিকরা ও সাধারণ মানুষ বসবাস শুরু করলে শহরগুলো জনবহুল হয়ে ওঠে। শহরগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও বাড়ি-ঘর তৈরির কাঁচামাল জোগান দেবার জন্য আমদানি রপ্তানির বাণিজ্য গড়ে ওঠে। আবার সুলতানি আমলে রাষ্ট্র কৃষকদের কাছ থেকে নগদে কর নেবার ফলে কৃষকরা নগদ অর্থ জোগাড় করতে ব্যবসায়ীদের কাছে উৎপন্ন ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হত। সেই শস্য নিয়েও বাণিজ্য চলত। সুলতানি আমলে জল ও স্থলপথে অন্তর্বাণিজ্য সম্পন্ন হত। জনবহুল শহরগুলোর অধিবাসীদের প্রয়োজনে গ্রাম থেকে নানা রকম খাদ্যশস্য, খাবার তেল, কাঁচা তুলো, ঘি, আনাজ, ফল, লবণ ইত্যাদি শহরে যেত। আর এক শহর থেকে অন্য শহরে রপ্তানি হত দামি শৌখিন জিনিসপত্র, যেগুলো ধনী, অভিজাতদের জন্যই তৈরি করত কারিগররা।

সুলতানি আমলে ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে বহির্বাণিজ্যের সমধিক সম্প্রসারণ ঘটেছিল। গুজরাত ও মালাবারের বন্দরগুলো থেকে পশ্চিম দিকে আরব সাগর, পারস্য উপসাগর ও লোহিত সাগরের তীরবর্তী দেশগুলিতে প্রধানত বস্ত্ৰ মশলা, নীল ও খাদ্যশস্য যেত। আর ওইসব দেশ থেকে আসত ঘোড়া, কাচের তৈরি সামগ্রি, সাটিন কাপড়, ইত্যাদি।

(ঘ) মধ্যযুগে ভারতে দেশের ভেতরে বাণিজ্যের ধরনগুলি কেমন ছিল তা লেখো।

উত্তরঃ মধ্যযুগীয় ভারতীয় ইতিহাসে প্রাপ্ত বিভিন্ন নথিপত্র থেকে এযুগে দেশের ভেতর সাধারণত দুধরনের বাণিজ্যের কথা জানা যায়। প্রথমতঃ গ্রাম ও শহরের বাণিজ্য এবং দ্বিতীয়তঃ দুটি শহরের মধ্যে বাণিজ্য। এই কারণে জনবহুল শহরগুলির অধিবাসীদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য গ্রাম থেকে শহরে কম দামি কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে জিনিস জলপথে নিয়ে আসত। এই সব জিনিসের মধ্যে ছিল নানা প্রকার খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, কাঁচাতুলো, ঘি, আনাজ, ফল, লবণ ইত্যাদি। শহরের বাজারে এই সব পণ্য বিক্রি হত। বর্তমানকালের মতো সেই আমলেও গ্রামগুলো নগরবাসীর কৃষি ও হস্তশিল্পজাত সবরকম পণ্যের চাহিদা মেটাতো।

আবার এক শহর থেকে অন্য শহরে রপ্তানি করা হত প্রধানত বিভিন্ন প্রকার শৌখিন জিনিসপত্র, যেগুলো ধনী ও অভিজাতদের জন্যই তৈরি করত কারিগররা। সুলতানদের রাজধানী দিল্লি শহরে সাম্রাজ্যের নানা এলাকা থেকে দামি মদ, সূক্ষ্ম মসলিন বস্ত্র আমদানি করা হত। তা ছাড়া বাংলাদেশ, করমণ্ডল ও গুজরাতের সুতি ও রেশমের কাপড়ের চাহিদা ছিল দেশের সর্বত্র। সেযুগে গুজরাট তথা পশ্চিম ভারত খাদ্যশস্য-এর দিকে স্ব-নির্ভর ছিল না। এই জন্য পূর্ব ও উত্তর ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য এই অঞ্চলে আমদানি করা হত।

মধ্যযুগে বিভিন্ন প্রকার হস্তশিল্পের বাণিজ্যও চলত। যেমন—চামড়া, কাঠ ও ধাতুর তৈরি বিভিন্ন জিনিস, গালিচা ইত্যাদি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে রপ্তানি হত। বাণিজ্যের সূত্র ধরেই সেই আমলে বহু নগরকেন্দ্র গড়ে ওঠেছিল, যেমন— সুরাট, বেশগাঁও, সাতগাঁও, সোনারগাঁও, হুগলি প্রভৃতি।

(ঙ) ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির আমদানি রপ্তানির রেখচিত্র দেখে ওই যুগের বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্বন্ধে তোমার কী ধারণা হয়‌ ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে ইউরোপে অনেকগুলো বাণিজ্যিক কোম্পানির পত্তন ঘটে এর মধ্যে ইংরেজ, ডাচ বা ওলন্দাজ, ফরাসি, দিনেমার প্রমুখ বণিকরা ভারতে বাণিজ্য করতে এসেছিল মুঘল আমলে।

ভারতে বিদেশী বণিকদের মধ্যে ওলন্দাজরা পশ্চিম ভারতের সুরট ও দাক্ষিণাত্যের মুসলিপটনম বন্দর এলাকার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। কারণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে দক্ষিণ ভারতের ছিট কাপড়ের খুব চাহিদা ছিল।

ভারত বৈদেশিক বাণিজ্যের অঙ্গ হিসেবে ইউরোপের দেশগুলো থেকে রূপা ও সোনা আমদানি করে। এছাড়াও পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ভারত আমদানি করে মশলা, তামা প্রভৃতি। অপরদিকে ভারত ইউরোপের দেশ গুলিতে রপ্তানি করে গোলমরিচ, নীল, সুতিবস্ত্র এবং রেশম বস্ত্র। এছাড়াও ভারত পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রপ্তানি করে সুতিবস্ত্র ও অফিম।

বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় বণিক কোম্পানিগুলো ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক কুঠি বানাতে শুরু করে। এইভাবে সপ্তদশ শতকে ভারতে গুজরাট, উত্তর ও দক্ষিণ করমন্ডল এবং বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল ইউরোপীয় বণিকদের প্রধান অঞ্চল। এছাড়াও মুঘল বাদশাহ শাহজাহান দাস ব্যবস্থা করার অপরাধে পোর্তুগিজদের হুগলি থেকে তাড়িয়ে দিলে ওলন্দাজ, ইংরেজ ও ফরাসি বণিকরা অবাধে বাংলায় বাণিজ্য করার সুযোগ পেয়ে যায়।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : নগর, বণিক ও বাণিজ্য (ষষ্ঠ অধ্যায়) MCQ, শূন্য স্থান, সত্য / মিথ্যা, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7th History Question and Answer Ch-6

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – নগর, বণিক ও বাণিজ্য (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-6

১. নগর শব্দটি যে শব্দ থেকে এসেছে–
(A) সংস্কৃত
(B) আরবি
(C) ফার্সি
(D) ইংরেজি

উত্তরঃ (A) সংস্কৃত

২. শহর শব্দটি যে শব্দ থেকে এসেছে–
(A) সংস্কৃত
(B) আরবি
(C) ফার্সি
(D) ইংরেজি

উত্তরঃ (C) ফার্সি

২. মধ্যযুগে দিল্লি শহর কয়টি পর্যায় গড়ে উঠেছিল ?
(A) একটি
(B) দুটি
(C) তিনটি
(D) চারটি

Ans. (B) দুটি

৩. তুঘলকাবাদ শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন—
(A) গিয়াসউদ্দিন তুঘলক
(B) মহম্মদ বিন তুঘলক
(C) ফিরোজ শাহ তুঘলক
(D) কায়কোবাদ

Ans. (A) গিয়াসউদ্দিন তুঘলক

৪. ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তৈরি হয়েছিল—
(A) ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে
(B) ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে
(C) ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে
(D) ১৭০৬ খ্রিস্টাব্দে

Ans. (B) ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে

৫. ইংরেজ দূত টমাস রো যে মুঘল সম্রাটের আমলে ভারতে আসেন, তিনি হলেন-
(A) শাহ জাহান
(B) আকবর
(C) জাহাঙ্গির
(D) ঔরঙ্গজেব

Ans. (C) জাহাঙ্গির

৬. মুঘল আমলে ভারতীয় অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল—
(A) ব্যাবসাবাণিজ্য
(B) শিল্প
(C) কৃষি
(D) কোনোটিই নয়

Ans. (C) কৃষি

৭. শাহজাহানাবাদের সবচেয়ে ছোটো ঘরকে বলা হত—
(A) হাভেলি
(B) কোঠরি
(C) মকান
(D) গুদাম

Ans. (B) কোঠরি

৮. ‘হৌজ-ই-শামসি’ বা ‘হৌজ-ই-সুলতানি’ খনন করেছিলেন—
(A) গিয়াসউদ্দিন তুঘলক
(B) ইলতুৎমিশ
(C) ইবন বতুতা
(D) বাবর

Ans. (B) ইলতুৎমিশ

৯. ফতেহপুর সিকরি কার রাজধানী ছিল‌ ?
(A) আকবরের
(B) শাহ জাহানের
(C) ফিরোজ তুঘলকের
(D) বাবরের

Ans. (A) আকবরের

১০. ইউরোপীয়দের প্রধান বাণিজ্য ঘাঁটি ছিল না-
(A) সুরাট
(B) মসুলিপটনম
(C) পুলিকট
(D) দিল্লি

Ans. (D) দিল্লি

১১. দিল্লি শহর গড়ে ওঠার ভিত্তি ছিল—
(A) গঙ্গা নদী
(B) যমুনা নদী
(C) ব্রম্মপুত্র নদ
(D) সিন্ধু নদ

Ans. (B) যমুনা নদী

১২. স্যার টমাস রো কত খ্রিস্টাব্দে জাহাঙ্গিরের দরবারে উপস্থিত হয়েছিলেন ?
(A) ১৬১৫ খ্রি.
(B) ১৬৫০ খ্রি.
(C) ১৬৫১ খ্রি.
(D) ১৬৬৩ খ্রি.

Ans. (A) ১৬১৫ খ্রি.

১৩. মুসলিম সভ্যতার একটি বড়ো কেন্দ্র—
(A) সুরাট
(B) স্পেন
(C) পোর্তুগাল
(D) বাগদাদ

Ans. (D) বাগদাদ

১৪. সড়কপথে ভারতীয় সামগ্রীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল—
(A) গুজরাট
(B) মহারাষ্ট্র
(C) মুলতান
(D) মালাবার

Ans. (C) মুলতান

১৫. ‘চিরাগ-ই-দিল্লি’ কথাটির অর্থ হল—
(A) দিল্লির তোরণ
(B) দিল্লির প্রদীপ
(C) দিল্লির জলাধার
(D) দিল্লির বাজার

Ans. (B) দিল্লির প্রদীপ

১৬. শেরশাহের শাসনকালে তার রাজধানী ছিল যমুনার পশ্চিম দিকে অবস্থিত শহর—
(A) কিলা-ই-কুহনা
(B) কিলা রাই পিথোরা
(C) দীনপনাহ
(D) জাহানপনাহ

Ans. (A) কিলা-ই-কুহনা

১৭. ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের দক্ষিণে কালিকট বন্দরে এসে পৌঁছান—
(A) ভাস্কো দা গামা
(B) ডিউক অব আলবুকাক
(C) টমাস রো
(D) প্রথম জেমস

Ans. (A) ভাস্কো দা গামা

১৮. ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম ভারতে আসে—
(A) ইংরেজরা
(B) ওলন্দাজরা
(C) পোর্তুগিজরা
(D) ইতালিরা

Ans. (C) পোর্তুগিজরা

১৯. কিলোঘড়ি প্রাসাদ তৈরি হয়-
(A) খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের শেষে
(B) খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতকের শেষে
(C) খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের শেষে
(D) খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকের শেষে

Ans. (D) খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকের শেষে

২০. ভারতের পশ্চিম উপকূলে আরব সাগরের প্রধান বন্দর ছিল—
(A) মালাবার
(B) সুরাট
(C) মসুলিপটনম
(D) হুগলি

Ans. (B) সুরাট

২১. বিজয়নগরের সোনার মুদ্রার নাম—
(A) হোন
(B) জিতল
(C) রুপি
(D) দাম

Ans. (A) হোন

২২. গোয়ায় পোর্তুগিজদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যার চেষ্টায়—
(A) ভাস্কো-দা-গামা
(B) আলবুকার্ক
(C) টমাস রো
(D) নিজামউদ্দিন আউলিয়া

Ans. (B) আলবুকার্ক

২৩. কার লেখায় সুলতান ইলতুৎমিশের আমলের দিল্লির কথা জানা যায় ?
(A) বারনি
(B) আলবেরুনি
(C) ইসামি
(D) আবুল ফজল

Ans. (C) ইসামি

২৪. দিল্লি শহরের প্রধান সমস্যা ছিল-
(A) জলের অভাব
(B) শাসকের অভাব
(C) অর্থের অভাব
(D) ঘরের অভাব

Ans. (A) জলের অভাব

২৫. ইংরেজ বণিকরা প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করেন-
(A) কালিকটে
(B) মসুলিপটনমে
(C) সুরাটে
(D) মালাবারে

Ans. (B) মসুলিপটনমে

২৬. আরাবল্লি শৈলশিরার একটি প্রান্তে অবস্থিত শহর—
(A) দিল্লি
(B) মহারাষ্ট্র
(C) গুজরাট
(D) গোয়া

Ans. (A) দিল্লি

২৭. সিরি শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন—
(A) আলাউদ্দিন খলজি
(B) রাজিয়া
(C) আকবর
(D) শাহ জাহান

Ans. (A) আলাউদ্দিন খলজি

২৮. পুলিকট ছিল যে দেশের উপনিবেশ—
(A) ব্রিটেন
(B) ফরাসি
(C) ওলন্দাজ
(D) পোর্তুগিজ

Ans. (C) ওলন্দাজ

২৯. বাংলায় ফরাসিদের ঘাঁটি ছিল-
(A) কলকাতা
(B) ব্যান্ডেল
(C) চন্দননগর
(D) পলাশী

Ans. (C) চন্দননগর

শূন্যস্থান পূরন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – নগর, বণিক ও বাণিজ্য (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-6

১. ‘দিল্লি এখনও অনেক দূর’-এই উক্তির বক্তা হলেন _________।

উত্তরঃ নিজামউদ্দিন আউলিয়া

২. ভাস্কো দা গামা _________ দেশের নাবিক ছিলেন।

উত্তরঃ পোর্তুগাল

৩. সুলতানি আমলে দিল্লি শহরের জল সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল _______।

উত্তরঃ হৌজ

৪. আজকের ব্যাংকের মতো মধ্যযুগে ব্যাংকারদের বলা হত _________।

উত্তরঃ সরাফ

৫. ‘শহর’ কথাটা ________ থেকে এসেছে।

উত্তরঃ ফারসি।

৬. খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে মহম্মদ ঘুরির সেনাপতি ______________ দিল্লিতে সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তরঃ কুতুবউদ্দিন আইবক।

৭. হৌজ’ বা _______ (জলাধার) ছিল দিল্লি শহরের জল সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

উত্তরঃ ‘তালাও’।

৮. আলাউদ্দিন খলজি খনন করেন বড়ো চারকোণা জলাধার ___________ ।

উত্তরঃ ‘হৌজ-ই-আলাই’

৯. বাবর পানিপতের প্রথম যুদ্ধে _________ হারিয়ে আগ্রা ও দিল্লি উভয়ই দখল করেছিলেন।

উত্তরঃ ইব্রাহিম লোদিকে।

১০. শাহজাহানাবাদ তৈরি হয়েছিল ________ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তরঃ ১৬৩৯

১১. দিল্লির লালকেল্লা ________ টাকা খরচ করে এটি বানানো হয়েছিল।

উত্তরঃ ৯১ লক্ষ

১২. রাস্তার ধারে-ধারে পথিকদের জন্য গড়ে উঠেছিল _________।

উত্তরঃ সরাইখানা।

১৩. দিল্লির সুলতানরা _______ নামে রূপোর মুদ্রা চালু করেছিলেন।

উত্তরঃ ‘তঙ্কা’।

১৪. সব ভারতীয় শাসকই _________ আমদানিতে উৎসাহ দিত

উত্তরঃ ঘোড়া।

১৫. মুঘল আমলের সোনার মুদ্রা _______ বা ‘আশরফি’ নামে পরিচিত ছিল।

উত্তরঃ ‘মোহর’।

১৬. _________ খ্রিস্টাব্দে তৈমুর লঙ দিল্লি আক্রমণ করেন।

উত্তরঃ ১৩৯৮

১৭. বাংলায় _________ পোর্তুগিজরা তাঁদের ঘাঁটি তৈরি করেছিল।

উত্তরঃ ব্যান্ডেলে।

১৮. নেদারল্যান্ডের লোকেদের বলা হয় _________।

উত্তরঃ ডাচ।

১৯. হুন্ডি হলো এক ধরনের ___________।

উত্তরঃ কাগজ।

২০. কালিকট বন্দর __________ সাগরের তীরে অবস্থিত।

উত্তরঃ আরব।

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস– নগর, বণিক ও বাণিজ্য (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-6

১. সুলতানি আমলের প্রথম দিল্লির অপর নাম ছিল কুতুব দিল্লি।

উত্তরঃ সত্য

২. জালালউদ্দিন খলজির আমলে কিলোঘড়ি প্রাসাদকে ঘিরে ‘নতুন শহর’ গড়ে ওঠে।

উত্তরঃ সত্য

৩. দিল্লি শহরের আর-একটি বৈশিষ্ট্য ছিল মিশ্র ধরনের বসতি।

উত্তরঃ সত্য

৪. ‘তালাও’ শব্দের অর্থ ‘তালা’ (lock) ।

উত্তরঃ মিথ্যা (উত্তরঃ জলাধার)

৫. সুলতানি যুগে অন্যান্য হস্তশিল্পের বাণিজ্যও হত।

উত্তরঃ সত্য

৬. ভারতে গোলমরিচ আমদানি করতে হত।

উত্তরঃ মিথ্যা। (সঠিক উত্তর রূপা)

৭. মধ্যযুগে মালদ্বীপ থেকে আমদানি করা কড়ি বাংলায় মুদ্রা রূপে ব্যবহৃত হত।

উত্তরঃ সত্য

৮. আলবুকার্ক ছিলেন একজন নৌ-সেনাপতি।

উত্তরঃ সত্য

৯. দিল্লি শহরের প্রধান স্থাপত্যগুলি হল কিলা মুবারক ও জামা মসজিদ।

উত্তরঃ সত্য

১০. দিল্লি শহরের প্রধান সমস্যা ছিল যান জটের সমস্যা।

উত্তরঃ মিথ্যা। (উত্তরঃ জলের অভাব)

১১. ‘নগর’ শব্দটা সংস্কৃত থেকে এসেছে।

উত্তরঃ সত্য।

১২. আলাউদ্দিন খলজি খনন করেন ‘হৌজ-ই শামসি’ জলাধার।

উত্তরঃ মিথ্যা। (উত্তরঃ‘হৌজ-ই আলাই)

১৩. গিয়াসউদ্দিন বলবনের আমলে মেও দস্যুদের ভয়ে শহরের লোকজন জল আনতে তালাও পর্যন্ত যেতে পারত না।

উত্তরঃ সত্য।

১৪. দুর্গ ও শহরের জলবাহী নালাগুলোকে বলা হতো ‘নেহর-ই বিহিশত’।

উত্তরঃ সত্য।

১৫. দিল্লির লালকেল্লার আসল নাম মেহফিল মুবারক।

উত্তরঃ মিথ্যা। (কিলা মুবারক)

১৬. দিল্লির সুলতানরা জিতল নামে সোনার মুদ্রা চালু করেছিলেন।

উত্তরঃ মিথ্যা। (তামার)

১৭. মুঘল আমলে সুরাট বন্দর ছিল ভারতের প্রধান বন্দর।

উত্তরঃ সত্য।

১৮. ইউরোপে ভারতের মশলা গোলমরিচের চাহিদা ছিল খুব বেশি।

উত্তরঃ সত্য।

১৯. ইউরোপীয়দের জাহাজের তুলনায় ভারতীয় জাহাজ নৌযুদ্ধে পারদর্শী ছিল।

উত্তরঃ মিথ্যা।

২০. শ্রীরামপুরে ইংরেজরা তাদের কুঠি নির্মাণ করেছিল।

উত্তরঃ মিথ্যা। (দিনেমাররা)

এক কথায় উত্তর দাও : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস– নগর, বণিক ও বাণিজ্য (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-6

১. আশরফি কী ?

উত্তরঃ মুঘল আমলে সোনার মুদ্রা মোহর বা আশরফি নামে পরিচিত ছিল।

২. ‘বাংলায় ওলন্দাজ’ শব্দটি কোন্ পোর্তুগিজ শব্দ থেকে এসেছে ?

উত্তরঃ বাংলায় ‘ওলন্দাজ’ শব্দটি পোর্তুগিজ শব্দ ‘হলান্দেজ’ থেকে এসেছে।

৩. খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে দিল্লিতে কাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে দিল্লিতে কুতুবউদ্দিন আইবকের প্রচেষ্টায় সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

৪. খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকে কারা দিল্লির দখল নেয় ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকে চৌহান রাজপুতরা দিল্লির দখল নেয়।

৫. খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে দিল্লিতে কাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে দিল্লিতে কুতুবউদ্দিন আইবকের প্রচেষ্টায় সুলতানি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

৬. আগ্রা শহরের প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উত্তরঃ আগ্রা শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সুলতান সিকান্দর লোদি।

৭. ডিউক অব আলবুকার্ক কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ডিউক অব আলবুকার্ক ছিলেন একজন পোর্তুগিজ নৌ-সেনাপতি, যার হাত ধরে গোয়ায় পোর্তুগিজদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

৮. ‘দাম’ কী ?

উত্তরঃ ‘দাম’ হল মুঘল আমলের তামার মুদ্রা।

৯. ‘হৌজ-ই আলাই’ কে নির্মাণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ ‘হৌজ-ই আলাই’ সুলতান আলাউদ্দিন খলজি নির্মাণ করেছিলেন।

১০. ভারতে কড়ি কোন্ দেশ থেকে আমদানি করা হত ?

উত্তরঃ ভারতে কড়ি মালদ্বীপ থেকে আমদানি করা হত।

১১. চাঁদনি চক বলতে মুঘল আমলে কোন্ অঞ্চলকে বোঝানো হত ?

উত্তরঃ দিল্লিতে লালকেল্লা থেকে জাহান আরা চক পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে মুঘল আমলে চাঁদনি চক বলা হত।

১২. খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের ভারতে ইউরোপীয়দের প্রধান বাণিজ্যঘাঁটি ছিল কোনগুলি ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকের ভারতে ইউরোপীয়দের প্রধান বাণিজ্যঘাঁটি ছিল সুরাট, মসুলিপটনম, পুলিকট এবং হুগলি।

১৩. ‘শাহজাহানাবাদ’ কী ?

উত্তরঃ ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহ জাহান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি শহর হল ‘শাহজাহানাবাদ’।

১৪. সুলতান ইলতুৎমিশ দ্বারা খনন করানো জলাধারটির নাম লেখো।

উত্তরঃ সুলতান ইলতুৎমিশ দ্বারা খনন করানো জলাধারটির নাম হল ‘হৌজ-ই শামসি’ বা ‘হৌজ-ই-সুলতানি।

১৫. ‘সড়ক-ই-আজম’ কে নির্মাণ করেন ?

উত্তরঃ ‘সড়ক-ই-আজম’ নির্মাণ করেন শেরশাহ।

১৬. সরাফ’ কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ মুঘলযুগে যারা আজকের দিনে ব্যাংকের মতো টাকা বিনিময়ের কাজ করত তাদের সরাফ বলা হত। এরা মুদ্রা কতটা খাঁটি তাও পরীক্ষা করে বলতে পারত।

১৭. দালাল’ কাদের বলা হত ?

উত্তরঃ মুঘলযুগে যারা ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখত এবং জিনিসের দাম ঠিক করে দিত তাদের দালাল বলা হত।

১৮. ‘হুন্ডি’ কী ?

উত্তরঃ সরাফরা হুন্ডি নামে এক ধরনের বন্ড চালু করে। এই কাগজ এক জায়গায় কিনে অন্য জায়গায় ভাঙানো যেত।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : মান – 2/3 | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস– নগর, বণিক ও বাণিজ্য (ষষ্ঠ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-6

১. টীকা : দিল্লির লালকেল্লা—

উত্তরঃ লালকেল্লার আয়তন আগ্রা দুর্গের দ্বিগুণ। এর পূর্বদিকে যমুনা নদী এবং পশ্চিমে পরিখা। দুর্গের চারটি বড়ো দরজা, দুটি ছোটো দরজা ও একুশটি বুবুজ ছিল। দুর্গের মধ্যে একভাগে ছিল রাজপরিবারের বাসস্থান, অন্য দিকে বিভিন্ন দপ্তর। সেই সময়ে ৯১ লক্ষ টাকা খরচ করে এটি বানানো হয়েছিল। দুর্গ ও শহরের। মধ্যে নালা দিয়ে সেকালে। জল বয়ে যেত। এই জলবাহী নালাগুলোকে বলা হতো ‘নেহর-ই বিহিশত’ (স্বর্গের খাল)। ইসলামি রীতি অনুযায়ী এগুলোকে সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধির প্রতীক ভাবা হতো।

২. টীকা : চাঁদনি চকের গল্প—

উত্তরঃ লালকেল্লা থেকে জাহান আরা বেগমের চক পর্যন্ত বিস্তৃত বাজারের উত্তর দিকে একটি সরাইখানা ও বাগান এবং দক্ষিণে একটি স্নানাগার তৈরি করে দিয়েছিলেন শাহ জাহানের কন্যা জাহান আরা। জনশ্রুতি হলো, চাঁদনি রাতে জলে চাঁদের আলো পড়ে চিকচিক করত বলে ওই জায়গার নাম হয়েছে চাঁদনি চক। আবার, এও গল্প আছে যে ওই বাজারে সোনা-রুপোর টাকার ঝিলিকের জন্য চাঁদনি চক নামটি তৈরি হয়েছে।

৩. টীকা : বণিক—

উত্তরঃ করওয়ানি, নায়ক, বনজারা-রা শস্য পরিবহণ করে নিয়ে আসত। শাহ বা মুলতানিরা দুরপাল্লার বাণিজ্যে দক্ষ ছিল। এরা সুদের কারবারও করত। মুলতানিরা বেশির ভাগই ছিল হিন্দু, তবে মুসলমান বণিকদের কথাও জানা যায়। বড়ো-বড়ো বণিক গোষ্ঠী ছাড়াও অনেক ছোটো ফেরিওয়ালাও ছিল। এমনকি সুফি সাধকদের মধ্যেও কেউ কেউ ছোটোখাটো ব্যবসা করতেন।

৪. টীকা : ‘হুন্ডি’—

উত্তরঃ তুর্কি শাসকদের আমলে কাগজের ব্যবহার শুরু হলে সরাফরা ‘হুন্ডি’ নামে এক ধরনের কাগজ চালু করেছিল। বণিকরা কোন এক জায়গায় সরাফকে টাকা জমা নিয়ে সেই কাগজ কিনে নিয়ে অন্য জায়গায় তা প্রয়োজন মতো ভাঙয়ে নিত। এতে বণিকদের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় টাকা নিয়ে যাওয়ার খুব সুবিধা হয়েছিল।

৫. টীকা : সুলতানি ও মুঘল আমল মুদ্রা—

উত্তরঃ সুলতানি আমলে প্রধান মুদ্রা। ছিল সোনার মোহর, রূপোর তঙ্কা ও তামার জিতল। ওই আমলের শেষদিকে উত্তর ভারতে চলত এক রকমের। বুপো এবং তামা মেশানো মুদ্রা। শের শাহ সোনা, রূপো ও তামা এই তিন রকমের মুদ্রা চালু করেন, যা পরে মুঘল সম্রাটরাও অনুসরণ করেছিল।

মুঘল আমলের সোনার মুদ্রা ‘মোহর’ বা ‘আশরফি’ নামে পরিচিত ছিল। এ যুগে প্রধান মুদ্রা ছিল রূপো দিয়ে তৈরি ‘বুপায়া’। এটা দিয়েই ব্যবসা-বাণিজ্য হতো প্রজারা কর দিত। এ ছাড়া ছিল তামা। দিয়ে তৈরি মুদ্রা ‘দাম’। দক্ষিণ ভারতে বিজয়নগরে সোনা দিয়ে তৈরি ‘হোন’ ছিল প্রধান মুদ্রা। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের পরে দাক্ষিণাত্যের অন্য রাজ্যেও এই নামের মুদ্রা চালু ছিল।

৬. দিল্লিকে ‘হজরত-ই-দিল্লি’ কেন বলা হত ?

উত্তরঃ মুঘল আক্রমণে বাগদাদ শহরের পতন ঘটলে এই দুরবস্থার সুযোগে দিল্লির গুরুত্ব বেড়ে যায়। মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া থেকে অনেক লোক এসে বাস করতে শুরু করে দিল্লিতে। দিল্লি হয়ে ওঠে সুফি সাধকদের অন্যতম পীঠস্থান। এজন্য দিল্লির নামই হয়ে যায় ‘হজরত-ই-দিল্লি’।

৭. সুলতানি যুগে ব্যবসায়ীদের জন্য কী কী সুবিধা ছিল ?

উত্তরঃ সুলতানি যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ধারে ধারে পথিকদের বিশ্রামের জন্য নির্মাণ করা হয় সরাইখানা। এখানে পথচারী ও বণিকরা তাদের মালপত্রসহ বিশ্রাম নিত। এ ছাড়া হুন্ডি প্রথা প্রচলনের কারণে ব্যবসায়ীরা খুব সহজেই টাকা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারত।

৮. মধ্যযুগের ব্যাবসা-বাণিজ্যে ভারতীয় দালালদের কী ভূমিকা ছিল ?

উত্তরঃ মধ্যযুগে দালালরা ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ রাখত, জিনিসের দাম ঠিক করে দিত। ইউরোপীয় বণিকরা ভারতীয় দালালদের মাধ্যমে কাজ করত। তারা দালালদের দাদন ও অগ্রিম অর্থ দিয়ে দিত যা দিয়ে ভারতীয় কারিগররা ইউরোপীয় বণিকদের চাহিদামতো জিনিস বানিয়ে দিত।

৯. মুঘল আমলের মুদ্রা ব্যবস্থা কেমন ছিল ?

উত্তরঃ মুঘল আমলের সোনার মুদ্রা ‘মোহর’ বা ‘আশরফি’ নামে পরিচিত ছিল। এ যুগের প্রদান মুদ্রা ছিল রুপো দিয়ে তৈরি ‘রুপায়া’, ব্যাবসা-বাণিজ্যের মাধ্যম ছিল রুপায়া। প্রজারাও রুপায়ার মাধ্যমেই কর দিত। এ ছাড়া ছিল তামা দিয়ে তৈরি মুদ্রা ‘দাম’।

১০. বিদেশি বণিকরা বাংলার কোথায় কোথায় তাঁদের ঘাঁটি নির্মাণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ বাংলাকে কেন্দ্র করে বিদেশি বণিকদের ব্যাবসা-বাণিজ্য প্রসার লাভ করেছিল। বাংলায় ব্যান্ডেলে পোর্তুগিজরা, চুঁচুড়ায় ডাচরা, চন্দননগরে ফরাসিরা, শ্রীরামপুরে দিনেমাররা্যএবং কলকাতায় ইংরেজরা তাদের কুঠি বা ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল।

Leave a Reply