মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি প্রথম পরীক্ষা | Class 7 Maku Question Answer First Unit Test WBBSE

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

মাকু গল্পের প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণি প্রথম পরীক্ষা | Class 7 Maku Question Answer First Unit Test WBBSE

মাকু গল্প – লীলা মজুমদার

লেখিকা পরিচিতি :

লীলা মজুমদার ১৯০৮ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রমদারঞ্জন রায়ের লেখা বিখ্যাত বই ‘বনের খবর’। জ্যাঠামশাই ছিলেন বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তাঁর শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে। ১৯২০ সাল থেকে তিনি কলকাতায় থাকা শুরু করেন। সাহিত্যচর্চা ছিল তাঁর সারাজীবনের সঙ্গী। ছোটোদের জন্য প্রথম লেখেন ‘বদ্যিনাথের বড়ি’। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ— ‘পদিপিসির বর্মিবাক্স’, ‘হলদে পাখির পালক’, ‘টং লিং’, ‘মাকু’। দীর্ঘদিন ছোটোদের জন্য ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় তিনি যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। রবীন্দ্র পুরস্কার’, ‘আনন্দ পুরস্কার’, “ভারতীয় শিশু সাহিত্যের পুরস্কার’ এমন বহু পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।

প্রথম অধ্যায়

সারসংক্ষেপ :

সোনা-টিয়া দুই বোন। তারা স্কুলে পড়ে। বাড়ির একটু দূরে থাকা কালিয়ার বনকে তারা ভয় পায় না। তাদের আম্মা তাদের বন সম্পর্কে যতই সাবধান করে, তারা ততই বনের দিকে যেতে চায়। তাদের বাড়িতে তাদের পিসি ও তার ছেলে আসছে। পিসির ছেলের জন্য নতুন পুতুল আসছে, ভালো ভালো রান্না হচ্ছে,এতে তাদের ভীষণ রাগ হয়। একদিন দুপুরে বাড়িতে তেমন বড়ো কেউ না-থাকায় তারা দুই বোন কালিয়ার বনের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। পথে দেখা হয় এক ঘড়িওয়ালার সাথে। যে তার ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে একজন মানুষ বানিয়েছে। তার নাম মাকু। মাকু এখন ঘড়িওয়ালাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে। সে সেই যন্ত্র খুঁজতে তাদের দুই বোনকে তার সঙ্গে যেতে বলে।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. মাকু গল্পের লেখক কে ?

উত্তরঃ লীলা মজুমদার।

২. কোন্ জায়গা থেকে কেউ আস্ত ফেরে না ?

উত্তরঃ কালিয়ার বন থেকে কেউ আস্ত ফেরে না।

৩. কালিয়ার বনে কে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ আম্মার মামাতো পিসেমশাই কালিয়ার বনে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল।

৪. সোনাদের বাড়িতে কারা আসবে ?

উত্তরঃ সোনাদের বাড়িতে সোনার পিসি, পিসেমশাই ও পিসির ছেলে আসবে।

৫. আম্মা কে ?

উত্তরঃ আম্মা হল বাপির ছোটবেলাকার ধাইমা।

৬. কালিয়া বনের দেবতার নাম কি ?

উত্তরঃ দেউ।

৭. পানুয়া কে ? সে কতদিন আগে কোথায় নিখোঁজ হয়ে গেছে ?

উত্তরঃ পানুয়া তোতাদের বাড়ির আয়ার ছোট ভাই।
সে কালিয়া বনে ১৫ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে গেছে।

৮. ঘড়িওয়ালা কী বানিয়েছে এবং তার নাম কী দিয়েছে ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে একপ্রকার রোবোট বানিয়েছে। তার নাম দিয়েছে মাকু।

৯. মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি কেমন ?

উত্তরঃ মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি ছোটো, মাকুর পিঠের মধ্যিখানে বসানো। কান খুসকি দিয়ে ঘোরাতে হয়।

১০. মোড়ল কী বলেছিল ?

উত্তরঃ মোড়ল বলেছিল পিসেমশাইয়ের বাঁচার কথাই ছিল না নেহাত কানের কাছ দিয়ে ঘেঁসে কোনোমতে বেরিয়ে গেছে।

১১. আম্মা কি দিয়ে নারকেল কুচুতে লেগেছিল ?

উত্তরঃ সুপারি কুচনো যাঁতি দিয়ে।

১২. আম্মা কেন নারকেলের মিষ্টি তৈরি করছিল ?

উত্তরঃ কারণ সোনাটিয়ার পিসি, পিসেমশাই এবং পিসির ছেলে আসার কথা ছিল ।

১৩. আম্মা পিসি, পিসি মশাই এবং তার ছেলের জন্য কি কি খাবার তৈরি করার কথা বলেছিল ?

উত্তরঃ নারকেল চিড়ে, ইছামুগো ,ঘন ক্ষীর

১৪. আম্মার চশমাটা কেমন ছিল ?

উত্তরঃ কালো সুতো দিয়ে বাঁধা স্টিল ফ্রেম দেওয়া।

১৫. কালিয়া বনে কিসের ভয় ?

উত্তরঃ কালিয়া বনে ভয়ংকরের গা থেকে গুলি ঠিকরে পড়ে।

১৬. সার্কাসের জাদুকর কী দেখাল ?

উত্তরঃ সার্কাসের জাদুকর বাঁশি বাজিয়ে জাদুর রাজকন্যে দেখাল।

১৭. আম্মা নিজের চোখে কালিয়ার বনে কী দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ কালিয়ার বনের ভয়ংকরের গা থেকে গুলি ঠিকরে পড়া আম্মার নিজের চোখে দেখা।

১৮. সোনা টিয়া কালিয়া বনে গিয়েছিল কেন ?

উত্তরঃ দুটো প‍্যাঁ-প‍্যাঁ পুতুল কিনতে।

১৯. কালিয়া বন কোথায় ?

উত্তরঃ সোনাটিয়াদের বাড়ির পাশের বড় গলি পরে একটা রাস্তা, তারপরে গির্জা, তারপর গোরস্থান। গোরস্থানের পর শুনশুনির মাঠ। তারপর ঘন নীল কালিয়া বন।

২০. ‘আমি সারাদিন কিছু খাইনি, পুটলি তে কি খাবার আছে প্লিজ দেবে ?’– কথাটা কে কাদেরকে বলেছিল ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা সোনা-টিয়াকে বলেছিল।

২১. আম্মার উঠতে-বসতে কষ্ট হয় কেন ?

উত্তরঃ আম্মার পায়ে গুপো, তাই উঠতে- বসতে কষ্ট হয়।

২২. কারা কেন বলেছিল পিসেমশাইকে চুলবুলিতে ধরেছে ?

উত্তরঃ গোরু খুঁজতে গিয়ে পিসেমশাই- এর সাতদিন সারা গা চুলকে দাগড়া দাগড়া চাকায় ভরে গিয়েছিল, পাড়াশুদ্ধ লোক বলেছিল তাঁকে চুলবুলিতে ধরেছে।

২৩. কালিয়ার বন সম্পর্কে কী কথা প্রচলিত আছে ?

উত্তরঃ কালিয়ার বন সোনা-টিয়াদের গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থিত। প্রচলিত আছে সেখানে গেলে কেউ ফেরে না। যারা ফেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

২৪. ‘তুমি ছেলেধরা নও তো’- কথাটি কে কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল ?

উত্তরঃ সোনা টিয়া ঘুড়িওয়ালাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল।

২৫. কেন মাকুর পিঠের মধ্যেখানে চাবি দেওয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ মাকু খুব দস‍্যি ছিল। অন্য কোন স্থানছ এ দিলে টেনে খুলে দিত।

২৬. ঘড়িওয়ালা মাকুকে কত বছর ধরে তৈরি করেছিল ?

উত্তরঃ ১৭ বছর।

৩০. ঘড়িওয়ালা মাকুকে তৈরি করেছিল কেন ?

উত্তরঃ মাস্টারমশাই এর সার্কাস পার্টিতে মাকু এবং নিজে খেলা দেখিয়ে অর্থ রোজগার করার জন্য মাকুকে তৈরি করেছিল।

৩১. কালিয়ার বনে কী কী আছে বলে সোনা-টিয়া বলেছিল ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়া বলেছিল কালিয়ার বনে বড়ো বড়ো লাল-নীল-বেগুনি প্রজাপতি ও কাঠঠোকরা পাখি আছে।

৩২. মাকু ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে কেন ?

উত্তরঃ মাকু সব করতে পারে। শুধু হাসতে আর কাঁদতে পারে না। তাই সে ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে হাসার আর কাঁদার কল বসিয়ে নেওয়ার জন্য।

৩৩. মাকু কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ?

উত্তরঃ সার্কাসের জাদুকরের ভেলকি রাজকন্যাকে।

৩৪. হাসি কান্না আমার কম্ম নয় কথাটি কার উদ্দেশ্যে কেন বলেছিল ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা মাকুর উদ্দেশ্যে কথাটি বলেছিল। কারণ তার বিদ্যা ফুরিয়ে গিয়েছিল।

৩৫. মাকু গল্পে ঘড়িওয়ালা মাকুর কতদিনের জন্য চাবি দিয়েছিল ?

উত্তরঃ এক বছরের জন্য।

৩৬. মাকুর চাবি ফুরাতে আর কতদিন বাকি ছিল ?

উত্তরঃ ১৫ দিন ।

৩৭. মাকুর চাবি কি দিয়ে ঘোরাতে হতো ?

উত্তরঃ কান খুসকি দিয়ে চাবি ঘোরাতে হয়।

৩৮. মাকুর চাবি কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ পিঠের মধ্যিখানে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. সোনাদের বাড়ি থেকে কালিয়ার বন অবধি যাবার পথের বিবরণ দাও।

উত্তরঃ সোনাদের বাড়ির গলি পেরিয়ে বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জা, তারপর গোরস্থান। এই গোরস্থানে শুনশুনির মাঠ। সেই শুনশুনির মাঠ পেরোলে তবেই কালিয়ার বন।

২. ঘড়িওয়ালা মাকুর ভয় পলাচ্ছিল কেন ?

উত্তরঃ কারণ মাকু ঘড়িওয়ালাকে দেখতে পেলে হাসার কল এবং কাঁদার কল বসিয়ে নেবে। তাহলেই সে একটা আস্ত ভালো মানুষ হয়ে যাবে এবং রাজার মেয়েকে বিয়ে করবে।

৩. মাকু কি কি করতে পারতো ?

উত্তরঃ কথা বলতে, গান গাইতে, নাচতে, অংক করতে, হাতুড়ি পেটাতে, দড়ির জট খুলতে, পেরেক ঠুকতে, ইস্ত্রি চালাতে, রান্না করতে, কাপড় কাচতে আরো অনেক কিছু করতে পারতো।

৪. কালিয়ার বন সম্পর্কে কী কথা প্রচলিত আছে ?

উত্তরঃ কালিয়ার বন সোনা-টিয়াদের গ্রামের প্রান্তে অবস্থিত একটি বন। সেই বন সম্পর্কে অনেক কথা প্রচলিত আছে। সেখানে গেলে কেউ ফেরে না। যারা ফেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

৫. সোনাদের বাড়ি থেকে কালিয়ার বন অবধি যাবার পথের বিবরণ দাও।

উত্তরঃ সোনাদের বাড়ির গলি পেরিয়ে বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জা, তারপর গোরস্থান। এই গোরস্থানের শেষে শুনশুনির মাঠ। সেই শুনশুনির মাঠ পেরোলে তবেই কালিয়ার বন।

৬. ঘড়িওয়ালার তৈরি করা যন্ত্র “মাকু” কী কী পারে ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালার তৈরি করা ‘মাকু” হল যন্ত্রমানব। ঘড়িওয়ালা তাকে ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে বানিয়েছে। সে দেখতে মানুষের মতো। সে কথা বলে, গান গায়, নাচে, হাতুড়ি পেটে, দড়ির জট খোলে, পেরেক ঠোকে, ইস্ত্রি চালায়, রান্না করে, কাপড় কাচে, সেলাই করে এবং মানুষের মতোই সমস্ত কাজ করতে সক্ষম। কেবল সে হাসতে বা কাঁদতে পারে না।

৭. কালিয়ার বনে কী কী আছে বলে সোনা-টিয়া বলেছিল ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়া বলেছিল কালিয়ার বনে বড়ো বড়ো লাল-নীল-বেগুনি প্রজাপতি ও কাঠঠোকরা পাখি আছে। আর বাঘ নেই। সাহেব শিকারীরা তাদের মেরে শেষ করে দিয়েছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

সারসংক্ষেপ :

সোনারা কালিয়ার জঙ্গলে ঢুকতে যাবে এমন সময় ঘড়িওয়ালা তাদেরকে ডেকে মাকুর বিষয়ে একটা করে লিফলেট দিল। তা ছাড়া মাকুকে দেখতে কেমন তাও বলে দিল। তারা দুই বোন বনের ভিতরে গিয়ে একটি ছোটো নদীর ধারে উপস্থিত হল। সেখানে জল ও খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে তারা দেখল সার্কাসের এক সং সার্কাসের জন্তুদের জল খাওয়াতে এনেছে। এখানেই তাদের দেখা হয়ে গেল মাকুর সাথে এবং তারা তাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেল। মাকু তাদের জঙ্গলের বাইরে সরাইখানাতে খাওয়াতে নিয়ে গেল।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান-১

১. মাকুকে দেখতে কেমন ?

উত্তরঃ মাকুর মাথায় সুন্দর লালচে চুল। ছাই রঙের চকচকে চোখ আর নাকের উপর বড়ো তিল।

২. সোনা ও টিয়ার বয়স কত ?

উত্তরঃ সোনার বয়স ছয় আর টিয়ার বয়স পাঁচ বছর।

৩. মাকুর হাতের পায়ের নখের তলায় কী লাগানো আছে ?

উত্তরঃ মাকুর হাতের পায়ের নখের তলায় রাডার যন্ত্র লাগানো আছে।

৪. রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু কী করে?

উত্তরঃ রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু ধাতু খুঁজে বের করে।

৫. ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা কী রঙের ছিল ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা গোলাপি রঙের ছিল।

৬. সোনা ও টিয়াকে কে কোলে করে নিয়ে গেল ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়াকে মাকু কোলে করে নিয়ে গেল।

৭. ঘড়িওয়ালা এখন কী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা এখন কতগুলো কাপড়, কাগজ আর কাঠ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

৮. অধিকারী মশাই কী না দিয়ে পালিয়ে গেছেন ?

উত্তরঃ অধিকারী মশাই মাঠের ভাড়া তাঁবু আর গ্যাসবাতির দাম না দিয়েই পালিয়ে গেছেন।

৯. সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং কী ছিল ?

উত্তরঃ সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং ছিল আধখানা নীল ও আধখানা লাল।

১০. ঘড়িওয়ালার মা কোন্ খাবার ভালো বানাতে?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালার মা খুব ভালো সরুচাকলি বানান। তা একবার খেলে

১১. সোনা ও টিয়া একটু চলেই কোথায় পৌঁছে গেল ?

উত্তরঃ সোনা ও টিয়া একটু চলেই বটতলার সরাইখানায় পৌঁছে গেল।

১২. “একটা আলপিন তুলতে সাহস পাচ্ছি না”– কথাটি কে কেন বলেছিল ?

উত্তরঃ কথাটি ঘড়িওয়ালা বলেছিল, কারণ ঘড়িওয়ালা ছিল তখন ফেরারি।

১৩. মাকু দেখতে কেমন ছিল ?

উত্তরঃ সুন্দর লালচে কোঁকড়া চুল, ছাই রংয়ের চকচকে চোখ, আর নাকের ডগায় কালো তিল।

১৪. মাকুর গায়ে টেপা সুইচ টা কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ নাকের ডগায় কালো তিলের নিচে।

১৫. সোনা টিয়ার মধ্যে মাকুকে প্রথম কে দেখেছিল ?

উত্তরঃ সোনা।

১৬. সোনা টিয়ার সঙ্গে মাকুর কোথায় দেখা হয়েছিল ?

উত্তরঃ গাছের নিচে এক ছোট্ট নদীর ধারে ।

১৭. মাকু গল্পে সং অধিকারী মশাইকে কেন খুঁজে বেড়াচ্ছিল ?

উত্তরঃ অধিকারী মহাশয় মাঠের ভাড়া এবং তাঁবু আর গ্যাস বাতির না দিয়ে পালিয়ে গেছে তাই খুঁজে বেড়াচ্ছিল।

১৮. তুমি এসে আমাদের পার করে দাও-না। কথাটি কে কাকে বলেছিল ?

উত্তরঃ সোনা সং কে বলেছিল।

১৯. সোনা-টিয়াকে নদী পার করে দিয়েছিল কে ?

উত্তরঃ মাকু ।

২০. বনের মধ্যে খাবার কোথায় পাওয়া যেত ?

উত্তরঃ বটতলায় সরাইখানায়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. কালিয়ার বন কেমন ? সংক্ষেপে বনটির বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ কালিয়ার বনের গাছগুলি খুব বড়ো বড়ো। মাথার উপর তারা যেন শামিয়ানা খাটিয়ে রেখেছে। পাতার ফাঁক দিয়ে এখানে-ওখানে রোদ এসে পড়ছে। শুকনো পাতা পড়ে পায়ের নীচে গালচে হয়ে গেছে। ছোটো ছোটো ঝোপঝাড়ে নানা রকমের ফুল ফুটেছে। চারিদিকে একটা সবুজ আলো ছড়িয়ে আছে।

২. সার্কাসের দলটিতে কারা ছিল ? তারা কে কীভাবে এল ?

উত্তরঃ সার্কাসের দলটিতে প্রথমে ছিল দুটি ঘোড়া। তাদের তাড়িয়ে আনল টুপি পরা দুটি বাঁদর, তাদের পিছনে এল গলায় ঘণ্টা বাঁধা একটি ছাগল, তাদের পিছনে মোটা মোটা দুটো ভালুক, ছটি কোঁকড়া লোমওয়ালা ছোটো কুকুর ও সবার শেষে ছিল আধখানা লাল নীল পোশাক পরা একটি সং।

৩. মাকু কী বলে সরাইখানায় যেতে চাইল ?

উত্তরঃ মাকু বললো পয়সাও করতে পারি, গোলমাল করতে পারি, হইচইও করতে পারি। এই বলে সে সরাইখানায় খানিকটা হইচই করতে যেতে চাইল।

Leave a Reply