চন্দ্রগুপ্ত নাটকের আলোচনা, শব্দার্থ, MCQ প্রশ্নোত্তর | Chandragupta Play Discussion, word meaning, MCQ question answer

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের চন্দ্রগুপ্ত নাটক

নাট্যকার পরিচিতিঃ
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৮৬৩-১৯১৩) : প্রখ্যাত কবি ও নাট্যকার। ১৮৮৪ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে এম. এ পাশ করেন। কৃষিবিদ্যা শিক্ষার জন্য বিলেত গিয়েছিলেন। সেখানে পাশ্চাত্য সংগীত শেখেন। অল্প বয়সে কাব্যরচনা শুরু করে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রধানত কাব্যই রচনা করেন। জীবনের শেষ দশ বছর তিনি পৌরাণিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক নাটক রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর রচনার মধ্যে হাসির গান, চন্দ্রগুপ্ত, সাজাহান, মেবার পতন, প্রতাপসিংহ, নুরজাহান, সীতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। পাঠ্য নাট্যাংশটি তাঁর চন্দ্রগুপ্ত নাটকের প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্য থেকে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়সংক্ষেপঃ
সিন্ধু নদেরতটে সন্ধ্যাকালে শিবিরের সামনে সেকেন্দার, সেলুকস ও তাঁর কন্যা হেলেন দণ্ডায়মান। গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের ভূ-প্রকৃতি, নদনদী, বনরাজির সৌন্দর্য ব্যাখ্যায় মগ্ন। প্রসঙ্গক্রমে এই সবকিছু ছাড়িয়ে এক সৌম্য, গৌর, দীর্ঘ-কান্তি জাতির গৌরবে প্রশংসায় রত, যারা দীর্ঘদিন এই দেশ শাসন করছে। তাদের মুখে শিশুর সারল্য, দেহে বজ্রের শক্তি, চোখে সূর্যের দীপ্তি, বুকে ঝড়ের সাহস। যখন রাজা পুরুকে বন্দি করে তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন তাঁর প্রতি কীরূপ আচরণ প্রত্যাশিত পুরু উত্তর দেন—“রাজার প্রতি রাজার আচরণ !
মহান সম্রাট তাঁর বীরত্ব ও সাহসের পরিচয় পেয়ে তাঁর রাজ্য ফিরিয়ে দেন। ম্যাসিডনের যে বিজয়বাহিনী অর্ধেক এশিয়া জয় করেছে, সেই বীরবাহিনী এই ভারতবর্ষের শতদ্রুতীরে প্রথমবার বাধা পেল। সেনাপতি সেলুকসকে দিগবিজয় অসম্পূর্ণ রাখার কারণ হিসেবে সেকেন্দার জানান ‘সে দিগবিজয় সম্পূর্ণ করতে হলে নূতন গ্রিক সৈন্য চাই। ইতিমধ্যে সেনাধ্যক্ষ আন্টিগােনস গুপ্তচর সন্দেহে মগধের রাজপুত্র চন্দ্রগুপ্তকে ধরে নিয়ে এলে সে জানায়, বহুদিন অবধি সেনাপতি সেলুকসের কাছ থেকে প্রাপ্ত যুদ্ধবিদ্যা তিনি লিপিবদ্ধ করছিলেন। চন্দ্রগুপ্ত তাঁর নিজের সিংহাসন পুনরুদ্ধার করার জন্য বৈমাত্রেয় ভাইয়ের অন্যায়ের প্রতিশােধ নিতে সে যুদ্ধ-কৌশল শিখছে।
বিশ্বাসঘাতক কে?—এই বিষয় নিয়ে সম্রাট সেকেন্দারের সামনেই সেলুকস ও আন্টিগােনস লড়াইয়ে লিপ্ত হলেন। আন্টিগােনসকে তাঁর অভব্য আচরণের জন্য নির্বাসিত করা হল। চন্দ্রগুপ্তের গুপ্তচর হয়ে প্রবেশ করার অপরাধে তাঁকে বন্দি করার কথা জানালে চন্দ্রগুপ্ত সম্রাট সেকেন্দারকে কাপুরুষ বলে বর্ণনা করেন এবং জানান, তাঁকে বধ না-করে বন্দি করতে পারবেন না। সম্রাট সেকেন্দার তাঁর বীরত্বের প্রশংসা করে তাঁকে হৃত রাজ্য পুনরুদ্ধার করার এবং দিগবিজয়ী হওয়ার ভবিষ্যদবাণী করেন।
নামকরণঃ
সাহিত্যে-শিল্প ক্ষেত্রে নামকরণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রচনার নামকরণের মাধ্যমে লেখক এক মুহূর্তেই পাঠকের মনে রচনাটির অন্তর্দেশের সংবাদ সম্পর্কে একটি ধারণা দেন। পাঠ্যের নাট্যাংশটি ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নামক মূল নাটকের একটি অংশমাত্র। মূল নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র চন্দ্রগুপ্ত। অন্তত নাটকের নামকরণে তারই ইঙ্গিত রয়েছে। নাটকের মূল বৃত্ত এবং সংযােজিত তিনটি উপবৃত্তই তা প্রমাণ করে। নাটকের প্রথম অংকের প্রথম দৃশ্যে চন্দ্রগুপ্তের শৌর্য, সাহসিকতা, উদ্যম সংকল্পের দৃঢ়তা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্র হওয়ার যােগ্যতা দেখানাে হয়েছে। এ ছাড়া মূল নাটকের পাঁচটি অঙ্কের ছাব্বিশটি দৃশ্যের মধ্যেও চন্দ্রগুপ্তেরই প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। সুতরাং, কেন্দ্রীয় চরিত্রের নামানুসারে আলোচ্য নাটকের নামকরণ ‘চন্দ্রগুপ্ত’ অবশ্যই সংগত এবং সার্থক হয়েছে বলা যায়।
• শব্দার্থ ও টীকা—
• নদতট— নদীর তীর
জাহাজ শ্রেণি— জাহাজের সারি
• শিবির— ছাউনি, তাঁবু
• কাল— সময়
• সম্মুখে— সামনে
• সেকেন্দার— সেকেন্দার অর্থাৎ আলেকজান্ডার হলেন গ্রিসের অন্তর্গত মাসিডনের রাজা ফিলিপের পুত্র। পিতার মৃত্যুর পর ২০ বছর বয়সে তিনি সিংহাসনে বসেন। এরপর তিনি দিগবিজয়ে বের হন। তিনি ভারতে এসে পুরুরাজের কাছে প্রথম বাধা পান। জয় লাভ করলেও তাঁর শৌর্য ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে রাজ্য ফিরিয়ে দেন। দেশে ফেরার সময় পথে ব্যাবিলনে তাঁর মৃত্যু হয়।
• সেলুকস— সেকেন্দার সাহার সেনাপতি
• হেলেন— গ্রিক সেনাপতি সেলুকসের কন্যা
• অস্তগামী— অম্ভ যাচ্ছে এমন
• চাহিয়া— চেয়ে • হস্ত— হাত
• পার্শ্বে— পাশে
• দণ্ডায়মানা— দাঁড়িয়ে আছে এমন (মহিলা)
• সূর্যরশ্মি— সূর্যের আলো
• বিচিত্র— বৈচিত্র্যাপূর্ণ
• প্রচন্ড— প্রখর, ভয়ানক
• গাঢ়— ঘন, জমাটবদ্ধ
• শুভ্র— সাদা • চন্দ্ৰমা— চাঁদ
• স্নিগ্ধ— মনোরম
• জ্যোৎস্না— চাদের আলো
• অগণ্য— অগণিত, অসংখ্য
• তামসী— অন্ধকারময়ী
• উজ্জ্বল— আলোকিত
• জ্যোতিঃপুঞ্জে— আকাশে দীপ্তিমান গ্রহ নক্ষত্রতে
• বিস্মিত— অবাক
• আতঙ্কে— ভয়ে
• প্রাবৃটে— বর্ষাকালে
• ঘন-কৃষ্ণ— ঘন কালো
• গুরুগম্ভীর— ওজনসম্পন্ন
• গর্জন— উচ্চ বা গম্ভীর শব্দ
• প্রকান্ড— বিরাট
• নির্বাক— নীরব, বাকশূনা, যৌন
• অভ্রভেদী— আকাশ ভেদ করে এমন
• তুষার-মৌলি— যার চূড়া বরফে ঢাকা
• হিমাদ্রি— হিমালয় পর্বত
• ফেনিল— ফেনাযুক্ত
• উচ্ছ্বাস— প্রবল ভাবাবেগ, (এখানে) জলস্ফীতি
• উদ্দাম— উন্মত্ত
• স্বেচ্ছাচার— নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা
• তপ্ত— গরম
• বালুরাশি— অনেক পরিমাণ বালি
• গর্বভরে— অহংকারের সঙ্গে
• তালীবন— তালগাছের বন
• স্নেহছায়া— আদরের আশ্রয়, নাইকে ‘সেইছায়া’ হিসেবে থাকলেও ঠিক শব্দটি হল ‘মেহাচ্ছায়া।
• মদমত্ত— অহংকারে উন্মত্ত
• জম্পনপর্বতসম— গতিশীল পাহাড়ের মতো
• মহাভুজ— বিশাল
নির্জন— জনহীন জনশূন্য
• বক্র রেখা— আঁকাবাঁকা রেখা
• অলস— কুঁড়ে
• মহাশৃঙ্গ— বিরাট পর্বতশৃঙ্গ
• মুগ্ধ— মোহিত
• কুরঙ্গম— হরিণ
• শূন্য-প্রেক্ষণে— শূন্যদৃষ্টিতে
• সৌম্য— প্রশান্ত ও সুন্দর,
• গৌর— ফরসা
• দীর্ঘ কান্তি— সুন্দর লম্বা দেহের অধিকারী
• বজ্র— বাজ, অগ
• দীপ্তি— আলোক, কিরণ
• বাত্যা— ঝড়, প্রবল বাতাস
• বক্ষে— বুকে • শৌর্য— বীরত্ব
• আচরণ— ব্যবহার • প্রত্যাশা— আকাঙ্ক্ষা
• নির্ভীক— যার ভয় নেই, সাহসী
• নিষ্কম্পস্বরে— গলার স্বর না কাঁপিয়ে
• চকিত— চমকে ওঠা
• প্রত্যর্পণ— ফিরিয়ে দেওয়া
• তৎক্ষণাৎ— সঙ্গে সঙ্গে, অবিলম্বে
• মহানুভব— মহান অনুভবের অধিকারী, উদার মন যার
• মহৎ— উদার • উল্লাস— আনন্দ
• সাম্রাজ্য— সম্রাটের অধীনে থাকা অনেক ক্ষুদ্র রাজ্য নিয়ে গঠিত বিশাল রাজ্য
• শৌখিন— বিলাসী, যা শখ মেটায় বা তৃপ্ত করে
দিগ্বিজয়— সকল দিক জয় করা
• কীর্তি— যশ, সুখ্যাতি
অসম্পূর্ণ— যা শেষ হয়নি
• সম্রাট— বহু রাষ্ট্র ও জনপদের অধিকারী, সার্বভৌম রাজা, রাজাধিরাজ
• মাসিডন— একটি গ্রিক রাজ্য, সেকেন্দর সাহা এর অধিপতি ছিলেন
• জনপদ— লোকালয়
• পদতলে— পায়ের তলায় • দলিত— পিষ্ট
• তৃণসম— ঘাসের সমান
• ঝঞ্ঝা— ঝড়
• ধূমরাশি— (এখানে) ধুলোর রাশি
• বীরপদভরে— (এখানে) বীর সৈন্যদের পায়ের চাপে
• কম্পিত— কাঁপতে থাকা অবস্থা
• নিয়তি— অদৃষ্ট
• দুর্বার— যাকে বাধা দেওয়া কঠিন
• করাল— ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ আকাল, খাদ্যাভাব
রুধিরাক্ত— রক্তাক্ত
• বিজয় শকট— বিজয় রথ
• অবাধে— বিনাবাধায়
• চন্দ্রগুপ্ত— মগধের রাজা এবং মৌর্যবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ইনি নন্দবংশকে ধ্বংস করে এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। এঁর পুত্র হলেন বিন্দুসার এবং পৌত্র ছিলেন সম্রাট অশোক।
• আন্টিগোনস— গ্রিক যোদ্ধা ও সেকেন্দর সাহার সেনাধ্যক্ষ
• সংবাদ— খবর
• গুপ্তচর— গোপনে খবর দেওয়া-নেওয়া করে যে
• শুষ্ক— শুকনো
• তালপত্র— তালপাতা
• রাজাধিরাজ— মহারাজ
• উত্তম— ভালো
• ব্যূহ— যুদ্ধের জন্য কৌশল সহকারে সৈন্যদের সাজানো
• প্রণালী— কৌশল বা পদ্ধতি
• সামরিক— যুদ্ধ সম্বন্ধীয়
• মাসাবধিকাল— একমাস ধরে
• পরিত্যাগ— ছেড়ে দেওয়া
• অভিপ্রায়ে— উদ্দেশ্যে
• মগধ— প্রাচীন ভারতবর্ষের একটি রাজ্য। ‘মহাভারতে এই রাজ্যের উল্লেখ আছে।
• মহাপদ্ম— মগধের রাজা,ইনি নন্দবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাট্যাংশ অনুযায়ী ইনি চন্দ্রগুপ্তের পিতা ।
• বৈমাত্র— সৎমার গর্ভজাত
• নির্বাসিত— নিজের দেশ থেকে বহিষ্কৃত
• প্রতিশোধ— অপকারের পরিবর্তে অপকার, বদলা
• ভূপতি— রাজা • বিক্রম— পরাক্রম
• পরাক্রম— বিক্রম
• লুক্কায়িত— লুকানো • সংঘাতে— সংঘর্ষে
• বিজয়বার্তা— জয়ের সংবাদ
• আর্যকুলরবি— ক্ষত্রিয়শ্রেষ্ঠ
• ভ্রুকুটি— ভুরু কোঁচকানো
• মহাবীর্য— মহাতেজ, প্রচণ্ড শক্তি
• বিচলিত— অস্থির
• হৃত— যা হারিয়ে গেছে
• পুনরুদ্ধার— ফিরে পাওয়া
• পানে— দিকে • প্রথা— নিয়ম, রীতি
• বিশ্বাসঘাতক— বিশ্বাস ভঙ্গ করে যে
• পদবি— যে নামের মধ্য দিয়ে বংশের পরিচয় দেওয়া হয়, (এখানে) সেনাবাহিনীর পদমর্যাদা
• সেনাপতি— সৈন্যদলের সবচেয়ে উঁচু পদে অবস্থান করে যিনি সেনাদলকে পরিচালনা করেন
• তরবারি— তলোয়ার
• ক্ষিপ্রতর— দ্রুততর,আরও তাড়াতাড়ি
• শির— মাথা • ক্ষেপণ— নিক্ষেপ
• ক্ষিপ্রহস্তে— দ্রুত হাতে
• নিবারণ— নিষেধ, বারণ, দূরীকরণ (এখানে) আটকানো, প্রতিহত করা
• নিরস্ত— বিরত, নিবৃত্ত
• অবনত— নীচের দিকে ঝুঁকে রয়েছে এমন, আনত
• ঔদ্ধত্য— উদ্ধত আচরণ, দেমাক, অবিনয়
• সৈন্যাধ্যক্ষ— সৈন্যদের প্রধান
• স্পর্ধা— দর্প, বড়াই, অহংকারপূর্ণ দুঃসাহস
• অগোচর— জানার বাইরে, দৃষ্টির আড়ালে
• স্মরণ রেখো— মনে রেখো
• চক্ষু রক্তবর্ণ— চোখ রাঙানো
• নিরাশ্রয়— যার আশ্রয় নেই
• ভীরু— ভীতু
• কাপুরুষ— ভীতু, সাহসহীন পুরুষ, ভয়ে কর্তব্য ভুলে যায় বা আত্মসম্মান বিসর্জন দেয় এমন মানুষ
• ত্রস্ত— ভীত • বধ— হত্যা
• সোল্লাসে— উল্লাস বা আনন্দের সঙ্গে
• চমৎকার— অপূর্ব
• ভবিষ্যদ্‌বাণী— ভবিষ্যতে কী ঘটবে আগে থেকে সেই কথা বলা
• দুর্জয়— যাকে জয় করা কঠিন
• বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন উত্তর [MCQ]
১. ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকটি কার লেখা?
(ক) গিরিশচন্দ্র ঘোষ (খ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
(গ) ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ (ঘ) শম্ভু মিত্র
উত্তরঃ (খ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
২.দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকটি নেওয়া হয়েছে ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকের —
(ক) চতুর্থ অঙ্কের চতুর্থ দৃশ্য থেকে
(খ) দ্বিতীয় অঙ্কের চতুর্থ দৃশ্য থেকে
(গ) প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্য থেকে
(ঘ) তৃতীয় অঙ্কের তৃতীয় দৃশ্য থেকে
উত্তরঃ (গ) প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্য থেকে
৩. মাসিডনের বিজয়বাহিনীর বীরপদভরে কম্পিত হয়েছে—
(ক) অর্ধেক এশিয়া
(খ) সমগ্র এশিয়া
(গ) এশিয়া-সিরিয়া
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) অর্ধেক এশিয়া
৪. “রাজার প্রতি রাজার আচরণ”—কথাটির বক্তা—
(ক) সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত (খ) রাজা পুরু
(গ) সেনাপতি সেলুকস (ঘ) আন্টি গোনস
উত্তরঃ (খ) রাজা পুরু
৫. চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন—
(ক) মহাপদ্মনন্দের ভাই (খ) মগধের রাজপুত্র
(গ) সেলুকসের প্রিয় শিষ্য (ঘ) গ্রিক সেনাপতি
উত্তরঃ (খ) মগধের রাজপুত্র
৬. “সে দিগ্‌বিজয় সম্পূর্ণ করতে হলে নতুন”—
(ক) গ্রিক সৈন্য চাই (খ) রাশিয়ান সৈন্য চাই
(গ) ভারতীয় সৈন্য চাই (ঘ) চৈনিক সৈন্য চাই
উত্তরঃ (ক) গ্রিক সৈন্য চাই
৭. “আমার কাছে কীরূপ আচরণ প্রত্যাশা করো”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি হলেন—
(ক) সেলুকাস (ক) পুরু (গ) চন্দ্রগুপ্ত
(ঘ) আন্টিগোনস
উত্তরঃ (ঘ) আন্টিগোনস
৮. “কিন্তু বাধা পেলাম প্রথম সেই ____________
তীরে।”
(ক) শতদ্রু (খ) সিন্ধু (গ) বিপাশা (ঘ) ইরাবতী
উত্তরঃ (ক) শতদ্রু
৯. চন্দ্রগুপ্তের বৈমাত্রেয় ভাইয়ের নাম কী?
(ক) পদ্ম (খ) গুপ্ত (গ) সূর্য (ঘ) নন্দ
উত্তরঃ (ঘ) নন্দ
১০. ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকের ঘটনাটি ঘটেছে—
(ক) সন্ধ্যা বেলায় (খ) সকাল বেলায়
(গ) দুপুর বেলায় (ঘ) রাত্রি বেলায়
উত্তরঃ (ক) সন্ধ্যা বেলায়
১১. চন্দ্রগুপ্তকে নির্বাসিত করেছে—
(ক) মহাপদ্মনন্দ (খ) বিক্রমাদিত্য (গ) বিন্দুসার
(ঘ) নন্দ
উত্তরঃ (ঘ) নন্দ
১২. “সত্য সম্রাট।”— বক্তা যে সত্য বলেছে, তা হল—
(ক) ভারতবর্ষ এক বিচিত্র দেশ
(খ) দিগ্‌বিজয় সম্পূর্ণ করতে হলে নতুন গ্রিক সৈন্য চাই
(গ) চন্দ্রগুপ্ত একজন গুপ্তচর
(ঘ) আন্টিগোনস একজন বিশ্বাসঘাতক
উত্তরঃ (ক) ভারতবর্ষ এক বিচিত্র দেশ
১৩. শতদ্রুতীরে সেকেন্দারকে কে প্রথম বাধা দিয়েছিলেন ?
(ক) সেলুকস (খ) মহাপদ্ম (গ) পুরু (ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
উত্তরঃ (গ) পুরু
১৪. চন্দ্রগুপ্ত কীসের ওপর লিখছিলেন?
(ক) পুঁথি (খ) ভূর্জপত্র (গ) শুকনো তালপাতা
(ঘ) পদ্মপাতা
উত্তরঃ (গ) শুকনো তালপাতা
১৫. “চমকিত হলাম!”-কার কথায় বক্তা চমকিত হলেন?
(ক) পুরুর (খ) সেলুকসের
(গ) চন্দ্রগুপ্তের (ঘ) আন্টিগোনসের
উত্তরঃ (ক) পুরুর
১৬. “জগতে একটা কীর্তি রেখে যেতে চাই”-এ কথা বলেছিলেন—
(ক) সেলুকস (খ) সেকেন্দার (গ) পুরু
(ঘ) সেলুকস
উত্তরঃ (গ) পুরু
১৭. চন্দ্রগুপ্তের পিতার নাম ছিল—
(ক) মহাপদ্ম (খ) ধননন্দ (গ) বিক্রমাদিত্য
(ঘ) সমুদ্রগুপ্ত
উত্তরঃ (ক) মহাপদ্ম
১৮. “নিরস্ত হও”—উক্তিটি কার ?
(ক) সেলুকস (খ) চন্দ্রগুপ্ত (গ) সেকেন্দার
(ঘ) আন্টিগোনস
উত্তরঃ (গ) সেকেন্দার
১৯. ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে গ্রিক সম্রাট ছিলেন-
(ক) সেলুকস (খ) সেকেন্দার (গ) পুরু
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
উত্তরঃ (খ) সেকেন্দার
২০. “তবে এ দিগবিজয় অসম্পূর্ণ রেখে যাচ্ছেন কেন সম্রাট?”—বক্তা হলেন—
(ক) সেকেন্দার (খ) আন্টিগোনস (গ) চন্দ্রগুপ্ত
(ঘ) সেলুকস
উত্তরঃ (ঘ) সেলুকস
২১. হেলেন কার কন্যা ?
(ক) সেকেন্দার (খ) চন্দ্রগুপ্ত (গ) আন্টিগোনস (ঘ) সেলুকস
উত্তরঃ (ক) সেকেন্দার
২২. ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকটির ঘটনাস্থল হল—
(ক) সিন্ধু (খ) সরস্বতী (গ) শতদ্রু (ঘ) অজয়
উত্তরঃ (ক) সিন্ধু
২৩. “সম্রাট আমায় বধ না করে বন্দি করতে পারবেন না।”—উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা কে?
(ক) সেলুকাস (খ) পুরু (গ) আন্টিগোনস
(ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
উত্তরঃ (ঘ) চন্দ্রগুপ্ত
২৪. “বুঝি নাই যে এ বিশ্বাসঘাতক”—এ কথা বলেছেন—
(ক) আন্টিগোনস (খ) চন্দ্রগুপ্ত (গ) সেলুকস
(ঘ) সেকেন্দার
উত্তরঃ (গ) সেলুক

This Post Has One Comment

Leave a Reply