ছোটদের পথের পাঁচালী প্রশ্ন ও উত্তর | নবম থেকে অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ | অষ্টম শ্রেণী | Chotoder Pother Panchali [WBBSE]

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

ছোটদের পথের পাঁচালী
অষ্টম শ্রেণি বাংলা

ছোটদের পথের পাঁচালী দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Chotoder Pother Panchali 2nd Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

ছোটদের পথের পাঁচালী দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Chotoder Pother Panchali 2nd Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

ছোটদের পথের পাঁচালী নবম থেকে অষ্টাদশ পরিচ্ছেদের প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Chotoder Pother Panchali 2nd Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

1. অষ্টম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. অষ্টম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

ছোটদের পথের পাঁচালী নবম থেকে অষ্টাদশ পরিচ্ছেদের প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Chotoder Pother Panchali 2nd Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

(৯) নবম পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৪৪)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. অপু কার সঙ্গে প্রথম গ্রামের বাইরে পা দিয়েছিল ?

উত্তরঃ অপু পিতা হরিহরের সঙ্গে প্রথম গ্রামের বাইরে পা দিয়েছিল।

২. হরিহর কোন্ শিষ্যের বাড়ি গিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ হরিহর লক্ষ্মণ মহাজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন ।

৩. লক্ষণ মহাজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে অপুকে কে মোহনভোগ তৈরি করে খেতে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ লক্ষণ মহাজন এর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী।

৪. অমলার মা অপুকে নিজের হাতে তৈরি কী খেতে দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ অমলার মা নিজের হাতে তৈরি চন্দ্রপুলি অপুকে খেতে দিয়েছিলেন।

৫. কে কেন অপুর পায়ের আঙুলে পাথরকুচি পাতা বেটে বেঁধে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ চেরা বাঁশে অপুর পা কেটে গিয়েছিল বলে অমলা ‘অপুর পায়ে পাথরকুচি পাতা বেটে বেঁধে দিয়েছিল।

৬. অপু দিদির সঙ্গে কোন মাঠে বাছুর খুঁজতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ দক্ষিণ মাঠে।

৭. রেলগাড়ি দেখার জন্য অপুকে কতক্ষণ বসে থাকতে হবে ?

উত্তরঃ দুপুর একটা অবধি।

৮. ‘চল্-যাই আমরা রেলের রাস্তা দেখে আসি’- কথাটা কে কাকে বলেছিল ?

উত্তরঃ দুর্গা তার ভাই অপুকে বলেছিল।

৯. ‘বাবা আমি রেলগাড়ি দেখব’– কথাটি কে কাকে বলেছিল ? রেলগাড়ি দেখা হয়নি কেন ?

উত্তরঃ কথাটি অপু তার বাবাকে বলেছিল। কারণ রেলগাড়ি আসতে দু-ঘন্টা দেরি ছিল।

১০. কোথায় কখন তাসের আড্ডা বসিত ?

উত্তরঃ দুপুর বেলায় রানু দিদি দিয়ে বাড়িতে।

১১. গাঙ্গুলি বাড়িতে অপুর কখন নিমন্তন্ন থাকে ?

উত্তরঃ চৈত্র বৈশাখে রামনবমী দোলের দিনে।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. “তাহার বাবা বলিল-ওই দেখো খোকা রেলের রাস্তা।’– কার বাবার কথা বলা হয়েছে ? রেলের রাস্তা দেখে খোকা কী বলেছিল ? ১+২

উত্তরঃ উল্লিখিত প্রশ্নে ‘ছোটোদের পথের পাঁচালী’ গ্রন্থের প্রধান চরিত্র অপুর বাবা হরিহরের কথা বলা হয়েছে।

রেলের রাস্তা দেখে খোকা অর্থাৎ অপু খুব অবাক হয়েছিল ও মজা পেয়েছিল। বিস্ময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার মনে এক আনন্দ-মিশ্রিত অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল। তার কেবলই মনে হচ্ছিল যে, রেলের রাস্তা কেমন সহজভাবে তার সামনে এসে পড়েছে। রেলের রাস্তা দেখে তার স্বভাব কৌতুহলী মনে জাগে নানান প্রশ্ন। সে তার বাবাকে নানান প্রশ্নে জেরবার করে তোলে। তার শিশুমনে রেলগাড়ি দেখার সাধও জাগে। কিন্তু রেলগাড়ি দু-ঘণ্টা পরে আসবে বলে, সেই যাত্রায় তার আর রেলগাড়ি দেখা হয়ে ওঠেনি।

২. অপু-দুর্গার রেলের রাস্তা দেখার চেষ্টার যে অভিজ্ঞতা— সেটি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ অপু-দুর্গা ছিল অজানাকে জানার, অচেনাকে চেনার নেশায় মশগুল।

একদিন তারা বাছুর খুঁজতে খুঁজতে নবাবগঞ্জের পাকা রাস্তায় এসে পড়ে। রাস্তার ওপারে ছিল রেলের রাস্তা। সেই রাস্তা দূরে হলেও তারা ঠিক করে যে সেখানে যাবে। সেখান থেকে দুপুরের রোদ মাথায় নিয়ে তারা ছুটতে থাকে মাঠ-বিল-জলাজমি ভেঙে দক্ষিণের দিকে। অনেক দূরে গিয়ে একসময় দুর্গা একটা বড়ো জলার সামনে এসে পথ হারিয়ে ফেলে। কোনো গ্রাম চোখে পড়ে না। শুধু ধানখেত, জলা, পাঁকে পা পুঁতে যায়। রোদের তেজে শীতকালেও তারা ঘামতে থাকে। দুর্গার গায়ের কাপড় নানা স্থানে ছিঁড়ে যায়। শেষে অনেক কষ্টে রেলের রাস্তা দেখার আশা ছেড়ে তারা বাড়ি ফিরে আসে।

৩. বাছুর খুঁজতে বেরিয়ে দুর্গা-অপু কীভাবে পথ হারিয়ে ফেলেছিল ?

উত্তরঃ দু-তিনদিন ধরে রাঙি গাইয়ের বাছুরটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার খোঁজে অপু আর দুর্গা পৌষ মাসের একদিন দক্ষিণ মাঠে গিয়েছিল। দুর্গা পাকা রাস্তার ওপারে বহুদূর ঝাপসা মাঠের দিকে তাকিয়ে রেলের রাস্তা দেখে আসার কথা বলেছিল অপুকে। নবাবগঞ্জের পাকা রাস্তার ওপারে মাঠ বিল জলা ভেঙে সোজা দক্ষিণমুখে ছুটতে ছুটতে তারা একটা বড়ো জলা, হোগলা আর শোলা গাছের জঙ্গল, ধানখেত ও বেতঝোপের সামনে উপস্থিত হল। তখন ওরা বুঝতে পারল, পথ হারিয়ে ফেলেছে।

৪. অপু তার বাবার শিষ্যের বাড়িতে বধূটির ঘরে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিল কেন ?

উত্তরঃ অপু তার বাবার শিষ্য লক্ষ্মণ মহাজনের বাড়িতে যায়। সেখানে তার ছোটোভাইয়ের বধূর ঘরে নিমন্ত্রণ খেতে যায়। খেতে বসে খাবারের জিনিসপত্র ও আয়োজনের ঘটা দেখে অপু অবাক হয়ে যায়। একটা রেকাবিতে আলাদা করে নুন, লেবু দেওয়া ছিল। অনেক তরকারিও দেওয়া হয় তাকে। প্রতিটা তরকারির জন্য আলাদা আলাদা বাটি। এ ছাড়াও ছিল তার ও তার দিদির প্রিয় খাদ্য লুচি। শুধু তারই জন্য ছিল একটা বড়ো গলদাচিংড়ির মাথা। বাড়িতে অনেকদিন তার সকাল-বিকেল জলখাবার না খেয়েই কেটে যায়। ভালো খাবার এতদিন অপুর স্বপ্নে ছিল। তাই খাবারের আয়োজন দেখে অপু খুবই অবাক হয়ে যায়।

৫. অমলা কে ? তার সঙ্গে কীভাবে অপুর পরিচয় হয়েছিল ? ১+২

উত্তরঃ একবার অপু বাবার সাথে তার শিষ্য লক্ষণ মহাজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। তারই প্রতিবেশীর মেয়ে ছিল অমলা।

অমলাদের বাড়িতে অপুর নিমন্ত্রণ ছিল। অমলাই অপুকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এই সূত্রেই অপুর সাথে অমলার আলাপ। বিকেলে খেলতে গিয়ে অপুর পা বাঁশের বেড়ার ফাঁকে আটকে গেলে অমলাই অপুকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ও তার পায়ে পাথরকুচির পাতা বেটে লাগিয়ে দেয়। পরে অপু অমলাদের বাড়ি খেলতেও যায়। সে অমলার নানারকম খেলনা দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়।

(১০) দশম পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৫১)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. অপু ও দুর্গার মধ্যে কী নিয়ে ঝগড়া হয়ে মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়েছিল ?

উত্তরঃ দেশি কুমড়ার শুকনো খোলার নৌকা নিয়ে।

২. বাড়ি এসে অপু কতদিন ধরে নিজের অদ্ভুত ভ্রমণকাহিনি বলে বেড়াতে
লাগল ?

উত্তরঃ বাড়ি ফিরে পনেরো দিন ধরে অপু তার অদ্ভুত ভ্রমণকাহিনি বলে বেড়াতে লাগল।

৩. ‘পটাং করিয়া ছিড়িয়া যাইবার শব্দ হইল।’- পটাং করে কে, কী ছিঁড়ে ছিল ?

উত্তরঃ অপুর তৈরি করা নকল টেলিগ্রাফের তার দরজায় ঢুকতে গিয়ে নিজের মায়ের কাছে অসাবধানতাবশত ছিঁড়ে গিয়েছিল।

৪. সর্বজয়ার বলা অপুর ‘উদঘুটি কাণ্ড’ কী ছিল ?

উত্তরঃ বনবাদাড়ের গুলঞ্চলতা নিয়ে এসে বাড়ির মাঝখানে চলার পথে অপুর ‘টেলিগিরাপের’ তার টাঙানো ছিল। সর্বজয়ার কাছে সেটি ‘উদঘুট্টি কাণ্ড’।

৫. মায়ের উপর অভিমান করে অপু কোথায় গিয়ে বসেছিল ?

উত্তরঃ মায়ের উপর অভিমান করে অপু রায়দের বাগানে পড়ন্ত আম গাছের গুঁড়ির উপর বসেছিল।

৬. অপু ও তার দিদি দোকান দোকান খেলায় দোকান ঘরে কি কি জিনিসপত্র রেখেছিল ?

উত্তরঃ নোনা পাতার পান, মেটে আলু, ফলের আলু, রাধা লতা ফুলের মাছ, তেলাকুচার পটল, চিচ্চিড়ের বরবটি, মাটির ঢেলার সৈন্ধব লবণ প্রভৃতি।

৭. সতু অপুর চোখে কী ছুঁড়ে মেরেছিল ?

উত্তরঃ সতু মাকাল ফল নিয়ে পালানোর সময় অপু তাকে তাড়া করলে সে
তার চোখে বালি ছুঁড়ে মেরেছিল।

৮. রেল রেল খেলায় অপু কি দিয়ে টিকিট বানিয়ে ছিল ?

উত্তরঃ বাতবি নেবুর পাতা দিয়ে ।

৯. ’সতু ছুটিতেছে পরের দ্রব্য আত্মসাৎ করিয়া।’– এখানে সতু কোন্ দ্রব্য আত্মসাৎ করেছিল ?

উত্তরঃ তিনটি মাকাল ফল।

১০. সতু অপুর চেয়ে কত বছরে বড়ো ?

উত্তরঃ ৩ – ৪ বছরের বড়ো।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. “পুরাদমে বেচাকেনা আরম্ভ হইয়া গেল।”— কোন্ দোকানের কী বেচাকেনার কথা বলা হয়েছে ? প্রথমে কে পান কিনেছিল ? ২+১

উত্তরঃ একদিন খেলার ছলে দুর্গা ও অপু ইট সাজিয়ে একটি দোকানঘর বানিয়েছিল। সেই দোকানঘর বনজঙ্গল থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন ফল, ফুল, লতা-পাতা দিয়ে সাজানোর পর, দোকানে পুরোদমে কেনাবেচা আরম্ভ হয়। দুর্গা দোকান থেকে পুতুলের বিয়ের জন্য নকল সরু চাল কেনে। এইরকম নানাবিধ জিনিস কেনাবেচার মাধ্যমেই খেলা জমে ওঠে। প্রশ্নে অপু-দুর্গার
বানানো এই দোকানের কথাই উদ্ধৃত অংশে বলা হয়েছে।
» দুর্গাই প্রথমে খরিদ্দার হিসেবে পান কেনে।

(১১) একাদশ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৫৭)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. ‘পুত্র গর্ভে হরিহরের বুক ভরে যায়।’— কেন ?

উত্তরঃ হরিহর মাঝে মাঝে অপুকে গাঙ্গুলী বাড়ির চন্ডীমন্ডপে বৃদ্ধদের মজলিসে নিয়ে গিয়ে রামায়ণ কী পাঁচালী পড়ে শোনাতে বলেন। বৃদ্ধেরা তাতে খুব তারিফ করেন। সেই তারিখ শুনেই হরিহরের বুক পুত্রগর্বে ভরে যায়।

২. “তুমি বড়ো ভালো ছেলে”— কথাটি কে বলেছিল ?

উত্তরঃ অপুর কল্পিত রাঙা শাড়ি পরা, দেবী দুর্গার মতো হার ও বালা পরা বিশালাক্ষী দেবী এই কথাটি বলেছিলেন।

৩. ‘ওলা ওঠার মড়ক’ এর হাত থেকে বাঁচতে বিশালক্ষী দেবী কী করতে বলেছিলেন ?

উত্তরঃ চতুর্দশীর রাত্রে পঞ্চানন্দ তলায় ১০৮টা কুমড়ো বলি দিয়ে কালীপুজো করতে বলেছিলেন।

৪. মজুমদার বংশের প্রতিষ্ঠিত দেবতাটার নাম কী ?

উত্তরঃ বিশালাক্ষী দেবী।

৫. ‘গ্রামে অল্পদিনে ওলাওঠার মোড়ক আরম্ভ হইবে’– কথাটি কে কাকে বলেছিল ?

উত্তরঃ বিশালক্ষী দেবী, স্বরূপ চক্রবর্তীকে বলেছিলেন।

৬. অপুর ঠাকুর দাদার নাম কী ?

উত্তরঃ রামচাঁদ তর্কালঙ্কার।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. বিশালাক্ষী দেবী কোন্ বংশের প্রতিষ্ঠিত দেবতা ? তিনি স্বপ্নে মন্দির ত্যাগের কী কারণ বলেছিলেন ? ১+২

উত্তরঃ অপুদের বাড়ির কাছাকাছি বনের মধ্যে মজা পুকুরের পাড়ে ভাঙা মন্দিরের দেবী বিশালাক্ষী ছিলেন গ্রামের মজুমদার বংশের প্রতিষ্ঠিত দেবী।

একসময় কোনো এক বিষয়ে সফলতা পেয়ে মজুমদারেরা দেবীর মন্দিরে নরবলি দেন। এতে দেবী রেগে গিয়ে স্বপ্নে জানিয়েছিলেন যে, তিনি মন্দির ত্যাগ করে চলে গেলেন, আর কখনও ফিরবেন না। এইসব ঘটনা অনেককাল আগের। বিশালাক্ষী দেবীর পূজা দেখেছে এমন কোনো লোক গ্রামে আর বেঁচে নেই। মন্দির ভেঙে গেছে, পুকুর মজে গিয়ে ডোবায় পরিণত হয়েছে, চারিদিকে বন, মজুমদার বংশেও আর কেউ বেঁচে নেই। এখানে ষোড়শী মেয়ের রূপ ধরে স্বরূপ চক্রবর্তীকে দেবী বলেছিলেন যে, গ্রামে ওলাওঠা ও মড়ক লাগবে। গ্রামের লোকেরা যেন ১০৮টা কুমড়ো বলি দিয়ে চতুদর্শীর রাতে কালীপুজো করে।

২. “গ্রামে অল্প দিনে ওলাওঠার মড়ক আরম্ভ হবে”–কে বলেছিল ? এই মড়ক থামাতে সে কী ব্যবস্থা নিতে বলেছিল ? ১+২

উত্তরঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের এক বাসিন্দা, স্বরূপ চক্রবর্তীর সামনে সুন্দরী মেয়ের রূপে উপস্থিত হয়ে গ্রামের বিশালাক্ষী দেবী এ কথা বলেছিলেন।
» ষোড়শী বালিকারূপী বিশালাক্ষী ঠাকুর স্বরূপ চক্রবর্তীকে জানান যে চতুর্দশীর রাত্রে পঞ্চাননতলায় একশো আটটি কুমড়ো বলি দিয়ে কালীপুজো করলেই একমাত্র এই বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে ।

(১২) দ্বাদশ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৬০)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. রাজীদের বাড়িতে পোস্তদানাকে যষ্টিমধু বলে অপুকে খাওয়ানো হয়েছিল কেন ?

উত্তরঃ অপু পোস্ত দানা চিনত না। রাজীদের বাড়ির ছাদে রোদে শুকোতে দেওয়া পোস্ত দানার নাম জানতে চাইলে, রাজি থাকে যষ্টিমধু বলে খাওয়ায়।

২. ‘বাহ্ ! খেতে ঠিক মাংসের মতো, না দিদি ?’- কোন জিনিস খেতে ঠিক মাংসের মত মনে হয়েছিল ?

উত্তরঃ মায়ের হাতে রান্না পাতালকোঁড়ের তরকারিটা খেতে অপুর কাছে ঠিক মাংসের মত মনে হয়েছিল।

৩. রাজীদি অপুকে যষ্টিমধু বলে কী খাইয়েছিল ?

উত্তরঃ পোস্ত দানা।

৪. ‘তাহার মুখ স্বর্গীয় তৃপ্তিতে ভরিয়া উঠিল’– কার মুখ, কেন স্বর্গীয় তৃপ্তিতে ভরে উঠেছিল ?

উত্তরঃ পাতালকোঁড়ের তরকারি খেয়ে দুর্গার মুখ স্বর্গীয় তৃপ্তিতে ভরে উঠেছিল।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. “আজ যেন একটি উৎসবের দিন।”— কখন, কেন দুর্গার এরূপ মনে হয়েছিল?

উত্তরঃ দুর্গাপুজোর আর বাইশ দিন বাকি ছিল। দুর্গা মনে মনে হিসেব করে রেখেছিল যে, তার বাবা বাড়ি ফিরবেন ওই কটা দিন পরেই। এ কথা ভেবেই তার মন আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তার মনে হয়েছিল, বাবা অপু, মা ও তার জন্য পুতুল, কাপড় ও আলতা আনবেন। এ ছাড়াও সেদিন রাতে তাদের বাড়িতে রান্নার আয়োজন হয়েছিল। সাধারণত তাদের বাড়িতে রাতে রান্না হয় না। সকালের বাসি ভাত তরকারি দিয়েই তারা রাতের খাওয়া সেরে নেয়। তাই সেই রাত্রে রান্নার আয়োজন ও কয়েকদিন পর বাবার বাড়ি ফেরার আনন্দ মিলেমিশে দিনটি তার কাছে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল।

(১৩) ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৬১)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. অপু কড়ি খেলতে কোথায় গিয়েছিল?

উত্তরঃ অপু কড়ি খেলতে জেলেপাড়ায় গিয়েছিল।

২. কোথায় কড়ি খেলার আড্ডা জমতো ?

উত্তরঃ জেলেপাড়ায় তেতুল তলায়।

৩. ‘অপু বলিল- এই কড়ি খেলবি’- অপু কাকে কড়ি খেলার কথা বলে ছিল ?

উত্তরঃ অপু জেলেপাড়ায় বঙ্কাকে।

৪. পটু কড়ি জিতে কোথায় রাখতো?

উত্তরঃ পটু কড়ি জিতে গেঁজের মধ্যে রাখতো।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. “বাঁকা কঞ্চি অপুর জীবনে এক অদ্ভুত জিনিস”—উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।

উত্তরঃ বাঁকা কঞ্চি পেলে অপু সারাদিন বাঁশবাগানের পথে, নদীর ধারে ঘুরে বেড়ায়। বাঁকা কঞ্চিটি হাতে কখনও সে হয়ে ওঠে দোকানি, কখনও সেনাপতি, কখনও রাজপুত্র। আবার কখনও সে নিজেকে মহাভারতের অর্জুন বলে মনে করে। সেসব কল্পনা করে সে আপনমনে বিড়বিড় করে বেড়ায়। কঞ্চি হালকা ও বাঁকা হলেই তার এই আনন্দ পূর্ণ হয়। তাকে এরকম আপন মনে বকবক করতে দেখলে অন্যরা পাগল ভাববে বলে, কঞ্চি নিয়ে অপু মানুষজনের থেকে আড়ালে, নদীর ধারে, বাঁশবনে, তেঁতুলতলায় ঘোরে। এসবের খবর শুধু তার দিদি দুর্গা জানে। দিদি ছাড়া কেউ জানে না যে, অপুর সঙ্গে বাঁকা কঞ্চির কী সম্পর্ক। অপু নিজেও জানে না ওই বাঁকা কঞ্চি তার কাছে কী ? তাই লেখক প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি লিখেছেন।

(১৪) চতুর্দশ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৬৪)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. অপু গল্পের বই খুঁজতে গিয়ে যে বই পেয়েছিল তার নাম কী ?

উত্তরঃ ‘সর্ব-দর্শন সংগ্রহ’।

২. ‘সর্ব-দর্শন সংগ্রহ’ বইটিতে মানুষের ওড়ার ব্যাপারে কী লেখা ছিল ?

উত্তরঃ ‘সর্ব-দৰ্শন সংগ্রহ’ বইটিতে লেখা ছিল যে পারদ শকুনের ডিমে রেখে দু-দিন রোদে দেওয়ার পর তা মুখের মধ্যে রাখলে মানুষ উড়তে পারে।

৩. অপু ‘সর্ব-দর্শন সংগ্রহ’ বইটি কোথায় লুকিয়ে রাখত ?

উত্তরঃ নিজের ডালা ভাঙা বাক্সটার মধ্যে।

৪. অপু কার কাছ থেকে শকুনের ডিম সংগ্রহ করেছিল ?

উত্তরঃ অপু হিরু নাপিতের কাঠালতলার এক পাড়ার রাখালের কাছ থেকে চার পয়সা ও কিছু কড়ির বিনিময়ে শকুনের ডিম সংগ্রহ করেছিল।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. শূন্যে ওড়ার ক্ষমতা অর্জনের জন্য অপু কী করেছিল ?

উত্তরঃ একদিন কৌতূহলী বালক অপু দুপুরবেলা ঘরের দরজা বন্ধ করে ‘সর্ব-দর্শন সংগ্রহ’ নামের বইটি লুকিয়ে পড়তে থাকে । বইটি পড়ে সে জানতে পারে, পারদ শকুনির ডিমের মধ্যে পুরে কয়েকদিন রোদে রেখে সেই ডিম মুখের ভেতর পুরে মানুষ ইচ্ছে করলে উড়তে পারে । তখন অপুর শূন্যে উড়তে্যইচ্ছা হয়। সতু, নীলু, কানু, পটল, নেড়া ও দিদি দুর্গার কাছে শকুনির বাসার খোঁজ করেও সে কোনো সন্ধান পায় না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হিরু নাপিতের কাঁঠালতলার এক রাখাল অপুকে শকুনির ডিমের খোঁজ দেয় | অপু শকুনির ডিম পাওয়ার জন্য এতই ব্যাকুল হয়ে ওঠে যে দুটো পয়সা ও কিছু কড়ির বিনিময়ে শকুনির ডিম সংগ্রহ করতে রাজি হয়ে যায়।

২. ভুলো কুকুরকে নিয়ে দুর্গা কীভাবে আমোদ উপভোগ করত ?

উত্তরঃ গ্রামের ভুলো নামের কুকুরটিকে নিয়ে দুর্গা সীমাহীন আমোদ উপভোগ করত। একদিন দুপুরে খাওয়ার পর অপুকে সেইসব মজার বিষয় দেখানোর জন্য সে বাড়ির পিছন দিকের বাঁশবাগানে নিয়ে যায়। তার হাতে ছিল একমুঠো ভাত। “আয় ভুলো-তু-উ-উ-উ” বলে ডেকে দুর্গা রহস্য প্রকাশের আনন্দ নিয়ে অপুর দিকে এক অপূর্ব হাসি হাসি মুখে নিয়ে চেয়ে থাকে। হঠাৎ বনজঙ্গল থেকে কুকুরটি এসে উপস্থিত হয়। দুর্গা আনন্দে হি হি করে হেসে ওঠে। দুর্গার গায়ে যেন শিহরন জেগে ওঠে। বিস্ময় ও কৌতুকে তার মুখ-চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই আনন্দ উপভোগ করার জন্য মায়ের বকুনি সহ্য করেও নিজে কিছু কম খেয়ে দুর্গা অল্প ভাত সেই শীর্ণ কুকুরটির জন্য পাতের একপাশে জড়ো করে রাখত।

(১৫) পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৬৭)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. অপু কাকে দাদু বলে ডাকত ?

উত্তরঃ নরোত্তম দাস বাবাজিকে অপু দাদু বলে ডাকত ।

২. ‘দাদু তাহলে এবার তুমি আমায় সেই বইখানার ছবি দেখাও।’– নরোত্তম দাস দাদু অপুকে কোন বইয়ের ছবি দেখিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ‘প্রেমভক্তি-চন্দ্রিকা’।

৩. অপু নরোত্তম দাসের বাড়ি থেকে কোন ফুল কুড়িয়ে নিয়ে আসে ?

উত্তরঃ মুচকুন্দ চাঁপা ফুল।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. বৃদ্ধ নরোত্তম বাবাজির সঙ্গে অপুর কীভাবে ভাব হয়েছিল ?

উত্তরঃ গাঙ্গুলি পাড়ার গৌরবর্ণ, দিব্যকান্তি, সদানন্দ বৃদ্ধ নরোত্তম দাস বাবাজির সঙ্গে অপুর খুব ভাব। ছোটোবেলা থেকেই পিতা হরিহর অপুকে নিয়ে তাঁর কাছে যেতেন। তখন থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব। দাদু বলে ডেকে অপু তাঁর কাছে গেলেই তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে দাওয়ায় তালপাতার চাটাই বিছিয়ে তাকে বসতে দিতেন। অনেক সময় সারা বিকেল ধরে অপু তাঁর সঙ্গে বসে গল্পগুজব করত। নরোত্তম দাস বাবাজির কাছে তার কোনো সংকোচ, লজ্জা, ভয় ছিল না। অপু নরোত্তম দাদুকে তাঁর ‘প্রেমভক্তি-চন্দ্রিকা’ বইটি বের করে ছবি দেখাতে বলত। আর তিনিও বলতেন, মৃত্যুর আগে ‘প্রেমভক্তি-চন্দ্রিকা’ বইটি তিনি অপুকে দিয়ে যাবেন।

(১৬) ষোড়শ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৬৯)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. দুর্গা ও অপু চড়ুইভাতির আয়োজন কোথায় করেছিল ?

উত্তরঃ নীল মনিরা এর জঙ্গলা কি নবিতার এক প্রান্তে।

২. ‘খেলা ঘরের বনভোজন যা কতবার হয়েছে।’– খেলাঘর এর বনভোজনের কী কী রান্না হতো ?

উত্তরঃ ধুলার ভাত, খাপরার আলু ভাজা ও কাঁঠাল পাতাল লুচি।

৩. অপু দুর্গার বনভোজনে পরে এসে কে যোগ দিয়েছিল ?

উত্তরঃ ওপাড়ার কালীনাথ চক্রবর্তীর মেয়ে বিনি।

৪. অপু দুর্গার বনভোজনে কী কী রান্না হয়েছিল ?

উত্তরঃ ভাত, মেটে আলু আর বেগুন ভাজা।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. অপু ও দুর্গা চড়ুইভাতির আয়োজন কীভাবে করেছিল তার সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ একদিন অপু ও দুর্গা নীলমণি রায়ের জঙ্গলে-ভরা ভিটের একধার পরিকার করে সত্যিকারের চড়ুইভাতির আয়োজন করে। তাদের আয়োজন ছিল খুবই সামান্য। বাড়ি থেকে চুরি করে আনা তেল, চাল, বনের মেটে আলু ইত্যাদি ছিল তাদের বনভোজনের উপকরণ। অপু মহা উৎসাহে দিদির সঙ্গে কাজে লেগে যায়। তাদের সঙ্গী হল পাশের পাড়ার দরিদ্র ব্রাহ্মণ কালীনাথ চক্রবর্তীর মেয়ে বিনি। তারা তাদের উপকরণের মধ্যে লবণ আনতে ভুলে গিয়েছিল। তবুও সত্যিকারের ভাত, কোষো মেটে আলু ভাতে, পানসে বেগুন ভাজা দিয়ে চড়ুইভাতির আনন্দে তাদের লবণের অভাব বোধ হয় না।

(১৭) ষোড়শ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৭১)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. ভুবন মুখুজ্যের বাড়িতে কার বিয়ে ছিল ?

উত্তরঃ ভুবন মুখুজ্যের বাড়িতে রানুর দিদির বিয়ে ছিল।

২. ভুবন মুখোজ্জের বাড়ির বিয়েতে কী হারিয়েছিল ?

উত্তরঃ সোনার সিঁদুরের কৌটো।

৩. কার সিঁদুরের কৌটো হারিয়েছিল ?

উত্তরঃ টুনির মায়ের।

৪. হারিয়ে যাওয়া সোনার সিঁদুরের কৌঠোর জন্য কাকে চোর সন্দেহ করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ দুর্গাকে।

৫. চোর অপবাদে মারের হাত থেকে দুর্গাকে কে বাঁচিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মারের হাত থেকে দুর্গাকে টুনির মা বাঁচিয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. ‘পাকা চোর’– চোর অপবাদ কাকে, কেন দেয়া হয়েছিল ? তাকে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল এবং কীভাবে রক্ষা পেয়েছিল ? ১+২

উত্তরঃ টুনির মায়ের সিঁদুরের কৌটো চলে গেলে দুর্গাকে চোরের অপবাদ দেওয়া হয়েছিল।

কয়েকদিন পরে ভুবন মুখুজ্যের বাড়িতে রানুর দিদির বিয়ে শেষ হলে সেখানে টুনির মায়ের সোনার সিঁদুরকৌটো চুরি গেলে সেজঠাকরুন দুর্গাকে সন্দেহ করেন। সরাসরি তিনি দুর্গাকে সিঁদুরকৌটো ফেরত দিতে বলেন ও অপমানও করতে থাকেন। টুনির মা দুর্গাকে পছন্দ করতেন। তাই তিনি বিশ্বাস করেননি যে দুর্গা চুরি করতে পারে। সেজঠাকরুন দুর্গাকে মারধোর করতে শুরু করলে টুনির মা এসে বাধা দেন। অসহায় দুর্গার নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। শেষে রানুর মা তাকে বাঁচিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

(১৮) ষোড়শ পরিচ্ছেদ (পৃঃ ৭৪)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-১)

১. যাত্রা কোথায় হবে ?

উত্তরঃ বারোয়ারী তলায়।

২. যাত্রা দল কিসে করে আসবে ?

উত্তরঃ গরুর গাড়িতে করে।

৩. কয়টা গরুর গাড়িতে যাত্রা দল এসেছিল ?

উত্তরঃ পাঁচটা গরুর গাড়িতে।

৪. অপূর্ব আপা কয় মাস বাড়িতে থাকে না ?

উত্তরঃ ৯ মাস।

৫. যাত্রা দেখতে যাওয়ার সময় অপুকে দিদি দুর্গা কত পয়সা দিয়েছিল ?

উত্তরঃ দু পয়সা।

৬. দিদি দুর্গা পয়সা দিয়ে কি কিনে খেতে বলেছিল ?

উত্তরঃ মুড়কি নয়তো লিচু।

৭. অপুকে ঝোল করে দেওয়ার জন্য দুর্গার মা দুর্গাকে কিসের পাতা আনতে বলেছিল ?

উত্তরঃ রানুদের বাগান থেকে দুটো সাদা গন্ধ ভেদালি পাতা আনতে বলেছিল।

৮. দুর্গা তার পিসিমার কাছ থেকে ছেলেবেলায় যে ছড়া শিখেছিল তা লেখো।

উত্তরঃ হলুদ বনে বনে—
নাক-ছাবিটি হারিয়ে গেছে সুখ নেইকো মনে—

ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা : (প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ণমান-৩)

১. “দশ-বারো দিন সন্ন্যাসী-নাচনের পর চড়কের পূর্বরাত্রে নীলপূজা আসিল।”— সন্ন্যাসী নাচন কী ? নীলপূজার দিন বিকেলে দুর্গা ও অপু কী করেছিল ? ১+২

উত্তরঃ চড়কপূজার সময় সন্ন্যাসীর দল বাড়ি বাড়ি নাচগান করে। গৃহস্থ বাড়ি
থেকে সন্ন্যাসীদের পুরানো কাপড়, চাল পয়সা বা ঘড়া দেওয়া হয়। এই প্রথাকে সন্ন্যাসী নাচন বলে।
» নীলপূজার দিন বিকালে দুর্গা ও অপু নদীর ধারে সন্ন্যাসীদের কাঁটাভাঙা দেখতে গিয়েছিল। সেখানে ভুবন মুখুজ্যেদের বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে তাদের দেখা হয়েছিল। টুনু বলেছিল, সেদিন রাতে সন্ন্যাসীরা শ্মশান জাগাতে যাবে। দুর্গা সন্ন্যাসীদের মড়ার মুণ্ডু নিয়ে আসার ছড়া শুনিয়েছিল। রানু বলেছিল যে, সেদিন রাতটা ভালো নয় তাই বাড়ি ফিরে যাওয়া যাবে। দুর্গা রানুদের সঙ্গে
চলে গেলেও অপু গেল না । তারপর প্রচণ্ড মেঘ করে এলে অপু ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরে আসছিল। পথে নেড়ার ঠাকুমার সঙ্গে তার দেখা হয়। অপুর মনে হয়, তার চারিদিকে কটু গন্ধে ভরে গিয়েছে। অবশেষে নেড়ার ঠাকুমা তাকে বাড়ির পথে এগিয়ে দিয়ে যায়।

This Post Has One Comment

Leave a Reply