2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 8 (VIII) WBBSE
HISTORY QUESTION PAPER
Set-2
সিলেবাস/Syllabus—
ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র, ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিক্রিয়া, জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ।
2ND SUMMATIVE EVALUATION
Class – VIII Sub : History
Time : 50 mints Full Marks-25
১। সঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখো : (যে কোন ৫ টি) ১×৫= ৫
১.১ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন– (লর্ড কর্নওয়ালিস ওয়ারেন হেস্টিংস/ লর্ড ওয়েলেসলি / লর্ড ক্লাইভ)।
উত্তরঃ লর্ড কর্নওয়ালিস।
১.২ ভারতের রেলপথ নির্মাণ শুরু করেন– (লর্ড হেস্টিংস / লর্ড কর্নওয়ালিস / লর্ড ডালহৌসি / লর্ড ওয়েলেসলি)
উত্তরঃ লর্ড ডালহৌসি।
১.৩ দাদন বলতে বোঝায়-( অগ্রিম অর্থ / আবওয়াব / বেগার শ্রম / বেগার শ্রম)।
উত্তরঃ অগ্রিম অর্থ।
১.৪ ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ হলেন – ( রাজা রামমোহন রায় / স্বামী বিবেকানন্দ/ বিদ্যাসাগর / দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর )।
উত্তরঃ রাজা রামমোহন রায়।
১.৫ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকা হলো– ( দিগদর্শন / সংবাদ প্রভাকর / সমাচার দর্পণ/ বেঙ্গল গেজেট)
উত্তরঃ দিগদর্শন।
১.৬ অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন-(সতীশ চন্দ্র বসু / বিপিনচন্দ্ৰ পাল / সতীশ চন্দ্র মুখার্জী / অরবিন্দ ঘোষ )
উত্তরঃ সতীশ চন্দ্র বসু।
১.৭ কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ হয় – (১৯০৬ / ১৯০৪ /১৯০৫ / ১৮০৫) খ্রিস্টাব্দে।
উত্তরঃ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।
২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো চার-পাঁচটি শব্দ বা একটি বাকের মধ্যে [যে কোন ৫ টি) ১×৫= ৫
২.১ দশশালা বন্দোবস্ত কে চালু করেন ?
উত্তরঃ লর্ড কর্নওয়ালিস।
২.২ দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা কবে হয়েছিল ?
উত্তরঃ ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে ১২ই মে।
২.৩ নীল বিদ্রোহ কবে শুরু হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে।
২.৫ দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ কি ?
উত্তরঃ পাহাড়ের প্রান্তদেশ।
২.৬ সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ কে ছিলেন ?
উত্তরঃ মঙ্গল পান্ডে৷
২.৭ হিন্দু মেলার প্রতিষ্ঠাতা কে ?
উত্তরঃ নবগোপাল মিত্র।
২.৮ সি.এন ঠাকুর কার ছদ্মনাম ?
উত্তরঃ রাসবিহারী বসু।
৩। নীচের যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখো : (দু- তিনটি বাক্যের মধ্যে) ২x২= ৪
৩.১ সম্পদের বহির্গমন কাকে বলে ?
উত্তরঃ সম্পদের বহির্গমন কথার অর্থ হল প্রতিদানহীন ভাবে একদেশের সম্পদ অন্যদেশে চলে যাওয়া। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের টাকায় ভারতীয় পণ্য কিনে অথবা নজরানা বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ইংল্যান্ডে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চালান দেওয়ার ফলে ভারত আর্থিক দিক দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। একেই সম্পদের বহির্গমন বলে।
৩.২ সূর্যাস্ত আইন কাকে বলে ?
উত্তরঃ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রধানতম শর্ত হল-বাংলা বছরের শেষ দিনে সূর্যাস্তের আগে জমিদারগণ নিজেদের প্রদেয় রাজস্ব প্রদান না করলে তাদের জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই আইন সূর্যাস্ত আইন নামে পরিচিত।
৩.৩ জ্যোতিরাও ফুলে কীজন্য স্মরণীয় ?
উত্তরঃ জ্যোতিরাও ফুলে ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি ও তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীবাঈ ফুলের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতার বিরোধিতার পাশাপাশি পাশ্চাত্য শিক্ষা নারী শিক্ষার প্রচলনের আন্দোলন হয়েছিল।
৩.৪ শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে কোন্ ভারতীয় কবে বক্তব্য রাখেন ?
উত্তরঃ শিকাগো ধর্ম সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন স্বামী বিবেকানন্দ। 1893 খ্রিস্টাব্দে এই বিশ্বধর্ম সম্মেলনে তিনি বক্তব্য রেখেছিলেন।
৩.৫ দুজন নরমপন্থী ও চরমপন্থী নেতার নাম লেখো।
উত্তরঃ নরমপন্থী-সুবেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী, উমেশচন্দ্র ব্যানার্জী। চরমপন্থী-বালগঙ্গাধর তিলক, বিপিনচন্দ্র পাল।
৪। নীচের যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর লেখো : (চার পাঁচটি বাক্যের মধ্যে) ৩×২= ৬
৪.১ দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা বলতে কী বোঝো ?
উত্তরঃ বহিরাগত ব্যবসায়ীদের উৎপীড়ন, সাউকার বা মহাজনদের অত্যাচার, সরকারি রাজস্বের উচ্চহার এবং তুলার দাম অত্যধিক হ্রাস পাওয়ার ফলে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া মহারাষ্ট্রের পুনা ও আহমদনগর এলাকার রায়তরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। সরকার এই বিদ্রোহকে দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা নামে অভিহিত করে।
৪.২ মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ মহাবিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেল এর প্রবর্তন। এই রাইফেল এর টোটা দাঁত দিয়ে কেটে বন্দুকে পুরতে হতো। গুজব রটে যে এই টোটা গোরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি। ফলে ধর্মভিরু হিন্দু ও মুসলমান সিপাহিরা তাদের ধর্মনাশের ফলে একযোগে বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল।
৪.৩ কে, কী উদ্দেশ্যে হিন্দুমেলা স্থাপন করেন ?
উত্তরঃ নবগোপাল মিত্র হিন্দুমেলা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু ধর্মের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে হিন্দুমেলা স্থাপিত হয়। তাছাড়া দেশীয় শিল্প ও সাহিত্যের উন্নতি ঘটানো ছিল হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার আর একটি উদ্দেশ্য।
৪.৪ লর্ড কার্জন কেন বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা করেন ?
উত্তরঃ লর্ড কার্জন মুখে প্রশাসনিক সুবিধার কথা বললেও বঙ্গ বিভাজনের জন্য তাঁর উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক বঙ্গভঙ্গের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলার হিন্দু-মুসলমান ঐক্য ভেঙে দিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিলেন।
৫। নীচের যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লেখো : (আট- দশটি বাক্যের মধ্যে) ৫×১= ৫
৫.১ ভারতে রেলপথের বিস্তার এদেশের আর্থ-সামাজিক জীবনে পরিবর্তন এনেছিল ?
অথবা,
ভারতে রেলপথের বিস্তারের ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ ভূমিকা : ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হলেও যে কটি বিষয় ভারতে জাতীয়তাবাদের সৃষ্টিতে সাহায্য করেছিল রেলপথের স্থাপন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
প্রভাব : ভারতে রেলপথ স্থাপনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব করা যায়।
সুফল : রেলপথ স্থাপনের সুফলগুলি হল—
(i) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি : গ্রামগুলির সাথে বন্দর ও বাজারের যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
(ii) কর্মসংস্থান : রেল ব্যবস্থা প্রবর্তন এর ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল।
(iii) বাণিজ্যের উন্নতি : গ্রামীণ পণ্য সম্ভার অতি সহজেই বন্দরের মাধ্যমে বিদেশে বা দেশের অন্যত্র পাঠানো যেত বলে বাণিজ্যের অভাবনীয় উন্নতি পরিলক্ষিত হয়।
(iv) শহর ও বন্দরের উত্থান : রেলপথের বিস্তার ভারতে নতুন নতন নগর ও বন্দর গড়ে তুলেছিল।
(v) জাতীয় চেতনার বিকাশ : রেলপথের মাধ্যমে দ্রুত যাতায়াতের ফলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তারা নিজেদের ভারতীয় বলে ভাবতে থাকে। জাগ্রত জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়। সূচনা হয় মুক্তি আন্দোলনের।
কুফল : রেলপথের বিস্তারের কিছু কুফল পরিলক্ষিত হয়েছিল। যেমন—
(i) সম্পদের নির্গমন : রেলপথের মাধ্যমে ভারতের সম্পদ বিদেশে অতিসহজেই চলে যেতে থাকে।
(ii) কুটির শিল্পের ধ্বংস : ইংল্যান্ডের দাম ও গুণগত মানের দিক দিয়ে ভালো পণ্যসম্ভার ভারতের গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাওয়ায় কুটির শিল্পের ধ্বংসসাধন হয়।
(iii) দেশীয় বাণিজ্যের ক্ষতি : সস্তায় বিদেশি পণ্য ভারতের বাজাবে ভর্তি হয়ে যাওয়া দেশীয় বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(iv) জলপথের গুরুত্ব হ্রাস : রেল ব্যবস্থা সড়কপথে যোগাযোগকে এতো দ্রুত করেছিল যে জলপথের গুরুত্ব ক্রমশ কমে যায়। বহুমানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে।
৫.২ মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের মূল্যায়ন করো।
উত্তরঃ সূচনা : ভারত সচিব জন মর্লে ও গভর্নর জেনারেল লর্ড মিন্টোর মিলিত উদ্যোগে 1909 খ্রিস্টাব্দে ভারতে যে শাসনতান্ত্রিক সংস্কার প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন নামে পরিচিত।
পটভূমিকা : সমকালীন কিছু ঘটনা মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন প্রণয়নের পটভূমি তৈরি করেছিল। যেমন—
(i) 1907 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস এর ভাঙনকে কাজে লাগিয়ে চরমপন্থীদের দমন করা ও নরমপন্থীদের কিছু দাবি মেনে নিয়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা।
(২) মুসলিম লিগের মতো রাজনৈতিক দলকে উৎসাহ দিয়ে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য বিনষ্ট করা।
(৩) মুসলিম লিগ নেতা আগা থানকে প্রদত্ত লর্ড মিন্টোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।
(৪) ভারতীয়দের স্বায়ত্তশাসনের দাবির কিছুটা মেনে নেওয়া।
আইনের মূল বক্তব্য : মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন অনুযায়ী—
(১) বড়োলাটের কার্যনির্বাহী পরিষদে একজন ভারতীয়কে নিয়োগ করার কথা বলা হয়।
(২) মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ের কার্য নির্বাহক পরিষদের সংখ্যা দুই থেকে বৃদ্ধি করে চার করা হয়।
(৩) কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য সংখ্যা 16 থেকে বৃদ্ধি করে 60 করা হয়। এদের মধ্যে সরকারি কর্মচারী জেন, জমিদারদের মধ্য থেকে 27 জন বড়োলাট কর্তৃক মনোনীত হবেন। বাকিরা বিভিন্ন প্রাদেশি আইন সভা দ্বারা নির্বাচিত হবেন।
(৪) প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য সংখ্যা 30 থেকে বৃদ্ধি কবে 50 করা হয়। তাদের মধ্যে অধিকাংশ হতেন ছোটোলাট কর্তৃক মনোনীত ।
(৫) এতে মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।
মূল্যায়ন : মলে-মিন্টো আইন দ্বারা ভারতীয়রা সরাসরি সরকারের আইন রচনার কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। তবে এই আইনে প্রকৃত ক্ষমতা বড়োলাটের হাতেই রাখা হয়েছিল। প্রাদেশিক আইনসভার ক্ষেত্রে ছোটোলাট চরম ক্ষমতার অধিকারী ছিল।
সর্বোপরি এই প্রথম মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দ্বি- জাতি তত্ত্বের অবতারণা করা হয়।
৫.৩ সমাজ সংস্কার ও নারী শিক্ষার প্রসাবে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা লেখো।
উত্তরঃ ভূমিকা : ভারতের সমাজ সংস্কার ও স্ত্রী শিক্ষার প্রসাবে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সমাজ সংস্কার : বিদ্যাসাগরের সমাজসংস্কার মূলক কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলি হল-
(১) বিধবা বিবাহ প্রবর্তন : বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহের সমর্থনে জোর আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি পরাশর সংহিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে দেখান যে প্রাচীন ভারতে বিধবা বিবাহ প্রচলিত ছিল। তাঁর আন্দোলনের ফলে 1856 খ্রিস্টাব্দে লর্ড ক্যানিং বিধবা বিবাহ আইন পাশ করেন।
(২) বহুবিবাহের বিরোধিতা: বিদ্যাসাগর পুরুষের বহু বিবাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
(৩) বাল্যবিবাহ : নারীর বাল্য বিবাহের তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
(৪) বর্ণব্যবস্থা : ভারতে প্রচলিত জাতিভেদ ও বর্ণভেদ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন।
নারী শিক্ষা : বিদ্যাসাগর অনুভব করেছিলেন যে, নারী জাতির উন্নতি ব্যতীত হিন্দু সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। এজন্য তিনি নারীদের শিক্ষার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
(১) বেথুন বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য : ড্রিংক ওয়াটার বেথুন 1849 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় বিদ্যাসাগরের সাহায্য লাভ করেন। এমনকি 21 জন বালিকাকে বিদ্যালয়ে পড়তে রাজি করান।
(২) বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : বিদ্যাসাগর বিদ্যালয় পরিদর্শক রূপে 35টি বালিকা বিদ্যালয় বাংলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে স্থাপন করেন। অন্তত 1300 ছাত্রী এইসব বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
(৩) বিদ্যাসাগর কলেজ : ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বিদ্যাসাগর যেসব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন’। পরবর্তীকালে এটি বিদ্যাসাগর কলেজ নামে পরিচিত হয়।
(৪) পুস্তক রচনা : পাঠ্যপুস্তকের অভাব মেটানোর জন্য তিনি বর্ণপরিচয় বোধোদয়, কথামালা প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন।
মূল্যায়ন : বাংলায় সমাজ সংস্কার ও নারী মুক্তি আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের সমাজ ও নারী জাতির উন্নয়নে প্রচেষ্টা তাকে চির স্মরণীয় করে রেখেছে।
👉আরো দেখো : সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র👈