ধীবর-বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস – নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের সমাধান | Class 9 Bengali Dhibor Brittanto Solved Question Answer wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নোত্তর

ধীবর-বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস – নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের সমাধান | Class 9 Bengali Dhibor Brittanto Solved Question Answer

ধীবর-বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস– নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Board of Secondary Education Class 9th Bengali Dhibor Brittanto Solved Question Answer

রাজ্য (State) পশ্চিমবঙ্গ
বোর্ড (Board) WBBSE
শ্রেণি (Class) নবম
বিষয় (Subject) বাংলা
নাটক (Play) ধীবর-বৃত্তান্ত
নাট্যকার (Playwrights) কালিদাস

ধীবর-বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস – নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের সমাধান | Class 9 Bengali Dhibor Brittanto Solved Question Answer

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন | Multiple Choice Questions (MCQ) | ধীবর-বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস– নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

১. ধীবরকে যে অভিযোগে ধরে আনা হয়েছিল, তা হল—
(ক) সোনার হার চুরির অপরাধে
(খ) মৎস্য শিকারের অপরাধ
(গ) আংটি চুরির অপরাধে
(ঘ) হরিণ শিকারের অপরাধে

উত্তরঃ (গ) আংটি চুরির অপরাধে।

২. ধীবর আংটিটি পেয়েছিল—
(ক) রুই মাছের পেটে
(খ) জালের মধ্যে
(গ) জলের তলায়
(ঘ) একটি সোনার দোকানে

উত্তরঃ (ক) রুই মাছের পেটে।

৩. “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক _____ ” আংটিটি পেল—
(ক) ধীবর
(খ) নাপিত
(গ) কৃষক
(ঘ) শিকারী

উত্তরঃ (ক) ধীবর।

৪. “এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন”– বক্তা কে ?
(ক) ধীবর
(খ) জানুক
(গ) সূচক
(ঘ) শ্যালক

উত্তরঃ (ক) ধীবর।

৫. ধীবর যে আংটিটি খুঁজে পেয়েছিল তাতে, ছিল—
(ক) রাজার ছবি
(খ) রানীর নাম
(গ) রাজার খোদাই করা নাম
(ঘ) শকুন্তলার ছবি

উত্তরঃ (গ) রাজার খোদাই করা নাম।

৬. “আপনারা শান্ত হন” বক্তা হলেন—
(ক) ধীবর
(খ) সূচক
(গ) জানুক
(ঘ) রাজশ্যালক

উত্তরঃ (ক) ধীবর।

৭. “একে পূর্বাপর সব বলতে দাও।”– বক্তা কে ?
(ক) সূচক
(খ) প্রথম রক্ষী
(গ) ধীবর
(ঘ) রাজশ্যালক

উত্তরঃ (ঘ) রাজশ্যালক।

৮. ধীবর বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে মহাকবি কালিদাসের যে রচনা থেকে–
(ক) রঘুবংশম
(খ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম
(গ) কুমারসম্ভবম
(ঘ) মেঘদূতম

উত্তরঃ (খ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম।

৯. “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর…”– আংটি ছিল–
(ক) শকুন্তলার
(খ) মহর্ষি কণ্বের
(গ) রাজশ্যালকর
(ঘ) প্রিয়ংবদার

উত্তরঃ (ক) শকুন্তলার।

১০. “তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি” — এই উক্তিটির বক্তা হলেন —
(ক) সূচক
(খ) প্রথম রক্ষী
(গ) ধীবর
(ঘ) রাজশ্যালক

উত্তরঃ (ঘ) রাজশ্যালক।

১১. “আমি খন্ড খন্ড করে কাটলাম”— যা কাটার কথা বলা হয়েছে–
(ক) রুই মাছ
(খ) কাতল মাছ
(গ) ভেটকি মাছ
(ঘ) ইলিশ মাছ

উত্তরঃ (ক) রুই মাছ।

১২. যার গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল, সে হল—
(ক) সূচক
(খ) প্রথম রক্ষী
(গ) ধীবর
(ঘ) ধীবরের স্ত্রী

উত্তরঃ (গ) ধীবর।

১৩. “এই অবশ্যই গোসাপ খাওয়া জেলে হবে”– এমন মন্তব্য করা হয়েছে কেন ?
(ক) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল
(খ) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাছের গন্ধ আসছিল
(গ) ধীবরের গায়ে গো-সাপের ছাল লেগেছিল
(ঘ) ধীবরের গায়ে রক্তের দাগ লেগেছিল

উত্তরঃ (ক) ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল।

১৪. ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে ?’– উক্তিটির বক্তা—
(ক) শ্যালক
(খ) ধীবর
(গ) সূচক
(ঘ) জানুক

উত্তরঃ (খ) ধীবর।

১৫. “প্রভু, অনুগৃহীত হলাম।”– অনুগৃহীত হওয়ার কারণ—
(ক) রাজা মৃত্যুদণ্ড দেননি
(খ) রাজা তাকে ক্ষমা করেছেন
(গ) রাজা তাকে মুক্তি দিয়েছেন
(ঘ) রাজা তাকে মুক্তির সঙ্গে আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ খুশি হয়ে দিয়েছেন

উত্তরঃ (ঘ) রাজা তাকে মুক্তির সঙ্গে আংটির মূল্যের সমান পরিমাণ অর্থ খুশি হয়ে দিয়েছেন।

১৬. “তিনি শকুন্তলাকে চিনতেও পারলেন না”– উদ্ধৃতাংশে ‘তিনি’ হলেন—
(ক) মহর্ষি দুর্বাসা
(খ) মহর্ষি কণ্ব
(গ) মহর্ষি বিশ্বামিত্র
(ঘ) মহারাজ দুষ্মন্ত

উত্তরঃ (ঘ) মহারাজ দুষ্মন্ত।

১৭. ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশটি বাংলায় তরজমা করেছেন—
(ক) অর্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত
(খ) নবারুণ ভট্টাচার্য
(গ) সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী
(ঘ) সত্যপ্রিয় রায়

উত্তরঃ (গ) সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী।

১৮. ধীবর বৃত্তান্ত নাটকে দুই রক্ষীর নাম ছিল–
(ক) জয় – বিজয়
(খ) ওম্ – ওমকার
(গ) জানুক – সূচক
(ঘ) অমল – বিমল

উত্তরঃ (গ) জানুক – সূচক

১৯. “আমাদের প্রভুর দেখি খুব বিলম্ব হচ্ছে।” – ‘প্রভু’ বলতে বক্তা বুঝিয়েছেন –
(ক) মহারাজকে
(খ) মহাপাত্রকে
(গ) রাজশ্যালককে
(ঘ) প্রধান প্রহরীকে

উত্তরঃ (গ) রাজশ্যালককে।

২০. “বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।”– এ কথা বলেছেন—
(ক) পুরুষ
(খ) শ্যালক
(গ) সূচক
(ঘ) প্রথম রক্ষী

উত্তরঃ (ক) পুরুষ।

২১. রাজশ্যালক ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কাকে নির্দেশ করে বলেছিল ?
(ক) জানুককে
(খ) সূচককে
(গ) দুই রক্ষীকে
(ঘ) এদের কাউকেই নয়

উত্তরঃ (খ) সূচককে।

২২. আংটি দেখে মহারাজের মনে পড়েছিল–
(ক) নিজের ছোটবেলার স্মৃতি
(খ) প্রিয়জনের কথা
(গ) রাজ্যাভিষেকের স্মৃতি
(ঘ) যুদ্ধজয়ের স্মৃতি

উত্তরঃ (খ) প্রিয়জনের কথা

২৩. জেলে পারিতোষিকের অর্ধেক অর্থ দিয়েছিল–
(ক) আংটির দাম হিসেবে
(খ) জালের দাম হিসেবে
(গ) মাছের দাম হিসেবে
(ঘ) ফুলের দাম হিসেবে

উত্তরঃ (ঘ) ফুলের দাম হিসেবে

২৪. ধীবরকে বন্ধু বলে মেনে নিয়েছিলেন–
(ক) রাজশ্যালক
(খ) জানুক
(গ) রাজা
(ঘ) গ্রামরক্ষী

উত্তরঃ (ক) রাজশ্যালক

২৫. ধীবর বৃত্তান্ত নাটকের রচয়িতা হলেন—
(ক) কালিদাস
(খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(গ) বানভট্ট
(ঘ) শেক্সপিয়ার

উত্তরঃ (ক) কালিদাস।

২৬. ধীবর-বৃত্তান্ত নাটকটি সংকলিত হয়েছে ___________ থেকে।
(ক) কুমারসম্ভবম্
(খ) রঘুবংশম্
(গ) মৃচ্ছকটিক
(ঘ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম্

উত্তরঃ (গ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম্।

২৭. বিবাহের পর দুষ্মন্ত ফিরে গিয়েছিলেন—
(ক) স্বর্গে
(খ) হস্তিনাপুরে
(গ) তপোবনে
(ঘ) কশ্যপের আশ্রমে

উত্তরঃ (খ) হস্তিনাপুরে।

২৮. শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন—
(ক) ঋষি দুর্বাসা
(খ) বিশ্বামিত্র
(গ) দোনাচার্য
(ঘ) কৃপাচার্য

উত্তরঃ (ক) ঋষি দুর্বাসা।

২৯. শকুন্তলার হাতের আংটি খুলে পড়ে গিয়েছিল —
(ক) জাহ্নবীর তীরে
(খ) তপোবনে
(গ) বেনারসে
(ঘ) শচীতীর্থে

উত্তরঃ (ঘ) শচীতীর্থে।

৩০. শকুন্তলার হাতের আংটি খুলে পড়ে গিয়েছিল–
(ক) শচীতীর্থে স্নানের পর অঞ্জলি দেওয়ার সময়
(খ) শচীতীর্থে
(গ) নদীতে নৌকা ভ্রমণের সময়
(ঘ) নদীতে সখীদের সঙ্গে জলকেলি করার সময়

উত্তরঃ (ক) শচীতীর্থে স্নানের পর অঞ্জলি দেওয়ার সময়।

৩১. “আমি একজন জেলে, _________ আমি থাকি।”– শূন্যস্থানে বসবে–
(ক) পাটলিপুত্র
(খ) কলিঙ্গদেশে
(গ) শক্রাবতারে
(ঘ) প্রয়াগে

উত্তরঃ (গ) শক্রাবতারে।

৩২. শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানোর আয়োজন করলেন–
(ক) দুর্বাসা
(খ) প্রিয়ংবদা
(গ) দুষ্মন্ত
(ঘ) কণ্ব

উত্তরঃ (ঘ) কণ্ব

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | ধীবর বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Bengali Dhibar Britanta SAQ Question and Answer :

১.“হাতবাঁধা অবস্থায় এক পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে দুই রক্ষীর প্রবেশ।”– পুরুষটির হাত বাঁধা ছিল কেন ?

উত্তরঃ পুরুষটির কাছে রাজা দুষ্মন্তের আংটি পাওয়া গিয়েছিল, তাই তাকে চোর সন্দেহে হাত বেঁধে নিয়ে আসা হয়।

২. ধীবরকে কারা ধরে এনেছিল ?

উত্তরঃ ধীবরকে নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজশ্যালক এবং দুজন রক্ষী ‘সূচক’ ও ‘জানুক’ ধরে নিয়েছিল।

৩. তীর্থ থেকে ফিরে এসে মহর্ষি কণ্ব কী করেছিলেন ?

উত্তরঃ শকুন্তলাকে পতিগৃহে অর্থাৎ রাজা দুষ্মন্তের কাছে পাঠাবার ব্যবস্থা করেছিলেন।

৪. দুষ্মন্ত প্রদত্ত আংটিটি শকুন্তলা কীভাবে হারিয়ে ফেলেছিলেন ?

উত্তরঃ পতিগৃহে যাবার পথে শচীতীর্থে স্নানের পর শকুন্তলা যখন অঞ্জলি দিতে যান তখন আংটিটি হাত থেকে খুলে জলে পড়ে গিয়েছিলো। আর এইভাবে আংটি হারিয়ে যায়।

৫. ধীবর আংটিটি কোথায় পেয়েছিল ?

উত্তরঃ ধীবর আংটিটি রুই মাছের পেটে পেয়েছিল।

৬. প্রিয়ংবদার অনুরোধে ঋষি দুর্বাসা কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ ঋষি দুর্বাসা বলেছিলেন যে, প্রিয়জন শকুন্তলাকে ভুলে গেলেও কোনো স্মৃতিচিহ্ন দেখালে এই অভিশাপ দূর হবে।

৭. পতিগৃহে যাবার পর শকুন্তলাকে দেখে দুষ্মন্তের প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ পতিগৃহে যাবার পর শকুন্তলাকে দেখে দুষ্মন্ত তাকে চিনতে পারেননি।

৮. “আপনারা শান্ত হন।”– বক্তা কাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ?

উত্তরঃ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র ধীবর দুই নগররক্ষীকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

৯. রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ কী ছিল ?

উত্তরঃ রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ ছিল নগর রক্ষা করা।

১০. ধীবর সংসার চালাতো কীভাবে ?

উত্তরঃ সে জাল, বড়শি ইত্যাদি নানা উপায়ে মাছ ধরে সংসার চালাত।

১১. ধীবর সম্পর্কে রাজার আদেশ কী ছিল ?

উত্তরঃ রাজা দুষ্মন্ত ধীবরকে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পরিতোষিকসহ মুক্তি দেবার আদেশ দিয়েছিলেন।

১২. আংটিটি পেয়ে রাজার কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ আংটিটি ফিরেছে রাজা দুষ্মন্ত মুহূর্ত কালের জন্য বিহ্বলভাবে চেয়েছিল।

১৩. মুক্তি পেয়ে ধীবর কী করেছিল ?

উত্তরঃ মুক্তি পেয়ে খুশিতে ধীবর পারিতোষিকের অর্ধেক রক্ষীদের ফুলের দাম হিসাবে দিয়েছিল।

১৪. দুষ্মন্ত প্রদত্ত আংটিটি শকুন্তলা কীভাবে হারিয়ে ফেলেছিলেন ?

উত্তরঃ শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে হাত থেকে খুলে জলে পড়ে গিয়ে শকুন্তলার আংটিটি হারিয়ে যায়।

১৫. ‘এ অবশ্যই গোসাপ-খাওয়া জেলে হবে।’– শ্যালক এরকম সন্দেহ করেছিল কেন ?

উত্তরঃ ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছিল বলে রাজার শ্যালক এরকম সন্দেহ করেছিলেন।

১৬. শকুন্তলার সখির নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ শকুন্তলার সখির নাম ছিল প্রিয়ংবদা।

১৭. “মহারাজ এ সংবাদ শুনে খুব খুশি হবেন।”– কোন সংবাদ শুনে মহারাজের খুশি হবেন ?

উত্তরঃ ধীবরের কাছ থেকে মহারাজের আংটি উদ্ধার করার কথা শুনে মহারাজা দুষ্মন্ত খুশি হবেন বলে রক্ষীরা এই মন্তব্য করেছে।

১৮. ‘চলরে গাঁটকাটা’– তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ গাঁটকাটা অর্থাৎ ধীবরকে রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৯. শকুন্তলার সঙ্গে কার বিবাহ হয়েছিল ?

উত্তরঃ শকুন্তলার সঙ্গে রাজা দুষ্মন্তের বিবাহ হয়েছিল।

২০. দুষ্মন্ত শকুন্তলার বিয়ে কোথায় হয়েছিল ?

উত্তরঃ ঋষি কণ্বের আশ্রমে দুষ্মন্ত শকুন্তলার বিয়ে হয়েছিল।

২১. ঋষি কণ্বের অবর্তমানে কোন্ ঋষি তার আশ্রমে এসেছিলেন ?

উত্তরঃ ঋষি কণ্বের অবর্তমানে ঋষি দুর্বাসা তার আশ্রমে এসেছিলেন।

২২. শকুন্তলাকে কে অভিশাপ দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন।

২৩. শকুন্তলাকে দুর্বাসা অভিশাপ দিয়েছিলেন কেন ?

উত্তরঃ স্বামী দুষ্মন্তের চিন্তায় অন্যমনস্ক হয়ে পড়ায় শকুন্তলা দুর্বাসার আগমন সংবাদ বুঝতে পারেননি। এই অবহেলাই অপমানিত হয় দুর্বাসা, শকুন্তলা’কে অভিশাপ দেয়।

২৪. দুর্বাসা মুনি শকুন্তলাকে কী অভিশাপ দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ দুর্বাসা মুনি শকুন্তলাকে এই বলে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে যার চিন্তায় মগ্ন, সে ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।

২৫. দুর্বাসা মুনি কীভাবে তার অভিশাপের প্রভাব দূর হবে বলে জানিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ প্রিয়ংবদার বিশেষ অনুরোধে দুর্বাসা মুনি জানিয়েছিলেন, যদি তিনি কোন নিদর্শন তার প্রিয়জনকে দেখাতে পারেন তবে অভিশাপের প্রভাব দূর হবে।

২৬. জেলে তার পারিতোষিকের অর্ধেক অর্থ কী করতে চেয়েছিল ?

উত্তরঃ রক্ষীরা ধীবরকে মারার আগে যে ফুলের মালা তার গলায় পরাতে চেয়েছিল, রাজার দেওয়া পারিতোষিকের অর্ধেক অর্থ সেই ফুলের দাম হিসেবে ধীবর দিতে চেয়েছিল।

২৭. ‘আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।’– বক্তা কোন কথা শোনাতে চেয়েছে ?

উত্তরঃ ধীবর বৃত্তান্ত নাট্যাংশে আলোচ্য উক্তিটির বক্তা ধীবর নগররক্ষীদের কাছে নিজের পরিচয় এবং কীভাবে সে রাজার আংটিটি পেয়েছে সে কথা শোনাতে চেয়েছে।

২৮. “প্রভু, অনুগৃহীত হলাম।” –কীভাবে বক্তা অনুগৃহীত হয়েছিল ?

উত্তরঃ মহারাজ আংটি ফিরে পেয়ে তার মুল্যের সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দেওয়ায় সে অনুগৃহীত হয়েছিল।

২৯. ধীবরের কথামতো বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ কখন নির্দয় হয়ে থাকেন ?

উত্তরঃ ধীবরের কথামতো বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।

৩০. ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ শুনে দ্বিতীয় রক্ষীর আচরণ কেমন ছিল ?

উত্তরঃ ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ শুনে দ্বিতীয় রক্ষী হিংসাভরা বক্রোক্তি করেছিল।

সংক্ষিপ্ত বা ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর | ধীবর বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Bengali Dhibar Britanta Question and Answer :

১. মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন।”— কোন্ সময়ে রাজার এমন বিহ্বল অবস্থা হয়েছিল ?

উত্তরঃ ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা রত্নখচিত আংটিটি পেয়ে রাজশ্যালক এবং রক্ষীরা ধীবরকেই চোর সাব্যস্ত করে এবং রাজশ্যালক পুরাে বিষয়টি রাজাকে জানানাের জন্য যায়। কিন্তু আংটি সম্পর্কে ধীবরের বলা কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রাজার কাছে গেলে ধীবরের সব কথা সত্য বলে প্রমাণিত হয়। আংটির দিকে তাকিয়ে রাজার কোনাে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে যাওয়ায় স্বভাবে গম্ভীর প্রকৃতির হলেও ওই মুহূর্তে তিনি বিহ্বল হয়ে পড়েন।

২. “যার চিন্তায় সে মগ্ন, সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন”- বক্তা কে ? তাঁর এমন উক্তির কারণ কী ?

উত্তরঃ আলোচ্য উক্তিটির বক্তা ঋষি দুর্বাসা।

আলোচ্য উক্তিটি ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। নাট্যাংশের পূর্বকথা থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাজা দুষ্মন্ত কণ্ব ঋষির আশ্রমে শকুন্তলাকে বিবাহ করেন এবং রাজধানীতে ফিরে যান। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও রাজা দুষ্মন্ত ফিরে আসেন না। একদিন শকুন্তলা স্বামীর দুশ্চিন্তায় মগ্ন ছিলেন, সেই সময় ঋষি দুর্বাসা, কণ্ব মুনির আশ্রমে উপস্থিত হন। যথাযথ আপ্যায়ন না পেয়ে অপমানিত ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলাকে অভিশাপ দেন যে, শকুন্তলা যার চিন্তায় মগ্ন, সেই ব্যাক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।

৩. “তবে কি তোকে সদ ব্রাহ্মন বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন ?”- বক্তা কে ? মন্তব্যটির কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ আলোচ্য মন্তব্যটি ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের অন্তর্গত প্রথম রক্ষী করেছেন।

নাট্যাংশে আমরা জানতে পারি যে, রাজার নাম খোদাই করা, মণিখচিত একটি দুর্মূল্য আংটি, একজন গরীব সাধারণ ব্যাক্তির কাছে দেখে নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজ-শ্যালক এবং দুই রক্ষী ঐ জনৈক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ব্যাক্তিটি বারংবার বলে যে সে ঐ আংটি চুরি করেনি। ব্যক্তির বক্তব্য শুনে, রাজ রক্ষীদের একজন ব্যঙ্গার্থে ব্যক্তিটিকে আলোচ্য মন্তব্যটি করেন।

৪. “সূচক এই জেলেকে ছেড়ে দাও।”- কে কথাটি বলেছেন ? জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন ?

উত্তরঃ ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের চরিত্র ‘রাজ-শ্যালক’, দুই রক্ষীর অন্যতম এক রক্ষী সূচক’কে এই কথা বলেছেন।

ধীবরের কাছে মহামূল্যবান আংটি দেখে নগররক্ষক ‘রাজ-শ্যালক’ ধীবরকে গ্রেফতার করেন। ঐ আংটির বিষয়ে জানার জন্য তিনি রাজার কাছে যান। ঋষি দুর্বাসার অভিশাপ অনুযায়ী, ‘নিদর্শন’ দেখে রাজার পূর্বকথা মনে পড়ে যায় এবং তিনি রাজশ্যালককে ঐ আংটির বিষয়ে বলেন এবং ধীবরকে পুরস্কৃত করার আদেশ দেন। রাজসভা থেকে ফিরে এসে ‘রাজ-শ্যালক’ ধীবরের কোন অপরাধ নেই তা বুঝে তাকে ছেড়ে দেবার নির্দেশ দেয়।

৫. “স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির হলেও মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন।” – রাজা তার গম্ভীর প্রকৃতি ছেড়ে কখন কেন মুহূর্তের জন্য বিহ্বল হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ আলোচ্য মন্তব্যটি ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে, রাজ-শ্যালক যখন রাজা দুষ্মন্তকে তাঁর আংটি দেখিয়েছিলেন তখন গম্ভীর প্রকৃতির রাজা কিছু মুহূর্তের জন্য বিহ্বলভাবে চেয়েছিলেন।

নাট্যাংশের পূর্বকথা থেকে আমরা জানতে পারি যে ঋষি দুর্বাসার অভিশাপে রাজা দুষ্মন্ত তাঁর বিবাহিত স্ত্রী শকুন্তলাকে ভুলে গিয়েছিলেন। ঋষির কথামত রাজার পূর্ব স্মৃতি মনে পড়ার একমাত্র উপায় ছিল পূর্বের কোন নিদর্শন দেখা। রাজা শকুন্তলাকে একটি আংটি দিয়েছিলেন, যা দেখানোর জন্য শকুন্তলা রাজার কাছে যান। কিন্তু পথে সেই আংটি হারিয়ে যায় এবং কালক্রমে ঐ আংটি ধীবরের কাছে পৌঁছায়। ধীবরের কাছ থেকে নিয়ে ঐ আংটিটি রাজ-শ্যালক রাজাকে দেখান, এর ফলে রাজার সকল পূর্ব স্মৃতি মনে পড়ে যায়, যার ফলে তিনি কিছু সময়ের জন্য বিহ্বল হয়েছিলেন।

৬. “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর” — ধীবরের আংটি পাওয়ার আগের কাহিনি নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ কালিদাসের ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশে মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে আশ্রমকন্যা শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি শকুন্তলার খোঁজ করেন না। একদিন ঋষি দুর্বাসা কণ্বের আশ্রমে এলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তা টের পান না। অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেন যে যার চিন্তায় শকুন্তলা মগ্ন হয়ে আছেন তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। সখী প্রিয়ংবদার অনুরোধে অবশ্য অভিশাপ কিছুটা লঘু করে দুর্বাসা বলেন যে শকুন্তলা যদি প্রিয়জনকে কোনো স্মৃতিচিহ্ন দেখাতে পারেন তাহলে অভিশাপ কার্যকর থাকবে না। শকুন্তলার কাছে থাকা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাই স্মৃতিচিহ্ন বলে সখীরা ভেবে নেন। মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফিরে শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু যাওয়ার সময়ে শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দিতে গিয়ে হাত থেকে আংটি খুলে জলে পড়ে যায়। ফলে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে আর চিনতে পারেন না। ওদিকে, এক ধীবর মাছ ধরতে গিয়ে একটা রুই মাছ ধরে এবং তার পেটে এই আংটিটি পায়।

৭. “তা তাের জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে ?

উত্তরঃ ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা মণিখচিত আংটিটি পেয়ে দুই রক্ষী তাকে চোর সাব্যস্ত করে। আত্মপক্ষ সমর্থনে ধীবর নিজের কথা বলতে চাইলেও রক্ষীরা তাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে । তখন রাজার শ্যালক তার কাছে পুরাে ঘটনাটি জানতে চাইলে ধীবর জানায় যে সে একজন জেলে, জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সে তার সংসার চালায়। ধীবরের এই জবাব শুনে ব্যঙ্গের সুরে রাজার শ্যালক ধীবরের উদ্দেশে উদ্দিষ্ট মন্তব্যটি করেন।

৮. “… তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখেছি”- বক্তা কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলেছেন ? ওই ব্যাক্তির প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

উত্তরঃ আলোচ্য মন্তব্যটি ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের অন্তর্গত, মন্তব্যটি রাজ-শ্যালক ধীবর সম্পর্কে করেছেন।

রাজ-শ্যালক ধীবরের জীবিকা নিয়ে ব্যঙ্গ করেছিলেন। সেই বক্ত্যব্যের বিরোধিতা করে ধীবর বলেছিলেন – “যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিৎ নয়। বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।” ধীবর তার বক্ত্যব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, তার জীবিকা নিম্নমানের হলেও তা দেখে ব্যাক্তি যাচাই করা উচিৎ নয়। কারণ, বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের তাঁর স্বভাবে দয়ালু হলেও যজ্ঞের সময় তিনি নির্দয় ভাবে পশুবধ করেন।

বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী | ধীবর বৃত্তান্ত (নাটক) কালিদাস – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Bengali Dhibar Britanta Question and Answer :

১. নাট্যকাহিনিতে উপস্থিত না থেকেও রাজা দুষ্মন্ত কীভাবে কাহিনিকে প্রভাবিত করেছেন তা আলােচনা করাে।

উত্তরঃ কালিদাসের ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে অনুপস্থিত থেকেও রাজা দুষ্মন্ত সমস্ত ঘটনাধারাকে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত করেছেন। আংটি পাওয়ার বিষয়ে ধীবরের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখতে রাজশ্যালক তা নিয়ে রাজবাড়িতে রাজার কাছে যান। বেশ কিছুটা সময় পরে তিনি রাজার আদেশ নিয়ে ফেরেন এবং রক্ষীদের জেলেটিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

রাজার পাঠানাে পুরস্কারও রাজশ্যালক জেলেটির হাতে তুলে দেন। এইভাবেই নাট্যাংশের পরিণতি লক্ষ করা যায়। চুরির অভিযােগে বন্দি জেলেটি বহু লাঞ্ছনা, অপবাদ ও বিদ্রুপ সহ্য করার পর এভাবেই মুক্তি পায় ও রাজার কাছে পুরস্কৃত হয়। স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির রাজাকে রাজশ্যালক আংটিটা দেখালে তিনি মুহুর্তের জন্য বিহ্বল হয়ে পড়েন। সেই ঘটনার উল্লেখ করে নাট্যকাহিনিতে সুকৌশলে তার ফেলে আসা দিনগুলির চকিত আভাস দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের কাহিনি ‘অভিজ্ঞানস্বরূপ আংটিটির হারিয়ে যাওয়া ও সেটির ফিরে পাওয়াকে কেন্দ্র করে রচিত। ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশটিতে রাজা চরিত্রটি সরাসরি উপস্থিত নন। কিন্তু অভিযুক্ত জেলেটিকে সুবিচার দেওয়া ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে তিনি উপস্থিত না থেকেও নাট্যকাহিনিতে নিজের প্রভাব ও গৌরব বজায় রেখেছেন।

২. ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের চরিত্রের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখাে।

উত্তরঃ উক্তিটির বক্তা হলেন আমাদের পাঠ্য মহাকবি কালিদাসের (অনুদিত) নাট্যাংশের কেন্দ্রীয় চরিত্র ধীবর।

ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশের কাহিনী ধীবরকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। একজন সাধারণ দীন ধীবরের মধ্যে যে সততা, স্পষ্টবাদিতা, নিজের পেশার প্রতি শ্রদ্ধা, শাস্ত্র জ্ঞান, পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সর্বোপরি কৃতজ্ঞতা ও উদার মনের পরিচয় পাওয়া যায় তা এককথায় অনবদ্য।

সততা ও স্পষ্টবাদিতাঃ নাটকের শুরু থেকেই ধীবরের মধ্যে সততা ও স্পষ্টবাদিতা লক্ষ্য করা যায়। আংটি চুরির অপবাদে অভিযুক্ত হয়ে প্রথম থেকেই সে সত্য কথা বলতে চাইলেও রক্ষীরা তার কথায় কর্ণপাত করেনি। উপরন্তু তাকে বারবার বাটপাড়, গাঁটকাটা ইত্যাদি ইতর শব্দ শুনতে হয়েছে। আংটি পাবার কথা অকপটে স্বীকার করে বলেছে– “এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন।”

শাস্ত্র জ্ঞান ও পেশার প্রতি শ্রদ্ধাঃ রাজশ্যালক তার পেশা ও জাত নিয়ে কটুক্তি করলে সে বলেছে– ‘যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে সেই বৃত্তি নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।’ এখানে ধীবরের শাস্ত্রজ্ঞান ও পেশার প্রতি শ্রদ্ধা লক্ষ্য করা যায়।

পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতাঃ রাজদরবার থেকে ছাড়া পেয়ে তার উক্তি– “প্রভু, আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে ?” এ থেকে তার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা লক্ষ্য করা যায়।

কৃতজ্ঞতা ও উদার মানসিকতাঃ পারিতোষিক পেয়ে যেভাবে বিদ্রূপকারী রাজশ্যালককে প্রণাম করে ও অপর দুইজন রক্ষীকে তার অর্ধেক দান করেছে তাতে তার কৃতজ্ঞ ও উদারচিত্তের পরিচয় মেলে।

৩. ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে তা লেখো।

উত্তরঃ মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে দেখা যায় যে, ধীবরের কাছ থেকে রাজা দুষ্মন্তের নাম খোদাই করা আংটি পাওয়া গেছে। এজন্য রক্ষীরা ধীবরকে চোর ভেবে ধরে নিয়ে রাজার কাছে গেছে। এই সময় তারা ধীবরকে চোর ভেবে নানান অকথা কুকথা বলে গালিগালাজ করে। তারা ধীবরকে ‘গোসাপ খাওয়া জেলে’ বলেছে। এর গায়ে থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেকে ছোটলোক, বদ, বাটপাড়, চোর বলে অপবাদ দিয়েছে।

দুই রক্ষীর কথোপকথন থেকে তৎকালীন সামাজিক অবস্থার কিছু ছবি এখানে ফুটে উঠেছে। সমাজে জাতপাতের বিভেদ, অর্থনৈতিক বিভেদের ছবি বেশ প্রকট ছিল। জেলেরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোক বলে তারা এদের দ্বারা নিপীড়িত হত — সে ছবি বেশ স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। দুই রক্ষীর কথাবার্তা থেকে বোঝা যায় যে, উচ্চবর্ণের মানুষ নিম্নবর্ণের উপর সর্বদা অবজ্ঞা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত এবং বিনা কারণে তাদের উপর উৎপীড়ন চালাত। তবে নগররক্ষক রাজশ্যালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি কিন্তু ধীবরের কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এবং রাজার আদেশের জন্য অপেক্ষা করেছেন। রাজ আদেশ পাওয়া মাত্র ধীবরকে একজন বন্ধু বলে স্বীকার করে নিয়েছেন।

৪. “এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন”— বক্তা কে ? উক্তির প্রেক্ষাপটে বক্তার চরিত্র আলােচনা করাে।

উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটির বক্তা ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের অন্যতম চরিত্র ধীবর৷

ধীবরের কাছে মণিখচিত ও রাজার নাম খােদাই করা আংটিটি দেখে রাজশ্যালক এবং দুই রক্ষী তাকে চোর বলে সাব্যস্ত করে। ধীবর চুরির দায় অস্বীকার করায় তারা তার জাতি পরিচয় নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে।

ধীবর তখন নিজের পেশাগত পরিচয় দেয়। যদিও তার জন্য তাকে অনেক তির্যক ব্যঙ্গ শুনতে হয়। তখনই এই ধরনের কথার বিরােধিতা করে ধীবর জানায় যে একটি রুইমাছকে টুকরাে করে কাটার সময়ে তার পেটের ভিতরে সে আংটিটি পেয়েছে। পরে সে তা বিক্রি করার সময় তাকে ধরা হয়েছে।

এই কথাগুলি বলার পরই ধীবর প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিল, যা প্রমাণ করে সে সৎ, স্পষ্টবাদী, আত্মবিশ্বাসী এবং একই সঙ্গে নম্র, ভদ্রও। সে রুক্ষভাবে, কর্কশ স্বরে তার বিরুদ্ধে ওঠা অনৈতিক অভিযােগের জবাব দেয়নি৷ বদলে বিনীতভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

৫. “এই তাে আমাদের প্রভু, মহারাজের হুকুমনামা হাতে নিয়ে এদিকে আসছেন।”– ‘আমাদের প্রভু’ বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে ? মহারাজের হুকুম শেষপর্যন্ত কীভাবে বক্তাকে হতাশ করে তা লেখাে। ১+৪

উত্তরঃ কালিদাসের ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ‘আমাদের প্রভু বলতে দ্বিতীয় রক্ষী নগররক্ষার দায়িত্বে থাকা রাজার শ্যালকের কথা বলেছে। রক্ষীরা আংটি চুরির অপরাধে ধীবরকে ধরে নিয়ে আসে এবং রাজার আদেশে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য মহা উৎসাহে অপেক্ষা করতে থাকে। রাজশ্যালক রাজার কাছে গিয়েছিলেন আংটি পাওয়ার ঘটনা সবিস্তারে জানাতে তাই রক্ষীরা অপেক্ষা করছিল ধীবরকে শকুনি দিয়ে খাওয়ানাে হবে কি কুকুর দিয়ে খাওয়ানাে হবে, সেই নির্দেশ পাওয়ার জন্য। কিন্তু রক্ষীদের অপেক্ষা শেষপর্যন্ত হতাশায় পরিণত হয়। কারণ, রাজার কাছ থেকে ঘুরে এসে রাজশ্যালক জানান যে আংটি পাওয়ার বিষয়ে ধীবর যা যা বলেছে তা সবই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ফলে রাজা ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মহারাজ খুশি হয়ে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দিয়েছেন বলেও শ্যালক জানান। এভাবেই মহারাজের হুকুম বক্তাকে অত্যন্ত হতাশ করেছিল।

৬. আংটি পাওয়ার পরে ধীবরের যে যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ কালিদাসের ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশে ধীবরের কাছে রাজার নাম খোদাই করা মণিখচিত আংটি দেখে নগররক্ষায় নিযুক্ত রাজার শ্যালক এবং দুজন রক্ষী পিছনে হাত বেঁধে তাকে ধরে নিয়ে আসেন। ধীবর আংটি চুরি করেনি জানালেও তাঁরা তা বিশ্বাস করেন না। প্রথম রক্ষী বিদ্রুপ করে জানতে চায়, তাকে সদ্ ব্রাহ্মণ মনে করে রাজা আংটিটা দান করেছেন কি না। ধীবর এইসময় রক্ষীদের তীব্র ব্যঙ্গবিদ্রুপের মুখে পড়ে। সে জাল, বড়শি ইত্যাদি দিয়ে মাছ ধরার কথা বললে তা নিয়েও তাকে ব্যঙ্গ শুনতে হয়। ধীবর এর প্রতিবাদ জানায়। সে রুইমাছ কাটার সময়ে মাছের পেটে আংটি পাওয়ার কথা বলে। রাজশ্যালক ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে রাজার কাছে যান। রক্ষীরা চোর ধরা পড়ার শাস্তিস্বরূপ ধীবরকে হত্যার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে পড়ে। কিন্তু শ্যালক ফিরে এসে জানান যে, ধীবর সবই সত্য কথা বলেছে এবং সে কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, রাজা খুশি হয়ে ধীবরকে আংটির সমমূল্যের অর্থ দিয়েছেন বলেও তিনি জানান। ফলে দিনের কাজ বন্ধ হলেও ধীবরের ক্ষতি পুষিয়ে যায়। এভাবে আংটিকে কেন্দ্র করে নানান ঘাত-প্রতিঘাতের শিকার হয় ধীবর।

৭. সখীরা মনে করলেন সেই আংটিই হবে ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন”- এখানে কোন্ আংটির কথা বলা হয়েছে ? আংটিটি কীভাবে খােয়া গিয়েছিল ?

উত্তরঃ ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের উল্লিখিত অংশে দুষ্মন্ত রাজধানীর উদ্দেশে যাওয়ার সময়ে বিদায় মুহূর্তে শকুন্তলাকে যে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন সেই আংটির কথা বলা হয়েছে। শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার পরে দীর্ঘকাল শকুন্তলার খোঁজ নিতে কোনাে দূত আসে না। এইসময় ঋষি দুর্বাসা তপােবনে এলে স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্কা শকুন্তলা তা টের পান না। অপমানিত দুর্বাসা অভিশাপ দেন যে যার চিন্তায় শকুন্তলা মগ্ন সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। শেষ অবধি শকুন্তলার সখীদের অনুরােধে দুর্বাসা বলেন যে, কোনাে নিদর্শন দেখাতে পারলে তবেই শাপের প্রভাব দূর হবে৷ সখীরা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাকেই এই স্মারকচিহ্ন বলে ধরে নেয়। মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফিরে যখন শকুন্তলাকে স্বামীর ঘরে পাঠানাের আয়ােজন করেন তখন আংটিটাই হয় শকুন্তলার সম্বল। কিন্তু পথে শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দেবার সময়ে শকুন্তলার হাত থেকে খুলে আংটিটি জলে পড়ে যায়।
এইভাবেই আংটিটি খােয়া যায়।

৮. “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর,”– কার আংটি সে পেয়েছিল ? আংটি হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ইতিহাসটি আছে তা লেখাে।

উত্তরঃ ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরটি যে আংটিটি পেয়েছিল তা ছিল রাজা দুষ্মন্তের।

কালিদাসের ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশে ধীবরের আংটি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এক দীর্ঘ কাহিনি রয়েছে। মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে আশ্রমকন্যা শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে যান। তারপরে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি শকুন্তলার খোঁজ করেন না। একদিন ঋষি দুর্বাসা আশ্রমে এলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তার উপস্থিতি টেরই পান না। অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেন যে যাঁর চিতায় শকুন্তলা মগ্ন হয়ে আছেন তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। পরে সখী প্রিয়ংবদার অনুরােধে অভিশাপ কিছুটা লঘু করে দুর্বাসা বলেন যে, শকুন্তলা যদি প্রিয়জনকে কোনাে স্মৃতিচিহ্ন দেখাতে পারেন তাহলে তিনি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন। শকুন্তলার কাছে থাকা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাই স্মৃতিচিহ্ন বলে সখীরা ভেবে নেন। মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফিরে শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানাের উদ্যোগ নেন। কিন্তু যাওয়ার সময়ে শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দিতে গিয়ে শকুন্তলার হাত থেকে আংটিটি খুলে জলে পড়ে যায়। ফলে দুমন্ত শকুন্তলাকে আর চিনতে পারেন না। ওদিকে, এক ধীবর মাছ ধরতে গিয়ে একটা রুই মাছ ধরে এবং তার পেট থেকে এই আংটিটি পায়।

৯. “যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে ? এখানে বক্তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে তা আলােলা করাে।

উত্তরঃ কালিদাসের ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশে বন্দি ধীবর রাজার শ্যালক এবং রক্ষীদের জানিয়েছিল যে সে জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সংসার চালায়। তখন রাজার শ্যালক তার জীবিকা খুবই পবিত্র বলে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করতে থাকে। এই বিদ্রুপের পরিপ্রেক্ষিতেই ধীবর (পুরুষ) রাজার শ্যালককে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছে।

ধীবর তার এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রবল আত্মসম্মানবােধেরই পরিচয় দিয়েছে। তার পেশা নিয়ে রাজশ্যালক ব্যঙ্গ করলে ধীবর তার তীব্র প্রতিবাদ করে। সে এরকম কথা বলতে রাজশ্যালককে নিষেধ করে এবং আরও বলে মানুষ যে বৃত্তি নিয়ে জন্মেছে তা নিন্দনীয় হলেও কখনও পরিত্যাগ করা উচিত নয়। বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের উদাহরণ দিয়ে সে বলে যে ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞের পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনাে পেশাই সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার হতে পারে না, সেটির কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এভাবেই সে নিজের পেশাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

১০. রাজার কাছে ধীবরের পাওয়া আংটিটির গুরুত্ব যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।

উত্তরঃ ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশটিতে শক্রাবতারবাসী এক ধীবর কীভাবে রাজার নাম খােদাই করা মণিমুক্তাখচিত একটি আংটি বিক্রি করার সময় ধরা পড়ল এবং কীভাবেই বা মুক্তি পেল, সেই বৃত্তান্ত রয়েছে। মহর্ষি কণ্বের তপােবনে শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজধানীতে ফেরার সময় রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে একটি আংটি উপহার দেন। দীর্ঘদিন রাজধানী থেকে কেউ শকুন্তলার খোঁজ না নেওয়ায় অস্থির শকুন্তলা দুষ্মন্তের চিন্তায় আনমনা হয়ে পড়েন। এমনই সময় মহর্ষির আশ্রমে ঋষি দুর্বাসার আগমন ঘটলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তার উপস্থিতি খেয়াল করেন না। এই ঘটনায় অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেন, যাঁর চিন্তায় তিনি মগ্ন, সেই ব্যক্তি তাকে ভুলে যাবেন।

শকুন্তলার প্রিয়সখী প্রিয়ংবদার অনুরােধে ঋষি জানান, কোনাে নিদর্শন দেখাতে পারলে তবেই এই শাপের প্রভাব দূর হবে। একদিন এক ধীবরের কাছ থেকে শকুন্তলাকে দেওয়া রাজার আংটিটি উদ্ধার হয় এবং রাজশ্যালক সেটি রাজার কাছে নিয়ে এলে সেই শাপের প্রভাব দূর হয়। রাজার সমস্ত ঘটনা মনে পড়ে যাওয়ার তিনি শকুন্তলার চিন্তায় বিহ্বল হয়ে পড়েন। তার যে কোনাে প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে, রাজশ্যালকও তা বুঝতে পারেন৷ স্মৃতি ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত রাজা ধীবরকে আংটির সমান দামের অর্থ পুরস্কার হিসেবে দান করেন। রাজার কাছে আংটিটির গুরুত্ব যে কতটা– তা এভাবেই নাট্যদৃশ্যে প্রতিফলিত হয়েছে৷

Leave a Reply