ডাকাতের মা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর MCQ, SAQ | Dakater Ma Golper Question Answer [WBCHSE]

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

ডাকাতের মা

                    —সতীনাথ ভাদুড়ী
লেখক পরিচয়ঃ বাংলা সাহিত্যের একজন প্রথিতযশা (১৯০৬- ১৯৬৫)। সাহিত্যিক ছিলেন সতীনাথ ভাদুড়ি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল ‘জাগরী’ (১৯৪৫), ‘চিত্রগুপ্তের ফাইল’ (১৯৪৯), ‘ঢোঁড়াইচরিত মানস’ (১৯৪৯) ইত্যাদি। ১৯৫০ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া শুরু হলে তিনি প্রথম এই পুরস্কারে সম্মানিত হন।
উৎসঃ আমাদের পাঠ্য ডাকাতের মা’ গল্পটি লেখকের গল্পসংকলন ‘চকাচকী’ থেকে
নেওয়া হয়েছে।
বিষয় সংক্ষেপঃ সতীনাথ ভাদুড়ির একটি অনবদ্য ছোটোগল্প হল ‘ডাকাতের মা’। এখানে আলোচ্য গল্পের নির্যাসটুকু তুলে ধরা হল। এই গল্পে ডাকাতের নাম সৌখী। ডাকাতির দায়ে সে এখন জেলে। শীতকালের রাত। বাড়িতে একা সৌখির মা অর্থাৎ ডাকাতের মা ৷ বিছানায় শুয়েও বুড়ির চোখে ঘুম নেই। অনেক কথা তার মাথায় ভিড় করেছে। তার ছেলে ডাকাত দলের সর্দার অথচ সে জেলে যাবার পর দলের লোক বাড়িতে পয়সা দিয়ে যায়নি। প্রায় পাঁচ বছর আগে যখন সে জেলে যায় তারপরই সৌখির একটি ছেলে হয়েছে। অভাবের দায়ে সৌখির বৌ-ছেলে এখন বৌয়ের বাপেরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এইসব নিয়ে বুড়ি যখন চিন্তা করছিল তখন দরজায় টোকা মারার শব্দ হল। দলের লোক নাকি পুলিশ- এই ভাবনা নিয়ে যখন সে দরজা খুলল, চমকে গিয়ে দেখল যে তার ছেলে সৌখি। সাজার মেয়াদ শেষ হবার আগেই সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। ছেলেকে পেয়ে বুড়ি আনন্দে আত্মহারা।
এরপর সৌখি জানতে চায় তার বৌ-ছেলে কোথায়। সৌখির মা বলে যে বউ বাপের বাড়ি গেছে। কিন্তু একথা গোপন করে যায় যে তার দলের লোকেরা টাকা দিয়ে যায়নি বলে অভাবের দায়ে তারা যেতে বাধ্য হয়েছে। সৌখি মনে মনে ঠিক করে ফেলে পরদিন গিয়ে তাদের নিয়ে আসবে। মায়ের ব্যাবসার চালভাজা খেয়ে সৌখি বিছানায় শুয়ে পড়ে। কিন্তু বুড়ির এবার অন্য চিন্তা শুরু হয়।
সৌখির মা ভাবতে থাকে তার ছেলে জেল থেকে এসেছে তাই এখন তার হাতে পয়সা নেই। সকালে উঠে যদি সৌখি ভাত খাবো বলে তো কীকরে খাওয়াবে। অনেক ভাবনার পর সে সমাধানের পথ খুঁজে পায় ৷ রাত থাকতে বেরিয়ে পড়ে চুরি করার উদ্দেশ্যে। মাতাদিন পেশকারের বাড়ির প্রাচীর টপকে একটি জলভর্তি লোটা (ঘটি) হাতিয়ে এনে বাজারে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে সৌখির মা আলুচচ্চড়ি-ভাত রাঁধতে শুরু করে।
এদিকে পেশকারও ছাড়বার পাত্র নয়৷ বাজারে গিয়ে সে নিজের লোটার সন্ধান পায়। পুলিশ ও দোকানদারকে নিয়ে হাজির হয় সৌখির বাড়ি। সৌখি তখনো বিছানায়। মায়ের সব কাণ্ডকারখানা সে কিছুই জানে না। পুলিশ দেখে সৌখির মায়ের বুক কেঁপে ওঠে। পুলিশ তাকে হেনস্থা করতে থাকে। সৌখি আর সহ্য করতে না পেরে সামনে আসে আর বলে যে সে লোটা চুরি করেছে- তার মা নয়।
ছেলেকে ভালোবেসে রান্না করে খাওয়াবো ভেবেছিল কিন্তু নিজের অজান্তে সে ছেলের ক্ষতি করে ফেলল। যাইহোক, পুলিশ সৌখিকে নিয়ে গেল। কিন্তু ভাগ্যের এমন পরিহাস যে সৌখির মা মাত্র চোদ্দ আনা পয়সার জন্য এত কাণ্ড করে ফেলল কিন্তু সৌখির কাছেই ছিল নগদ ৯০ টাকা! যাবার আগে সৌখি মায়ের হাতে তুলে দিল তার রোজগারের সেই টাকাটা।
• MCQ প্রশ্ন ও উত্তর।
• ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
১. দোকানদার নগদ কত দামে সৌখীর মায়ের কাছ থেকে পেশকারের ঘটিটি কিনেছে ?
(ক) চোদ্দো আনায় (খ) বারো আনায়
(গ) দশ আনায় (ঘ) ষোলে আনায়
উত্তরঃ (ক) চোদ্দো আনায়
২. দারোগার সঙ্গে যাবার সময় খাটিয়ার উপর সৌখী কী রেখে গেল ?
(ক) তার ছেলের জন্য আনা খেলনা
(খ) তার গায়ের পুরনো কম্বল
(গ) তার বউয়ের জন্য আনা শাড়ি
(ঘ) কোমর থেকে বার করা বটুয়া
উত্তরঃ (ঘ) কোমর থেকে বার করা বটুয়া।
৩. ডাকাতের মায়ের ছেলের নাম কী ?
(ক) সৌখী (খ) মহিম (গ) সাদিয়া (ঘ) করিম
উত্তরঃ (ক) সৌখী
৪. জেলে থাকাকালীন সৌখীর ডিউটি ছিল—
(ক) গুদামে (খ) রান্নাঘরে (গ) বাগানে
(ঘ) খামারে
উত্তরঃ (খ) রান্নাঘরে
৫. “পুলিশ দেখে ভয় পাওয়ার লোক সে নয়।”- এখানে যার কথা বলা হয়েছে—
(ক) সৌখীর মা (খ) সৌখীর বউ
(গ) সৌখী (ঘ) সৌখীর বাবা
উত্তরঃ (ক) সৌখীর মা
৬. “এর আগেরবার সৌখী জেল থেকে এনেছিল” –
(ক) একটি থালা (খ) একটি জামা
(গ) একটি কম্বল (ঘ) একটি চাদর
উত্তরঃ (গ) একটি কম্বল
৭. জেলের ঠিকাদারের কাছ থেকে সৌখী রোজগার করে এনেছিল –
(ক) নব্বই টাকা (খ) পঁচাত্তর টাকা
(গ) পঁচাশি টাকা (ঘ) সত্তর টাকা
উত্তরঃ (ক) নব্বই টাকা
৮. সৌখীর মা কার বাড়ি থেকে চুরি করেছিল ?
(ক) পেশকার সাহেবের বাড়ি
(খ) ধনীর বাড়ি (গ) দত্তবাড়ি
(ঘ) রাজমিস্ত্রির বাড়ি
উত্তরঃ (ক) পেশকার সাহেবের বাড়ি
৯. সৌখী টাকা কোথায় রেখেছিল ?
(ক) মানিব্যাগে (খ) কোমরের বটুয়ায়
(গ) মায়ের কাছে (ঘ) কোনোটাতেই নয়
উত্তরঃ (খ) কোমরের বটুয়ায়
১০. সৌখীদের বাড়ির বাইরে কোন ফলের
গাছ ছিল ?
(ক) আম (খ) পেয়ারা (গ) লেবু (ঘ) নোনা আতা
উত্তরঃ (ঘ) নোনা আতা।
১১. “লোটা হলো বাড়ির লক্ষী” – বক্তা কে ?
(ক) পেশকারের স্ত্রী (খ) দারোগা সহ্যের
(গ) সৌখির মা (ঘ) মাতাদিন পেশকার
উত্তরঃ (ক) পেশকারের স্ত্রী।
১২. সৌখীর মায়ের বেয়াই এর কয়টি মোষ
ছিল ?
(ক) একটি (খ) দুটি (গ) তিনটি (ঘ) চারটি
উত্তরঃ (খ) দুটি।
১৩. সৌখী কাকে ঘুষ দিয়েছিল ?
(ক) জেলার সাহেবকে (খ) লাট সাহেবকে
(গ) চৌকিদারকে (ঘ) হেড জমাদার সাহেবকে
উত্তরঃ (ঘ) হেড জমাদার সাহেবকে।
১৪. সৌখীর মা কী বিক্রি করে জীবন
কাটায় ?
(ক) দই (খ) কড়াই (গ) খই মুড়ি (ঘ) ধান
উত্তরঃ (গ) খই মুড়ি।
১৫. দলের লোকেরা কয় বছর সৌখীর মাকে টাকা পাঠিয়েছিল ?
(ক) এক বছর (খ) দুই বছর (গ) তিন বছর
(ঘ) চার বছর
উত্তরঃ (খ) দুই বছর।
১৬. “চোরাই মাল জেনেই কিনেছিস” – বক্তা
কে ?
(ক) সৌখির মা (খ) মাতাদিন পেশকার
(গ) দারোগা (ঘ) দোকানদার
উত্তরঃ(খ) মাতাদিন পেশকার।
১৭. “ওকে ছেড়ে দিন দারোগা সাহেব”- বক্তা
কে ?
(ক) সৌখি (খ) সৌখির মা (গ) সৌখির বাবা
(ঘ) সৌখির বৌ
উত্তরঃ(খ) সৌখির মা।
১৮. “বুকের মধ্যে ধড়াস ধড়াস করছে –
উক্তিটি কার ?
(ক) পেশকার সাহেবের (খ) সৌখির মায়ের
(গ) সৌখির (ঘ) সৌখির বৌয়ের
উত্তরঃ(খ) সৌখির মায়ের।
১৯. হাতি পাকে পড়লে কে লাথি মারে ?
(ক) সাপ (খ) টিকটিকি (গ) ব্যাং (ঘ) মানুষ
উত্তরঃ (গ) ব্যাং।
২০. “ঘুম আর আসতে চায়না”-এখানে
কার কথা বলা হয়েছে ?
(ক) সৌখির (খ) সৌখির মায়ের
(গ) সৌখির বাবার (ঘ) সৌখির বৌয়ের
উত্তরঃ (খ) সৌখির মায়ের।
২১. টকটক করে টোকার শব্দ থেমে থেমে
তিনবার হলে বুঝতে হবে কে এসেছে ?
(ক) সৌখী নিজে এসেছে
(খ) সৌখীর বাপ এসেছে
(গ) দলের লোক টাকা দিতে
(ঘ) পুলিশের লোক এসেছে
উত্তরঃ (ঘ) পুলিশের লোক এসেছে।
২২. “ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে
চলে না”- কেন ?
(ক) ছেলে ডাকাতি করে রাতে ফিরে
(খ) দরজায় সামান্য আওয়াজে যাতে ঘুম
ভেঙে যায়
(গ) পুলিশ এলে যাতে সতর্ক হওয়া যায়
(ঘ) উপরের সবগুলো ঠিক
উত্তরঃ(ঘ) উপরের সবগুলো ঠিক।
২৩. কে জেল দেখতে গিয়েছিলেন ?
(ক) বড় সাহেব (খ) লাট সাহেব (গ) বড়বাবু
(ঘ) ছোটবাবু
উত্তরঃ(খ) লাট সাহেব।
২৪. কাছারির ঘড়িতে কটা বাজে ?
(ক) রাত তিনটে (খ) রাত দুটো
(গ) রাত একটা (ঘ) রাত চারটা
উত্তরঃ (খ) রাত দুটো।
২৫. সৌখির ক’বছর হল জেলে গিয়েছে ?
(ক) সাত বছর (খ) ছয় বছর (গ) পাঁচ বছর
(ঘ) চার বছর
উত্তরঃ(গ) পাঁচ বছর।
২৬. সৌখীর ছেলের বয়স কত ?
(ক) চার-পাঁচ বছর (খ) সাত-আট বছর
(গ) দশ-এগারো বছর (ঘ) দুই-তিন বছর
উত্তরঃ(ক) চার-পাঁচ বছর।
২৭. সৌখির মা আগে ছিল—
(ক) ডাকাতের বউ (খ) ডাকাতের মা
(গ) ডাকাতের ছেলে (ঘ) ডাকাত
উত্তরঃ(ক) ডাকাতের বউ।
২৮. সৌখী টাকা কোথায় রেখেছিল ?
(ক) মানিব্যাগে (খ) কোমরের বটুয়ায়
(গ) মায়ের কাছে (ঘ) কোনোটাতেই নয়
উত্তরঃ(খ) কোমরের বটুয়ায়।
২৯. জেলে থাকাকালীন সৌখীর ডিউটি
ছিল—
(ক) গুদামে (খ) রান্নাঘরে (গ) বাগানে
(ঘ) খামারে
উত্তরঃ(ক) গুদামে।
৩০. ‘দারোগাসাহেব, মেয়ে মানুষকে নিয়ে টানাটানি করছেন কেন ?’ এই উক্তিটি কার ?
(ক) সৌখির (খ) পেশকারের
(গ) দোকানদারের (ঘ) পাড়ার লোকের
উত্তরঃ (ক) সৌখির
৩১. বুড়ি কার পায়ের ওপর মাথা কুটছে ?
(ক) পেশকারবাবুর (খ) দারোগাবাবুর
(গ) কেরানিবাবুর (ঘ) উকিলবাবুর
উত্তরঃ (খ) দারোগাবাবুর
৩২. ‘সেইজন্য হুলস্থূল পড়ে গেল তাঁর বাড়িতে’– কোন সময় ?
(ক) সকালবেলায় (খ) মাঝরাতে
(গ) বিকেলবেলায় (ঘ) দুপুরবেলায়
উত্তরঃ (ক) সকালবেলায়
৩৩. ‘মেয়ে-মানুষের আর কত আক্কেল হবে।’– এ চিন্তা কার ?
(ক) দোকানদারের (খ) দারোগার
(গ) সৌখির (ঘ) ডাকাত দলের সর্দারের
উত্তরঃ (গ) সৌখির
৩৪. ‘হায় রে কপাল’ উক্তিটি কে করেছে ?
(ক) সৌখির বাবা (খ) সৌখি (গ) সৌখির মা
(ঘ) সৌখির বউ
উত্তরঃ (গ) সৌখির মা
৩৫. ‘ডাকাতের মা’ গল্পে কাছারির ঘড়িতে বেজেছিল ?
(ক) চারটে (খ) পাঁচটা (গ) দুটো (ঘ) তিনটা
উত্তরঃ (গ) দুটো 
৩৬. ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখির সাজা কমেছিল ?
(ক) এক বছর (খ) দেড় বছর
(গ) আড়াই বছর (ঘ) দু বছর
উত্তরঃ (ক) এক বছর
৩৭. ‘এ আনন্দ তার রাখবার জায়গা নেই।’— আনন্দের কারণ হল ?
(ক) ছেলে এতদিন পর জেল থেকে ফেরার পরও তার সঙ্গে খুনশুরি করছে
(খ) ছেলে জেলে ভালো ব্যাবহার করে ছাড়া পেয়ে মার কাছে এসেছে
(গ) ছেলে জেল থেকে লুকিয়ে বাড়ি ফিরেছে
(ঘ) ছেলে এতদিন জেলে থাকার পর বাড়ি ফিরেছে
উত্তরঃ (ক) ছেলে এতদিন পর জেল থেকে ফেরার পরও তার সঙ্গে খুনশুরি করছে
৩৮. ‘পুলিশ দেখে ভয় পাবার লোক এসে নয়’ কিন্তু ?
(ক) আজকার ঘটনা আলাদা
(খ) আজকার ব্যাপার সাপার সম্পূর্ণ পৃথক
(গ) আজ ঘটেছে অন্য ঘটনা
(ঘ) আজ যে ব্যাপার অন্য
উত্তরঃ (ঘ) আজ যে ব্যাপার অন্য
৩৯. কতবার পুলিশ এসেছে, কখনও সৌখির মার মাথা হেঁট হয়নি, কারণ ?
(ক) সে জানে তাঁর স্বামী পুত্র ছিঁচকে চোর নয়
(খ) সে জানে ডাকাতি করা তার স্বামী পুত্রের হকের পেশা
(গ) সে জানে তাঁর স্বামী পুত্র ছোটো কাজ করে না
(ঘ) সে মনে করে ডাকাতি করা মস্ত বীরের কাজ
উত্তরঃ (খ) সে জানে ডাকাতি করা তার স্বামী পুত্রের হকের পেশা 
৪০. সৌখির মা ছেলের দিকে শুধু একবার তাকিয়ে মাথা হেঁট করে রইল, কারণ ?
(ক) সে ডাকাতের মায়ের উপযুক্ত কাজ করেনি
(খ) সে ডাকাত ছেলের মুখে চুনকালি দিয়েছে
(গ) সে ছিঁচকে চোরের কাজ করেছে
(ঘ) স্বামী পুত্রের হকের পেশার দুর্নাম করেছে
উত্তরঃ (গ) সে ছিঁচকে চোরের কাজ করেছে
৪১. ‘ডাকাতের মা’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?
(ক) অপরিচিতা (খ) জাগরী (গ) চকাচকি
(ঘ) সংকট
উত্তরঃ (গ) চকাচকি
৪২. ‘ডাকাতের মা’ কি ধরনের গল্প ?
(ক) গল্প (খ) ছোটোগল্প (গ) বড়ো গল্প
(ঘ) অণুগল্প
উত্তরঃ (খ) ছোটোগল্প
৪৩. ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখির ছেলের বয়স ?
(ক) তিন-চার বছর (খ) চার-পাঁচ বছর
(গ) সাত-আট বছর (ঘ) ছয়-সাত বছর
উত্তরঃ (খ) চার-পাঁচ বছর
৪৪. ‘ডাকাতের মা’ গল্পে যে ঋতুর উল্লেখ পাওয়া যায় সেটি ?
(ক) গ্রীষ্মকাল (খ) শরৎকাল (গ) শীতকাল
(ঘ) বসন্তকাল
উত্তরঃ (গ) শীতকাল
৪৫. ‘ডাকাতের মায়েরও গা ছমছম করে।’ কারণ ?
(ক) সম্মুখে এক লম্বা চওড়া লোককে দেখে
(খ) সম্মুখে এক ভূতের মতন কিম্ভুত লোককে দেখে
(গ) সম্মুখে পুলিশের এক লোককে দেখে
(ঘ) সম্মুখে এক তাগড়াই চেহারার লোককে দেখে
উত্তরঃ (ক) সম্মুখে এক লম্বা চওড়া লোককে দেখে
৪৬. ‘বুড়ি বিছানা থেকে উঠে পা টিপে টিপে বেরুল ঘর থেকে’ এখানে ‘বুড়ি’ বলতে কে ?
(ক) সৌখির শাশুড়ি মা
(খ) সৌখির দিদা
(গ) সৌখির মা
(ঘ) সৌখির ঠাকুরমা
উত্তরঃ (গ) সৌখির মা
৪৭. ‘উনোনে চড়ানো আলুর তরকারির পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।’– কোথায় ?
(ক) সারা ঘরময়
(খ) সারা পাড়ায়
(গ) সারা বারান্দায়
(ঘ) সারা রান্নাঘরে
উত্তরঃ (খ) সারা পাড়ায়
৪৮. মাত্র দু মাস তিন মাসের সাজা হয় কাদের ?
(ক) কদুচোরদের
(খ) কুমড়ো চোরদের
(গ) পটোল চোরদের
(ঘ) বেগুন চোরদের
উত্তরঃ (ক) কদুচোরদের 
৪৯. ‘দেখিয়ে দেব পাড়ার লোকদের’ – সৌখির মা কি দেখিয়ে দেবে
(ক) তাঁর নাতি ফেলনা নয়
(খ) তাঁর নাতি কাঙাল নয়
(গ) তাঁর নাতি হালঘরের ছেলে নয়
(ঘ) তাঁর নাতি পথের ভিখারী নয়
উত্তরঃ (ঘ) তাঁর নাতি পথের ভিখারী নয়
৫০. একবার সৌখি ‘কি মারই মেরেছিল মাকে’ কারণ ?
(ক) ঘুমে নিঃসাড় হয়ে পড়েছিল বলে
(খ) ডাকাডাকি করেও ঘুম ভাঙেনি বলে
(গ) রাত দুপুরে বাড়ি ফিরে এসে টোকার সাড়া না পেয়ে
(ঘ) রাতে সজাগ ছিল না বলে
উত্তরঃ (ঘ) রাতে সজাগ ছিল না বলে 
৫১. ‘প্রতি মুহূর্তে বুড়ি এই প্রশ্নের ভয়ই করছিল’ প্রশ্নটি কি ?
(ক) ছেলেকে দেখছি না ?
(খ) বউকে দেখছি না ?
(গ) বাড়িয়ে কাউকে দেখছি না ?
(ঘ) এদের কাউকে দেখছি না ?
উত্তরঃ (ঘ) এদের কাউকে দেখছি না ?
৫২. ‘সে মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে’ – কি ঠিক করেছে ?
(ক) কালই সে যাবে ছেলেকে দেখতে
(খ) কালই সে যাবে শ্বশুরবাড়ি বউ ছেলেকে নিয়ে আসতে
(গ) কালই সে যাবে শ্বশুরবাড়ি বউ ছেলেকে দেখতে
(ঘ) কালই সে যাবে শ্বশুরবাড়ি বউ ছেলেকে আসার কথা বলতে
উত্তরঃ (খ) কালই সে যাবে শ্বশুরবাড়ি বউ ছেলেকে নিয়ে আসতে
৫৩. ‘তাঁর পরিচয় ডাকাতের মা বলে’– কারণ ?
(ক) ডাকাত দলের সঙ্গে ছেলের যোগ আছে
(খ) ছেলে ডাকাত
(গ) ডাকাতের সঙ্গে ছেলের বন্ধুত্ব আছে
(ঘ) ছেলে ডাকাত দলের শাগরেদ
উত্তরঃ (খ) ছেলে ডাকাত
৫৪. ‘ডাকাত মায়ের ঘুম পাতলা হতে হয়’– কারণ ?
(ক) ছেলের ফেরার অপেক্ষায়
(খ) ছেলে কত কি আনবে তা দেখার আগ্রহ
(গ) দরজায় টোকার আওয়াজ শুনে দরজা খোলার জন্য
(ঘ) ছেলের আনা জিনিস ঘরের ভিতরে নেওয়ার জন্য
উত্তরঃ (গ) দরজায় টোকার আওয়াজ শুনে দরজা খোলার জন্য
৫৫. সৌখির বাপের দলের একজন পুলিশের হাতে ধরা পড়বার পর নিজের হাতে জিব কেটে ফেলেছিল, কারণ ?
(ক) পাছে সর্দারের নাম বলে ফেলে
(খ) পাছে দলের সম্বন্ধে কিছু বলে ফেলে
(গ) পাছে কত কি ডাকাতি করেছে তা বলে ফেলে
(ঘ) পাছে দলের লোকের নাম বলে ফেলে
উত্তরঃ (খ) পাছে দলের সম্বন্ধে কিছু বলে ফেলে
৫৬. সৌখির এবারকার বউটার শরীর ভেঙে গিয়েছে, কারণ ?
(ক) খুব খাটুনির ফলে
(খ) মনের অশান্তির ফলে
(গ) রোগা ভোগা ছিল , তাঁর ওপর ছেলে হওয়া
(ঘ) খাটুনির মধ্যে বিশ্রাম না পাওয়া
উত্তরঃ (গ) রোগা ভোগা ছিল , তাঁর ওপর ছেলে হওয়া
৫৭. ‘তখন তাকে ঠেকানো হয় মুশকিল।’ কারণ ?
(ক) যখন দলের কারও মনে পাপ ঢোকে
(খ) যখন দলের কেউ মারমুখী হয়ে ওঠে
(গ) যখন দলের কারও মনে স্বার্থ চিন্তা বড়ো হয়
(ঘ) যখন দলের কেউ শত্রু হয়ে ওঠে
উত্তরঃ (ক) যখন দলের কারও মনে পাপ ঢোকে
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণী বাংলা – ডাকাতের মা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 11 Bengali Question and Answer : 
১. “তাই বেশি রেমিশন পেয়ে গেলাম।”– বেশি রেমিশন পাবার কারণ কী ?
উত্তরঃ সৌখী জেলে থাকার সময় হেড জমাদারকে ঘুষ দেয় এবং জমাদার জেলরের কাছে তার হয়ে সুপারিশ করেন। এই সুপারিশের কারণে সৌখী লাটসাহেবের কাছে প্রশংসিত হয়। একারণেই সৌখী বেশি রেমিশন পায়।
২. ’হাতি পাঁকে পড়লে ব্যাঙও লাথি মারে’– কথাটির তাৎপর্য লেখ।
উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ির লেখা ‘ডাকাতের মা গল্পের অন্তর্গত উদ্ধৃত অংশটির অর্থ হল ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বিপদে পড়লে ব্যাঙের মতো সাধারণ মানুষও লাথি মারে।
৩. ‘ভোরে উঠেই কি ছেলেকে বলা যায়’ — ছেলেকে কী বলা যায় না ?
উত্তরঃ সৌখী দীর্ঘদিন ধরে জেল খেটে বাড়ি এসেছে। ভোরে ওঠেই একথা বলা সমীচীন হবেনা সৌখী পয়সা দিলে তার মা খাবারের ব্যবস্থা করবে।
৪. ”চোরাই মাল জেনেই কিনেছিস”- কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করে ?
উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা গল্পের মাতাদিন পেশকার সাহেব বাসনের দোকানদারকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করে।
৫. ‘আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে।’– কী স্পষ্ট লেখা আছে ?
উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পে উদ্ধৃতাংশে বলা হয়েছে চুরির খবর পুলিশকে না জানালে তার পরিণামে জেলও হতে পারে।
৬. “তার আসল দরকার অপরাধী কে নিয়ে”- একথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ দারোগাবাবু ন্যায়-অন্যায় বোঝেন না, সত্য-মিথ্যা যাচাই করেন না। তার দরকার শুধুমাত্র আসল অপরাধীকে নিয়ে কিন্তু তিনি জানেন না আসল অপরাধী সৌখী নন।
৭. ‘সেই হয়েছে বুড়ির মস্ত ভাবনা।’– বুড়ির মস্ত ভাবনা কী ?
উত্তরঃ সৌখী দীর্ঘদিন জেল খেটে বাড়ি ফিরেছে । সৌখীকে তার মা কী খেতে দিবে– এটাই ছিল তার কাছে মস্ত ভাবনা।
৮. “পেশকারসাহেব বড়ো খুঁতখুঁতে।”—কী
ব্যাপারে?
উত্তরঃ পেশকারসাহেব তার ললাটা সম্বন্ধে খুব খুঁতখুঁতে, খুরো-দেওয়া বড়ো সাইজের মুখের লোটার জন্যই তঁার এই খুঁতখুঁতে স্বভাব।
৯. ”ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না”- কেন ?
উত্তরঃ যেকোনো সময় দলের লোক টাকা দিতে আসতে পারে অথবা পুলিশ আসতে পারে এমনকি হঠাৎ তার ছেলেও বাড়ি ফিরতে পারে। তাই ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা হওয়া চাই।
১০. ‘ঘটি দেখেই তার খটকা লাগল।’– কার খটকা লাগল ?
উত্তরঃ ‘ডাকাতের মা’ গল্পে প্রশ্নোধৃত অংশে ঘটি দেখে মাতাদীন পেশকারের খটকা লাগল।
১১. ‘ডাকাতের মা’ গল্পটির উৎস লেখো।
                      অথবা,
‘ডাকাতের মা’ গল্পটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ?
                      অথবা,
‘ডাকাতের মা’ গল্পটির মূলগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তরঃ ভতর সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পটি ‘চকাচকী’ গল্পসংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।
১২. ‘আমি ঘটি চুরি করেছি কাল রাত্রে।’– বক্তা কে ? কাকে উদ্দেশ্য করে বক্তা একথা বলেছে ?
উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্প থেকে গৃহীত অংশটির বক্তা সৌখী। সে দারোগাকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য কথাগুলি বলেছে।
১৩. ‘তার দরকার আসল অপরাধীকে নিয়ে।’ ‘তার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ প্রশ্নোধৃত অংশে ‘তার’ বলতে দারোগাবাবুর কথা বলা হয়েছে ।
১৪. ‘নিজের হাতে নিজের জিব কেটে ফেলেছিল।’– কে, কেন জিব কেটে ফেলেছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর বাবা যে দলের ডাকাতি করতো তাদের মধ্যে একজন আহত হয়, পুলিশ তাকে জেরা করতে পারে ভেবে সে নিজের জিব কেটে ফেলে ।
১৫. বছরখানেক পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সৌখী কী করবে বলে মায়ের ধারণা হয়েছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর মায়ের ধারণা হয়েছিল বছরখানেক পরে জেলখানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সৌখী তার বউকে রুপোর গয়নায় মুড়িয়ে দিয়ে পাড়ার লোকদের দেখিয়ে দেবে সৌখীর মায়ের নাতি পথের ভিখারি নয়।
১৬. ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর মা কখন ডাকাতের বউ হিসেবে পরিচিত ছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর বাবা যতদিন বেঁচে ছিল, ততদিন সৌখীর মা ডাকাতের মা হিসেবে পরিচিত ছিল।
১৭. “ডাকাতের মায়ের ঘুম কি পাতলা না হলে চলে!”—কেন ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না ?
উত্তরঃ ডাকাতের বাড়িতে রাতবিরেতে যখন-তখন দরজায় টোকা পড়ার সম্ভাবনা থাকে বলে ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না।
১৮. “টকটক করে দু-টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে”—সৌখীর মা কী বুঝতে পারে ?
উত্তরঃ টকটক করে দু-টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে সৌখীর মা বুঝতে বারে যে সৌখীর দলের লােক টাকা দিতে এসেছে।
১৯. “তিনবারের পর আরও একবার হলে বুঝতে হবে যে,”- কী বুঝতে হবে ?
উত্তরঃ দরজায় তিনবারের পর আরও একবার টোকা পড়লে বুঝতে হবে যে, সৌখী বাড়ি এসেছে।
২০. “ছেলের আবার কড়া হুকুম।”—ছেলের কড়া হুকুম কী ছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর মার প্রতি কড়া হুকুম ছিল যে, দরজায় টোকা শােনামাত্রই দরজা না খুলে দশবার নিশ্বাস ফেলার সময় কাটানাের পরই যেন সে দরজা খােলে।
২১. “কতবার হয়েছে, কতবার বদলেছে ?”— কী বদলেছে ?
উত্তরঃ রাতবিরেতে সৌখীদের বাড়ির দরজায় টোকা-দেওয়ার সাংকেতিক নিয়ম অনেকবার বদলেছে।
২২. “তখন তাকে ঠেকানাে হয় মুশকিল।”- কাকে ঠেকানাে মুশকিল হয় ?
উত্তরঃ সৌখীর ডাকাত-দলের কারও মনে যখন পাপ ঢােকে, তখন তাকে ঠেকানাে মুশকিল হয়।
২৩. “সৌখীর বাপের মুখে শােনা যে,”- কী শােনা গিয়েছিল সৌখীর বাপের মুখে ?
উত্তরঃ এক অনুচর আহত হয়ে ধরা পড়বার পর নিজহাতেই নিজের জিভ কেটে ফেলে, পাছে পুলিশকে দল সম্বন্ধে কিছু বলে ফেলে। সৌখীর বাবার কথাই বলেছিল।
২৪. “আর আজকাল দেখ!”- আজকাল কী দেখা যায় ?
উত্তরঃ আজকাল দেখা যায় যে, সৌখী জেলে যাবার পর প্রথম দু বছর তার পরিবারকে অনুচররা মাসােহারা দিলেও পরবর্তীকালে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
২৫. “এ কি কখনও হতে পারত আগেকার কালে।”- কী হতে পারত ?
উত্তরঃ ডাকাত সর্দার জেলে যাওয়ার কিছুদিন পরই তার পরিবারের মাসােহারা বন্ধ করে দেওয়া—এমনটা আগেকার কালে কখনও হতে পারত না।
২৬. “একেবারে ভেঙে গিয়েছে শরীর।”— কার শরীর, কেন একেবারে ভেঙে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর রােগা-রােগা চেহারার দ্বিতীয় বউয়ের শরীর একেবারে ভেঙে গিয়েছিল সন্তান প্রসব করবার পর।
২৭. “তারই কিনা দুবেলা ভাত জোটে না!”- এই বিস্ময়ের কারণ কী ?
উত্তরঃ যার বাপের নামে চৌকিদারসাহেব ভয়ে কাঁপেন, দারােগাসাহেব পর্যন্ত যার বাপকে তুইতােকারি করতে সাহস করেননি কোনােদিন—সেই ছেলেরই দুবেলা ভাত জোটে না বলেই এখানে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।
২৮.”তা দিয়ে নিজের পেট চালানােই শক্ত।” -কী দিয়ে ?
উত্তরঃ সৌখীর মা যে বাড়ি বাড়ি খইমুড়ি বিক্রি করে তা দিয়ে তার নিজেরই পেট চালানাে ছিল শক্ত।
২৯.“ঝি-চাকরের কাজও তাে আমরা করতে পারি না।”- কারা, কেন করতে পারে না ?
উত্তরঃ অভাব-অনটনের জন্য সৌখীর মা ও বউ ঝি-চাকরের কাজ করতে পারে না, কারণ তারা দুজনেই গয়লা-জাতের বাড়ির মেয়ে।
৩০.”করলেই বা রাখত কে ?”—কী করার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ অভাব-অনটন থেকে রক্ষা পেতে সৌখীর মা ও বউ-এর ঝি-চাকরের কাজ করার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৩১.“করলেই বা রাখত কে?”—কেউ রাখত না কেন ?
উত্তরঃ ডাকাত-বাড়ির মা-বউকে কেউ বিশ্বাস করে না বলেই সৌখীর মা ও বউকে কেউ পরিচারিকার কাজে রাখত না।
৩২.”নইলে আমার কি ইচ্ছা করে না যে,”- কার, কী ইচ্ছা করে ?
উত্তরঃ সৌখীর মার ইচ্ছা করে বউমানাতি নিয়ে ঘর করার।
৩৩. “বউনাতিটার পেটে একটু একটু দুধ পড়ছে।”- বক্তা কেন এমনটা ভেবেছিল ?
উত্তরঃ বেয়াইয়ের দুটো মােষ ছিল বলে সেখানে থাকা তার নাতি ও বউমার পেটে দুধ পড়ছে বলে নিশ্চিত ছিল সৌখীর মার।
৩৪.’দেখিয়ে দেব পাড়ার লােকদের যে”—কে, কী দেখিয়ে দেবে ?
উত্তরঃ সৌখী জেল থেকে ফিরে এলে তার মা পাড়ার লােকদের দেখিয়ে দেবে যে, তার নাতি পথের ভিখিরি নয়।
৩৫. “দলের ওই বদলােকগুলােকে ঠান্ডা করতে হবে”- ওই বদলােকগুলাে বক্তা কী কী বলে অভিহিত করেছেন ?
উত্তরঃ ওই বদলােকগুলােকে সৌখীর মা যে দুই অভিধায় অভিহিত করেছেন, তা হল একলষেঁড়ে লােক’ এবং ‘ছিঁচকে চোর।
৩৬. “ওই যেটা টাকা দিতে আসত।”—কে, কীভাবে টাকা দিতে আসত ?
উত্তরঃ সৌখীর এক রােগা-পটকা অনুচর, যার থুতনির নীচে দুগাছা দাড়ি ছিল, সে মুখে কালি-ঝুলি মেখে, মশাল হাতে নিয়ে সৌখীর মাকে টাকা দিতে আসত।
৩৭. কীভাবে না শুলে সৌখীর মার কোনােকালেই ঘুম হয় না শীতের দিনে ?
উত্তরঃ কম্বলের মধ্যে পুরাে মাথাটা ঢুকিয়ে দিয়ে না শুলে শীতে ঘুম হয় না সৌখীর মায়ের।
৩৭. “…তাহলে খুন করে ফেলে দেব।”- কখন খুন করবে বক্তা ?
উত্তরঃ সৌখী তার মাকে প্রহার করে এই শাসানি দিয়েছিল যে, যদি কোনােদিন রাত্রে সে নাক-মুখ কম্বলে ঢেকে ঘুমায়, তবে সে মাকে খুন করে ফেলে দেবে।
৩৮. “এ কি কম দুঃখের কথা।”- দুঃখের কথাটা কী?
উত্তরঃ বিগত পাঁচ বছর ধরে সৌখীর মা রাত্রে নাক-মুখ কম্বলে ঢেকে ঘুমালেও তাকে বকুনি দেওয়ার মতাে কোনাে লােক, পর্যন্ত যে বাড়িতে নেই, সেটাই তার কাছে দুঃখের কথা।
৩৯. “..বাইরে নােনা-আতা গাছতলায় শুকনাে পাতার ওপর একটু খড়খড় করে শব্দ হল।”- এই শব্দ শুনে কী অনুমান করেছিল সৌখীর মা ?
উত্তরঃ বাইরে গাছতলায় খড়খড় শব্দ শুনে সৌখীর মা মনে করেছিল যে, গন্ধগােকুল বা শিয়াল হয়তাে সেখানে ঘােরাঘুরি করছে।
৪০. “কী খেতে যে এরা আসে বােঝা দায়।”- কাদের আসার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ উক্তিটি সৌখীর মার অনুমান। সে ভেবেছিল যে, গন্ধগকুল বা শেয়াল কিছু খেতে তার উঠোনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
৪১. “..বাইরে নােনা-আতা গাছতলায় শুকনাে পাতার ওপর একটু খড়খড় করে শব্দ হল।”—এমন শব্দ হওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ জেল থেকে আগেভাগেই ছাড়া পেয়ে মাঝরাত্রে সৌখী তাদের উঠোনের নােনা-আতা গাছতলা দিয়ে হেঁটে ঘরে আসছিল বলেই ওখান থেকে একটা খড়খড়ে শব্দ সৌখীর মা পেয়েছিল।
৪২.“সে কি আজকের কথা!”— কার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ সৌখীর মা যে অনেক কালের-পুরােনাে কম্বলটা জড়িয়ে শুয়ে ঠান্ডায় কাপছিল, সেটি সৌখী আগের বার জেল থেকে এনেছিল বলে সে বলেছে যে তা অনেক কালের কথা।
৪৩.”..তার হিসাব করতে গিয়ে বাধা পড়ে।”— কার হিসেব করতে গিয়ে বাধা পড়ে ?
উত্তরঃ যে কম্বলটা জড়িয়ে শুয়ে সৌখীর মা ঠান্ডায় কাঁপছিল, সেই কম্বলটার বয়সের হিসেব করতে গিয়েই বাধা পড়েছিল।
৪৪.“কম্বলখানার বয়স ক’বছর হবে তার হিসাব করতে গিয়ে বাধা পড়ে।”—কীভাবে বাধা পড়েছিল ?
উত্তরঃ টকটক করে টোকা পড়ার মতাে শব্দ সৌখীর মার কানে আসায় কম্বলটার বয়সের হিসেব করার কাজে বাধা পড়েছিল।
৪৫.”টিকটিকির ডাক বােধ হয়।”—কাকে টিকটিকির ডাক বলে মনে হয়েছিল ?
উত্তরঃ ঘরে কম্বল-মুড়ে শুয়ে থাকা সৌখীর মা যখন হঠাৎ টকটক করে টোকা পড়ার মতাে শব্দ শােনে, তাকেই তার মনে হয়েছিল টিকটিকির ডাক।
৪৬.“হাতি পাকে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে।”- প্রবাদটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ প্রবাদটির নিহিতার্থ হল ক্ষমতাবান ব্যক্তি বেকায়দায় বা দুরবস্থার মধ্যে পড়লে নগণ্য ব্যক্তিও তাকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
৪৭.“হাতি পাকে পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে।”- বক্তা কখন একথা বলেছিল ?
উত্তরঃ ঘরে কম্বল-মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা সৌখীর মা হঠাৎ টকটক করে টোকা পড়ার মতাে শব্দ শুনে তাকে টিকটিকির ডাক মনে করে বিরক্ত হয় এবং প্রশ্নোস্তৃত উক্তিটি করে।
৪৫.”টকটক করে আবার দরজায় দুটো টোকা পড়ল।”- টোকা পড়ার আওয়াজটা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ দরজায় যে দুটো টোকা পড়েছিল, সেই আওয়াজটা ছিল। টিনের কপাটের ওপর টোকা মারলে সৃষ্টি হওয়া খনখনে আওয়াজ-এর মতাে।
৪৬.”বুড়ি উঠে বসে।”- বুড়ি কখন উঠে বসেছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর বুড়িমার টিনের দরজায় একটু সময় বাদে বাদে দুবার যখন জোড়া-টোকার খনখনে শব্দ হয়, তখন সে উঠে বসে।
৪৭.“…সেটা কখন নিভে গিয়েছে।”- কোন্টার নিভে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ সৌখীর মা শীতের রাত্রে ঘর গরম করার জন্য মেঝেতে যে আগুন তৈরি করে রেখেছিল, তার নিভে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।
৪৮.”আর সন্দেহ নেই।”- কোন্ ব্যাপারে সন্দেহ ছিলনা ?
উত্তরঃ দরজায় দুবার জোড়া-টেকার খনখনে শব্দ শুনে সৌখীর মা যে সৌখীর অনুচরের আগমন প্রত্যাশা করেছিল, তৃতীয়বারের জোড়া-টোকা শুনে সে সেই ব্যাপারে নিঃসন্দিগ্ধ হয়।
৪৯.“অনেকদিনের অনভ্যাসের পর এই সামান্য ব্যাপারটা বুড়ির মনের মধ্যে একটু উত্তেজনা এনেছে।”—‘অনেক দিনের অনভ্যাস-এর কথা কেন বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ সৌখী পাঁচ বছর আগে জেলে যাওয়ার পর প্রথম দুবছর তার অনুচররা যেহেতু প্রতিমাসে টাকা দিয়ে যেত, তাই তখন টোকার শব্দ সৌখীর মা শুনতে পেত। কিন্তু শেষ তিন বছর তারা না আসায় অনেক দিনের অনভ্যাস তৈরি হয় তার।
৫০.”এ টোকা পড়বার কথা ছিল না।”—কেন একথা ভেবেছিল সৌখীর মা ?
উত্তরঃ চতুর্থবারের জোড়া-টোকার অর্থ ছিল সৌখীর আগমন। কিন্তু সৌখীর ছাড়া পেতে এক বছর দেরি, তাই সৌখীর মা চতুর্থ জোড়া-টোকার শব্দ শুনে এমন ভেবেছিল।
৫১.”টোকা মারবার নিয়মকানুনগুলাে হয়ত ভালাে জানে না!”—কাদের সম্বন্ধে একথা অনুমান করা হয়েছে ?
উত্তরঃ সৌখীর মা পুলিশের লােক সম্বন্ধে একথা অনুমান করেছে।
৫২.”কথা বলতে হবে সাবধানে।”- কার সঙ্গে কথা বলার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ পুলিশের লােকের সম্বন্ধে সৌখীর মা একথা বলেছে।
৫৩.”কথা বলতে হবে সাবধানে।”- কেন সাবধান হওয়ার দরকার পড়েছিল বক্তার ?
উত্তরঃ সৌখীর ডাকাত-দলের কারও নাম-ধাম যাতে সৌখীর অজান্তে পুলিশের কাছে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য সে পুলিশের সঙ্গে সাবধানে কথা বলার কথা ভেবেছিল।
৫৪.”কিন্তু দরজায় টোকা মেরে মা’র সঙ্গে খুনসুড়ি হচ্ছিল এতক্ষণ।”- কেন একথা ভেবেছিল সৌখীর মা ?
উত্তরঃ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বুক ফুলিয়ে পাড়া জাগিয়ে ঘরে না ঢুকে সৌখী দরজায় টোকা দিয়ে ঘরে ঢুকেছিল বলেই তার মা একথা ভেবেছিল।
৫৫.”তাই বেশি রেমিশন পেয়ে গেলাম।”- বেশি রেমিশন পাবার কারণ কী ?
উত্তরঃ জেলে সৌখী হেড জমাদারকে ঘুষ দেওয়ায় তিনি জেলরবাবুর কাছে তার হয়ে সুপারিশ করলে জেল-ভ্রমণে আসা লাটসাহেবের কাছে জেলর সৌখীর প্রশংসা করে। এ কারণেই লাটসাহেবের হুকুমে বেশি রেমিশন পেয়েছিল সৌখী।
৫৬.”তাই বাপের মুখের আদল ধরা পড়েছে ছেলের মুখে।”- কী কারণে এমনটা হয়েছিল ?
উত্তরঃ পাঁচ বছর পর জেল থেকে ফিরে আসা সৌখীর চুলে বেশ পাক ধরাতেই সৌখীর মার মনে হয়েছিল যে, সৌখীর মুখে তার মৃত বাপের আদল ধরা পড়েছে।
৫৭.“অপ্রতিভের চেয়ে হতাশ হয়েছে বেশি সৌখী।”—কখন ?
উত্তরঃ সৌখী যখন শােনে তার বউ ছেলে-সহ বাপের বাড়ি গেছে, তখনই সে অপ্রতিভের তুলনায় বেশি পরিমাণে হতাশ হয়।
৫৮.”তাই নিয়ে কত কল্পনার ছবি এঁকেছে জেলে বসে বসে ?”- কী নিয়ে ?
উত্তরঃ সৌখীর না-দেখা ছেলেটা দেখতে কেমন হয়েছে তা নিয়ে সে জেলে কল্পনার ছবি এঁকেছে।
৫৯.“সে মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে,”—কখন সে মনে মনে ঠিক করেছিল?
উত্তরঃ পাঁচ বছর পর জেল থেকে ফিরে এসে যখন সৌখী তার মার কাছে শােনে যে তার স্ত্রী পুত্রসহ তার বাপের বাড়ি গেছে, তখনই সে মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল।
৬০.“সে মনে মনে ঠিক করে ফেলে যে”—কী ঠিক করে ফেলেছিল ?
উত্তরঃ সৌখী মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল যে, পরদিনই সে শ্বশুরবাড়ি যাবে তার বউ-ছেলেকে নিয়ে আসতে।
৬১. “একথা এখনই মাকে বলে ফেলা ভালাে দেখায় না।” কোন্ কথা?
উত্তরঃ সৌখী যে পরদিনই বউ-ছেলেকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া মনে মনে ঠিক করেছিল—সেই কথা তখনই সে মাকে জানাতে চায়নি।
৬২.”ভােরে উঠেই কি ছেলেকে বলা যায় যে,”- ছেলেকে কী বলা যায় না ?
উত্তরঃ সদ্য জেল-ফেরত ছেলে সৌখীকে ভােরে উঠেই বলা যায় না যে, সে পয়সা জোগাড় করে আনলে তবেই তার মা তাকে বেঁধে দেবে।
৬৩. “আজ যখন মুড়ি বেচতে গিয়েছিল, তখন দেখেছে যে,”- কী দেখেছে?
উত্তরঃ সৌখীর মা পাড়ায় মুড়ি বেচতে গিয়ে দেখেছিল যে, পেশকার সাহেবের বাড়ির পড়ে-যাওয়া উত্তরের পাঁচিলটা রাজমিস্ত্রি দিয়ে গাঁথা হচ্ছে।
৬৪.”সে পাঁচিল ভাঙতে বুড়ির বিশেষ অসুবিধা হল না।”- কেন?
উত্তরঃ পেশকারসাহেবের বাড়ির পাঁচিলটা মাত্র দু-আড়াই ফুট গাঁথা হয়েছিল এবং তার দু-পাশে মাটি আর ভাঙা ইটের পাহাড় পড়ে থাকায় তা ভাঙতে সৌখীর বুড়িমার বিশেষ অসুবিধা হয়নি।
৬৫.”বারান্দার দোরগােড়ায় গুছিয়ে রাখা রয়েছে…”—কী গুছিয়ে রাখা ছিল?
উত্তরঃ পেশকারসাহেবের বাড়ির বারান্দার দোরগােড়ায় তাঁর খড়মজোড়া এবং জলভরা একটি ঘটি গুছিয়ে রাখা ছিল।
৬৬.“সেইজন্য হুলস্থুল পড়ে গেল তার বাড়িতে সকালবেলায়।”—কেন হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ লােটা ছাড়া সংসার অচল বলে এবং সারাদিনে কয়েকবার লােটাটা না মাজলে মাতাদীনের হাত নিশপিশ করত বলে লােটা চুরি যেতে সকালবেলায় মাতাদীনের বাড়িতে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছিল।
৬৭.”খােকার মা নাকে কেঁদে স্বামীকে মনে করিয়ে দিলেন…”- কী মনে করিয়ে দিলেন ?
উত্তরঃ মাতাদীন পেশকারের খােকার মা স্বামীকে মনে করিয়ে দেন যে, লােটা বাড়ির লক্ষ্মী এবং অবিলম্বে বাড়ির লক্ষ্মীশ্রী ফেরানাের জন্য আর-একটি লােটা কিনে আনা দরকার।
৬৮.”আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে যে,”—কী স্পষ্ট লেখা আছে ?
উত্তরঃ আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে যে, চুরির খবর পুলিশকে না দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।
৬৯.“ফিরতিমুখাে তিনি এলেন বাসনের দোকানে।”—কোথা থেকে ফিরতিমুখখা তিনি বাসনের দোকানে এলেন ?
উত্তরঃ মাতাদীন পেশকার থানা থেকে ফিরতিমুখাে বাসনের দোকানে এসেছিলেন।
৭০.”চোর ধরা পড়বার পর দারােগাসাহেবের কাজে আর ঢিলেমি নেই।”- কী করলেন তিনি ?
উত্তরঃ দারােগাসাহেব তৎক্ষণাৎ সাইকেলে করে অকুস্থলে এসে সবকিছু শুনে সদলবলে সৌখীর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন।
৭১.“সব ব্যাপার শুনে তিনি সদলবলে সৌখীর বাড়িতে গিয়ে ঠেলে উঠলেন।”—সেখানে গিয়ে কী দেখলেন তারা ?
উত্তরঃ দারােগাসাহেব সদলবলে সৌখীর বাড়িতে গিয়ে দেখলেন যে, সৌখীর মা উনুনে আলুর তরকারি চড়িয়েছে, তার ছেলে সৌখী তখনও ঘুম থেকে ওঠেনি।
৭২.”কিন্তু আজ যে ব্যাপার অন্য।”- আজ অন্য ব্যাপার কেন ?
উত্তরঃ সেদিন পুলিশের সঙ্গে মাতাদীন পেশকার এবং বাসনওয়ালা সৌখীর মার বাড়িতে উপস্থিত ছিল বলে লেখক আলােচ্য উদ্ধৃতিটি করেছেন।
৭৩.”তখন তাে মাথা হেঁট হয়নি তার।”— কখন তার মাথা হেঁট হয়নি ?
উত্তরঃ পাঁচ-সাত বছর আগে বন্দুকের তল্লাশিতে একবার যখন পুলিশ সৌখীদের বাড়ি ভােররাতে ঘেরাও করেছিল, তখন সৌখীর মার মাথা হেঁট হয়নি।
৭৪.”কোনো জবাব বেরুল না বুড়ির মুখ দিয়ে।”- কোন্ প্রশ্নের জবাব বেরােয়নি ?
উত্তরঃ দারােগাসাহেব যখন সৌখীর মাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর দেখানাে লােটাটা সেদিন সে বাজারের বাসনের দোকানে চোদ্দো আনায় বিক্রি করেছে কি না, সেই জিজ্ঞাসার জবাব বেরােয়নি বুড়ির মুখ দিয়ে।
৭৫.“এখনও সে টাকা তার কোমরের বাটুয়ায় রয়েছে।”- কীভাবে সে উপার্জন করেছিল সে টাকা ?
উত্তরঃ জেলখানার গুদামে ঠিকাদারের অধীনে ডিউটি করে নব্বই টাকা সৌখী উপার্জন করেছিল।
৭৬.”…একথা তাে মায়ের অজানা নয়।”—কোন্ কথা ?
উত্তরঃ জেলে থাকাকালীন সৌখী যে ছিচকে ‘কদুচোর দের সঙ্গে পারতপক্ষে কথা বলত না, কথা বলত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আসামিদের সঙ্গেই—সে কথা সৌখীর মায়ের অজানা নয়।
৭৭.”বিজ্ঞ দারােগাবাবু তাঁর অনুচরদের দিকে বিজয়ীর দৃষ্টি হেনে ভাব দেখাতে চাইলেন যে,”—কী ভাব দেখাতে চাইলেন দারােগাবাবু ?
উত্তরঃ দারােগাবাবু এই ভাব দেখাতে চাইলেন যে, অনেক বেলা পর্যন্ত সৌখীকে ঘুমােতে দেখে সৌখীই যে চোর, তা তিনি বুঝতে পারলেও বৃদ্ধার মুখ থেকে সেই কথাটা বার করে নিতেই তিনি সচেষ্ট ছিলেন।
৭৮.ডাকাতের মা গল্পে প্রথমবার কখন সৌখীর মা জোড়া টোকার শব্দ শােনে ?
উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা তাঁর গায়ে দেওয়া পুরানাে কম্বলটার বয়স যখন হিসেব করছিল, তখন জোড়া-টোকার শব্দ শুনতে পেয়েছিল।
৭৯.’ডাকাতের মা’ গল্পে দ্বিতীয়বার কখন সৌখীর মা জোড়া টোকার শব্দ শােনে ?
উত্তরঃ যখন সৌখীর মা টিকটিকির খুনসুড়ি করার কথা ভেবে বিরক্ত হচ্ছিল তখন দ্বিতীয়বার জোড়া-টোকার শব্দ শুনেছিল।
৮০.’ডাকাতের মা’ গল্পে প্রথমবার জোড়া টোকার শব্দ শুনে কী ভেবেছিল সৌখীর মা ?
উত্তরঃ প্রথমবার জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা ভেবেছিল টিকটিকি তার সঙ্গে খুনসুড়ি করছে।
৮১. ডাকাতের মা গল্পে দ্বিতীয়বারের জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা কী ভেবেছিল ?
উত্তরঃ দ্বিতীয়বার জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা ভেবেছিল সৌখীর অনুচর এসেছে বাড়িতে টাকা দিতে।
৮২. ডাকাতের মাগল্পে তৃতীয়বার দরজায় জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা কী ভেবেছিল ?
উত্তরঃ তৃতীয়বার দরজায় জোড়া-টোকার শব্দ শুনে সৌখীর মা ভেবেছিল নিশ্চিতভাবেই সৌখীর অনুচর এসেছে।
৮৩. ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা পুলিশের লােকের সঙ্গে সাবধানে কথা বলবে ভেবেছিল কেন ?
উত্তরঃ সৌখীর মা পুলিশের লােকের সঙ্গে সাবধানে কথা বলবে ভেবেছিল কারণ সৌখীর অনুচরদের নামধাম তারা যাতে জানতে না পারেন।
৮৪. ডাকাতের মা গল্পে দীর্ঘদিন পর বাড়িতে ফিরে কেন সৌখী দরজায় সাংকেতিক টোকা দিয়েছিল ?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন পর বাড়িতে ফিরে সৌখী দরজায় সাংকেতিক টোকা দিয়েছিল তার মার সঙ্গে খুনসুড়ি করার জন্য অন্তত এমনটাই মত সৌখীর মায়ের।
৮৫. “এ আনন্দ তার রাখবার জায়গা নেই…”-আনন্দের কারণ কী ?
উত্তরঃ সৌখীর মার আনন্দের কারণ, এতদিন পর জেল থেকে ফিরেও তার সঙ্গে ছেলে খুনসুড়ি করছে।
৮৬. “দরকারের চাইতেও জোরে কথাগুলাে বলল সৌখী …”- সুখী কেন জোরে কথা বলেছিল ?
উত্তরঃ ঘরে থাকা অন্যরা যাতে তার কথাগুলাে শুনতে পায় তার জন্য সৌখী জোরে কথা বলেছিল।
৮৭. “বাপের মুখের আদল ধরা পড়েছে ছেলের মুখে।”- কী কারণে ?
উত্তরঃ সৌখীর মুখে তার বাপের আদল ধরা পড়েছে তার চুলে পাক ধরায়।
৮৮. “প্রতি মুহূর্তে বুড়ি এই প্রশ্নের ভয়ই করছিল।”- প্রশ্নটা কী ?
উত্তরঃ বাড়ি ফিরে সৌখী ছেলেবউকে দেখছে না কেন- সৌখীর এই প্রশ্নের ভয়ই করেছিল বুড়ি।
৮৯.“সৌখী এ প্রশ্ন কানে তুলতে চায় না।”- কোন প্রশ্ন ?
উত্তরঃ সৌখীর জেলে অসুখ-বিসুখ করেছিল কি না?-এই প্রশ্ন সৌখী কানে তুলতে চায় না।
৯০.সৌখীর ‘বাড়ি ফিরবার আনন্দ অর্ধেক মাটি হয়ে গিয়েছে’ কী শুনে ?
উত্তরঃ সৌখীর বাড়ি ফেরার আনন্দ মাটি হয়ে যায় যখন সে শােনে যে তার বউ ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি গেছে।
৯১.ডাকাতের মা গল্পে জেলে বসে সৌখী কী কথা ভাবত ?
উত্তরঃ জেলে বসে সৌখী ভাবত তার ছেলের মুখ কার আদলে হয়েছে।
৯২.ডাকাতের মা গল্পে মাতাদীন পেশকারের হাত নিশপিশ করে কখন ?
উত্তরঃ সারাদিন বেশ কয়েকবার লােটাটাকে না মাজলে মাতাদীন পেশকারের হাত নিশপিশ করে।
৯৩.ডাকাতের মা গল্পে নতুন পাওয়া স্বাধীনতা উপভােগ করবার জন্য সৌখী কী ঠিক করেছিল ?
উত্তরঃ নতুন পাওয়া স্বাধীনতা উপভােগ করার জন্য সৌখী ঠিক করেছিল বেলা বারােটার আগে ঘুম থেকে উঠবে না।
৯৪.ডাকাতের মা গল্পে বাসনওয়ালাকে লােটা বিক্রি করে সৌখীর মা নিশ্চিন্ত ছিল কী ভেবে ?
উত্তরঃ বাসনওয়ালাকে চুরি করা লােটা বিক্রি করে সৌখীর মা নিশ্চিন্ত ছিল এই ভেবে যে পুরানাে বাসন রং-চং করেই তা বিক্রি করা হয়। ফলে কেউই আর তার চুরির হদিশ করতে পারবে না।
৯৫.ডাকাতের মা গল্পে সৌখী দারােগাবাবুর সঙ্গে থানায় যখন যাচ্ছিল, তখন সৌখীর মা কী করছিল ?
উত্তরঃ সৌখী যখন লােটা চুরির দায়ভার গ্রহণ করে দারােগার সঙ্গে থানায় যাচ্ছিল তখন তার মা মেঝেতে পড়ে ডুকরে কাঁদছিল।
৯৬.ডাকাতের মা’ গল্পে বাড়ি ফিরে সৌখী শােওয়ার আগে কি কিছু খেয়েছিল?
উত্তরঃ বাড়ি ফিরে সৌখী শােওয়ার আগে শুকনাে খাবার খই-মুড়ি খেয়েছিল।
৯৭.ডাকাতের মা গল্পে কী হলে বােঝা যেত দলের লােকেরা টাকা দিতে এসেছে?
উত্তরঃ রাত্রে দুটো টোকা পড়ে একটু থেমে তৃতীয় টোকা পড়লে বােঝা যেত দলের লােকেরা টাকা দিতে এসেছে।
৯৮.’ডাকাতের মা’ গল্পে কাকে ঠেকানাে মুশকিল হলে সৌখীর মা মনে করেছে?
উত্তরঃ ডাকাত দলের কারও মনে পাপ ঢুকলে তাকে ঠেকানাে মুশকিল বলে সৌখীর মার মনে হয়েছে।
৯৯.ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর মার মনে ন্যায়-অন্যায় কর্তব্য-অকর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে কেন?
উত্তরঃ সৌখী জেলে যাওয়ার পরে দলের ছেলেরা দুবছর পর থেকে টাকা না দেওয়ায় সৌখীর মার মনে ন্যায়-অন্যায় কর্তব্য-অকর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
১০০.ডাকাতের মা গল্পে কাকে দেখে সৌখীর মার গা ছমছম করেছিল?
উত্তরঃ রাত্রে দরজা খুলে এক লম্বা-চওড়া লােককে দেখে সৌখীর মার গা ছমছম করেছিল।
১০১.’ডাকাতের মা’ গল্পে হেডজমাদার সৌখীর জন্য জেলারের কাছে সুপারিশ করেছিল কেন?
উত্তরঃ সৌখীর কাছে টাকা ঘুষ নিয়ে হেডজমাদার সৌখীর জন্য জেলারের কাছে সুপারিশ করেছিল।
১০২.’ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখী ঘরে ঢুকে মাকে কুপি জ্বালাতে বলে কী খুঁজেছিল?
উত্তরঃ সৌখী রাতে ঘরে ঢুকে তার মাকে কুপি জ্বালাতে বলে তার স্ত্রী ও পুত্রকে খুঁজছিল।
১০৩.ডাকাতের মা গল্পে সৌখী স্ত্রীর বাপের বাড়ি যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তার মা কী বলেছিল ?
উত্তরঃ তার মা সৌখীকে বলেছিল মা-বাবাকে দেখার জন্যই সৌখীর বউ বাপের বাড়ি গেছে।
১০৪.ডাকাতের মা গল্পে সৌখীকে তার মা কী খেতে দিয়েছিল?
উত্তরঃ সৌখীর মা তার পুত্র সৌখীকে তার ব্যাবসার পুঁজি খইমুড়ি খেতে দিয়েছিল।
১০৫.ডাকাতের মাগল্পে মাতাদীন পেশকারের বাড়ি সৌখীর মা কীভাবে প্রবেশ করেছিল ?
উত্তরঃ দু-আড়াই হাত গাঁথা পাঁচিল ডিঙিয়ে সৌখীর মা মাতাদীন পেশকারের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।
১০৬.ডাকাতের মা গল্পে লােটা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসার সময়ে সৌখীর মা কী ভেবেছিল?
উত্তরঃ লােটা চুরি করে বাইরে বেরিয়ে সৌখীর মা ভেবেছিল রাতদুপুরে জল-ভরতি লােটা হাতে দেখলে কেউ সন্দেহ করবে না।
১০৭.ডাকাতের মাগল্পে আইনের ধারায় কী স্পষ্ট লেখা থাকার কথা মাতাদীন পেশকার তার স্ত্রীকে বলেছিল ?
উত্তরঃ মাতাদীন পেশকার তার স্ত্রীকে বলেছিল আইনের ধারায় লেখা আছে চুরির খবর পুলিশকে না দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে।
১০৮.’ডাকাতের মা’ গল্পে দোকানদারের দোকানে নিজের লােটা দেখে পেশকার কী অভিযােগ করেছিল ?
উত্তরঃ দোকানদারের দোকানে নিজের লােটা দেখে পেশকার বলেছিল, দিনে দোকানদারি করলেও সে রাত্রে সিধকাঠি নিয়ে চুরি করতে বেরােয়।
১০৯.’ডাকাতের মা’ গল্পের রচয়িতা কে ?
উত্তরঃ ডাকাতের মা গল্পের রচয়িতা সতীনাথ ভাদুড়ী।
১১০.সতীনাথ ভাদুড়ীর ছদ্মনাম কী ?
উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ছদ্মনাম হল চিত্রগুপ্ত।
১১১.কোন্ উপন্যাসের জন্য সতীনাথ ভাদুড়ী রবীন্দ্র পুরস্কার পান ?
উত্তরঃ জাগরী উপন্যাসের জন্য সতীনাথ ভাদুড়ী রবীন্দ্র পুরস্কার পান।
১১২.ডাকাতের মা গল্পটি কোন্ সংকলক গ্রন্থের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ ডাকাতের মা গল্পটি ‘চকাচকী’ গল্প সংকলন গ্রন্থ থেকে গৃহীত।
১১৩.ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর অনুচর ভাগ্য ভালাে ছিল না কেন ?
উত্তরঃ সৌখীর অনুচর ভাগ্য ভালাে ছিল না, কারণ সৗখী পাঁচ বছরের জন্য জেলে গেলে দলের অনুচররা প্রথম দুবছর তার বাড়িতে টাকা দিলেও পরবর্তী সময়ে আর দেয়নি।
১১৪.’ডাকাতের মা’ গল্পে সৌথী তার ছেলের ছােটো থেকে মুখ দেখেনি কেন?
উত্তরঃ ছেলে বউয়ের পেটে থাকার সময় সৌখীর পাঁচ বছরের জেল হয় বলেই সে তার ছেলের মুখ দেখেনি।
১১৫.‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা বউমাকে কেন বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল ?
উত্তরঃ খইমুড়ি বেচে তিনজনের পেট চলে না। আবার বউমা রুগ্ণ বলে তার পুষ্টিকর খাবারের প্রয়ােজন, তাই সৌখীর মা বউমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল।
১১৬.ডাকাতের মা গল্পে রাতে সৌখীদের ঘরের বাইরে কীসের শব্দ হয়েছিল ?
উত্তরঃ রাতে সৌখীদের ঘরের বাইরে নােনা ও আতা গাছের শুকনাে পাতার খড়খড় করার শব্দ হয়েছিল।
১১৭.ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর মা ঘরে আগুন জ্বেলেছিল কেন ?
উত্তরঃ শীতের রাতে ঘর গরম রাখার জন্যই সৌখীর মা ঘরে আগুন জ্বেলেছিল।
১১৮.ডাকাতের মা গল্পে জেল থেকে ফেরার পর সৌখীকে দেখতে কেমন হয়েছিল ?
উত্তরঃ জেল থেকে ফেরার পর সৌখীর চুলে পাক ধরেছিল, বাপের মুখের আদল মুখে ধরা পড়েছিল এবং তাকে রােগা লাগছিল।
১১৯.ডাকাতের মা গল্পে সৌখীর কাজ দেখে কে খুশি হয়েছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর কাজ দেখে লাটসাহেব খুশি হয়েছিল।
১২০.ডাকাতের মা গল্পে সৌখী কীভাবে তার মাকে তেলের শিশি খুঁজতে সাহায্য করেছিল ?
উত্তরঃ সৌখী তার কাছে রাখা দেশলাই-এর কাঠি জ্বালিয়ে তেলের শিশি খুঁজতে সাহায্য করেছিল।
১২১.“হ্যা রে, জেলে তাের অসুখ-বিসুখ করেছিল নাকি ?”- একথা কে, কেন জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ সৌখীর মা জিজ্ঞাসা করেছিল তার ছেলে সৌখীকে, কারণ জেলে গেলে তার শরীর ভালাে হয় কিন্তু এবারে সে রােগা হয়েছে।
১২২.ডাকাতের মা গল্পে টোকা মারার আগে সৌখী দরজায় কান পেতেছিল কেন ?
উত্তরঃ ছেলে কেমন করে মা-এর সঙ্গে গল্প করে তাই শােনবার জন্য সৌখী দরজায় কান পেতেছিল।
১২৩.ডাকাতের মা গল্পে পরদিন বউছেলেকে আনতে যাওয়ার কথা সৌখী মাকে জানায়নি কেন ?
উত্তরঃ যদি মা ভাবে বউ এসে ছেলেকে পর করে দিয়েছে তাই সৌখী তার মাকে পরদিন বউ-ছেলেকে আনতে যাওয়ার কথা জানায়নি।
১২৪.”এতক্ষণে শেষের কথাটা কানে গেল।”- কথাটি কী ?
উত্তরঃ ডাকাতের মা গল্পে কথাটা কানে গেল- ‘নে, হাতমুখ ধুয়ে নে।’
১২৫.ডাকাতের মা গল্পের শেষাংশে সৌখীর মা কেঁদেছিল কেন ?
উত্তরঃ তার অপরাধের জন্য ছেলে সৌখীকে নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তখনই সৌখীর মা ডুকরে কেঁদে ওঠে।
১২৬.“ঘুম আর আসতে চায় না”—কার কেন ঘুম আসে না?
উত্তরঃ মাথা পর্যন্ত কম্বলে ঢুকিয়ে না দিলে শীতের দিনে সৌখীর ঘুম আসে না। অথচ ছেলের কড়া নিষেধে তা না করতে পারায় সৌখীর ঘুম আসতে চায় না।
১২৭.“কী কপাল নিয়ে এসেছিল।” এ কথা বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ ডাকাত হিসেবে সৌখীকে চৌকিদার দারােগারা সমীহ করলেও তার ছেলের দু-বেলা ভাত জোটে না—এ কারণেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।
১২৮.”কী মারই মেরেছিল মাকে!”—এই মারার কারণ কী ?
উত্তরঃ সৌখী একবার রাতদুপুরে ফিরে টোকা দিলেও কম্বল মুড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার মা সেটা শুনতে না পাওয়ায় সৌখী তার মা-কে মেরেছিল।
১২৯.”সৌখীর মা আস্তে আস্তে উঠে দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।”- এই দাঁড়ানাের কারণ কী ?
উত্তরঃ দরজায় টোকা পড়ায় বন্ধ কপাটের ফাক দিয়ে বাইরের লােকটাকে দেখার চেষ্টা করবে বলেই সৌখীর মা দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
১৩০.“এতদিনে কি তাহলে দলের হতভাগাগুলাের মনে পড়েছে সৌখীর মায়ের কথা ?”– এই মনে পড়ার মাধ্যমে কী বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ জেলবন্দি সৌখীর দলের লােকেরা আগের মতােই মাসের টাকা দিয়ে যেতে এসেছে এমনটাই বােঝাতে চেয়েছে সৌখীর মা।
১৩১.”তারপর সব কথা আস্তে আস্তে বলা যাবে।”- সব কথা বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ দলের লােকের কথা না রাখা, সৌখীর স্ত্রী এবং ছেলের শরীর খারাপ ইত্যাদি কথার বিষয়ে বলা হয়েছে।
১৩২.”কতকাল হয়তাে জেলে খেতে পায় নি।”—কী খেতে না পাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ জেলে থাকাকালীন সৌখীর পছন্দের আলুচচ্চড়ি ভাত না খেতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১৩৩.সৌখী তার নতুন পাওয়া স্বাধীনতা কীভাবে উপভােগ করতে চেয়েছিল ?
উত্তরঃ সৌখী জেল থেকে মুক্তির পরে তার নতুন পাওয়া স্বাধীনতা বেলা বারােটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে উপভােগ করতে চেয়েছিল।

This Post Has One Comment

Leave a Reply