দুটি গানের জন্ম কথা | শব্দার্থ ও টিকা | অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর | Duti Ganer Jonmo Kotha Extra Question Answer Class 7 [WBBSE]

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

দুটি গানের জন্মকথা

কৃতজ্ঞতা : গানের পিছনে রবীন্দ্রনাথ / সমীর সেনগুপ্ত

জনগণমন অধিনায়ক জয় হে

জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।

জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে।

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি

আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,

মরি হায়, হায় রে—

ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি ॥
কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো—
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।
মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,

মরি হায়, হায় রে—

মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি ॥


আরো দেখো : সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর।


শব্দার্থ ও টিকা।

১. পান্ডুলিপি— একটি বই এর প্রথম খসড়া যা সাধারণত অপ্রকাশিত সংস্করণ।

২. অধিবেশন— সভা সমিতি ইত্যাদির সমাবেশ।

৩. নেতৃত্ব— পরিচালনা

৪. রিহার্সাল— অভিনয়ের মহড়া; তালিম, পূর্বাভিনয়।

৫. মাঘোৎসব— মাঘ মাসের উৎসব

৬. প্রস্তাব— আলোচ্য বিষয়;

৭. উত্থাপিত— উত্থাপন করা হয়েছে এমন।

৮. অন্তর্যামী— যিনি অন্তরের কথা জানেন।

৯. ধাবিত— ছুটছে এমন

১০. অ্যাসেম্বলি সং— সমাবেশ সংগীত বা সমবেত সংগীত

• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১. ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটি প্রথম কবে দেওয়া হয়েছিল ? (২৮ ডিসেম্বর ১৯১১ / ২৭ ডিসেম্বর ১৯১২ / ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৪)।

উত্তরঃ ২৮ ডিসেম্বর ১৯১১

২. মদনপল্লীতে যেমন এইচ. কাজিন্স রবীন্দ্রনাথের সম্মানে যে সভার আয়ােজন করেছিলেন সেখানে তিনি ‘জনগণমন’ গানটির নামকরণ করেছিলেন—
(ক) অ্যাসেম্বলি সং অফ ইন্ডিয়া
(খ) দ্য ইভনিং সং অফ ইণ্ডিয়া
(গ) দ্য মর্নিং সং অফ ইণ্ডিয়া
(ঘ) দ্য ন্যাশনাল সং অফ ইণ্ডিয়া

উত্তরঃ (গ) দ্য মর্নিং সং অফ ইণ্ডিয়া।

৩. ‘গানের রিহার্সাল হয়েছিল ডাক্তার নীলরতন সরকারের হরিশচন্দ্রের বাড়িতে’— কে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ? ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর / গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর / দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

উত্তরঃ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪. ভারতের জাতীয় সংগীত প্রথম যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল—( কল্লোল পত্রিকা / তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা / দেশ পত্রিকা)।

উত্তরঃ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা।

৫. গানটি রচিত হয়েছিল সম্রাট (চতুর্থ / পঞ্চম / ষষ্ঠ) জর্জের ভারতে আগমন উপলক্ষ্যে।

উত্তরঃ পঞ্চম।

৬. গানটির রচনা উপলক্ষ জানতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখেছিলেন (ভানু দত্ত / দীনেশ চন্দ্র মজুমদার / পুলিনবিহারী সেন)।

উত্তরঃ পুলিনবিহারী সেন।

৭. আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি প্রথম গাওয়া হয়েছিল—(২৮ আগষ্ট ১৯১১ / ২৭ আগষ্ট ১৯১২ / ২৫ আগষ্ট ১৯০৫)।

উত্তরঃ ২৫ আগষ্ট ১৯০৫

৮. জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া গানগুলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন ( গিরিডিতে / জামশেদপুর / দার্জিলিং বাংলোতে)।

উত্তরঃ গিরিডিতে।

৯. আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি যে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে দেওয়া হয় ( ভারত / বাংলাদেশ / পাকিস্তান)।

উত্তরঃ বাংলাদেশ।

১০. স্বদেশী গানগুলো কোন আন্দোলনে বিপুল উদ্দীপনার সঞ্চার করেছিল ? (স্বদেশী আন্দোলন / বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন / কৃষক আন্দোলন )।

উত্তরঃ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন।

১১. রবীন্দ্রনাথ জেনিভা থেকে‌ রাশিয়া রান (১৯১১ / ১৯১৯ / ১৯৩০) সালে।

উত্তরঃ ১৯৩০

১২. ‘জনগণমন’ গানটিকে ‘ব্রহ্মসংগীত’ বলে পরিচয় দেওয়া হয় (তত্ত্ববোধিনী / দ্য বেঙ্গল / যুগান্তর) পত্রিকায়।

উত্তরঃ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায়।

১৩. রবীন্দ্রনাথ দক্ষিণ ভারত পরিক্রমায় যান (১৯১১ / ১৯১৯ / ১৯৩০) সালে।

উত্তরঃ ১৯১৯ সালে।

১৪.স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্র স্থাপিত হয় (১৯৭১ / ১৯৭২ / ১৯৭৬) সালে।

উত্তরঃ ১৯৭১ সালে।

১৫. রবীন্দ্রনাথ গিরিডি বসে (২২-২৩ / ২৩-২৪ / ২৪-২৫)টি গান রচনা করেন।

উত্তরঃ ২২-২৩ টি

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :প্রতিটা প্রশ্নের মান -১/২

১. ১৯১১ সালে জাতীয় কংগ্রেস-এর অধিবেশন কোথায় অনুষ্ঠিত হয় ?

উত্তরঃ কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেস-এর ২৬তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

২. রবীন্দ্রনাথের বিরোধীরা কী প্রচার করেছিলেন ?

উত্তরঃ রবীন্দ্রাথের বিরোধীরা প্রচার করেছিলেন যে ‘জনগণমন’ গানটি সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারতে আগমন উপলক্ষে রচিত।

৩. কত সালে রবীন্দ্রনাথ কোথা থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ জেনিভা থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন।

৪. কত সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হয় ?

উত্তরঃ ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র স্থাপিত হয়।

৫. ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি প্রথম কবে গাওয়া হয় ?

উত্তরঃ ১৯০৫ সালের ২৫ আগস্ট।

৬. ‘জনগনমন’ গানের রিহার্সাল কার বাড়িতে হয়েছিল ? এবং এর নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ডা. নীলরতন সরকারের হ্যারিসন রোডের বাড়িতে এর রিহার্সাল হয় এবং দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

৭. কোন্ পত্রিকা জনগনমন গানটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে ?

উত্তরঃ ‘দ্য বেঙ্গলি’ পত্রিকা গানটির ইংরেজি অনুবাদ সহ সংবাদ প্রকাশ করে।

৮. সরলা দেবী রবীন্দ্রনাথকে কী বলে সম্বোধন করতেন ?

উত্তরঃ রবিমামা বলে সম্বোধন করতেন।

৯. রবীন্দ্রনাথের কোন্ গানগুলি স্বদেশী গান বলে পরিচিত ?

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে গিরিডিতে থাকাকালীন ২২/২৩টি গান রচনা করেন। সেই গানগুলি স্বদেশী গান বলে পরিচিত।

১০. জেমস এইচ কাজিস কে ছিলেন ?

উত্তরঃ জেমস এইচ কাজিস ছিলেন দক্ষিণ ভারতের মদনপল্লীর থিয়সফিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বিশেষ বন্ধু।

১১. কে ‘জনগণমন’ গানটি রচনার উপলক্ষ্য জানতে কাকে চিঠি লেখেন ?

উত্তরঃ বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র পুলিনবিহারী সেন ‘জনগণমন’ গানটি রচনার উপলক্ষ্য জানতে ১৯৩৭ এর ২০ নভেম্বর রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লেখেন।

১২. সরলা দেবী তাঁর লেখায় কাকে কর্তা দাদামশাই বলে সম্বোধন করেছেন ?

উত্তরঃ সরলা দেবী রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কর্তাদাদামশাই বলে সম্বোধন করেছেন।

১৩. মাঝিদের কাছ থেকে সরলাদেবীর শোনা সুরে রবীন্দ্রনাথ কোন্ কোন্ গান রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ কোন আলোকে প্রাণের প্রদীপ, যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, আমার সোনার বাংলা প্রভৃতি গানগুলি তিনি সরলাদেবীর মাঝিদের কাছ থেকে শোনা সুরে রচনা করেন।

১৪. আমার সোনার বাংলা গানটির রচনা সম্পর্কে কী জানা যায় ?

উত্তরঃ সরলা দেবীর রচনা ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থে জানা যায় যে চুচুড়াতে থাকাকালীন সরলা দেবী মাঝিদের কাছ থেকে অনেক সুর সংগ্রহ করেন এবং এই গানটির কবি মাঝিদের নেওয়া সেই সুরেই রচনা করেন। প্রশান্তকুমার পাল অনুমান করেন বঙ্গভঙ্গের নির্দিষ্ট তারিখ জানার পর কবি তাৎক্ষণিক আবেগে গানটি রচনা করেন। ভক্তদের সূত্রে গানটি সমগ্র কলকাতায় ছড়িয়ে পড়ে।

(হাতে কলমে’র প্রশ্ন উত্তর।)

১. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ

১.১ ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটি কোন উপলক্ষ্যে প্রথম গাওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষ্যে জাতীয় সংগীতটি প্রথম গাওয়া হয়।

১.২ ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির কোন্‌ পরিচয় দেওয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীতটির পরিচয় দেওয়া হয়েছিল – ব্রহ্মসংগীত হিসেবে।

১.৩ রবীন্দ্রনাথ ‘জনগনমন’র যে ইংরেজি নামকরণ করেন সেটি লেখো।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ‘জনগমন’র যে ইংরেজি নামকরণ করেন, সেটি হল – ‘The Morning song of India’।

১.৪ ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি কী ? সেটি কার রচনা ?

উত্তরঃ ভারতবর্ষের জাতীয় মন্ত্রটি হল – বন্দেমাতরম্। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা।

১.৫ জাতীয় মন্ত্রের প্রথম চারটি পঙ্‌ক্তি শিক্ষকের থেকে জেনে খাতায় লেখো।

উত্তরঃ জাতীয় মন্ত্রের প্রথম চারটি পঙ্‌ক্তিটি হল – “বন্দেমাতরম্‌ সুজলাং সুফলাং মলয়জ-শীতলাং শস্য-শ্যামলাং, মাতরম্‌।”

২. টীকা লেখোঃ

জাতীয় সংগীতঃ জাতীয় সংগীত একটি দেশের সার্বিক ঐক্য এবং ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বিশ্বের প্রত্যেক দেশের একটি জাতীয় সংগীত আছে। আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত রবীন্দ্রনাথের লেখা। অবশ্য ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫-ই আগস্টের আগে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম্’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা হত।

মঘোৎসবঃ মাঘ মাসে পালিত উৎসব। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে মাঘ মাসে এই উৎসব পালিত হত। এই উৎসব উপলক্ষে প্রতিবার ঠাকুরবাড়ি সেজে উঠত। বাড়ির সদস্যরা নাচ, গান, নাটক করত। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন লেখার এই উৎসবের কথা আছে।

বিশ্বভারতীঃ বিশ্বভারতী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের কাছে এটি আজ স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। শান্তিনিকেতনের মতো এটিও ভারত-সহ বিশ্ববাসীর কাছে অতি পবিত্র।

পুলিনবিহারী সেনঃ দেশসেবক ও সুচিকিৎসক। খ্যাতনামা রবীন্দ্র-বিশারদও বটে। প্রবাসী পত্রিকার সম্পাদকরূপে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা হয়। বহু পুরস্কারে ভূষিত এই মানুষটি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।

নীলরতন সরকারঃ নীলরতন সরকার (Nilratan Sircar) একজন প্রবাদ প্রতিম ভারতীয় বাঙালি চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ যিনি বাংলার বহু শিক্ষা এবং গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানের উন্নতিকল্পে জড়িত ছিলেন। তাঁর নামেই কলকাতার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ ও হসপিটাল প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালিদের মধ্যে ডাক্তারি শিক্ষার প্রসারে নীলরতন সরকারের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তাঁর সারাজীবনের স্বীকৃতি স্বরূপ ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ’ হিসেবে নামাঙ্কিত করা হয়।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ

৩.১ জনগনমন-কে জাতীয় সংগীত রূপে গ্রহণ করতে বিরোধিতা হয়েছিল কেন ? রবীন্দ্রনাথের ব্যাখ্যায় সেই বিরোধিতার অবসান কীভাবে ঘটেছিল ?

উত্তরঃ জনগণমনকে জাতীয় সংগীতরূপে গ্রহণ করতে বিরোধিতা হয়েছিল। কারণ- রবীন্দ্রবিরোধীরা মনে করতেন, এই গানটি পঞ্চম জর্জের ভারতে আগমন উপলক্ষ্যে রচিত। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ব্যাখ্যায় এই ধারণার অবসানও হয়। তিনি জানান গানটি লেখার কারণ, তাঁর এক বন্ধুর অনুরোধ। অবশ্য ওই বছর ভারত সম্রাটের আগমনের আয়োজন চলছিল। বন্ধুর অনুরোধ তাঁকে বিস্মিত করে। তিনি প্রবল প্রতিক্রিয়ায় ভারতভাগ্যবিধাতার জয় ঘোষণা করেন। আর এই বিধাতা কোনো পঞ্চম বা ষষ্ঠ জর্জ নন। তিনি জনগণের অন্তর্যামী, পথপরিচায়ক। ব্যাপারটি রবীন্দ্রনাথের রাজভক্ত বন্ধুও উপলব্ধি করেন।

৩.২ “রবীন্দ্রনাথ গানটিকে পরেও নানা উপলক্ষ্যে ব্যবহার করেছেন।”— ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ কীভাবে এই গানটি ব্যবহার করেন ?

উত্তরঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পর রবীন্দ্রনাথ গানটিকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। কখনও ব্রহ্মসংগীত হিসেবে আবার কখনও বা The morning song of India হিসেবে। গানটির সুর ও অর্থগৌরব উপলব্ধি করে থিয়োসফিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ গানটিকে প্রতিদিনের অ্যাসেম্বলি সং বা বৈতালিকরূপে চালু করে। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে জেনিভা সফরের পর রাশিয়াতে গিয়েও তিনি সেখানকার অনাথ বালক-বালিকাদের এই গানটি নিজে গেয়ে শুনিয়েছিলেন।

📌আরও পড়ুনঃ

📌 সপ্তম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | All Subject Unit Test Question Paper Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

This Post Has One Comment

Leave a Reply