এক ভূতুরে কান্ড
—শিবরাম চক্রবর্তী
বিষয় সংক্ষেপ : লেখকের জীবনের রাঁচির সরকারি রাস্তায় একটা অদ্ভুত ঘটনার বিবরণ এই গল্পে বর্ণনা করা হয়েছে।
ভূত লেখককে কোনােদিন দেখা দেননি। দিলেও লেখক তাদের দেখতে পারতেন না। ভূত নিয়ে লেখকের না আছে মােহ না আছে ইচ্ছা। পরের একটা সাইকেল পেয়ে রাঁচি থেকে কিছু দূরে লেখক হুড়ু ফসল দেখতে গিয়েছিলেন।
সাত মাইল পথ অতিক্রম করার পর তার সাইকেলের টায়ার একটা ফেঁসে গেল। আরও মাইল পাঁচেক যেতে পারলে গাঁয়ের মতাে একটা পাওয়া যেত।
অবশেষে রাচিমুখী একটি লরি দেখা গেলেও সে সামনে এসে না থেমে চলে গেল। এরফলে তিনি অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। আবার বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা একটি বেবি অস্টিন দেখতে পেলেন। সেটিকে থামানাের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে লাগলেন। গাড়িটির গতিমন্থর ছিল কিন্তু দাঁড়াল না। তখন তিনি দৌড়ে গিয়ে সেই চলন্ত গাড়িতে উঠলেন
∆ অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্তর MCQ
১. লেখকের মতে ভুতেরা হল খুব—
(ক) বুদ্ধিমান (খ) সিরিয়াস (গ) নটি
(ঘ) উইকেড
উত্তরঃ (ঘ) উইকেড।
২. লেখক একটা অদ্ভুদ ব্যাপার দেখেছিলেন—
(ক) রাঁচিতে (খ) ঢাকায় (গ) কলকাতায়
(ঘ) পুণেতে
উত্তরঃ (ক) রাঁচিতে।
৩. মাইল ________ না-যেতেই তার একটা টায়ার ফেঁসে গেল।
(ক) পাঁচেক (খ) সাতেক (গ) দুয়েক
(ঘ) চারেক
উত্তরঃ (খ) সাতেক।
৪. তখন লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায় তখনও—
(ক) সকাল হয়নি (খ) ভোর হয়নি
(গ) রাত্রি হয়নি (ঘ) সন্ধে হয়নি
উত্তরঃ (ঘ) সন্ধে হয়নি
৫. এক ভূতুড়ে কান্ড গল্পে লরিটি যাচ্ছিল—
(ক) রাঁচির দিকে (খ) গিরিডির দিকে
(গ) ঝাড়খন্ডের দিকে (ঘ) কলকাতার দিকে
উত্তরঃ (ক) রাঁচির দিকে।
৭. এক ভূতুড়ে কান্ড গল্পে লেখক বিপদে পড়েছিলেন—
(ক) শীত কালে (খ) গ্রীষ্ম কালে
(গ) বর্ষা কালে (ঘ) শরৎ কালে
উত্তরঃ (ক) শীত কালে।
৮. লরির পরে রাস্তা ধরে এসেছিল __________ গাড়ি।
(ক) অ্যামবাসাডার (খ) অল্টো (গ) ফিয়েট
(ঘ) বেবি অস্টিন
উত্তরঃ (ঘ) বেবি অস্টিন।
৯. কথকের সাইকেলটা রাস্তার ধারে—
(ক) চিৎ হয়ে থাকল
(খ) ধরাশায়ী হয়ে থাকল
(গ) সোজা হয়ে থাকল
(ঘ) উবু হয়ে থাকল
উত্তরঃ (খ) ধরাশায়ী হয়ে থাকল।
১০. _________ সঙ্গে আমি কোনোদিনই পারি না।
(ক) পরিশ্রমের (খ) যুক্তির (গ) আলস্যের
(ঘ) তর্কের
উত্তরঃ (গ) আলস্যের।
১১. ‘দুটো হলদে রঙের চোখ’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
(ক) বাঘের চোখকে
(খ) বেবি অস্টিনের লাইটকে
(গ) বাসের লাইটকে
(ঘ) লরির লাইটকে
উত্তরঃ (খ) বেবি অস্টিনের লাইটকে।
১২. কত দূর থেকে ড্রাইভারটি তার গাড়ি ঠেলে নিয়ে আসছিল ?
(ক) সাতমাইল (খ) আট মাইল
(গ) নয় মাইল (ঘ) দশ মাইল
উত্তরঃ (খ) আট মাইল।
১৩. রেললাইনের লেভেল ক্রসিং থেকে লোকটির
বাড়ি পৌঁছতে লাগে—
(ক) মিনিট দুয়েক (খ) এক মিনিট
(গ) দু-মিনিট (ঘ) মিনিট তিনেক
উত্তরঃ (খ) এক মিনিট।
হাতে কলমে’র প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম কী ?
উত্তরঃ শিবরাম চক্রবর্তীর পোশাকি নাম চঞ্চল।
১.২ তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত বইয়ের নাম ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ এবং ‘হাসির টেক্কা’।
২. নীচের বাক্যগুলি কী ধরনের (সরল/ যৌগিক/জটিল) তা নির্দেশ করে।
২.১ ভূত বলে কিছু আছে ?
উত্তরঃ সরলবাক্য।
২.২ যেখানে সন্ধে সেইখানেই সাইকেলের টায়ার ফাসে।
উত্তরঃ জটিল বাক্য।
২.৩ একটা পরস্মৈপদী সাইকেল হাতে পেয়ে হুডুর দিকে পাড়ি জমিয়েছিলাম, কিন্তু মাইল খানেক না যেতে যেতেই তার একটা টায়ার ফেসে গেল।
উত্তরঃ যৌগিক বাক্য
২.৪ আমার টর্চবাতিটা জ্বালিয়ে নিয়ে প্রাণপণে ঘােরাতে লাগলাম।
উত্তরঃ সরলবাক্য।
২.৫ যেখানটায় ড্রাইভার, থাকবার কথা সেখানে কেউ নেই।
উত্তরঃ জটিলবাক্য।
৩. নীচের বাক্যগুলিতে কী কী অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে লেখাে :
৩.১ সাইকেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে।
উত্তরঃ করে।
৩.২ কয়েক মিনিট বাদে সেখান থেকে নামলাম।
উত্তরঃ থেকে।
৩.৩ তার চেয়ে বাঘের পেটের মধ্যে দিয়ে স্বর্গে যাওয়া ঢের শর্টকাট।
উত্তরঃ চেয়ে, দিয়ে।
৩.৪ আপনা থেকেই আমার মুখ দিয়েই বেরিয়ে গেল।
উত্তরঃ থেকেই, দিয়েই।
৪. নীচের বাক্যগুলিকে কর্তাখণ্ড ও ক্রিয়াখণ্ডে ভাগ করো :
৪.১ আসতে আসতে গাড়িটা আমার সামনে এসে পড়ল।
৪.২ দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে ঢুকে পড়লাম ভিতরে।
৪.৩ চিরদিনই আমি আশাবাদী।
৪.৪ এগিয়ে এস বললেন ভদ্রলোক।
উত্তরঃ
কর্তাখণ্ড | ক্রিয়াখণ্ড |
৪.১ আসতে আসতে গাড়িটা আমার | সামনে এসে পড়ল। |
৪.২ দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে | ঢুকে পড়লাম ভিতরে। |
৪.৩ চিরদিনই আমি | আশাবাদী। |
৪.8 ভদ্রলোক | এগিয়ে এসে বললেন। |
৫. নীচের বাক্যগুলির মধ্যে থেকে সন্ধিবদ্ধ শব্দ বেছে নিয়ে সন্ধিবিচ্ছেদ করো।
৫.১ কিন্তু গাড়িটার থামবার কোনো লক্ষণ নেই।
উত্তরঃ কিন্তু— কিম্ + তু
৫.২ আমার পাশ কাটিয়ে যাবার দুর্লক্ষণ দেখে আমি মরিয়া হয়ে উঠলাম।
উত্তরঃ দুর্লক্ষণ = দুঃ+লক্ষণ।
৫.৩ শেষ পর্যন্ত আস্তে আস্তে আসছিল গাড়িটা।
উত্তরঃ পর্যন্ত = পরি + অন্ত।
৫.৪ কাল সকালে উদ্ধার করা যাবে।
উত্তরঃ উদ্ধার = উৎ + হার।
৬. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
৬.১ ‘সাইবেল ঘাড়ে করে যেতে হলেই হয়েছে!’ লেখকের গন্তব্য কোথায়? সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে কেন?
উত্তরঃ লেখক শিবরাম চক্রবর্তী গন্তব্যস্থল ছিল রাঁচির হুড জলপ্রপাত।
মাইল সাতেক পথ অতিক্রম করার পর লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায়। তখন তিনি কীভাবে ফিরবেন সেটা বুঝতে পারছিলেন না। ফলে সাইকেল ঘাড়ে করে যাওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে।
৬.২ ‘যেখান বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়’—প্রবাদটির মর্মার্থ কী ? একই ভাব বোঝাতে তুমি আরেকটি প্রবাদ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ যেখানে বাঘের ভয় সেইখানেই সন্ধে হয়’—এই প্রবাদটির মর্মার্থ যেখানে বিপদ আর ভয় বিপদ এসে যায়।
এরকম আরেকটি প্রবাদ হল—’এগুলো সর্বনাশ পিছলে নির্বংশ।’
৬.৩ ‘চিরদিনই আমি আশাবাদী’ এই আশাবাদের গুণে লেখক কীভাবে পুরস্কৃত হলেন ?
উত্তরঃ লেখক চিরকালই আশাবাদী এই কারণে তার জীবনে বিপদ এলে তা থেকে মুক্ত হওয়ার একটি পথ তিনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
রাঁচি যাওয়ার পথে লেখকের সাইকেলের টায়ার ফেসে যায়। তিনি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেও কোনো যানবাহন পেলেন না। অবশেষে আশার আলো তিনি দেখলেন, একটি বেবি অস্টিন গাড়ি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসছিল। সেই গাড়িতে চেপে তিনি রাঁচির কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন। লেখকের আশাবাদ এইভাবে চরিতার্থ হয়েছিল।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১ অনর্থক কেবল টচটাকে আর নিজেকে টর্চার করা’—কোন্ ঘটনা প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিটির অবতারণা ? আর টিচার’ শব্দের প্রয়োগে যে শব্দ নিয়ে খেলা তৈরি হয়েছে, গল্প থেকে খুঁজে এমন কয়েকটি উদাহরণ দাও। তুমি নিজে এ জাতীয় কয়েকটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ একবার রাঁচির রাস্তায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যাওয়ায় লেখক খুব বিপদে পড়েন। তখন তিনি ফেরার জন্য গাড়ির অপেক্ষায় রইলেন। কিন্তু কোনো গাড়ির দেখা পেলেন না। এমন সময় একটা লরি এলেও সে লেখকের টর্চের সংকেতবে উপেক্ষা করে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে লেখক উদ্ধৃতিটির অবতারণা করেছেন।
উদাহরণগুলি হল—(১) রাজপথ না হলেও সেটা বেশ দরাজ পথ। (২) অঘটনগুলো ঘটবে না। (৩) এসপার ওসপার যা হোক। (৪) পেরে লুলভ। লাভ তো ডিমের। (৫) হুশ হুশ করে ট্রেনটা চলে যাবার পর আমার হুঁশ হল।
৭.২ গল্প অনুসরণে সেই নির্জন বনপথে লেখকের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা নিজের ভাষায় বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ সারাংশ দেখে নিজে লেখো করো।
৭.৩ বাঘের দৃষ্টিভঙ্গি ওরকম উদার হতে পারে না।’- কোন্ উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে ? লেখকের কাছে সেই ‘দৃষ্টিভঙ্গি’ কতটা উদারতা নিয়ে এসেছিল, তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ এখানে ড্রাইভারহীন বিবল বেবি অস্টিন গাড়িটির উদার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলা হয়েছে। লেখক রাঁচির রাস্তায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যাওয়ার জন্য অন্য গাড়ির অপেক্ষায় অনেকক্ষণ ধরেছিলেন। অবশেষে বেবি অস্টিন গাড়িটি ধীর গতিতে ওই রাস্তার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। লেখক ওই গাড়িতে উঠে পাড়ে রাঁচিতে ফিরতে সমর্থ হয়েছিলেন। ওই গাড়িটার জন্য তিনি বিপদের হাত থেকে উদ্ধার পেলেন। সেই কারণেই বেবি অস্টিন গাড়ির দৃষ্টিভঙ্গি লেখকের কাছে বিশাল উদারতা নিয়ে এসেছিল।
৭.৪ ‘এই হয়ত সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ’-কোন্ সুযোগের কথা বলা হয়েছে ? লেখক কীভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগালেন ?
উত্তরঃ লেখক রাঁচি ফেরার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু কোনো যানবাহন পেলেন না। অবশেষে একটি বেবি অস্টিন গাড়ি ধীর গতিতে আসছিল। ওই ধীরগতিসম্পন্ন বেবি অস্টিন গাড়িতে চেপে রাঁচি পৌঁছানোর সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
লেখক গাড়িটির কাছে এগিয়ে গিয়ে দরজার হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে গাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লেন। কায়দা করে কোনো গতিতে তিনি গাড়িতে উঠে পড়লেন। তিনি মনে করলেন এই হয়তো সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ।
৭.৫ ‘আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকলাম’– লেখক কেন তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন ?
উত্তরঃ লেখক রাঁচির রাস্তায় বেবি অস্টিন গাড়ি পেয়ে তাতে উঠে পড়লেন। গাড়িতে উঠে নিজের গন্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়ে বিস্ময়ে ভয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তিনি দেখলেন ড্রাইভারের সিটে কেউ নেই। ইঞ্জিন বিকল অথচ গাড়িটি ধীরে ধীরে ঠিকপথে চলছিল। এই ঘটনা দেখে লেখক তাঁর কথা অসমাপ্ত রেখে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন।
৭.৬ ‘বে-ড্রাইভার গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগল’—’বে-ড্রাইভার গাড়ি’ গাড়ি চলার প্রকৃত কারণটি কীভাবে গল্পে উন্মোচিত হল?
উত্তরঃ লেখক রাঁচির রাস্তায় বেবি অস্টিন গাড়িতে উঠে দেখলেন গাড়িতে কোনো ড্রাইভার নেই। ঘণ্টা দুয়েক গাড়িটা চলার পর লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে যখন প্রায় রেল লাইনের সামনে এসে পড়েছে তখন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় লেখক গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন। এমন সময় চশমা পরা একজন লোক মোটরের পেছন থেকে এসে লেখককে গাড়িটা ঠেলতে অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় তিনি আটমাইল দূর থেকে গাড়িটা ঠেলতে ঠেলতে আসছেন। এইভাবেই ‘বে-ড্রাইভার গাড়ি’ চলার প্রকৃত কারণ উন্মোচিত হল।
৭.৭ “এবারও আমার আলস্য জয়ী হলো শেষটায়।’—গল্প অনুসরণে লেখকের উৎকণ্ঠা, আলস্য ও কর্মতৎপরতার দৃষ্টান্ত দাও।
উত্তরঃ লেখক বেবি অস্টিন গাড়ির দেখা পেয়ে খুব উৎফুল্ল হয়েছিলেন কারণ তাঁর কাছে সেই সময় একটি যানবাহনের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। তিনি গাড়িতে উঠে নিজের গর্তব্যস্থলের কথা বলতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলেন কারণ ড্রাইভারের সিটে কেউ নেই অথচ গাড়ি চলছে।
লেখকের উৎকণ্ঠার দৃষ্টান্ত—প্রাণের মায়া ছেড়ে সেই ভূতুড়ে গাড়িকেই আশ্রয় করে রইলেন।
আলস্যের দৃষ্টান্ত—লেখক নেমে হেঁটে যাবার চেষ্টা করেননি। ফলে তাঁর আলস্যই জয়ী হয়েছিল।
কর্মতৎপরতার দৃষ্টান্ত—রেলগাড়ি আসার শব্দ শোনামাত্র লেখকের চমক ভাঙল এবং তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন বিপদের আশঙ্কায়।
৭.৮ শেষ পর্যন্ত লেখক সেই ‘বেবি অস্টিন’ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন কেন ? এরপর তিনি কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন ?
উত্তরঃ ভূতুড়ে গাড়ি করে লেখক যখন শেষ পর্যন্ত স্টেশনের কাছে লেভেল ক্রসিং পেরুলেন তখন রেললাইনের কাছে গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ শুনে নিজের প্রাণ বাঁচাতে তিনি বেবি অস্টিন গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর গাড়ির পিছন থেকে চশমা পড়া এক ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। যিনি গাড়িটাকে আটমাইল দুর থেকে ঠেলতে ঠেলাতে নিয়ে আসছিলেন। তিনি লেখককে অনুরোধ করলেন হাত লাগিয়ে গাড়িটাকে ঠেলার জন্য যাতে তিনি গাড়িটাকে গম্ভবাঝলে নিয়ে যেতে পারেন। এরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন লেখক।