ব্যাখ্যাধর্মী সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণি বাংলা | Gyanchokkhu (SAE) Short and Explanatory Question and Answer Class 10 Bengali wbbse

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

ব্যাখ্যাধর্মী সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণি বাংলা | Gyanchokkhu (SAE) Short and Explanatory Question and Answer Class 10 Bengali wbbse 

জ্ঞানচক্ষু
—আশাপূর্ণা দেবী

1. দশম শ্রেণির জ্ঞানচক্ষু গল্পের সমস্ত ধরণের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. দশম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. দশম শ্রেণির বাংলা সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট Click Here

ব্যাখ্যাধর্মী সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণি বাংলা | Gyanchokkhu Golper Short and Explanatory (SAE) Question Answer Madhyamik (Class 10) wbbse

• প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩

১. “যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”- ‘আহ্লাদ’ হবার কথা ছিল কেন ? ‘আহ্লাদ খুঁজে না পাওয়ার’ কারণ কী ? ১+২ [মাধ্যমিক ২০১৯]

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে নিজের লেখা গল্প ছাপা হলে তপনের আহ্লাদ হবার কথা ছিল।

তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানো হলে একসংখ্যা পত্রিকা সঙ্গে নিয়ে নতুন মেসো তপনদের বাড়িতে আসেন। কিন্তু বাড়ির সকলে তপনের প্রশংসা না করে তার নতুন মেসোর প্রশংসা করেছিল। কারণ, তিনি নাকি গল্পটা অল্পবিস্তর ‘কারেকশন’ করেছিলেন এবং তার পরিচিতির জন্যই গল্পটা ছাপা হয়েছিল। এইসব কথার জন্য তপন কোনো আহ্লাদ খুঁজে পায়নি।

২. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।”– এমন উক্তির কারণ কী ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের মনে হয়েছিল “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”।

তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর লেখক। সে তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিল। নিজের লেখা গল্প পড়ে তপন নিজেই আশ্চর্যচকিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার গল্পের মূল্য অন্য কেউ বুঝবে কি না এবিষয়ে তার সন্দেহ ছিল। তবে, নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক তাই তিনি তপনের গল্পের মূল্য বুঝবেন। এইজন্য একথা বলা হয়েছে।

৩. “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ?” – কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ? কেন বলা হয়েছে ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে যখন তপনের নতুন মেসো একসংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে এসেছিল, তখন তপনের এরকম মনে হয়েছিল।

তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর লেখক। তপনের স্বপ্ন ছিল যে তার লেখা গল্প একদিন ছাপানো হবে। তবে, সেই স্বপ্ন যে এত সহজে পূরণ হওয়ার নয়, এটাও সে জানত। তার লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে, এটাই তপনের কাছে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছিল।

৪. “এর মধ্যে তপন কোথা ?” – কীসের মধ্যে তপন ছিল না ? এরকম মন্তব্যের কারণ কী ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে দেখা যায় যে তপনের নিজের লেখা গল্পে সে নিজেই ছিল না। অর্থাৎ, সেই গল্পে কোথাও তপনের নিজের হাতের ছোঁয়া ছিল না।

তপনের লেখা প্রথম গল্পটি তার নতুন মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গল্পটি তিনি এমনভাবে কারেকশন করেছিলেন যে সেই গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের কাছে আনকোরা মনে হয়েছিল। এইজন্য বলা হয়েছে যে সেই গল্পের মধ্যে কোথাও তপন ছিল না।

৫. “তপনের মাথায় ঢােকে না- সে কী পড়ছে।” – তপন কী পড়ছিল? তা পড়ার সময় কেন তার মাথায় ঢোকেনি ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত তার নিজের লেখা গল্প পড়ছিল।

তপনের নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক তাই অনেক পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে তার পরিচিতি ছিল। তিনি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে বলে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাপার অক্ষরে নিজের গল্প পড়তে গিয়ে তপন বুঝতে পারে যে তার লেখক মেসো কারেকশনের নাম করে তার গল্পটা আগাগোড়া পাল্টে ফেলেছিলেন। এইজন্য তপনের মাথায় ঢােকে না সে কী পড়ছে।

৬. ‘সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়’— সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ : প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তপনের লেখা গল্প। ছেপে বেরোলে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায়—তপনের কাচা হাতের গল্পটিকে মেসো সংশোধন করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে সন্ধ্যাতারা সম্পাদককে দিয়ে প্রকাশ করিয়েছেন। জীবনের প্রথম গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে অনাবিল উত্তেজনায় তপন আনন্দে মাতোয়ারা হয়। আর সেই খবরে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।

৭. “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথা, ওই কথা ছড়িয়ে পড়ায় কী ঘটেছিল?

উত্তরঃ কারেকশানের কথাঃ তপনের প্রকাশিত গল্পটি আসলে ছোটো মেসোমশাই কিছুটা কারেকশান করে দিয়েছেন—এই কথাটা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতে।

মেসোর মহত্তের কথাঃ ছোটো মেসোমশাই-এর কারেকশানের কথা বাড়ির সবাই জেনে গেলে তপনের গল্প লেখার কৃতিত্ব খানিকটা কমে যায়। তপনের বাবা, কাকা, ছোটো মেসোমশাই-এর হাতের ছোঁয়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। সেদিন পারিবারিক আলোচনায় তপনের গল্পের কথা উঠলেও নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথা ঘুরে ফিরে আসে।

৮. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।— কোন বিষয়ে কেন তপনের সন্দেহ ছিল ?

উত্তরঃ তপনের সন্দেহ নিরশন : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামক গল্প থেকে অংশটি গৃহীত হয়েছে। তপন জানত না যে, লেখকরা তার বাবা, কাকা কিংবা মামার মতো একজন সাধারণ মানুষ। তার সন্দেহ দূর হয় ছোটো মেসোমশাইকে দেখে। তিনি একজন লেখক। কিন্তু অন্য সাধারণ মানুষের মতো দাড়ি কামান। সিগারেট খান, খাবার অতিরিক্ত হলে ফিরিয়ে দেন, স্নান করেন, ঘুমোন। এমনকি আর সকলের মতো খবরের কাগজের খবর নিয়ে গল্প কিংবা তর্ক করেন। অবসর সময়ে সিনেমা দেখেন কিংবা বেড়াতেও বের হন। এসব দেখে তপনের সন্দেহ দূর হয় ও সে বিশ্বাস করে লেখকরাও সাধারণ মানুষ।

৯. ‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন।’— কী কারণে তপনের এরূপ মনে হয়েছিল ?

উত্তরঃ তপনের দুঃখের দিন মনে হওয়ার কারণঃ তপনের প্রথম লেখা গল্পটি নতুন মেসোমশাই-এর সুপারিশে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছাপা গল্পটি পাঠ করে তপন। অবাক হয়ে যায়। কারণ তার নতুন মেসোমশাই গল্পটিকে ঠিকঠাক করতে গিয়ে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন। ছাপানো গল্পের মধ্যে তপন নিজেকে খুঁজে পায় না। তার মনে হয় অন্য কারোর লেখা ছাপা হয়েছে। শ্রী তপন কুমার রায় নাম দিয়ে। নিজের সৃষ্টিকে পরিবর্তিত হতে দেখে তপনের মন বেদনায় ভরে ওঠে।

১০. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’— কীসের নেশা, কীভাবে তাকে নেশায় পেয়েছে?

উত্তরঃ লেখার নেশাঃ আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।

লেখার প্রতি আসক্তিঃ তপন একজন সাহিত্য প্রেমী বালক। গল্প লেখা ও সেগুলি ছাপা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে তার প্রচণ্ড কৌতূহল ছিল। মাসির বিয়ের পর লেখক মেসোমশাইকে খুব কাছ থেকে দেখতে পায় এবং গল্প লেখার রহস্যও তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। তপন একটি গল্প লিখে ছোটোমাসিকে দেখালে মাসি সেটা মেসোমশাইকে দেখায়। তখন তিন সেটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে আরও উৎসাহিত হয়ে তপন একের পর এক গল্প লেখার নেশায় মগ্নহয়ে ওঠে।

১১. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”— কখন এবং কেন তপনের এরকম অনুভূত হয়েছিল ?

উত্তরঃ তপনের অনুভূতিঃ পুজোর ছুটির অনেকদিন পর ছোটোমাসি আর মেসোমশাই হাতে একখানা সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেই দিন তপনের এইরকম অনুভূতি হয়েছিল। সাহিত্য রচনা এবং প্রকাশ সম্পর্কে তপনের দারুণ কৌতুহল ছিল তাই ছােটো মেসোমশাই তার লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য যখন নিয়ে গিয়েছিলেন তখন তপন উৎসাহিত হয়। তবে অপেক্ষা করতে করতে তপন গল্প। প্রকাশের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। ঠিক এই সময় ছোটো মাসি আর মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসায় তার গল্প প্রকাশের আবেগ উৎকণ্ঠায় তপনের এরকম অনুভূতি হয়েছিল।

১২. ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছে।’— রত্ন এবং জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামাঙ্কিত গল্পে রত্ন বলতে তপনের লেখা গল্পটিকে এবং জহুরি বলতে তপনের ছোটো মেসোকে বোঝানো হয়েছে।

তপন যে গল্পটি লিখেছিল তা দেখে তার ছোটো মাসি যথেষ্ট ভালো বললেও প্রকৃত বিচারকের রায় দরকার ছিল তপনের। আর এই বিষয়ে লেখক হিসাবে পরিচিত তার ছোটোমেসো যে যোগ্য ব্যক্তি তাতে কারো সন্দেহ থাকতে পারে না। তাই রত্নের মূল্য ও গুরুত্ব যেমন একজন জহুরি সবথেকে ভালো বোঝেন। তেমনই তপনের গল্পের কদরও ছোটোমেসোই বুঝতে পারবে।

১৩. নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।’- ‘জ্ঞানচক্ষু’ বলতে কী বোঝ ? তা কীভাবে তপনের খুলে গিয়েছিল ? ১+২=৩

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে, যার সাহায্যে মানুষ প্রকৃত সত্যকে যাচাই করে নিতে পারে।

একজন লেখক সম্পর্কে তপনের মনে যে ধারণা ছিল তা নতুন মেসোর সংস্পর্শে এসে ভেঙে যায়। লেখকরা যে তার বাবা, মামা ও কাকাদের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে সেটা সে প্রত্যক্ষ করে। তাদের মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে বসে খাবার তুলে দেন, পলিটিকাল তর্কও করেন-এসব দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। ও ভাবে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়, নিছক মানুষ।

১৪. ‘শুধু এ দুঃখের মুহর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।”— কোন দুঃখের মুহুর্তের কথা বলা হয়েছে। তপন কী সংকল্প নিয়েছিল ?

উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় নিজের ছাপা গল্প পড়তে গিয়ে যখন তপন বুঝল গল্পটি ছোটো মেসোমশাই আগাগোড়া কারেকশান করে দিয়েছেন। নিজের গল্পে নিজেকে না পেয়ে তপন খুব দুঃখ পেয়েছিল।

এই দুঃখের মুহূর্তে তপন সংকল্প করে, যদি কখনো নিজের লেখা ছাপতে দেয়, তবে কারো মাধ্যমে নয়, নিজে গিয়ে পত্রিকা অফিসে দিয়ে আসবে। যদি তাতে তার গল্প ছাপা না হয় তবুও। কারণ কেউ সুপারিশ করে তার লেখা ছেপে দিয়েছে এমন কথা যেমন অপমানের, তেমনই কষ্টের। নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া খুবই কষ্টকর।

১৫. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”– কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। ছোটো মেসোমশাই একজন লেখক এ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।

তপনের ধারণা ছিল লেখকরা বোধ হয় অন্য জগতের মানুষ। তাই একজন লেখককে সামনে থেকে দেখা তার কাছে এক স্বপ্নপূরণের মতো। ছোটোমেসো বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় শুনে তপনের চোখ স্বাভাবিকভাবেই মার্বেলের মতো হয়ে গিয়েছিল। একজন ‘সত্যিকার লেখক’-কে যে এভাবে সামনে থেকে দেখা সম্ভব সেটাই তপনের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল।

১৬. “আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন।”– কোন্ সুযোগে তপন কী দেখতে পাচ্ছে ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে তপনের আসা এবং গরমের ছুটি থাকায় মামার বাড়িতে থেকে যাওয়াকেই সুযোগ বলা হয়েছে।

গরমের ছুটি থাকায় বিয়ের পর-পরই ছোটো মেসোমশাইও নতুন শ্বশুরবাড়িতে কয়েকদিন কাটাচ্ছিলেন। তিনি একজন লেখক। এর আগে কোনো লেখককে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি তপনের। লেখকরা যে আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়, নিতান্তই সাধারণ মানুষ, তা এভাবেই প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয় তপনের।

১৭. “তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”– মাসি কেন হইচই করছিলেন এবং তাতে তপনের পুলকিত হওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। তপনের লেখা গল্পটা হাতে পেয়ে ছোটোমাসি তপনকে উৎসাহিত করার জন্য হইচই শুরু করে দিয়েছিল।

তপনের ছোটোমাসি গল্পের কিছুটা অংশ পড়ে তপনের নতুন মেসোর হাতে দেয়। নতুন মেসো কলেজের অধ্যাপক এবং পাশাপাশি একজন লেখক। প্রথমে আপত্তি করলেও লেখক ছোটোমেসো অবশ্যই তার গল্পটার ভালোমন্দ বিচার করতে পারবেন এই ভাবনাতেই তপন রোমাঞ্চে পুলকিত হয়ে ওঠে।

১৮. “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।”– কোনটি, কেন মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে বক্তা মনে করেছে ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপানোর ব্যবস্থা করে দিলে সেটা ছোটোমেসোর উপযুক্ত কাজ হবে।

তপন একটা গল্প লিখেছিল। ছোটোমাসি সেই গল্পটি ছাপাবার উদ্দেশ্যে তপনের ছোটোমেসোর হাতে দেয়। মেসো গল্পটি পড়েন এবং বলেন যে, একটু কারেকশান করে দিয়ে সেটি ছাপতে দেওয়া চলে। তপনের উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে ছোটোমাসি তার স্বামীকে গল্পটি ছাপিয়ে দিতে অনুরোধ করে। এবং ছোটোমাসির মতে সেটাই হবে তার স্বামী অর্থাৎ তপনের ছোটোমেসোর উপযুক্ত কাজ।

১৯. “সবাই তপনের গল্প শুনে হাসে।”– কখন ? সবাই তপনের গল্প শুনে হাসলেও, তপনের ছোটোমেসো তাকে কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। বিকেলে চায়ের টেবিলে সকলে তপনের গল্প শুনে হেসেছিল।

ছোটোমেসো প্রশংসা করে বলেছিলেন যে, তপনের বয়সি সমস্ত ছেলে রাজারানির গল্প কিংবা খুন জখম, অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে গল্প লেখে। কিন্তু তপন এত অল্পবয়সেই চেনা গণ্ডির বাইরে বেরিয়েছে। রাজারানির গল্প, খুন-জখম-অ্যাকসিডেন্টের গল্প, না খেতে পেয়ে মরে যাওয়ার গল্প বাদ দিয়ে সে নিজের স্কুলে ভরতি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা এবং নিজের অনুভূতির বিষয়ে গল্প লিখেছে, যা প্রশংসার যোগ্য।

২০. “তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায়।”– কখন তপনকে এভাবে দেখা যায় এবং তপনের বিহ্বলতার কারণ কী ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। যখন তপনের গল্পটি নিয়ে বাড়িতে আলোচনা চলছিল এবং ছোটোমেসো তার লেখার প্রশংসা করছিলেন তখনই তপন বিহ্বল হয়ে গিয়েছিল।

আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে যে গল্পটি সে লিখেছিল, সেটি ছিল তার সৃষ্টিশীলতার প্রথম প্রকাশ। সেটি পত্রিকায় ছাপা হবে এই আশা তপনকে পুলকিত করেছিল। তাছাড়া তার নতুন মেসো তপনের লেখাটার এবং বিষয় নির্বাচনের প্রশংসা করেছিলেন। ‘ওর হবে।’ একজন প্রতিষ্ঠিত লেখকের মুখে নিজের এই প্রশংসা শুনে তপন আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়েছিল।

২১. “গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের”– তপনের গায়ে কখন এবং কেন কাঁটা দিয়ে উঠল ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। জীবনের প্রথম গল্পটি লিখে ফেলার পর তপন নিজে যখন সেটা পড়েছিল তখনই তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।

একদিন দুপুরে যখন চারিদিক নিস্তব্ধ, সে একটা খাতা আর কলম নিয়ে মামাবাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে বসে সারাদুপুর ধরে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্প লেখার পর সে নিজেই গোটা গল্পটা লিখেছে ভেবে অবাক হয়ে যায়। গল্প শেষ করার পর আনন্দে, উত্তেজনায় তপনের সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

২২. “তপনকে এখন ‘লেখক’ বলা চলে”– এ কথা মনে হওয়ার কারণ কী ? তপনের গল্পের নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। তপন ছোটোবেলা থেকে অনেক বই পড়ে গল্পে আগ্রহী হয়ে ওঠে। একদিন দুপুরে তপন তার বিদ্যালয়ে ভরতির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা গোটা গল্প লিখে ফেলে। একটা গোটা গল্প নিজে লিখে ফেলেছে, এ কথা ভেবে সে অবাক হয়ে যায়। তাই তখন তপনের মনে এই বিশ্বাস জন্মায় যে, তাকেও এখন লেখক বলা যেতে পারে।

২৩. “একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন।”– তপনের উত্তেজনার কারণ বর্ণনা করো। উত্তেজিত হয়ে তপন কী করেছিল ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। এক নির্জন দুপুরে মামার বাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে বসে তপন হোমটাস্কের খাতায় একটি গল্প লিখে ফেলে। গল্পটি পড়ে সে নিজেই অবাক হয়। নিজের যোগ্যতার প্রতি তার বিশ্বাস জন্মায়। সে সত্যিই একজন লেখক হতে চলেছে এই ভাবনাই তাকে উত্তেজিত করে।

উত্তেজিত তপন দ্রুত নীচে নেমে আসে এবং তার ‘চিরকালের বন্ধু’ ছোটোমাসিকে গল্প লেখার খবরটা দেয়।

২৪. “এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে…”– বাড়িতে তপনের কী কী নাম কেন প্রচলিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। তপনের বাড়িতে নাম হয়েছিল ‘কবি’, ‘সাহিত্যিক’, ‘কথাশিল্পী’।

তপন তার লেখক ছোটো মেসোমশাইয়ের থেকে বাহবা লাভের পর গল্প লেখার ব্যাপারে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠে। মেসোমশাই পত্রিকায় প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার গল্পটি নিয়ে গিয়েছিলেন। তারজন্যও তপনের কাতর অপেক্ষা চলতে থাকে। এদিকে তার লেখা গল্পটি বাড়িতে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। বাড়ির সদস্যরা খানিক মশকরা ও ঠাট্টা মিশিয়েই তপনের নামের সঙ্গে ‘কবি’, ‘সাহিত্যিক’, ‘কথাশিল্পী’ অভিধাগুলি জুড়ে দেন।

২৫. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”– কখন, কেন তপনের এই অবস্থা হয়েছিল ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে আলোচ্য অংশটি নেওয়া হয়েছে। মেসোর হাতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা দেখে তপনের এরূপ অবস্থা হয়েছিল।

তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তপন সেই অপেক্ষায় বসেছিল। তারপর একসময় সে ভুলেই গিয়েছিল গল্পটির কথা। এরপর হঠাৎই তার ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে এলেন। তপন মেসোর হাতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা দেখতে পেল। তার গল্প ছাপা হয়েছে-এই প্রত্যাশাতেই তার বুকের রক্ত যেন ছলকে উঠেছিল।

২৬. “আজ আর অন্য কথা নেই”– কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ? সেদিন অন্য কোনো কথা নেই কেন ?

উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে যেদিন তপনের ছোটোমাসি এবং ছোটোমেসো তপনের বাড়িতে আসেন এখানে সেই দিনের কথা বলা হয়েছে।

‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয়েছিল তপনের লেখা প্রথম গল্প ‘প্রথম দিন’। এ ঘটনায় বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। মেসোর কারেকশানের কথা ছড়িয়ে পড়ে। তপনের বাবা, তার মেেেজাকাকু-সহ গোটা বাড়ি তপনের গল্প আর তা প্রকাশে মেসোর ভূমিকা নিয়েই শুধু আলোচনা করে। তাই সেদিন সেখানে অন্য কোনো কথা ছিল না।

২৭. “তপন যেন কোথায় হারিয়ে যায় এইসব কথার মধ্যে।”– ‘এইসব কথা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তপনের হারিয়ে যাওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের গল্প প্রকাশের পরে মেসো সুকৌশলে প্রকাশ করে দেন তাঁর ‘কারেকশান’- এর কথা। সে কথাটাই এরপর ছড়িয়ে পড়ে সারা বাড়িতে। তপনের বাবা যাবতীয় কৃতিত্ব মেসোমশাইকেই দেন। তার মেজোকাকু বলেন যে, ওরকম মেসো থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করতেন। এমনকি তিনি না থাকলে তপনের গল্প সম্পাদক যে ছুঁয়েও দেখতেন না, সে-কথাও বলা হয়। ‘এইসব কথা’ তপনকে প্রভাবিত করে।

২৮. “…সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”– কার কথা বলা হয়েছে ? সেই আহ্লাদ না হওয়ার কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ভূত অংশে তপনের কথা বলা হয়েছে।

তপনের ছোটোমেসোর সহায়তায় ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হলে চারিদিকে সবাই মেসোর মহত্ত্বের কথাই বলতে থাকে। মেসো না থাকলে কোনোদিনই ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদক তপনের লেখা ছুঁয়েও দেখত না এরকম কথাও অনেকে বলে। এইসব কথার মাঝখানে আসল যে লেখক, সে-ই যেন কোথাও হারিয়ে যায়। তপনের যেন কোনো কৃতিত্বই নেই। এইসব দেখে লেখা ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়া উচিত ছিল তা হয় না তপনের।

২৯. “এতক্ষণে বইটা নিজের হাতে পায় তপন।”– কোন্ বইটার কথা বলা হয়েছে ? সেটি হাতে পেয়ে তপন কী দেখতে পেয়েছিল ?

উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ নামক পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল। বই বলতে এখানে ওই পত্রিকাকেই বোঝানো হয়েছে।

তীব্র উত্তেজনা আর কৌতূহল নিয়ে তপন পত্রিকাটির পাতা ওলটায়। কিন্তু পরক্ষণেই নিজের গল্প পড়তে গিয়ে সে চমকে ওঠে। গল্পের প্রতিটি লাইন তার কাছে সম্পূর্ণ নতুন মনে হয়। তার লেখার সঙ্গে ছাপার অক্ষরের কোনো মিল নেই। নিজের লেখা গল্পের মধ্যে সে আর নিজেকেই খুঁজে পায় না।

৩০. “তপন লজ্জা ভেঙে পড়তে যায়।” তপন তার লজ্জা কাটিয়ে কী পড়তে যায় এবং পড়তে গিয়ে সে কী দেখে?

উত্তরঃ তপন তার লজ্জা কাটিয়ে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের গল্পটি পড়তে থাকে।

বিদ্যালয়ে ভরতি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়ে তপন গল্পটি লিখেছিল। গল্পের নাম দিয়েছিল ‘প্রথম দিন’। এরপর তপনের মেসোমশাই গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। পত্রিকাটি হাতে পেয়ে তপনের মা তাকে লেখাটি পড়ে শোনাতে বলেন। পড়তে গিয়ে সে দেখে তার লেখাটা আগাগোড়াই ছোটোমেসো সংশোধন করেছেন। তার প্রত্যেকটা লাইন তপনের অপরিচিত, সেখানে সে নিজেকেই খুঁজে পায় না।

৩১. “সবাই শুনতে চাইছে তবু পড়ছিস না ?”– কী শুনতে চাওয়ার কথা বলা হয়েছে ? তা না পড়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটিতে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হওয়া তপনের গল্পটি শুনতে চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তপনের মা তপনকে সন্ধ্যাতারায় প্রকাশিত গল্পটা পড়ে শোনাতে বলেন। কিন্তু গল্পটি কিছুটা পড়ে তপন অবাক হয়ে যায়। গল্পটা এমনভাবে কারেকশান করা হয়েছে যে, তপন তার মধ্যে নিজের লেখা খুঁজে পাচ্ছিল না। সম্পূর্ণ নতুন একটা গল্প বলেই তার মনে হয়েছে সেটাকে। গভীর হতাশা আর দুঃখ তপনকে যেন নির্বাক করে দিয়েছিল। তাই সে গল্পটা আর পড়তে চায়নি।

৩২. “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন”।– ‘আজ’ বলতে কোন দিনকে বোঝানো হয়েছে ? তপনের এরকম মনে হওয়ার কী কারণ ছিল ?

উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি যেদিন তপনের বাড়িতে আসে এবং মায়ের কথায় সে সেখানে তার প্রকাশিত গল্পটি পড়তে যায়, সেদিনের কথাই এখানে বলা হয়েছে।

তপনের মনে হওয়ার কারণ: গল্প পড়তে গিয়ে তপন দেখে সংশোধনের নামে ছোটোমেসো সেই লেখার আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। তার নিজের লেখার সঙ্গে ছেপে আসা লেখার কোনো মিল নেই। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে। তার চোখে জল চলে আসে। যে দিনটি সবচেয়ে আনন্দের দিন হতে পারত, সেটিকেই তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়।

৩৩. “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”– কোন দুঃখের মুহূর্তের কথা বলা হয়েছে ? তপন গভীরভাবে কী সংকল্প করেছিল ?

উত্তরঃ নিজের লেখা হিসেবে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপন যখন অন্যের লেখা পড়েছিল সেটাই ছিল তার চরম দুঃখের মুহূর্ত।

তপনের গভীর সংকল্প: নিজের লেখা পড়তে গিয়ে তপন দেখে, মেসোমশাই আগাগোড়াই লেখাটা সংশোধন করে নিজের পাকা হাতে গল্পটি লিখে দিয়েছেন। অপমানে, লজ্জায় তপন প্রতিজ্ঞা করে যদি আর কোনোদিন লেখা ছাপানোর হয়, সে নিজে গিয়ে তা ছাপতে দেবে। না ছাপলেও ক্ষতি নেই, অন্তত নিজের নামে অন্য কারও লেখা তাকে পড়তে হবে না।

৩৪. “তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের।”– কার সম্পর্কে এ মন্তব্য ? ‘তার চেয়ে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন সম্পর্কে এ মন্তব্য। ‘তার চেয়ে’ কথার অর্থ: মা-র কথামতো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন দেখে গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের অপরিচিত। সংশোধনের নামে ছোটোমেসো গল্পটি নতুন করে লিখে দিয়েছেন। সেই গল্পের মধ্যে তার লেখার কোনো ছোয়াই ছিল না। নিজের লেখা পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার থেকে দুঃখের কিছু আছে বলে তপনের মনে হয় না। ‘তার চেয়ে’ কথাটিতে এই অপমানজনক বিষয়টির কথাই বোঝানো হয়েছে।

📌 আরও দেখুনঃ

1. মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্যসূচী ২০২৪-২৫ Click Here

2. মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ Click Here

3. মাধ্যমিক বিগত বছরের সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র | Madhyamik Previous Years Question Paper Click Here

4. মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি অনলাইন MCQ মক্ টেস্ট | Madhyamik Preparation MCQ Mock Test Click Here

📌 অন্যান্য বিষয় দেখুনঃ

1. দশম শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. দশম শ্রেণির ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

3. দশম শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

4. দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

5. দশম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

Leave a Reply