জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্নোত্তর মাধ্যমিক বাংলা | Gyanchokshu Story Question Answer Madhyamik Bengali WBBSE

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্নোত্তর মাধ্যমিক বাংলা | Gyanchokshu Story Question Answer Madhyamik Bengali WBBSE

মাধ্যমিক বাংলা সিলেবাস ২০২৫| দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যসূচী ২০২৫ | WBBSE Madhyamik Bengali Syllabus 2025

দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবই সমাধান | WBBSE Bengali Textbook Solution

দশম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট | WBBSE Madhyamik All Subject Unit Test Question Paper

মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ | WBBSE Madhyamik Exam Routine 2025

মাধ্যমিক বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমস্ত বিষয় | WBBSE Madhyamik All Subject Previous Year Question Paper

দশম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের মক্ টেস্ট | WBBSE Class 10 All Subject MCQ MOCK Test

জ্ঞানচক্ষু
আশাপূর্ণা দেবী

জ্ঞানচক্ষু MCQ প্রশ্নোত্তর – জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ প্রশ্নোত্তর (বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর) [প্রতিটি প্রশ্নের মান : ১]

• ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।

১. তপন কুমার রায়ের লেখা গল্পটির নাম-
(ক) প্রথম গল্প (খ) নিজস্ব অভিজ্ঞতা
(গ) প্রথম দিন (ঘ) নিজের লেখা।

উত্তরঃ (গ) প্রথম দিন

২. নতুন মেসোমশাই এর মূল পেশা হলো তিনি—
(ক) ডাক্তার (খ) উকিল (গ) লেখক
(ঘ) প্রফেসর।

উত্তরঃ (গ) লেখক।

৩. রত্নের মূল্য কে বোঝে ?
(ক) রত্নাকর (খ) জহুরি (গ) রত্ন ক্রেতা
(ঘ) রত্ন বিক্রেতা

উত্তরঃ (খ) জহুরি।

৪. তপনের যে আত্মীয়ের বিয়ে হয়েছিল তিনি সম্পর্কে তপনের—
(ক) ছোট পিসি (খ) ছোট মাসি,
(গ) বড় পিসি (ঘ) বড় মাসি।

উত্তরঃ (খ) ছোট মাসি।

৫. ছোট মাসি তপনের চেয়ে বড়—
(ক) বছর-দশেকের (খ) বছর সাতেকের
(গ) বছর পাঁচেকের (ঘ) বছর আষ্টেকের।

উত্তরঃ (ঘ) বছর আষ্টেকের।

৬. ‘জ্ঞানচক্ষু’ একটি—
(ক) বড় গল্প (খ) ছােটগল্প (গ) নাটক
(ঘ) গল্পিকা।

উত্তরঃ (খ) ছােটগল্প

৭. ‘বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে—
(ক) কবি সাহিত্যিক
(খ) কবি গল্পকার
(গ) কথাশিল্পি
(ঘ) কবি, সাহিত্যিক,কথাশিল্পী।

উত্তরঃ (ঘ) কবি, সাহিত্যিক,কথাশিল্পী।

৮. তপনের লেখা গল্পটি যে পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল—
(ক) শুক তারা। (খ) সন্ধ্যা তারা
(গ) আনন্দলােক (ঘ) সানন্দা।

উত্তরঃ (খ) সন্ধ্যা তারা

৯.তপনের সম্পূর্ণ নাম কী ছিল ?
(ক) তপন কুমার সেন
(খ) শ্রী তপন কুমার বিশ্বাস
(গ) তপন কুমার পাল
(ঘ) শ্রীতপন কুমার রায়।

উত্তরঃ (ঘ) শ্রীতপন কুমার রায়।

১০. ‘”আমি বললে ‘সন্ধ্যা তারা’র
সম্পাদক ‘না’ করতে পারবে না।” – ‘সন্ধ্যা
তারা’ হল একটি—
(ক) নক্ষত্র (খ) গ্রহ (গ) পত্রিকা
(ঘ) খবর কাগজ

উত্তরঃ (গ) পত্রিকা

১১. ‘ছোট মাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।’- সেই দিকে বলতে বােঝানাে হয়েছে—
(ক) তপনের দিকে (খ) নতুন মেসাের দিকে
(গ) মায়ের দিকে (ঘ) বাবার দিকে।

উত্তরঃ (খ) নতুন মেসাের দিকে।

১২. ‘গল্প যার হাতে চলে গেছে তিনি
হলেন—
(ক) প্রকাশক (খ) ছােট মেসাে
(গ) ছােট মাসি (ঘ) তপন।

উত্তরঃ (খ) ছােট মেসাে।

১৩.’না কি অতি আহ্লাদে বাক্য হরে গেল।’- এখানে ‘হরে গেল’ এই শব্দটির মানে হলো—
(ক) হেরে যাওয়া (খ) হারিয়ে যাওয়া
(গ) হরণ করা (ঘ) হৃষ্ট হওয়া।

উত্তরঃ (খ) হারিয়ে যাওয়া।

১৪. তপন দুপুর বেলায় কোথায় বসে গল্প লিখেছিলে ?
(ক) বাগানে বসে (খ) বৈঠকখানায়
(গ) ছাদে (ঘ) তিন তলার সিঁড়িতে।

উত্তরঃ (ঘ) তিন তলার সিঁড়িতে।

১৫. ‘জ্ঞানচক্ষু’ – এই গল্পটি লিখেছেন—
(ক) মহাশ্বেতা দেবী (খ) লীলা মজুমদার
(গ) নবনীতা দেবসেন (ঘ) আশাপূর্ণা দেবী।

উত্তরঃ (ঘ) আশাপূর্ণা দেবী।’

১৬. এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের’ – সন্দেহের বিষয়টি হলাে লেখকরা-
(ক) মানুষ (খ) লেখক (গ) কবি
(ঘ) গল্পকার।

উত্তরঃ (ক) মানুষ।

১৭.’তপন অবশ্য মাসির হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।’- এখানে পুলকিত শব্দটির অর্থ হল—
(ক) বিরক্ত (খ)বিস্মিত (গ) দুঃখিত
(ঘ) আনন্দিত।

উত্তরঃ (ঘ)আনন্দিত।

১৮. সকলের হাতে যেটি ঘুরতে থাকে
সেটি হল—
(ক) পত্রিকা (খ) হাতপাখা (গ) পান্ডুলিপি
(ঘ) ছবি।

উত্তরঃ (ক) পত্রিকা

১৯. ‘আমি বলছি তপনের হাত আছে।’ – হাত শব্দটি যে অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে, তা হল—
(ক) ছবি আঁকার দক্ষতা
(খ) গল্প লেখার দক্ষতা
(গ) সুন্দর হাতের লেখার দক্ষতা
(ঘ) কুস্তি লড়ার

উত্তরঃ (খ) গল্প লেখার দক্ষতা

২০. বাড়িতে এসে ছােটোমাসি খেয়েছিল ?
(ক) চাউমিন আর কফি
(খ) পাঁপড় আর চা
(গ) ডিমভাজা আর চা
(ঘ) বিস্কুট আর কফি

উত্তরঃ (গ) ডিমভাজা আর চা’

২১.’”ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।”- ‘ও কথাটি’ হলো—
(ক) গল্প লেখা
(খ) তপন একজন গল্প লেখক
(গ) কারেকশনের কথা
(ঘ) নতুন মেসোর তপনকে
সাহায্যের কথা।

উত্তরঃ (গ) কারেকশনের কথা

২২.’আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।’ – কথাটি বলেছেন—
(ক) বাবা (খ) ছোটমামা (গ) মেজ কাকু
(ঘ) বড় মেসো।

উত্তরঃ (গ) মেজ কাকু।

২৩. ছোট মাসি ডিম ভাজার সঙ্গে কী খায় ?
(ক) কফি (খ) চা (গ) আলু ভাজা (ঘ) দুধ।

উত্তরঃ (খ) চা।

২৪.’বাবা, তোর পেটে এত!’- কথাটি বলেছেন—
(ক) তপনের মা (খ) ছোট মাসি (গ) ছোটমামা
(ঘ) মেজ কাকু।

উত্তরঃ (ক)তপনের মা।

২৫.তপন ছাতে উঠে গিয়ে যা করে তা হল-
(ক) উদাস হয়ে থাকে
(খ) আকাশ দেখে
(গ) শার্টের তলাটা তুলে চোখ মোছে
(ঘ) হাসতে থাকে।

উত্তরঃ (গ) শার্টের তলাটা তুলে চোখ মোছে

২৬.‘অনেক বই ছাপা হয়েছে……’ — কার লেখা বই ছাপা হয়েছে –
(ক) তপনের লেখা বই
(খ) ছােটোমাসির লেখা বই
(গ) তপনের মেসােমশাইয়ের লেখা বই
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই

উত্তরঃ (গ) তপনের মেসােমশাইয়ের লেখা বই।

২৭. ‘আরে ব্যস, এত কখনো খাওয়া যায় ?’ – কথাটি কে বলেছিলেন ?
(ক) তপন (খ) ছােটো মেসাে
(গ) তপনের বাবা (ঘ) তপনের কাকা

উত্তরঃ (খ) ছােটো মেসাে।

২৮. তপন মামার বাড়িতে কার বিয়ে উপলক্ষ্যে এসেছে ?
(ক) ছোটো মামার বিয়ে
(খ) ছােটো মাসির বিয়ে
(গ) বড় দাদার বিয়ে
(ঘ) বড় দিদির বিয়ে

উত্তরঃ (খ) ছােটো মাসির বিয়ে ।

২৯. নিজের লেখা গল্প পড়ে তপনের যা হয়েছিল–
(ক) আনন্দে আপ্লুত হয়েছিল
(খ) গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল
(গ) চোখে জল এসে গিয়েছিল
(ঘ) গায়ে জ্বর এসেছিল।

উত্তরঃ (খ) গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।

৩০. তপন তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল –
(ক) সকালবেলা (খ) দুপুরবেলা
(গ) বিকেলবেলা (ঘ) রাত্রিবেলা

উত্তরঃ (খ) দুপুরবেলা।

৩১. ‘নতুন মেসোকে দেখে জানলে সেটা’ – জানার বিষয়টি হল–
(ক) মেসাে একজন লেখক
(খ) মানুষ-ই গল্প লেখে
(গ) তার গল্প ছাপা হবে
(ঘ) সে গল্প লিখতে পারে

উত্তরঃ (খ) মানুষ-ই গল্প লেখে।

৩২. তপনের গল্প হাতে পেয়ে ছােটো মেসােমশাই কী বলেছিলেন ?
(ক) গল্পটা ব্যাপক হয়েছে
(খ) এই গল্পটাই একটু ‘কারেকশন’ করতে হবে
(গ) তুমি গল্প লিখে যাও
(ঘ) গল্পটি ছাপাতেই হবে

উত্তরঃ (খ) এই গল্পটাই একটু ‘কারেকশন’ করতে হবে।

৩৩. ‘কখন তপনের গল্প নিয়ে কথা ওঠে’ –
(ক) সকালে (খ) রাতে (গ) সন্ধ্যায়
(ঘ) বিকেলে

উত্তরঃ (ঘ) বিকেলে।

৩৪. তপন আহ্লাদে হয়ে যায়-
(ক) আত্মহারা (খ) দুঃখিত
(গ) কাঁদো কাঁদো
(ঘ) বিহ্বল

উত্তরঃ (গ) কাঁদো কাঁদো।

৩৫. ‘তপনের হাত আছে’ কথাটির অর্থ হল–
(ক) হস্তক্ষেপ (খ) জবরদস্তি (গ) মারামারি
(ঘ) ভাষার দখল

উত্তরঃ (ঘ) ভাষার দখল।

৩৬. তপনকে যে নেশায় পেয়েছিল-
(ক) টিভি দেখার (খ) গল্পের বই পড়ার
(গ) ক্রিকেট খেলার (ঘ) গল্প লেখার

উত্তরঃ (ঘ) গল্প লেখার।

৩৭. তপনকে নিজের লেখা গল্পটি কে পড়ে শােনাতে বলে—
(ক) তপনের মা (খ) ছােটোমাসি
(গ) ছােটো মেসােমশাই (ঘ) মেজোমাসি

উত্তরঃ (ক) তপনের মা।

৩৮. “আরে বাবা খেপছিস্ কেনো ?”- এই মন্তব্যটি করেন—
(ক) তপনের মেজো কাকা (খ) তপনের মা
(গ) তপনের ছােটোমাসি
(ঘ) তপনের ছােটো মেসােমশাই

উত্তরঃ (গ) তপনের ছােটোমাসি।

৩৯. জ্ঞানচক্ষু গল্পে কোন ঋতুর দুপুর বেলার কথা বলা হয়েছে ?
(ক) শরৎকাল (খ) গ্রীষ্মকাল (গ) বর্ষাকাল
(ঘ) বসন্তকাল

উত্তরঃ (খ) গ্রীষ্মকাল।

৪০. মায়ের চাপে তপনকে বিয়েবাড়িতে কী নিয়ে যেতে হয়েছিল ?
(ক) গল্পের খাতা (খ) হিসাবের খাতা
(গ) হোমটাস্কের খাতা (ঘ) আঁকার খাতা

উত্তরঃ (গ) হোমটাস্কের খাতা।

৪১. নতুন মেসোমশাই হলেন একজন—
(ক) বই প্রকাশক (খ) চিকিৎসক (গ) লেখক
(ঘ) গায়ক।

উত্তরঃ (গ) লেখক।

৪২. কথাটা শুনে তপনের চোখ-
(ক) লাল হয়ে গেল (খ) জ্বালা শুরু হল
(গ) মারবেল হয়ে গেল (ঘ) বুজে গেল

উত্তরঃ (গ) মারবেল হয়ে গেল।

৪৩.’তারমানে তপনকে এখন _________ বলা চলে।’—
(ক) গায়ক (খ) লেখক (গ) তবলা বাদক
(ঘ) গিটার বাদক

উত্তরঃ (খ) লেখক।

৪৪. ‘রত্নের মূল্য’ বলতে আসলে কি বুঝানো হয়েছে ?
(ক) হীরের মূল্য (খ) সোনার মূল্য
(গ) লেখার মূল্য (ঘ) পান্নার মূল্য।

উত্তরঃ (গ) লেখার মূল্য।

৪৫. আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘জহুরী’ হলেন—
(ক) নতুন মেসো (খ) পুরোনো মেসো
(গ) ছোট মামা (ঘ) তপন।

উত্তরঃ (ক) নতুন মেসো।

৪৬. ‘মাথার চুল খাড়া হয়ে উঠল।’ তার কারণ হলো—
(ক) নিজের গল্প পড়ার আনন্দ
(খ) নতুন মেসোর ব্যবহার
(গ) ভূতের গল্প শুনে
(ঘ) অজানা আতঙ্কে

উত্তরঃ (ক) নিজের গল্প পড়ার আনন্দ।

৪৭. ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’- উপযুক্ত কাজটি হলো—
(ক) গল্প লিখে দেওয়া
(খ) তপনকে গল্প লেখা শিখিয়ে দেওয়া
(গ) তপনকে অংক শেখানো
(ঘ) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া

উত্তরঃ (ঘ) তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া।

৪৮. নিজের লেখা গল্পটি পাঠ করতে গিয়ে তপন দেখে—
(ক) গল্পের নাম বদলে গেছে
(খ) গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন
(গ) গল্পের লেখকের নাম বদলে গেছে
(ঘ) গল্প কালেকশন হয়নি ।

উত্তরঃ (খ) গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন।

৪৯.তপন কী কারণে ধমক খেয়েছিলো ?
(ক) বাবার কথা অমান্য করার জন্য
(খ) পড়াশােনা না করার জন্য
(গ) নিজের লেখা ছাপানো গল্পটি না পড়ার জন্য
(ঘ) গল্প লেখার জন্য

উত্তরঃ (গ) নিজের লেখা ছাপানো গল্পটি না পড়ার জন্য।

৫০. তপন সবচেয়ে দুঃখ পেল কখন ?
(ক) গল্পটি ছাপাতে না দেওয়ার জন্য
(খ) যখন তাকে মুভি দেখতে দেয়া হয়নি
(গ) যখন অন্যের লেখা লাইন পড়তে হয়েছিল
(ঘ) গল্প ছাপা না হওয়ার জন্য,

উত্তরঃ (গ) যখন অন্যের লেখা লাইন পড়তে হয়েছিল।

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নোত্তর | কমবেশি কুড়িটি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : (VSAQ) [প্রতিটি প্রশ্নের মান : ১]

১. “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী ?” তপনের লেখক হতে বাধা ছিল কেন ?

উত্তরঃ তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, হয়তো তারা অন্য গ্রহের জীব—তাই তার লেখক হতে বাধা ছিল।

২. তপনের গল্প পড়ে ছোটমাসি কী বলেছিল ? [মাধ্যমিক’১৭]

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটমাসি
তারিফের সুরে বলেছিলেন “ওমা এতো বেশ
লিখেছিস” এবং এর সাথে তিনি জানতে
চেয়েছিলেন যে লেখাটি তপনের নিজের লেখা কিনা।

৩. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে।”—লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল নতুন মেসোই বুঝবে কেন ?

উত্তরঃ জ্ঞানচক্ষু গল্পে নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক। তাই তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন।

৪. ‘তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা’ – কোন কথাটা তপন ঠাট্টা ভেবেছিল ?

উত্তরঃ তপনের লেখা দেখে তার ছোটমেসো লেখাটি ‘কারেকশন’ করে দেবার পরে ছাপতে দেওয়া যেতে পারে বলেছিলেন, বালক তপন ছোটমেসোর এই কথাটি প্রথমে ঠাট্টা ভেবেছিল।

৫. “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী ?”– তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন ?

উত্তরঃ নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারল তিনি তাদের মতোই মানুষ, আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়। তাই তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই।

৬. ‘তা হলে বাপু তুমি ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও’— কে, কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন ?

উত্তরঃ তপনের ছোটমাসি এই কথাটি বলেছেন। তপনের লেখা একটি গল্প ছাপানো যেতে পারে জেনে, ছোটমাসি তার লেখক স্বামীকে এই কথাটি বলেছেন।

৭. ‘আর তপনকে যেন নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়তে না হয়।’ – তপনের এরূপ অনুভূতির কারণ কী ?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটি তপনের নামে
প্রকাশিত হলেও তা ছিল তার ছোটমেসোর দ্বারা পরিবর্তিত একটি লেখা, তাই তপনের গল্পটি পড়ার সময় ‘অন্যের লেখা লাইন পড়ছে বলে মনে হয়েছিল।’

৮. ‘বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা” –
চায়ের টেবিলে কোন্ কথা উঠেছিল ?

উত্তরঃ তপনের ছোটমেসো, তার লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার কথা বলেছিলেন, বিকেলের চায়ের আসরে সেই কথাই আলোচনা হয়েছিল।

৯. ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে
গেল!’– চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার কারণ কি ?

উত্তরঃ তপনের ছোটমেসো একজন নামী লেখক এবং তার লেখা বই ছেপে বেরোয়, এই কথা শুনে প্রবল বিস্ময়ে তপনের চোখ ‘মার্বেল’ অর্থাৎ বড়ো বড়ো হয়ে গিয়েছিল।

১০. ‘সূচীপত্রেও নাম রয়েছে’– সূচীপত্রে কী লেখা ছিল? [মাধ্যমিক’১৯]

উত্তরঃ জ্ঞানচক্ষু গল্পে সন্ধ্যা তারা পত্রিকার সূচিপত্রে লেখা ছিল– ‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রী তপন কুমার রায়।

১১. ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে’ অলৌকিক ঘটনাটি কী ?

উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়েছে; বালক তপনের কাছে এই ঘটনাই ছিল একটি অলৌকিক ঘটনার সামিল।

১২. ‘সারা’ বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়’–
বাড়িতে শোরগোল পড়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প ছাপা হয়েছে জেনে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।

১৩. ‘একটু ‘কারেকশান করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে’ – কে, কী ছাপানোর কথা বলেছেন ? [মাধ্যমিক’১৮]

উত্তরঃ জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছোট মেসো এই কথা বলেছেন, তিনি তপনের লেখা একটি গল্প ‘কারেকশন’ করে ছাপানোর কথা বলেছেন।

১৪. ‘তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে।’ – তপন ‘বসে বসে দিন গোনে’ কেন ?

উত্তরঃ তপনের ছোটমেসো, তপনের লেখা একটি গল্প ছাপতে দেবার জন্য নিয়ে যান, সেই লেখা কবে ছেপে বেরোবে তার জন্য তপন বসে বসে দিন গোনে।

১৫. ‘বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।’ – কখন তপনের এরকম অবস্থা হয় ?

উত্তরঃ যখন তপনের ছোটমেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা হাতে নিয়ে তাদের বাড়ি আসেন, সেই দিন তপনের ‘বুকের রক্ত ছলকে’ ওঠার মত অনুভুতি হয়েছিল।

১৬. ‘গল্প ছাপা হলেও যে ভয়ংকর আহ্লাদটা
হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।’— উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী ?

উত্তরঃ তপনের গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায়
প্রকাশিত হয়েছিল তার ছোটমেসোর বদান্যতায়, তাই তপনের লেখা গল্প নিজের কৃতিত্বে না ছেপে অন্য কারুর প্রচেষ্টায় তা প্রকাশিত হয়েছে জেনে তার ‘ভয়ংকর আহ্লাদ’ বা আনন্দ হয় না।

১৭. ‘আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।’– বক্তার কাছে কোন দিনটি সবচেয়ে দুঃখের ? [মাধ্যমিক’20]

উত্তরঃ তপনের ছোটমেসোর বদান্যতায় তপনের লেখা গল্প সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে সন্ধ্যাতারায় প্রকাশিত হবার পর তপনের হাতে এসে পৌঁছায়, সেই দিনটিই ছিল তপনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।

জ্ঞানচক্ষু অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর – জ্ঞানচক্ষু গল্পের VSAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

১. তপনের গল্প পড়ে ছােটোমাসি কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি প্রশংসা করেছিল এবং একইসঙ্গে সন্দেহ বশত জিজ্ঞেস করেছিল যে, সে গল্পখানা কারো নকল করে লেখেনি তো।

২.কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ তপনের নতুন মেসোমশাই একজন লেখক- একথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল।

৩. তপনের লেখা কোন গল্প ততক্ষণে ছােটোমেসোর হাতে চলে গেছে?

উত্তরঃ তপনের বিদ্যালয়জীবনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাকে অবলম্বন করে লেখা গল্প ‘প্রথমদিন’।

৪. ‘মেসােকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের’- কেন এমন উক্তি ?

উত্তরঃ তপনের ধারণা ছিল যে লেখকরা অন্য জগতের মানুষ। সেইজন্য তার লেখক-মেসোকে দেখে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল।

৫. ‘মেসাের উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’ – কোন কাজের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটা কোনো পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

৬. ‘তপনের হাত আছে’ – এমন বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ তপনের বয়সী ছেলেরা গল্প লিখলে হয় রাজা রানীর গল্প লেখে, না হয় খুন-জখম, অ্যাক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে। তপন নিজের বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাকে অবলম্বন করে গল্প লিখেছিল, তাই একথা বলা হয়েছে।

৭. ‘দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর নিথর’ তখন তপন কী করছিল ?

উত্তরঃ তখন তপন আস্তে আস্তে একটি খাতা আর কলম নিয়ে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গিয়ে গল্প লিখতে শুরু করল।

৮. ‘এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।’ – কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ঘটনাটি হল- তপনের ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল এবং মেসোর হাতে ছিল এক সংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’।

৯. তপনের লেখা গল্পের বিষয় কী ছিল ?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পের বিষয় ছিল তার বিদ্যালয়-জীবনের প্রথম দিন অর্থাৎ ভর্তির দিনের অভিজ্ঞতা।

১০. ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?’ – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প মুদ্রিত হয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে- এটাই তপনের মতে অলৌকিক ঘটনা।

১১. গল্প ছাপার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা তা তপনের হয়নি কেন ?

উত্তরঃ কারণ, তপনের লেখা ছাপানোর পুরো কৃতিত্বটা মেসোকে দেওয়া হচ্ছিল।

১২. ‘আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম৷’– কেন এমন মন্তব্য ?

উত্তরঃ তপনের মেজোকাকুর মতে, ছোটোমেসোর কারেকশনের জন্যই তপনের গল্পটি ছাপানো হয়েছিল। তাই তিনি বলেছিলেন যে ওইরকম একটি লেখক মেসো থাকলে তারাও লেখক হবার চেষ্টা করতেন।

১৩. “এর মধ্যে তপন কোথা ?” – কেন এমন বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটি কারেকশন করতে গিয়ে নতুন মেসোমশাই গল্পের আগাগোড়া পাল্টে ফেলেছিলেন এবং গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের কাছেই আনকোরা মনে হয়েছিল। তাই এমন বলা হয়েছে।

১৪. ‘বাবা, তাের পেটে পেটে এত!’ – কেন এই উক্তি ?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এজন্য তপনের মা তার সন্তানের প্রশংসা করে এই কথা বলেছিল।

১৫. ‘গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।’ – কী সংকল্প করে ?

উত্তরঃ তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনো সে তার লেখা ছাপতে দেয় তো নিজে গিয়ে দেবে।

১৬. ‘গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো তপনের’— তপনের গায়ে কাঁটা দেওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ নিজের লেখা গল্প পড়েই তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।

১৭. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’- কাকে কোন নেশায় পেয়েছিল ?

উত্তরঃ তপনকে গল্প লেখার নেশায় পেয়েছিল।

১৮. প্রথম গল্পটি লেখার পর তপন তার বাড়িতে কী কী নতুন নাম পেয়েছিল ?

উত্তরঃ কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।

১৯. ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই’- একথা কেন বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ তপনের নতুন মেসো একজন লেখক, তাই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য তিনিই বুঝবেন।

২০. ‘সূচিপত্রেও নাম রয়েছে’- কী নাম ছিল?

উত্তরঃ ‘প্রথমদিন’ (গল্প) শ্রীতপন কুমার রায়।

২১. তপনের গল্প পড়ে ছোট মাসি কী বলেছিল ? [মাধ্যমিক-২০১৭]

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটির পুরোটা না পড়ে তার প্রশংসা করেন এবং গল্পটি কোথাও থেকে নকল করেছে কি না তা জিজ্ঞাসা করেন ।

২২.”সূচীপত্রেও নাম রয়েছে”— সূচীপত্রে কী লেখা ছিল ?

উত্তরঃ সূচীপত্রে লেখা ছিল ‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রীতপনকুমার রায় ।

২৩ . “একটু ‘কারেকশন’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে ।” — কে কী ছাপানোর কথা বলেছেন ? [মাধ্যমিক-২০১৮]

উত্তরঃ তপনের নতুন মেসোমশাই, যিনি একজন অধ্যাপক ও লেখক, তিনি ‘প্রথমদিন’ নাম তপনের লেখা প্রথম গল্পটি ছাপানোর কথা বলেছেন।

২৪. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের” — কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?

উত্তরঃ একজন লেখকও যে সাধারণ মানুষের মতো হতে পারে, তাদের আচরণও আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে, সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ।

২৫. “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা” — কোন কাজকে ‘মেসোর উপযুক্ত কাজ’ বলে ছোটোমাসি মনে করেন ?

উত্তরঃ তপন একটা গল্প লিখেছিল । তার লেখক মেসোমশাই সেই গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপার ব্যবস্থা করে দিলে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে ছোটোমাসি মনে করেন ।

২৬. “অনেক বই ছাপা হয়েছে” — কার অনেক বই ছাপা হয়েছে ?

উত্তরঃ তপনের লেখক ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে ।

২৭. লেখার প্রকৃত মূল্য কে বুঝবে বলে তপন মনে করেছিল ?

উত্তরঃ তপনের লেখক ছোটোমেসোই তার লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন বলে তপন মনে করেছিল ।

২৮. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে ।”— লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল নতুন মেসোই বুঝবেন কেন ?

উত্তরঃ তপনের নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক । তাই লেখক মানুষ হিসেবে তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝবেন ।

২৯. সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় লেখা ছাপা প্রসঙ্গে তপনর মেসোমশাই কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তপনের মেসোমশাইয়ের পরিচিত । তপনের লেখা দেখে মেসোমশাই বলেছিলেন, তিনি যদি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদককে লেখা ছাপানোর কথা বলেন তাহলে সম্পাদকমশাই না বলতে পারবেন না।

৩০. “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী ?” —তপনের লেখক হতে বাধা ছিল কেন ?

উত্তরঃ তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, তাঁরা হয়তো অন্য গ্রহের জীব । নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারল তিনি আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ মানুষ, আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নন । তাই তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই ।

৩১. তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো কী বলেছিলেন ?

উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো বলেছিলেন যে গল্পটা ভালোই হয়েছে। শুধু একটু সংশোধন করে দেওয়া দরকার। তাহলেই তার লেখা ছাপতে দেওয়া যাবে।

৩২. কী কারণে মেসোমশাই তপনের লেখা ভালো বলেছিলেন ?

উত্তরঃ ছোটোমেসোমশাইয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে, তাই শ্বশুরবাড়ির একটি বাচ্চা ছেলেকে খুশি করতেই মূলত তপনের মেসোমশাই লেখা ভালো হয়েছে বলেছিলেন।

৩৩. “তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় ।” — তপনের এই অবস্থার কারণ কী ?

উত্তরঃ নতুন মেসো তপনের লেখাটা ‘কারেকশান’ বা সংশোধন করে ছাপিয়ে দিতে চাইলে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।

৩৪. “আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন—” তপন কী দেখতে পাচ্ছিল ?

উত্তরঃ তপনের নিজের ছোটোমেসো একজন লেখক হওয়ায় সে দেখতে পাচ্ছিল, লেখক মানে আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নন, তিনিও তপনের মতোই সাধারণ মানুষ।

৩৫. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”— ছোটোমাসি কোন দিকে ধাবিত হয় ?

উত্তরঃ মেসোমশাই যেখানে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোটোমাসি ধাবিত হয়।

৩৬. “এইসব মালমশলা নিয়ে বসে।” — কীসের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গিয়ে রাজারানির গল্প, খুন-জখম, অ্যাকসিডেন্ট, না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি যেসব বিষয়ে লেখে, সেসবের কথা বলা হয়েছে ।

৩৭. “এটা খুব ভালো।” —বক্তার এ কথা বলার কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ তপন তার ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছিল বলে প্রশংসা করেই তপনের মেসোমশাই মন্তব্যটি করেন ।

৩৮. “বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠে কথাটা”— চায়ের টেবিলে কোন কথা ওঠে ?

উত্তরঃ তপনের গল্প লেখা আর মেসোমশাইয়ের তা ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাই বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে ।

৩৯. “তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয় ।” —তপনের এই পুলকের কারণ কী ?

উত্তরঃ তপনের মাসি তপনের লেখা নিয়ে মেসোমশাইয়ের কাছে গিয়ে হইচই করলে তপন মনে মনে পুলকিত হয় কারণ তার লেখার মূল্য একমাত্র মেসোমশাইয়ের পক্ষে বোঝা সম্ভব ।

৪০. “যেন নেশায় পেয়েছে”— কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ তপন তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখে ফেলে। ছোটোমাসির উৎসাহে মেসো তার গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন । এরপর থেকেই তপনকে লেখার নেশায় পায় । তারপর সে দু-তিনটে গল্পও লিখে ফেলে ।

জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর – Gyanchokkhu (SAQ) Short Type Question and Answer

১. “যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”- ‘আহ্লাদ’ হবার কথা ছিল কেন ? ‘আহ্লাদ খুঁজে না পাওয়ার’ কারণ কী ? ১+২ [মাধ্যমিক ২০১৯]

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে নিজের লেখা গল্প ছাপা হলে তপনের আহ্লাদ হবার কথা ছিল।

তপনের লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানো হলে একসংখ্যা পত্রিকা সঙ্গে নিয়ে নতুন মেসো তপনদের বাড়িতে আসেন। কিন্তু বাড়ির সকলে তপনের প্রশংসা না করে তার নতুন মেসোর প্রশংসা করেছিল। কারণ, তিনি নাকি গল্পটা অল্পবিস্তর ‘কারেকশন’ করেছিলেন এবং তার পরিচিতির জন্যই গল্পটা ছাপা হয়েছিল। এইসব কথার জন্য তপন কোনো আহ্লাদ খুঁজে পায়নি।

২. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।”– এমন উক্তির কারণ কী ?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের মনে হয়েছিল “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”।

তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর লেখক। সে তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিল। নিজের লেখা গল্প পড়ে তপন নিজেই আশ্চর্যচকিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার গল্পের মূল্য অন্য কেউ বুঝবে কি না এবিষয়ে তার সন্দেহ ছিল। তবে, নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক তাই তিনি তপনের গল্পের মূল্য বুঝবেন। এইজন্য একথা বলা হয়েছে।

৩. “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ?” – কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ? কেন বলা হয়েছে ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে যখন তপনের নতুন মেসো একসংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে এসেছিল, তখন তপনের এরকম মনে হয়েছিল।

তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর লেখক। তপনের স্বপ্ন ছিল যে তার লেখা গল্প একদিন ছাপানো হবে। তবে, সেই স্বপ্ন যে এত সহজে পূরণ হওয়ার নয়, এটাও সে জানত। তার লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে, এটাই তপনের কাছে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছিল।

৪. “এর মধ্যে তপন কোথা ?” – কীসের মধ্যে তপন ছিল না ? এরকম মন্তব্যের কারণ কী ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে দেখা যায় যে তপনের নিজের লেখা গল্পে সে নিজেই ছিল না। অর্থাৎ, সেই গল্পে কোথাও তপনের নিজের হাতের ছোঁয়া ছিল না।

তপনের লেখা প্রথম গল্পটি তার নতুন মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গল্পটি তিনি এমনভাবে কারেকশন করেছিলেন যে সেই গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের কাছে আনকোরা মনে হয়েছিল। এইজন্য বলা হয়েছে যে সেই গল্পের মধ্যে কোথাও তপন ছিল না।

৫. “তপনের মাথায় ঢােকে না- সে কী পড়ছে।” – তপন কী পড়ছিল? তা পড়ার সময় কেন তার মাথায় ঢোকেনি ? ১+২

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত তার নিজের লেখা গল্প পড়ছিল।

তপনের নতুন মেসো যেহেতু একজন লেখক তাই অনেক পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে তার পরিচিতি ছিল। তিনি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে বলে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাপার অক্ষরে নিজের গল্প পড়তে গিয়ে তপন বুঝতে পারে যে তার লেখক মেসো কারেকশনের নাম করে তার গল্পটা আগাগোড়া পাল্টে ফেলেছিলেন। এইজন্য তপনের মাথায় ঢােকে না সে কী পড়ছে।

৬. ‘সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়’— সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তরঃ শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ : প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তপনের লেখা গল্প। ছেপে বেরোলে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখা যায়—তপনের কাচা হাতের গল্পটিকে মেসো সংশোধন করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে সন্ধ্যাতারা সম্পাদককে দিয়ে প্রকাশ করিয়েছেন। জীবনের প্রথম গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হলে অনাবিল উত্তেজনায় তপন আনন্দে মাতোয়ারা হয়। আর সেই খবরে সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।

৭. “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথা, ওই কথা ছড়িয়ে পড়ায় কী ঘটেছিল?

উত্তরঃ কারেকশানের কথাঃ তপনের প্রকাশিত গল্পটি আসলে ছোটো মেসোমশাই কিছুটা কারেকশান করে দিয়েছেন—এই কথাটা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতে।

মেসোর মহত্তের কথাঃ ছোটো মেসোমশাই-এর কারেকশানের কথা বাড়ির সবাই জেনে গেলে তপনের গল্প লেখার কৃতিত্ব খানিকটা কমে যায়। তপনের বাবা, কাকা, ছোটো মেসোমশাই-এর হাতের ছোঁয়াকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। সেদিন পারিবারিক আলোচনায় তপনের গল্পের কথা উঠলেও নতুন মেসোর মহত্ত্বের কথা ঘুরে ফিরে আসে।

৮. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।— কোন বিষয়ে কেন তপনের সন্দেহ ছিল ?

উত্তরঃ তপনের সন্দেহ নিরশন : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামক গল্প থেকে অংশটি গৃহীত হয়েছে। তপন জানত না যে, লেখকরা তার বাবা, কাকা কিংবা মামার মতো একজন সাধারণ মানুষ। তার সন্দেহ দূর হয় ছোটো মেসোমশাইকে দেখে। তিনি একজন লেখক। কিন্তু অন্য সাধারণ মানুষের মতো দাড়ি কামান। সিগারেট খান, খাবার অতিরিক্ত হলে ফিরিয়ে দেন, স্নান করেন, ঘুমোন। এমনকি আর সকলের মতো খবরের কাগজের খবর নিয়ে গল্প কিংবা তর্ক করেন। অবসর সময়ে সিনেমা দেখেন কিংবা বেড়াতেও বের হন। এসব দেখে তপনের সন্দেহ দূর হয় ও সে বিশ্বাস করে লেখকরাও সাধারণ মানুষ।

৯. ‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনে সবচেয়ে দুঃখের দিন।’— কী কারণে তপনের এরূপ মনে হয়েছিল ?

উত্তরঃ তপনের দুঃখের দিন মনে হওয়ার কারণঃ তপনের প্রথম লেখা গল্পটি নতুন মেসোমশাই-এর সুপারিশে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ছাপা গল্পটি পাঠ করে তপন। অবাক হয়ে যায়। কারণ তার নতুন মেসোমশাই গল্পটিকে ঠিকঠাক করতে গিয়ে সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন। ছাপানো গল্পের মধ্যে তপন নিজেকে খুঁজে পায় না। তার মনে হয় অন্য কারোর লেখা ছাপা হয়েছে। শ্রী তপন কুমার রায় নাম দিয়ে। নিজের সৃষ্টিকে পরিবর্তিত হতে দেখে তপনের মন বেদনায় ভরে ওঠে।

১০. ‘যেন নেশায় পেয়েছে’— কীসের নেশা, কীভাবে তাকে নেশায় পেয়েছে?

উত্তরঃ লেখার নেশাঃ আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।

লেখার প্রতি আসক্তিঃ তপন একজন সাহিত্য প্রেমী বালক। গল্প লেখা ও সেগুলি ছাপা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে তার প্রচণ্ড কৌতূহল ছিল। মাসির বিয়ের পর লেখক মেসোমশাইকে খুব কাছ থেকে দেখতে পায় এবং গল্প লেখার রহস্যও তার কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। তপন একটি গল্প লিখে ছোটোমাসিকে দেখালে মাসি সেটা মেসোমশাইকে দেখায়। তখন তিন সেটা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে আরও উৎসাহিত হয়ে তপন একের পর এক গল্প লেখার নেশায় মগ্নহয়ে ওঠে।

১১. “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের”— কখন এবং কেন তপনের এরকম অনুভূত হয়েছিল ?

উত্তরঃ তপনের অনুভূতিঃ পুজোর ছুটির অনেকদিন পর ছোটোমাসি আর মেসোমশাই হাতে একখানা সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেই দিন তপনের এইরকম অনুভূতি হয়েছিল। সাহিত্য রচনা এবং প্রকাশ সম্পর্কে তপনের দারুণ কৌতুহল ছিল তাই ছােটো মেসোমশাই তার লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানোর জন্য যখন নিয়ে গিয়েছিলেন তখন তপন উৎসাহিত হয়। তবে অপেক্ষা করতে করতে তপন গল্প। প্রকাশের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। ঠিক এই সময় ছোটো মাসি আর মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসায় তার গল্প প্রকাশের আবেগ উৎকণ্ঠায় তপনের এরকম অনুভূতি হয়েছিল।

১২. ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছে।’— রত্ন এবং জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তরঃ রত্ন ও জহুরিঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু নামাঙ্কিত গল্পে রত্ন বলতে তপনের লেখা গল্পটিকে এবং জহুরি বলতে তপনের ছোটো মেসোকে বোঝানো হয়েছে।

তপন যে গল্পটি লিখেছিল তা দেখে তার ছোটো মাসি যথেষ্ট ভালো বললেও প্রকৃত বিচারকের রায় দরকার ছিল তপনের। আর এই বিষয়ে লেখক হিসাবে পরিচিত তার ছোটোমেসো যে যোগ্য ব্যক্তি তাতে কারো সন্দেহ থাকতে পারে না। তাই রত্নের মূল্য ও গুরুত্ব যেমন একজন জহুরি সবথেকে ভালো বোঝেন। তেমনই তপনের গল্পের কদরও ছোটোমেসোই বুঝতে পারবে।

১৩. ‘শুধু এ দুঃখের মুহর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।”— কোন দুঃখের মুহুর্তের কথা বলা হয়েছে। তপন কী সংকল্প নিয়েছিল ?

উত্তরঃ দুঃখের মুহূর্ত: সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় নিজের ছাপা গল্প পড়তে গিয়ে যখন তপন বুঝল গল্পটি ছোটো মেসোমশাই আগাগোড়া কারেকশান করে দিয়েছেন। নিজের গল্পে নিজেকে না পেয়ে তপন খুব দুঃখ পেয়েছিল।

তপনের সংকল্পঃ এই দুঃখের মুহূর্তে তপন সংকল্প করে, যদি কখনো নিজের লেখা ছাপতে দেয়, তবে কারো মাধ্যমে নয়, নিজে গিয়ে পত্রিকা অফিসে দিয়ে আসবে। যদি তাতে তার গল্প ছাপা না হয় তবুও। কারণ কেউ সুপারিশ করে তার লেখা ছেপে দিয়েছে এমন কথা যেমন অপমানের, তেমনই কষ্টের। নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া খুবই কষ্টকর।

জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর – Gyanchokkhu Descriptive Questions and Answers

১. “তপন আর পড়তে পারে না। বােবার মতাে বসে থাকে।”- তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করাে। ৫ [মাধ্যমিক ২০১৮]

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন একটা গল্প লিখেছিল। তার সেই গল্প যখন ছাপা হল, নিজের লেখা গল্প পড়তে গিয়ে তপন হতবাক হয়েছিল।

ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষে মামাবাড়িতে এসে তপন জানতে পেরেছিল তার নতুন মেসো একজন লেখক। তাকে দেখেই জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল তপনের। সে ভাবে, নতুন মেসো যদি একজন লেখক হন তবে তপনের বা লেখক হতে বাধা কোথায় ? এরপর সে হোমটাস্কের খাতায় আস্ত একখানা গল্প লিখে ফেলে। সেই গল্প ছোটোমাসির হাত ধরে নতুন মেসোর কাছে পৌঁছায়। গল্প পড়ে লেখক মেসো তপনের অনেক প্রশংসা করেন এবং সেই গল্পটি কোনো পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

তার লেখা গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে হাতে ঘুরবে- এই স্বপ্ন নিয়ে তপন অধীর আগ্রহে দিন গুনতে থাকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একদিন নতুন মেসো একসংখ্যা সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন। তপন বুঝতে পারে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

কিন্তু ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে তপন বুঝতে পারে সেই গল্পে তার হাতের ছোঁয়া নেই। নতুন মেসো সেই গল্পটা আগাগোড়া কারেকশন করে নতুন রূপ দিয়েছেন, যে গল্পের প্রতিটা লাইন তার কাছে অপরিচিত। এইজন্য তপন আর পড়তে পারে না, বােবার মতাে বসে ছিল।

২. “শুধু এই দুঃখের মুহুর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”— কী সংকল্প করেছিল ? তার ‘এই দুঃখের মুহুর্তের’ প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। ১+৪

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন সংকল্প করেছিল যে যদি কোনোদিন তার লেখা ছাপাতে দিতে হয় তো সে নিজে গিয়ে সম্পাদককে তার লেখা দিয়ে আসবে- তাতে তার গল্প ছাপানো হোক বা না হোক।

ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষে মামার বাড়িতে গিয়েছিল তপন। সেখানে সে নিজের হোমটাস্কের খাতায় একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলেছিল। আসলে, তপনের নতুন মেসো ছিল একজন লেখক এবং তাকে দেখেই তপনের লেখক হওয়ার বাসনা জেগেছিল। যাইহোক, তপনের গল্প ছোটোমাসির হাত দিয়ে নতুন মেসোর কাছে পৌঁছায়। মেসো তপনের লেখার প্রশংসা করেন এবং সেই গল্প কোনো পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গুনতে থাকে।

বেশ কিছুদিন পর নতুন মেসো একসংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’ নিয়ে তপনদের বাড়িতে এলেন। পত্রিকা দেখে তার বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল। সে বুঝতে পেরেছিল যে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

সত্যিই তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল। কিন্তু গল্পটা কারেকশন করার এবং ছাপিয়ে দেওয়ার পুরো কৃতিত্বের দাবীদার হয় তার মেসো। গল্প ছাপা হলে যে আহ্লাদ হবার কথা, সেই আহ্লাদ খুঁজে পায়না তপন।

গল্পটা পড়তে গিয়ে তপন বুঝতে পারে যে নতুন মেসো আগাগোড়া কারেকশন করে পুরো গল্পটাই পাল্টে ফেলেছেন। সেই গল্পে তপনের হাতের ছোঁয়া ছিল না- সবকটা লাইন তার অপরিচিত। বইটা ফেলে রেখে ছাদে গিয়ে সে শার্টের তলাটা দিয়ে চোখ মুছে। এরপরেই তপন এই সংকল্প করেছিল।

৩. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অবলম্বনে তপনের চরিত্র বিশ্লেষণ করো। ৫

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল তপন। আলোচ্য গল্পে তার জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হওয়ার ঘটনাই তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটি পড়ে তপনের চরিত্র সম্পর্কে যা জানা যায় তা হল—

(ক) প্রতিভাবানঃ তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর লেখক। নতুন মেসোকে দেখে যখন সে জানল যে লেখকরা সাধারণ মানুষের মতো হয়, তখন সে ভাবল যে তারও তবে লেখক হতে বাধা নেই। আর তারপরেই একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলেছিল।

(খ) ভাবুকঃ তপন স্বভাবত একজন ভাবুক প্রকৃতির ছেলে। এই ভাবুক স্বভাবের জন্য নিজের বিদ্যালয় জীবনের প্ৰথম দিনের স্মৃতিকে অবলম্বন করে গল্প লিখতে পেরেছিল। আবার, ছোটো মেসোকে দেখার আগে পর্যন্ত লেখক সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। তবে, লেখকরা যে কেমন হতে পারে সেই নিয়ে অনেক কিছু ভেবে রেখেছিল যে।

(গ) মর্যাদাবোধঃ তপনের গল্প ছাপা হলে লেখক হিসেবে সে যত প্রশংসা পেয়েছিল, গল্পটা ছাপিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন মেসো তার থেকে বেশি প্রশংসা অর্জন করেছিল। এতে তপন অপমানিত বোধ করেছিল।

(ঘ) বাস্তববুদ্ধিঃ ছোটোমাসি যখন তপনের লেখা গল্পটা নতুন মেসোর কাছে নিয়ে যাচ্ছিল, তপন তখন মুখে ‘না-আ-আ’ বলে আপত্তি করলেও মনে মনে ভেবেছিল যে তার লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল তিনিই বুঝবেন।

(ঙ) মানসিক দৃঢ়তাঃ নতুন মেসো তপনের গল্পটা কারেকশনের নামে আগাগোড়া পাল্টে দিয়েছিল। এইজন্য তপন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে এরপর সে নিজের গল্প নিজে গিয়ে ছাপতে দিয়ে আসবে, তাতে সে গল্প ছাপা হোক বা না হোক।

৪. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণের যথার্থতা বিশ্লেষণ করো। ৫

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা একটি ভিন্ন স্বাদের ছোটগল্প হল ‘জ্ঞানচক্ষু’। জ্ঞানচক্ষু কথার আক্ষরিক অর্থ হল জ্ঞান রূপ চক্ষু। জ্ঞানচক্ষু খুলে গেলে মানুষ প্রকৃত সত্যের সন্ধান পায়।

আলোচ্য গল্পের প্রধান চরিত্র তপন নামের একটি ছেলে। ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষে সে মামাবাড়িতে এসেছিল। যার সঙ্গে ছোটোমাসির বিয়ে হল, সেই নতুন মেসো নাকি একজন লেখক। এর আগে লেখকদের সম্পর্কে তপনের কোন ধারণা ছিল না। তারা যে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই হয়, সে একথা জানত না। এই লেখক-মেসোকে দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। সেও গল্প লিখতে শুরু করে এবং তার প্রথম গল্প পড়ে নতুন মেসো সেটি ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।

সেই গল্প ছাপা হলে আরেকবার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় তপনের। গল্পটা লেখার জন্য তপন যেটুকু বাহবা পেয়েছিল, গল্পটা ছাপিয়ে দেওয়ার সুবাদে নতুন মেসো তার থেকে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। আবার, ছাপার অক্ষরে নিজের গল্প পড়তে গিয়ে সে বুঝতে পারে যে মেসো তার গল্পটা আগাগোড়া কারেকশন করেছেন এবং সেই গল্পে তপন নিজেকে খুঁজে পায় না। সেদিন সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল যে এরপর কোনোদিন কোনো গল্প ছাপাতে হলে সে নিজে গিয়ে পত্রিকার দপ্তরে দিয়ে আসবে।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হওয়াই এই গল্পের প্রধান বিষয়বস্তু। সেই অর্থে এই গল্পের নামকরণ সার্থক হয়েছে বলা যেতে পারে।

৫. ‘জ্ঞানচক্ষু‘ গল্পে তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি কিভাবে দুঃখের দিনে পরিণত হল তা নিজের ভাষায় লেখ।

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু ‘ শীর্ষক ছোটগল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের সুখের দুঃখের দিনে পরিণত হয়েছিল।

তপনের জীবনের সুখের দিন : মামার বাড়িতে গিয়ে লেখা তপনের একটি গল্প সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ।তিনি তপনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁর লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকার সম্পাদক কে বলে ছাপানোর ব্যবস্থা করে দেবেন। এরপর বেশ কিছু দিন কোন খবর না আসায় তপন অনেকটা আশাহত হয়ে গেলে হঠাৎ তপনের বাড়িতে – “ছোট মাসি আর মেসো একদিন বেড়াতে এল, হাতে এক সংখ্যা সন্ধ্যাতারা।” সেই পত্রিকা দেখে এবং তাতে তপনের লেখা গল্পের কথা মনে করে পুলকিত হয়ে ওঠে। এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে সুখের দিন ।

সুখের দিন দুঃখের দিনে পরিণত হওয়া: তবে সেই সুখের দিনে শেষ পরিণতি তপনের কাছে হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত বেদনার্ত। পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি একদিকে যেমন কারেকশন করতে হয়েছে অন্যদিকে মেসোর সুপারিশেই তা ছাপা হয়েছে- বাড়িসুদ্ধ এরকম আলোচনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এতে তখন মনে মনে খুব কষ্ট পায়। এরপর মায়ের আদেশ গল্পটি পড়তে গিয়ে তখন দেখে-” এর প্রত্যেকটি লাইন তো নতুন আনকোরা ,তপনের অপরিচিত।” অর্থাৎ অসম্পূর্ণ গল্প লিখে দিয়েছেন তার পাকা হাতে কলমে ।একমাত্র শিরোনাম ছাড়া তাতে তপনের কোনো অস্তিত্বই নেই। কিছুক্ষণ গড়িয়ে পড়ার পর তপন বইটা ফেলে রেখে বইটা ফেলে রেখে চলে যায় ।আসলে দুঃখে -কষ্টে তপন ছাদে উঠে গিয়ে কেঁদে ফেলে সংকল্প করে -“যদি কখনো লেখা ছাড়তে দেয় তখন নিজে গিয়ে দেবে। নিজের কাছে লেখা ছাপা হয় হোক, না হয় না হোক ” এভাবে তপনের সুখের মুহূর্তটি শেষে দুঃখের মুহূর্তে পরিণত হয়েছিল।

৬. ‘তবে তপনেরই আর লেখক হতে বাধা কি ?’— লেখক হতে তপনের বাধা নেই কেন ? প্রথম গল্প ছাপা হবার পরে তপনের কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল ?

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের অন্তর্গত। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন মামারবাড়ি এসে দেখে যে তার ছোটমেসো একজন নামী লেখক এবং তিনি তপনের বাবা-মামা-কাকার মত খুব সাধারণ একজন মানুষ। তপন
বুঝতে পারে ‘লেখক মানে কোন আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, তপনদের মতোই মানুষ’। তাই সে ভাবতে শুরু করে যে একজন সাধারণ মানুষ হয়ে তার ছোটমেসো যদি লেখক হতে পারেন, সেক্ষেত্রে তপনেরও লেখক হতে কোন বাধা নেই।
তপনের প্রথম গল্পটি সন্ধ্যাতারা নামক একটি নামী পত্রিকায় ছাপা হয়, কিন্তু এই অভিজ্ঞতা তপনের জন্য সুখকর ছিল না। এর কারণ তপনের লেখা গল্পটিকে আগাগোড়া পরিবর্তন করেন তপনের
ছোটমেসো এবং তিনি তাঁর পরিচিত – সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদকের সাহায্যে গল্পটি ছাপিয়ে দেন। তাই তপন যখন বুঝতে পারে যে তপনের গল্পটি তার নিজের কৃতিত্বে ছাপা হয়নি তখন তার আনন্দ
ম্লান হয়ে যায়।

৭. ‘এর মধ্যে তপন কোথা ?’ – উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের অন্তর্গত। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন তার লেখক ছোটমেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে
একটি গল্প লেখে এবং সেই গল্পটি ছোটমেসো একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিছু সময় পরে গল্পটি সন্ধ্যাতারা নামক নামী একটি পত্রিকায় ছাপা হয় এবং ছোটমেসো নিজে সেই পত্রিকাটি তপনদের বাড়ি নিয়ে আসেন। বাড়ির সবাই আনন্দিত হয়ে তপনকে তার লেখা গল্পটি পড়ে শোনাতে অনুরোধ করে। তপন আগ্রহের সঙ্গে সেই লেখা পড়তে শুরু করলে তার মোহভঙ্গ হয়। কারণ, শ্বশুরবাড়িতে নিজের মান বৃদ্ধির জন্য তপনের ছোটমেসো গল্পটি ছাপিয়ে দিয়েছেন কিন্তু গল্পটি তিনি নিজের মতো আগাগোড়া কারেকশন করেছেন। তপন বুঝতে পারে, গল্পটি ছোটমেসো
‘নতুন করে লিখেছেন, নিজের পাকা হাতের
কলমে’ অর্থাৎ তপনের নামে গল্পটি ছাপা হলেও তাতে তপনের লেখক সত্তার কোন অস্তিত্ব সেই গল্পে ছিল না। তাই তপন গল্পটি পড়ার সময়, নিজেকে খুঁজে পায় না।

Leave a Reply