H.S Bengali Suggestion 2022 –ভারতবর্ষ (সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ) গল্পের প্রশ্নত্তোর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২ Prosnodekho

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

     H.S Bengali Suggestion-2022
   রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
   ভারত বর্ষ- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
(এক নজরে আগের বছরের প্রশ্নগুলি)
১.১ ‘সেই সময় এলো এক বুড়ি।’- লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখ। ৫ (২০১৯)
১.২ ‘বুড়ির শরীর উজ্জ্বল রোদে তপ্ত বালিতে চিত হয়ে পড়ে রইল।’- বুড়ির চেহারা ও পোশাকের পরিচয় দাও। তার তপ্ত বালিতে পড়ে থাকার কারণ কী ? ২+৩= ৫ (২০১৭)
১.২ ‘শেষ রোদের আলোয় সে দূরের দিকে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল।’- কার কথা বলা হয়েছে ? সে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল কেন ? ১+৪= ৫ (২০১৫)
             Suggestion-2022
                    বিভাগ- ‘ক’
১.’হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল’- দৃশ্যটি কী ? গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে এই দৃশ্যের প্রতিক্রিয়া নিজের ভাষায় লেখ। ১+৪
                          অথবা,
কোন প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে ? অদ্ভুত দৃশ্যটির বর্ণনা দাও।   ৩+২
২.’সবাই দিগন্তে চোখ রাখল ঝাঁকে ঝাঁকে কখন শকুন নামবে।’- সকাল থেকে ঘটা ঘটনাবলির আনুপূর্বিক বিবরণ দাও। সবাই এমনটা করেছিল কেন? ৩+২
৩. ‘কতক্ষণ সে এই মারমুখী জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত কে জানে’- সে বলতে কার কথা বলা হয়েছে ? জনতা মারমুখী হয়ে উঠেছিল কেন ? ১+৪
                  অথবা,
সে কে ? জনতা মারমুখী হলো কেন ? মারমুখী জনতার কী অবস্থা হল ? ১+১+৪
৪.”দেখতে-দেখতে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়াল চারদিকে।”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার বিবরণ দাও। ৫
                   অথবা,
এই উত্তেজনার কারণ কী ? এর পরিণাম কী হয়েছিল ? ৩+২
                     বিভাগ- ‘খ’
(এক নজরে আগের বছরের প্রশ্নগুলি)
২.১ ফাঁপি কাকে বলে? (2019)
২.১ “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”— সবাই অবাক হয়েছিল কেন? (2018)
২.১ “বচসা বেড়ে গেল।”বচসার কারণ কী? (2017)
২.১২ পৌষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাক পুরুষের’ পুরনো ‘বচনে’ কি বলা আছে ? (2016)
               Suggestion-2022
                      বিভাগ- ‘খ’
অনধিক কুড়িটি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। প্রশ্নের মান-১
১.“তাই লােকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”— লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?
উঃ পৌষের শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।
২.”চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে” -কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রােদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
৩.পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত?
উঃ পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলােকের কাছে ‘পউষে বাদলা’ এবং ছােটোলােকের কাছে ‘ডাওর’ নামে পরিচিত।
৪.“লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল…” -কখন লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল?
উঃ বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে, তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল—তখনই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।
৫.ডাকপুরুষের পুরােনাে ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে কী বলা আছে?
উঃ ‘ডাকপুরুষের’ পুরােনাে ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে, শনিবার শুরু হলে সাত দিন, মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে। অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে।
৬.’ডাওর’ কাকে বলে?
উঃ রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হলে সেই শীত আরও বেড়ে যায়। গ্রাম বাংলার তথাকথিত ছােটোলােকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে ‘ডাওর’।
৭.’পউষে বাদলা’ কাকে বলে?
উঃ ভারত বর্ষ গল্পানুসারে পৌষমাসের বৃষ্টিকেই গ্রামবাংলার ভদ্রলােকে ‘পউষে বাদলা’ বলে।
৮.”সেই সময় এল এক বুড়ি।”—কোথায়, কীভাবে এসেছিল সেই বুড়ি?
উঃ পিচের রাস্তা দিয়ে ভিজতে ভিজতে একই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানে এসে ঢুকেছিল বুড়ি।
৯.”মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!”—এমন আশঙ্কার কারণ কী?
উঃ প্রবল শীতের অকালবর্ষণে স্বল্প পােশাকে অশীতিপর বৃদ্ধটি বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল বলেই এমন আশঙ্কা করা হয়েছে।
১০.“অর্থাৎ সে বৃক্ষবাসিনী।”—কেন তাকে বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে?
উঃ শীতের অকালবৃষ্টিতে ভেজা বুড়িটা বটগাছের নীচে গিয়ে গুঁড়ির পাশের একটা শিকড়ের ওপর বসে গুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়েছিল। বুড়ি সেখানে থাকতে অভ্যস্ত ছিল বলেই তাকে ‘বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে।
১১.”বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল।”—পরামর্শটি কী ছিল?
উঃ বিজ্ঞ চৌকিদার নদীতে বুড়ির মৃতদেহ ফেলে দিয়ে তার গতি করার পরামর্শ দিয়েছিল।
১২.”হঠাৎ বিকেলে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল।”-কোন দৃশ্য দেখা গেল?
উঃ হঠাৎ বিকেলে দেখা গেল যে, উত্তরের মাঠ অতিক্রম করে বাজারের দিকে একটা চ্যাংদোলা আসছে।
১৩.বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কী কী উচ্চারণ করেছিল বলে হিন্দুরা জানিয়েছিল?
উঃ বুড়ি মারা যাওয়ার সময় ‘শ্রীহরি’ এবং ‘হরিবােল’ উচ্চারণ করেছিল বলে হিন্দুরা জানিয়েছিল।
১৪.বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কী কী উচ্চারণ করেছিল বলে মুসলমানরা জানিয়েছিল?
উঃ বুড়ি মারা যাওয়ার সময় কলমা পড়েছিল এবং ‘আল্লা’, ‘বিসমিল্লা’, ‘লাইলাহা ইল্লাল্ল’ উচ্চারণ করেছিল বলে মুসলমানরা জানিয়েছিল।
১৫.বুড়িকে হরিবােল বলতে স্পষ্ট শুনেছে কে?
উঃ বুড়িকে হরিবােল বলতে স্পষ্ট শুনেছে নকড়ি নাপিত।
১৬.“বুড়ি খেপে গিয়ে বলল-চোখের মাথা খেয়েছিস মিনসেরা?” – বুড়ি কখন একথা বলেছিল?
উঃ দুপক্ষের বিবদমান জনতা যখন বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল বুড়ি হিন্দু না মুসলমান, তখনই বুড়ি খেপে গিয়ে কথাগুলাে বলেছিল।
১৭.চৌকিদারের কথার উত্তরে বুড়ি কী বলেছিল?
উঃ চৌকিদারের কথার উত্তরে বুড়ি শতগুষ্টিসহ চৌকিদারের মৃত্যুকামনা করে বলেছিল— “মর, তুই মর। তাের শতগুষ্ট মরুক।”
১৮.”দুদিকের সশস্ত্র জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে” -কী দেখছিল?
উঃ দু-দিকের সশস্ত্র জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখছিল যে, বুড়ির দেহটা নড়ছে এবং নড়তে নড়তে বুড়ি উঠে বসার চেষ্টা করছে।
১৯.”ফজলু সেখ বলল।” -ফজলু সেখ কী বলেছিল ?
উঃ ফজলু সেখ বলেছিল যে সে নিজের কানে বুড়িকে ‘লাইলাহা ইল্লাল্ল’ বলতে শুনেছে।
👉আরো দেখো…..

Leave a Reply