হাট – যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
১. হট কবিতাটি লিখেছেন— (নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী / শক্তি চট্টোপাধ্যায় / যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত)।
উত্তরঃ যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত।
২. বাংলা কাব্যজগতে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (বিদ্রোহী কবি / দুঃখবাদী কবি / পল্লী কবি)।
উত্তরঃ দুঃখবাদী কবি।
৩. হাট কবিতায় কটা গ্রামের কথা বলা আছে ? ( ১০-১২টা / ১২-১৪টা / ১৪-১৫টা)।
উত্তরঃ ১০-১২টা।
৪. কেনা-বেচা সেরে সবাই কখন ঘরে ফিরে যায় ? ( দুপুরবেলায় / বিকাল বেলায় / সন্ধ্যা বেলায়)।
উত্তরঃ বিকাল বেলায়।
৫. হাট কবিতা অনুসারে যে পাখির ডাকে রাত্রি নামে— (কাক / কোকিল / শালিক)।
উত্তরঃ কাক।
৬. হাট কবিতায় বাঁশ ছাড়া আর যে গাছের উল্লেখ আছে— ( বট / অশ্বত্থ / পাকুড়)।
উত্তরঃ পাকুড়।
৭. ‘ _______ নিয়ে কত টানাটানি।’— শূন্যস্থানে যে শব্দটি বসবে— (টাকা কড়ি / পয়সা কড়ি / কানা কড়ি)।
উত্তরঃ কানা কড়ি।
৮. ‘ওপারের লোক নামালে পসরা’— পসরা শব্দের অর্থ— (পণ্যদ্রব্য / ফলমূল / চাল ডাল)।
উত্তরঃ পণ্যদ্রব্য।
👉আরো পড়ো : সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর।
হাট – যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
হাতে কলমে’র প্রশ্ন ও উত্তর।
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ
১.১ কোন সাহিত্যিক-গোষ্ঠীর সঙ্গে যতীন্দ্ৰনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল?
উত্তরঃ কল্লোল সাহিত্যিক-গোষ্ঠীর সঙ্গে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলি হল মরীচিকা, মরুশিখা, মরুমায়া, ত্রিযামা, সায়ম, নিশান্তিকা।
২. নীচের বাক্যগুলি থেকে এমন শব্দ খুঁজে বের করো যার প্রতিশব্দ কবিতার মধ্যে আছে। কবিতার সেই শব্দটি পাশে লেখোঃ
২.১ ‘আঁধার-সাঁঝে বনের মাঝে উল্লাসে প্রাণ
ঢেলেছে।’
উত্তরঃ সাঁঝে = সন্ধ্যায়।
২.২ ‘আলো, আমার আলো, ওগো আলো ভুবন-ভরা।
উত্তরঃ আলো = আলোক।
২.৩ ‘তুমি আমার সকালবেলার সুর।’
উত্তরঃ সকালবেলা = প্রভাত ।
২.৪ ‘আমার রাত পোহাল শারদ-প্রাতে।’
উত্তরঃ রাত = রাত্রি,নিশা এবং প্রাতে = প্রভাতে ।
২.৫ ‘দিনেরবেলা বাঁশী তোমার বাজিয়েছিলে।’
উত্তরঃ দিনেরবেলা = দিবসেতে।
৩. সমোচ্চারিত বা প্রায়-সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাওঃ
» দীপ = বাতি, আলোর প্ৰদীপ
» দ্বীপ = জলবেষ্টিত স্থলভাগ
» দর = গর্ত, ফাটল
» দড় = শক্ত, দক্ষ
» শাখ = গাছের ডাল
» শাঁখ = শঙ্খ
» বাধা = বিঘ্ন, নিষেধ
» বাঁধা = গচ্ছিত,বন্ধন
» নিত্য = দৈনিক, রোজ
» নৃত্য = নাচ
৪. নীচের শব্দগুলি গদ্যে ব্যবহার করলে কেমন হবে লেখোঃ
(সহিয়া, সেথা, সহি, সবে, তবে, মুদিল)
» সহিয়া— সহ্য করা
» সেথা— সেখানে
» সহি— সহ্য করি
» সবে— সবাই
» তবে— তাহলে
» মুদিল— বন্ধ করল
৫. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখোঃ
৫.১ কতগুলি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে?
উত্তরঃ দশ বারো টি গ্রামের পরে সাধারণত একটি হাট চোখে পড়ে।
৫.২ হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না কেন?
উত্তরঃ সারাদিন হাটে সবার প্রয়োজন মিটে গেলে যে যার ঘরে ফিরে যায় ফলে একা পড়ে থাকে হাট, তাই হাটে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে না।
৫.৩ কার ডাকে রাত্রি নেমে আসে?
উত্তরঃ একটি কাকের ডাকে রাত্রি নেমে আসে।
৫.৪ ও পারের লোক কেন এ পারেতে আসে?
উত্তরঃ ওপারের লোক জিনিসপত্রের পসরা নামালে ভালো জিনিসের লোভে এপারের লোক কেনার জন্য ছুটে আসে।
৫.৫ ‘হিসাব নাহিরে – এল আর গেল
কত ক্রেতা বিক্রেতা।’ – কোনো হিসাব নেই
কেন?
উত্তরঃ হাটে অসংখ্য মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে কেনাবেচার জন্য আসে। প্রতিদিনের এই চেনা-অচেনা মানুষের হিসাব রাখা সম্ভব নয়। তাই কোনো হিসাব নেই।
৬। কবিতায় বর্ণিত হাটের চেহারা কেমন লেখোঃ
» হাট বসার আগে :
হাট বসার আগে হাটের স্থানটি জনশূন্য,
ফাঁকা এবং অপরিচ্ছন্ন ভাবে পড়ে থাকে।
» হাট চলাকালীন :
হাটে অনেক মানুষের আনাগোনা দেখা দেখা যায়। ক্রেতা -বিক্রেতার মধ্যে দেখা যায় কেনা বেচা ও দর কষাকষি। হাট চলাকালীন বহু মানুষের ভিড়ে হাটের পরিবেশ কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে।
» হাট ভাঙার পর :
হাট ভাঙার পর সব বিক্রেতা নিজের নিজের হিসাব সামলে নিয়ে ঘরে ফিরে যায়। আবার
সন্ধ্যায় নেমে আসে হাটের বুকে নিস্তব্ধতা,
জনশূন্যতা আর কালো অন্ধকার।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
৭.১ হাটের স্থান ছড়িয়ে দূরের গ্রামের ছবি কীভাবে কবিতায় ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ হাট কবিতায় দেখা যায় দশ-বারোখানি গ্রামের মাঝখানে একটি হাট। সেই গ্রামের লোকজন হাট থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে যে যার ঘরে ফিরে যায়। সন্ধ্যাবেলায় গ্রামগুলিতে প্রত্যেক ঘরে ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে ওঠে। দূরে অবস্থিত হলেও অন্ধকারে ঢাকা নির্জন এক হাট সেই গ্রামের পার্শ্ববর্তী নদীর বাতাসের দীর্ঘনিশ্বাস শুনতে পায়। গ্রামের মানুষজন তখন নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকলেও হাট একাকী পড়ে থাকে চেনা-অচেনা মানুষের অপেক্ষায়।
৭.২ প্রকৃতির ছবি কীরূপ অসীম মমতায় কবিতায় আঁকা হয়েছে—তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ দুঃখবাদী কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তাঁর রূপক কবিতা ‘হাট’-এ অসীম মমতায় প্রকৃতির ছবি এঁকেছেন। কবি প্রাণহীন হাটের মধ্যে প্রাণসত্ত্বার করে তার একটি জীবন্ত বর্ণনা দিয়েছেন। সন্ধ্যায় হাট ভেঙে যায় এবং সবাই নিজ নিজ গৃহে ফেরে। কেউ হাটে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালায় না বা সকালে ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করে না। হার্ট সারারাত আঁধারে থাকে। হাট সারারাত নির্জনে একা থাকে। হাটের দরজা সর্বদা খোলা সকলের জন্য। উদার আকাশতলে মুক্ত বাতাসের পরশে চিরকাল একই খেলা চলতে থাকে।
৭.৩ “বাজে বায়ু আসি বিদ্রুপ-বাঁশি”— কবির এমন মনে হওয়ার কারণ কী বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তরঃ সন্ধ্যা হলে হাট ভেঙ্গে যায়। সকলে যে যার ঘরে ফেরে। হাট নির্জনে একা বিরাজ করে। প্রবহমান বাতাস জীর্ণ বাঁশের ফাঁকে প্রবেশ করে এক বাঁশির মতো আওয়াজ করে। কবি কল্পনা করছেন হাটের নির্জনতাকে প্রকৃতি বিদ্রুপ করছে তার একাকীত্বের জন্য।
৭.৪ “উদার আকাশে মুক্ত বাতাসে চিরকাল একই খেলা”—কোন প্রসঙ্গে কবি আলোচ্য পঙক্তিটি লিখেছেন ? তিনি এখানে কোন ‘খেলা’-র কথা বলেছেন? ‘চিরকাল’ চলে বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ হাটের দৈনন্দিন বসা ও ভাঙার মধ্যে কবি আমাদের মানবজীবনের আসা-যাওয়া অর্থাৎ জন্মমৃত্যুর উল্লেখ করতে গিয়ে আলোচ্য পক্তিটি লিখেছেন। কবি এখানে আসা-যাওয়া অর্থাৎ জন্ম ও মৃত্যুর উল্লেখ করেছেন। “চিরকাল চলে বলতে কবি এই পৃথিবীতে জন্মমৃত্যুর চলমানতাকে বুঝিয়েছেন। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের জীবনে আসা-যাওয়া অর্থাৎ জন্মমৃত্যুর খেলা চলছে। অর্থাৎ এই চলমানতা চিরন্তন বা সনাতন। তাই কবি একথা বলেছেন।
Best answer ever seen in my life
Good website