হিমালয় দর্শন প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর নবম শ্রেণি বাংলা | Himaloy Dorson Probondher Question Answer Class 9 Bengali wbbse
সাহিত্য সঞ্চয়ন
নবম শ্রেণি বাংলা (প্রথম ভাষা)
নবম শ্রেণি বাংলা হিমালয় দর্শন প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর | Class 9 Bengali Himaloy Dorson Probondher Question Answer wbbse
নবম শ্রেণির বাংলা হিমালয় দর্শন প্রবন্ধের বহু বিকল্পীয়, অতি সংক্ষিপ্ত, ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | West Bengal Class 9 Bengali Himaloy Dorson Probondher Question Answer wbbse
1. নবম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. নবম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
নবম শ্রেণির বাংলা হিমালয় দর্শন প্রবন্ধের বহু বিকল্পীয়, অতি সংক্ষিপ্ত, ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর, রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | West Bengal Class 9 Bengali Himaloy Dorson Probondher Question Answer wbbse
বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর : হিমালয় দর্শন (বেগম রোকেয়া) নবম শ্রেণি বাংলা | MCQ Question Answer Class 9 Bengali wbbse
• ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১. হিমালয় রেল রোড যেখান থেকে শুরু –
(ক) দার্জিলিং
(খ) শিলিগুড়ি
(গ) কার্সিয়াং
(ঘ) কালিম্পং হয়েছে
উত্তরঃ (খ) শিলিগুড়ি।
২. ‘বালুকাকণা বলিলেও বড়ো বলা হয়।’—’বালুকাকণা’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
(ক) সমুদ্র
(খ) হিমালয়
(গ) সাগর
(ঘ) শৃঙ্গ
উত্তরঃ (খ) হিমালয়।
৩. চিত্র দেখিয়া চিত্রকরের নৈপুণা বুঝা যায়। এখানে চিত্রকর হলেন—
(ক) লেখিকা
(খ) দেবতা
(গ) উপাসক
(ঘ) ঈশ্বর
উত্তরঃ (ঘ) ঈশ্বর।
৪. “ইহার সৌন্দর্য বর্ণনাতীত।” – লেখিকার কাছে যার সৌন্দর্য বর্ণনাতীত, সেটি হল—
(ক) হিমালয় রেল রোড
(খ) চায়ের ক্ষেত্র
(গ) পাহাড়চূড়া
(ঘ) জলপ্রপাত
উত্তরঃ (ঘ) জলপ্রপাত।
৫. ‘হিমালয় দর্শন’- গদ্যটির রচয়িতা—
(ক) তসলিমা নাসরিন
(খ) সেলিনা হোসেন
(গ) নীলিমা ইব্রাহিম
(ঘ) বেগম রোকেয়া
উত্তরঃ (ঘ) বেগম রোকেয়া।
৬. ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাটির প্রকৃত নাম—
(ক) ‘হিমালয় দর্পণ’
(খ) ‘আশা জ্যোতি’
(গ) কূপমণ্ডুকের হিমালয় দর্শন
(ঘ) পদ্মরাগ
উত্তরঃ (গ) কূপমণ্ডুকের হিমালয় দর্শন।
৭. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কার্সিয়াং স্টেশনের উচ্চতা—
(ক) ৪৫০০ ফিট
(খ) ৪৮৬৪ ফিট
(গ) ৫৮৬৪ ফিট
(ঘ) ২৮৬৪ ফিট
উত্তরঃ (খ) ৪৮৬৪ ফিট।
৮. লেখিকা পূর্বে দেখেছিলেন—
(ক) ভারতমহাসাগর
(খ) বঙ্গোপসাগর
(গ) আরব সাগর
(ঘ) গঙ্গানদী
উত্তরঃ (খ) বঙ্গোপসাগর।
৯. ‘এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।’—এখানে যে-সাধের কথা বলা হয়েছে, তা হল—
(ক) পাহাড় দেখার সাধ
(খ) সমুদ্র দেখার সাধ
(গ) নির্ঝর দেখার সাধ
(ঘ) অরণ্য দেখার সাধ
উত্তরঃ (ক) পাহাড় দেখার সাধ।
১০. “স্টেশন হইতে আমাদের বাসা অধিক দূর নহে”- যে স্টেশনের কথা বলা হয়েছে–
(ক) শিলিগুড়ি
(খ) দার্জিলিং
(গ) ঘুম
(ঘ) কার্সিয়াং
উত্তরঃ (ঘ) কার্সিয়াং।
১১. যথা সময় যাত্রা করিয়া লেখিকা যেখানে পৌঁছেছিলেন—
(ক) ধূপগুড়ি
(খ) ময়নাগুড়ি
(গ) শিলিগুড়ি
(ঘ) জলপাইগুড়ি
উত্তরঃ (গ) শিলিগুড়ি।
১২. ‘গাড়িগুলি এঁকেবেঁকে চলার সময় একটি বিশেষ ধরনের শব্দ করে।’- শব্দটি হল—
(ক) কটাকট
(খ) ঝিকমিক
(গ) কটাটটা
(ঘ) কটাইটা
উত্তরঃ (গ) কটাটটা।
১৩. ঢেঁকিশাকের কথা যে পত্রিকায় লেখিকা পড়েছিলেন তার নাম হল—
(ক) মহিলা
(খ) হিতবাদী
(গ) সাধনা
(ঘ) ভারতবর্ষ
উত্তরঃ (ক) মহিলা।
১৪. লেখিকা ক্রমে সমুদ্র হতে যত হাজার ফিট ওপরে উঠে ছিলেন,তা হল—
(ক) এক
(খ) দুই
(গ) তিন
(ঘ) চার
উত্তরঃ (গ) তিন।
১৫. নিম্ন উপত্যকায় ‘নির্মল শ্বেত কুঞ্ঝাটিকা দেখে লেখিকার যা মনে হচ্ছিল, তা হলো—
(ক) সমুদ্র
(খ) জলাশয়
(গ) নীল আকাশ
(ঘ) নদী
উত্তরঃ (ঘ) নদী।
১৬. বড়ো বড়ো ঢেঁকিতরুর কথা কোন গ্রন্থে পড়েছিলেন লেখিকা ?
(ক) ভূতত্ত্ব
(খ) মহিলা কাব্য
(গ) পার্বত্য বিলাস
(ঘ) হিমালয় ভ্ৰমণ
উত্তরঃ (ক) ভূতত্ত্ব।
১৭. ‘ঐরূপে উহারা অন্যান্য জাতির সহিত মিশিতেছে।’—যেভাবে ভূটিয়ানিরা অন্যান্য জাতির সঙ্গে মিশছে, তা হল—
(ক) বিবাহসূত্রে
(খ) পড়াশোনাসূত্রে
(গ) ভ্রমণসূত্রে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) বিবাহসূত্রে।
১৮. ঝরনার কল্লোলগীতি শুনে যার প্রতি ভক্তির উচ্ছ্বাস দ্বিগুণ ত্রিগুণ বেড়ে যায়—
(ক) ঈশ্বরের প্রতি
(খ) প্রকৃতির প্রতি
(গ) পাহাড়ের প্রতি
(ঘ) ঝরনার প্রতি
উত্তরঃ (ক) ঈশ্বরের প্রতি।
১৯. ঢেঁকি তরুর উচ্চতা—
(ক) ১৫-২০ ফুট
(খ) ২০-২৫ ফুট
(গ) ১০-১৫ ফুট
(ঘ) ২৫-৩০ ফুট
উত্তরঃ (খ) ২০-২৫ ফুট।
২০. ‘আমি পূর্বে দেখি নাই।’— লেখিকা পূর্বে কী দেখেননি ?
(ক) বড়ো বড়ো ঘাস
(খ) পার্বত্য অঞ্চলের চা বাগান
(গ) পার্বত্য ঝরনা
(ঘ) টয়ট্রেন
উত্তরঃ (ক) বড়ো বড়ো ঘাস।
২১. লেখিকা বেগম রোকেয়া চায়ের খেতগুলির বর্ণনায় যে রঙের উল্লেখ করেছেন, তা হল—
(ক) হরিদবর্ণ চায়ের খেত
(খ) ধীরগতিতে চলা ট্রেন
(গ) নিবিড় শ্যামল বন
(ঘ) পাহাড়ি ঝরনা
উত্তরঃ (ক) হরিদবর্ণ চায়ের খেত।
২২. এদেশের স্ত্রীলোকেরা কী দেখলে ভয় পায় না ?
(ক) জোঁক (খ) সাপ (গ) বাঘ (ঘ) ভালুক
উত্তরঃ (ক) জোঁক।
২৩. একটি বড়ো ঝরনার কাছে ট্রেন থেমেছিল কেন ?
(ক) জলপ্রবাহ দেখবার জন্য
(খ) বিশ্রাম নেওয়ার জন্য
(গ) জল পরিবর্তনের জন্য
(ঘ) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখবার জন্য
উত্তরঃ (গ) জল পরিবর্তনের জন্য।
২৪. চার হাজার ফিট উপরে উঠে লেখিকার অনুভূতি কেমন ছিল?
(ক) গরম অনুভব করেছিলেন
(খ) বৃষ্টির দাপট সহ্য করেছিলেন
(গ) চারদিকে কুয়াশা দেখতে পেয়েছিলেন
(ঘ) আরাম অনুভব করছিলেন
উত্তরঃ (ঘ) আরাম অনুভব করছিলেন।
২৫. লেখিকার ভূটিয়া চাকরানি নাম ছিল – (ক) মালু (খ) বালু (গ) ডালু (ঘ) ভালু
উত্তরঃ (ঘ) ভালু।
২৬. লেখিকা যে কারণে গৃহসুখ অনুভব করতে পারেননি, তা হলো—
(ক) জিনিসপত্রের অভাব ছিল
(খ) থাকবার ভালো ব্যবস্থা ছিল না
(গ) আবহাওয়া ভালো ছিল না
(ঘ) জামাকাপড়ের অভাব ছিল
উত্তরঃ (ক) জিনিসপত্রের অভাব ছিল।
২৭. ভূটিয়ানিরা কত গজ লম্বা কাপড় ঘাঘরার মতো করে পড়ত ?
(ক) চার গজ
(খ) পাঁচ গজ
(গ) ছয় গজ
(ঘ) সাত গজ
উত্তরঃ (ঘ) সাত গজ।
২৮. “এখন সে সাধও পূর্ণ হইল”- যে সাধের কথা বলা হয়েছে—
(ক) পাহাড় দেখার সাধ
(খ) সমুদ্র দেখার সাধ
(গ) নির্ঝর দেখার সাধ
(ঘ) অরণ্য দেখার সাধ
উত্তরঃ (ক) পাহাড় দেখার সাধ
২৯. ‘এখানে এখনও শীতের বৃদ্ধি হয় নাই, গ্রীষ্মও নাই।’- লেখিকা পর্বতের এই সময়কালকে বলেছেন—
(ক) শরৎকাল
(খ) হেমন্তকাল
(গ) বর্ষাকাল
(ঘ) বসন্তকাল
উত্তরঃ (ঘ) বসন্তকাল।
৩০. কারসিয়াং যাওয়ার কয়দিন পর বৃষ্টি হয়েছিল ?(ক) চার দিন। (খ) তিন দিন (গ) দু-দিন (ঘ) একদিন
উত্তরঃ (ঘ) একদিন।
৩১. কার্সিয়াং এ পানীয় জলের একমাত্র উৎস হলো—
(ক) নদী
(খ) পৌরসভার জল
(গ) নির্ঝরের জল
(ঘ) কুপের জল
উত্তরঃ (গ) নির্ঝরের জল।
৩২. লেখিকা কারসিয়াং-এ ব্যবহার করতেন—
(ক) কুয়োর জল
(খ) নদীর জল
(গ) ঝরনার জল
(ঘ) পুকুরের জল
উত্তরঃ (গ) ঝরনার জল।
৩৩. ‘একবার ‘মহিলা’য় ঢেঁকির শাকের কথা পাঠ করিয়াছি।’- ‘মহিলা’ বলতে লেখিকা বুঝিয়েছেন—
(ক) পত্রিকার নাম
(খ) কাব্যগ্রন্থের নাম
(গ) উপন্যাসের নাম
(ঘ) প্রবন্ধের নাম
উত্তরঃ (ক) পত্রিকার নাম।
৩৪. “এখানে এখন শীতের বৃদ্ধি হয় নাই, গ্রীষ্ম ও নাই।” – লেখিকা পর্বতের এই সময়কালকে বলেছেন—
(ক) গ্রীষ্মকাল
(খ) বসন্তকাল
(গ) শরৎকাল
(ঘ) শীতকাল
উত্তরঃ (খ) বসন্তকাল।
৩৫. লেখিকা কোন পত্রিকায় ঢেঁকিশাকের কথা তিনি পড়েছিলেন?
(ক) ‘দেশ’ পত্রিকায়
(খ) ‘মহিলা’ পত্রিকায়
(গ) ‘ভারতবর্ষ পত্রিকায়
(ঘ) ‘স্বদেশ’ পত্রিকায়
উত্তরঃ (খ) ‘মহিলা’ পত্রিকায়।
৩৬. লেখিকা ঢেঁকিশাককে যা বলে জানতেন, তা হলো—
(ক) বৃক্ষ বলে
(খ) ক্ষুদ্র গুল্ম বলে
(গ) আগাছা বলে
(ঘ) ঘাস বলে
উত্তরঃ (খ) ক্ষুদ্র গুল্ম বলে।
৩৭. কোন খেলা দেখতে লেখিকার চমৎকার লেগেছিল ?
(ক) বায়ু ও মেঘের লুকোচুরি খেলা
(খ) সুর্যের আলো ও মেঘের লুকোচুরি খেলা (গ) চা বাগানে রোদের লুকোচুরি খেলা
(ঘ) বৃষ্টি ও রোদের আসা-যাওয়া খেলা
উত্তরঃ (ক) বায়ু ও মেঘের লুকোচুরি খেলা।
৩৮. ‘নির্ভয়ে বেড়াইতে পারি,–নির্ভয়ে বেড়াতে যাওয়ার কারণ হলো—
(ক) জঙ্গলে সাপ নেই
(খ) অরণ্য ঘন নয়
(গ) বাঘ-ভালুক নেই
(ঘ) বাঘ নেই
উত্তরঃ (ঘ) বাঘ নেই।
৩৯. ‘হিমালয় দর্শন’ নামক রচনাংশে লেখিকার আসবাব সরঞ্জাম ভুল করে যে ঠিকানায় বুক করা হয়েছিল—
(ক) ঘুম
(খ) দার্জিলিং
(গ) কার্সিয়াং
(ঘ) শিলিগুড়ি
উত্তরঃ (খ) দার্জিলিং।
8০. লেখিকার মতে যা প্রাকৃতিক শোভা শতগুণ বৃদ্ধি করেছিল, তা হল—
(ক) হরিদবর্ণ চায়ের খেত
(খ) ধীরগতিতে চলা ট্রেন
(গ) নিবিড় শ্যামল বন
(ঘ) পাহাড়ি ঝরনা
উত্তরঃ (ক) হরিদবর্ণ চায়ের খেত।
অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী : প্রশ্নোত্তর হিমালয় দর্শন (বেগম রোকেয়া) নবম শ্রেণি বাংলা | MCQ Question Answer Class 9 Bengali wbbse
• কম-বেশী কুড়িটি শব্দে উত্তর দাও : প্রশ্নের মান-১
১. হিমালয় রেল রোড কোথা থেকে আরম্ভ
হয়েছে ?
উত্তরঃ শিলিগুড়ি থেকে হিমালয় রেল রোড আরম্ভ হয়েছে।
২. লেখিকারা বাসায় হাজির হয়েও গৃহসুখ অনুভব করতে পারলেন না কেন ?
উত্তরঃ গৃহসুখ অনুভব করতে পারলেন না, কারণ ভ্রমক্রমে তাঁদের ট্রাংকগুলি দার্জিলিং-এর ঠিকানায় চলে যায়।
৩. “পথের দুইধারে মনোরম দৃশ্য” – মনোরম
দৃশ্যটি কী ?
উত্তরঃ পথের দুইধারে মনোরম দৃশ্য বলতে রেলপথের দুইপাশে উচ্চ চুড়া বা নিবিড় অরণ্য প্রভৃতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে।
৪. কীভাবে লেখিকার মনোরথ পূর্ণ হল ?
উত্তরঃ রেলগাড়ি একটি বড় ঝরনার কাছে ইঞ্জিনে জল নেওয়ার জন্য থেমে যাওয়ায় লেখিকার ঝরনা দেখার মনোরথ পূর্ণ হয়।
৫. “মেঘের ভিতর দিয়া চলিয়াছি।”– কখন লেখিকা মেঘের ভিতর দিয়ে চলেছেন ?
উত্তরঃ শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়াং রেলপথে যাবার সময় লেখিকার মনে হয়েছিল যে তিনি মেঘের মধ্যে দিয়ে চলেছেন।
৬. রেল পথে যাওয়ার সময় জলপ্রপাত বা ঝরনা দেখে লেখিকার কী মনে হল ?
উত্তরঃ লেখিকার মনে হল জলপ্রপাত ও ঝরনার সৌন্দর্য বর্ণনার অতীত, তা ছাড়া ভীমবেগে প্রবাহিত জলধারা পাষাণ হৃদয় বিদীর্ণ করছে।
৭. “সহসা নদী বলিয়া ভ্ৰম জন্মে।”— কী দেখে নদী বলে ভুল হয় ?
উত্তরঃ নীচের উপত্যকায় শ্বেত কুাজ্ঝটিকা বা কুয়াশা দেখে লেখিকার নদী বলে ভুল হয়েছিল।
৮. আসবাবপত্র ফিরে আসায় গৃহসুখে থেকে লেখিকার কী উপলব্ধি হল ?
উত্তরঃ গৃহসুখে থেকে লেখিকার এই উপলব্ধি হল যে, আশ্রয় পেলেই গৃহসুখ আসে না, সেজন্য প্রয়োজনীয় আসবাব সরঞ্জামও চাই।
৯. “ধরণীর সীমন্তের ন্যায় দেখায়!”— কাকে ধরণীর সীমান্তের মত দেখায় ?
উত্তরঃ দূর থেকে সারিবদ্ধ চা-বাগানের মধ্য দিয়ে মানুষের চলার সরু পথগুলিকে ধরণীর সীমান্তের মত দেখায়।
১০. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কার্সিয়াং এর উচ্চতা কত ?
উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কার্সিয়াং এর উচ্চতা প্রায় সাড়ে চার হাজার ফিট।
১২. প্রাকৃতিক শোভা কীসের জন্য শতগুণ বৃদ্ধি পয়েছে ?
উত্তরঃ সবুজ চা-বাগানগুলির জন্য পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৩. “গৃহসুখ অনুভব করিতে পারি নাই।”– লেখিকা বাসায় এসেও গৃহসুখ অনুভব ক্রতে পারছিলেন না কেন ?
উত্তরঃ লেখিকা এবং তাঁর সঙ্গীদের মালপত্র ও আসবাবপত্র ভুল ঠিকানায় পৌঁছে যাবার জন্য, কারসিয়াং পৌঁছেও তারা গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।
১৪. ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে লেখিকা কীসেৱ সৌন্দর্যকে বর্ণনাতীত বলেছেন?
উত্তরঃ লেখিকা হিমালয়ান রেলপথ ধরে কারসিয়াং যাওয়ার সময় কতকগুলি জলপ্রপাত দেখেছিলেন, সেগুলির সৌন্দর্যকে বর্ণনাতীত বলেছেন।
১৫. কার্সিয়াং এর জলবায়ু কেমন ?
উত্তরঃ কার্সিয়াং এর জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ, লেখিকা একে পার্বত্য বসন্তকাল বলে অভিহিত করেছেন।
১৬.‘কেবল ভূ–তত্ত্ব গ্রন্থে পাঠ করিয়াছিলাম’— ভূতত্ত্ব গ্রন্থে লেখিকা কী পাঠ করেছিলেন ?
উত্তরঃ কেবল ভূতত্ত্ব গ্রন্থে লেখিকা বেগম রোকেয়া পাঠ করেছিলেন যে, কার্বনিফেরাস যুগে বড়ো বড়ো ঢেঁকিগাছ ছিল।
১৭. লেখিকা কোথায় ঢেঁকিশাকের কথা পড়েছিলেন ?
উত্তরঃ লেখিকা ‘মহিলা’ পত্রিকায় ঢেঁকিশাকের কথা পড়েছিলেন।
১৮. ‘মেঘখণ্ডকে তাড়াইয়া লইয়া চলিল।’— মেঘখণ্ডকে কে তাড়িয়ে নিয়ে চলল ?
উত্তরঃ বাতাস ও মেঘের লুকোচুরি খেলায় উলটো দিক থেকে বয়ে আসা বাতাস মেঘখণ্ডকে তাড়িয়ে নিয়ে চলল।
১৯. ঢেঁকিতরুর উচ্চতা কত ?
উত্তরঃ ঢেঁকিতরুর উচ্চতা ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু।
২০. কারসিয়াং–এ লেখিকার কী দেখে আনন্দ হল ?
উত্তরঃ কারসিয়াং-এ কার্বনিফেরাস যুগের ঢেঁকিগাছ দেখে লেখিকা বেগম রোকেয়ার ভারি আনন্দ হল।
২১. হিমালয়ান রেলগাড়ি আকৃতিতে, উচ্চতায় ও গতিতে কেমন ?
উত্তরঃ হিমালয়ান রেলগাড়ি আকারে ছোটো খেলনা গাড়ির মত, উচ্চতা খুব নীচু, গতি কম, অনায়াসে ওঠা-নামা সম্ভব।
২২. লেখিকাদের ভূটিয়া চাকরানির নাম কী ?
উত্তরঃ লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরানীর নাম ছিল ভুলু।
২৩. কাদের কী তামাশা দেখে লেখিকা সময় অতিবাহিত করেন ?
উত্তরঃ অস্তগামী সূর্যের সোনা রোদ মেখে সুকুমার মেঘগুলি বায়ু ভরে ইতস্তত ছোটাছুটি করে, সেই তামাশা দেখে লেখিকা সময় কাটান।
২৪. বড় ঝরনার কল্লোল গীতি শুনে ঈশ্বরভক্তিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে লেখিকা কী বলতে চাইলেন ?
উত্তরঃ লেখিকা বলতে চাইলেন যে, প্রবহমান নির্ঝরের মত প্রাণটাও ঈশ্বরের পদপ্রান্তে কেন লুটিয়ে পড়ে না।
২৫. ভূটিয়ানিদের ঘাঘরার বিশেষত্ব কী ছিল ?
উত্তরঃ ভুটিয়ানিরা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাগরার মতো করে পরে, তাদের কোমরে একখণ্ড কাপড় জড়ানো থাকে, গায়ে জ্যাকেট এবং বিলিতি শালে মাথা ঢাকা থাকে।
২৬. “বেশ সুন্দর দেখায়” এখানে লেখিকা কোন্ দৃশ্যের কথা বলেছেন ?
উত্তরঃ হিমালয়ান রেলগাড়ির ছোটো গাড়িগুলি খেলনার মত বেশ সুন্দর, লেখিকা বেগম রোকেয়া সেই দৃশ্যের কথা বলেছেন।
২৭.‘সহসা নদী বলিয়া ভ্রম জন্মে।’– কী দেখে কার নদী বলে ভ্ৰম জন্মায় ?
উত্তরঃ নীচে উপত্যকায় নির্মল শ্বেত কুয়াশা দেখে লেখিকা বেগম রোকেয়ার ভ্ৰম জন্মায়।
২৮. পার্বত্য অঞলে নির্ভয়ে বেড়াতে পারার কথা লেখিকা কেন বলেছেন ?
উত্তরঃ পার্বত্য অঞলে লেখিকা বেগম রোকেয়া নির্ভয়ে বেড়াতে পারার কথা বলেছেন, কারণ কারসিয়াং- এর বনে বাঘ নেই।
২৯. ‘মহিলা’ পত্রিকার সম্পাদক মেয়েদের সম্পর্কে একবার কী লিখেছিলেন ?
উত্তরঃ ‘মহিলা’ পত্রিকার সম্পাদক একবার মহিলাদের সম্পর্কে লিখেছিলেন – ‘রমণীজাতি দুর্বল বলিয়া তাহাদের নাম অবলা’।
৩০. ভুটানি মেয়েরা কীরকম স্বভাবের মেয়ে ?
উত্তরঃ ভুটানি মেয়েরা শ্রমশীলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী স্বভাবের।
৩১. ভুটানি মেয়েরা কী কারণে সদগুণরাজি হারাচ্ছে ?
উত্তরঃ ভুটানি মেয়েরা ‘নীচেকা আদমি’— দের সঙ্গে মেলামেশার ফলে ক্রমশ তাদের সদ গুনরাজি হারাচ্ছে।
৩২. “পুরুষেরা বেশি বোঝা বহন করে না।” –
কোন পুরুষদের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ এখানে ভুটিয়া পুরুষদের কথা বলা হয়েছে।
৩৩.“একথা সহসা বিশ্বাস হয় কি ?” কোন্ কথা বিশ্বাস করার কথা এখানে বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ রেলপথ থেকে দৃশ্যমান জলপ্রপাতের মধ্যে কোন একটি বিশালকায় জাহ্নবীর উৎস, এ কথা বিশ্বাস করার কথা বলা হয়েছে।
৩৪. “এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।”– কোন সাধ পূর্ণ হল ?
উত্তরঃ লেখিকার পর্বত চাক্ষুস দেখার ইচ্ছা বা সাধ ছিল, হিমালয় ভ্রমণে এসে তাঁর সেই সাধ পূর্ণ হয়েছিল।
৩৫. কারসিয়াং–এর ভুটিয়া মেয়েরা জোঁককে ভয় পায় না কেন ?
উত্তরঃ ভয় পায় না, কারণ জোঁক ক্ষতি করে না, রক্ত শোষণের কাজ শেষ হলে চলে যায়।
৩৬. ভুটিয়া মেয়েদের পোশাক কেমন ?
উত্তরঃ পরনে সাত গজ কাপড়ের ঘাঘরা, কোমরে টুকরো কাপড় জড়ানো, গায়ে জ্যাকেট, মাথা ঢাকা থাকে বিলিতি শালে।
৩৭. ভুটিয়ারা নিজেদের কী বলে পরিচয় দেয় আর পাহাড়ের নীচের মানুষদের কী বলে ?
উত্তরঃ ভুটিয়ানিরা নিজেদের ‘পাহাড়নি’ বলে পরিচয় দেয় আর পাহাড়ের নীচের মানুষজনকে বলে ‘নীচেকা আদমি’।
৩৮. ভুটানি রমণীরা কীভাবে নীচেকা আদমি’দের কাছ থকে অসৎ বিষয় শিখছে ?
উত্তরঃ ভুটানি রমণীরা ‘নীচেকা আদমি’-দের কাছ থেকে শিখছে বাজারের পয়সা চুরি করা ও দুধে জল মেশানো।
৩৯. পাহাড়ে এসে লেখিকা কী মনে করছেন ?
উত্তরঃ পাহাড়ে এসে লেখিকা নিজেকে সুখী ও ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ মনে করছেন।
ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : হিমালয় দর্শন (বেগম রোকেয়া) নবম শ্রেণি বাংলা | SAE Question Answer Class 9 Bengali wbbse
• কমবেশি ৬০ শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : (প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান-৩)
১.‘এখন সে সাধও পূর্ণ হইল।’—কী সাধ কীভাবে পূর্ণ হল ?
উত্তরঃ লেখিকার সাধ হল হিমালয় দর্শনের সাধ। তিনি বঙ্গোপসাগর দেখেছেন। তাতে তাঁর সাগর দেখার সাধ পূর্ণ হয়েছে। তবে অপূর্ণ থেকেছে পাহাড় দেখার সাধ। সৌভাগ্যবশত হিমালয় দর্শনের সুযোগ এসে যায়। লেখিকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যথাসময়ে শিলিগুড়ি স্টেশনে এসে যান। হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে রওনা হওয়ায় তাঁর পাহাড় দেখার অপূর্ণ সাধ পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়ে চলে। কারসিয়াং-এর বাসায় অবস্থানকালে সেই সাধ পূরণের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন।
২. ‘প্রাণটাও কেন ঐ নির্ঝরের ন্যায় বহিয়া গিয়া পরমেশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটাইয়া পড়ে না ? –উদ্ধৃতিৱ প্রসঙ্গ নির্দেশসহ তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ কারসিয়াং-এ লেখিকা বেগম রোকেয়ার বাসা থেকে মাইলখানেক দূরে একটা বড়োসড়ো ঝরনা ছিল। বাসা থেকে ওই ঝরনার জল দুধের মত সাদা দেখাত। স্রোতের কলগীতি দিনরাত্তির লেখিকার কানে আসত। ওই কল্লোল গীত শুনে ঈশ্বরের প্রতি লেখিকার ভক্তির আবেগ ও উচ্ছ্বাস দু-তিন গুণ বেগে প্রবাহিত হত। তার মনে প্রশ্ন জাগত ওই নির্ঝরের প্রবাহিত জলধারার মত প্রাণ কেন ধাবিত হয়ে ঈশ্বরের চরণপ্রান্তে লুটিয়ে পড়ছে না। এখানে বেগবান জলধারার সঙ্গে প্রাণের এবং ভূমিতলে পতিত জলধারার সঙ্গে ঈশ্বরের চরণে লুটিয়ে পড়া প্রাণের তুলনা করা হয়েছে।
৩. হিমালয়ের নারী সমাজের প্রতি লেখিকার মনোভাব পাঠ্যাংশে যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তার পরিচয় দাও।
উত্তরঃ ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশের লেখিকা বেগম রোকেয়া বাংলার একজন অগ্রগণ্য নারী সংস্কারক। আলোচ্য গদ্যাংশে লেখিকা পাহাড়ি শহরে বেড়াতে এসেছেন। এখানে এসে তিনি পরিচিত হয়েছেন ‘ভুটিয়া চাকরানী’ ভালুর সাথে। এই কষ্টসহিষ্ণু ভুটিয়া মহিলার প্রসঙ্গে লেখিকা হিমালয়ের নারী সমাজের কথা উত্থাপন করেছেন।
তিনি সমতলের পুরুষদের প্রশ্ন করেছেন যে যারা সমতলের নারীদের অবলা বলে মনে করেন তার কি পাহাড়ি মহিলাদেরও অবলা বলবেন ? কারণ, পাহাড়ি নারীরা উদরান্নের জন্য পুরুষদের মুখাপেক্ষি নয়, যারা পুরুষদের অধিক পাথর বয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম, নারীরা পুরুদের সমান উপার্জনে সক্ষম। লেখিকার ভাষায় হিমালয়ের নারী সমাজ ‘শ্রমশীলা, সাহসি ও সত্যবাদী’।
৪. হিমালয় দর্শনের বেরিয়ে বেগম রোকিয়া যে স্থানীয় জনজীবনের পরিচয় পেয়েছিলেন তার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ লেখিকা হিমালয় দর্শনে এসে সেখানকার সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন। লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরানীর নাম ছিল ভালু। তারা সাত গজ লম্বা কাপড় ঘাঘরার মতো করে পরে, কোমরে একখণ্ড কাপড় জড়ানো থাকে, গায়ে জ্যাকেট এবং বিলাতি শাল দ্বারা মাথা ঢাকে। তারা অত্যন্ত সাহসী ও পরিশ্রমী। পিঠে দুই এক মন বোঝা নিয়ে অনায়াসে বন্ধুর পাহাড়ি পথ বেয়ে ওঠে। তারা উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নয়; সমভাবে উপার্জন করে । বরং অধিকাংশ স্ত্রীলোকই পাথর বয় যা পুরুষদের তুলনায় বেশি। ভুটিয়ানিরা ‘পাহাড়নি’ বলে নিজেদের পরিচয় দেয়। স্বভাবত তারা শ্রমশিলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী ।
৫. “পরদিন হইতে আমরা সম্পূর্ণ গৃহসুখে আছি।”– কি প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করা হয়েছে ?
উত্তরঃ আলোচ্য উক্তিটি বেগম রোকেয়া রচিত হিমালয় দর্শন গদ্যাংশের অন্তর্গত। এই গদ্যাংশে লেখিকা জানিয়েছেন যে তারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সমতল থেকে পাহাড়ি শহর কারসিয়াং-এ পৌঁছেছেন।
» কারসিয়াং রেলস্টেশনের অনতি দূরে তাদের বাসস্থানে পৌঁছে লেখিকা আবিষ্কার করেন যে তাদের জরুরী জিনিষপত্র ভুলবশত দার্জিলিং চলে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র সম্বলিত ট্র্যাঙ্কগুলি সন্ধ্যেবেলা লেখিকাদের বাসভবনে পৌঁছায়। তাই প্রথমদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের অভাবে গৃহসুখ থেকে সাময়িকভাবে বঞ্চিত থাকেলও, পরদিন থেকে তারা গৃহের সম্পূর্ণ আনন্দ উপভোগ করেছিলেন।
৬. ‘পাহাড়নি‘ এবং‘নিচেকা আদমি‘ কারা? তাদের সম্পর্কে লেখিকা যা বলেছেন তা বুঝিয়ে বল?
উত্তরঃ লেখিকা বেগম রোকেয়া পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় ভুটিয়া মহিলাদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। এই ভুটিয়া সম্প্রদায়ের মহিলারা নিজেদের ‘পাহাড়নি’ ও সমতল থেকে আসা মানুষদের ‘নীচেকা আদমি’ বলেন।
» লেখিকাদের ভুটিয়া চাকরানীর নাম ছিল ভালু। তাকে পর্যবেক্ষণ করে লেখিকা ‘পাহাড়নি’-দের সম্পর্কে যা উপলব্ধি করেছেন তা হল- তারা অত্যন্ত সাহসী, পরিশ্রমী ও সৎ। তারা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিশ্রম করতে পারে এবং বেঁচে থাকার জন্য তারা পুরুষদের উপর নির্ভরশীল নয়। তবে সমতলের মানুষদের সঙ্গদোষে তারা তাদের সদগুণগুলি হারিয়ে ফেলছে। অল্প চুরি, অসততা ও মিথ্যে কথা বলা শিখে ফেলছে তারা।
৭. “যে কারণেই ট্রেন থামুক আমাদের মনোরথ পূর্ণ হইল।” কোথায় কোন্ ট্রেন, কী কারণে থেমেছিল? বক্তা ও তার সঙ্গীদের মনোরথ কীভাবে পূর্ণ হল?
উত্তরঃ আলোচ্য উক্তিটি বেগম রোকেয়া রচিত হিমালয় দর্শন গদ্যাংশের অন্তর্গত। আলোচ্য গদ্যাংশে লেখিকা এবং তাঁর সঙ্গীরা হিমালয়ান রেলগাড়িতে শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়াং যাচ্ছিলেন।
» পথে ট্রেন একটি পাহাড়ি ঝর্নার সামনে সাময়িক বিরতি নেয়। লেখিকারা ভাবেন যে তারা যাতে ভালোভাবে ঝর্নার শোভা উপভোগ করতে পারেন তাই হয়তো ট্রেন থেমেছে। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারেন যে ট্রেন জল পরিবর্তন করার জন্য বিরতি নিয়েছিল। তবে যে কারনেই ট্রেন থামুক, লেখিকারা জলপ্রপাতের সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করেছিলেন।
৮. “ইহাদের এই তামাশা দেখিতেই আমার সময় অতিবাহিত হয়।”–“ইহাদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? তাদের তামাশার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ ‘ইহাদের’ বলতে বায়ুভরে ইতস্তত ছুটে বেড়ানো মেঘেদের কথা বলা হয়েছে।
» কারসিয়াং-এর বাতাস যেমন পরিষ্কার তেমনি হালকা। বাতাস আর মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে চমৎকার লাগে। মেঘ একদিকে থাকে আর বাতাস থাকে তার উলটো দিকে। যেই বাতাস ধেয়ে এল, অমনি মেঘখণ্ড তাড়া খেয়ে চলতে লাগল। প্রতিদিন বেলা শেষে ওই পার্বত্য দেশে অপূর্ব দৃশ্যের ছবি তৈরি হয়। অস্তগামী সূর্য বাতাস আর মেঘ নিয়ে অতি মনোহর সৌন্দর্যের রাজ্য গড়ে তোলে। অস্তমান সূর্য পশ্চিম আকাশের গায়ে পাহাড়ে যেন তরল সোনা ঢেলে দেয়। মেঘগুলি গায়ে সেই সোনা রং মেখে এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করতে থাকে। লেখিকার মনে হয় এ যেন বিচিত্র তামাশা। মেঘ ও বাতাসের ওই বিচিত্র তামাশা দেখে লেখিকা সময় অতিবাহিত করেন।
৯. বাসায় পৌঁছানোর বেগম রকেয়া কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বুঝিয়ে বলো।
অথবা,
কারসিয়াং–এর বাসায় লেখিকা কিছু সময়ের জন্য গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন কেন এবং এ ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতাই বা কী ?
উত্তরঃ কারসিয়াং রেলস্টেশনে নেমে লেখিকা বেগম রোকেয়া কিছুটা দূরে বাসায় পৌঁছেছিলেন। ভুল করে তাঁদের আসবাবপত্রের ট্রাংক দার্জিলিং-এর ঠিকানায় চলে যাওয়ায় তাঁরা কিছু সময় গৃহসুখ থেকে বঞ্চিত হন। অবশ্য সন্ধ্যার গাড়িতে ট্রাংকগুলি ফিরে আসে। তখন সেগুলি যথারীতি বাসায় পৌঁছায়। লেখিকা তারপর গৃহসুখ অনুভব করতে পারেন। লেখিকার মনে হয়, তাঁরা দার্জিলিং যাওয়ার আগে তাঁদের জিনিসপত্র দার্জিলিং-এর বায়ু সেবন করে নিজেদের চরিতার্থ করে। এই ঘটনা থেকে লেখিকার অভিজ্ঞতা হল যে, কেবল বাস করার আশ্রয় পেলেই বাস করা সুখের হয় না । প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আসবাব সরঞ্জাম থাকলে তবেই গৃহে সুখপ্রাপ্তি পূর্ণতা পায় ।
১০. ‘সে জুলুম হইতে রক্ষা পাইলাম।’- কোন্ জুলুম থেকে লেখিকা রক্ষা পেয়েছেন ?
উত্তরঃ লেখিকা বেগম রোকেয়া এখানে জুলুম বলতে গরমের কষ্টের কথা বলেছেন। লেখিকা তাঁর ‘হিমালয় দর্শন’ গদ্যাংশে তাঁর হিমালয় ভ্রমণের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি সমতলের বাসিন্দা, তিনি সমতল থেকে যখন চার হাজার ফিট উচ্চতায় পৌঁছালেন তখন তিনি প্রবল শৈত্য অনুভব না করলেও, পাহাড়ি মনোরম আবহাওয়ায় সমতলের তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। লেখিকা একেই জুলুমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া বলেছেন।
১১. বেগম রোকেয়ার অনুসরণে শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়াং যাত্রাপথের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ বেগম রোকেয়ার রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ লেখ্য থেকে জানতে পারি যে তিনি দার্জিলিং চলেছেন। এখানে তিনি শিলিগুড়ি থেকে কারসিয়াং যাত্রাপথের অপরূপ বর্ননা দিয়েছেন। লেখিকা হিমালয়ান রেলওয়ের টয়ট্রেনে চড়ে পাহাড়ে উঠছেন। পাহাড়ের আঁকিবুঁকি রাস্তা চিরে , মেঘের মধ্যে দিয়ে ‘কটাটটা’ শব্দ করতে করতে রেলগাড়ি এগিয়ে চলেছে। পথের দুই ধারের মনোরম দৃশ্য লেখিকার মন ছুয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের চুড়ো, নীচে নেমে যাওয়া উপত্যকার পাশাপাশি চারিপাশের লতা, ঘাসপাতা ইত্যাদিও লেখিকার মনোরম লাগছে। এসবের মধ্যে বিশেষ ভাবে লেখিকার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে পাহাড়ি ঝর্না বা জলপ্রপাত। যান্ত্রিক কারণে ট্রেন একটি জলপ্রপাতের সামনে থামলে লেখিকা মন ভরে তার শোভা পর্যবেক্ষণ করেন। এভাবেই তিনি পাহাড়ের মায়াবী রাজ্যের মধ্যে দিয়ে নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছান।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : হিমালয় দর্শন প্রবন্ধ (বেগম রোকেয়া) নবম শ্রেণি বাংলা | Essay Type Question Answer Himaloy Dorson Class 9 Bengali wbbse
• কমবেশি ১৫০ শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : (প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান-৫)
১. লেখিকা বেগম রোকেয়ার লেখা ‘হিমালয় দর্শন’ রচনার ভ্রমণবৃত্তান্ত অনুসরণে পাহাড়ের প্রকৃতির বর্ণনা করো।
উত্তরঃ সুখ্যাত লেখিকা বেগম রোকেয়ার ‘হিমালয় দর্শন’ রচনায় পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। লেখিকাদের শিলিগুড়ি রেলস্টেশন থেকে কারসিয়াং পর্যন্ত হিমালয়ান রেলগাড়িতে ভ্রমণবৃত্তান্ত বর্ণিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পথের দুই ধারে মনোরম দৃশ্য-কোথাও অতি উচ্চ চূড়া, কোথাও নিবিড় অরণ্য’ পার্বত্য অঞ্চলে অরণ্য প্রকৃতির বিশেষ ভূমিকা আছে। ভ্রমণযাত্রী লেখিকার চোখে ‘তরু, লতা, ঘাস, পাতা, সকলই মনোহর। নিবিড় শ্যামল বন যেন ধরিত্রীর কেশপাশ, আর তার মাঝ দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ যেন আঁকাবাঁকা সিঁথি।
কারসিয়াং-এ থাকার সময় প্রকৃতির সঙ্গে
লেখিকার সরাসরি পরিচয় হয়। বাতাস আর
মেঘের লুকোচুরি খেলা দেখতে চমৎকার লাগে। অস্তগামী সূর্য বাতাস আর মেঘ নিয়ে অতি মনোহর সৌন্দর্যের রাজ্য গড়ে তোলে। অস্তমান সূর্য পশ্চিম আকাশের গায়ে পাহাড়ে যেন তরল সোনা ঢেলে দেয়। মেঘগুলি গায়ে সেই সোনা রং মেখে এখানে-ওখানে ছোটাছুটি করতে থাকে। ২০/২৫ ফুট উঁচু ঢেঁকি গাছ দেখে তাঁর ভারী আনন্দ হয়। কারসিয়াংএর কোনো কোনো জায়গায় খুব ঘন বন দেখেন মুগ্ধ নয়নে। বনে বেড়ানো ছিল বেশ নির্ভয়। কারণ ওই বনে বাঘ নেই। লেখিকা পাহাড়, ঝর্ণা, শ্যামল প্রকৃতির রূপে এতটাই বিভোর হয়ে যান যে তার স্রষ্টার কথা মনে পড়ে। তার মনে হয় যে মহা শিল্পী এত চমৎকার চিত্র অঙ্কন করতে পারেন তার নৈপুণ্য কল্পনাতীত।
২. “অবশেষে কার্সিয়াং স্টেশনে উপস্থিত হইলাম”- কার্সিয়াং যাত্রাপথে হিমালয়ের যে সৌন্দর্য দেখে লেখিকা মুগ্ধ হয়েছিলেন তার স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে লেখিকা বেগম রোকেয়া জানিয়েছেন শৈলশহর কার্সিয়াং-এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৬৪ ফিট। শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে কার্সিয়াং-এর উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পথের দু-পারে অতি উচ্চচূড়া এবং ঘন- সবুজ অরণ্য লেখিকাকে মুগ্ধ করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফিট উচ্চতায় মেঘের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় নীচের উপত্যকার সাদা কুয়াশার আস্তরণ দেখে লেখিকা নদী মনে করে বলেছেন, এই যাত্রাপথে ‘তরু, লতা, ঘাস, পাতা-সকলই মনোহর’। সবুজ চা বাগান ও চা বাগানের মাঝের সংকীর্ণ পথগুলি লেখিকাকে ‘ধরণীর সীমন্ত’র ধারণা দেয়। শুধু তাই নয় লেখিকার অমোঘ মুগ্ধতায় পথের দুধারের ঘন অরণ্যকে ধরণীর ঘন কেশরাশি এবং মাঝের পথগুলিকে তার আঁকাবাঁকা সিঁথির মতো মনে হয়। পথের ধারের জলপ্রপাত দেখে লেখিকার মন আনন্দে ভরে ওঠে। সমতলের তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেয়ে চার হাজার ফিট উচ্চতায় লেখিকা বেশ আরাম অনুভব করেন। এভাবেই চড়াই উতরাই অতিক্রম করে পথের দুধারের সৌন্দর্যে বিভোর লেখিকা দীর্ঘপথ যাত্রা করে কার্সিয়াং পৌঁছান।
৩. ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশটিতে পার্বত্যজাতি সম্পর্কে লেখিকার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে ?
উত্তরঃ লেখিকা বেগম রোকেয়া তাঁর ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে শৈলশহর কার্সিয়াং-এ কিছুদিন ছিলেন। সেই সুবাদে পার্বত্যপ্রদেশের অধিবাসীদের জীবনযাপন খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। সেই সম্পর্কে তিনি সুচিন্তিত অভিমত এই রচনাংশে ব্যক্ত করেছেন। পাহাড়ি নারীদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা আলোচ্য রচনাংশটিতে ফুটে উঠেছে। তিনি কখনোই নারীদের দুর্বল বা অবলা জাতি মনে করেননি, বরং তারা যে পুরুষের সমকক্ষ তা পাহাড়ি নারীরা প্রমান করেছে।
পাহাড়বাসীদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমেই তিনি পাহাড়বাসীদের পরিশ্রম, কষ্টসহিষ্ণুতার কথা বলেছেন। দুর্গম পার্বত্যপথে পিঠে ভারী বোঝা নিয়ে পাহাড়ের স্ত্রীলোকেরা অনায়াসেই উপরে উঠে যায়। সেই পাহাড়ি মেয়েরা কোনো কিছুর জন্যই পুরুষের ওপর নির্ভরশীল হয় না। তাদের চরিত্রের গুণগুলি হল তারা “শ্রমশীলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী ও সত্যবাদী”। একজন নারী হিসেবে লেখিকা গর্বের সঙ্গেই এই ভুটিয়ানিদের দেখে প্রশ্ন তুলেছেন পুরুষের তুলনায় শারীরিকভাবে দুর্বল যে নারীজাতিকে ‘অবলা’ বলা হয়, ভুটিয়ানিরাও ওই অবলা জাতির অন্তর্গত কি না। অর্থাৎ পাহাড়ি মেয়েরা নিজেদের জোরেই আর্থিক সাবলম্বী হয়ে ওঠে। কিন্তু লেখিকার মতে পাহাড়ি নারীদের এই সদগুণগুলি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে সমতলবাসীদের সংস্পর্শে আসার কারণে। তারা কিছু ক্ষেত্রে অসততা অবলম্বন করছে।
৪. “যেন ইহাদের মতে নীচেকা আদমি’ই অসভ্য!”- ‘ ‘ইহাদের’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে ? ‘নীচেকা আদমি’ বলতে কারা ? নীচেকা আদমির সংস্পর্শে তাদের কী হয়েছে ?
উত্তরঃ বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশে ‘ইহাদের’ বলতে পার্বত্যবাসীদের কথা বলা হয়েছে।
পাহাড়িরা কথানুযায়ী সমতলবাসীদের ‘নীচেকা আদমি’ বলা হয়।
শৈলশহর কার্সিয়াং-এ থাকাকালীন লেখিকা পার্বত্যজাতির মানুষ বিশেষত সেখানকার নারীদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সুবাদে ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধটিতে তার সেই অভিজ্ঞতাকেই তিনি ব্যক্ত করেছেন পাঠকের সামনে। পাহাড়বাসী ভুটিয়া নারীদের প্রতি লেখিকা যে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন, তা এই প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে। পাহাড়বাসী মহিলারা সাহসী, পরিশ্রমী, কষ্টসহিষ্ণু। দুর্গম পার্বত্যপথে পিঠে ভারী বোঝা নিয়ে পাহাড়ের স্ত্রীলোকেরা অনায়াসেই উপরে উঠে যায়। সেই পাহাড়ি মেয়েরা কোনো কিছুর জন্যই পুরুষের ওপর নির্ভরশীল হয় না। সমতলবাসীদের সংস্পর্শে সাহসী, পরিশ্রমী পাহাড়ি মহিলারা তাদের ভালো গুণগুলি হারিয়ে নানারকম অসৎ উপায় অবলম্বন করছে, যেমন ছোটোখাটো চুরি করা, ভেজাল দেওয়া ইত্যাদি। আবার বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমেও পাহাড়ি ভুটিয়ানিরা অন্য জাতির সঙ্গে মিশেছে।
৫. ‘আমি পাহাড়ে আসিয়া অত্যন্ত সুখী এবং ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞ হইয়াছি।’— কে কোথায় পৌঁছলেন ? তাঁর এরূপ মুগ্ধতার কারণ কী ?
উত্তরঃ “হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধে উল্লিখিত উদ্ধৃতাংশটিতে ‘আমি’ হলেন লেখিকা বেগম রোকেয়া।
‘পাহাড়ে’ বলতে তিনি শৈলশহর কার্সিয়াং-এ পৌঁছানোর কথা বলেছেন।
হিমালয়ান রেলগাড়িতে চড়ে শিলিগুড়ি থেকে শৈলশহর কার্সিয়াং-এ পৌঁছোেন লেখিকা। সেখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন প্রাণ ভরে। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষদের বিশেষ করে নারীদের সাহসীকতা, পরিশ্রম দেখে লেখিকা নিজে নারী হিসেবে গর্বিত বোধ করেছেন। তাই তিনি বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ঈশ্বরের কাছে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। পার্বত্যপথ, চা বাগান, জলপ্রপাত ইত্যাদির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে লেখিকার মন সমৃদ্ধ হয়েছে। কার্সিয়াং-এ পৌঁছানোর পর সূর্য, মেঘ ও বায়ুর লুকোচুরি দেখে আনন্দিত লেখিকা বাসস্থান থেকে এক মাইল দূরত্বে অবস্থিত জলপ্রপাতের জলপ্রবাহ এবং তার কলতান তিনি উপভোগ করেছেন মন থেকে। লেখিকা ঈশ্বরকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁর অদ্ভুত সুন্দর সৃষ্টির জন্য। সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করছেন সৃষ্টির সৌন্দর্যে মুগ্ধ লেখিকা। এইরূপে পার্বত্য প্রকৃতির অমোঘ সৌন্দর্যে লেখিকা মুগ্ধ হয়েছেন।
৬. “ঈশ্বরই প্রশংসার যোগ্য। তিনিই ধন্য!”– কার লেখা কোন্ রচনাংশে উদ্ধৃতিটি ব্যবহৃত হয়েছে ? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি প্রাবন্ধিক বেগম রোকেয়ার ‘হিমালয় দর্শন’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে ৪৮৬৪ ফিট উচ্চতার শৈলশহর কার্সিয়াং-এ পৌঁছে এবং সেখানে বসবাসকালে লেখিকা বারবার অপূর্ব সৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। লেখিকা রেলগাড়ি থেকে পথের দুধারের পর্বতের চূড়া, ঘন অরণ্য, চা বাগান এবং জলপ্রপাতগুলির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। পার্বত্য অঞ্চলের মনোরম প্রকৃতি আর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া লেখিকার সুখানুভূতি তৈরি করে। মেঘ ও বাতাসের লুকোচুরি, পশ্চিম আকাশকে সোনার রঙে রাঙিয়ে সূর্যের অস্ত যাওয়া-প্রকৃতির সবটুকুই লেখিকার মনকে তৃপ্ত করেছে। কার্সিয়াং-এর জলপ্রপাতের রূপ লেখিকাকে মোহিত করেছে। জলপ্রপাতের স্বচ্ছ সাদা জলধারার শব্দ তার মনে এনেছে আনন্দের জোয়ার। তাই তো তিনি লিখেছেন, “… ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির উচ্ছাস দ্বিগুণ ত্রিগুণ বেগে প্রবাহিত হয়।”
৭. ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে প্রকৃতির শোভা দেখে লেখিকার যে মুগ্ধতা ব্যক্ত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান
রেলগাড়ি চড়ে কার্সিয়াং-এর উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পথের দু-পাশে অতি উচ্চচূড়া এবং ঘন সবুজ অরণ্য লেখিকাকে মুগ্ধ করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফিট উচ্চতায় মেঘের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় নীচের উপত্যকার সাদা কুয়াশার আস্তরণ দেখে লেখিকা নদী মনে করে বলেছেন, এই যাত্রাপথে ‘তরু, লতা, ঘাস, পাতা-সকলই মনোহর’। সবুজ চা বাগান ও চা বাগানের মাঝের সংকীর্ণ পথগুলি লেখিকাকে ‘ধরণীর সীমন্ত’ র ধারণা দেয়। শুধু তাই নয় লেখিকার অমোঘ মুগ্ধতায় পথের দুধারের ঘন অরণ্যকে ধরণীর ঘন কেশরাশি এবং মাঝের পথগুলিকে তার আঁকাবাঁকা সিঁথির মতো মনে হয়। পথের ধারের জলপ্রপাত দেখে লেখিকার মন আনন্দে ভরে ওঠে। সমতলের তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেয়ে চার হাজার ফিট উচ্চতায় লেখিকা বেশ আরাম অনুভব করেন। এভাবেই লেখিকা অমোঘ মুগ্ধতার সাথে চড়াই উতরাই অতিক্রম করে পথের দুধারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে দীর্ঘপথ যাত্রা করে কার্সিয়াং পৌছান।
৮. ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে লেখিকার চরিত্রের কোন্ দিকগুলি ফুটে উঠেছে ?
উত্তরঃ ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশে আমরা লেখিকা বেগম রোকেয়ার চরিত্রের অন্যতম দিক উন্মেচিত হতে দেখেছি।
প্রকৃতিপ্রীতি : প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোেগ
করার মানসিকতা সাধারণের মধ্যেও লেখিকার কিছুটা বেশি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে যেভাবে ধরতে পেরেছেন তা তাঁর প্রকৃতিপ্রীতিকে তুলে ধরে। পার্বত্যপথের দুধারের উচ্চচূড়া এবং নিবিড় অরণ্যের মনোরম দৃশ্য লেখিকার হৃদয়কে পুলকিত করেছে। গাছ, লতা, ঘাস, পাতা, সবুজ চা বাগান সবই তাঁর কাছে মনোহর লেগেছে। জলপ্রপাতগুলির সৌন্দর্যে বিভোর হয়েছেন তিনি। পার্বত্য অঞ্চলে হালকা বায়ুর আনাগোনায় মেঘখণ্ডগুলি যে সৌন্দর্য রচনা করে তা প্রকৃতিপ্রেমী লেখিকার মন ছুঁয়ে গেছে। প্রকৃতির অপূর্ব শোভা দেখে তাঁর তৃপ্ত মন-প্রাণ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বিদূষী ও জ্ঞানপিয়াসি : রচনাংশটির ক্ষুদ্র
পরিসরে ‘মহিলা’ পত্রিকার অনুষঙ্গ বা ভূতত্ত্ব গ্রন্থের প্রসঙ্গ উত্থাপনের মধ্যে দিয়ে তাঁর চরিত্রের বিদূষী ও জ্ঞানপিপাসু দিকটি উন্মোচিত হতে দেখা যায়।
নারীসমাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীলা ও অধিকার
সচেতন : নারীসমাজের উন্নয়নের অগ্রণী প্রতিনিধি লেখিকা ভুটিয়ানিদের চরিত্রের শ্রমশীলা, কার্যপ্রিয়, সাহসী দিকগুলি উদাহরণসহ তুলে ধরে প্রমাণ করেছেন যে নারী পুরুষের অপেক্ষা কোনো অংশেই কম নয়। তারা পরনির্ভরশীল না হয়ে পুরুষের মতোই উপার্জন করে। একজন নারী হিসেবে নারীর এই বিশ্লেষণে নারীসমাজের অধিকার সচেতনতা ফুটে উঠেছে।
ঈশ্বরের সৃষ্টিমাহাত্মে বিশ্বাসী : সমগ্র জগৎ
ও প্রকৃতির সৃষ্টিতে ঈশ্বরের সৃষ্টি-মাহাত্মই প্রকাশ পায়। তাই প্রকৃতির অপূর্ব শোভায় মুগ্ধ লেখিকা অকুণ্ঠচিত্তে ঈশ্বরের প্রশংসা করেছেন এবং তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
৯. “রমণীজাতি দুর্বল বলিয়া তাঁহাদের নাম অবলা”– বক্তা কে ? এই বক্তব্য লেখিকার কাছে সমর্থনযোগ্য নয় কেন ?
উত্তরঃ ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধের লেখিকার দ্বারা মন্তব্যটি উদ্ধৃত হলেও এটি করেছিলেন ‘মহিলা’ পত্রিকার সম্পাদক।
বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ পাঠ্যাংশটিতে উদ্ধৃতাংশটি উল্লিখিত হয়েছে। লেখিকা বেগম রোকেয়া শৈলশহর কার্সিয়াং-এ বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ি ভুটিয়া রমণীদের জীবনযাত্রা নিজের চোখে দেখে এই মত সমর্থন করতে নারাজ ছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে, ভুটিয়া রমণীরা পিঠে দু-এক মণ বোঝা নিয়ে অনায়াসে পাহাড়ের এবড়োখেবড়ো পথে ওঠানামা করতে সক্ষম। সেই পথ সমতলবাসীদের কাছে যথেষ্ট দুর্গম। এই পাহাড়ি রমণীদের মনোবল অনুসরণযোগ্য। তাঁরা নিজেদের উদরান্নের জন্য পুরুষদের উপরে নির্ভরশীল নয়, বরং পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমানভাবে উপার্জন করতে সক্ষম। এমনকী পরিশ্রমে তারা পুরুষদেরও হারিয়ে দেয়। অধিকাংশ মহিলারাই পাথরবহনের কাজ করে আর পুরুষেরা সেই পাথর দিয়ে রাস্তা প্রস্তুত করে। সে কাজ পাহাড়ের বালকবালিকারাও করে থাকে। যার অর্থ লেখিকা কৌতুক করে বলেছেন-“এখানে সবলেরা বালক বালিকার দলভুক্ত বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু এই অভিজ্ঞতাই তাঁর মনে ‘মহিলা’ পত্রিকার সম্পাদকের রমণীদের সম্পর্কে করা মন্তব্য বিষয়ে প্রশ্ন এবং তীব্র আপত্তির জন্ম দিয়েছে।
১০. “সকলই মনোহর।”— ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধ অনুসারে মনোহর দৃশ্যের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ পাঠ্যাংশটি থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
‘হিমালয় দর্শন’ রচনায় বেগম রোকেয়া পাহাড়ি এলাকায় অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা দিয়েছেন। ছোটো আকারের হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে হিমালয় রেল রোড দিয়ে শিলিগুড়ি থেকে কার্সিয়াং যাচ্ছিলেন। কখনো অরণ্যের বুক চিরে আবার কখনো পর্বত ডিঙিয়ে যাত্রাপথে বিশালকায় জলপ্রপাত কিংবা সবুজ চা বাগান লেখিকার সঙ্গী।
রেলগাড়ি থেকে পথের দুধারের পর্বতের চূড়া, ঘন অরণ্য, চা বাগান এবং জলপ্রপাতগুলির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। পার্বত্য অঞ্চলের মনোরম প্রকৃতি আর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া লেখিকার সুখানুভূতি তৈরি করে। লেখিকার মনে হচ্ছিল তিনি যেন মেঘের ভিতর দিয়ে চলেছেন। নীচের উপত্যকায় সাদা কুয়াশার বিস্তারকে তার নদী বলে ভ্রম হয়। সবুজ চায়ের বাগানগুলি প্রাকৃতিক শোভাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। মাঝে মাঝে ‘ধরণির সীমান্তের ন্যায়’ মানুষের পায়ে চলার সংকীর্ণ পথগুলি যদি সিঁথি হয় তাহলে নিবিড় সবুজ বনানী ধরণীর কেশপাশ। পথের দু-পাশের গাছ, লতা, ঘাস, পাতা-সবকিছু মিলিয়ে এক অসামান্য দৃশ্য লেখিকার কাছে প্রকাশিত হচ্ছিল। সেই সৌন্দর্যকেই লেখিকা স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যে।
১১. “ইহারা উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নহে।”– ইহারা কারা ? উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী না হবার কারণ হিসেবে লেখিকা কোন দিকটির প্রতি আলোকপাত করেছেন ?
উত্তরঃ বেগম রোকেয়ার ‘হিমালয় দর্শন’ রচনার উল্লিখিত অংশে ‘ইহারা’ বলতে পাহাড়ের ভুটিয়া রমণীদের কথা বলা হয়েছে।
লেখিকা বেগম রোকেয়া কার্সিয়াং বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ি ভুটিয়া রমণীদের কষ্টকর ও পরিশ্রমী জীবনযাত্রার পরিচয় পেয়েছিলেন। তাই ‘মহিলা’ পত্রিকার সম্পাদকের নারীদের অবলা বলার তিনি বিরোধী ছিলেন। পাহাড়ের ভুটিয়া রমণীরা ছিল অসম্ভব সাহসী এবং পরিশ্রমী। এবড়োখেবড়ো পাহাড়ি পথে দু-এক মণ বোঝা নিয়ে তারা যেভাবে অনায়াসে ওঠানামা করে, তা দেখে, লেখিকার মতে, সমতলের মানুষদের যাবতীয় সাহস অন্তর্হিত হতে বাধ্য। এই পাহাড়ি রমণীদের মনোবল অনুসরণযোগ্য। তাঁরা নিজেদের উদরান্নের জন্য পুরুষদের উপরে নির্ভরশীল নয়, বরং পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমানভাবে উপার্জন করতে সক্ষম। এমনকী পরিশ্রমে তারা পুরুষদেরও হারিয়ে দেয়। অধিকাংশই মহিলারাই পাথরবহনের কাজ করে আর পুরুষেরা সেই পাথর দিয়ে রাস্তা প্রস্তুত করে। যেভাবে পাথর বয়ে নিয়ে তারা চলত ত নারীজাতির ‘অবলা’ বিশেষণটি ঘুচিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। বরং তথাকথিত ‘সবল পুরুষেরা পরিশ্রমের নিরিখে তাদের তুলনায় ‘বালক বালিকার’ সমান হয়ে যেত। এই উপার্জনের ইচ্ছার মধ্য দিয়ে তাদের সাবলম্বী সত্তা ব্যক্ত হত, যা সমতলবাসীদের কাছেও অনুসরণযোগ্য।
১২. ‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশটির অন্য কোনো নামকরণ করো। কেন তুমি সেই নামকরণ দিলে বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ বেগম রোকেয়া রচিত ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধটির নামকরণ ‘ঈশ্বর প্রদত্ত প্রকৃতি’ দেওয়া যেতে পারে।
‘হিমালয় দর্শন’ রচনাংশটির শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত ঈশ্বরের সৃষ্ট প্রকৃতির সৌন্দর্যে বিভোর লেখিকার অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে হিমালয়ান রেলগাড়ি চড়ে ৪৮৬৪ ফিট উচ্চতার শৈলশহর কার্সিয়াং-এ পৌছে এবং সেখানে বসবাসকালে লেখিকা বারবার অপূর্ব সৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। লেখিকা রেলগাড়ি থেকে পথের দুধারের পর্বতের চূড়া, ঘন অরণ্য, চা বাগান এবং জলপ্রপাতগুলির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। পার্বত্য অঞ্চলের মনোরম প্রকৃতি আর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া লেখিকার সুখানুভূতি তৈরি করে। মেঘ ও বাতাসের লুকোচুরি, পশ্চিম আকাশকে সোনার রঙে রাঙিয়ে সূর্যের অস্ত যাওয়া-প্রকৃতির সবটুকু ই তে থেকে লেখিকার মনকে তৃপ্ত করেছে | কার্সিয়াং-এর জলপ্রপাতের রূপ লেখিকাকে মোহিত করেছে। জলপ্রপাতের স্বচ্ছ সাদা জলধারার শব্দ তার এনেছে আনন্দের জোয়ার। তাই তো তিনি লিখেছেন, “… ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির উচ্ছাস দ্বিগুণ ত্রিগুণ বেগে প্রবাহিত হয়।
পর্বতশৃঙ্গ এবং তার বুক চিরে বয়ে চলা জলপ্রপাত দেখে লেখিকার উপলব্ধি হয় সেগুলি ঈশ্বরের নিপুণ তুলিতে আঁকা ছবি। তাইতো প্রকৃতির সৌন্দর্যে বিভোর লেখিকা প্রতি মূহুর্তে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্রষ্টাকে। তাই ‘হিমালয় দর্শন’ প্রবন্ধটির বিকল্প নাম হিসেবে আমার ‘ঈশ্বর প্রদত্ত প্রকৃতি’ নামটিকেই যথার্থ মনে হয়।