হ য ব র ল গল্পের প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা | Hojoborolo Golper Question Answer 3rd Unit Test Class 6 Bengali wbbse
1. ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
2. ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
3. ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here
4. ষষ্ঠ শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
(২৮ – ৪৫ পৃষ্ঠা)
• অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১. বার সোপ খেয়ে ব্যাকরণ শিং-এর ভাইয়ের কী হয়েছিল ?
উত্তরঃ বার সোপ খেয়ে ব্যাকরণ শিং-এর ভাইয়ের অকালমৃত্যু ঘটেছিল।
২. ন্যাড়া কোন্ কোন্ গান গায় না ?
উত্তরঃ ‘অলিগলি চলি রাম, ফুটপাথে ধুমধাম, কালি দিয়ে চুনকাম’, ‘নাইনিতালের নতুন আলু’ গানগুলি ন্যাড়া গায় না।
৩. ন্যাড়া আজকাল কোন্ গান গায় ?
উত্তরঃ ন্যাড়া আজকাল শিখিপাখার গান গায়।
৪. কে ফোঁৎ ফোঁৎ করে কাঁদছিল ?
উত্তরঃ শজারু ফোঁৎ ফোঁৎ করে কাঁদছিল।
৫. কে, কোথায় বসে চোখ বুঝে ঢুলতে লাগল ?
উত্তরঃ কালো ঝোল্লা পরা হুতুমপ্যাঁচা উঁচু পাথরের উপর বসেই চোখ বুজে ঢুলতে লাগল।
৬. কে, কী দিয়ে কাকে বাতাস করতে লাগল ?
উত্তরঃ মস্ত ছুঁচো একটা বিশ্রী নোংরা হাতপাখা দিয়ে হুতোম প্যাঁচাকে বাতাস করতে লাগল।
৭. কুমিরটা কীভাবে চোখ থেকে জল বার করেছিল ?
উত্তরঃ কুমিরটা অনেক কষ্টে কাঁদো কাঁদো মুখ করে চোখের মধ্যে নখ দিয়ে খিমচিয়ে পাঁচ-ছয় ফোঁটা জল বার করেছিল।
৮. কুমির এদিক ওদিক তাকিয়ে হিজি বিজ বিজকে কী জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ কুমির এদিক ওদিক তাকিয়ে হিজি বিজ বিজকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘সাক্ষী দিবি ? চার আনা পয়সা পাবি।
৯. প্যাঁচা ‘নালিশ বাতলাও’ কথাটি কখন বলেছিল ?
উত্তরঃ প্যাঁচা একবার ঘোলা ঘোলা চোখ করে চারিদিকে তাকিয়েই তক্ষুণি আবার চোখ বুজে ‘নালিশ বাতলাও’ কথাটি বলেছিল।
১০. শজারু কার কাছে দলিল আছে বলেছিল ?
উত্তরঃ শজারু তখন ন্যাড়ার দিকে তাকিয়ে বলেছিল ‘ওই তো ওর হাতে সব দলিল রয়েছে।
১১. হ য ব র ল পাঠ্য গল্পটি থেকে কচু খায় এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তরঃ শুয়োর আর শজারু।
১২. পয়সার নাম শুনে হিজি বিজ বিজ কী করেছিল ?
উত্তরঃ পয়সার নাম শুনে হিজি-বিজ-বিজ তড়াক করে সাক্ষী দিতে উঠেই ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে ফেলেছিল।
১৩. মানহানির মোকদ্দমার নম্বর কত ছিল ?
উত্তরঃ মানহানির মোকদ্দমার নম্বর ছিল চব্বিশ।
১৪. ন্যাড়ার কী শাস্তি হয়েছিল ?
উত্তরঃ ন্যাড়ার তিন মাস জেল ও সাতদিনের ফাঁসি হয়েছিল।
১৫. শেয়াল ব্যাকরণ শিং-কে কী জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ শেয়াল ব্যাকরণ শিং-কে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘তুমি মোকদ্দমার বিষয়ে কিছু জানো।
১৬. ‘নালিশ বাতলাও’ কথাটি কে বলেছিল ?
উত্তরঃ ‘নালিশ বাতলাও’ কথাটি বলেছিল প্যাঁচা।
১৭. কুমির হঠাৎ খেপে গিয়ে কী করল ?
উত্তরঃ কুমির হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে টপ করে কোলা ব্যাঙকে খেয়ে ফেলল।
১৮. কুমিরটা ন্যাড়ার কাছ থেকে কী কেড়ে নিয়ে পড়তে লাগল ?
উত্তরঃ একতাড়া গানের কাগজ কেড়ে নিয়ে পড়তে লাগল।
১৯. কে মোকদ্দমার রায় দিল?
উত্তরঃ প্যাঁচা মোকদ্দমার রায় দিয়েছিল।
২০. ন্যাড়া আসামি হতে আপত্তি করল না কেন ?
উত্তরঃ ন্যাড়াটা বোকা, সে ভাবল আসামিরা বুঝি পয়সা পাবে, তাই সে কোনো আপত্তি করল না।
২১.যে লোকটির মাথায় ব্যারাম ছিল তার জুতোর আর ছাতার নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ তার জুতোর নাম ছিল ‘অবিমৃষ্যকারিতা’ আর ছাতার নাম ছিল ‘প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব’।
২২. কে বসে বসে হিসেব লিখছিল?
উত্তরঃ কাক্কেশ্বর বসে বসে হিসেব লিখছিল।
২৩. মানহানির মোকদ্দমার ফরিয়াদি কে ছিল ?
উত্তরঃ মানহানির মোকদ্দমার ফরিয়াদি ছিল শজারু।
২৪. “হুজুর, ওদের সক্কলের ফাঁসির হুকুম হোক”— উক্তিটি কার ?
উত্তরঃ উক্তিটি শেয়ালের।
২৫. মানহানির মোকদ্দমার বিচারক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ একটা কালো ঝোল্লা-পরা হুতোম প্যাঁচা।
২৬. কোলাব্যাং গাল গলা ফুলিয়ে কাকে হাজির হতে বলল ?
উত্তরঃ কোলাব্যাং গাল গলা ফুলিয়ে সাক্ষী বাদুড়গোপালকে হাজির হতে বলেছে।
২৭. হ য ব রল গল্পে লেখকের কয়জন মামার উল্লেখ আছে ?
উত্তরঃ দুই মামা, বড় মামা ও মেজো মামার কথা উল্লেখ আছে।
২৮. ছাগলটার মুখটা ক্রমে বদলে গিয়ে কার মতো হয়ে গেল ?
উত্তরঃ লেখকের মেজোমামার মতো হয়ে গেল।
২৯. কালাজ্বর হলে কী দেখে বোঝা যায় ?
উত্তরঃ কানের চামড়া নীল হয়ে গেলে বোঝা যায় কালাজ্বর হয়েছে।
৩০. হিজি বিজ বিজের সকাল ও বিকালে কী কী নাম হয় ?
উত্তরঃ হিজি বিজ বিজের সকালে নাম হয় ‘আলু নারকোল’ আবার আরেকটু বিকেল হলেই তার নাম হয়ে যায় ‘রামতাড়ু’।
৩১. কাক্কেশ্বর কুচকুচে কোথায় থাকত ?
উত্তরঃ কাক্কেশ্বর কুচকুচে ৪১ নং গেছোবাজার কাগেয়াপটিতে থাকত।
৩২. ‘সেটা খুব নরম সুরে গাইতে হয়।’– কোন গানটা ?
উত্তরঃ ‘নাইনিতালের নতুন আলু’।
• সংক্ষিপ্ত / রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান- ২/৩/৪ অথবা ৫
১. শজারুটা যেই ফ্যাৎ ফ্যাৎ করে করে কাঁদতে যাচ্ছিল সেই সময় কুমিরটা কী করেছিল ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে শজারুটা যেই ফ্যাৎ ফ্যাৎ করে কাঁদতে যাচ্ছিল সেই সময় কুমিরটা প্রকাণ্ড বই দিয়ে তার মাথায় এক থাবড়া মেরে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘দলিলপত্র, সাক্ষীটাক্ষী কিছু আছে ?’
২. ছাগলটার ভীষণ কান্না শুনে হিজি বিজ বিজ কী করছিল ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে ছাগলটার ভীষণ কান্না শুনে হিজি বিজ বিজ হাঁউমাউ করে ধড়মড়িয়ে উঠে বিষম টিষম খেয়ে একেবারে অস্থির হয়ে গিয়েছিল।
৩. কচু কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্প অনুসারে কচু অনেক প্রকার। যথা- মানকচু, ওলকচু, কান্দাকচু, মুখিকচু, পানিকচু, শঙ্খকচু ইত্যাদি।
৪. কুমির শজারুকে কাঁদতে দেখে কী করেছিল ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে কুমির মস্ত একটা বই দিয়ে আস্তে আস্তে পিঠ থাবড়িয়ে ফিসফিস করে বলেছিল কেঁদো না, কেঁদোনা, সব ঠিক করে দিচ্ছি।
৫. হিজি-বিজ-বিজের মতে শজারু ও কুমিরের বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে হিজি-বিজ-বিজের মতে শজারু গর্তে থাকে, তার গায়ে লম্বা লম্বা কাঁটা আর কুমিরের গায়ে চাকা চাকা ঢিপির মতো আছে, তারা ছাগল-টাগল ধরে খায়।
৬. শেয়াল কচু সম্বন্ধে কী মতামত দিয়েছিল ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে শেয়াল বলেছিল ‘হুজুর, কচু অতি অসার জিনিস। কচু খেলে গলা কুটকুট করে, ‘কচুপোড়া খাও’ বললে মানুষ চটে যায়। ‘কচু খায় কারা ? কচু খায় শুয়োর আর শজারু।’
৭. কে এবং কেন ব্যা ব্যা করে ভয়ানক কেঁদে উঠেছিল ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে আমরা দেখি ব্যাকরণ শিং ব্যা ব্যা করে ভয়ানক কেঁদে উঠেছিল। কারণ তার মেজোমামার আধখানা কুমিরে খেয়েছিল, তাই বাকি আধখানা মরে গিয়েছিল।
৮. কাকের মতে কচুরি কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে কাকের মতে কচুরি চার প্রকার যথা- হিঙের কচুরি, খাস্তা কচুরি, নিমকি আর জিবেগজা।
৯. হ য ব র ল গল্পে একজন লোক সকলের কী কী নামকরণ করত ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে একজন লোক শেয়ালকে বলত ‘তেলচোরা’, কুমিরকে বলত ‘অষ্টাবক্র’, প্যাঁচাকে বলত ‘বিভীষণ’
১০. ন্যাড়া ‘মজারু’ শব্দকে কোন্ কোন্ শব্দের সঙ্গে মিলিয়েছিল ?
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্পে ন্যাড়া একটি মজার চরিত্র। সে শজারু, ক্যাঙ্গারু (ক্যাঙারু), দেবদারু – এই শব্দগুলির সঙ্গে ‘মজারু’ শব্দকে মিলিয়েছিল।
১১. ‘হ য ব র ল’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ কোনো মানুষ, প্রাণী, বস্তু অথবা ঘটনা আজগুবি, উদ্ভট ও এলোমেলো হলে তাকে ‘হ য ব র ল’ বলা হয়।
১২. লেখকের মতে মানুষের বয়স হলে কী হয় ?
উত্তরঃ লেখকের মতে মানুষের বয়স হলে হোঁৎকা হয়ে যায়, তারা কিছুতেই কোনো কথা বিশ্বাস করতে চায় না।
১৩. শিয়াল হিজিবিজবিজকে মোকদ্দমার বিষয়ে কী জানে জিজ্ঞাসা করলে সে কী বলেছিল ?
উত্তরঃ হিজি-বিজ-বিজ বলেছিল যে সে মোকদ্দমার বিষয়ে জানে। তার মতে একজন নালিশ করে আর একজন উকিল থাকে। আর একজনকে আসাম থেকে নিয়ে আসা হয়, তাকে বলে আসামি। আরও একজন উকিল থাকে। এক-একদিকে দশজন করে সাক্ষী থাকে, আর একজন জর্জ থাকে সে বসে বসে ঘুমোয়।
১৪. লেখক যখন ভেবেছিলেন অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে আপত্তি করা উচিত ছিল ঠিক তখন কী ঘটেছিল ?
উত্তরঃ লেখক যখন ভাবছিলেন অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে আপত্তি করা উচিত ছিল ঠিক তখনই ছাগলটা হঠাৎ ‘ব্যা-করণ শিং’ বলে পিছন থেকে তেড়ে এসে তাকে এক ঢু মেরেছিল, তারপরেই তার কান কামড়ে দিয়েছিল।
১৫. মান কাকে বলে? মান কয় প্রকারের ও কী কী?
উত্তরঃ মান শব্দের অর্থ কচু। কচু অনেক প্রকার যথা-মানকচু, ওলকচু, কান্দাকচু, মুখিকচু, পানিকচু, শঙ্খকচু ইত্যাদি।
১৬. মান খেলে কী হয় ? কাদের প্রতিক্রিয়া হয় না ?
উত্তরঃ মান খেলে গলা কুট কুট করে। বিশেষ করে শেয়ালদের, কাকেদের কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না।
১৭. হিজিবিজবিজ সাক্ষী দিতে রাজি হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ হিজি-বিজ-বিজ সাক্ষী দিতে রাজি হয়েছিল, কারণ কুমির তাকে বলেছিল যে সাক্ষী দিলে সে চার আনা পয়সা পাবে। তাই সে সাক্ষী দিতে রাজি হয়েছিল।
১৮. কাকে দেখে লেখকের গা জ্বলে গেল ? সে আবদার করে কী বলছিল ?
উত্তরঃ একটা ন্যাড়ামাথাকে, যেন যাত্রার জুড়ির মতো চাপকান আর পায়জামা পরে হাসি হাসি মুখ করে লেখকের দিকে তাকিয়ে ছিল। তাই দেখে লেখকের গা জ্বলে গেল।
সে আবদার করে বলছিল না ভাই, না ভাই এখন আমায় গাইতে বলো না। সত্যি বলছি আজকে আমার গলা তেমন খুলবে না।
১৯. শেয়াল জিজ্ঞাসা করল, তুমি শজারুকে চেনো ?”- শেয়ালের এই প্রশ্নের উত্তরে হিজি বিজ বিজ কী বলেছিল ?
উত্তরঃ শেয়ালের এই প্রশ্নের উত্তরে হিজি বিজ বিজ বলে যে, সে শজারু চেনে কুমিরও চেনে। সে আরও জানায়, শজারু থাকে গর্তে। তার গায়ে লম্বা-লম্বা কাঁটা থাকে, আর কুমিরের গায়ে চাকা-চাকা ঢিপির মতো অংশ দেখা যায়। কুমিররা ছাগল টাগল ধরে খায়।
২০. হুতুম প্যাচা কোথায় কী ভাবে এসে বসল এবং কী বলল?
উত্তরঃ কালো ঝোল্লা পরা হুতুম পেঁচা এসে একটা উঁচু পাথরের উপর বসেই চোখ বুজে চুলতে লাগল। এবং চোখ বুজে বলল ‘নালিশ বাতলাও’।
২১. ব্যাকরণ শিং-এর ভাইয়ের অকালমৃত্যু কীভাবে ঘটে ?
উত্তরঃ ব্যাকরণ শিং-এর ছোটো ভাই একবার একটা আস্ত ‘বার-সোপ’ খেয়ে ফেলেছিল, তাতেই তার অকালমৃত্যু ঘটেছিল।
২২. “সবাই এখন চুপ করো, আমি মোকদ্দমায় রায় দেব” – বক্তা কে ? ওই মোকদ্দমার ফরিয়াদি কে হয়েছিল ? বিচারক সাজার বিষয়ে কী হুকুম দিয়েছিল ?
উত্তরঃ ‘হযবরল’ গল্পে বিচারক প্যাঁচা এই কথা বলেছিল।
গল্পে উল্লিখিত মোকদ্দমার ফরিয়াদি ছিল শজারু।
বিচারক প্যাঁচা সাজার ব্যাপারে এই হুকুম দিয়েছিল যে আসামি ন্যাড়ার তিন মাসের জেল ও সাত দিনের ফাঁসি হবে।
২৩. ন্যাড়া কে ? কেন সে আসামি হয়েছিল ? বিচারে তাকে কী শাস্তি দেওয়া হয়েছিল ?
উত্তরঃ ন্যাড়া হল যাত্রার জুড়ির মতো চাপকান আর পায়জামা পরা, হাসি হাসি মুখ করে থাকা ন্যাড়া মাথা একটা মানুষ। সে সবসময় গান গাইতে চাইত।
ন্যাড়া বোকা বলে ভেবেছিল সাক্ষীদের মতো আসামিরাও বুঝি পয়সা পাবে। তাই সে আসামি হতে রাজি হয়েছিল।
বিচারে ন্যাড়াকে তিন মাস জেল ও সাত দিনের ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
২৪. শ্রীব্যাকরণ শিং-এর ছোটো ভাই কী খেয়েছিল ? তার ফলে ছোটো ভাইটির কী হয়েছিল ?
উত্তরঃ শ্রীব্যাকরণ শিং-এর ছোটো ভাই একবার একটা আস্ত ‘বার সোপ’ খেয়ে ফেলেছিল।
কথককে শ্রীব্যাকরণ শিং তার ভাইয়ের বার-সোপ খেয়ে ফেলার কথা বলতে বলতে আকাশের দিকে চোখ তুলে ব্যা- ব্যা করে ভয়ানক কাঁদতে শুরু করেছিল। তার সেই আচরণ দেখে কথক বুঝেছিলেন, বার-সোপ খাওয়ার শ্রীব্যাকরণ শিং-এর ছোটো ভাইয়ের অকালমৃত্যু হয়েছিল।
২৫. কাক কত প্রকার কচুরির কথা বলেছিল ? সেগুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ ‘হযবরল’ গল্পে কাক চারপ্রকার কচুরির কথা বলেছিল। সেগুলির নাম হল – হিঙের কচুরি, খাস্তা কচুরি, নিমকি আর জিবেগজা।
২৬. “চার আনা পয়সা খরচ করে সাক্ষী দেওয়ানো হচ্ছে।” -উক্তিটি কার ? প্রথম সাক্ষী কে ছিল ?
উত্তরঃ সুকুমার রায়ের লেখা ‘হ য ব র ল’ গল্প থেকে গৃহীত প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছে কুমির।
মানহানির মামলার প্রথম সাক্ষী ছিল বাদুড়গোপাল।
২৭. প্যাঁচা একবার ঘোলা ঘোলা চোখ করে চারিদিকে তাকিয়েই তক্ষুনি আবার চোখ বুজে বলল, “নালিশ বাতলাও”-বলতে কুমির অনেক কষ্টে কী কী কথা কীভাবে বলেছিল ?
উত্তরঃ কুমিরটি তার সর্দিবসা মোটা গলায় একটি হুতুমপ্যাঁচাকে ধর্মাবতার ডেকে বলেছিল যে, আজকের মোকদ্দমাটি মানহানির। সুতরাং এর বিচার করতে গেলে প্রথমেই বুঝতে হবে মান কাকে বলে। এরপর সে বলে চলে, মান মানে হল কচু। কচু একটি অতি উপাদেয় জিনিস। মান কচু, ওল কচু, কান্দা কচু, মুখি কচু ইত্যাদি হল নানা রকমের কচু। কচু গাছের মূলকে যেহেতু কচু বলে এই মামলাটিকে ভালোভাবে বুঝতে হলে এর একেবারে মূল পর্যন্ত যাওয়া দরকার।
২৮. “সব জিনিসের সে নামকরণ করত। – সে কে? সে ‘জুতো’, ‘ছাতা’, ‘গাছ’ এবং বাড়ির কী নামকরণ করেছিল ? তার পরিণতি কী হয়েছিল ?
উত্তরঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটিতে উল্লিখিত ‘সে’ হল হিজি বিজ বিজের গল্পের একজন ব্যক্তি যার মাথায় ব্যারাম ছিল।
এবং সে সব জিনিসের নামকরণ করত। সে জুতো, ছাতা, গাছু ও বাড়ির নামকরণ করেছিল যথাক্রমে ‘অবিমৃষ্যকারিতা, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, পরমকল্যাণবরেষু এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
সে বেশিরভাগ জিনিসের নামকরণ করলেও কোনো বিপদ হয়নি। কিন্তু গল্পে উল্লিখিত ব্যক্তি যখন তার বাড়ির নামকরণ করেছিল “কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন ভূমিকম্প হয়ে বাড়িটাই পড়ে গিয়েছিল।
২৯. ছাগলের মুখটা মেজোমামার মতো হয়ে গেল ? সে কী বলছিল ?
উত্তরঃ যখন ন্যাড়ার বিচার চলছিল তখন ছাগলটা এসে হঠাৎ লেখককে ঢুঁ মারল আর কান কামড়ে দিল। চারিদিকে কানে এল ব্যাকরণ শিং কথাটা। লেখকের সব গুলিয়ে যেতে লাগল আর ছাগলের মুখটা ক্রমশ তার মেজোমামার মতো হয়ে গেল।
সে কান ধরে বলেছিল– ‘ব্যাকরণ লিখবার নাম করে বুঝি পড়ে পড়ে ঘুমানো হচ্ছে ?”
৩০. লেখক কাকে সব কথা খুলে বলেছিলেন এবং কাদের উপর ভরসা রেখেছিলেন ? কেন ?
উত্তরঃ লেখক তার বড়োেমামাকে সব কথা খুলে বলেছিলেন। লেখক পাঠকের উপর ভরসা রেখেছিলেন কারণ তারা কিশোর ও অল্পবয়সি। বয়স হলে মানুষ হোঁৎকা হয়ে যায়, কিছুতেই কোনো কথা বিশ্বাস করতে চায় না।
৩১. সাক্ষী দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি কী কারণ ছিল ? সেসময় কে গাছ থেকে নেমে এসে সাক্ষী দিয়েছিল ? সে কী সাক্ষী দিয়েছিল ?
উত্তরঃ সুকুমার রায়ের ‘হ য ব র ল’ গল্পে প্যাঁচার বিচারালয়ে সাক্ষীরা চার আনা পয়সা পাচ্ছে দেখে উপস্থিত প্রায় সবাই সাক্ষী হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দিয়েছিল।
ওই সময় দাঁড়কাক কাকেশ্বর কুচকুচে ঝুপ করে গাছ থেকে নেমে এসে সাক্ষী দেওয়ার জায়গায় বসে সাক্ষী দিয়েছিল।
সাক্ষ্য দিয়ে এসে কাক নিজে থেকেই নাম-ধাম বাড়ির পথ ইত্যাদি বিষয়ে বলতে শুরু করে। তারপর শেয়াল মোকদ্দমার বিষয়ে জানতে চাইলে কাক সাক্ষ্য দেয় যে, সে সব কিছু হিসাব করেছে তাই সে সব জানে। কাক প্রথমেই বলে মান মানে কচুরি। কচুরি চারপ্রকার- হিঙে কচুরি, খাস্তাকচুরি, নিমকি আর জিবেগজা। এগুলি খেলে শেয়ালের গলা কুটকুট করে, কিন্তু কাকেদের করে না। তারপর সে বলে একজন সাক্ষী ছিল, যার নগদ মূল্য চার আনা। সে আসামে থাকত – তার কানের চামড়া নীল হয়ে গেল তাকে বলে কালাজ্বর। আরও একজন লোক ছিল সে সকলের নামকরণ করত-শেয়ালকে বলত ‘তেলচোরা’, কুমিরকে বলত ‘অষ্টাবক্র’, প্যাঁচাকে বলত “বিভীষণ। কাকেশ্বর এই পর্যন্ত বলতেই বিচারসভায় গোলমাল বেঁধে যায়।
৩২. ‘নালিশ বাতলাও’– কে কাকে এ কথা বলেছিল ? নালিশ বলতে গিয়ে উত্তরদাতা কেমধ অভিনয় করেছিল ? উত্তরে সে কী বলেছিল ? ১+১+৩
উত্তরঃ হ য ব র গল্পে প্যাঁচা কুমিরকে বলেছিল ‘নালিশ বাতলাও’।
উত্তরদাতা অর্থাৎ কুমির অনেক কষ্টে কাঁদো কাঁদো মুখ করে চোখের মধ্যে নখ দিয়ে খামচে পাঁচ ছয় ফোঁটা জল বার করেছিল।
সে উত্তর দিয়েছিল– “ধর্মাবতার হুজুর। এটা মানহানির মোকদ্দমা। সুতরাং প্রথমেই বুঝতে হবে মান কাকে বলে। মান মানে কচু। কচু অতি উপাদেয় জিনিস। কচু অনেক প্রকার, যথা- মানকচু, ওলকচু, কান্দাকচু, মুখিকচু, পানিকচু, শঙ্খকচু ইত্যাদি। কচুগাছের মূলকে কচু বলে, সুতরাং বিষয়টার একেবারে মূল পর্যন্ত যাওয়া দরকার।
৩৩. ‘তুমি মোকদ্দমার বিষয়ে কিছু জানো ?’– উদ্ধৃত প্রশ্নটি কে কাকে করেছিল ? এর উত্তরে শ্রোতা কী বলেছিল ? মোকদ্দমার রায় কী হয়েছিল ? ১+৩+১
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্প অনুসারে উদ্ধৃত প্রশ্নটি শেয়াল হিজি বিজ বিজকে করেছিল।
এর উত্তরে শ্রোতা বলেছিল– “তা আর জানি নে? একজন নালিশ করে তার একজন উকিল থাকে, আর একজনকে আসাম থেকে নিয়ে আসে, তাকে বলে আসামি। তারও একজন উকিল থাকে। এক-একদিকে দশজন করে সাক্ষী থাকে! আর একজন জজ থাকে, সে বসে-বসে ঘুমোয়।”
মামলার রায় হয়েছিল- নেড়ার তিন মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি।
৩৪. কচুর প্রসঙ্গ কীভাবে এসেছিল ? কয়প্রকার কচুর কথা বলা হয়েছে ? কচুরি কয় প্রকার ও কী কী ? ১+১+৩
উত্তরঃ মোকদ্দমার সাক্ষী দিতে এসে কাক মান কাকে বলে ? কথাটা আসে। মান কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কচুরি প্রসঙ্গ আসে।
লেখক সুকুমার রায়ের রচিত হ য ব র ল গল্প আনুসারে চার প্রকার কচুরির কথা বলা হয়েছে, সেগুলি হলো– হিঙে কচুরি, খাস্তা কচুরি, নিমকি আর জিবেগজা।
৩৫. ‘সাক্ষী দিবি ? চার আনা পয়সা পাবি’– কে, কাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল ? যে প্রস্তাব পেয়েছিল সে কী করেছিল ? ২+১
উত্তরঃ কুমির হিজিবিজবিজ কে এই প্রস্তাব দিয়েছিল।
হিজি বিজ বিজ পয়সার নাম শুনে তড়াক করে সাক্ষী দিতে উঠেই ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে ফেলল।
৩৬. ‘সবাই এখন চুপ করো, আমি মোকদ্দমায় রায় দেব’– কে রায় দিয়েছিল ? সে কোথায় বসেছিল ? তাকে কে বাতাস করছিল ? ১+১+১
উত্তরঃ হ য ব র ল গল্প অনুসারে মোকদ্দমায় রায় দিয়েছিল প্যাঁচা।
সে একটা উঁচু পাথরের উপর বসেছিল। মস্ত একটা ছুঁচো বিশ্রী নোংরা হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করছিল।
৩৭. ‘ধর্মাবতার হুজুর, এটা মানহানির মোকদ্দমা।’— মানহানির মোকদ্দমাটি কে কার বিরদ্ধে এনেছিল ? প্যাঁচা এই মোকদ্দমায় কী রায় দিয়েছিল ? ২+৩
উত্তরঃ মানহানের মোকদ্দমাটি সজারু করেছে শিয়ালের বিরুদ্ধে।
পেঁচা এই মোকদ্দমায় রায় দিতে গিয়ে খরগোশকে হুকুম করেছিল- যা বলছি লিখে নাও। মানহানির মোকদ্দমা, ২৪ নম্বর। ফরিয়াদি- শজারু। তারপর আসামিকে দাঁড়াতে বলে। আসামি না থাকাই ন্যারাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে আসামি দাঁড় করানো হয়। রায়ে বলা হয়- নেড়ার তিন মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি।
৩৮. “নালিশ বাতলাও” বক্তা কে ? তাকে কে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছিল ? বক্তার নির্দেশে কে নালিশ করতে গিয়ে কী বলেছিল ? ১+১+১+২
উত্তরঃ বক্তা হল প্যাঁচা। মস্ত একটা ছচু বিশ্রী নোংরা হাতপাখা দিয়ে তাকে বাতাস করছিল।
কুমির অনেক কষ্টে কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলেছিল– “ধর্মাবতার হুজুর। এটা মানহানির মোকদ্দমা। সুতরাং প্রথমেই বুঝতে হবে মান কাকে বলে। মান মানে কচু। কচু অতি উপাদেয় জিনিস। কচু অনেকপ্রকার, যথা-মানকচু, ওলকচু, কান্দাকচু, মুখিকচু, পানিকচু, শঙ্খকচু ইত্যাদি। কচুগাছের মূলকে কচু বলে, সুতরাং বিষয়টার একেবারে মূল পর্যন্ত যাওয়া দরকার।
৩৯. ‘হ য ব র ল’ বইটির কোন চরিত্রটি তোমার সব চেয়ে প্রিয় এবং কেন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ এই বইটিতে ব্যাকরণ বিশারদ চরিত্রটি আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তার বক্তৃতা দেবার কৌশল চমৎকার। সে স্পষ্ট ভাষায় নিজের চরিত্রের দিকটি তুলে ধরেছে। তার নাম শ্রী শ্রী ব্যাকরণ শিং বিএ খাদ্য বিশারদ। সেই চমৎকার ‘ব্যা’ করতে পারে তাই তার নাম ব্যাকরণ। ব্যাকরণ বলতে কী বোঝায় চরিত্রটি তার ধার দিয়ে যায়নি। আর শিং তো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ইংরেজি লেখার সময় সে লেখে B.A. অর্থাৎ ব্যা। আর কোন জিনিস খাওয়া যায় আর কোনটা খাওয়া যায় না, তা সে ভালোভাবে জানে তাই সে খাদ্য বিশারদ। ‘পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়’ এটা বলা সে পছন্দ করে না। এইরকম চরিত্রের সমাজে অভাব নেই তাই এই চরিত্রটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
৪০. প্যাঁচা গম্ভীর হয়ে বলল, ‘সবাই এখন চুপ করো, আমি মোকদ্দমায় রায় দেবো’ প্যাচার এই রায় দেওয়ার ঘটনাটি নিজের ভাষায় গুছিয়ে লেখো।
উত্তরঃ হ য ব-ল গল্পে প্যাঁচা গম্ভীর হয়ে মোকদ্দমার রায় দেবে বলে সবাইকে চুপ করতে বলে। তারপর একটা কানে কলম দেওয়া খরগোশকে হুকুম করে যে, সে যা বলবে তা লিখে নিতে। প্যাঁচা রায় দিতে শুরু করে– ‘মানহানির মোকদ্দমা, চব্বিশ নম্বর। ফরিয়াদি হলো শজারু। তারপর আসামিকে দাঁড়াতে বলে। উপস্থিত সকলে দেখে আসামি কেউ নেই। তাই তারা তাড়াতাড়ি ভুলিয়ে-ভালিয়ে ন্যাড়াকে আসামি রুপে দাঁড় করায়। ন্যাড়া একটু বোকা ছিল, সে পয়সা পাবে বলে কোন আপত্তি করেনি। অবশেষে প্যাঁচা মোকদ্দমার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে- ‘ন্যাড়ার তিন মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি’।
৪১. ‘তুমি সজারুকে চেনো ?’– উক্তিটি কার ? কাকে, উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে ? এরপর উত্তরদাতা কী জানিয়েছিল ? উত্তরদাতার উত্তর শুনে কে ভয়ানক কেঁদে উঠেছিল ?
উত্তরঃ শেয়াল হিজি বিজি বিজকে উদ্দেশ্য করে উক্তিটি করেছে।
হিজি বিজ্ বিজ জানিয়ে ছল, “হ্যাঁ, শজারু চিনি, কুমির চিনি, সব চিনি। শজারু গর্তে থাকে, তার গায়ে লম্বা-লম্বা কাঁটা, আর কুমিরের গায়ে চাকা-চাকা ঢিপির মতো, তারা ছাগল-টাগল ধরে খায়।”
উত্তরদাতার উত্তর শুনে ব্যাকরণ সিং ব্যা ব্যা করে ভয়ানক কেঁদে উঠেছিল।
📌আরও পড়ুনঃ
1. ষষ্ঠ শ্রেণি হ য ব র ল ১ থেকে ১৪ পৃষ্ঠার প্রশ্নোত্তর Click Here
2. ষষ্ঠ শ্রেণি হ য ব র ল ১৫ থেকে ২৭ পৃষ্ঠার প্রশ্নোত্তর Click Here
3. ষষ্ঠ শ্রেণি হ য ব র ল ২৮ থেকে ৪৫ পৃষ্ঠার প্রশ্নোত্তর Click Here