ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Bhat MCQ, SAQ, Essay Type Solved Question Answer

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নোত্তর

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ, SAQ, বড় প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা| HS Bengali Bhat Solved Question Answer

মহাশ্বেতা দেবী রচিত ভাত গল্প থেকে বহুবিকল্পীয়, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তরগুলি (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) আগামী পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

ভাত (গল্প) ম হা শ্বে তা দে বী – উচ্চমাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal HS Class 12th Bhat Question and Answer

বহুবিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (MCQ) | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer :

(প্রতিটি প্রশ্নের মান- ১)

১. বড়াে বাড়ির কোন্ ছেলে বিলেতে থাকে ?
(ক) বড়ো ছেলে (খ) মেজো ছেলে
(গ) সেজো ছেলে (ঘ) ছােটো ছেলে

উত্তরঃ (গ) সেজো ছেলে।

২.’ভাত’ গল্পের বড়াে বাড়ির ছেলেরা সকাল ক-টার আগে ঘুম থেকে ওঠে না ?
(ক) আর্টটা (খ) নটা (গ) দশটা (ঘ) এগারােটা

উত্তরঃ (ঘ) এগারােটা

৩.‘ভাত’ গল্পে বড়ােপিসিমাদের কতগুলি দেবত্র বাড়ি ছিল ?
(ক) পনেরোটা (খ) আঠারােটা (গ) বারােটা
(ঘ) ষোলােটা

উত্তরঃ (খ) আঠারােটা।

৪. হােমযজ্ঞের জন্য তান্ত্রিক এনেছিলেন —
(ক) মেজো ছেলে (খ) মেজো বউয়ের বাবা
(গ) বড়াে ছেলের শশুর (ঘ) ছােটো বউয়ের বাবা

উত্তরঃ (ঘ) ছােটো বউয়ের বাবা।

৫. ‘ভাত’ গল্পে যজ্ঞের জন্য কোথা থেকে বালি আনার প্রয়ােজন হয়ে পড়েছিল ?
(ক) নদী (খ) সমুদ্র (গ) শ্মশান (ঘ) কবরখানা

উত্তরঃ (গ) শ্মশান।

৬. নীচের কোনটি মহাশ্বেতা দেবীর লেখা নয় ?
(ক) অরণ্যের অধিকার (খ) হাজার চুরাশির মা
(গ) সিধু-কানুর ডাকে (ঘ) টানাপােড়েন

উত্তরঃ (ঘ) টানাপােড়েন।

৭. ‘ভাত’ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল কোন্ পত্রিকায় ?
(ক) কল্লোল (খ) আনন্দবাজার
(গ) ম্যানিফেস্টো (ঘ) আজকাল

উত্তরঃ (গ) ম্যানিফেস্টো।

৮. ‘উনি হলেন দেবতার সেবিকা।’ — উনি বলতে যার কথা বলা হয়েছে —
(ক) বড়ােবউ (খ) বড়ােপিসিমা
(গ) চন্নুনীর মা (ঘ) মহাশ্বেতা দেবী

উত্তরঃ (খ) বড়ােপিসিমা।

৯.“উনি আমার পতিদেবতা।” – বক্তা হলেন —
(ক) বড়ােবউ (খ) বড়ােপিসিমা
(গ) চন্নুনীর মা (ঘ) এদের কেউ নয়

উত্তরঃ (খ) বড়ােপিসিমা।

১০.“বাদা থেকে চাল আসছে।” – ‘বাদা’ শব্দের অর্থ হল —
(ক) পাত্র (খ) রেশন (গ) দোকান
(ঘ) নিম্নভূমি

উত্তরঃ (ঘ) নিম্নভূমি।

১১.কোন্ গাছের কাঠ তান্ত্রিকের যজ্ঞে লাগেনি ?
(ক) অশ্বথ (খ) বট (গ) আম (ঘ) তেঁতুল

উত্তরঃ (গ) আম।

১২. ‘ভাত’ গল্পে লােকটার চেহারা ছিল —
(ক) দেহাতি (খ) বুনাে-বুনাে (গ) খুব লম্বা
(ঘ) ভদ্র

উত্তরঃ (খ) বুনাে-বুনাে।

১৩.“উনি হলেন দেবতার সেবিকা।” – বড়ােপিসিমাকে দেবতার সেবিকা বলার কারণ —
(ক) তিনি প্রতিদিনই দেবতার পুজো করতেন
(খ) বাড়ির গৃহদেবতা শিবের অত্যন্ত ভক্ত ছিলেন
(গ) মনে করা হয় শিবঠাকুরের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়েছিল
(ঘ) তিনি একজন সেবিকার মতাে দেবতাকে দেখাশােনা করতেন

উত্তরঃ (ঘ) তিনি একজন সেবিকার মতাে দেবতাকে দেখাশােনা করতেন।

১৪. ‘সেই ডেকে আনলে।’ – এখানে বাসিনী ডেকে এনেছে –
(ক) বাড়ির বুড়ােকর্তাকে
(খ) বুনােবুনাে চেহারার একটা লােককে
(গ) বড়ােপিসিমাকে
(ঘ) বাড়ির বড়াে বউকে

উত্তরঃ (খ) বুনােবুনাে চেহারার একটা লােককে।

১৫.“বড়াে বউ চুপ করে যায়।” – তার এই চুপ করে যাওয়ার কারণ —
(ক) বড়ােপিসিমার ঠেস দেওয়া কথাবার্তা
(খ) বড়ােপিসিমা চুপ করতে বলেছিলেন বলে
(গ) আর কোনাে কথা খুঁজে পায় না বলে
(ঘ) বড়ােপিসিমার কথায় খুব রাগ হয়ে যায় বলে

উত্তরঃ (ক) বড়ােপিসিমার ঠেস দেওয়া কথাবার্তা।

১৬.“যজ্ঞি-হােম হচ্ছে।” – যজ্ঞি-হােমের জন্য আনা হয়েছিল —
(ক) বেল, বেলকাঠ, ধুনাে, বাতাসা
(খ) আম, বেল, জাম, ক্যাওড়া গাছের কাঠ
(গ) বেল, বট, অশ্বথ, আম গাছের কাঠ
(ঘ) বেল, ক্যাওড়া, অশ্বথ, বট, তেঁতুল কাঠ

উত্তরঃ (ঘ) বেল, ক্যাওড়া, অশ্বথ, বট, তেঁতুল কাঠ।

১৭.“চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে তার।” – বাদার লােকটির এমন অবস্থার কারণ —
(ক) সে প্রচুর কাঠ কাটার যন্ত্রণায় ছটফট করছিল
(খ) সে বাবুদের বাড়িতে নানা রকমের চালের ভাত রান্না হতে দেখেছিল
(গ) সে বাবুদের বাড়ির বড় কর্তার ওপর রেগে গিয়েছিল
(ঘ) বড়ােপিসিমা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল

উত্তরঃ (খ) সে বাবুদের বাড়িতে নানা রকমের চালের ভাত রান্না হতে দেখেছিল।

১৮. ‘কনকপানি’ চালের ভাত খান —
(ক) বড়ােবাবু (খ) মেজোবাবু (গ) ছােটোবাবু
(ঘ) পিসিমা

উত্তরঃ (ক) বড়ােবাবু

১৯.বড়াে বাড়িতে মেজো আর ছােটো ছেলের জন্য বারােমাস কোন্ চাল রান্না হয় ?
(ক) ঝিঙেশাল (খ) রামশাল (গ) পদ্মজালি
(ঘ) কনকপানি

উত্তরঃ (গ) পদ্মজালি।

২০ “সেই জন্যেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।” – কারণ —
(ক) তারা ঘরজামাই থাকে
(খ) তারা এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না
(গ) তারা অসুস্থ
(ঘ) তারা বাড়ির কাজে ব্যস্ত

উত্তরঃ (খ) তারা এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না।

২১. “রেঁধে-বেড়ে শাশুড়িকে খাওয়ানাে তার কাজ।” – যার কাজ সে হল —
(ক) বড়ােবউ (খ) মেজোবউ (গ) বাসিনী
(ঘ) ছােটোবউ

উত্তরঃ (খ) মেজোবউ।

২২. রামশাল চালের ভাত কীসের সঙ্গে খাওয়া হত ?
(ক) ডাল-তরকারি (খ) সবজি (গ) মাছ
(ঘ) মাংস

উত্তরঃ (গ) মাছ।

২৩. নিরামিষ তরকারির সঙ্গে যে চালের ভাত খাওয়া হত, তা হল —
(ক) কনকপানি (খ) পদ্মজালি
(গ) রামশাল (ঘ) ঝিঙেশাল

উত্তরঃ (ঘ) ঝিঙেশাল।

২৪. খুবই অদ্ভুত কথা” – ‘অদ্ভুত কথা’ টি কী ?
(ক) উচ্ছব কয়েকদিন খায়নি
(খ) বড়ােপিসিমার বিয়ে হয়নি
(গ) তার সবাইকে হারিয়েও উচ্ছব ভাত খেতে চেয়েছে
(ঘ) উচ্ছবকে বড়াে বউয়ের পছন্দ হয়নি

উত্তরঃ (খ) বড়ােপিসিমার বিয়ে হয়নি।

২৫. বড়াে বাড়িতে মাছের সঙ্গে যে চালের ভাত রান্না হয়, তা হল —
(ক) ঝিঙেশাল (খ) কনকপানি (গ) রামশাল
(ঘ) পদ্মজালি

উত্তরঃ (গ) রামশাল।

২৬.‘ময়ূর ছাড়া কার্তিক আসবে নাকি ?” — কার কথাপ্রসঙ্গে এই উক্তি ?
(ক) বুড়ােকর্তা (খ) উচ্ছব (গ) বুড়ো ছেলে
(ঘ) মেজো ছেলে

উত্তরঃ (খ) উচ্ছব।

২৭.বুড়ােকর্তার ক্যানসার হয়েছিল—
(ক) লিভারে (খ) ফুসফুসে
(গ) প্রােস্টেট গ্ল্যান্ডে (ঘ) গলায়

উত্তরঃ (ক) লিভারে।

২৮.“… ভাত খাবে কাজ করবে।”— উক্তিটির বক্তা—
(ক) বামুন ঠাকুর (খ) বড়পিসিমা
(গ) বড়ােবউ (ঘ) বাসিনী

উত্তরঃ (ক) বামুন ঠাকুর।

২৯. ‘অমন বড়ােলােক হয়েও ওরা মেয়ের বিয়ে দেয়নি।’ – কারণ–
(ক) বুড়ােকর্তাকে দেখাশােনার জন্য
(খ) মেয়ের বিয়েতে অনিচ্ছার জন্য
(গ) সংসার সামলানাের জন্য
(ঘ) দেবতার সেবা করার জন্য

উত্তরঃ (গ) সংসার সামলানাের জন্য।

৩০. “দূরদর্শী লােক ছিলেন।” — কে ?
(ক) বুড়ােকর্তা (খ) বড়ােপিসিমা
(গ) হরিচরণ (ঘ) মহানাম

উত্তরঃ (ক) বুড়ােকর্তা।

৩১ . “..বুড়াে কর্তা সংসার নিয়ে নাটাঝামটা হচ্ছিল।” – কারণ—
(ক) বুড়ােকর্তার বয়স হয়ে গিয়েছিল
(খ) বুড়ােকর্তার শরীর ভেঙে পড়েছিল
(গ) বুড়ােকর্তার বউ মারা গিয়েছিল
(ঘ) বুড়োেকর্তার অবস্থা পড়ে গিয়েছিল

উত্তরঃ (গ) বুড়ােকর্তার বউ মারা গিয়েছিল।

৩২. “….আমাদের বাসিনীর কে হয়। সেই ডেকে আনলে।” – বাসিনী উৎসবকে ডেকে এনেছিল কেন ?
(ক) ঝড়জলে লােকটির দেশ ভেসে গেছে
(খ) লােকটি খুব পরিশ্রমী ও সৎ
(গ) লােকটির খাওয়া জুটছে না
(ঘ) লােকটি বাসিনীর গ্রামের লােক

উত্তরঃ (ক) ঝড়জলে লােকটির দেশ ভেসে গেছে।

৩৩. “ময়ূরছাড়া কার্তিক আসবে নাকি ?”- উক্তিটির বক্তা—
(ক) বড়পিসিমা (খ) বাসিনী
(গ) বড়াে বউ (ঘ) মেজো বউ

উত্তরঃ (ক) বড়পিসিমা।

৩৪. ‘… তাই বড়াে বউ জানতাে না।’ – কী জানত না ?
(ক) পিসিমার বিয়ে হয়নি
(খ) উৎসব কাজ করতে এসেছে
(গ) লিভারে যে ক্যানসার হয়
(ঘ) বাড়িতে হােমযজ্ঞ হচ্ছে।

উত্তরঃ (গ) লিভারে যে ক্যানসার হয়।

৩৫. মেজো বউ রান্না করছিল—
(ক) পুকুরপাড়ে (খ) মাঠের ধারে
(গ) উনানপাড়ে (ঘ) রাস্তার ধারে

উত্তরঃ (গ) উনানপাড়ে।

৩৬. ‘বড়াে বাড়িতে কনকপানি চালের ভাত রান্না হয়’—
(ক) বামুন-চাকর-ঝিদের জন্যে
(খ) মেজো আর ছােটোর জন্য
(গ) বড়ােবাবুর জন্য
(ঘ) নিরামিষ ডাল-তরকারির সঙ্গে খাবার জন্য

উত্তরঃ (গ) বড়ােবাবুর জন্য।

৩৭. ‘কালাে বিড়ালের লোম আনতে গেছে’–
(ক) ভজন চাকর (খ) বড়ােপিসিমা
(গ) উচ্ছব (ঘ) বড়াে বউ

উত্তরঃ (ক) ভজন চাকর।

৩৮. উচ্ছবকে বড়ােবাড়িতে কে নিয়ে এসেছিল ?
(ক) ভজন চাকর (খ) বাসিনী
(গ) তান্ত্রিক (ঘ) ছােটোবউয়ের বাবা

উত্তরঃ (খ) বাসিনী।

৩৯. বাসিনীর মনিববাড়ির বড়ােকর্তার বয়স হয়েছিল—
(ক) বিরাশি বছর (খ) আশি বছর
(গ) চুরাশি বছর (ঘ) তিরাশি বছর

উত্তরঃ (ক) বিরাশি বছর।

৪০. ‘বড়াে বউ কোনাে কথা বলে না।’ – কারণ—
(ক) বড়ােপিসিমার সব কথাই সত্যি
(খ) বড়ােপিসিমার সব কথাই বানানাে
(গ) বড়ােপিসিমার সব কথাই মিথ্যে
(ঘ) বড়ােপিসিমার সব কথাই হুল-ফোটানাে

উত্তরঃ (ক) বড়ােপিসিমার সব কথাই সত্যি।

৪১. বামুন, চাকর-ঝিদের জন্য কোন্ চাল রান্না করা হয় ?
(ক) রামশাল (খ) কনকপানি
(গ) পদ্মজালি (ঘ) মােটা-সাপটা

উত্তরঃ (ঘ) মােটা-সাপটা।

৪২.’বড়ােবউ ভাবতে চেষ্টা করে’ – কী ভাবতে চেষ্টা করে ?
(ক) তখন আর মাছ আসবে না
(খ) কত কাজ বাকি আছে
(গ) তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না
(ঘ) তখনও সসাগরা পৃথিবীতে থাকবে কি না

উত্তরঃ (গ) তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না।

৪৩. ‘লােকটার চাহনি বড়াে বাড়ির বউয়ের প্রথম থেকেই ভালাে লাগেনি’, কারণ—
(ক) চাহনি কীরকম যেন হিংস্র
(খ) চাহনি ক্রোধে ক্ষোভে কেমন যেন রক্তাভ
(গ) চাহনি কীরকম যেন উগ্র
(ঘ) চাহনি কীরকম যেন প্রতিহিংসাপরায়ণ।

উত্তরঃ (গ) চাহনি কীরকম যেন উগ্র।

৪৪. লােকটা সম্পর্কে বামুন ঠাকুর কী বলল ?
(ক) ভাত খাবে কাজ করবে
(খ) দিনমজুরি হিসেবে কাজ করবে
(গ) মাসকাবারি মজুরির ভিত্তিতে কাজ করবে
(ঘ) সময়-অবসরে এসে কাজ করবে

উত্তরঃ (ক) ভাত খাবে কাজ করবে।

৪৫. বড়াে পিসির বিয়ের ব্যাপারে খুবই অদ্ভুত কথা, কারণ—
(ক) তার নাকি কয়েক বার বিয়ে হয়েছে
(খ) তাঁর বিয়ে হয়নি
(গ) তিনি বিধবা হয়ে বাপের সংসার সামলেছেন
(ঘ) তিনি বর ছেড়ে এসে বাপের ঘরে থেকেছেন

উত্তরঃ (খ) তাঁর বিয়ে হয়নি।

৪৬. অমন বড়ােলােক হয়েও বড়াে পিসির বিয়ে দেয়নি তাঁর বাপ, কারণ—
(ক) বড়াে পিসি ছােটো থেকে বড্ড রুঢ় ছিল বলে
(খ) বড়াে পিসি বিয়ে করতে রাজি হয়নি বলে
(গ) বড় পিসির পছন্দ মতন বর জোটেনি বলে
(ঘ) বিপত্নীক বুড়াে বাপের সংসার ঠেলবার জন্যে

উত্তরঃ (ঘ) বিপত্নীক বুড়াে বাপের সংসার ঠেলবার জন্যে।

৪৭. বড়ো পিসির বিয়ের ব্যাপারে বাড়ির লােকেরা কী বলে ?
(ক) বিয়ের ব্যাপারে বড়াে পিসির ছিল অসম্মতি
(খ) বিয়ের ব্যাপারে বড়াে পিসি বর পছন্দ করে উঠতেই পারেনি
(গ) বড় পিসির বিয়ে হয়েছিল ঠাকুরের সঙ্গে
(ঘ) বড়াে পিসি বিয়ের ছাদনাতলা থেকে সেই যে পালিয়ে এসেছিল আর ওমুখাে হয়নি

উত্তরঃ (গ) বড় পিসির বিয়ে হয়েছিল ঠাকুরের সঙ্গে।

৪৮. ‘বড়াে বউ প্রায় দৌড়ে চলে যায়, কারণ—
(ক) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে কত আয়ােজন করতে হবে
(খ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে কত কাজ
(গ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে বসবার ফুরসত কী আছে ?
(ঘ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে গপ্পো করার সময় নেই

উত্তরঃ (খ) আজ হােম-যজ্ঞির বাড়িতে কত কাজ।

৪৯. আজ এই হােম-যজ্ঞি হচ্ছে, কারণ—
(ক) ডাক্তাররা বলে দিয়েছে
(খ) গণৎকার হাত দেখে বলেছে
(গ) তান্ত্রিক সাধু রােগনিরাময়ের জন্য উদ্যোগী হয়েছে
(ঘ) বাড়ির লােক শেষ চেষ্টা হিসেবে হােম-যজ্ঞি করতে চেয়েছে

উত্তরঃ (ক) ডাক্তাররা বলে দিয়েছে।

৫০. আজ খাওয়াদাওয়া ঝপ করে সারতে হবে, কারণ–
(ক) সবাই তান্ত্রিকের হােম-যজ্ঞি দেখবে
(খ) সকলে হােম-যজ্ঞিতে অংশ নেবে
(গ) সকলে হােম-যজ্ঞির সময় বাড়ির বাইরে থাকবে
(ঘ) হােম-যজ্ঞির আগে সবাইকে খেয়ে নিতে হবে

উত্তরঃ (ঘ) হােম-যজ্ঞির আগে সবাইকে খেয়ে নিতে হবে।

৫১. ‘চাল এনে পাহাড় করেছে’, কারণ –
(ক) এরা খুব বড়ােলােক
(খ) এরা চাল জমিয়ে কালােবাজারি করতে চায়
(গ) বাদায় এদের অনেক জমি, তাই
(ঘ) এদের আড়তদারি ব্যাবসা আছে

উত্তরঃ (গ) বাদায় এদের অনেক জমি, তাই।

৫২. কপালটা মন্দ উচ্ছবের; কারণ –
(ক) রানা খিচুড়ি দেওয়া দিনগুলিতে সে অসুস্থ ছিল
(খ) রান্না খিচুড়ি যতদিন দেওয়া হচ্ছিল সে ততদিন খেতে পারেনি
(গ) রান্না খিচুড়ি দেওয়া দিনগুলিতে তার খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল
(ঘ) রান্না খিচুড়ি দেওয়া দিনগুলিতে তাকে খেতে দেওয়া হয়নি

উত্তরঃ (খ) রান্না খিচুড়ি যতদিন দেওয়া হচ্ছিল সে ততদিন খেতে পারেনি।

৫৩. মুখবন্ধ টিনের কৌটোর মধ্যে উচ্ছবের কী ছিল ?
(ক) নিভুঁই উচ্ছব নাইয়ার জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল
(খ) উচ্ছব নাইয়ার শ্রমের সঞ্চিত টাকা
(গ) উচ্ছবের প্রতিদিন খাওয়ার ওষুধপাতি
(ঘ) উচ্ছবের ছােটো খােকার ফুড

উত্তরঃ (ক) নিভুঁই উচ্ছব নাইয়ার জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল।

৫৪. বাসিনীর বােন আর ভাজ কলকাতা যাচ্ছিল, কারণ—
(ক) ওরা কলকাতায় বাস করবে
(খ) ওরা কলকাতায় লেখাপড়া করবে
(গ) ওরা কলকাতায় হাতের কাজ শিখবে
(ঘ) ওরা কলকাতায় কিছুকাল ঠিকে কাজ করবে।

উত্তরঃ (ঘ) ওরা কলকাতায় কিছুকাল ঠিকে কাজ করবে।

৫৫. গ্রামের সবাই বাসিনীর মনিব বাড়ির কী গল্প শুনেছে ?
(ক) বাড়িতে হেলাফেলা ভাত
(খ) বাড়িতে চাকর-চাকরানির মেলা
(গ) বাড়িতে অঢেল টাকাপয়সা
(ঘ) বাড়িতে আসা-যাওয়ার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি

উত্তরঃ (ক) বাড়িতে হেলাফেলা ভাত।

৫৬. কী দেখে উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল ?
(ক) মাঠে পাকা ধান নষ্ট হতে দেখে
(খ) মাঠে ফসল হল না দেখে
(গ) কার্তিক মাসেই ধান খড় হয়ে গেছে দেখে
(ঘ) মাঠের ধানে শিষ হয় না দেখে

উত্তরঃ (গ) কার্তিক মাসেই ধান খড় হয়ে গেছে দেখে।

৫৭. “অঃ উচ্ছব, মনিবের ধান যায় তাে তুই কাঁদিস কেন ?
(ক) মনিবের ধান না হলে আমাদের পেট চলবে কী করে সেজন্য
(খ) মনিবের আয় না থাকলে আমাদের কাজ-কাম থাকবে কেন, সেজন্য
(গ) মনিবের ঘরে ফসল না উঠলে আমরা ভিখিরি হব সেজন্য
(ঘ) লক্ষ্মী না আসতে সেধেভাসান যাচ্ছে কাঁদব না এতটুকু

উত্তরঃ (ঘ) লক্ষ্মী না আসতে সেধেভাসান যাচ্ছে কাঁদব না এতটুকু।

৫৮. ক্ষুধার্ত উচ্ছব তাড়াতাড়ি হাত চালায়, কারণ—
(ক) হােমের কাঠ তাড়াতাড়ি দরকার
(খ) কাঠ না হলে হােম-যজ্ঞি শুরুই হবে না
(গ) কাঠ কাটলে হােম হবে, হােম হলে তবে ভাত
(ঘ) হােমের কাঠ জোগান দিতে না পারলে ভাত পাবে না

উত্তরঃ (গ) কাঠ কাটলে হােম হবে, হােম হলে তবে ভাত।

৫৯. উচ্ছব চান করবে না, কারণ—
(ক) তার বেশ বেলা করে চান করা অভ্যেস
(খ) মাথায় জল দিলে পেট মানতে চায় না মােটে
(গ) যে-কোনাে জায়গার জল তার সহ্য হয় না
(ঘ) চান করলে শরীরটা কেবল খাই খাই করে

উত্তরঃ (খ) মাথায় জল দিলে পেট মানতে চায় না মােটে।

৬০. বাসিনী থমকে দাঁড়ায়, কারণ–
(ক) উচ্ছবকে ভাতের ডেকচি নিয়ে ছুটে পালাতে দেখে
(খ) উচ্ছবকে ভাত গােগ্রাসে গিলতে দেখে
(গ) উচ্ছবকে দাঁত বের করে কামটের মতাে হিংস্র ভঙ্গি করতে দেখে
(ঘ) উচ্ছবকে ডেকচিটি গায়েব করার মতলব আঁটতে দেখে

উত্তরঃ (গ) উচ্ছবকে দাঁত বের করে কামটের মতাে হিংস্র ভঙ্গি করতে দেখে

৬১. মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়, কারণ—
(ক) পিতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে
(খ) বাবুর বাড়ি চুরি করার মতলব আঁটার অপরাধে
(গ) ভাতের জন্য খুনখারাবির অপরাধে
(ঘ) বউ-ছেলেমেয়েকে খেতে না দেওয়ার অপরাধে

উত্তরঃ (ক) পিতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে।

৬২. আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের, কারণ—
(ক) তার গাড়িভাড়ার পয়সা নেই
(খ) মেহনত করার মতাে তার শরীরে আর বল নেই
(গ) খুঁজতে যাওয়ার মতাে সাহসী সঙ্গী নেই
(ঘ) সে থানায় কয়েদ হওয়ার জন্য বেরােতে পারছে না

উত্তরঃ (ঘ) সে থানায় কয়েদ হওয়ার জন্য বেরােতে পারছে

৬৩. লােকটার চাহনি প্রথম থেকেই বড়ােবাড়ির কার ভালাে লাগছিল না ?
(ক) বড় বউয়ের (গ) বড়াে পিসির
(খ) মেজো বউয়ের (ঘ) ছােটো বউয়ের

উত্তরঃ (ক) বড় বউয়ের।

৬৪. লােকটার চাহনি কেমন ছিল?
(ক) নরম (গ) উগ্র (খ) নম্র (ঘ) প্রখর

উত্তরঃ (গ) উগ্র।

৬৫. বড়ােবাড়ির সংসারে সবকিছু চলে কার নিয়মে ?
(ক) বড়াে বউয়ের (খ) বড়াে কর্তার
(গ) বড়ো পিসির (ঘ) বড়াে ছেলের

উত্তরঃ (গ) বড়ো পিসির

৬৬. বাসিনী বড়ােবাড়ির কে ?
(ক) বউ (খ) গিন্নি (গ) মেয়ে (ঘ) চাকরানি

উত্তরঃ (ঘ) চাকরানি।

৬৭. বড়ােবাড়ির বুড়াে কর্তার বয়স কত?
(ক) একাশি (খ) বিরাশি (গ) তিরাশি
(ঘ) চুরাশি

উত্তরঃ (খ) বিরাশি।

৬৮. বড়ােবাড়ির দেবত্র বাড়ি ক-খানা ?
(ক) ষোলাে (খ) আঠারাে (গ) সতেরাে
(ঘ) উনিশ

উত্তরঃ (খ) আঠারাে।

৬৯. কার কাছে শ্বশুর আর ঠাকুরদেবতা সমান ?
(ক) ছােটো বউয়ের। (গ) সেজো বউয়ের
(খ) মেজো বউয়ের। (ঘ) বড়াে বউয়ের

উত্তরঃ (ঘ) বড়াে বউয়ের।

৭০. বড়ােবাড়ির হােম-যজ্ঞি করতে কে এসেছে?
(ক) ব্রাত্মণ পুরােহিত (খ) তান্ত্রিক
(গ) বেদজ্ঞ পণ্ডিত (ঘ) শাস্ত্রজ্ঞ শিরােমণি।

উত্তরঃ (খ) তান্ত্রিক।

৭১. ‘লোককে বেঁধে ফেলেন ও হোম শুরু করেন’ – তান্ত্রিক শ্বশুরের রোগটিকে কীসে ধরে রাখবে ?
(ক) হাত-আরশিতে
(গ) বেশ্যাঘরের মাটিতে
(খ) বিড়ালের লােমে
(ঘ) মন্ত্রের নাগপাশে

উত্তরঃ (খ) বিড়ালের লােমে।

৭২. কোন্ চালের ভাত নিরামিষ ডাল তরকারির সঙ্গে রান্না হয় ?
(ক) পদ্মজালি। (গ) কনকপানি।
(খ) মােটা সাপটা। (ঘ) ঝিঙেশাল।

উত্তরঃ (ঘ) ঝিঙেশাল।

৭৩. বড়ােবাড়িতে ভাত হয় মােট ক-ভাগে ?
(ক) চার (গ) ছয় (খ) পাঁচ (ঘ) সাত

উত্তরঃ (খ) পাঁচ।

৭৪. ‘বাতাসের চাবুকে ছটফটিয়ে উঠেছিল’– কোন নদীর জল ?
(ক) বিদ্যাধরী’র (খ) মাতলা’র
(গ) ইছামতী’র (ঘ) রায়মঙ্গলের।

উত্তরঃ (খ) মাতলা’র।

৭৫. ‘তার মধ্যে ছিল নিভুঁই উচ্ছবের জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল ছিল’ – দরখাস্তের নকল কীসে ছিল ?
(ক) কৌটোয় (খ) সিন্দুকে
(গ) বাক্সে (ঘ) আলমারিতে।

উত্তরঃ (ক) কৌটোয়।

৭৬. ‘হঠাৎ খুব বুদ্ধিমান সাজতে চায় ও বলে, সে এটা কতা বটে। – বুদ্ধিমান সাজতে চায় ?
(ক) সতীশবাবু (গ) চন্নুনীর মা
(গ) উচ্ছব (ঘ) বড়াে পিসি।

উত্তরঃ (গ) উচ্ছব।

৭৭. ‘বড় খিদে নেগেচে মা গাে!’ – মা কে ?
(ক) বাড়ির গিন্নি (খ) বড়াে পিসি
(গ) বাড়ির বড়াে বউ (ঘ) বুড়াে কর্তার খাস ঝি।

উত্তরঃ (খ) বড়াে পিসি।

৭৮. ‘গরীবের গতর এরা শস্তা দেকে’— কে বলেছে ?
(ক) রাঁধুনি ঠাকুর। (খ) বুড়াে কর্তার খাস ঝি।
(গ) বাসিনী। (ঘ) বাড়ির দরােয়ান।

উত্তরঃ (গ) বাসিনী।

৭৯. কার মতিচ্ছন্ন’র কথা বলেছিলেন সতীশবাবু ?
(ক) উচ্ছবের (গ) চনুনীর মায়ের
(খ) সাধনবাবুর (ঘ) বাসিনীর।

উত্তরঃ (ক) উচ্ছবের।

৮০. পেটে ভাত নেই বলে উচ্ছবও কী হয়ে আছে ?
(ক) পাগল (খ) প্রেত (গ) ক্ষুব্ধ (ঘ) আধমরা।

উত্তরঃ (খ) প্রেত।

৮১. উচ্ছব ক-ভাগে কাঠ রেখে আসে দালানে ?
(ক) দুই (গ) চার (খ) তিন (ঘ) পাঁচ।

উত্তরঃ (ঘ) পাঁচ।

৮২. ‘ডাক্তারকে কল দিন’— এ কথা কে বলল ?
(ক) বড় বউ (গ) বড়াে পিসি
(গ) নার্স (ঘ) বুড়াে কর্তার খাস ঝি

উত্তরঃ (গ) নার্স।

৮৩. চাতালে শুয়ে-থাকা উচ্ছবের ঘুম ভাঙে কখন ?
(ক) সকালে (খ) সাঁঝবেলায়
(গ) দুপুরে (ঘ) রাত্রিতে

উত্তরঃ (খ) সাঁঝবেলায়।

৮৪. উচ্ছব বাড়িতে ঢুকে বড়াে পিসির কী শােনে ?
(ক) খেদ (গ) কান্না (খ) আক্ষেপ
(ঘ) বিলাপ

উত্তরঃ (ঘ) বিলাপ।

৮৫. বড়ো পিসি কাকে জিজ্ঞেস করে ‘কেত্তন বলা হয়েছে কি না ?’
(ক) বড়াে খোকা (গ) ছােটো খােকা
(খ) মেজো খােকা (ঘ) বাড়ির ম্যানেজার

উত্তরঃ (ক) বড়াে খোকা।

৮৬. উচ্ছবের মাথা থেকে কী সরে যায় ?
(ক) ভাবনা (গ) মেঘ (খ) বদচিন্তা
(ঘ) দুর্ভাবনা

উত্তরঃ (গ) মেঘ।

৮৭. বড়াে বাড়িতে কনকপানি চালের ভাত রান্না হয়—
(ক) বামুন চাকর ঝি-দের জন্য
(খ) মেজো আর ছােটোর জন্য
(গ) বড়ােবাবুর জন্য।
(ঘ) নিরামিষ ডাল তরকারির সঙ্গে খাবার জন্য।

উত্তরঃ (গ) বড়ােবাবুর জন্য

৮৮. ‘বচর বেঁচে থাকার কথা গো দাদা’ – বড় পিসিমার কথা অনুসারে বুড়কর্তার কত বছর বেঁচে থাকার কথা ?
(ক) বিরাশি বছর (খ) চুরাশি বছর
(গ) নব্বই বছর (ঘ) আটানব্বই বছর।

উত্তরঃ (ঘ) আটানব্বই বছর।

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer :

১.’এ সংসারে সব কিছুই চলে’– কার নিয়মে সংসারের সব কিছুই চলে?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির সংসারের সব কিছুই বড়ােপিসিমার নিয়মে চলে।

২. “..বড়াে বউয়ের প্রথম থেকেই ভালাে লাগেনি।” -কী ভালো লাগেনি ?

উত্তরঃ কাজে নতুন যােগ দেওয়া উচ্ছবের উগ্র চাহনি বড়ােবউয়ের ভালাে লাগেনি।

৩. “লােকটার চাহনি বড়াে বাড়ির বড়াে বউয়ের প্রথম থেকেই ভালাে লাগেনি।”- কার চাহনির কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ আলােচ্য অংশে মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছােটোগল্পের প্রধান চরিত্র উৎসব নাইয়া ওরফে উচ্ছবের চাহনির কথা বলা হয়েছে।

৪. “সেই ডেকে আনলে।”— কে, কাকে ডেকে এনেছিল ?

উত্তরঃ বাসিনী উৎসব ওরফে উচ্ছবকে ডেকে এনেছিল।

৫. “বড়াে বাড়ির লােকরা বলে…” – কী বলে ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির লােকেরা বলে যে, বড়ােপিসিমার ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে, তাই তিনি দেবতার সেবিকা।

৬. “সেই ডেকে আনলে।”— কে, কাকে, কেন ঠেকে আনল ?

উত্তরঃ বক্তা বড়ােপিসিমা জানিয়েছেন উচ্ছবের ঘর-সংসার এবং দেশ ঝড়জলে ভেসে গেছে বলেই বাসিনী তাকে ডেকে এনেছে।

৭.“কোথা থেকে আনলে ?” -কে, কাকে, কার সম্বন্ধে এই প্রশ্ন করেছে ?

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে বড়াে বাড়ির বড়ােবউমা বড়ােপিসিমাকে উচ্ছব সম্বন্ধে এই প্রশ্ন করেছে।

৮. বড়াে বউয়ের উচ্ছবকে ভালাে লাগেনি কেন ?

উত্তরঃ উচ্ছবের বন্য চেহারা, উগ্র চাহনি এবং তার খাটো করে পরা নােংরা লু্ঙ্গি দেখে বড়াে বউয়ের উচ্ছবকে ভালাে লাগেনি।

৯. বামুন ঠাকুর বড়ােবউকে কী বলেছিল ?

উত্তরঃ বামুন ঠাকুর বড়ােবউকে বলেছিল যে, উচ্ছব ভাত খাওয়ার বিনিময়ে বড়াে বাড়িতে কাজ করবে।

১০.বড়ােপিসিমা বড়াে বাড়ির কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বড়ােপিসিমা ছিলেন বাড়ির বুড়ােকর্তার অবিবাহিত বৃদ্ধা বােন এবং বড়ােবউমাসহ বাড়ির অন্য বউমাদের পিসিশাশুড়ি।

১১.বুড়ােকর্তা সংসার নিয়ে ‘নাটা ঝামটা’ হচ্ছিলেন কখন ?

উত্তরঃ অল্পবয়সে স্ত্রী মারা যাওয়ায় বুড়ােকর্তা সংসার নিয়ে ‘নাটা-ঝামটা’ হচ্ছিলেন।

১২.বড়ােপিসিমা সংসারের কোন্ কোন্ দায়িত্ব সামলাতেন?

উত্তরঃ বড়ােপিসিমা বাড়ির রান্নাঘর, ভাড়াটে বাড়িতে মিস্তিরি লাগানাে, অর্থাৎ বুড়ােকর্তার সেবা করা—এসব দায়িত্ব সামলাতেন।

১৩.বুড়ােকর্তার কী রােগ হয়েছিল ?

উত্তরঃ বুড়ােকর্তার লিভার ক্যানসার অর্থাৎ যকৃতে কর্কট রােগ হয়েছিল।

১৪.“সে জন্যেই হােম-যজ্ঞি হচ্ছে।”— হােম-যজ্ঞির কারণ কী ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির বুড়ােকর্তা লিভারে ক্যানসার হয়েছে, মৃত্যু আসন্ন, তাই তাকে বাঁচাতেই হােমযজ্ঞ হচ্ছিল।

১৫.মেজোবউ শাশুড়ির জন্য কী কী মাছ রান্না করছিল ?

উত্তরঃ মেজোবউ শাশুড়ির জন্য ইলিশ, পাকাপােনা, চিতল, ট্যাংরা এবং বড়াে ভেটকি মাছ রান্না করছিল।

১৬.যজ্ঞের জন্য কী কী কাঠ আনা হয় ?

উত্তরঃ যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, তেঁতুল, বট, অশ্বত্থ প্রভৃতি গাছের কাঠ আনা হয়েছিল।

১৭.বড়ােবউ শ্বশুরের ঘরে কিছুক্ষণের জন্য ঢুকেছিল কেন ?

উত্তরঃ শ্বশুরের দেখভালে নিযুক্ত নার্স চা খেতে বাইরে গেলে শ্বশুরকে দেখাশােনার জন্য বড়ােবউ তার ঘরে ঢুকেছিল।

১৮.“সেই জন্যেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।” – কী জন্য কাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির বড়াে, মেজো ও ছােটো ছেলে সকাল এগারােটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না বলেই তাদের চাকরি করা হয়ে ওঠেনি।

১৯.বড়াে বাড়ির ছেলেদের চাকরি করার দরকার ছিল না কেন ?

উত্তরঃ আঠারােটি দেবত্র বাড়ি এবং বাদা অঞ্চলের প্রচুর উর্বর জমির মালিক হওয়ার জন্য বড় বাড়ির ছেলেদের চাকরি করার প্রয়ােজন ছিল না।

২০.বড়াে বউ শ্বশুরের জন্য কী কী করত ?

উত্তরঃ ঘরে পাতা দই ও ইসবগুল দিয়ে শরবত বানিয়ে দেওয়া, শ্বশুরের জন্য রুটি বালুচি তৈরি করা, তার বিছানা পাতা এবং তার পা টেপার কাজ করত।

২১. বড়াে বাড়িতে তান্ত্রিক কে এনেছিলেন ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়িতে ছােটো বউয়ের বাবা তান্ত্রিক ডেকে এনেছিলেন।

২২.যজ্ঞিহােমের জন্য কত পরিমাণ করে কাঠ লেগেছিল ?

উত্তরঃ যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, তেঁতুল, বট, অশ্বখ প্রভৃতি গাছের আধ মন করে কাঠ লেগেছিল।

২৩.ভজন চাকর কোথায় গিয়েছিল ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির ভজন চাকর যজ্ঞের জন্য কালাে বিড়ালের লােম সংগ্রহ করতে গিয়েছিল।

২৪.তান্ত্রিক শ্মশান থেকে কী আনতে বলেছিল ?

উত্তরঃ তান্ত্রিক শ্মশান থেকে বালি আনতে বলেছিল।

২৫.”দেখাে না একতলায় গিয়ে।” – একতলায় গেলে কী দেখা যায় ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির একতলায় গেলে দেখা যায় গােলায় গােলায়, স্তরে স্তরে বহু রকম চাল সাজানাে রয়েছে।

২৬.হােমযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে তান্ত্রিক কী করছিলেন ?

উত্তরঃ হােমযজ্ঞ শুরু হওয়ার আগে তান্ত্রিক বড়াে বাড়ির নীচের হলঘরে বসেছিলেন।

২৭.বড়াে বাড়িতে কনকপানি এবং পদ্মজালি চাল রান্না হয় কী জন্য ?

উত্তরঃ বড়ােবাবু কনকপানি চাল ছাড়া এবং মেজো ও ছােটোবাবু পদ্মজালি চাল ছাড়া ভাত খায় না বলে, তাদের জন্য এই দুরকমের চাল রান্না করা হত।

২৮.’ভাত’ গল্পে মােটা-সাপটা চাল খেত কারা ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির বামুন এবং ঝি-চাকররা মােটা-সাপ্টা চাল খেত।

২৯.“খুবই অদ্ভুত কথা। তাঁর বিয়ে হয়নি।” – কার বিয়ে হয়নি ?

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পে বড়ােপিসিমার বিয়ে হয়নি।

৩০.বুড়ােকর্তার বাড়িগুলির নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ’ভাত’ গল্পে বুড়ােকর্তার বাড়িগুলির নাম ছিল শিব, মহেশ্বর, ত্রিলােচন, উমাপতি ইত্যাদি।

৩১.”শ্বশুর তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান।”- শশুর কার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান ছিল?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পের বড়াে বাড়ির বড়াে বউয়ের শ্বশুর তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান ছিল।

৩২.’ভাত’ গল্পের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কী ?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ইতিহাসনির্ভর জীবনী ‘ঝাঁসীর রাণী'(১৯৫৬)।

৩৩.“সেগুলাে সব এক মাপে কাটতে হবে।” – কী কাটার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ এখানে হােমযজ্ঞের উদ্দেশ্যে যে বেল, ক্যাওড়া, অশ্বথ, বট ও তেঁতুল গাছের আধমন করে কাঠ কাটার কথা বলা হয়েছে।

৩৪.“বড়ােপিসিমা শেষ খোঁচাটা মারেন।”— খোঁচাটা কী ছিল ?

উত্তরঃ বড়ােপিসিমা বড়ােবউমাকে বলেন যে, তার শ্বশুর মরতে বসেছে বলেই হােম-যজ্ঞ হচ্ছে এবং তার কাজের জন্যই একজন লােক প্রয়ােজন।

৩৫.”মেজো বউ উনােন পাড়ে বসেছে।” – কী করতে মেজোবউ উনুন পাড়ে বসেছিল ?

উত্তরঃ শাশুড়ির বিধবা হওয়ার আশঙ্কায় তার জন্য নানারকম মাছ রান্না করার উদ্দেশ্যে মেজোবউ উনুনপাড়ে বসেছিল।

৩৬.“তার আসার কথা ওঠে না।” – কার, কেন আসার কথা ওঠে না ?

উত্তরঃ বৃদ্ধ বুড়ােকর্তার চরম অসুস্থতার জন্য তার সেজো ছেলের বাড়িতে আসার কথা ওঠে না, কারণ সে বিলেতে থাকে।

৩৭.“বােঝা গেল যখন, তখন আর কিছু করবার নেই।”- কী বােঝা গেল এবং কী করার কিছু ছিল না ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির কর্তামশায়ের লিভার ক্যানসার হওয়ার কথা বােঝা গিয়েছিল এবং দেরিতে ধরা পড়ার জন্য ডাক্তারদের কিছু করার ছিল না।

৩৮.“তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না।”— উক্তিটিতে কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ বড়াে বউমার কাছে তার শ্বশুর ঠাকুর-দেবতার মতাে ছিল, তাই বড়াে বউমা তার শ্বশুরের মৃত্যুর পর চাঁদ-সূর্য উঠবে কি না, সে কথা ভেবেছিল।

৩৯.”ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলেই তা…” – ডাক্তাররা কী বলে দিয়েছে?

উত্তরঃ ক্যানসারে আক্রান্ত বড়াে বাড়ির বৃদ্ধ গৃহকর্তার শেষ সময় উপস্থিত হয়েছে এ কথাই ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল।

৪০.”ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলেই তাে…”— ডাক্তাররা বলে দিয়েছে বলে কী করা হচ্ছিল ?

উত্তরঃ ডাক্তাররা বড়াে বাড়ির গৃহকর্তার শেষ সময় এসে গেছে বলে দিয়েছে। তাই তাকে বাঁচানাের শেষ চেষ্টা হিসেবে সে বাড়িতে হােম-যজ্ঞ হচ্ছিল।

৪১.”বাদায় থাকে, অথচ ভাতের আহিংকে এতখানি।”— বাদায় থাকা লোকদের ভাতের আকাঙ্ক্ষা সাধারণত থাকে না কেন?

উত্তরঃ বাদা অর্থাৎ নিম্নভূমিতে জলের অভাব না থাকায় প্রচুর ধানের ফলন হয়। তাই বাদায় থাকা লােকেদের ভাতের আকাঙ্ক্ষা থাকে না বলে মনে করা হয়েছে।

৪২.“এসব কথা সত্যি না মিথ্যে কে জানে।”— কোন্ কথা ?

উত্তরঃ অবিবাহিতা বড়ােপিসিমা বলেছিলেন যে, শিব তার পতিদেবতা। তাই তাকে যেন মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়া না হয়। এখানে এই তথ্যের সত্যতা সম্বন্ধেই বলা হয়েছে।

৪৩.“..তার কাছে ঠাকুরদেবতা সমান।”— কে, কার কাছে ঠাকুর-দেবতা সমান ?

উত্তরঃ বড়াে বউয়ের কাছে তার শ্বশুরমশাই অর্থাৎ বুড়ােকর্তা হলেন ঠাকুর-দেবতা তুল্য।

৪৪.”আজ এই যজ্ঞি-হােম হচ্ছে।”— হােম-যজ্ঞের জন্য কোন কোন্ উপকরণ প্রয়ােজন ?

উত্তরঃ হােমযজ্ঞ অনুষ্ঠানে বেল, ক্যাওড়া, অশ্বথ, বট, তেঁতুল-এই পাঁচপ্রকার গাছের আধ মন করে কাঠ, কালাে বিড়ালের লােম, শ্মশানের বালি ইত্যাদি উপকরণের প্রয়ােজন।

৪৫.শ্বশুর বড়াে বউয়ের কাছে কীসের মতাে ছিল ?

উত্তরঃ বড়ােবউয়ের কাছে তার শ্বশুর ঠাকুরদেবতার মতাে ছিল।

৪৬.উনি হলেন দেবতার সেবিকা।- কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটিতে বড়ােপিসিমার কথা বলা হয়েছে।

৪৭.ঝিঙেশাল চাল এবং রামশাল চাল কী কী দিয়ে খায় ?

উত্তরঃ ঝিঙেশাল চালের ভাত নিরামিষ ডাল-তরকারি দিয়ে এবং রামশাল চালের ভাত মাছ দিয়ে খায়।

৪৮.”ওই পাঁচ ভাগে ভাত হয়?”— পাঁচ ভাগের নাম কী ?

উত্তরঃ ঝিঙেশাল, রামশাল, কনকপানি, পদ্মজালি এবং মােটা-সাপ্টা ধানের চাল—এই পাঁচ ভাগে ভাত রান্না হত বড় বাড়িতে।

৪৯.বড়াে বাড়ির চাল কে কার মাধ্যমে লুকিয়ে বিক্রি করত ?

উত্তরঃ বড়ােপিসিমা বাড়ির পরিচারিকা বাসিনীর মাধ্যমে লুকিয়ে বড়াে বাড়ির চাল বিক্রি করত।

৫০.”পিসিমা দেকতে পেলে সব্বনাশ হবে।” – কী দেখতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ খিদের জ্বালায় কাতর উচ্ছব বাসিনীকে এক মুঠো চাল খেতে দিতে বললে বাসিনী জানায় যে বড়ােপিসিমা দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে।

৫১.“এদেরকে বলিহারি ঝাই।”—কোন্ প্রসঙ্গে কার এই উক্তি ?

উত্তরঃ বাসিনীর মনিবরা উৎসব ক-দিন ধরে খায়নি শুনেও তাকে আগে খেতে না দিয়ে কাজ করাচ্ছিল বলেই বাসিনী এমন উক্তি করেছিল।

৫২.“রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি” – কার কেন খিচুড়ি খাওয়া হয়নি ?

উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যাওয়ার পর উৎসব তাদের খুঁজে বেড়ানাের জন্য পাগলের মতাে কয়েকদিন বাড়িতেই পড়েছিল বলে রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি।

৫৩.“তখন তার বুদ্ধি হরে গিয়েছিল।”— কখন, কার বুদ্ধি হরে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যাওয়ার পর যখন ক-দিন ধরে উৎসব তাদের খুঁজতে বাড়িতেই পড়েছিল, তখন তার বুদ্ধি হারিয়ে গিয়েছিল।

৫৪.উচ্ছবের বউ তুমুল ঝড়বৃষ্টির সময় কী করছিল ?

উত্তরঃ উচ্ছবের বউ তুমুল ঝড়বৃষ্টির সময় ছেলেমেয়েকে জাপটে জড়িয়ে ধরেছিল এবং ঠান্ডায় ও ভয়ে কাঁপছিল।

৫৫.উচ্ছব তুমুল ঝড়বৃষ্টির সময় কী করছিল ?

উত্তরঃ উচ্ছব তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে মাতালের মতাে কাঁপতে থাকা তার ঘরের মাঝখানের খুঁটিটিকে মাটির দিকে চেপে ধরার চেষ্টা করছিল আর ভগবানকে ডাকছিল।

৫৬.লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী ‘ভাত’ গল্পে ভগবানকে কী বলে বিদ্রুপ করেছেন ?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে উচ্ছব ভগবানকে ডাকায় লেখিকা বলেছেন যে, দুর্যোগের মধ্যে ভগবানও বােধ হয় কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমােন।

৫৭.”সাধন দাশের কথা উচ্ছব নেয় না।” – সাধন দাশ কী বলেছিল?

উত্তরঃ সাধন দাশ উচ্ছবকে বলেছিল যে, তার পরিবারের লােকজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বানের জল উচ্ছবকেও টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, গাছে বেঁধে সে রক্ষা পেয়েছে।

৫৮.“টিনের বেশ একটা মুখবন্ধ কৌটো ছিল ঘরে।”—কৌটোটির মধ্যে কী ছিল ?

উত্তরঃ কৌটোটির মধ্যে ভূমিহীন উচ্ছবের সরকারের কাছে জমি চাওয়ার আবেদন পত্রের নকল কাগজ ছিল।

৫৯.“সে কৌটোটা বা কোথায়।”—কৌটোটা কেমন দেখতে ছিল ?

উত্তরঃ কৌটোটা ছিল টিনের তৈরি মুখবন্ধ করা চমৎকার দেখতে এবং বড়ো।

৬০.”রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি।” – কার খাওয়া হয়নি ?

উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যাওয়ার পর কদিন ধরে উচ্ছবের লঙ্গরখানার রান্না খিচুড়ি খাওয়া হয়নি।

৬১.পুরােহিত মহানাম শতপথি উৎসবদের গ্রামে আসতে দেরি করছিল কেন ?

উত্তরঃ পুরােহিত মহানাম শতপথির অন্য দুটো গ্রামে শ্রাদ্ধশান্তির কাজ সমাধা করছিল, তাই তার উচ্ছবদের গ্রামে আসতে দেরি করছিল।

৬২.”সে এট্টা কতা বটে” – কথাটা কী ?

উত্তরঃ এখানে কথাটি হল—‘সরকার ঘর করতে খরচা দেবে’।

৬৩.কারা, কেন উচ্ছবদের গ্রাম থেকে কলকাতায় যাচ্ছিল ?

উত্তরঃ উচ্ছবদের গ্রাম থেকে বাসিনীর বােন এবং ভাজ কিছুকাল ঠিকে কাজ করার উদ্দেশ্যে কলকাতায় যাচ্ছিল।

৬৪.উৎসব প্রথমবার কলকাতায় বাসিনীর মনিবদের বাড়ি গিয়ে কী দেখে ?

উত্তরঃ উৎসব প্রথমবার কলকাতায় গিয়ে বাসিনীর মনিবদের বড়াে বাড়িটা বাইরে থেকে দেখেছিল আর দেখেছিল বার-বাড়ির ঠাকুরদালান এবং শিবমন্দিরের মাথার পিতলের ত্রিশূল।

৬৫.“এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে।”—কোন্ গল্প ?

উত্তরঃ কলকাতায় বাসিনীর মনিবদের বাড়িতে যে হেলা ঢেলা ভাত—সে গল্প গ্রামের সবাই শুনেছে।

৬৬.”তা দেখে উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল।” — কী দেখে উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল ?

উত্তরঃ ধানের গােছ আসার আগেই ধান গাছ থেকে সবুজ রং চলে গিয়ে কার্তিক মাসেই ধান খড়ে পরিণত হয়েছিল। সেটা দেখেই উচ্ছব মাথায় হাত দিয়েছিল।

৬৭.সতীশ মিস্তিরির কী কী ধানে মড়ক লেগেছিল ?

উত্তরঃ সতীশ মিস্তিরির চাষ করা হরকুল, পাটনাই এবং মােটা – এই তিনপ্রকার ধানেই মড়ক লেগেছিল।

৬৮.উচ্ছবকে কাঁদতে দেখে সাধনবাবু কী বলেছিল ?

উত্তরঃ উচ্ছবকে কাঁদতে দেখে সাধনবাবু জানতে চেয়েছিল, মনিবের ধান নষ্ট হওয়ায় উচ্ছব কেন কাঁদছে।

৬৯.“সেই সন্ধ্যেয় অনেকদিন বাদে সে পেট ভরে খেয়েছিল।”— সে কখন কী খেয়েছিল ?

উত্তরঃ ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় উচ্ছব হিঞ্চে শাক সেদ্ধ এবং গুগলি সেদ্ধ, নুন ও লংকাপােড়া দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছিল।

৭০.“বাদায় এদের চাল হয়।” – বাদা বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তরঃ ‘বাদা’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল নিম্নভূমি বা জঙ্গলাকীর্ণ ভূমি।

৭১.’ভাত’ গল্পে লােকটি কী নামে পরিচিত ?

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘ভাত’ গল্পে লােকটির নাম উৎসব নাইয়া হলেও সে উচ্ছব নাইয়া নামে পরিচিত ছিল।

৭২.শ্রাদ্ধ করার জন্য কাকে খবর দেওয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ শ্রাদ্ধ করার জন্য পুরােহিত মহানাম শতপথিকে খবর দেওয়া হয়েছিল।

৭৩. “পিসিমা দেখতে পেলে সর্বনাশ হবে।”— কে, কখন এ কথা বলেছে ?

উত্তরঃ কাঠ কাটতে কাটতে দীর্ঘদিনের উপবাসী উচ্ছব বাসিনীর কাছে একমুঠো চাল চিবিয়ে খাওয়ার জন্য চাইলে তাকে নিরস্ত করতে বাসিনী এ কথা বলে।

৭৪. “..ধনুষ্টঙ্কার রােগীর মতাে কেঁপেঝেঁকে উঠছিল।” – কী কেঁপে উঠছিল ?

উত্তরঃ উৎসবের ঘরের মাঝে পোঁতা প্রধান খুঁটিটি তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে কেঁপে উঠছিল।

৭৫.”খেতে খেতে চন্নুনী’র মা বলেছিল…” – চন্নুনীর মা কী বলেছিল ?

উত্তরঃ চন্নুনীর মা খেতে খেতে বলেছিল যে, দেবতার লক্ষণ ভালাে নয় যারা নৌকা নিয়ে বেরিয়েছে তারা নৌকা-সহ না ডুবে মরে।

৭৬.“ওরা কিছুকাল ঠিকে কাজ করবে।” – কারা ?

উত্তরঃ বাসিনীর বােন এবং ভাজ অর্থাৎ ভাইবউ কিছুদিন ঠিকে কাজ করবে।

৭৭. ঝড়বৃষ্টির রাতে উচ্ছব কী কী খেয়েছিল ?

উত্তরঃ ঝড় বৃষ্টির সন্ধ্যায় উচ্ছব হিঞ্চে শাক সেদ্ধ এবং গুগলি সেদ্ধ, নুন ও লংকাপােড়া দিয়ে ভাত মেখে খেয়েছিল।

৭৮.”বড়ােপিসিমা বেচেও দিচ্ছে নুক্কে নুক্কে।” – পিসিমা কী বেচে দিচ্ছেন ?

উত্তরঃ বাদায় উৎপন্ন পাহাড়প্রমাণ চালের একটা অংশ বড়ােপিসিমা বাসিনীর মাধ্যমে লুকিয়ে লুকিয়ে বেচে দেন।

৭৯. “ব্যাস, সব খােলামেলা, একাকার তারপর থেকে।”—সব একাকার হয়ে যায় কখন থেকে ?

উত্তরঃ ঝড় বৃষ্টির রাতে হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলকানিতে উচ্ছব যখন মাতাল মাতলার সফেন জলকে ছুটে আসতে দেখে তারপর থেকেই তার সব একাকার হয়ে যায়।

৮০.উৎসবের স্ত্রী-সন্তানরা কীভাবে মারা যায় ?

উত্তরঃ এক রাতে মাতলা নদীর প্রবল বন্যায় উৎসবের স্ত্রী-সন্তানরা জলে ভেসে গিয়ে মারা যায়।

৮১.“তাহলে উচ্ছবের বুকে শত হাতির বল থাকত আজ” – কী হলে এমন হত ?

উত্তরঃ চন্নুনীদের অর্থাৎ উচ্ছবের বউ-ছেলেমেয়েকে যদি ভগবান বাঁচিয়ে রাখতেন, তাহলে উচ্ছবের বুকে শত হাতির বল থাকত।

৮২. বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে মারা না গেলে বিপর্যয়ের পর কী করত উচ্ছব ?

উত্তরঃ বন্যায় বউ-ছেলেমেয়ে মারা না গেলে উচ্ছবরা সবাই মিলে তাদের টিনের মুখবন্ধ কৌটোটা নিয়ে ভিক্ষেয় বেরােত।

৮৩.মুখবন্ধ টিনের কৌটোটা কোথা থেকে পেয়েছিল উচ্ছব ?

উত্তরঃ সতীশবাবুর নাতির বেবি ফুডের মুখবন্ধ টিনের কৌটোটা উচ্ছবের পছন্দ হয় বলে সতীশবাবুর কাছ থেকে সে কৌটোটা চেয়ে এনেছিল।

৮৪.”তান্ত্রিকের নতুন বিধেন হল…”— তান্ত্রিকের পুরােনো বিধান কী ছিল ?

উত্তরঃ তান্ত্রিকের পুরােনাে বিধান ছিল যে, হােমে বসার আগে যেন তাড়াতাড়ি খাওয়াদাওয়া সেরে ফেলা হয়।

৮৫.“কিন্তু সাগরে শিশির পড়ে।”—উচ্ছব কেন এ কথা বলেছিল ?

উত্তরঃ দীর্ঘদিনের উপোসের পর মাত্র এক ঠোঙা ছাতু খেয়ে খিদে মেটেনি বলেই উচ্ছব বলেছিল যে, সাগরে শিশির পড়ে।

৮৬.“তান্ত্রিকের নতুন বিধেন হল…” — তান্ত্রিকের নতুন বিধান কী ?

উত্তরঃ তান্ত্রিকের নতুন বিধান হল যে, হােমের আগেই সব কিছু রান্না করে রাখতে হবে, কিন্তু খেতে হবে হােমের পরে।

৮৭.বাসিনী উচ্ছবকে লুকিয়ে খাবার দিতে কী অজুহাতে উঠোনে এসেছিল ?

উত্তরঃ বাসিনী ঝুড়িবােঝাই শাক ধুতে আসার অজুহাতে উচ্ছবকে লুকিয়ে খাবার দিতে উঠোনে এসেছিল।

৮৮.উচ্ছবদের বাদায় কী কী পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ উচ্ছবদের বাদায় গেঁড়ি, গুগলি, কচু শাক ও শুশনি শাক পাওয়া যায়।

৮৯.ছাতু খাওয়ার পর উচ্ছব কীসে করে জল খেয়েছিল ?

উত্তরঃ ছাতু খাওয়ার পর উচ্ছব মিষ্টির দোকান থেকে ভাঁড় চেয়ে নিয়ে তাতে করে জল খেয়েছিল।

৯০.“সতীশবাবুর নাতি ফুট খায়।” – সতীশবাবু কে ছিল ?

উত্তরঃ সতীশ মিস্তিরি ছিল ধনী কৃষক, যার জমিতে কাজ করে উচ্ছব দিন গুজরান করত।

৯১.যজ্ঞের জন্য উচ্ছবের কাটা কাঠগুলি কতটা লম্বা ছিল ?

উত্তরঃ যজ্ঞের জন্য উচ্ছবের কাটা কাঠগুলি দেড় হাত লম্বা ছিল।

৯২.”আসার সময়ে গাঁ-জ্ঞেয়াতি বলেছিল..”- গাঁ-জ্ঞেয়াতিরা কী বলেছিল ?

উত্তরঃ আসার সময় উচ্ছবকে গ্রামের জ্ঞাতিরা বলেছিল যে, সে যখন কলকাতা যাচ্ছে, তখন কালীঘাটে গিয়ে যেন তার বউ-ছেলেমেয়ের শ্রাদ্ধ সেরে নেয়।

৯৩.মহানাম শতপথি উচ্ছবদের গ্রামে এলে কী হবে ?

উত্তরঃ মহানাম শতপথি উচ্ছবদের গ্রামে এলে নদীর পাড়ে সারবন্দিভাবে বন্যায় মৃত মানুষদের শ্রাদ্ধ হবে।

৯৪.”গরিবের গতর এরা শস্তা দেকে।”— কারা গরিবের গতর সস্তা দেখে ?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বুড়ােকর্তার বাড়ির লােকেরা গরিবের গতর সস্তা দেখে।

৯৫.“কত্তা মােলে পরে ওকে সাত নাতি না মেরেচি তাে আমি বাসিনী নই।” – কাকে ‘সাত নাতি মারার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বুড়ােকর্তার মুটকি খাস ঝি-কে ‘সাত নাতি’ অর্থাৎ সাত লাথি মারার কথা বলা হয়েছে।

৯৬.”ভাত খাবে সে, ভাত।”—কার ভাত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে বহুদিন ধরে উপােসী উচ্ছবের ভাত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে।

৯৭.”তুমি হাত চালাও।”—কেন হাত চালাতে বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ হােমযজ্ঞ করার জন্য কাঠের দ্রুত প্রয়ােজন ছিল বলে পিসিমা উচ্ছবকে তাড়াতাড়ি হাত চালাতে বলেছিলেন।

৯৮.সতীশবাবু কেন বলেছিলেন, “উচ্ছবের মতিচ্ছন্ন হয়েছে বই তাে নয়।” ?

উত্তরঃ বউ-ছেলেমেয়ে অপঘাতে মারা যাওয়ায় উচ্ছব শােকে পাগল হওয়ার কথা। কিন্তু তার পরিবর্তে ‘ভাত ভাত’ করছিল বলে সতীশবাবু বলেছিলেন যে, উচ্ছবের মতিচ্ছন্ন হয়েছে।

৯৯.”…ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড় উতলা করে।” – কাকে ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির ফুটন্ত ভাতের গন্ধ উচ্ছবকে বড়াে উতলা করে।

১০০.”..উচ্ছব তাড়াতাড়ি হাত চালায়।” – কেন ?

উত্তরঃ কাঠ কাটলে হােম হবে এবং হােম হওয়ার পর বহু আকাঙ্ক্ষিত ভাত খেতে পাবে বলেই উচ্ছব তাড়াতাড়ি চালায়।

১০১.”..দেবতার গতিক ভালাে নয়কো।” – কে, কখন এ কথা বলেছিল ?

উত্তরঃ ঝড়-বৃষ্টির রাতে যেদিন পরিবারের সকলের সাথে উচ্ছব শেষবারের মতাে খেতে বসেছিল, সেদিন চন্নুনীর মা অর্থাৎ উচ্ছবের বউ এ কথা বলেছিল।

১০২.“বড়ােপিসিমা খনখনিয়ে ওঠে।”—কী উদ্দেশ্যে বড়ােপিসিমা খনখনিয়ে ওঠে ?

উত্তরঃ উৎসবকে দিয়ে তাড়াতাড়ি কাঠ কাটানাের উদ্দেশ্যে বড়ােপিসিমা খনখনিয়ে ওঠে।

১০৩.আড়াই মন কাঠ দালানে রেখে আসার পর কী কাজ করে উচ্ছব ?

উত্তরঃ আড়াই মন কাঠ দালানে রেখে এসে উচ্ছব উঠোনে পড়ে থাকা কাঠের ছােটো-বড়াে টুকরােগুলি ঝুড়িতে তুলে রেখে উঠোন ঝাঁট দেয়।

১০৪.”এসব কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়।”—কোন্ কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায় ?

উত্তরঃ বড়ো বাড়ির রাশি রাশি রান্না শেষ হওয়ার কথা শুনে উচ্ছব বুকে বল পায়।

১০৫.সতীশবাবু উচ্ছবকে ভাত খেতে দেননি কেন ?

উত্তরঃ উচ্ছবকে ভাত খেতে দিলে দলে দলে অভুক্ত মানুষ ভাতের জন্য তাঁর বাড়িতে এসে জড়াে হবে বলে সতীশবাবু উচ্ছবকে ভাত খেতে দেননি।

১০৪.’প্রেত’ হয়ে থাকা উচ্ছব কীভাবে ‘মানুষ’ হবে বলে মনে করেছে ?

উত্তরঃ দীর্ঘদিন ভাত খেতে না পেয়ে ‘প্রেত’ হয়ে থাকা উচ্ছব ভাত খেলে মানুষ হবে বলে মনে করেছে।

১০৫.“ভাত খেলে সে মানুষ হবে।” – মানুষ হলে সে কী করবে ?

উত্তরঃ উচ্ছব ভাত খেয়ে প্রেত থেকে মানুষে পরিণত হলে মৃত বউ-ছেলেমেয়ের জন্য কাঁদবে।

১০৬.তান্ত্রিক হােম শুরু করার আগে বুড়াে কত্তার রােগকে কী করেন ?

উত্তরঃ তান্ত্রিক হােম শুরু করার আগে হঠাৎ চিৎকার করে একটা মন্ত্র পড়ে বুড়ােকর্তার রােগকে দাঁড় করান এবং তারপর কালাে বিড়ালের লােম দিয়ে তাকে বাঁধেন।

১০৭.তান্ত্রিক বুড়ােকর্তার রােগকে দাঁড় করানাের জন্য কোন্ মন্ত্র আওড়েছিলেন ?

উত্তরঃ তান্ত্রিকের আওড়ানাে মন্ত্রটি হল—“ওঁং হ্রীং ঠং ঠং ভাে ভাে রােগ শৃণু শৃণু।

১০৮.তান্ত্রিক হােম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কী ঘটেছিল ?

উত্তরঃ তান্ত্রিক হােম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই দোতলা থেকে নার্স নেমে এসে ডাক্তারকে খবর দিতে বলেছিল।

১০৯.“বড়াে, মেজ ও ছােটো ঘুম ভাঙা চোখে বিরস মুখে হােমের ঘর থেকে বেরিয়ে যায়…।” – কখন এই ঘটনা ঘটে ?

উত্তরঃ তান্ত্রিক হােম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই দোতলা থেকে নার্স নেমে এসে ডাক্তারকে কল দিতে বললে বুড়ােকর্তার তিন ছেলে হােমের ঘর থেকে বিরস মুখে বেরিয়ে যায়।

১১০.“এলে পরে নদীর পাড়ে সারবন্দি ছরাদ হবে”—কাদের এভাবে শ্রাদ্ধ হবে?

উত্তরঃ মাতলা নদীর বন্যায় মৃত গ্রামবাসীদের নদীর পাড়ে সারবন্দিভাবে শ্রাদ্ধ হবে।

১১১.বাসিনী উচ্ছবকে স্নান করতে বললে উচ্ছব রাজি হয় না কেন ?

উত্তরঃ উচ্ছব স্নান করতে রাজি হয় না কারণ মাথায় জল পড়লে তার পেটের খিদে আর তাকে মানতে চাইবে না।

১১২.নার্স ডাক্তারকে কল দিতে বলার পর উচ্ছব কোথায় যায় ?

উত্তরঃ নার্স ডাক্তারকে কল দিতে বলার পর উচ্ছব বাইরে গিয়ে শিবমন্দিরের চাতালে বসে।

১১৩.“…উচ্ছব সেই বাদাটা খুঁজে বের করবে।”—কোন বাদার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির অধিকৃত যে বাদায় প্রচুর ধানের ফলন হয়, সেই বাদাটার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

১১৪.মন্দিরের চাতালে তাস পেটাতে থাকা তিনটি ছেলে কী বলেছিল ?

উত্তরঃ মন্দিরের চাতালে তাস পেটাতে থাকা তিনটি ছেলে বলেছিল যে, বড়ো বাড়ির বুড়ােকে বাঁচানাের জন্য হােম হচ্ছে। তারা আরও বলে এসব ফালতু।

১১৫.উচ্ছবের চোখে জল আসে কেন ?

উত্তরঃ দুর্যোগের রাতে মাতলা নদী পাগল হয়ে পাড়ে উঠে না আসলে উচ্ছবের বউ-ছেলেমেয়ে আরও অনেকদিন বাঁচত—এ কথা ভেবেই উচ্ছবের চোখে জল আসে।

১১৬.”তাস পিটানাে ছেলেগুলি অস্বস্তিতে পড়ে।”—তারা কেন অস্বস্তিতে পড়ে ?

উত্তরঃ উচ্ছব যখন তাস পেটানাে ছেলেদের বলে যে, ঝড়জলে তার সব কিছু এমনকি তার ঘরের মানুষরাও চলে গেছে, তখন তারা অস্বস্তিতে পড়ে।

১১৭.উচ্ছবের ঘুম কীভাবে ভেঙে যায় ?

উত্তরঃ একটা লােকের পায়ের ধাক্কা খেয়ে উচ্ছবের ঘুম ভেঙে যায়।

১১৮.মন্দিরের চাতালে ঘুমােনাে উচ্ছবকে উঠিয়ে একজন তাকে কী বলেছিল ?

উত্তরঃ উচ্ছব চুরির মতলবে মন্দিরের চাতালে শুয়ে আছে কি না জিজ্ঞাসা করেছিল।

১১৯.ঘুম থেকে উঠে বড়াে বাড়িতে ঢােকার আগে কী লক্ষ করেছিল উচ্ছব ?

উত্তরঃ ঘুম থেকে উঠে বড়াে বাড়িতে ঢােকার আগে উচ্ছব রাস্তায় দাঁড়ানাে বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং ছােটো ছােটো কয়েকটি জটলা লক্ষ করেছিল।

১২০.বুড়ােকর্তা মারা যাওয়ার পর বড়ােপিসিমা সেই মৃত্যুর জন্য কাকে দোষারােপ করেছিলেন ?

উত্তরঃ বুড়ােকর্তার মৃত্যুর জন্য বড়ােপিসিমা তার ছােটো বেয়াইয়ের নিয়ে আসা তান্ত্রিককে দোষারােপ করেছিলেন।

১২১.”নইলে দোষ লাগবে।”—কী হলে দোষ লাগবে ?

উত্তরঃ বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বের করে রাতারাতিই দাহকর্ম শেষ করতে না পারলে দোষ লাগবে বলা হয়েছিল।

১২২.তান্ত্রিক বুড়ােকর্তার মৃত্যুতে নিজের দোষ ঢাকতে কী অজুহাত দিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ তান্ত্রিক বুড়ােকর্তার মৃত্যুর পর নিজের দোষ ঢাকতে অজুহাত দিয়েছিলেন যে, বুড়ােকর্তার তিন ছেলে হােম ছেড়ে উঠে গিয়েছিল বলেই তিনি বুড়ােকর্তাকে বাঁচাতে পারেননি।

১২৩.মন্দিরের চাতালে কয়টি ছেলে তাস খেলছিল ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ি থেকে বেরিয়ে উচ্ছব যে শিবমন্দিরের চাতালে বসেছিল সেখানে তিনটি ছেলে তাস খেলছিল।

১২৪.“অন্ন লক্ষ্মী, অন্ন লক্ষ্মী, অন্নই লক্ষ্মী…”-এ কথা কে বলত ?

উত্তরঃ মহাশ্বেতী দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে উচ্ছবের ঠাকুমা এ কথা বলত।

১২৫.”তুমি কী বুঝবে সতীশবাবু।” – কী না বােঝার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ সতীশবাবু নদীর পাড়ে, মাটির ঘরে থাকে না বলে সেখানে বাস করার যে দুঃখকষ্ট তা না বােঝার কথা বলা হয়েছে।

১২৬.বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়ার খাট কোথায় তৈরি হয়েছিল ?

উত্তরঃ বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বহনের খাট বাগবাজার থেকে তৈরি হয়েছিল।

১২৭.কখন বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বের করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ রাত একটার পর বুড়ােকর্তার মৃতদেহ বের করা হয়েছিল।

১২৮.’ভাত’ গল্পে শববাহকদের পেছন পেছন কারা দৌড়ে চলেছিল ?

উত্তরঃ ‘ভাত’ গল্পে শববাহকদের পেছন পেছন কীর্তনের দল দৌড়ে চলেছিল।

১২৯.বামুন কেন বড়াে বাড়ির অশুচি হয়ে যাওয়া খাবারগুলি দূরে ফেলে দিতে বলেছিল ?

উত্তরঃ বড়াে বাড়ির অশুচি হয়ে যাওয়া খাবারগুলি কুকুরে ছেটাবে এবং সকালে কাকে ঠোকরাবে বলে বামুন খাবারগুলি দূরে ফেলে দিতে বলেছিল।

১৩০.”বাসিনী থমকে দাঁড়ায়।” – কী দেখে বাসিনী থমকে দাঁড়ায় ?

উত্তরঃ উচ্ছব বাদার কামটের মতাে হিংস্র চোখে দাঁতগুলাে বের করে হিংস্র মুখভঙ্গিতে বাসিনীর দিকে ফিরে তাকালে বাসিনী থমকে দাঁড়ায়।

১৩১.উচ্ছবকে যখন পুলিশ ধরে তখন সে কী করছিল ?

উত্তরঃ উচ্ছবকে যখন পুলিশ ধরে তখন সে ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে ভাতের খালি ডেকচিটি জড়িয়ে ধরে তার কিনারায় মাথা ছুঁইয়ে ঘুমিয়েছিল।

১৩২.পুলিশ কোন অভিযােগে উচ্ছবকে থানায় নিয়ে যায় ?

উত্তরঃ পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে উচ্ছবকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।

১৩৩.পেট ভরে ভাত খাওয়ার পর উচ্ছব কী পরিকল্পনা করেছিল ?

উত্তরঃ পেট ভরে ভাত খাওয়ার পর উচ্ছব ভােরের ট্রেনে ক্যানিং গিয়ে সেখান থেকে দেশের বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

১৩৪.“…সে স্বর্গ সুখ পায় ভাতের স্পর্শে।”— কেন স্বর্গসুখ পায় ?

উত্তরঃ দীর্ঘদিন পর অভুক্ত উচ্ছব ভাত খেতে পেয়েছিল বলে ভাতের স্পর্শে সে স্বর্গসুখ পায়।

১৩৫.“চন্নুনী রে! তুইও খা,”—কোন্ গল্পের অংশ ? ‘চন্নুনী’র পরিচয় দাও।

উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পের অংশ।
‘চন্নুনী’-হল উচ্ছব নাইয়ার মেয়ে, মাতলা নদীর বন্যায় চন্নুনী ভেসে গিয়েছিল।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর (Essay Type) | ভাত – মহাশ্বেতা – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBCHSE HS Bengali Question and Answer :

১. ‘বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।’- বাদা কাকে বলে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির এইরকম মনে হওয়ার কারণ কী ?

উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পের অন্তর্গত। সাধারণভাবে বাধা শব্দটির অর্থ হলো জঙ্গল বেষ্টিত অনাবাদি জমি। আলোচ্য গল্পে লেখিকা বাতা শব্দটিকে দুটি ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করেছেন। ১. বড় বাড়ির অধিকৃত বাদা অঞ্চল হল- ফসলে পরিপূর্ণ উর্বর ভূমি। ২. অন্যদিকে উৎসব যে বাদায় বাস করে সেটা অনুর্বর ভূমি সেখানে শুধু গুগলি, গেঁড়ি, কচু শাক, সুশনো শাক পাওয়া যায়।
গল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছব মাতলা নদীর বন্যায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যা এবং শেষ সম্বল ভিটেবাড়ি হারিয়ে ফেলে। একমুঠো ভাত পাওয়ার আশায় গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনীর মনিব বাড়িতে আসে কলকাতায়। ক্ষুধার্থ উৎসব সেখানে সে দেখে দুর্ভিক্ষের দিনে বাসিনীর মনিব বাড়িতে বিভিন্ন রকমের চাল। বাসিনীকে প্রশ্ন করে উচ্ছব জানতে পারে বড়ো কর্তার বাড়িতে যে নানা ধরনের চাল আসে সেই চালের উৎস হলো ‘বাদা’।’কেনা চাল নয় বাদা থেকে চাল আসছে।’ কিন্তু উচ্ছবের বাদায় তো ধান হয় না। উচ্ছবের মনে প্রশ্ন জাগে- ‘সে কোন বাদা ? উচ্ছবের বাদায় শুধু গুগলি,গেঁড়ি, কচু শাক, সুশনো শাক।’ আসলে এ স্বপ্ন তার শুধু একার নয় প্রতিটি নিরন্ন মানুষের স্বপ্ন এমন একটি বাদা খুঁজে বের করা। ধনীদের অধিকৃত বাদার মতো অবিকল আরেকটি বাদা হয়তো হত দরিদ্র মানুষদের জন্য আছে এমনটাই সে ভাবে, এবং বাদার ভাত খেলেই হয়তো সেই বাদার খোঁজ মিলবে। তাই ভাত খেয়ে দেয়ে শক্তি পেলে উচ্ছব সেই বাদাটা খুঁজে বের করবে।

২. ‘বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।’- আসল ‘বাদা’ কোনটা ? উচ্ছব আর আসল ‘বাদা’টার খোঁজ করতে পারল না কেন ? (উঃ মাঃ ২০১৬)

উত্তরঃ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে আসল ‘বাদা’ বলতে উচ্ছবের গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনীর মনিবের যে বাদা অঞ্চলে ঝিঙেশাল, রামশাল, কনকপানি, পদ্মজালি, মোটা সাপটা ইত্যাদি ধান উৎপাদিত হতো সেই অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে।
গল্পে দেখা যায়, বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়িতে নিয়ে এসেছে হোমযজ্ঞের কাঠ কাটার জন্য। উচ্ছবও একমুঠো ভাতের আশায় আড়াই মণ কাঠ কেটে ফেলে। ক্ষুধার্ত উচ্ছব ভাতের জন্য উতলা হয়ে ওঠে । কিন্তু তান্ত্রিকের বিধানে তার কাঙ্ক্ষিত ভাত খাওয়া অধরা থেকে যায়। কেননা অসুস্থ বুড়োকর্তা মরে গিয়ে নাকি বাড়ির রান্না করা ভাত অশুচি করে দিয়েছে। তাই এই ভাত আর খাওয়া চলবে না। সংস্কার মতো এই অশুচি ভাত ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে উচ্ছবের ওপর। কিন্তু ভাতের ডেকচি হাতের নাগালে পেতেই উচ্ছব অশুচি ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কোনোরূপ বাধানিষেধ মানতে রাজি নয়। মনের আনন্দে ভাত খেয়ে ভুখা পেটের খিদে মিটাবে এই আশায় সে ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে। সে খুব দ্রুত স্টেশনে উপস্থিত হয়, এবং প্রাণভরে ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে। সব ভাত খেয়ে উচ্ছব ডেকচির কানায় মাথা স্পর্শ করে ঘুমিয়ে পড়ে।
আর এখানেই উচ্ছবের স্বর্গসুখের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। সকাল না হতেই পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে লোকজন উচ্ছবকে ধরে ফেলে এবং মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়। উচ্ছব একদিন যে আসল বাদাটার খোঁজ করার স্বপ্ন দেখেছিল, সেই বাদাটার খোঁজ করা তার আর সম্ভব হলো না। এইভাবেই শেষ পর্যন্ত সেই আসল বাদাটা খোঁজ করা হয়ে ওঠেনি।

৩. “ আসল বাদাটার খোঁজ করা হয় না আর উচ্ছবের ।”— ‘আসল বাদা’ কোনটা ? উচ্ছব আর আসল বাদাটার খোঁজ করতে পারল না কেন ?

অথবা,

“সে বাদাটা বড়ো বাড়িতে থেকে যায় অচল হয়ে।” কোন বাদাটা, কেন বড়ো বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায় ?

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্প থেকে সংগৃহীত উক্তিটিতে ‘আসল বাদা’ বলতে বোঝানো হয়েছে উচ্ছবের গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনিবের যে বাদা অঞ্চলে ঝিঙেশাল, রামশাল, কনকপানি, পদ্মজালি, মোটা সাপটা ইত্যাদি ধান উৎপাদিত হতো সেই অঞ্চলকে।

গল্পে দেখা যায়, বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়িতে নিয়ে এসেছে হোমযজ্ঞের কাঠ কাটার জন্য। উচ্ছব ভাত খেতে পাবে এই আশায় আড়াই মণ কাঠ কেটে ফেলে। সে অনেক দিন ধরে ভাত খেতে পায়নি, তাই সে ভাতের জন্য উতলা হয়ে ওঠে। কিন্তু তান্ত্রিকের বিধানে তার কাঙ্ক্ষিত ভাত খাওয়া অধরা থেকে যায়। কেননা অসুস্থ বুড়োকর্তা মরে গিয়ে নাকি বাড়ির রান্না করা ভাত অশুচি করে দিয়েছে। তাই এই ভাত আর খাওয়া চলবে না। সংস্কার মতো এই অশুচি ভাত ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে উচ্ছবের ওপর। কিন্তু ভাতের ডেকচি হাতের নাগালে পেতেই উচ্ছব অশুচি ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কোনোরূপ বাধানিষেধ মানতে রাজি নয়। মনের আনন্দে ভাত খেয়ে ভুখা পেটের খিদে মিটাবে এই আশায় সে ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে। সে খুব দ্রুত স্টেশনে উপস্থিত হয়, এবং প্রাণভরে ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে। সব ভাত খেয়ে উচ্ছব ডেকচির কানা মাথা স্পর্শ করে ঘুমিয়ে পড়ে।
আর এখানেই উচ্ছবের স্বর্গসুখের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। সকাল না হতেই পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে লোকজন উচ্ছবকে ধরে ফেলে এবং মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়। উচ্ছব একদিন যে আসল বাদাটার খোঁজ করার স্বপ্ন দেখেছিল, সেই বাদাটার খোঁজ করা তার আর সম্ভব হলো না। এইভাবেই শেষ পর্যন্ত সেই আসল বাদাটা বড়ো বাড়িতে অচল হয়ে থেকে যায়।

৪. “তুমি কি বুঝবে সতীশবাবু।” – সতীশবাবু কী বুঝবে না ? কেন বুঝবে না ? সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল ?

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। ভাত না খেলে কীরূপ ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, উচ্ছব তা বুঝতে পেরেছে। একারণেই উচ্ছব জানিয়েছে সতীশবাবু ভাত না খেতে পারার জ্বালা বুঝতে পারবে না।

সতীশবাবু আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছল। উচ্ছবের মতো যে নদীর পাড়েও থাকে না, মেটে ঘরেও থাকে না। তার পাকা ঘর ঝড়ে ভেঙে যায়নি, এছাড়া তার ধান-চাল সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে। তাই দেশজোড়া দুর্যোগের সময়েও তার ঘরে রান্না হয়েছে। উচ্ছবের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তার যা কিছু ছিল তাতেও ভগবানের মার পড়েছে। তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে মাতলার জলে উচ্ছবদের সংসার সর্বনাশ হয়ে যায়। একে উচ্ছবের ঘরদোর বিপর্যস্ত তার ওপর স্ত্রী-পুত্র হারিয়ে যায়। এ হেন অবস্থায় হতদরিদ্র উচ্ছবদের পেটের জ্বালা সতীশবাবু কোনোমতেই বুঝতে পারবে না।

তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে উচ্ছবদের সংসার বিপর্যস্ত হয়ে গেলে সে সম্পূর্ণ একাকী হয়ে পড়ে। কয়েকদিন ধরে অভুক্ত থাকার জন্য উচ্ছব খিদের জ্বালায় ছটফট করে। খিদের জ্বালা মিটানোর জন্য সে সতীশবাবুর কাছে ভাতের প্রার্থনা করে, কিন্তু সতীশবাবু জানায় তাকে ভাত দিলে পঙ্গপালের মতো মানুষ তার কাছে ভিড় করবে। প্রচণ্ড ক্ষুধার তাড়নায় উচ্ছব ভাত ভাত করছে শুনে সতীশবাবু মস্তব্য করেছে তার মতিভ্রম হয়েছে। উচ্ছবকে ভাত না দিয়ে সতীশবাবু নিষ্ঠুর, অমানবিক কাজ করেছে।

৫. “মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়।” কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় ?

উত্তরঃ মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পে উচ্ছব নাইয়াকে পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে পুলিশের লোকজন মারতে মারতে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনী উচ্ছবকে বড়ো বাড়িতে নিয়ে এসেছে হোমযজ্ঞের কাঠ কাটার জন্য। সে অনেক দিন ধরে ভাত খেতে পায়নি, তাই সে ভাতের জন্য উতলা হয়ে ওঠে। উচ্ছব ভাত খেতে পাবে এই আশায় সে আড়াই মণ কাঠ কেটে ফেলে, কিন্তু তান্ত্রিকের বিধানে তার কাঙ্ক্ষিত ভাত খাওয়া অধরা থেকে যায়। কেননা অসুস্থ বুড়োকর্তা মরে গিয়ে নাকি বাড়ির রান্না করা ভাত অশুচি করে দিয়েছে। তাই এই ভাত আর খাওয়া চলবে না। সংস্কার মতো এই অশুচি ভাত ফেলে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে উচ্ছবের ওপর। কিন্তু ভাতের ডেকচি হাতের নাগালে পেতেই উচ্ছব অশুচি ভাত খাওয়ার ব্যাপারে কোনোরূপ বাধানিষেধ মানতে রাজি নয়। মনের আনন্দে ভাত খেয়ে ভুখা পেটের খিদে মিটাবে এই আশায় সে ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহন করে হাঁটতে শুরু করে । সে খুব দ্রুত স্টেশনে উপস্থিত হয় এবং প্রাণভরে ভাত খেয়ে স্বর্গসুখ অনুভব করে । সব ভাত খেয়ে উচ্ছব ডেকচির কানা মাথা স্পর্শ করে ঘুমিয়ে পড়ে। আর এখানেই উচ্ছবের স্বর্গসুখের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় । সকাল না হতেই পেতলের ডেকচি চুরি করার অপরাধে লোকজন উচ্ছবকে ধরে ফেলে এবং মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় । উচ্ছব একদিন যে আসল বাদা খোঁজ করার স্বপ্ন দেখেছিল, সেই বাদাটার খোঁজ করা তার আর সম্ভব হলো না ।

৬. “দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মতোই হিংস্র ভঙ্গি করে” – কে, কার এরূপ আচরণ করেছিল ? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো ।

উত্তরঃ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ ছোটগল্পের মুখ্য চরিত্র উচ্ছব নাইয়া তার গ্রাম্য সম্পর্কিত বোন বাসিনীর প্রতি এমন আচরণ করেছিল।

গল্পে বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহ শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পরে বড়ো পিসিমার কথায় বাড়ির সব রান্না ফেলে আসতে বলেন। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই উচ্ছব স্থির করে নেয় যে সে কী করবে। সুদূর সুন্দরবন থেকে শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে সে এসেছিল শহরের বড়ো বাড়িতে কাজ করতে। কিন্তু বুড়ো কর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হোম-যজ্ঞ শেষ না হলে খাওয়া হবে না– এই যুক্তিতে সে তার চরম আকাঙ্খিত খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এর মধ্যে সে নানা রকম চালের এবং খাবারের গল্প শুনেছে ও দেখেছে। আর তাই তো- ‘ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়ো উতলা করে’ কিন্তু ভাত জোটেনি উচ্ছবের।

কিন্তু আজ যখন বাসিনী ভাত ফেলতে গেল তখন উচ্ছব ভাতের ডেকচি নিয়ে সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে সে কী করবে ? ডেকচি নিয়ে প্রথমে হনহনিয়ে হাঁটা তারপর দৌড়ানো শুরু করে। যে ভাতের জন্য তার দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা, সেই ভাত এখন তার হাতের মুঠোয়। এই সময়েই যখন বাসিনী তাকে ‘অশুচ বাড়ির ভাত’ খেতে নিষেধ করে তা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে উচ্ছবের পক্ষে। সে ফিরে দাঁড়ায় এবং কামটের মতো হিংস্র চোখে বাসিনীর দিকে তাকায়। তার দাঁত বের করা মুখ ভঙ্গি কামটের মতো হিংস্র লাগে বাসিনীর ।

৭. “ফুটন্ত ভাতের গন্ধ তাকে বড়ো উতলা করে।” – তাকে বলতে এখানে কাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে ? এই গন্ধ তাকে কেন উতলা করে ?

উত্তরঃ এখানে ‘তাকে’ বলতে মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পের মুখ্য চরিত্র বাদা অঞ্চলের বাসিন্দা অন্নহীন উচ্ছব নাইয়ার কথা বলা হয়েছে ।

সুন্দরবনের নিম্ন জলাভূমি অঞ্চল অর্থাৎ বাদা অঞ্চলই হলো প্রায় দক্ষিণবঙ্গের অন্নের মূল উৎস স্থান। অথচ সেখাকার বাসিন্দা উৎসব দিনের পর দিন না খেয়ে থাকে। জমিহীন উৎসব সতীশবাবুর জমিতে কাজ করত। কিন্তু মড়ক লেগে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। উচ্ছব বলতে থাকে- “লক্ষ্মী না আসতে সেধে ভাসান যাচ্ছে তা কাঁদব না এতটুকু ? আমরা খাব।” শুধু অনাহারই নয়, সর্বঘাতী বন্যায় উৎসব তার বউ ছেলে মেয়েকে হারিয়ে ফেলেন। একদিকে শোক আর অন্যদিকে ক্ষুধার তীব্র জ্বালায় সে প্রেতে পরিণত হয়।

ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য উৎসব বাসিনীর সাহায্যে বড়ো বাড়িতে এলে ভাতের বিনিময়ে কাঠ কাটার কাজে নিয়োজিত হয়। বড়ো বাড়িতে অপরিসীম ভাতের গল্প তাকে পাগল করে তোলে এবং সে জানতে পারে এ সব ভাত আসে বাদা অঞ্চল থেকে। কিন্তু উৎসবের বাদায় ভাত নয় শুধু- ‘গুগলি গোঁড়ি, কচুশাক, সুশনো শাক পাওয়া যায়। আর সেই জন্য উৎসব ভাতের হুতাশে আড়াই মন কাঠ কেটেছিল। বড়ো বাড়ি থেকে ভেসে আসা ফুটন্ত ভাতের গন্ধে তার বহুকালের খিদে বেড়ে যায়, উৎসব তাই ‘ভাতের হুতাশে’ উতলা হয়ে উঠে।

আরও পড়ুনঃ

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন্ ২০২৪

 

Leave a Reply