H.S. 2015 PHILOSOPHY QUESTION PAPER | SOLVED | দ্বাদশ শ্রেণির দর্শন প্রশ্নপত্র ২০১৫ – Prosnodekho

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now

উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন প্রশ্নপত্র ২০১৫
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার দর্শন বিষয়ের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সাইট থেকে খুঁজে নিয়ে সঠিক এবং নির্ভুল উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তোমরা অবশ্যই তোমাদের সাবজেক্ট শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছ থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলিয়ে নেবে। নিচে বহু বিকল্পধর্মী প্রশ্ন (MCQ) এবং অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের (SAQ) উত্তর দেওয়া হলো।

2015
PHILOSOPHY
(New Syllabus)
Total Time : 3 Hours 15 minutes
Full Marks: 80

পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশ :
1. পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে।
2. বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কেটে নেওয়া হবে
3. উপাত্তে প্রশ্নের পূর্ণমান সূচিত আছে।
Instructions to the Candidates :
1.Special credit will be given for answers which are brief and to the
point.
2. Marks will be deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting.
3. Figures in the margin indicate full marks for the questions.

বিভাগ – ক / PART – A
(Marks: 40)

1. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : 8×5 = 40


HS All SUBJECT MCQ TEST


(a) উদাহরণসহ বাক্য ও বচনের পার্থক্য ব্যাখ্যা করো। 8

অথবা,

নীচের বাক্যগুলি তর্কবিজ্ঞানসম্মত বচনে রূপান্তরিত করো ও তাদের কোন্ কোন্ পদ ব্যাপ্য ও অব্যাপ্য তা উল্লেখ করো : 2×4

(i) সাদা হাতি আছে।
(ii) রাজনীতিবিদরা কদাচিৎ সৎ হন।
(iii) নিরামিশাষী বাঘ নেই।
(iv) কেবলমাত্র দার্শনিকরা সুখী।

(b) আবর্তন কাকে বলে ? আবর্তনের নিয়মগুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করো। ‘A’ বচনের সরল আবর্তন হয় না কেন ? 2+4+2

অথবা,

নীচের বাক্যগুলির আবর্তন ও বিবর্তন করো (তর্কবিজ্ঞানসম্মত বচনের মাধ্যমে) : 2×4
(i) সাধারণতঃ মানুষ হয় দয়ালু।
(ii) বৃত্তাকার বর্গক্ষেত্র নেই।
(iii) সব সাধু ধার্মিক নয়।
(iv) প্রত্যেক কবি হল দার্শনিক।


HS All SUBJECT QUESTION PAPER


(c) নিম্নলিখিত যুক্তিগুলিকে আদর্শ আকারে পরিণত করে তাদের মূর্তি ও সংস্থানের উল্লেখ করো ও বৈধতা বিচার করো : 4+4 (i) সে কাপুরুষ, কেননা সে মিথ্যাবাদী এবং মিথ্যাবাদীরা সর্বদাই কাপুরুষ।
(ii) সব চকচকে বস্তু সোনা নয়, হীরে সোনা নয়। সুতরাং হীরে চকচক করে না।

অথবা,

উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো : 4+4
(i) অব্যাপ্য হেতু দোষ।
(ii) দুটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে তার থেকে কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় না।

(d) মিলের অদ্বয়ী পদ্ধতি আলোচনা করো : 1+2+1+2+2
সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি)।

অথবা,

উত্তাপ যত বাড়ে পারদস্তম্ভের উচ্চতা তত বাড়ে। উত্তাপ যত কমে, পারদস্তম্ভের উচ্চতা তত কমে। অতএব উত্তাপ বৃদ্ধিই হল পারদস্তম্ভের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ। উপরের দৃষ্টান্তে মিলের কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে ? পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো : চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি)। 1+1+2+2+2

(e) নীচের আরোহ যুক্তিগুলি বিচার করো এবং কোনো দোষ থাকলে তা উল্লেখ করো : 4×4
(i) শীতের পরেই বসন্ত আসে। কাজেই শীত হল বসন্তের কারণ।
(ii) টেলিগ্রাম অশুভ। কারণ টেলিগ্রাম দুঃসংবাদ নিয়ে আসে।

অথবা,

সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো : 4+4
(i) কাকতালীয় দোষ।
(ii) একটি অবান্তর বিষয়কে কারণ হিসেবে গণ্য করার দোষ।

বিভাগ – খ / PART – B
(Marks: 40)

1. বিকল্প উত্তরগুলির মধ্যে থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: 1×24

(i) মিলের যে পদ্ধতি কার্যকারণকে সহঅবস্থান থেকে পৃথক করতে পারে না সেটি হল–
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি, (b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি,
(c) সহ-পরিবর্তন পদ্ধতি, (d) মিশ্র পদ্ধতি।

উত্তরঃ (a) অন্বয়ী পদ্ধতি।

(ii) দ্বৈত-অন্বয়ী পদ্ধতি হল—
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি,
(b) অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি,
(c) ব্যতিরেকী পদ্ধতি,
(d) সহ পরিবর্তন পদ্ধতি।

উত্তরঃ (b) অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতি,

(iii) ‘ক’ হল ‘খ’-এর পর্যাপ্ত শর্ত একথার অর্থ হল—
(a) যদি ‘ক’ ঘটে তবে ‘খ’ ঘটে,
(b) যদি ‘খ’ ঘটে তবে ‘ক’ ঘটে,
(c) যদি ‘ক’ না ঘটে তবে ‘খ’ ঘটে না,
(d) যদি ‘খ’ না ঘটে তবে ‘ক’ ঘটে না।

উত্তরঃ (a) যদি ‘ক’ ঘটে তবে ‘খ’ ঘটে,

(iv) ‘অক্সিজেনের উপস্থিতি দহনের কারণ’- বাক্যটিতে কারণ কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা হল—
(a) বহুকারণবাদ
(b) পর্যান্ত শর্ত,
(c) আবশ্যিক শর্ত,
(d) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।

উত্তরঃ (c) আবশ্যিক শর্ত

(v) বহুকারণবাদের একজন সমর্থক হলেন—
(a) মিল, (b) লক, (c) দেকার্ড, (d) স্পিনোজা।

উত্তরঃ (a) মিল

(vi) আরোহ অনুমানে সামান্যীকরণের মাধ্যমে যে বচন প্রতিষ্ঠা করা হয় তা হল—
(a) সামান্য সংশ্লেষক বচন,
(b) সামান্য বিশ্লেষক বচন,
(c) বিশেষ সংশ্লেষক বচন,
(d) বিশেষ বিশ্লেষক বচন।

উত্তরঃ (a) সামান্য সংশ্লেষক বচন

(vii) আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তি হল—
(a) পর্যবেক্ষণ,
(b) প্রকৃতির একরূপতা নীতি,
(c) কার্যকারণ নীতি,
(d) সামান্যীকরণ।

উত্তরঃ (d) সামান্যীকরণ।

(viii) উপমাযুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল—
(a) সাদৃশ্যের সংখ্যা,
(b) সাদৃশ্যের প্রাসঙ্গিকতা,
(c) ব্যক্তিগত বৈসাদৃশ্য,
(d) ব্যক্তিগত সাদৃশ্য।

উত্তরঃ (b) সাদৃশ্যের প্রাসঙ্গিকতা

(ix) কোনো সত্যাপেক্ষক যৌগিক বচনের সত্যমূল্য নির্ভর করে—
(a) শুধুমাত্র অঙ্গবচনের ওপর
(b) শুধুমাত্র যোজকের ওপর
(c) অঙ্গবচন ও যোজকের ওপর,
(d) এদের কোনোটির ওপর নয়

উত্তরঃ (c) অঙ্গবচন ও যোজকের ওপর

(x) ‘যদি p তাহলে q’ মিথ্যা হবে যদি—
(a) p ও q উভয়েই সত্য হয়,
(b) p ও q উভয়েই মিথ্যা হয়,
(c) p সত্য কিন্তু q মিথ্যা হয়,
(d) p মিথ্যা কিন্তু q সত্য হয়।

উত্তরঃ (c) p সত্য কিন্তু q মিথ্যা হয়

(xi) p.p এই রচনাকারটি—
(a) স্বতঃসভ্য, (b) স্বত:মিথ্যা,
(c) আপতিক (d) এদের কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ (c) আপতিক

(xii) “কোনো শিক্ষক নয় অ-শিক্ষিত”- বচনটির ভেনচিত্র হল—

(xiii) ‘সকল অ-S হয় P’ – বচনটির বুনীয় ভাষা হল-
(a) SP̅ = 0 (b) S̅P = 0 SP = 0
(c) SP = 0 (d) S̅P̅ = 0.

উত্তরঃ (b) S̅P̅ = 0

(xiv) ‘p অথবা q. pq এই যুক্তি আকারটি হল—
(a) M.P. (b) M.T. (c) D.S. (d) H.S.

উত্তরঃ (c) D.S.

(xv) প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ যুক্তির প্রধান আশ্রয়বাক্যটির অংশদুটি হল—
(a) উদ্দেশ্য ও বিধেয়, (b) পূর্বগ ও অনুগ,
(c) সংযোগী ও বিকল্প,
(d) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত।

উত্তরঃ (b) পূর্বগ ও অনুগ

(xvi) পক্ষ পদটি পক্ষ আশ্রয়বাক্য ছাড়াও অন্য যে স্থানে থাকে তা হল—
(a) সিদ্ধান্তের বিষেয় স্থানে,
(b) মাধ্য আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে,
(c) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ স্থানে,
(d) সাধ্য আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে।

উত্তরঃ (c) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ স্থানে

(xvii) AOO মূর্তিটি বৈধ হয়—
(a) প্রথম সংস্থানে, (b) দ্বিতীয় সংস্থানে,
(c) তৃতীয় সংস্থানে, (d) চতুর্থ সংস্থানে।

উত্তরঃ (b) দ্বিতীয় সংস্থানে

(xviii) যদি ‘A’ বচন সত্য হয় তাহলে ‘O’ বচনটির সত্যমূল্য হবে—
(a) সত্য (b) মিথ্যা (c) অনিশ্চিত, (d) স্ববিরোধী।

উত্তরঃ (b) মিথ্যা

(xix) একই উদ্দেশ্য ও বিধেয় বিশিষ্ট। এবং O বচন হল পরস্পরের—
(a) বিপরীত বিরোধী,
(b) অধীন বিপরীত বিরোধী,
(c) অসম বিরোধী,
(d) বিরুদ্ধ বিরোধী।

উত্তরঃ (b) অধীন বিপরীত বিরোধী

(xx) A বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয় তা হল—
(a) উদ্দেশ্য পদ, (b) বিধেয় পদ,
(c) উভয় পদ, (d) কোনো পদ ব্যাপ্য নয়।

উত্তরঃ (a) উদ্দেশ্য পদ

(xxi) আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল—
(a) দুটি, (b) তিনটি (c) চারটি, (d) পাঁচটি।

উত্তরঃ (C) চারটি

(xxii) যে যুক্তিতে আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় তাকে বলে—
(a) অবরোহ যুক্তি, (b) বৈজ্ঞানিক আরোহ,
(c) অবৈজ্ঞানিক আরোহ (d) উপমা যুক্তি।

উত্তরঃ (a) অবরোহ যুক্তি

(xxiii) অনুমান যখন ভাষায় প্রকাশিত হয় তখন তাকে বলে—
(a) অনুভূতি, (b) যুক্তি, (c) কল্পনা, (d) সংবেদন।

উত্তরঃ (b) যুক্তি

(xxiv) বৈধ অবরোহ যুক্তির যুক্তিবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত হবে—
(a) সভ্য, (b) মিথ্যা, (c) অনিশ্চিত, (d) বিরোধী।

উত্তরঃ (a) সত্য।

২. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির অভি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) 1×16 = 16

(i) যুক্তির আকারগত বৈধতা কাকে বলে ?

উত্তরঃ যুক্তির ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য সত্য অথচ সিদ্ধান্ত মিথ্যা এখন কখনোই হয় না, অর্থাৎ কোনো যুক্তির আশ্রয়বাক্য সভ্য হয়ে সিদ্ধান্ত মিথ্যা না হওয়াই হল যুক্তির আকারগত বৈধতা।

অথবা,

যুক্তির বস্তুগত সত্যতা কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোনো যুক্তির অন্তর্গত বাক্য বা বচনগুলির বাস্তব ব্যাপারের সঙ্গে মিল থাকা হল বস্তুগত সভ্যতা।

(ii) অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উত্তরঃ E- কোনো মানুষ নয় অমর।
O কোনো কোনো মানুষ নয় অমর।

(iii) ‘সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব’- বচনটির বিপরীত বিরোধী বচন কী হবে ?

উত্তরঃ (E) কোনো মানুষ নয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব।

অথবা,

বিরুদ্ধ বিরোধিতা কাকে বলে ?

উত্তরঃ একই উদ্দেশ্য এবং একই বিধেয়পদ বিশিষ্ট দুটি বচনের মধ্যে যদি গুণ ও পরিমাণ উভয়ের পার্থক্য থাকে, তাহলে তাদের পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিরুদ্ধ বিরোধিতা মান হয়।

(iv) বিবর্তনের বৈধতার গুণ সংক্রান্ত নিয়মটি কী ?

উত্তরঃ বিবর্তনের গুণ সংক্রান্ত নিয়মটি হল, আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে। আশ্রয়বাক্য যদি সার্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে, আর আশ্রয়বাক্য যদি নঞর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।

(v) একটি মিশ্র বৈকল্পিক ন্যায় অবৈধ হলে কী দোষ হয় ?

উত্তরঃ মিশ্র বৈকল্পিক ন্যায় অবৈধ হলে বিকল্প স্বীকারজনিত দোষ হয়।

অথবা,

বিসংবাদী বৈকল্পিক বচনের একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উত্তরঃ উদাহরণ: ‘রাম জীবিত অথবা মৃত। রাম মৃত। অতএব, রাম জীবিত নয়।

(vi) অনুগ স্বীকার জনিত দোষের একটি উদাহরণ দাও

উত্তরঃ অনুগ স্বীকার জনিত দোষের উদাহরণ : যদি আমটি কাঁচা হয় তাহলে আমটি টক হবে।
এমন হয় যে, আমটি টক। এমন হয় যে, আমটি কাঁচা।

(vii) অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোনো বচনের উদ্দেশ্য পদ দ্বারা নির্দেশিত শ্রেণীর বাস্তব সদস্য আছে, সেকথা ওই বচনে ঘোষিত হওয়া হল। অস্তিত্বমূলক তাৎপর্য।

অথবা,

নীচের বচনটিকে ভেনচিত্রে প্রকাশ করো:
“সকল মানুষ হয় মরণশীল।” –

 

(viii) শূন্যগর্ভ শ্ৰেণী’ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে শ্রেণীর বাস্তব সদস্য নেই তা হল শূন্যগর্ভ শ্রেণী

(ix) সংযৌগিক বচন কখন সত্য হয় ?

উত্তরঃ সংযৌগিক বচনের সবকটি সংযোগী যখন সত্য হয়, তখন সমগ্র বচনটি সত্য হয়।

অথবা,

বৈকল্পিক বচন কখন মিথ্যা হয় ?

উত্তরঃ বৈকল্পিক বচনের সবকটি বিকল্প যখন মিথ্যা হয় তখন সমগ্র বচনটিই মিথ্যা হয়।

(x) স্বত: মিথ্যা রচনাকার কীরূপ ?

উত্তরঃ যে বচনাকারের অন্তর্গত সব নিবেশন দৃষ্টান্ত মিথ্যা হয় অর্থাৎ যে রচনাকারের মিথ্যা ছাড়া সত্য নিবেশন দৃষ্টান্ত হতে পারে না, তাকে স্বতঃ মিথ্যা রচনাকার বলা হয়।

যেমন— ‘P.P’ হল একটি স্বতঃ মিথ্যা রচনাকার।

(xi) সাদৃশ্যমূলক আরোহানুমান কাকে বলে ?

উত্তরঃ দুটি যেকোনো বস্তু বা ব্যক্তির ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য বা উপমা লক্ষ্য করে, তারই ভিত্তিতে যদি উভয়ের মধ্যে নতুন কোনো বিষয় বা ঘটনার সাদৃশ্য অনুমান করা যায়, তখন তাকে সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান বলে।

অথবা,

মন্দ উপমা যুক্তির একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ উদাহরণ– বৃত্ত এবং মানুষ উভয়ের জন্ম, বৃদ্ধি, ক্ষয় ও মৃত্যু আছে: মানুষের চিন্তাশক্তি আছে; বৃক্ষেরও চিন্তাশক্তি আছে।

(xii) আরোহমূলক লাফ কী ?

উত্তরঃ আরোহ অনুমানের ক্ষেত্রে বিশেষের জ্ঞান থেকে সামান্যের জ্ঞান বা জ্ঞাভ সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়াই হল আরোহমূলক লাফ।

(xiii) ভালো বা উত্তম উপমা যুক্তির একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উত্তরঃ পৃথিবীর ও মঙ্গল উভয় গ্রহেই জল, মাটি, আলো, বাতাস, তাপ, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আছে, উভয়েই সূর্যের আলোকে আলোকিত এবং সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে—

পৃথিবীতে যেহেতু জীবের অস্তিত্ব আছে … মঙ্গল গ্রহেও জীবের অস্তিত্ব আছে (সম্ভবতঃ)।

অথবা,

উপমাযুক্তির মূল্যায়নের একটি মানদণ্ড উল্লেখ করো।

উত্তরঃ উপমাযুক্তি মূল্যায়নের গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডটি হল, সাদৃশ্যের প্রাসঙ্গিকতা।

(xiv) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত হিসেবে কারণ-এর একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উত্তরঃ ভিজে জ্বালানিতে অগ্নি-সংযোগ ধোঁয়ার আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।

(xv) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ কী ?

উত্তরঃ কারণের পরিমাণগত লক্ষণ হল, কারণ হল পরিমাণের দিক থেকে কার্যের সমান।

অথবা,

বহুকারণবাদের একটি অসুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বহুকারণবাদের একটি অসুবিধা হল, এই মতবাদ স্বীকার করলে কারণকে কখনোই অপরিবর্তনীয় ও শর্তান্তরহীনরূপে গণ্য করা যায় না।

(xvi) “বিষপান হল মৃত্যুর কারণ” – এক্ষেত্রে ‘কারণ’ কথাটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে ‘কারণ’ কথাটি ‘পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

H.S PHILOSOPHY QUESTION PAPER
2015 2016 2017 2018 2019
2020 NoEx 2022 2023 2024

This Post Has 8 Comments

Leave a Reply