অসুখী একজন
পাবলো নেরুদা
আমি তাকে ছেড়ে দিলাম
অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়
আমি চলে গেলাম দূর… দূরে।
সে জানত না আমি আর কখনো ফিরে আসব না।
একটা কুকুর চলে গেল,হেঁটে গেল গির্জার এক নান
একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল।
বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ
ঘাস জন্মালো রাস্তায়
আট একটার পর একটা, পাথরের মতো
পর পর পাথরের মতো, বছরগুলো
নেমে এল তার মাথার ওপর।
তারপর যুদ্ধ এল
রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো।
শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।
সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না।
সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন
শান্ত হলুদ দেবতারা
যারা হাজার বছর ধরে
ডুবে ছিল ধ্যানে
উল্টে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে
তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।
সেই মিষ্টি বাড়ি,সেই বারান্দা
যেখানে আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম,
গোলাপি গাছ,ছড়ানো করতলের মতো পাতা
চিমনি,প্রাচীন জলতরঙ্গ
সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।
যেখানে ছিল শহর
সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা
দোমড়ানো লোহা,মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা
রক্তের একটা কালো দাগ।
আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।
তর্জমা : নবারুণ ভট্টাচার্য
( ইংরেজি অনুবাদ )
The Unhappy One
-Pablo Neruda
I left her in the doorway waiting
and I went away, away,
She didn’t know I would not come back.
A dog passed, a nun passed,
a week and a year passed.
The rains washed out my footprints
and the grass grew in the street,
and one after another, like stones,
like gradual stones, the years
came down on her head.
Then the war came
like a volcano of blood.
Children and houses died.
And that woman didn’t die.
The whole plain caught fire.
The gentle yellow gods
who for a thousand years
had gone on meditating
were cast from the temple in pieces.
They could not go on dreaming.
The sweet homes, the veranda
where I slept in a hammock,
the rosy plants, the leaves
in the shape of huge hands,
the chimneys, the marimbas,
all were crushed and burned.
And where the city had been
only cinders were left,
twisted iron, grotesque
heads of dead statues
and a black stain of blood.
And that woman waiting.
কবি পরিচিতঃ
পাবলো নেরুদা ছিলেন একজন চিলিয়ান কবি ও রাজনীতিবিদ। তাঁর জন্ম চিলির সীমান্ত শহর পারলেতে ১৯০৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল নেকতালি রিকার্দো রেয়েন্স বাসোয়ালতো। পাবলো নেরুদা তার ছদ্মনাম হলেও পরে নামটি আইনি বৈধতা লাভ করে।
মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে তিনি যেমন কবিতা লিখেছেন তেমনই লিখেছেন ঐতিহাসিক মহাকাব্য, প্রকাশ্য রাজনৈতিক ইস্তাহার। ১৯২৭ সালে চিলির সরকার তাঁকে রাষ্ট্রদূত করে রেঙ্গুনে পাঠায় । এ পদে থেকে তিনি চিন, জাপান, কলম্বোসহ ভারতেও আসেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পরলোকগমন করেন।
পাবলো নেরুদার লেখা বিখ্যাত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—
(i)The Captain’s Verses
(ii) Residence on Earth
(iii) Extravagaria
(iv) Twenty Love Poems and a Song of Despair
(v) Still Another Day
(vi) The Separate Rose
(vii) Winter Garden
(viii) The Yellow Heart
(ix) Stones of the Sky
অনুবাদক পরিচিতঃ
নবারুণ ভট্টাচার্য (১৯৪৮ – ২০১৪) :
নবারুণ ভট্টাচার্য মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিখ্যাত নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য এবং মাতা স্বনামধন্যা সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। স্কুল জীবনে বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল – ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’, ‘রাতের সার্কাস’ প্রভৃতি। উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘হারবার্ট’ ‘কাঙাল মালসাট’ প্রভৃতি।
ইংরেজি অনুবাদ : The unhappy one .
মূলগ্রন্থ : বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
বিষয়বস্তুঃ
বিশ্বখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি আত্মকথনের আদলে রচিত। কথকের জবানিতে কবিতাটি শুরু হয়। তাঁর প্রিয়তমাকে দুয়ারে অপেক্ষায় রেখে বহুদূরে চলে যায়। প্রিয়তম ফিরে আসবে এই সরল বিশ্বাসে অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে কথকের প্রিয়তমা। সে জানতো না যে তার প্রিয়তম আর কখনো ফিরে আসবে না। সময় বহমান। তাই সপ্তাহ মাস বছর কেটে যায়।কথক আর ফিরে আসেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হয়ে আসে কথকের স্মৃতি।কথকের পায়ের চিহ্ন বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়। রাস্তায় ঘাস জন্মায়। অপেক্ষমান মেয়েটির মাথায় পাথরের মতো একটির একটি বছর নেমে আসে। তারপর আসে বীভৎস এক প্রাণঘাতী যুদ্ধ। রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো যুদ্ধ, যার নিষ্ঠুরতায় বাদ যায়নি বাড়ির শিশুরাও। সমস্ত স্মৃতি মুছে গেলেও বেঁচে থাকে কবির সেই প্রিয়তমা মেয়েটি। কারন প্রেম শ্বাশত , তার মৃত্যু নেই। চিরন্তন প্রেম মানুষকে মরতে মরতে বাঁচতে শেখায়। যুদ্ধের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ।বাদ যায়না দেবালয়ও। শান্ত হলুদ ধ্যানমগ্ন দেবতারা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে মন্দির থেকে। এই দুঃসময়ে দেবতারা মানুষকে বাঁচাতে ও স্বপ্ন দেখাতে ব্যর্থ হন। যুদ্ধের রোষানলে কবির ফেলে আসা বাড়ি,বারান্দা, ঝুলন্ত বিছানা, চিমনি, জলতরঙ্গ সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংসের তীব্রতাকে আরো স্পষ্ট করে রক্তের কালো দাগ। আর এই ধ্বংসের মধ্যে জেগে থাকে মৃত্যুহীন ভালোবাসা; যে ভালোবাসা নিয়ে কবির জন্য অপেক্ষা করে থাকে তার প্রিয়তমা।
• সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
১.’অসুখী একজন’কবিতার কবি পাবলো নেরুদার জন্মস্থান-
(ক) চিলি (খ) জার্মানি (গ) আফ্রিকা
(ঘ) আর্জেন্টিনা
উত্তরঃ (ক) চিলি।
২.অসুখী একজন কবিতাটি মূল কোন ভাষায় রচিত ?
(ক) ফরাসি (খ) আরবি (গ) স্পেনিশ (ঘ) ইংরেজি
উঃ (গ) স্পেনিশ।
৩. নবারুণ ভট্টাচার্য রচিত ’অসুখী একজন’ কবিতাটি তাঁর কোন গ্রন্থের অন্তর্গত-
(ক) বিদেশি কবিতার বাহার
(খ) বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
(গ) বিদেশি ফুলের রক্তের ডালা
(ঘ) বিদেশি ফুলের স্বদেশী গান
উত্তরঃ (খ) বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে।
৪.’অসুখী একজন’কবিতাটি পাবলো নেরুদার যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত-
(ক) Extravagaria
(খ) Lyrical Ballads
(গ) Paradise Lost
(ঘ) Twillight
উত্তরঃ (ক) Extravagaria.
৫.”আমি তাকে ছেড়ে দিলাম”।-‘অসুখী একজন’কবিতায় ‘তাকে’ বলতে বোঝানো হয়েছে-
(ক) বাড়ির ভৃত্যকে (খ) গির্জার নানকে
(গ) একটি কুকুরকে (ঘ) একজন মেয়েকে
উঃ (ঘ) একজন মেয়েকে।
৬.’অসুখী একজন’কবিতায় কথক মেয়েটিকে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে যান-
(ক) ঘরের মধ্যে (খ) জানালার পাশে
(গ) উঠোনে (ঘ) দরজায়
উঃ (ঘ) দরজায়।
৭. সে জানতো না আমি আর-
(ক) কখনো কথা বলবো না
(খ) কখনো ফিরে আসবো না
(গ) কখনো যুদ্ধে যাবো না
(ঘ) কখনো গান গাইব না
উঃ (খ) কখনো ফিরে আসবো না।
৭. অসুখী একজন কবিতাটি বাংলায় তরজমা করেন ?
(ক) বিজন ভট্টাচার্য (খ) নবারুণ ভট্টাচার্য
(গ) মহাশ্বেতা দেবী (ঘ) জয় গোস্বামী
উঃ (খ) নবারুণ ভট্টাচার্য।
৮. একটা সপ্তাহ আর একটা-
(ক) মাস কেটে গেল
(খ) বছর কেটে গেল
(গ) একটা করে বছর চলে গেল
(ঘ) ছুটে গেল কিছু মানুষ
উঃ (খ) বছর কেটে গেল।
৯.পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম-
(ক) নেপতালি রিকার্দো বাসোয়ালতো
(খ) গঞ্জালো ভিদেলা
(গ) নেপতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো
(ঘ) পাবলো পিকাসো
উঃ (গ) নেপতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো।
১০.অসুখী একজন কবিতায় বৃষ্টি কী ধুয়ে দিয়েছিল ?
(ক) রাস্তার ধুলো (খ) রক্তের দাগ
(গ) কথকের পায়ের দাগ (ঘ) কাঠ কয়লার দাগ
উঃ (খ) রক্তের দাগ।
১১. তারপর যুদ্ধ এলো-
(ক) শান্ত হলুদ দেবতাদের মত
(খ) রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত
(গ) মৃত মানুষের পাহাড়ের মত
(ঘ) প্রবল ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডবের মত
উঃ (খ) রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত।
১২.’ডুবে ছিল ধ্যানে’- কারা ডুবেছিল ধ্যানে। ?
(ক) কবির পরিবার (খ) দেবতারা
(গ) মানুষেরা (ঘ) ঋষি মনিরা
উঃ (খ) দেবতারা।
১৩. রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত যুদ্ধে-
(ক) সবকিছু ধ্বংস হলো
(খ) অপেক্ষারত মেয়েটি মারা গেল
(গ) শিশু আর বাড়িরা খুন হলো
(ঘ) দেবতাদের বিনাশ হল
উঃ (গ) শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।
১৪.দেবতারা কত বছর ধরে ডুবে ছিল ?
(ক) হাজার বছর (খ) একশো বছর
(গ) কুড়ি বছর (ঘ) দশ বছর
উঃ (ক) হাজার বছর।
১৫. যুদ্ধের ভয়ানক ধ্বংসের মাঝেও-
(ক) মেয়েটির মৃত্যু হল না
(খ) কথকের মৃত্যু হলো না
(গ) দেবতাদের ধ্যান ভঙ্গ হলো না
(ঘ) শিশু ও বাড়িরা ধ্বংস হলো না
উঃ (ক) মেয়েটির মৃত্যু হল না।
১৬.অসুখী একজন কবিতায় কবি ক’টি সপ্তাহ কেটে যাওয়ার উল্লেখ করেছেন ?
(ক) একটি (খ) দুটি (গ) তিনটি (ঘ) চারটি
উঃ (ক) একটি।
১৭. যুদ্ধের ভয়াবহতায় সমস্ত সমতলে-
(ক) ভূমিকম্প হল (খ) ধরে গেল আগুন
(গ) ধ্বংসস্তূপ গড়ে উঠলো
(ঘ) জমাট বাধলে রক্তের দাগ
উঃ (খ) ধরে গেল আগুন।
১৮.”হাজার বছর ধরে ডুবেছিল ধ্যানে”-
(ক) শিশু ও বাড়িরা (খ) শান্ত হলুদ দেবতারা
(গ) গির্জার নানরা (ঘ) অপেক্ষারত মেয়েটি
উঃ (খ) শান্ত হলুদ দেবতারা।
১৯.অসুখী একজন কবিতায় কোভিদ ঝুলন্ত বিছানার পাশের গাছটি ছিল
(ক) গোলাপি (খ) সবুজ (গ) হলুদ (ঘ) নীল
উঃ (ক) গোলাপি।
২০.”উলটে পড়লো মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে”- কারা ?
(ক) শান্ত হলুদ দেবতারা (খ) অপেক্ষারত মেয়েটি
(গ) শিশু ও বাড়িরা (ঘ) গির্জার নানরা
উঃ (ক) শান্ত হলুদ দেবতারা।
২১.“ তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না । ” – কারা স্বপ্ন দেখতে পারল না ? (২০২০)
(ক) সেই মেয়েটি (খ) গির্জার নান
(গ) কবিতার কথক (ঘ) শান্ত হলুদ দেবতারা
উঃ (ঘ) শান্ত হলুদ দেবতারা।
২২.”যেখানে আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম”- ‘যেখানে’ বলতে বোঝানো হয়েছে-
(ক) বাড়ির শয়নকক্ষে (খ) যুদ্ধক্ষেত্রের পাশে
(গ) মিষ্টি বাড়ির বারান্দায় (ঘ) বাড়ির উঠানে
উত্তর-(গ) মিষ্টি বাড়ির বারান্দায়।
২৩. শিশু আর বাড়িরাখুন হলো-
(ক) যুদ্ধে (খ) ধ্যানমগ্ন অবস্থায় (গ) ঝড়-বৃষ্টিতে
(ঘ) প্রবল ভূমিকম্পে
উঃ (ক) যুদ্ধে।
২৪. যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল-
(ক) মৃতদেহ (খ) কাঠ কয়লা
(গ) শান্ত হলুদ দেবতারা (ঘ) শিশু ও নানরা
উঃ (খ) কাঠ কয়লা।
২৫. যেখানে শহর ছিল সেখানে ছড়িয়ে রইল মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস-
(ক) দেহ (খ) মাথা (গ) কঙ্কাল
(ঘ) রক্তমাখা শরীর
উঃ (খ) মাথা।
২৬. আর সেই মেয়েটি আমার—
(ক) ভালোবাসায় (খ) অপেক্ষায় (গ) ব্যথায় কাতর
(ঘ) বিরহে বিষন্ন
উঃ (খ) অপেক্ষায়।
২৭.অসুখী একজন কবিতায় কোভিদ সেই মিষ্টি বাড়ির জল তরঙ্গ টি কোন সময়ের
(ক) প্রাচীনকালের (খ) আধুনিক সময়ের
(গ) বিংশ শতকের (ঘ) মধ্যযুগের
উঃ (ক) প্রাচীনকালের।
২৮. ‘অসুখী একজন’কবিতায় যে বাদ্যযন্ত্রের কথা আছে-
(ক) হারমোনিয়াম (খ) সেতার (গ) জলতরঙ্গ
(ঘ) একতারা
উঃ (গ) জলতরঙ্গ।
২.কমবেশি ২০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও:
২.১“তারপর যুদ্ধ এলাে” – যুদ্ধ কেমনভাবে এলাে ? [মাধ্যমিক ২০২২]
উত্তরঃ যুদ্ধ এসেছিল ‘রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মত’ বীভৎস রূপ নিয়ে।
২.২“ ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে ! ” — কী ছড়ানো রয়েছে ? [মাধ্যমিক ২০১৯] [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ যুদ্ধ দাঙ্গার মধ্যে পড়ে যেসব মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছে , সেইসব বিপন্ন মানুষের চারপাশে কাছে – দূরে শিশুদের শব ছড়ানো রয়েছে ।
২.৩“ শিশু আর বাড়িরা খুন হলো । ” – “ শিশু আর বাড়িরা ’ খুন হয়েছিল কেন ? [মাধ্যমিক ২০১৭]
উত্তরঃ ‘ অসুখী একজন ’ কবিতায় আগ্নেয় পাহাড়ের মতো যুদ্ধের প্রভাবে ‘ শিশু আর বাড়িরা ’ খুন হয়েছিল ।
২.৪”শিশু আর বাড়িরা খুন হলো’- বাড়িরা বলতে কবি এখানে কী বোঝাতে চেয়েছেন ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ‘বাড়িরা’ শব্দটি গভীর অর্থ যুক্ত হয়েছে। ‘বাড়ি’ শুধু গৃহ নয় পরিবার আশ্রয় নিশ্চিন্ত নিরাপত্তা। ‘বাড়িরা’ হল শান্তি ও মানব সম্পর্কের বন্ধন।
২.৫ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবি দেবতাদের চেহারার কী বর্ণনা দিয়েছেন ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ অসুখী একজন কবিতায় কবি শান্ত হলুদ দেবতারা চেহারার ছবি এঁকেছেন। হেমন্তের খসে-পড়া গাছের হলুদ পাতার মতো তারা পুরনো, প্রাচীনপন্থী। তাদের চিন্তা-চেতনা জীর্ণ।
২.৬ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শিশু ও বাড়ির খুন হয়ে যাওয়া কোন প্রতীকী তাৎপর্য যুক্ত হয়েছে ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ শিশু হলো পরবর্তী প্রজন্ম স্বদেশের সম্পদ স্বল্প নিষ্পাপ মানবতার প্রতীক। অন্যদিকে বাড়ির শুধু গৃহ নয় পরিবার আশ্রয় নিশ্চিন্ত নিরাপত্তার প্রতীক।
২.৭ “সব চূর্ণ হয়ে গেল’- কী কী চূর্ণ হয়ে গেল ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবির মিষ্টি বাড়ি, বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা, গোলাপের মতো পাতায, চিমনি আর প্রাচীন জলতরঙ্গ -যুদ্ধে এই সব চূর্ণ হয়ে আগুনে জ্বলে গিয়েছিল।
২.৮ ‘সে জানতো না’- সে কী জানত না ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ পাবলো নেরুদার অসুখী একজন কবিতা অনুসারে কবির জন্য অপেক্ষারতা মেয়েটি জানত না যে তার ভালোবাসার মানুষটি আর কখনো ফিরে আসবে না।
২.৯ ‘বছরগুলো তার মাথার উপরে কীভাবে নেমে এসেছিল ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ পাবলো নেরুদার অসুখী একজন কবিতায় কথক এর জন্য অপেক্ষা করতে থাকা তার প্রিয়তমার মাথার উপর পাথরের মত ভাবি একটার পর একটা বছর নেমে এসেছিল।
২.১০ ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলায় কে তরজমা করেছেন ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি তরজমা করেছেন নবারুণ ভট্টাচার্য।
২.১১ ‘হাজার বছর ডুবেছিল ধ্যানে।’- হাজার বছর ধরে কারা ধ্যানে ডুবে ছিল ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ অসুখী একজন কবিতায় উল্লিখিত শান্ত হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবেছিল।
২.১২ ‘সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না’- কোন মেয়েটির কথা বলা হয়েছে ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ পাবলো নেরুদার রচিত অসুখী একজন কবিতায় সেই মেয়েটি বলতে কবির আপনজন অপেক্ষারত প্রিয়তমার কথা বলা হয়েছে।
২.১৩ ‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারলো না।’- কারা স্বপ্ন দেখতে পারলো না ? [Board Test Paper 2022]
উত্তরঃ ‘অসুখী একজন’ কবিতায় হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবে থাকা শান্ত হলুদ দেবতারা আর স্বপ্ন দেখতে পারলো না।
আরো প্রশ্নোত্তর দেখতে নিচে ক্লিক করো।
Pingback: মাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর - Prosnodekho -