M.P Suggestion-2022

উঃ বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ বিধি বাম বলেই বীরবাহুর ও কুম্ভকর্ণের মত যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, বিধি বাম বলেই নিহত হওয়ার পরেও রামচন্দ্র পুনর্জীবন লাভ করেছেন।

উত্তরঃ ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ অর্থাৎ দেবী লক্ষ্মী প্রভাষা রাক্ষসীর ছদ্মবেশ ধারণ করে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও রাজা রাবণের যুদ্ধসজ্জার সংবাদ ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছিলেন।

উত্তরঃ অভিষেক কবিতায় রাবণ ইন্দ্রজিৎ কে বলেছেন শিলা জলে ভাসা কিংবা মৃত মানুষের পুনরায় বেঁচে ওঠার মতো ঘটনা কেউ কোনদিন না শুনলেও রাম লক্ষণের ক্ষেত্রে এমন কল্পনাতীত ঘটনাই ঘটেছে। এ ঘটনার কথা বলে নিজেদের চরম দুর্ভাগ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

উঃ পাঠ্য অভিষেক কবিতায় পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুর শোকে রাক্ষস অধিপতি রাবণ শোক গ্রস্থ হয়েছিলেন।

উঃ অভিষেক কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশে মেঘ বাহন বলতে যিনি মেয়েকে বাহন করে ঘুরে বেড়ানো অর্থাৎ দেবরাজ ইন্দ্র কে বোঝানো হয়েছে।

উঃ ‘অভিষেক’ নামাঙ্কিত রচনা অংশে ইন্দ্রজিৎ ধাত্রী(ধাইমা) ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর চরণে প্রণাম করে তাকে বলে সম্বোধন করেছেন।

উঃ রামচন্দ্রের আঘাতে বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে। এই বার্তাটি অদ্ভুত কারণ ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে যে রামচন্দ্রের মৃত্যু ঘটেছে সে কী করে বীরবাহুর হত্যাকারী হয়!

উঃ রামচন্দ্রের হাতে লঙ্কার আক্রান্ত হওয়া ও প্রিয়া বীরবাহুর মৃত্যুকালে মেয়েদের মাঝে প্রদানের সময় কাটানো এবং কর্তব্যের গাফিলতিতে ইন্দ্রজিৎ অপবাদ বলেছেন।

উঃ স্বর্ণলঙ্কা যখন শত্রুপক্ষ ঘিরে ধরেছে, প্রিয় ভাই যখন নিহত, পিতা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে যখন ব্যস্ত, তখন মেয়েদের মাঝে বিলাসিতা ইন্দ্রজিতের শোভা পায় না। তাই নিজেকে ধিক্কার দিয়েছেন।

১০.’অসুরারি-রিপু’ বলতে কাকে বােঝানাে হয়েছে ? (Board Test Paper 2022)

উঃ ‘অসুরারি’ শব্দের অর্থ স্বর্গে বসবাসকারী, যাদের পুজো করা হয় অর্থাৎ দেবতা। তাই এখানে দেবতাদের শত্রু ইন্দ্রজিৎকে ‘অসুরারি রিপু’ বলা হয়েছে।

                 অথবা,

অসুরারি শব্দের অর্থ অসুরদের অরি (শত্রু)। অর্থাৎ অসুরদের শত্রু হলেন দেবতারা আর তাদের রিপু (শত্রু) হলেন ইন্দ্রজিৎ। তাই ‘অসুরারি-রিপু’ বলতে ইন্দ্রজিৎকেই বোঝানো হয়েছে।

উঃ ছদ্দবেশী লক্ষ্মী দেবীর মুখে লঙ্কার দুঃসংবাদ শুনে প্রমোদ উদ্যান থেকে যুদ্ধযাত্রা কালে রথে চেপে আকাশপথে চলমান মেঘনাদ ধনুকের ছিলায় টংকার দিলে ‘লঙ্কা’ ও ‘জলধী’ কেঁপে উঠেছিল।

উঃ তুচ্ছ মানব রামচন্দ্র আমাকে ভয় দেখায়! হে পিতা, লঙ্কার দাস থাকতে তুমি যদি যুদ্ধে যাও তবে ইন্দ্র হাসবেন; যাকে দুবার যুদ্ধে হারিয়েছি। অনুমতি দাও দেখব এবার সে কোন ওষুধে বাঁচে।

উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ কবিতায় মেঘনাদের শরে মরেও বেঁচে উঠেছিলেন রামচন্দ্র।

উঃ অভিষেক কবিতানুসারে ইন্দ্রজিতের মতো যোগ্য সন্তান থাকতে রাবণ যুদ্ধে যাবেন এটা তাঁর কলঙ্ক বলে মনে হয়েছে।

উঃ রামচন্দ্র নাকি মরেও বেঁচে ফিরেছিলেন। এটা কি ধরনের মায়া কিছুতেই বুঝতে পারিনা। পিতা, অনুমতি দাও নরাধমকে বায়ু-অস্ত্রে উড়িয়ে দেব নতুবা তাকে বেঁধে এনে দেব।

উঃ রাবণের রণসাজে সজ্জার সময় সেখানে প্রভাষার ছদ্দবেশী লক্ষীদেবী বীরবাহুর মৃত্যু সংবাদ নিয়ে উপস্থিত হলেন।

উঃ অভিষেক কবিতায় প্রভাষার ছদ্মবেশী ধাইমা আসলে দেবী লক্ষ্মী। প্রমোদ উদ্যানে মেঘনাদ তাকে দেখে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জানতে চেয়েছিলেন।

উঃ কবি মধুসূদনের অভিষেক কবিতায় মহাবাহু বলতে ইন্দ্রজিতের কথা বলা হয়েছে।

উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ কবিতায় ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকাননে প্রাণের চেয়ে প্রিয় প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছেন।

উত্তরঃ কবি মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ কাব্যাংশটি তার কালজয়ী সৃষ্টি ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত।

👉 আরো দেখো….